![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৬ সালের ঘটনা।তারও আগের থেকে খুব সম্ভব ২০০১ সাল থেকে আমি কোন প্রাণী হত্যাই করিনা।এদিকে বৌদ্ধ ধর্মেও প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ।বাবাকে বললাম আমি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে চাই।বাবা বললেন,বেশ ভাল কথা।আমি,বাবা আর মা আমরা তিনজনে বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে গেলাম।ঐদিন ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমা।সবাই অনেক ব্যাস্ত।ভান্তেরা(বুদ্ধ পুরোহিত) আরও ব্যাস্ত।বাবা একজন ভান্তের সাথে কথা বলতে চাইলেন।ভান্তে প্রথমে কথা বলতেই চাইলেননা।অনেক কাজ তাঁর।তারপর বাবা নিজে থেকেই বললেন,‘ভান্তে আমার ছেলে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে চায়’।
ভান্তে চলে যাচ্ছিলেন।কিন্তু বাবার কথা শুনে সাথে সাথে ফিরে আসলেন।
‘কি বললেন আপনি?’ভ্রু কুঁচকে বললেন ভান্তে।
‘আমার ছেলে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে চায়।সে কোন প্রাণী হত্যাই করেনা অনেক ছোট থেকেই।’
‘বেশ ভাল কথাতো।তা কোন ধর্মের মানুষ আপনারা?ও কি আজকেই ধর্মান্তরিত হবে?’ভান্তে জানতে চাইলেন।
‘ভান্তে,আমার একমাত্র ছেলে।ওর বৌদ্ধ ধর্ম ভাল লাগে।বৌদ্ধ ধর্মে দিক্ষিত হতে চায়।খুব ভাল কথা।আমি ধর্ম সম্পর্কে এতো কিছু জানিনা।কিন্তু আমিতো আমার ছেলেকে এভাবে ধর্মান্তরিত হতে দেখতেও চাইনা মশাই।
আমার কিছু প্রশ্ন আছে।এগুলোর উত্তর জানতে চাই।আপনি উত্তর দেন।এরপর বাকিটা ওর ইচ্ছা।ওর আপনার উত্তর পছন্দ হলে ধর্মান্তরিত হবে।আর অপছন্দ হলেও ওর ইচ্ছা হলে ও ধর্মান্তরিত হবে।ও যা ভাল মনে করে।’
এতক্ষণে আরও কয়েকজন ভান্তে আর বেশ কিছু মানুষ জড় হয়েছে আমাদের চারপাশে।খবর পেয়ে আরও কয়েকজন ভান্তে আমাদের ঘিরে ধরলেন।সবাই জানতে চায় কি প্রশ্ন এই ভদ্রলোকের!
‘তা কি প্রশ্ন আপনার?করে ফেলুন।’বয়স্ক একজন ভান্তে জানতে চাইলেন।
‘আমার দুটি প্রশ্ন।প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে আমরা জানি প্রাণী হত্যাতো বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ।এখন মনে করুন আপনি এমন একটা জায়গায় এসেছেন যেখানে অনেক মশা।মশা আপনাকে কামড়াচ্ছে।কি করবেন আপনি?’জানতে চাইলেন বাবা।
‘কি করব মানে?সরিয়ে দেবো মশা।আর কি করব?আপনি কি আমাকে মশা মারতে বলছেন নাকি?একটা অবুঝ প্রাণী আপনাকে কামড়াচ্ছে আর এর জন্য আপনি কি তার জীবন নিয়ে নেবেন?আজব প্রশ্ন।’রেগে গেলেন ভান্তে।
‘ভাই আমিতো আগেই বলেছি যে ওখানে অনেক মশা।আপনি কয়টাকে সরাবেন!ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া,এনসেফেলাইটিস ইত্যাদি অনেক রোগ আছে মশার কারনে হয়।কয়েকমাস আগেই আমার এই প্রাণী হত্যা না করা ছেলেরই ডেঙ্গু হয়ে গেল।তাই এতো মশা আপনি সরাতে পারবেননা।আমার জানা মতে এমন কোন মন্ত্র-তন্ত্রও নেই যা দিয়ে মশা সরানো যায়।’
‘আরে মশাই এতো মশা যেখানে সেখানে যাবেন কেন আপনি?’আরেকজন ভান্তে বললেন।সবাই যথেষ্ট রেগে যাচ্ছেন!উপস্থিত ভান্তেরা তাঁকে সমর্থন জানালেন।সত্যিই তো যেখানে এতো মশা সেখানে কেন যাবেন আপনি?
‘আপনারা শুধু শুধুই রেগে যাচ্ছেন।মানুষ তো আর সাধ করে মশার কামড় খেতে যায়না।কিন্তু আপনাকে কোন দরকারি কাজেই হয়তো যেতে হতে পারে এমন জায়গায় যেখানে গেলে আপনার মশার কামড় না খেয়ে উপায় নেই।জেলখানার কথাই ধরেন।কয়েদীদের খাবারের থেকে মশার কামড়ই বেশী খেতে হয়।’
বাবার প্রশ্ন শুনে যথেষ্টই মজা পাচ্ছিলাম।এতো এতো মানুষ এখানে একজনও বাবার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেনা!ভান্তেরাও চুপ করে আছেন।উপস্থিত দুই একজনের কথা কানে আসছে।ফিস ফিস করে কে জানি বলল,ভাল প্রশ্ন!সত্যিই তো এমন হলে কি করা উচিত?
‘এছাড়াও ধরেন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন পথে একটা বিষাক্ত খ্যাপাটে সাপ তারা করল আপনাকে।আপনার পিছু ছাড়ছেইনা…’
‘আরে দাদা যে রাস্তায় সাপ থাকে সে রাস্তা দিয়ে আপনি যাবেন কেন?’বাবাকে থামিয়ে দিলেন আরেকজন ভান্তে।
‘ভাই,কেউ তো আর ইচ্ছা করে সাপের খপ্পরে পড়তে যায়না।কিন্তু তারপরেও অনেক সময় সাপের দেখা আমাদের পেতে হতেই পারে।সাপের কথা বাদই দিলাম।কিন্তু সুন্দরবনে অনেক জেলে,মৌয়াল বা অন্যান্য মানুষেরা পেটের দায়ে সুন্দরবনে যায় আর পরবর্তীতে বাঘ-কুমিরের পেটে যায়।এরা কেউ কিন্তু সাধ করে বাঘ কুমিরের পেটে যায়না দাদা।’
‘দুই নম্বর প্রশ্নটা করে ফেলুন।’মধ্যবয়স্ক একজন ভান্তে বললেন।
উপস্থিত সব ভান্তের মুখই এতক্ষনে কাল হয়ে গেছে।তাও জানতে চায় দুই নম্বর প্রশ্নটা কি।
‘আমার জানা মতে বৌদ্ধরা সব মাংসই খায়।হিন্দু-মুসলিমদের বিধি নিশেধ নেই আপনাদের।এখন ধরুন এমন একটি বৌদ্ধ এলাকা রয়েছে যেখানে ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৯৯ জন মানুষই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।কিন্তু বাকি যে ১ জন মানুষ আছেন,তিনি একজন হিন্দু/মুসলিম।ওই ব্যাক্তি একজন পেশাদার কসাই।মাংস বিক্রি করে তার পেট চালাতে হয়।যেহেতু বৌদ্ধরা সব প্রানির মাংসই খায় কিন্তু নিজেরা হত্যা করেনা তাই ঐ লোকের মাংসের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ঐ এলাকায় জীব হত্যার পাপের দায়ভারের অধিকারী কি ঐ এলাকার বৌদ্ধরা হবেনা?তারা যদি মাংস না খেত তাহলে তো এই জীব গুলোকে অকালে মরতে হতোনা।সবপাপের দায় কি ঐ গরীব কসাইয়ের নিতে হবে?এলাকার বৌদ্ধদের কোন পাপ হবেনা?’বাবা প্রশ্ন শেষ করলেন।
আমি ভান্তেদের দিকে তাকাচ্ছি কে উত্তর দেবেন বুঝতে পারছিনা।
বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকলেন ভান্তেরা।অবশেষে বয়স্ক ভান্তে বললেন,‘আপনার প্রশ্ন গুলো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত।কিন্তু আমরা আসলে জানিনা।কিন্তু এর সমাধান আছে।আজকে তো সময় দিতে পারবোনা আপনাদের।আপনারা একদিন সময় করে আসেন।আমরা আলোচনায় বসি।আলোচনায় বসে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব।’
উপস্থিত ভান্তেরাও সম্মতি জানালেন মাথা নেড়ে।
বাবা বললেন,আচ্ছা আবার একদিন সময় করে আসবো আমরা।
ভান্তেরা যে যার কাজে চলে গেলেন।আমরাও তখন মুল মন্দির থেকে সরে এসেছি।বাবা ফিসফিস করে আমার কাছে জানতে চাইলেন,‘বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করবেনা?’
‘বাসায় চল।আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা!’বললাম আমি।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৬
নাস্তিক দীপ বলেছেন: মানুষ।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫২
তারেক বলেছেন: জীব হত্যা মহাপাপ, তাহলে বার্মার বৌদ্ধরা এত রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে কেন? নাকি রোহিঙ্গারা জীব না।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১২
নাস্তিক দীপ বলেছেন: চুরি-ডাকাতি সব ধর্মেই নিষিদ্ধ।তারপরেও মানুষেরা কি চুরি-ডাকাতি করছেনা?
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৩
আদরসারািদন বলেছেন: আপনাকে আসলে কিছু বলার নেই আমার, সময় থাকলে বিস্তারিত লিখতাম।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৩
নাস্তিক দীপ বলেছেন: আপনার অতি মূল্যবান সময়ের থেকে কিছু সময় পাইবার অপেক্ষায় রইলাম।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আচ্ছা আর একটা প্রশ্ন? ধরুন নির্বানের জন্য (শব্দ যদি ভুল না হয়) অর্থাৎ বৌদ্ধ ধর্ম মতে পৃথিবীতে যাতে আর ফেরত আসতে না হয়, সেই লাভের জন্য যে জীবন বেছে নেওয়া, সেই জীবন যদি সকল লোক বেছে নেয়, তবে পৃথিবীর অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক পরিস্থিতি কি হবে?
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২০
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাল প্রশ্ন।বৌদ্ধ মন্দিরে যান।ভান্তেদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে আসুন ভাই।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৯
উচমং মারমা বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্মে প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে..........নিষিদ্ধ কথাটা উল্লেখ নাই....
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩২
নাস্তিক দীপ বলেছেন: বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে ভান্তের সাথে কথা বলার আহবান জানালাম।ভাল থাকবেন।
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৯
মেনােশদাস বলেছেন: মশা মানুষকে কামড়ানোর পর পেটের রক্ত শুকিয়ে মারা যায়। এই মৃত্যুর জন্য আপনার ধর্মে দৃষ্টিতে কে দায়ী । আপনি জানলে জানান । অথবা না জানলে ভান্তের নিকট থেকে জেনে জানান।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৯
নাস্তিক দীপ বলেছেন: //মশা মানুষকে কামড়ানোর পর পেটের রক্ত শুকিয়ে মারা যায়।//
আগে রেফারেন্স দেন।আমি এমন কথা আগে শুনিনাই।শুধু শুধু বোকার মত প্রশ্ন করে বিব্রত হতে ইচ্ছুক নই।আপনার রেফারেন্স না থাকলে নিজেই চলে যান বৌদ্ধ ভান্তেদের কাছে।
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৫
রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: কিছু একটা লিখতে চেয়েছিলাম। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রাখলাম।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৮
নাস্তিক দীপ বলেছেন: সাবাস!আপনি লিখতে পারছেন।চালিয়ে যান।অল দ্যা বেস্ট
৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
ইমরান হক সজীব বলেছেন: মজা পাইলাম পড়ে আমার দৃষ্টিতে একমাত্র বৌদ্ধ ধর্মেই তুলনামূলক মানুষকে মানুষ হিসেবে সবচেয়ে বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে, আর সব ধর্ম বহু দোষে দুষ্ট। বিশেষ করে আমার দেশের বহুল প্রচলিত ধর্মে মানুষ কিভাবে আস্থা রাখে বুঝিনা। পুরাই অমানবিক,নিষ্ঠুর,নির্দয়,হিংসা, বিদ্বেষ, বিভেদ সৃষ্টিকারী একটা ধর্ম। কিছু বললেই বলবে ভালোভাবে পুরটা জানুন,অমক তমক ব্যাখ্যা পড়ুন, অল্প জেনে লাফায়েন না ঃ আরে ভাই আমি কি পি এইচ ডি করবো নাকি, জানার চেষ্টা তো করতেই আছি, এতো বই পত্র পড়লাম এতো সব অভিজ্ঞদের সাথে সাক্ষাত করলাম, অল্প কিছু ব্যাতিত পুরোটা নিষ্ঠুরতা আর গাঁজাখোরি বিষয় ছাড়া তো কিছু পেলাম না । আমি অল্প বুঝি, মানুষের প্রতি দয়া, মায়া, ভালবাসাই ভরপুর একজন মানুষ হতে চাই, আপনারা বেশী বুঝেও যদি আত্মঘাতি হামলা চালানোর যোক্তিকতা খুঁজে বেরান তাহলে আপনাদের সাথে আমি নাই।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই।কিছু কিছু জায়গায় সম্পূর্ণ একমত আপনার সাথে।ভাল থাকবেন।
৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: @ইমরান হক সজীব - সহমত আপনার সাথে। সব ধর্মই ভূয়া, তারপরও সবচেয়ে ভদ্র ধর্ম মনে হয় বৌদ্ধ ধর্মকে। শান্তির ধর্ম।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫
নাস্তিক দীপ বলেছেন: সহমত।কিন্তু এভাবে সব ধর্মকে সরাসরি ভুয়া না বললেই কি হতোনা!ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগার মানুষের যে অভাব নেই এখানে!
ভাল থাকবেন।
১০| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৪
তুষার বর্ষন বলেছেন: ভান্তেরা জানে না মানেই বৌদ্ধধর্ম ভিত্তিহীন এমনটা নয় । তাদের অজ্ঞতা ধর্মের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না । সকল ধর্মের গন্তব্য একই । আপনি আমি হয়ত আলাদা পথের পথিক , তবে উদ্দেশ্য একটাই । শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র 'সত্যানুসরণ' বইয়ে বলেছেন "যত মত তত পথ".. অজ্ঞতা আর ভ্রান্তধারনার জন্য ধর্ম দায়ী নয় ..দায়ী তারা, যারা এগুলো সমর্থন করে
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাস্তিক দীপ বলেছেন: //যত মত তত পথ//
আমার জানা মতে বানীটি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমাহংসদেবের।
ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বুদ্ধিজম একটা এসকেপিস্ট মতবাদ। বুদ্ধ খালি জীবনের দুঃখের দিক গুলোই দেখে গেছে, জীবনের সাধ, সৌন্ধরয, বোধ, আনন্দ, আশা এসব মিলে জীবনের যে একটা চমতকার মানে রয়েছে সেটাকে তিনি এড়িয়ে গেছেন। তিনি মনে করতেন সুখও মানুষের দুঃখের কারণ কেননা সুখ চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু বুদ্ধ বলেন নি, মানুষের জীবন সুখ কম থাকলেও এই সুখের আশা মানুষের বেচে থাকার প্রেরণা যোগায়। সুখের সল্পতার কারণের আমরা সুখের আশায় এতকিছু করি। দুঃখও চিরস্থায়ী নয়। আজ বুদ্ধের মতবাদ ঠিকমতো পালন করতে চাইলে তার বিয়ে ঘরকন্যা সন্তান ধারণ এর সব থেকেই আপনাকে বিরত থাকতে হবে কেননা আপনার কোন রাইটা নাই ভবচক্রে পতিত পাপে নিমজ্জিত একটি আত্নাকে পুনরায় প্রিথিবীতে নিয়ে আসার। প্রক্রিতি থেকে মুক্তি লাভই নিরবাণ প্রধান উদ্দেশ্য। বস্তু জগতের সকল জীবরে বিনাশ সাধনই বুদ্ধিজমের মুল মন্ত্র। বুদ্ধিজমে জীব হত্যা যেমন মহা পাপ তেমনি জীবের জন্মও মহা পাপ হিসেবে দেখা হয়। বলা হয়, পাপে নিমজ্জিত অতৃপ্ত আত্না প্রিথীবীতে বারবার ফিরে আসে।
ফিলোসোফিক্যাল এনালাইসিসের জন্য বুদ্ধিজম ভালো। কিন্তু বাস্তব জীবনে বুদ্ধের মতবাদ পুরোপুরি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য না। দুঃখের বিনাশ চাইতে গিয়ে অতি দুঃখ বরণ কোন কাজের কথা না।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১
নাস্তিক দীপ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ।এ বিষয়ে আপনার কাছ থেকে একটা পোস্ট পাওনা থাকল।
ভাল থাকবেন।
১২| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩২
মেনােশদাস বলেছেন: নিজেই তো মশার কামড় খেয়ে প্রমান করতে পারেন। এতে তো আপনার কোন পাপ হবে না। পেটে রক্ত ভর্তি মশাটিকে ফোলো করুণ নিজেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন। রেফারেন্সের প্রয়োজন পড়বে না।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
নাস্তিক দীপ বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই।কিন্তু এধরনের পরিক্ষা ছোটবেলাতেই করেছি।কিন্তু কখনো মরতে দেখিনি।
ভাল থাকবেন।
১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪০
মেনােশদাস বলেছেন: আপনি বলেছেন , বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ । কিন্তু উল্লেখ করলেন না কোনটাকে বর্জন করলেন।আমার মনে হচ্ছে আপনি আগে থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।আপনার একপেশী তথ্যই এটা প্রমাণ করে না কি?
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
নাস্তিক দীপ বলেছেন: পুরো পোস্ট ভালভাবে পড়লে উত্তর পেয়ে যাবার কথা।আমি আগে বৌদ্ধ ছিলাম কিনা অথবা এখন বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেছি কিনা জানতে পোস্টটা ভাল মতন পরলেই উত্তর পেয়ে যাবেন দাদা।সম্ভব হলে ভাল করে পড়ুন পোস্টটা।
ভাল থাকবেন।
১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৬
এস আর সজল বলেছেন: আপনার দেহের শ্বেতরক্তকণিকা গুলো প্রতি সেকেন্ডে লক্ষলক্ষ এককোষী প্রাণ মারছে কিংবা আপনার শ্বাস নেওয়ার সময় প্রতিবার আপনি কোটি কোটি প্রাণ মারছেন, ওইগুলা কি হবে????
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯
নাস্তিক দীপ বলেছেন: আমার পোস্টের সাথে আপনার মন্তব্যের প্রাসাঙ্গিক মিল কোথায়?কোন প্রসঙ্গে বলেছেন আগে ব্যাখ্যা করুন।
১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯
....... বলেছেন: মাথা খারাপ ...।
১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
মোতাব্বির কাগু বলেছেন: //যত মত তত পথ//
আমার জানা মতে বানীটি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমাহংসদেবের।
ধন্যবাদ।
১৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬
অজানামন বলেছেন: Buzte parlam j apnak kew create k0re nai. apni apnar ma-baper obad jowno lilar foshol.
১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৮
আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: আমাদের ইসলাম এ আছে প্রাণ বাচানো ফরয, তা মিথ্যা বলেই হোক, আর কাফির রাজার চাপে পড়ে মূর্তিপূজা করেই হোক।
বৌদ্ধদের ও মনে হয় তাই, বিলাসিতা করে প্রানী মারা যাবেনা যেমন মাংস, চামড়া, শিং/দাত/হাড়।্কিন্তু জান বাচাতে মশা,সাপ এমনকি বাঘ ও মারা যাবে।
১২ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:০৭
নাস্তিক দীপ বলেছেন: জান বাঁচানোর জন্য জীব হত্যা করা যাবে কিনা জানা নেই ভাই।তবে খুব সম্ভব যাবেনা।
১৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৫
রবিনহুড বলেছেন:
মগাচিপের এটা কত নং নিক?
নাস্তিক গুলোর একটাই বড় সমস্যা, কখনই সত্যি কথা বলে না...
১২ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:০৭
নাস্তিক দীপ বলেছেন: আপনারটা কত নম্বর ভাই?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫১
মেজর জেনারেল বলেছেন: এখন আপনে কি?