![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছুডু মানুষ। কিছু শিখুম। তাই ব্লগে আইলুম। [email protected]
আমি ব্যক্তি হিসেবে অবিবাহিত। কিছু কিছু কথাবার্তা মানুষকে বলতে খুবই লজ্জা লাগে। সেজন্য অনেক কিছুই মানুষকে বলা হয় না। তবে, লিখতে যেহেতু সমস্যা নেই। তাই, ব্লগেই আপনাদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম।
বিবাহের মাধ্যমে দুইজন পুরুষ ও নারী একে অপরের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটজনে পরিণত হয়। আর আকদ তথা ইজাব কবুলের মাধ্যমেই তাদের পরস্পরের মধ্যকার দৈহিক সম্পর্কের বৈধতা স্থাপিত হয়। আমরা জানি স্বামী স্ত্রীর ভিতরে কোন পর্দা নেই। তারা একে অপরের সামনে একেবারেই ফ্রি ও স্বাধীন। তাদের শরীরের কোন অঙ্গ অপর থেকে ঢেকে রাখার কোন বাধ্যবাধকতা ইসলামে দেয়া হয়নি।
অথচ, অনেকেই বলে থাকেন যে, স্বামী যেন তার স্ত্রীর বিশেষ অঙ্গ এবং স্ত্রী যেন তার স্বামীর বিশেষ অঙ্গ না দেখে। এটা সর্বদা ঢেকে রাখতে হবে।
আসলে, এগুলো সবই কুসংস্কার। বরং, একান্তে থাকলে এ ব্যাপারে তারা ১০০% স্বাধীন। তারা কিভাবে থাকবে সেটা তাদের ব্যাপার।
বিবাহের একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে-একে অপরকে খারাপ পথ থেকে দূরে রাখা। অতএব, আরেকজনের প্রিয় পন্থা অবলম্বনের জন্য তাকে সুযোগ দেয়া উচিত। যেন সে শুধুমাত্র নিজের সংগী বা সঙ্গিনীর দিকেই আকৃষ্ট থাকে।
অতএব, কিসে অপর সংগীর বেশী বেশী তৃপ্তি আসবে সেদিকে অন্যের খেয়াল রাখা কর্তব্য এবং তাকে সে পন্থা অবলম্বনের সুযোগও দেয়া উচিত। অন্যথায় সে উক্ত সংগীর উপর বিতৃষ্ণ হয়ে যেতে পারে। ফলে, হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কয়েকদিন আগে একজন লোকের সাথে কথা হচ্ছিল- সে বলল: একজন আলেম নাকি তাকে বলেছেন- স্ত্রীর সামনে যেন তার নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত অনাবৃত না হয়ে যায়।
আমি আশ্চর্য হলাম। উক্ত আলেমের একথা বলার কারণ কি? জানলাম যে, এর পিছনে একটিই মাত্র কারণ। আর তা হল- একটি জাল হাদীসের ব্যাপকতা।
রাসুল (সাঃ) এর নামে বলা হয়- "তোমাদের কেউ যেন নিজ স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলনের সময় স্ত্রীর বিশেষ অংগের দিকে দৃষ্টি না দেয়, কেননা, তা দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার কারণ হয়।"
আসলে, এটা কোন হাদীস নয়; বরং, রাসুল (সাঃ) এর নামে রটানো মিথ্যা কথা।
অতএব, দৈহিক মিলন, গোসল কিংবা অন্য যেকোন সময় স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের শরীরের সমস্ত অঙ্গ এমনকি বিশেষ অংগের দিকেও তাকাতে পারবে। ইসলামী শরীয়তে এ ব্যাপারে কোন বাধা নেই।
ইসলামিক স্কলারদের মতে-স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সমস্ত শরীরের দিকে তাকানো ও স্পর্শ করা বৈধ এমনকি বিশেষ অঙ্গও। (মুগনী, আল কাফি, মাউসুয়াতুল ফিকহিয়া)
হাশিয়ায়ে দাসুকীতে বলা হয়েছে- স্বামী স্ত্রীর বিবাহ অটুট থাকাবস্থায় একে অপরের দেহের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখা এমনকি বিশেষ অঙ্গ দেখাও বৈধ। একে অপরের বিশেষ অঙ্গের দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার যে বর্ণনা রয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। (হাশিয়ায়ে দাসুকী)
আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী তার সিলসিলাতে লিখেছেন- স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক সম্পর্কের ভুমিকা পর্বের প্রাথমিক একটি স্তর হল- একে অপরের বিশেষ অঙ্গ দেখা, স্পর্শ করা ইত্যাদি। এরপরেই রয়েছে দৈহিক মিলন। আর, আল্লাহ তায়ালা যেহেতু তাদের মধ্যকার দৈহিক সম্পর্কটাকেই বৈধ করে দিয়েছেন, অতএব সেদিকে তাকানো নিষিদ্ধ হওয়া অযৌক্তিক। কোন সুস্থ মস্তিষ্ক বিশেষ অঙ্গ দেখা অবৈধ হওয়াকে যৌক্তিক বলে মেনে নেবে না।
অতএব, সেদিকে তাকানো নিষেধ হওয়ার বর্ণনা সহীহ নয়। বরং, বিভিন্ন দলীল প্রমাণ সেদিকে তাকানোর বৈধতার পক্ষেই সাক্ষ্য দেয়।
উল্লেখ্য যে, পায়ুপথ তথা পিছনের রাস্তায় সর্বাবস্থায় মিলন অবৈধ এবং যারা এরূপ করে তাদেরকে হাদীসে অভিশপ্ত বলা হয়েছে।
(সংক্ষেপিত, বিশেষ অঙ্গ দেখার বৈধতা সম্বন্ধে বিস্তারিত নিচের লিঙ্কে পাবেন।
http://islamqa.com/ar/ref/153538 )
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:২৯
নাটক বলেছেন: ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করছেন????!!!!
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:১৯
আমাদের ভাই বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পুর্ন একমত। বিবাহের মাধ্যমেই একজন পুরুষ ও একজন নারী তাদের দৈহিক মিলনে বৈধতা পায়। আর স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা থাকতে পারেনা, যখন তারা একাকি অবস্থান করে। ভাল লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং ++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫৪
নাটক বলেছেন: একমত হওয়ায় অভিনন্দন। আসলেই!!! তাদের মাঝে যদি পর্দার বিধান থাকত তাহলে তো দৈহিক সম্পর্কটাই নিষিদ্ধ হওয়াটা যুক্তিসংগত ছিল!!!
ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:১১
ভাইরাস২০১২ বলেছেন: বিয়ার আগেই এতো টেনশন ক্যান?
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫৬
নাটক বলেছেন: ভাই, কি করব কন??? মানুষের ভিতরে কুসংস্কার বাসা বেঁধেছে। তাই, ছোট হয়েও বড় বড় কথা বলতে হচ্ছে!!!
আর ব্লগ বলে কথা!!! আমাকে কেউ চেনে না। তাই, এখানে বলতে লজ্জা করার কোন কারণ নেই।
ধন্যবাদ ভাইরাস ভাইয়া।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:০৫
হাসান খা বলেছেন: এখানে দুইজন ব্লগার লুল কাহিনী বলে নিজেদের দুর্বল প্রমান করেছেন। ইসলাম ধর্ম একটি পরিপূর্ন জীবন ব্যাবস্থা, এখানে আপনি কখন কিভাবে চলবেন তার বিস্তারিত বলা আছে, যা অন্য কোন ধর্ম বা মতাবলম্বীদের নেই। যাই হোক সাহস করে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫৮
নাটক বলেছেন: দুয়া কইরেন ভাই!!! অসুস্থদের সাথে মাথা গরম করে লাভ নেই, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:১১
লজিক মানুষ বলেছেন: I was waiting for your blog.... Thanks
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫৯
নাটক বলেছেন: ভাই এটা আগের লেখা। জাস্ট শেয়ার করলাম।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৬
টুথ্পিক বলেছেন: পরডা জোদি থাকেও কেউ তো মানে বোলে মনে হয় না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪১
নাটক বলেছেন: ইসলাম তো এগুলোকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এমন হলে, ব্যক্তি ভুল মনে করে সঠিক কাজটিই করে যাচ্ছে!!
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪৫
উড়ালিয়া বলেছেন: লুল হলেও, একমত, নিজের বউ এর সাথে করুম না তে কি সানি লিউনের সাথে ........
২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩২
নাটক বলেছেন: ধন্যবাদ উড়ালিয়া ভাই!!!!
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪৫
উড়ালিয়া বলেছেন: লুল হলেও, একমত, নিজের বউ এর সাথে করুম না তে কি সানি লিউনের সাথে ........
২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩২
নাটক বলেছেন: হুম!!!
৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫৯
টিনটিন` বলেছেন: আসলে অনেক জাল হাদীসের জন্য আসল ইসলামী জীবন বিধান বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আপনি আপনার পড়াশুনা থেকে যতটা সত্য মনে করেছেন সেটা লিখেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
কিছু রেফারেন্স লিংক দিলে ভালো হতো। যদি থাকে, শেয়ার করবেন প্লীজ।
+
২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩৪
নাটক বলেছেন: বর্তমানে দেখছি আমাদের সমাজে অনেক জাল হাদীস প্রচলিত রয়েছে। আমরা না জানার কারণে সেগুলোকে সত্য মনে করে নিয়েছি।
রেফারেন্স লেখার শেষে দেয়া হয়েছে ভাই।
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫০
ফরিদ আলম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল।
আমাদের সমাজে অনেক জাল হাদীস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
সেসব নিয়ে লিখলে অনেকেরই ভুল ধারণা দূর হবে,।
২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৮
নাটক বলেছেন: হুম্ম.... এগুলো অনেক বড় সমস্যা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:২৮
উড়ালিয়া বলেছেন: ধর্মীয় লুল কাহিনী