নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
বঙ্গ সমাজের প্রতিটি মানুষ দুর্ণীতির সাথে জড়িত। কেউ কর্মে, কেউ চিন্তায়!
শুরুটা করে শিশুর বাবা মা। তারা সন্তান মানুষ হওয়া বলতে বুঝে টাকার মালিক হওয়া।
তাদের কাছে শিক্ষার উদ্দেশ্য হল একমাত্র টাকা উপার্জন।
আমরা অবৈধ টাকার কুমিরকে যতটা সম্মান দিই, শিক্ষিত স্কুল মাস্টারকে তার সিকিভাগও দিই না।
যার কারণে একজন নবীনের ধ্যান থাকে যেভাবেই হোক টাকা ইনকাম করতে হবে। না হলে সমাজ তাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করবে।
আপনি প্রতিটা মা বাবাকে জিঙ্গাসা করেন, তাদের সন্তানকে কেন লেখাপড়া শেখাতে চায়?
একটাই উত্তর আসবে, চাকরির জন্য। যেকোন চাকরি। তবে সে চাকরিতে যদি উপরি ইনকাম থাকে তবে সোনায় সোহাগা।
আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম, শত নয় লক্ষ, কোটিতে একজনও ব্যতিক্রম পাবেন না।
কিভাবে টাকা উপার্জন করলেন, এই প্রশ্নটা শতভাগ মানুষের কাছে উপেক্ষিত।
প্রশ্নটা হল, আপনার কাছে টাকা আছে কি না।
টাকা (হোক চুরি, ডাকাতির) থাকলে সমাজ মেনে নেবে, অন্যথায় আপনি অপাঙক্তেয়!
এই চিন্তাধারা লালন করেই অন্য একজন প্রকাশিত দুর্ণীতিবাজকে সমাজ ঘৃণা করে।
একজন দুর্ণীতিবাজকে ঘৃণা করার কোন অধিকার আপনি রাখেন না।
আপনার আশেপাশে এমন কোন মানুষ আছে যে লোভ সংবরণ করতে পেরেছে? যদি থাকে তবে বলুন, আপনি তাকে সমাজের কোন অবস্থানে রাখছেন। দিন শেষে সমাজ তাকে হিরোর মর্যাদা দিয়েছে কি?
না কি তার আর্থিক দৈন্যতা নিয়ে উপহাস করেছে?
ভাল চিন্তার মানুষগুলোকে সমাজ বাড়তে দেয় না। প্রথমেই তাকে পরিমাপ করে টাকার দাঁড়িপাল্লা দিয়ে।
বলে,'বেটার পেটে নাই ভাত আসছে আদর্শ কপচাইতে।'
আর তার নাকের ডগায় একটা সরকারি অফিসারের গাড়ির ড্রাইভার হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছে, তাতে কোন প্রশ্ন নাই। লোভাতুর চোখে তাকাবে আর হাহুতাশ করবে, 'আমার কিছুই হল না।'
বরং এই শয়তানগুলাকে সমাজের আইকন বানাবে। বিভিন্ন সভায় স্কুলের মাস্টারকে নয় এই দুর্ণীতিবাজদেরকে প্রধান অতিথি বানাবে। মাপকাঠি কি? টাকা।
যে কোন নির্বাচন এলে দেখবেন, সাধারণ মানুষ আলোচনা করে, কে কে প্রার্থী হবেন, কার কত টাকা আছে।
বলবে, ওমুক মানুষ হিসেবে ভাল তবে তার টাকা নাই, হবে না।
আর এই মানুষগুলাই সমাজ রসাতলে গেল বলে আহাজারি করে। ভাল মানুষ নেতা হয় না বলে আক্ষেপ করে।
কয়টা দুর্ণীতিবাজকে আপনি বয়কট করেছেন?
একটাকেও করেননি। অথচ আপনি তাদেরকে চেনেন।
আপনার পরিচিত নষ্টদেরকে যদি সহ্য করতে পারেন, তবে অপরিচিত নষ্টটাকে অপবাদ দিবেন কোন আক্কলে?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এই চিন্তাগুলোই একদিন ভাল কিছু বয়ে আনবে।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই কোনো দিন দূর্নীতি করি নাই। এমন কি চিন্তা ভাবনায়ও আমি সৎ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আপনাকে স্যালুট! আপনার এই চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দিন।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১০
স্থিতধী বলেছেন: তিতা সত্য কথন।
নিজেকেও ভেতরের লোক ধরে আমাদের সব বাঙলাদেশীকে আজ বলতে হবে, " আবার তোরা মানুষ হ"।
আর পালে পালে অমানুষদের ভেতর থেকে মানুষ গুলো খুজে বের করে তাদের স্মমান দিতে হবে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এটা এখন সময়ের দাবী।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর যদি শতকোটি থাকে তাহলে তার উপরে আরো কি বেহাল দশা । ঘৃণা জানাই যারা জণসাধারণের সম্পদ কুক্ষিগত করছে ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: মানুষের লোভ কোথায় যাইতে পারে..........
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
আমি সাজিদ বলেছেন: করি নাই। আমি লজ্জিত। কিন্তু সবাই বলে লজ্জিত হওয়ার কারন নাই। এইটাই স্বাভাবিক।