নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু শেখার, ভালো কিছু করার, আর নিজে যা জানি তা অন্যকে উদারভাবে শেখানোর যদি কেউ শিখতে চায়।

নয়া পাঠক

আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!

নয়া পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়েল লাইফ জোকস! পর্ব-১: পান কাহিনী!!

০৩ রা জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৮



ছেলেটির বয়স কত আর হবে ৬ কি ৭ হয়তবা। তো সে একবার বেড়াতে গেছে তার এক দুসম্পর্কের মামার বাড়িতে। মামা তাকে খুব আদর করে। তো মামাদের বাড়ি ছেলেটির বাড়ি থেকে প্রায় ৭০-৮০ কি.মি. দূরে। স্বভাবতই বেশ কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে গেছে সে। কয়েকদিন মামার বাড়িতে দুধ-ভাত খেয়ে সে বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিল। একদিন মামা তাকে নিয়ে তাদের স্থানীয় সাপ্তাহিক হাটের দিন হাটে নিয়ে গেলো বেড়াতে। সে হাটটি আবার মামার বাড়ির এলাকার একটি বিখ্যাত হাট, সপ্তাহে দু'দিন বসে এবং আর সে জায়গাটি একটি বর্ডার এলাকা হওয়ায় সেখানে অনেক দূর দূর থেকে মানুষ আসে কমদামে বিদেশী পণ্য কিনে নিজেকে ধন্য করতে।

যাহোক মামা তাকে নিয়ে প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে হাটের এ দোকান, সে দোকান ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বার বার জিজ্ঞেস করছে মামা কি খাবা? মিস্টির দোকানের সামনে গিয়ে-
- মামা চল মিস্টি খাই
- না মামা, মিস্টি খাবো না।
খাবার হোটেলের সামনে নিয়ে-
- মামা, চল গরু অথবা খাসির গোস্ত দিয়ে গরম গরম সরু চালের ভাত খাই!
- না, খিদে নেই।
গ্রামের হাটগুলোতে গরম গরম জিলিপি সহ আরও বেশ কিছু মিস্টান্ন ভাজা হয়। মামা তাকে নিয়ে সেসব দোকান ঘুরে ঘুরে জিজ্ঞেস করে -মামা চল জিলিপি খাই?
- জিলিপি খাবো না।

অগ্যতা মামা তাকে নিয়ে আবারও পুরো হাটে চক্কর কাটতে থাকে। একসময় ক্লান্ত হয়ে হাটের এক বট অথবা পাকুড় গাছের নিচে বসে বসে মামা তার ক্লান্ত শরীরের ঘাম শুকোচ্ছিলেন আর বিড়ি ফুকছিলেন। তিনি তার এই প্রাণ জুড়ানোর সামগ্রীটি কিনেছিলেন এক ভ্রাম্যমান পান-বিড়ি বিক্রেতার কাছ থেকে। যে তার নিজের ছোট্ট দোকানটি একটি চৌকোনা কাঁচের বাক্সের মধ্যে রেখে একটি গামছা বা এ জাতীয় কাপড় দিয়ে গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে সারা হাট ঘুরে ঘুরে তার দোকানের মূল্যবান সামগ্রীগুলো বিক্রয় করছিল। আর তার সামগ্রীগুলোর মধ্যে ছিল: বিভিন্ন উজ্জ্বল রং দিয়ে বানানো পান-মশলা, হরেক রকম মিষ্টি পান, মিষ্টি পানের মশলা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো ছোট্ট ভাগনেটার সারা হাটের লোভনীয় খাবার-দাবারের কোনটা পছন্দ না হলেও পছন্দ হয়ে গেলো কড়া উজ্জ্বল রং করা পান-মশলাগুলো। যেগুলো লাল, সবুজ, নীল, হলুদ ইত্যাদি রঙে সজ্জিত হয়ে ছিল বিক্রেতার কাঁচের শো-কেসের মধ্যে। আর যাবি কোথায় ব্যাটা।

-মামা, মামা।
- উঁঃ (চোখ বন্ধ মামার)
- মামা পান খাবো!

চটাং করে মামার চোখ খুলে গেলো, সামনে তাকিয়ে দেখেন ভাগনে তার চোখ বড় বড় করে পানওয়ালার বুকের সামনের কাঁচের চৌকোনা বাক্সের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে!

মামা তখন বিশ্ময়ে বিমূঢ় হয়ে কিছুক্ষণ নির্বাক হয়ে ভাগ্নের দিকে তাকিয়ে থেকে উচ্চস্বরে হাঃ হাঃ করে হেঁসে উঠল। তার হাঁসির শব্দ শুনে সে স্থানটিতে বেশ ভিড় জমে গেলে মামা তাদের সামনে ভাগ্নের জন্য একটি রসালো, রং-বেরং এর মশলা মাখানো একটি মিস্টি পান অর্ডার করে আগ্রহী শ্রোতাগণকে পুরো ঘটনার বর্ণনা শোনাচ্ছিলেন।
আর ভাগনে!

তার তখন কোনও দিকে ভ্রুক্ষেপ করার সময় আছে নাকি? সে তখন ব্যস্ত তার অত্যন্ত মূল্যবান এবং প্রিয় বস্তুটির রসাস্বাদনে!

--- কপি রাইট সংরক্ষিত- লেখক।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

পান খোর মামার উপযুক্ত ভাগ্নে !!

০৩ রা জুন, ২০২১ দুপুর ২:০১

নয়া পাঠক বলেছেন: হ্যাঁ ভাই! মনে হয় আপনার মত! :)

২| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.