নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু শেখার, ভালো কিছু করার, আর নিজে যা জানি তা অন্যকে উদারভাবে শেখানোর যদি কেউ শিখতে চায়।

নয়া পাঠক

আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!

নয়া পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপকথা: রোজার রাজ্য ও সোনালী পাখি

১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:২৮




এক সময়ের কথা, রোজার নামে এক সুন্দর রাজ্য ছিল। রাজ্যটি ছিল সবুজে মোড়া, নদী-নালা, পাহাড়-পর্বতে ভরপুর। রোজার রাজ্যের রাজার নাম ছিল সম্রাট আলফ্রেড। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ ও প্রজাবৎসল শাসক। তার রাজ্যে সুখ-শান্তি বিরাজ করতো। রাজ্যের মানুষরা সম্রাট আলফ্রেডকে খুব ভালোবাসতো।

সম্রাট আলফ্রেডের একমাত্র মেয়ে, রাজকুমারী এলিজা ছিল তার সকল সুখের উৎস। এলিজা ছিল অপরূপ সুন্দরী এবং মেধাবী। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী ছিল একটি সোনালী পাখি, যার নাম ছিল অরোরা। অরোরা ছিল জাদুকরী পাখি, যার গান শুনলে সব দুঃখ ভুলে যাওয়া যেতো।


একদিন রোজার রাজ্যে এক অজানা দুর্যোগ নেমে এলো। রাজ্যের নদী-নালা শুকিয়ে গেল, ফসলের মাঠে খরা পড়ল, এবং মানুষদের মধ্যে হাহাকার শুরু হলো। সম্রাট আলফ্রেড সকল প্রকার চেষ্টা করেও এই দুর্যোগের কোনো সমাধান খুঁজে পেলেন না।

এক বৃদ্ধ জ্ঞানী বললেন, “এই দুর্যোগ দূর করার একমাত্র উপায় হলো, অরোরা পাখির সুরে একটি বিশেষ গান গাওয়া। তবে এই গানটি কেবল রাজকুমারী এলিজা গাইতে পারে, আর তা করতে হবে পূর্ণিমার রাতে রোজার রাজ্যের কেন্দ্রে অবস্থিত পবিত্র সোনালী বটগাছের নিচে।”


এলিজা তার প্রিয় পাখি অরোরাকে নিয়ে পবিত্র বটগাছের দিকে যাত্রা শুরু করল। পথে অনেক বাধা-বিপত্তি এল, কিন্তু এলিজা ও অরোরা সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলল। এক ভয়ানক জঙ্গলে তারা মুখোমুখি হলো এক দানবের, যার নাম ছিল গ্রিমওয়াল্ড। গ্রিমওয়াল্ড এলিজাকে বলল, “তুমি যদি আমাকে পরাজিত করতে পারো, তবে আমি তোমাকে মুক্তি দেবো।”

এলিজা তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দানবকে পরাজিত করল। গ্রিমওয়াল্ড তার পরাজয় মেনে নিয়ে এলিজাকে মুক্তি দিল এবং তাদের যাত্রা সহজ করে দিল।


পূর্ণিমার রাতে, এলিজা ও অরোরা পবিত্র সোনালী বটগাছের নিচে পৌঁছালো। এলিজা অরোরার সুরে গান গাইতে শুরু করল। সেই গানের সুরে চারপাশের সবকিছু নতুন প্রাণ পেলো। নদী-নালাগুলোতে আবার পানি প্রবাহিত হতে লাগল, ফসলের মাঠে সবুজ ধান ফলতে শুরু করল, আর মানুষদের মুখে হাসি ফিরে এলো।


দুর্যোগ দূর হওয়ার পর, রোজার রাজ্যে আবার শান্তি ফিরে এলো। সম্রাট আলফ্রেড খুব খুশি হলেন এবং রাজকুমারী এলিজাকে সসম্মানে অভিবাদন জানালেন। এলিজা ও অরোরা মানুষের কাছে এক আদর্শ হয়ে দাঁড়াল। সবাই তাদের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করল।

রোজার রাজ্য আবার সুখে, শান্তিতে ভরে উঠলো। সবাই বুঝতে পারলো যে, সাহস ও ভালোবাসা দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আর রাজকুমারী এলিজা ও তার প্রিয় পাখি অরোরা সবার হৃদয়ে রয়ে গেল চিরকাল।


রোজার রাজ্যের সুখ-শান্তি চিরকাল বজায় থাকলো। সম্রাট আলফ্রেড তার প্রজাদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটালেন। রাজকুমারী এলিজা তার প্রিয় পাখি অরোরার সাথে নতুন নতুন অভিযানে যেতেন এবং মানুষের সেবা করতেন।

এইভাবেই রোজার রাজ্য একটি সুখী ও সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকলো। রাজকুমারী এলিজার সাহসিকতা ও ভালোবাসা সকলের জন্য এক প্রেরণা হয়ে থাকলো।

এবং তারা সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকলো চিরকাল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

শায়মা বলেছেন: এটা কোথাকার উপকথা?

নাকি নিজেই লিখেছো ভাইয়া?

১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

নয়া পাঠক বলেছেন: না, আপুনি এটা আমার জানা কোন উপকথা নয়? সম্পূর্ণ কাল্পনিক, নিজে নিজেই লেখা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

করুণাধারা বলেছেন: রূপকথা পড়তে ভালো লাগে, তাই ভালোই লাগলো।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫২

নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আমারও রুপকথা বা কল্পকাহিনী পড়তে বা শুনতে খুবই ভাল লাগে। যখন ছোট ছিলাম তখন প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে, মা-খালা-নানী তিনজনের যে কোন একজনের কাছ থেকে আমার একটি রূপকথা বা গল্প শোনাটা বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই গল্পগুলো সব আর পুরোপুরি মনে নেই, স্মৃতিতে কেবল ভাসা ভাসা কিছু ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। কোনটার আংশিক, কোনটার কিঞ্চিৎ এরকম আর কি। তাই নিজেই একটা থিম দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি এই সব থিমগুলো বা কাহিনী সংক্ষেপগুলোকে সময়-সুযোগমত বড় কোন গল্পে রূপান্তর করব, কিন্তু আমার যা লেখার হাত, বার বার মনোসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই একটা লিখতে গেলে আরেকটা হয়ে যায়। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.