নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় চিকিৎসক, মানসিক ভাবে কবি ও পরিব্রাজক
দ্য আর্ট অফ ওয়ার বা সান্চি বিংফা বা প্রভু সানের রণকৌশলাবলি
এই বইটি প্রাচীন চৈনিক সামরিক আলোচনা গ্রন্থ। এটি সম্ভবত লেখা হয়েছিল খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে। এর রচয়িতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় সান জুকে এবং এতে ১৩টি অধ্যায় রয়েছে।
সাধারণভাবে বইটিকে রণকৌশলের উপর লেখা শ্রেষ্ঠ বই মনে করা হয় এবং এটি চৈনিক ও এশীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। ১৯১০ সালে বইটিকে প্রথম ইংরেজি ভাষায় সম্পূর্ণ অনুবাদ করেন লিওনেল জাইলস।
সানজু ছিলেন চিঈ (Ch’i)রাজ্যের বাসিন্দা। সমর কৌশলের উপর তার লেখালেখির সুবাদে একদিন তিনি অউ (Wu)এর রাজা হো-লু (Ho-lü) র ডাক পেলেন। রাজা হো-লু আগেই সানজুর 'দ্য আর্ট অব ওয়ার' পড়েছিলেন, তাই এইবার সানজুর সৈন্যদল কমান্ডের একটা মহড়া দেখতে চাইলেন। শর্ত হল এই মহড়ায় সৈন্য হিসেবে থাকবে রাজার হেরেমখানার রুপসী নর্তকিরা।
থাসময়ে রাজার হেরেমখানা থেকে একশ’ আশি জন (মতান্তরে তিনশ) রূপবতী নর্তকি হাজির হল আর সানজু ঝটপট তাদের দু’টি দলে ভাগ করে ফেললেন। দুই দলের কমান্ডার হল রাজার প্রিয়তম দুই নর্তকি। এর পর তিনি তাদের তরবারি চালানোর সব কলা কৌশল শেখাতে লাগ্লেন কিন্তু এসব দেখে নর্তকীরা হাসতে হাসতে খুন এর পর সানজু তাদের লড়াই করবার জন্যে আদেশ দিলেন কিন্তু তারা এইবার হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়লো। এইবার তাদের আদেশ না মানার কারনে দুই দলের প্রধানদের শিরচ্ছেদ এর নির্দেশ দিলেন কিন্ত রাজা বললেন যেন সাঞ্জু ক্ষান্ত হয় । সান জু বললেন ‘জাহাপনার নির্দেশেই আমি সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি, আর একজন সেনাপতি তার নিজ সেনাবাহিনী যথাযথভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে জাহাপনার সব অনুরোধ রাখতে বাধ্য নন।’ অতএব ঐ দুই নর্তকির কল্লা গেল এবং তাদের পরবর্তি জৈষ্ঠ দুজন দুইদলের নতুন নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিল।
এর পর সানজু এর আদেশ দিতে দেরি কিন্তু আদেশ পালনে কোন খুঁত পাওয়া গেল না।
এমন একটি বই যা এখনো সকল আর্মিদের পাঠ্য। এমনকি বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতেও এই বই পাঠ করানো হয়।ভিয়েতনাম যুদ্ধ কে এই বইয়ের টেক্সট বুক যুদ্ধ বলা হয় কারণ ভিয়েতনামের সেনা প্রধান এই বইকে সম্পূর্ণ অনুসরণ করেছিলেন।তবে আধুনিককালে এই বই তুমুল জনপ্রিয় হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিপণন বা মার্কেটিংয়ের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করার জন্যে।
২০০৩ সালে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ঘোষণা করে, সান জুর যুদ্ধজয়ের কৌশলের সফল প্রয়োগের মাধ্যমেই এসেছে তাদের এই সাফল্য। ১৯৯৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ী দল ব্রাজিলও তাদের জয়ের রহস্য হিসেবে সান জুকেই কৃতিত্ব দিয়েছে।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০১
রুহুল আমিন খান বলেছেন: কর্নেল ডি এইচ এইটার বাংলা ভাষায় এটার অনুবাদ করেছেন। সামুতে তার কিছু কিছু লেখাও দিয়েছেন
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
গোটা পৃথিবীকেই যুদ্ধক্ষেত্র বানায় দিবে এই বই...