নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনৈক অপ্রকৃতিস্থ

জনৈক অপ্রকৃতিস্থ

আমি অকৃতী অধম...

জনৈক অপ্রকৃতিস্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন টেনে টুনে পাশ করা ভাইয়ের গল্প।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আমাদের পাশের বাসায় এক ভয়ানক সুখি দম্পত্তি থাকে।তাদের ভয়ানক সুখি বলার কারন তাদের প্রেমের বিয়ে।আর তাদের প্রেম কাহীনি ও ভয়ানক ধরনের সুন্দর।

ভাইয়া আর ভাবি একই সাথে পড়তেন।ভাবি ছিলেন ক্লাশের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্রী আর ভাইয়া ছিলেন আমার মত।মানে টাইনা টুইনা পাশ আরকি!

তো প্রেম ভালোবাসা মানেনা কোন বাধা এই কথাটা আবারো প্রমান করে তাদের হূট করে প্রেম হয়ে গেলো।আর নতুন নতুন প্রেম করার কারনে আমার টাইনা টুইনা পাশ করা ভাইয়া এইচ.এস.সি তে হিসাব বিজ্ঞান এ ফেইল করল,আর ভাবি তুখোর মেধার পরিচয় দিয়ে বোর্ড এ স্ট্যান্ড করল।এখানেই তাদের খতমে প্রেম ভালোবাসা হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো,কিন্তু হলনা।

ভাইয়া তার সদ্য হারাবে হারাবে করছে প্রেমের বেদনায় যখন প্রায় দেবদাস, তখন ভাবি ভাইয়াকে পাশ করানোর জন্য চেষ্টা করতে লাগলেন।তাকে নিয়মিত হিসাব বিজ্ঞান পড়াতেন...।তাদের সম্পর্ক তখন এমন যে এইবার না পারলে সব শেষ।তো ভাইয়া এইবার না পারলে সব শেষ হয়ে যাবে এই চিন্তায় পরের বারও পাশ করতে ব্যার্থ হলেন!

এইবার রেগে গিয়ে ভাবি নিজেই তার পাশ করার দায়ীত্ব হাতে নিলেন।তার ছাত্র পরিক্ষায় পাশ করবেনা এটা মেনে নিতে পারলেন না!

যার ফলে প্রেমের উপর ১৪৪ ধারা জারি করে দিলেন!ভাবির ঝারি,মাইর খেয়ে অবশেষে ভাইয়া দুই বছরের চেষ্টার পর এইচ.এস.সি পাশ করে ফেললেন!

ভাইয়া ভাবির ২ বছর পর বিবিএ কম্পলিট করলেন।২ বছর জুনিওর ছেলে কে বিয়ে করার জন্য পরিবারকে রাজি করানোর জন্য ভাইয়ার একটা শক্ত পোক্ত চাকরি দরকার ছিলো।

তখন ভাবি স্কুলের শিক্ষিকা আর ভাইয়া বেকার হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ফাইল নিয়া ঘুরে!


এক বছর পর বিরক্ত হয়ে ভাবি 'তোমাকে দিয়ে কিছু হবেনা,এমন একটা ভাব নিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে ভাইয়াকে বিয়ে করে ফেললেন।...

ভাবির জোরালো চেষ্টায় তাদেরকে পরিবার থেকেই মেনে নেয়া হয়।
বিয়ের পর ভাইয়ার কপাল খুলে গেলো।এখন ভাবি পুরোদস্তর কলেজ শিক্ষিকা আর ভাইয়া চাকরিজীবি।

বিয়ের প্রায় তিন বছর পরও আমার মনে হয় তাদের মানসিকতা এখনও সেই স্কুল কলেজের প্রেমের মধ্যে আটকে আছে।

এটা বলার কারন ভাবি এখনও ভাইয়াকে একা বাসার ছাদে উঠতে দেন না :ভ

ভাবি মাঝে মাঝে আক্ষেপ করে বলে আমার স্টুডেন্ট না পড়িয়ে তোমাকে পড়ানো উচিত!

আমার খাম খেয়ালি টাইনা টুইনা পাশ করা ভাই শুনে হো হো করে হেসে বলে তাহলে তো ভালই হয়!!

ভাবি আবার ঘর্মাক্ত কপাল মুছে ভাইয়ার হালকা নিল রং এর শার্ট টা খোজা শুরু করে।অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে যে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.