| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(মায়ের কাছে খোলা চিঠি)
প্রতিদিন ভোরে সর্বাগ্রে তুমিই তো ঘুম থেকে ওঠো। আমাদের নাস্তা তৈরি করে দাও। দুপুরের খাবার তৈরি করে সাথে দিয়ে দাও। তুমি অসুস্থ বলে এ কাজগুলো বেশ কিছুদিন ধরে বাবা করছেন। ইদানিং খাওয়া শেষ করে নিজের বাসনটা নিজেই ধুই। ঘুম থেকে জেগে নিজের বিছানা নিজেই গোছাই। নিজের কাপড় নিজেই ধৌত করি।
মাগো তোমার ছায়ায় কতটা বিলাসী জীবন যাপনই না করি। তোমার ভরসায় বাসন ধুতাম না, বিছানা গোছাতাম না, কাপড়ও ধুতাম না। তুমি কতটাই না কষ্ট কর আমাদের জন্য, এ সংসারের জন্য, এ পরিবারের জন্য। কতটা প্রানবন্ত রেখে আগলে রেখেছ আমাদের।
আমরা কতটাই না স্বার্থপর, কৃত্রিম। এতটাই ব্যস্ত যে, তোমার কষ্ট বোঝার সময় আমাদের হয় না। আসলেই যখন কারও মা অসুস্থ হয় অথবা কোথাও যায় অথবা মাকে হারায় তখন সে বোঝে মা কতটা অমুল্য সম্পদ। তুমি পরিবারে কেন্দ্র কেন্দ্রিক বৃত্তের ন্যায়।
পৃথিবীর শোভা বর্ধনকারী হল এতে বসবাসকারী দেশ বা রাষ্ট্রগুলো। দেশ বা রাষ্ট্রগুলোর শোভা বর্ধনকারী হল ছোট ছোট সমাজ ব্যবস্থা। সমাজের শোভা বর্ধনকারী হল পরিবারগুলো। আর একটি পরিবারের কেন্দ্রিয় শোভা বর্ধনকারী হলে তুমি ‘মা’।
তুমিই তো আমায় সবচেয়ে ভালো বোঝ মা। কোন সুখ বা আনন্দের বিষয় তোমার সাথে ভাগাভাগি করেই তো সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি অনুভব করি। দুঃখ বা কষ্টের বিষয় তোমার সাথে ভাগাভাগি করলেই নিজেকে সবচেয়ে বেশি হালকা মনে হয়। তুমিই তো সুদৃঢ় সাহস যোগাও।
মাগো তোমার তুলনা শুধুই তুমি আমার ‘মা’। পৃথিবীতে যত রকম ভালবাস হতে পারে তাতে কিঞ্চিৎ স্বার্থ বা খাঁত থাকলেও তোমার ভালোবাসা সুউচ্চ যা নিস্বার্থ ও নিখাঁত। পৃথিবীর অন্য যাত ভালবাসা সব একদিকে আর শুধু তোমার ভালবাসা অন্যদিকে। কেবলমাত্র তোমার ভালবাসাই আমায় দিতে পারে ইহকালীন এবং পরকালীন আত্মিক তৃপ্তি।
যে মা’কে হারিয়েছে কেবল সেই জানে মা’কে হারানোর কতটা ব্যাথা, কতটা বেদনা। অন্য হারানো আর এ হারানোর পার্থক্য আকাশ-পাতাল। মাগো তোমায় কখনই হারাতে চাই না। চাই না তোমাকে হারানোর বেদনা আমায় স্পর্শ করুক। অনন্তকাল তুমি থাকো আমার পাশে ছায়া হয়ে, আধার রাতের আলো হয়ে, নিসঙ্গে সঙ্গী হয়ে। তুমি থাকো আমার চিত্ত, চৈতন্য আর অস্তিত্ত্বের পুরোটা জুড়ে।
মা তোমায় নিয়ে লেখার, আলোচনা বা বিশ্লেষণ করার সাধ্য আমার নেই। যা করতে যাওয়ার সুঃসাহস দেখানো পৃথিবীতে যত রকম অনধিকারচর্চা আছে তার অন্যতম।
মা তোমায় ভালবাসতে চাই। তোমার দুঃখ সুখের ভাগীদার হতে চাই। তোমার অসুস্থতায় শুশ্রুষাকারী হতে চাই। শুধু তোমার চরণতলে একটুখানি ঠাঁই দিও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
মরণের আগে বলেছেন: ভাল লাগলো ,
মা কে হাজার সালাম