লালপরী

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

-কি কথা বল

-এত তাড়াহুড়ো কিসের?

-আমার কাজ আছে

-আমার একটা উপকার করবে

-কি?

-আমার কাছে টাকা নেই

-তো

-আমি অসুস্থ

-ডাক্তারের কাছে যাও আমার কাছে কি

-ডাক্তারের কাছে না আমাকে মামার বাসায়

যেতে হবে

-তো আমি কি করব

-আমাকে একটু লিফ্ট দাও

-মানে

-এইতো তুমি যে রিকশায়

যাবে আমাকে পথে নামিয়ে দিবে।

তাছাড়া আমি শুকনো মানুষ সমস্যা হবে না,

তোমার গায়ে গা ও লাগবে না

-এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না, এইসবের মানে কি

-মানে কিছুই না একজন অসুস্থ অসহায় কে সাহায্য

করবে এই আরকি

-এটা কিন্তু ইনজাস্টিস

-আসলেই একজন অসুস্থ

মানুষকে ফেলে চলে যাওয়া ইনজাস্টিস

-ফাজলামো রাখ আমি চললাম

লালপরী রিকশা ঠিক করে। আর ক্রষ্ঞ বামন

দাড়িয়ে দেখে, আর ভাবে হুমায়ূন স্যার

তো বলেছিলেন "সুন্দরী মেয়েরা সব কিছু

পারে কিন্তু রিকশা ঠিক

করতে পারে না "কথাটা ঠিক না। লালপরী কত

সাবলীলভাবে রিকশা দরদাম করে ঠিক তিন নম্বর

রিকশায় চড়ে বসে। ক্রষ্ঞ বামন অপলক

তাকিয়ে থাকে লালপরীর দিকে যতক্ষণ

না সে চোখের আড়াল হয়।লালপরীদের রাগলে ও

ভাল লাগে। ক্রষ্ঞ বামন আকাশের দিকে তাকায়,

আকাশে মেঘ করেছে, ঘন্টা খানেক পরেই আকাশ

ফুটো করে ব্রিষ্টি নামবে। ক্রষ্ঞ বামনদের

অধিকার নেই লালপরীদের সাথে এক রিকশায়

ঘুরার। তারা শুধু ব্রিষ্টির জন্য

অপেক্ষা করতে পারে। আপাতত

এখানে অপেক্ষা করে লাভ নেই নদীর

পাড়ে যাওয়া দরকার। ঢাকার

নদী মানে বুড়িগঙ্গা আর

বুড়িগঙ্গা মানে আবর্জনা দুর্গন্ধ।তবুও বামন

অপেক্ষা করবে ব্রিষ্টিতে সব

আবর্জনা ধুয়ে যাবে।তখন হয়তো বামন

লালপরীকে নিয়ে নৌকা ভ্রমণ করবে ........

০ টি +০/-০