![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত্রির নির্জনতায় নিঃসঙ্গ কেঁদে কেঁদে, একদিন হয়তো তুই অজান্তেই মরে যাবি, তবুও তুই জানবি না পাষাণ এ বুকে কতটুকু ভালবাসা তোর জন্যে জমা রাখি।
জাহাজ মাত্র এসে লেগেছে ঘাটে। মোটা মোটা রশি ফেলা হচ্ছে জাহাজ থেকে যেন ঘাটে থাকা লোকগুলো তা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখতে পারে জাহাজটাকে ঘাটে। নোঙ্গর ফেলার ব্যবস্থাটা হয়তো এটাই। একদল মানুষ নিজের প্রচন্ড শক্তি দিয়ে টানছে রশি এবং বড় বড় পিলারের সাথে রশিগুলো বাঁধার চেষ্টা করছে। এখন ঘাটে অনেক কোলাহল, জনারণ্য। এর আগে একটা জাহাজ এসে থেমেছে, কেয়ারী সিন্দাবাদ। ঐ জাহাজের নোঙ্গর করা শেষ। লোকজন প্রায় নেমে গেছে। কুতুবদিয়ার নোঙ্গরের কাজও প্রায় শেষ। এর যাত্রীরা নিচতলায় এসে জড়ো হয়ে আছে। তাদের আর ত্বর সইছে না যেন জলদি জলদি নামতে চাইছে স্বপ্নদ্বীপ সেন্টমার্টিনে।
ঘাটে এত লোকের ভীড়ে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিয়া। তার পাশে আরও তিন চারজন আছে। তারা সবাই বাংলা ট্যুর এর সোহেল ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। সোহেল ভাইয়ের দায়িত্বে যারা কক্সবাজার থেকে এসেছে তাদের জন্য নিযুক্ত গাইডদের মধ্যে একজন শহীদ মিয়া। বয়স ১৩/১৪ হবে। রোদে পোড়ে তামাটে চেহারা। বয়সের তুলনায় উচ্চতাটা একটু বেশী। জাহাজ থেকে নেমে আসা পাঁচজনের একটা দলের সাথে শহীদ মিয়াকে গাইড হিসেবে দিয়ে দেয় সোহেল ভাই।
জাহাজটা যত কাছে আসছিল দ্বীপের ততই ভালো লাগছিল রাখীর। অনেকদিনের ইচ্ছে দারুচিনি দ্বীপ দেখার আজ তা সত্যি হল। জাহাজ যখন ঘাটে এসে ভিড়ল তখন মানুষের ব্যস্ততা দেখে অবাক হল। নিচের মানুষগুলো কেমন উত্সুক হয়ে আছে অতিথিদের বরণ করে নিতে। জাহাজ থেকে নামার সময় বড় ভাই রাফির হাত ধরে নামতে হয়েছে তার, একটু একটু ভয় করছিল। সিঁড়ির মতো যা ছিল তা কাঁপছিল। ঘাটে নেমে আসলে পর একটা ছেলেকে তাদের সাথে দেওয়া হল গাইড হিসেবে। ভাবীর সাথে দাঁড়িয়ে কয়েকটা ছবি তুলল জাহাজকে পিছনে রেখে। লম্বা ব্রীজের উপর বসে শাফি আর রাফির শালা আরিফ ছবি তুলছে। রাফি আর তার স্ত্রী লোনা মিলেও ছবি তুলল কয়েকটা। আরিফ ঐ গাইড ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলঃ কি নাম রে তর? ছেলেটা জবাব দিলঃ জী, শহীদ মিয়া, শহীদ বলে ডাকেন। রাখী তখন তাকাল শহীদের দিকে। কেমন একটা মায়া মায়া চেহারা কিন্তু স্বাস্থ্যে দারিদ্রতার ছায়া। চোখটা কেমন যেন একটু বেশি রহস্যময়। চোখের ভাষা সহজে ধরতে পারা যায় না। রাখী ও তাদের সবাইকে নিয়ে শহীদ রওনা হল হোটেল দিকে। ওদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা ঐখানেই করা আছে।
সারি সারি নারিকেল গাছের বাগান পেরিয়ে সবাই সৈকতে এসেছে। এখানে অনেকেই গোসল করতে নামছে আর কেউ কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাখী এসে দাঁড়াল একেবারে সমুদ্র ঘেঁষে, তার পা এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে ঢেউয়ের তোড়ে আসা পানি। সামনে নীল জলের বিরাট এক আধার। চারদিকে যেন নীল আর নীল। কক্সবাজার থেকে এখানকার পানির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। অনেক স্বচ্ছ আর ঘন নীল রঙের পানি। রাফি আর তার স্ত্রী লোনা হেঁটে বেড়াচ্ছে, শাফি আর আরিফ ছবি তুলছে। রাখী ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে লাগল তাদের। গাইড ছেলেটা একটু পর পর ঘুরে তার দিকে তাকাচ্ছে, যখনই চোখে চোখ পড়ছে নামিয়ে নিচ্ছে লজ্জায়। রাফির ডাকে আর সমুদ্রের কোল ঘেঁষে দাঁড়ানো হল না রাখীর।
মেয়েটা কেমন জানি একটু আনমনে আর পাগলাটে। শহীদ অনেকক্ষণ ধরে মেয়েটাকে চোখে চোখে রাখছে। সমুদ্রের কাছাকাছি গিয়ে দু হাত বাড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে কি যেন বিড়বিড় করল, বুঝতে পারল না শহীদ। তার মনে হল, সাগরের কাছে আসলে সবাই সাগরকে বুকে টেনে নিতে চায়। মেয়েটা অনেক সুন্দরী, এরকম সুন্দরী মেয়ে খুব কমই আসে এখানে। বয়স কত হবে প্রায় সমবয়সীই হবে। এসব ভেবে ভেবে তাকায় সামনে। ওরা জামাই বউ কেমন একজন আরেকজনকে ধরে ছবি তুলছে। শহীদের যদি এমন কেউ থাকত তবে সে ঠিক একইভাবে ছবি তুলত। কল্পনায় হঠাত্ করে রাখী দেখতে পায়। রাখীকে এক হাতে জড়িয়ে ছবি তুলছে সে। কল্পনা দেখে সে হাসল মৃদু। চোখ তুলে তাকাতেই সে দেখতে পেল মেয়েটা তার দিকে তাকিয়ে আছে। ধরা পড়ে গেছে এমন একটা ভাব নিয়ে চোখ সরিয়ে নিল দ্রুত। শহীদ ভয় পেল মেয়েটা হয়ত বুঝে ফেলেছে তার মনের কথাটা। সে লজ্জা ও ভয় দুটোই পেল।
রাখী তীরে ফেলে রাখা বিশাল একটা পানসীতে উঠার চেষ্টা করছে। ছবি তুলবে এর কিনারায় দাঁড়িয়ে। লোনা অনেকবার না করল পড়ে যাবে বলে তবুও রাখী উঠতে গেল। পানসীটি হয়তো সারানোর জন্য তীরে ভিড়িয়ে রাখা। ছবি তোলা শেষে নামতে গিয়েই বিপত্তি ঘটল। রাখী পড়ে যেতে লাগল কিন্তু শহীদ আর আরিফ মিলে তাকে আটকানোর বৃথা চেষ্টা করল। রাখী কাত হয়ে গিয়ে পড়ল শহীদের বাম হাতে। উফ্ফ করে উঠল শহীদ, ব্যাথা পেয়েছে ভীষণ। হাতটা মুচড়ে গেল খানিকটা। রাফির শাসানিতে ভীত থাকলেও তার অপরাধ বোধ কাজ করছে, শুধু শুধু ছেলেটা ব্যাথা পেল বলে।
হাতটা ধরে মালিশের চেষ্টা করছে শহীদ। ব্যাথাটা মনে হয় একটু বেশিই পেয়েছে। তবুও তার মনে তৃপ্তির ছোঁয়া, যাক অন্তত মেয়েটা ব্যাথা পায়নি। আর মনটা যেন একটু খুশি খুশিই লাগছে, মেয়েটার ছোঁয়া পাওয়া গেছে। কি একটা অদ্ভূত মিষ্টি গন্ধ তার শরীর জুড়ে। নাকে এখনো লেগে আছে তার। সবাইকে নিয়ে আবার সৈকতের দিকে ফিরে এসেছে একটু আগে। এখন তারা সবাই মিলে পানিতে ধাপাধাপি করছে আর দূর থেকে বসে দেখছে শহীদ। মেয়েটা হাঁটুপানিতে গিয়ে বাকী সবার ছবি তুলছে। মাঝেমধ্যে পানি নিয়ে ছিটাছিটি করছে অন্যদের সাথে। তারও খুব ইচ্ছে করছে ওদের সাথে গিয়ে ভিজতে, বিশেষ করে ঐ মেয়েটার সাথে। পরক্ষণে ভাবতে লাগল, বড়লোকের মেয়ে এদের দিকে হাত বাড়ানো উচিত না। শুধু দূর থেকে দেখার জন্যই জন্ম হয়েছে। শহীদদের মতো ছেলেদের জন্য বড়লোকের মেয়েরা বড় বড় দোকানে কাঁচের ভিতর সাজিয়ে রাখা শোপিসের মতো। দেখা যাবে কিন্তু ধরা ছোঁয়া যাবে না। সামর্থ্য থাকলে কিনে নাও নাহলে হা করে দেখো কিন্তু ঐ সামর্থ্যটা শহীদদের কখনো হয়ে ওঠে না। শহীদ মাথা থেকে মেয়েটার ব্যাপার ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করছে। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়, গরীব হয়ে জন্মানোটা হয়তো পাপ কিংবা এই দ্বীপে জন্মানো। সবকিছু চাইলেই পাওয়া যায় না।
সমুদ্রের পানিতে নেমে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল রাখীর। হাত বাড়ালেই অনেক স্বপ্ন ছোঁয়া যায় না কিন্তু সমুদ্রের বিশালতা স্পর্শ করা যায়। শহীদের দিকে আবার চোখ গেল। ছেলেটা হাতটা মালিশ করছে। নিশ্চয়ই বেশী ব্যাথা পেয়েছে। আহারে বেচারা। দোষটা আমারই, কেন যে পাগলামী করতে গেলাম। শহীদ চোখটা নামিয়ে নিল। রাখীর হালকা সহানুভূতি জন্মালো তার প্রতি। ফিরে আসতে লাগল তারা সবাই পানিতে ধাপাধাপি শেষে। সৈকতে রাখা দুইটা চেয়ার তারা আগেই ভাড়া করে রেখেছিল। চেয়ারে বসামাত্রই রাখী শুনতে পেল শহীদ রাফিকে বলছে, 'ভাইজান ডাবের পানি খাবেন? মুখের নোনতা ভাবটা চলে যাইব।' রাফি পাঁচজনের জন্য ডাব নিল, আরেকটা ছেলেটা ডাবগুলো কেটে দিল। ডাবে চুমুক দিয়ে রাখীর মনে হল শহীদকেও একটা ডাব কিনে দেওয়া উচিত। সে রাফিকে বলল, 'ভাইয়া ওকেও একটা ডাব কিনে দেও।' খাবে না বলে না করল শহীদ, হালকা জোর করার পর একটা ডাব নিয়ে চুমুক দিল। রাখী তার চোখে একটা আনন্দের ছায়া দেখতে পেল। ছেলেটা তাকে বারবার দেখছে লুকিয়ে লুকিয়ে সে বুঝতে পারল। সুন্দরী মেয়ে বলে অনেকেই তার দিকে তাকায়, শহীদ তাকালেই বা অসুবিধা কোথায়। সমুদ্রের দিকে উদাস নয়নে তাকিয়ে রইল রাখী।
মনটা কেমন জানি করছ শহীদের। আজ অনেক দিন পর নিজের মনটা ফুরফুরে লাগছে। মেয়েটাকে যত দেখছে, যত ভাবছে মনটা তত ভালো লাগছে। ডাব কিনে দেওয়ার সময় মেয়েটা কি জোরাজুরিই না করল তার সাথে। শেষে মেয়েটার মন রক্ষা করতে গিয়ে ডাব খাওয়া। তাকিয়ে অনেকক্ষণ তার খাওয়া দেখছিল। শহীদের মনটা আরও ভাল লাগছে কারণ একটু আগে মেয়েটার নাম জানতে পেরেছে। এতক্ষণ খুতখুত করছিল ব্যাপারটা মনের ভিতর। একটু আগে লোনা যখন রাখীকে ডাক দেয় তখন নামটা শুনতে পায় সে। তিনটা প্রায় বেজে যাচ্ছে। রাখীদের জাহাজে করে কক্সবাজার ফিরে যাওয়ার সময় এসে গেছে। রাফিকে আবার সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয় শহীদ।
আনমনে বালুর উপর দিয়ে হাঁটছে রাখী। প্রচন্ড গরম বালু পায়ে যেন ফোস্কা পড়ে যাবে। মনটা কেমন জানি পিছু ফিরে টানছে। মনে একটা চাপা উত্তেজনা ও সংশয় অনুভব করছে। বাকীরা হাঁটতে হাঁটতে বহুদূর চলে গেছে। শহীদকে দেখল ফিরে আসতে তার দিকে। শহীদ এসে বলল, 'আপনারে ডাকে। তাড়াতাড়ি যাইতে হবে। জাহাজ ছাইড়া দিবে।' রাখী তাকাল ভাল করে তার দিকে। মাথা নেড়ে বলল, 'চলো, একসাথে হেঁটে যাই।' দুজন পাশাপাশি হাঁটছে, শহীদ মিয়া যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। রাখী জিজ্ঞেস করল, 'ব্যাথা কি বেশী পাইছো আগে?' শহীদ চমকে উঠে বলে, 'না, ব্যাথা লাগে নাই।'
- মিথ্যা কথা বলবা না। আমি দেখছি তোমাকে হাত মালিশ করতে। শহীদ মৃদু হেসে মাথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিল।
- আচ্ছা, তুমি কি পড়াশুনা করো? শহীদ না বোধক মাথা নাড়ল।
- একটু দাঁড়াও। বলে রাখী তার হাত থেকে ঘড়িটি খুলল। ছোট্ট ডায়াল, সিলভার কালার, আর স্টেইনলেস স্টীলের বেল্ট। কড়া রোদের মধ্যে ঝিকমিক করছে। রাখী শহীদের বাম হাতটা টেনে কাছে আনল। শহীদ লজ্জায় কুঁকড়ে গেল। একটা ঠান্ডা স্রোত যেন শিরশির করে তার মেরুদন্ড দিয়ে বয়ে গেল। রাখী ঘড়ি পরিয়ে দিয়ে তাকাল শহীদের দিকে। তার চোখটা টলটল করছ যেন এখনি বৃষ্টি পড়বে। অদ্ভূত সুন্দর লাগছে ছেলেটাকে। এখনি কেঁদে দিবে এমন একটা ভাব আর লজ্জায় কালচে লাল হওয়া গাল।
লোনা ডাকছে রাখী দ্রুতপায়ে ফিরতে লাগল। শহীদ জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকল। শহীদের বুকে এক ধরনের হাহাকার সৃষ্টি হচ্ছে। খুব দামি জিনিস পেয়েছে সে আজকে। একদিনের টিপস কেন, হাজারো দিনের টিপস দিয়েও এই জিনিস পাওয়া যায় না। খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। মেয়েটা চলে যাচ্ছে আর হয়তো জীবনে আসবে না এখানে। আসলেও মনে থাকবে না আজকের কথা। একসময় হয়তো এমন হবে বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে হানিমুনে এখানে আসবে। হয়তো তখন থাকবে না সে কিংবা থাকলেও চিনতে পারবে না। শহীদ বাম হাতটা মুখের কাছে এনে হাত ঘড়িতে একটা চুমু দিল। রাজকন্যার দেওয়া উপহার হাত ঘড়ি। কখনো সে হারাতে দিবে না। রাজকন্যাই তো বলে গেল, 'তোমার হাতের ব্যাথা কমে গেলে তুমি আমাকে ভুলে যেতে। কিন্তু আমার হাতঘড়িটা আমি তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি যেন তুমি আমার কথা মনে রাখো। যতদিন ঘড়ি থাকবে ততদিন আমার কথা মনে পড়বে।' শহীদ সেখানেই বালুর উপর বসে পড়ল বুক চেপে।
জাহাজটা ছেড়ে দিচ্ছে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। রাখী ডেকের একেবারে কিনারায় এসে ঘাটের লোকজনের মধ্যে একটা মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে। জাহাজে উঠার আগে রাফি শহীদকে খুঁজেছিল টিপস দেওয়ার জন্য কিন্তু পায় নি। আরিফ তখন বলেছিল, 'আরে দুলাভাই বাদ দেন। টাকা ওর দরকার থাকলে নিব।' এতক্ষণে জাহাজ একটু একটু করে চলতে শুরু করেছে। শহীদের হঠাত্ মনে রাখীকে শেষ দেখা দেখে আসি। দৌড় দিয়ে ঘাটে আসল কিন্তু ততক্ষণে জাহাজ অনেক দূরে চলে গেছে। মানুষজনের চেহারা স্পষ্ট করে বুঝা যাচ্ছে না। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরুলো তার বুক থেকে। রাজকন্যার চেহারা তার মন থেকে মুছে যাচ্ছে আবছা হয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও মনে করতে পারছে না। শুধু চোখে ভাসছে দুটি হাত তার হাতে ঘড়ি পরিয়ে দিচ্ছে।
রাখী ডেকের কিনারা থেকে বিষণ্ণ মনে চেয়ারের দিকে হেঁটে গেল। লোনা জিজ্ঞেস করল, 'রাখী তোমার হাতে ঘড়ি কই?'
- ভাবী পানিতে মনে হয় হারিয়ে ফেলেছি।
- ধুর বোকা মেয়ে তাই বলে মুখ কালো করে রাখবে। আরেকটা নতুন ঘড়ি কিনে দেয়া যাবে এর চেয়ে ভালো দেখে।
রাখী মনে মনে বলল, ভাবী সব ঘড়ি একই রকম হয় না। কোনটা হয় খুবই স্পেশাল। যেমন এই ঘড়িটা। আব্বু গিফট করেছিল আমায় জন্মদিনে, তার মৃত্যুর পরও তার স্মৃতি এটাতে মিশে ছিল। আজকে আরেকজনকে দিয়ে এসেছি যে কিনা সারাজীবন এই ঘড়িটি খুব যত্নে বুকে তুলে রাখবে। আব্বু, তোমার দেয়া গিফটটা খুব যত্নেই থাকবে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
আকিব আরিয়ান বলেছেন: ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫ এ ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
কাওছার০ বলেছেন: চমৎকার