![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি আর কমু?
বাংলাদেশ আল্লাহ্র রহমতে ছাওয়া একটা শান্ত-শীতল সবুজ দেশ। ৩৬০ আউলিয়া এবং অসংখ্য অলি-আল্লাহ্র তসবীহ-তাহলীতে এদেশ আল্লাহ্র রহমতের পুণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। চারশ বছর আগেও এদেশের অধিকাংশ মানুষ ছিল হয় হিন্দু, না হয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। যেটাই হোক কেন, ধর্মীয় কুসংস্কারে আগাগোড়া ঢাকা ছিল এদেশের সমাজজীবন। জাত-পাতের ব্যবধান, সতীদাহ ইত্যাদি অবমাননাকর কর্মকাণ্ড মানুষের প্রাত্যহিক জীবনকে একেবারে বিষিয়ে তুলেছিল। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্ত করতেই এদেশে আগমন ঘটে বিখ্যাত সব অলি-আউলিয়া ও পীর মুর্শিদের। তারা অত্যাচারী রাজা-রাজরাদের হাত থেকে অসহায় জনসাধারণকে মুক্ত করে তাদেরকে নিয়ে আসেন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে। সেই থেকে আল্লাহ্র অশেষ রহমতের শামিয়ানার নিচে এদেশের মানুষ সুখে শান্তিতেই বসবাস করে আসছিল। খুব সহসা এদেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করে কেউ পার পায়নি। অত্যাচারী ব্রিটিশ আর অসভ্য পাকিস্তানিদেরকে এদেশের মাটি থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল খুব অপমানজনকভাবেই।
কিন্তু শয়তান মানুষের সুখ সহ্য করতে পারেনা। যে এলাকার মানুষ একটু সুখ-শান্তির দেখা পেয়ে আল্লাহ্র শোকর-গোজারিতে মনোনিবেশ করতে উদ্যত হয়, ওমনি তাঁর ঘাড়ে একটা অশান্তির বোঝা চাপাতে উদ্যত হয়। বাংলাদেশে এই বোঝার নাম আওয়ামী লীগ। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন এবং পরিচালনায় এদের বিন্দুমাত্র কোন ভূমিকা নেই (পড়ুন মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক এ কে খোন্দকারের ভেতরে বাইরে ১৯৭১) কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত চেতনার একক ডীলারশীপ নিয়ে এক অন্যায় ব্যবসা শুরু করে দেয়। এই ব্যবসা করার শুরুতেই তারা প্রতিপক্ষ সমস্ত রাজনৈতিক দলকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ক্রেডিট একা নিজেরা নিয়ে নেয়। সমস্ত মিডিয়া এবং দেশের প্রধান বুদ্ধিজীবীদের হাত করে গোয়েবলসিয় পদ্ধতিতে এই থিওরী প্রচার করতে শুরু করে। এই প্রচার ভঙ্গি এতটাই আক্রমণাত্মক, যে তাদের মতামতের বিরোধিতা করা সহসা কারো পক্ষে সম্ভব হয়না তা যত বড় শক্তিই হোক না কেন!
এই একটিমাত্র শক্তি, যাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলা হয়, তাঁর ঘাড়ে পা দিয়ে এই দলটি এখন রাষ্ট্রক্ষমতায়। আরও পরিষ্কার করে বললে বলা চলে তারা এখন রাষ্ট্রের মালিকানা সত্ত্ব ভোগ করছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে শতভাগ ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক এবং মানবিক অধিকার হরণে। সে বিষয়ে আর বিস্তারিত বললাম না। বিশ্বের সকল রাষ্ট্রসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের এই আচরণের অব্যাহতভাবে নিন্দা জানিয়ে আসছে, কিন্তু সরকার তা কানে তোলার কোনরকম প্রয়োজন অনুভব করছেনা। কেন? কারণ তাঁর পেছনে আছে দৈবশক্তি। কি সেই দৈবশক্তি? এর উত্তর হচ্ছে একটাই - ভারত ও তার সরকার।
বিশ্বে মাত্র দুটি দেশ আছে, যাদের সাথে তাদের কোন প্রতিবেশী দেশের ভালো সম্পর্ক নাই - এদের একটা হল ইসরাইল আর একটা হল ভারত। ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, দিবানিশি তাদের চিন্তা একটাই - কিভাবে প্রতিবেশী দেশের শান্তি নষ্ট করা যায়। এজনে তারা তাদের পছন্দের দল হিসেবে এমন কোন রাজনৈতিক দলকে বেছে নেয়, যারা সেই দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করতে সবচেয়ে দক্ষ। বাংলাদেশে এরকম দল একটাই আছে - আওয়ামী লীগ।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
ডিজ৪০৩ বলেছেন: আর আপনাদের মত লোকদের চরিত্র টা বিশ্বের সব মুসলিম দেশ দেখছে যে কি করছেন মুসলমানদের জন্য ? মুসলিম শান্তির ধর্ম আপনাদের মত মানুষ মারার ধর্ম। এসব ভণ্ডামি ছাড়েন আর মানুষের জন্য ভাল কিছু করে দেখান যে আপনাদের বিশ্বাস করে।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
এসব চলবে না..... বলেছেন: খালি আম্লীগ না, বাম দল, ডান দল, বিএনপি, জামাত, কানা দল, খোড়া দল, ল্যাংড়া দল এরা সবই আহাম্মকের দল। সেই সাথে যারা এদের নিয়ে লাফায় আর স্বপ্ন দেখে সবই আহাম্মক।
ভবিষ্যত পরিনতি সবার এক।
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন এবং পরিচালনায় এদের বিন্দুমাত্র কোন ভূমিকা নেই
শুধুমাত্র এই একটা লাইনই আপনার জ্ঞ্যান গর্ভের পরিধি নির্ধারন করে দিয়েছে।
ভন্ড কোথাকার !!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: তা এই সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কি বলে সে সম্পর্কে আমাদেরকে একটু ধারণা দিন না সাচ্চা চেতনাধারক সাহেব! রেফারেন্স সহকারে দিয়েন। নয়তো আপনি লুজার!
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ওই একটা বইয়ের মাঝে ইতিহাস না খুজে আগে একটু কষ্ট করে খুজে দেখুন অনেক সোর্স আছে, দু একটা দিলাম -
http://www.liberationwarbangladesh.org/p/blog-page_5.html
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের তালিকা
মুক্তিযুদ্ধের সেরা ১০ বই
মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (০১ থেকে ১৫ খন্ড)
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: যে রেফারেন্সগুলো দিয়েছেন, সবগুলো পড়ে শেষ করিনি, করার পর এই কমেন্টা এডিট করতে হতে পারে। তবে যতটুকু পড়েছি, তাতে বলা যায় - এখানে আওয়ামী লীগের যে যে ভূমিকার কথা উল্লেখ আছে, তা যুদ্ধে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত - কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কোন নেতা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে কার্যকর কোন ভূমিকা নেয়নি। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাই মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর আওয়ামী রাজনীতিতে যোগদান করে। কিন্তু ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর পেছনে দাঁড়িয়ে যারা হাততালি দিয়েছে, কিংবা সেসময় যেসব লীগ নেতার নাম শোনা গেছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা স্পষ্ট নয়।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: হু ঠিকই বলেছেন ভাই।
৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
" ৩৬০ আউলিয়া এবং অসংখ্য অলি-আল্লাহ্র তসবীহ-তাহলীতে এদেশ আল্লাহ্র রহমতের পুণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে "
-ভুল ধারণা
৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
" ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, দিবানিশি তাদের চিন্তা একটাই - কিভাবে প্রতিবেশী দেশের শান্তি নষ্ট করা যায়। এজনে তারা তাদের পছন্দের দল হিসেবে এমন কোন রাজনৈতিক দলকে বেছে নেয়, যারা সেই দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করতে সবচেয়ে দক্ষ। বাংলাদেশে এরকম দল একটাই আছে - আওয়ামী লীগ।
-বাংলাদেশ ভারতের ক্ষমতায় নিজেদের দলকে জয়ী করাচ্ছে না কেন?
আপনাদের ভাবনাশক্তি নেই বললেই চলে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ভুল কি বললাম ধরিয়ে দেবেন দয়া করে
৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
চলতি নিয়ম বলেছেন: তুমার মত ছাগলের জাত যতদিন সোনার বাংলায় থাকবে তত দিন শান্তি আসবে না ।
৭১ এর খাওয়া বাশ কি আর এত সহজে ভুলা যায় রে পাগলা ??
ইসরায়েল ইহুদী রাষ্ট্র আর ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও কেন তাদের অবস্থা একই?? উত্তর জানা আছে?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: তুমাদের আব্বাজানদের মত হাম্বার জাত তো দেশে শান্তি দিয়া ডুবাইলাইছে। ৭১ এ কেঊ যদি বাঁশ দিয়া থাকে, তো এদেশের জনগণকে দেওয়া হইছে। একাত্তরের পুরা সুবিধা ভাগাভাগি কইরা নিছে ইন্ডীয়া আর পাকিস্তান। আমাদের ভাগে পড়ছে কতগুলা চোর-বাটপার।
ভারত হিন্দু রাষ্ট্র না - সংবিধান অনুযায়ী বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হচ্ছে নেপাল।
১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২২
এই আমি সেই আমি বলেছেন: ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন এবং পরিচালনায় এদের বিন্দুমাত্র কোন ভূমিকা নাই।
তাহলে মুক্তিযুদ্ব করল টা কে ?
বি এন পি ?
জাতীয় পার্টি ?
জামাত ?
আপনারা খুব কায়দা করে উত্তর দেন , জনগণ ।
৭১ সালে শতকরা ৯৫ জন কোন পার্টি করত ?
পাগলামিও কি ছোঁয়াচে রোগ ?
লন্ডনী পাগলামি ব্লগে আসল কিভাবে ?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: 'সংগঠন' আর 'পরিচালনা' শব্দ দুইটার অর্থ বোঝেন? যদি বুঝে থকেন, তাহলে বুঝানোর কোন অর্থ নেই, আর যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে বলব, মুক্তিযুদ্ধ করেছে ফেরেশতারা। তাই নয় মাসেই দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে।
১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ষ্টুপিড তর্ক বা বিশ্লেষন না করে, আগে সব রেফারেন্স পড়েন, জানেন তারপর তর্কে আসেন। মুক্তিযুদ্ধটা কি একদিনের সংগঠিত ঘটনা নাকি এর প্রিভিয়াস কোন ঘটনা পরম্পরা আছে ??? যদি থাকে কারা করেছেন ?
যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রটা বা পরিচালনা বা এতে অংশ গ্রহন কারা করেছিলেন ??
আচ্ছা আপনারা কোন ধর্ম বিশ্বাস করেন বলেন তো ??? ইসলাম ধর্মে তো সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রন করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। সাধারন মানুষ মারতে নয়।
শেষের লাইন গুলো বললাম মনে শুধু একটু আখিরাতের চিন্তা আনার জন্য।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমার কাছে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধটা একটা চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় যুদ্ধ বলেই মনে হয়। বাঙালি এই যুদ্ধের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলনা। যুদ্ধের প্রথম ৪/৫ মাস বাঙালি একতরফা মার খেয়েই গেছে। প্রতিউত্তর খুব কমই দিতে পেরেছে। তবে এসময় যারা ভারতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল, তারাই পরবর্তীতে জয়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। যুদ্ধের মূল সংগঠন এই সময়েই হয়েছে। আর এর পেছনে ফুল ক্রেডিট গোজ টু দ্যা মিলিটারি পারসোনেল, প্রকৃত বাস্তবতা যারা সঠিক সময়েই অনুধাবন করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা সেই সময় পাকিস্তানের ক্ষমতায় যাবার সুখস্বপ্নে বিভোর থেকে বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলেন।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তর আপনিই দিন দেখি। উত্তরে অবশ্যই কোন আওয়ামী লীগ নেতার নাম চাই।
আমরা সত্য, সুদর, কল্যাণ ও শান্তির ধর্মে বিশ্বাস করি। এই ধর্মে যা যা নিষেধ করা আছে, আমরা তা কঠোরভাবে মেনে চলি। আপনারা যেই ধর্মে বিশ্বাস করেন, সেই ধর্মে কি সাধারণ মানুষকে মারতে নিষেধ করা হয়নি, নাকি আখিরাতের চিন্তা কেবল আমাদের জন্যই?
১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: জ্বী মুক্তিযুদ্ধটা বাঙ্গালীর উপরে চাঁপিয়ে দেয়া হয়েছিলো বটে তবে তা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো হানাদার পাকিস্তানের বৈষম্যমুলক এবং নির্যাতন্মুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমেই। তা আপনার কাছে কি মনে হচ্ছে ?? কে চাপিয়ে দিয়েছিলো ?
আপনি লিখেছেন -
যুদ্ধের মূল সংগঠন এই সময়েই হয়েছে। আর এর পেছনে ফুল ক্রেডিট গোজ টু দ্যা মিলিটারি পারসোনেল, প্রকৃত বাস্তবতা যারা সঠিক সময়েই অনুধাবন করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা সেই সময় পাকিস্তানের ক্ষমতায় যাবার সুখস্বপ্নে বিভোর থেকে বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলেন।
কন্ট্রাডিকটরি !!!! যাদেরকে যুদ্ধের মুল সংগঠনের দাবীদার বলছেন তাদেরকে ক্রেডিট না দিয়ে ফুল ক্রেডিট দিচ্ছেন মিলিটারি পারসোনেলস। তো যে মিলিটারী পারসোনেলস প্রথম থেকেই দেশের ভেতরে যুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন তাদেরকে খুব বেশী একটা কৃতিত্ব দিতে চাচ্ছেন না তাই তো ?? নাকি গুলিয়ে যাচ্ছেন। গনহারে আওয়ামীলিগ নেতাদের নামে ক্ষমতার সুখস্বপ্নের কথা বললেন। একটু দয়া করে তৎকালীন সব আওয়ামিলিগ নেতাদের নাম ও তাদের কার্যক্রম টা একটু বলবেন ??? দেখি আপনার ইতিহাস কি বলে ?
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধটাকে শুধু মাত্র সশস্ত্র লড়াইয়ের দিনগুলোর মধ্যে ব্রাকেট বন্দী করলে এর ইতিহাস, এর পরিসীমা সর্বোপরি এর উদ্দ্যেশ্যটাকেই হারিয়ে ফেলা হবে। তেমনি কাউকে বা কিছু গোষ্টিকে একক ভাবে এর কৃতীত্ত্ব দেয়াটাও একই রকমের ভুল। এই মহান কাজটির ক্ষেত্র রুপায়ন আর বাস্তবায়নের দীর্ঘ ইতিহাস আর এর কারিগরদের সবাইকেই তাদের যোগ্য কৃতীত্ত্ব দিতে হবে।
আর আপ্নারাতো এই ইতিহাসের প্রধান কারীগর বংগবন্ধুকেই মুক্তিযুদ্ধে তার কৃতীত্ত্বকে বিকৃত করে দেখান। আওয়ামীলিগের নেতাদের নিয়ে মনগড়া ইতিহাস প্রচার করেন। তারা কি করেছিলো খোজ নেন পাবেন । আপাতত দু-তিনজনের নাম দিলাম -
আব্দুর রাজ্জাক (মরহুম)
তোফায়েল আহমেদ
মোফাজ্জল হোসেন মায়া
আর বাংলার আপামর জনগন যারা একচ্ছত্র ভাবে আওয়ামীলিগকে এই যুদ্ধের সিদ্ধান্তের পক্ষ্যে সমর্থন দিয়ে গেছেন। তারাও তো মুক্তিযোদ্ধা। নয় কি ?
আপনি বলেছেন -
আমরা সত্য, সুদর, কল্যাণ ও শান্তির ধর্মে বিশ্বাস করি। এই ধর্মে যা যা নিষেধ করা আছে, আমরা তা কঠোরভাবে মেনে চলি। আপনারা যেই ধর্মে বিশ্বাস করেন, সেই ধর্মে কি সাধারণ মানুষকে মারতে নিষেধ করা হয়নি, নাকি আখিরাতের চিন্তা কেবল আমাদের জন্যই?
হা হা হা লেখা আর মানসিকতা এক হইলে বিশ্বাস করতাম। কারন "মুখে মধু অন্তরে বিষ" এই প্রকৃতির মানুষকে বিশ্বাস করা কঠিন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল জানোয়ারের গর্ভজাত জুলফিকার আলী ভুট্টো (আল্লাহ তাকে জাহান্নামের নিকৃষ্টতম স্থানে নিক্ষেপ করুন) এবং তার সহচর ইয়াহিয়া খান। এই মুক্তিযুদ্ধ না হলে ভুট্টোর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন কোনদিনই বাস্তবে রূপ পেতোনা। আলোচনার নামে গড়িমসি করে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলার কৌশল এই জানোয়ারের মাথা থেকেই এসেছে এবং সহজ সরল বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধু এই ফাঁদে খুব সহজেই পা দিয়েছিলেন।
আমি মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট দেবার ক্ষেত্রে নির্ভর করেছি কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসের উপর। সেখানে কোথাও দল বা নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগের কাউকে কোন ক্রেডিট দেওয়া হয়নি। তাই আমি মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ বা এর নেতাদের ১% ক্রেডিটও দিতে রাজী নই।
এই মহান কাজের রূপায়ন ও বাস্তবায়নের ক্রেডিট যদি আমি কোন বাঙালিকে দিতে চাই, তবে তাকে একজন ট্রেইটর হিসেবে ট্রিট করা হবে - যে কিনা শক্তিশালী ইউনাইটেড পাকিস্তানকে ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
লক্ষ্য করুন, ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর পাকিস্তান ভেঙে দুই টুকরো হলে সবচেয়ে বড় ক্ষতির স্বীকার হত আওয়ামী লীগ। কাজেই কোন আওয়ামী লীগ নেতা তখন পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য ফিল্ড তৈরি করার চেষ্টা করা মানে তার দল আওয়ামী লীগ ও দেশ পাকিস্তানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার শামিল।
বঙ্গবন্ধু তার ৭ই মার্চের ভাষণে অথবা তার ৪ বছরের শাসনামলে কখনোই স্বীকার করেননি যে, তিনি পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে একটি নতুন দেশের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সর্বত্রই মানুষের অধিকার অর্জনের ব্যাপারেই বলতে চেয়েছেন।
আপনি যাদের নাম দিলেন - এরা সকলেই তখন ছাত্র ছিলেন। আওয়ামী লীগের কোন নীতি নির্ধারণে এদের কোন ভূমিকা ছিলনা। এরকম লাখ লাখ ছাত্র তখন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের অনেকে এখন জামায়াতের রাজনীতির সাথেও জড়িত। তবে তোফায়েল আহমেদ মুক্তিযুদ্ধে কি ভূমিকা পালন করেছেন -এর কোন ডকুমেন্ট কোথাও পাইনি। তিনি মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন - এইটুকুই কেবল জানা গেছে।
যুদ্ধের সিদ্ধান্ত কে নিল? যুদ্ধ যখন চাপিয়ে দেয়া হয়, তখন তাদে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর উপায় কি থাকে? তবে কেবল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সমর্থন করলেই সে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবে - এটা আমি মানিনা। যারা অস্ত্র হাতে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়েছেন - আমার কাছে তাদের স্থান অন্য উচ্চতায়, যাকে তাকে আমি সেই স্থানে অসাতে পারিনা।
লেখা আর মানসিকতার মধ্যে কি পার্থক্য দেখলেন, স্পষ্ট করে বলুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
নিলু বলেছেন: বার্মা কি আমাদের সপক্ষে ? তবে ভারত , আমরা যাতে ভারতে না প্রবেশ করতে পারি , সেই জন্যই কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে ফেলেছে , তাহলে আমাদের থেকে সুবিধা নিবে কিভাবে বা আমাদের নীল চাষ করাবে কিভাবে , তবে কোন দেশ কখন কি হয় , বলা মুশকিল , পাকিস্তান নিয়ে এখনো অনেকেই বড়াই করে , কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থা কি এবং কেনও ?