নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়াতায়ালা ছাড়া কোনো প্রভু নেই, রসূল(সা:) আল্লাহর প্রেরিত রসূল।

নীলডলার

আমি একজন মুসলিম। এটাই আমার একমাত্র পরিচয়। একা এসেছি, একাই যেতে হবে।

নীলডলার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট ছোট কিছু আমল যা পালটে দিবে আপনার ইহকাল ও পরকালীন জীবন

১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০১

কিয়ামতের দিন ছোট কোনো আমলও অনেক মূল্যবান হয়ে যাবে। তাই ছোট ছোট নেক কাজকে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ ইখলাসের সঙ্গে ছোট ছোট কাজই আমাদের এনে দিতে পারে বড় প্রাপ্তি।

কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। কারণ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হবে। সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে তাও দেখতে পাবে। (সুরা জিলজাল, ৬-৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমার ইমানকে খাঁটি করো, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম : ৭৮৪৪)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ভালো কাজকে কখনোই তুচ্ছজ্ঞান কোরো না। এমনকি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রেও।’ (সহিহ মুসলিম : ১৪৪)

নিম্নে এমন কিছু আমল তুলে ধরা হলো :

হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি : ৬৪০৬)

সদকায়ে জারিয়াহ : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; কিন্তু তিনটি জিনিস বন্ধ হয় না- সদকায়ে জারিয়াহ, ওই ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়; সুসন্তান, যে তার মৃত বাবার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি : ১৩৭৬)

সুরা ইখলাছের ফজিলত : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কি কেউ প্রতি রাতে কোরআন শরিফের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অক্ষম? তাহলে সে প্রতি রাতে সুরা ইখলাছ পড়বে। তাহলে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে।’ (মুসনাদে আহমদ : ২৩৫৫৪)

জুমার নামাজ : হজরত আউস ইবনে আউস আস্সাকাফি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করবে, অতঃপর কোনো রকম যানবাহনে না চড়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যাবে, ইমামের নিকটবর্তী বসবে, চুপ থাকবে এবং অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকবে, তবে তার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রতি কদমে এক বছরের রোজা ও কিয়ামুল লাইলের সওয়াব লেখা হবে। (আবু দাউদ : ৩৪৫)

জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত : হজরত উসমান বিন আফ্ফান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করে, সে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর নামাজ জামাতে আদায় করবে, সে পুরো রাত ইবাদতের সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ : ৫৫৫)

হজরত আবু উমামা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হেঁটে নামাজ পড়তে যাবে, সে হজের সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি নফল নামাজের জন্য হেঁটে যাবে, সে নফল ওমরাহর সওয়াব পাবে।’ (আল মু’জামুল কাবির : ৭৫৭)

এশরাক নামাজের ফজিলত : হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকিরে থাকে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে পরিপূর্ণ একটি হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে। (তিরমিজি : ৫৮৬)

গোপনে নফল পড়ার ফজিলত : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জনসম্মুখের তুলনায় লুকিয়ে নফল নামাজ পড়ার মধ্যে ২৫ গুণ বেশি সওয়াব।

মানুষের উপকার করার ফজিলত : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজনে কিছুক্ষণ সময় দেওয়া আমার কাছে এক মাস মসজিদে ইতেকাফ করার চেয়েও বেশি পছন্দনীয়।’ (আল মু’জামুল কাবির : ১৩৬৪৬)

আমলের নিয়তেও সওয়াব মেলে : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি রাতে শয়নকালে এই নিয়ত করে যে সে রাতে উঠে নামাজ পড়বে; কিন্তু প্রচণ্ড ঘুমের কারণে সকাল হয়ে যায়, তাহলে সে তার নিয়ত অনুযায়ী নামাজের সওয়াব পাবে। আর ঘুমটা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য সদকাস্বরূপ হবে। (নাসায়ি : ১৭৮৭)

রোগী দেখার ফজিলত : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমান ভাইয়ের রোগের খোঁজখবর নেয়, আল্লাহ সত্তর হাজার ফেরেশতাকে তার মাগফিরাতের দোয়ায় নিযুক্ত করে দেন। সে দিনের যে সময়ই তা করবে, ফেরেশতারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে। আর রাতের যে সময়ই করবে, ফেরেশতারা ফজর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে।’(মুসনাদে আহমদ : ৯৫৫)

কৃতজ্ঞতা : mtnews24.com

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ভালো।


তারাবির নামায পড়ার পড় শরীর আর চলে না. .. :(

২| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৭

নজসু বলেছেন:



আস সালামু আলাইকুম।

৩| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

৪| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুবাহা'নাল্লাহি ওয়াবি হা'মদিহি সুবাহা'নাল্লাহীল আযীম।

সত্যিই বলতে কি আপনার লেখাগুলো পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে।লেখা ছোট হলেও এর মহত্ত্ব অনে।এই ধরনের লিখা অবিরত রাখুন।

আল্লাহ্‌ আপনার মঙ্গল করুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.