নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোসাইন জাকির ভাই এখন স্মৃতি

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

হোসাইন জাকির ভাই এখন স্মৃতি। মুখ ভর্তি পান আর চুনটা একটু করে দাঁতের আগায় লাগাতে লাগাতে কোনো মজার গল্প শোনাবেন না তিনি। মানবজমিন থেকে যার সম্বাদিকতা ক্যারিয়ারের উত্থান, সেখান থেকে যুগান্তর হয়ে আলোকিত বাংলাদেশ- সেখান থেকে প্রকাশিতব্য এবকটি কাগজে জয়েনও করেছিলেন।

জাকির ভাই যুগান্তরে কাজ করার সময় বেশ কয়েকবার আলাপ হয়েছিল। বাগের হাটে সিডরের পরের ঘটনা কভার করতে গিয়েছিলেন হোসাইন জাকির ভাই। আমিও একই ঘটনা কভার করতে হিয়েছিলাম; সেখানে। সে সময় তাকে দেখেছিলাম- কাজের প্রতি কতটা নিষ্ঠা ওযত্নবান ছিলেন।

প্রায় সময় গণফোরামের অফিসের সামনে ; নয়া দিগন্তের নিচে মানিকের দোকানে চা- পান খেতে খেতে আড্ডায় মগ্ন হতেন হোসাইন জাকির ভাই। টগবগে হোসাইন জাকির ভাই এখন আর নেই আমাদের মাঝে।

নির্বাচন কমিশন বিটে যারা কাজ করেন; তাদের সৌভাগ্য এ রকম একজন অসাধারণ রিপোর্টারের সাথে তারা কাজ করেছেন।

জাকির ভাই মাস কয়েক ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ভারতের টাটা মেমোরিয়ালেও নেয়া হয়েছিল তাকে; আশা ছিল না ধরে নিয়ে ঢাকার মিরপুরে ডেল্টা হসপিটালে ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেও ছিলেন তিনি। আজ কিছুক্ষন আগে অগ্রজ সম্বাদিক বড় ভাই কাজী হাফিজ জানালেন হোসাইন জাকির শেষ পর্যন্ত আমাদের ছেড়েই গেলেন।

কী নির্মম দু:সহ যন্ত্রণাময় খবর-

আল্লাহ তার নাজাতের ফয়সালা করে দিন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শোক সইবার ক্ষমতা দিন - আমীন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: হোসাইন জাকির ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আমার সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারের শুরুতে। আমি তখন বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় স্পোর্টস বিভাগে ডেস্কে কাজ করি। শুরু হওয়ার অনেক আগেই চলে আসতাম অফিসে। এসে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যেতাম। আগেভাগে এসে দেখতাম একজন উচু লম্বা মানুষ সারাক্ষণ পান চিবোচ্ছেন। হাতে আরেকটা পান। চুন পানের ডাটার ডগায় মাখানো। ঠোটের ওপর চুনের দাগ। একটা পান শেষ হতেই অমনি আরেকটা চিবোতেন। এমন বিচিত্র মানুষের সঙ্গে খুব দ্রুত ভাব হয়ে গেল। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। নিচে এক সঙ্গে চা খেতে যেতাম। উনার একটা রিপোর্ট একবার বিরাট হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। নিউজটার হেডিং ছিল: মরা মুরগি কোথায় যায়?' এই ঢাকা শহরের ফার্মের মরা মুরগিগুলা কিভাবে জ্যন্ত বলে চালিয়ে দিত অসাধু এক শ্রেণীর লোক। সেই মুরগি কোন মেসে, কোন হাসপাতালে আর কোন ব্যাচেলর ফ্লাটে খাবার হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হতো সেটার একটা ফাটাফাটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছিলেন। ওই দিন শহরের টক অব দ্য রিপোর্ট ছিল ওটা। এরপর জাকির ভাই চলে গেলেন যুগান্তরে। আমি চলে এলাম প্রথম আলোতে। অনেক দিন দেখা হয়নি। তবে উনি যখন অসুস্থ হয়েছিলেন তখনই খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আজ উনার মৃত্যুর খবর আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আল্লাহ উনার আত্মাকে বেহেশত নসীব করুন। আমিন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

মোরতাজা বলেছেন: আল্লাহ উনার আত্মাকে বেহেশত নসীব করুন। আমিন।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৬

সিরাজুস সালেকিন বলেছেন: খুব খারাপ লাগল খবরটা শুনে। অনেক চেষ্টা করেও জাকির ভাইকে ফেরানো গেল না।
:( :( :( :(

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.