নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

নীল মনি

শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।

নীল মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবনার ঘড়ি

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

নগরীর দরজার পর দরজা ভেদ করে হেঁটেছি পথ ধরে,একই রাস্তায় একি তোরণ সে যে!
হেঁটে হেঁটে একই ছবি আসছে বারে বারে।প্রতিটি তোরণের মাথার উপর তাকিয়ে আছে মস্ত বড় ঘড়ি।প্রতিটি ঘড়ির রঙ নীল।ঘড়ির কাঁটাগুলো কালো।

নগরীর কোন কোলাহল নেই এখানে।এখানে কোন গাড়ি ছুটে চলে না কিংবা ছুটে গেলেও শুনতে পাই না।এখানে হয়ত সব থেমে আছে শুধু চলমান দুটো গতি হেটেঁ চলার সাথে সাথে সময়ের গতি।

ঘড়িগুলো চলছে বিকট শব্দ নিয়ে।এক একটা কাঁটা যেন নৃত্যের তাল নিয়ে নেচে চলেছে।একটা করে গেট পার হচ্ছি আর সামনের ঘড়িতে দেখেছি কত সময় ধরে এখানে আছি আমি!

সময়গুলো খরচ হয়ে যাচ্ছে,হেঁটে যাচ্ছি পথ ধরে।সময় বেঁধে নিয়ে যারা এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ হতে -ফিরে ফিরে তারা হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের কাছে।

পথিক আমি,এত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি অথচ নিজের জন্য কোন সময় নেই।সময়গুলো খরচ হয়েছে মানুষ হতে গিয়ে,অথচ মানুষ হতে পারিনি।

মানুষ হতে পারা সে তো অনেক কঠিন, পাগলও হতে পারিনি তবুও কখনও পাগলের মত প্রলাপ করি,সেও কম কিসের!পাগলরা হয়ত ভাবে আমরা তো পাগল সেজে থাকি,তা না হলে কেমন করে সহ্য করব তোমাদের মানুষ থেকে অমানুষ হয়ে উঠার গল্প।অমানুষেরা তো দেখতে মানুষের মত।

সময়ের দাবীতে জীবন বদলে দিচ্ছে জীবনের গল্প।
আমি হেঁটে চলি শুধু, ঝকঝকে দৃষ্টি নিয়ে আমার আর দেখা হয়ে উঠে না ফসলের মাঠে শুয়ে নরোম রোদের এক টুকরো আকাশ ,ফসলের মিষ্টি সুগন্ধি বাতাস লাগে না হৃদয়ে ,শুয়ে শুয়ে দেখতে পাখির ডানা ঝাপটানো।

বহুদিনের পরমায়ু নিয়ে আমি হেঁটে চলেছি,অবশেষে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেছি গন্তব্যে,পেছন ফিরে দেখেছি শুধু কতগুলো তোরণ পার করে এসেছি।

ঘড়িতে বারটা বেজে দশ।ভালো করে তাকালাম।
এই ঘড়িতে কোন সেকেন্ডের কাঁটা নেই।ঘড়িটা থেমে গেছে।সময়ের খরচে সময় ফুরিয়ে গেছে সব।এখানের আকাশ সম্পূর্ণ কালো, জানা হয়নি রাতের আঁধারে ঢেকেছে আকাশ নাকি একি কোন বিচ্ছিন্ন কোন প্রাণের ব্যথার দীর্ঘশ্বাস!

থেমে গেছে সময় কিংবা জীবনের সুদীর্ঘ ইতিহাস!

( এইভাবে মানুষ তোরণের পর তোরণ পার করে জীবন সায়াহ্নে পেছন ফিরে তাকায়

১ জুন, ২০১৭


ছবি ইন্টারনেট

©রুবাইদা গুলশান

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
এটা কবিদা(কবিতা)? না গপ্পো??

ছবিটা প্রথমে দেবেন।
নীল রং কি লেখকের পছন্দ??

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৩

নীল মনি বলেছেন: এটা যে কি আমি জানি না। লিখেছিলাম আর কি।
ছবি প্রথমে দিতে চাই কিন্তু ভেজাল হয়।
নাহ নীল রঙ পছন্দ নয়;অন্য রঙ পছন্দ

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। খুব মন দিয়ে পড়লাম।
কিন্তু কিছু বুঝলাম না।

মূল্য সারমর্ম টা একটু বুঝিয়ে দিবেন প্লীজ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৮

নীল মনি বলেছেন: প্রতিটি তোরণ জীবনের বছর।বছর গুলো চলে যায়।পেছন ফিরে তাকাই।এভাবেই ঠিক জীবন যখন শেষ হয়ে আসে, মানুষ তখন নিজের জীবনের দিকে তাকায়।
জীবনের সময় থেমে যায় কিংবা অতীতের ইতিহাস।এটাই থিম

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ঘড়ি তিনটে কেন? একটা ঘড়ি থাকলেই তো হতো। আপনার ভাবনাগুলো সবসময় মাথায় ধরে না। আরও পরিপক্ক হতে হবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

নীল মনি বলেছেন: ভালো ছবি পাচ্ছিলাম না।ভাবনার ব্যাখা দিয়েছি দেখেন।কিভাবে পরিপক্কতা লাভ করতে পারি বলুন তো

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পরিপক্কের কথাটা আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি, ওটা আমার জন্য ছিল। :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

নীল মনি বলেছেন: লেখাটা ভালো হয়নি কিন্তু উপলব্ধি টা জীবনের।চলে যাচ্ছে সময় চলে যাচ্ছে।ওহ তাই।যার জন্যই বলা হোক কী কী বৈশিষ্ট্য হলে পরিপক্কতা লাভ করা যায়!

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বলছিলাম যে, মাথায় ধরে না। মানে আমার মাথায় ধরে না আরকি। আর মাথায় ধরাতে হলে আমাকে আরো পরিপক্ক হতে হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

নীল মনি বলেছেন: যথেষ্ট পরিপক্ক মাথা।বরং আমার লেখার ধরণ বদলানো উচিত।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৪

নীল মনি বলেছেন: আর পরিপক্ক হয়ে কাজ নেই। বেশি পরিপক্ক হতে গেলে মাথার বাকি চুল্গুলো সব ঝঅরে যাবে।ঘুম আসছে মনে হচ্ছে

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: বেশ লিখেছেন।

সময় সাথে তাই সাধনটাকে জাগ্রত রাখতে হয় মানুষ হওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা পারি কই।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

নীল মনি বলেছেন: শুকরিয়া এখানে আসার জন্য।

কৃতজ্ঞতা পোস্টটি ভালো লাগার জন্য।সুন্দর থাকুন।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: খারাপ না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

নীল মনি বলেছেন: শুকরিয়া।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

শাবা বলেছেন: লেখাটা সুন্দর হয়েছে, অনেকটা কাব্যিক ঢংয়ে।
একটু ভুল আছে হয়তো। নিচের লাইনটি লক্ষ্য করুন:
নগরীর দরজার পর দরজা ভেদ করে হেঁটেছি পথ ধরে,একই রাস্তায় একি তোরণ সে যে।হেঁটে হেঁটে একই ছবি বারে বারে।
একই রাস্তায় একি তোরণ সে যে। এটা কি অবাক হয়ে বলছেন? তাহলে ‘!’ -এ চিহ্নটি ব্যবহার করুন।
হেঁটে হেঁটে একই ছবি বারে বারে। বারে বারে কি? বাক্যটা পরিপূর্ণ হয়নি। বারে বারে দেখি নাকি বারে বারে আসছে, এমন কিছু একটা হবে।
ধন্যবাদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

নীল মনি বলেছেন: শুকরিয়া এখানে বেড়াতে এসেছেন।ভীষণ ভালো লাগল আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।আমি তো খেয়ালই করিনি। আমি এডিট করে দিচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাই :)

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২২

শাবা বলেছেন: । , ! - ইত্যাদি যতি চিহ্নের পর স্পেস দিতে হয়। লেখায় দেখছি, কোথাও তা নেই। ধন্যবাদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

নীল মনি বলেছেন: দেবে কী করে ! দিতে যে হয় সেটা তো জানতে হয়। আজকে শিখলাম।
শুকরিয়া

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভালো হয়েছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

নীল মনি বলেছেন: শুকরিয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.