নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।
অনেকে শখ করে স্বামীকে ভাই,বাবা ডাকেন।( আরে বাবা! কখন থেকে ডাকছি_ এই রকম# দুষ্টামি করে বলা এই কথা গুলো কিন্তু মিথ্যা)স্ত্রীকে মা, বোন ডাকেন।
এটা অনেক বড় গোনাহের কাজ সেটা কি জানেন?
ইসলামের পরিভাষায় এটাকে "যিহার" বলে।আল্লাহ্ আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভুল গুলো ক্ষমা করুন।(আমি ভুল বললে ধরিয়ে দেবেন প্লিজ,কৃতজ্ঞ থাকব।অন্যের ভুল ভাঙাতে গিয়ে নিজের ভুল থেকে বাঁচতে চাই।)এই ব্যাপারে পবিত্র কোরআনুল কারীমে এসেছে।আমি পড়েছিলাম।
"তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। তাদের মাতা কেবল তারাই, যারা তাদেরকে জন্মদান করেছে। তারা তো অসমীচীন ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী,ক্ষমাশীল৩যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর । " (সূরা মুজাদালাহ, ২_৩)
এখন প্রশ্ন হল কেউ যদি এমনটি করে ফেলে স্ত্রীকে মা, স্বামীকে বাবা,ভাই ইত্যাদি ডেকে ফেলেছেন তাদের জন্য করণীয় কী?
"যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তাদের উক্তি প্রত্যাহার করে নেয়, তাদের জন্য পারস্পরিক স্পর্শের পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেওয়া হল। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছু কর তৎসম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। অতঃপর যে সেটার সামর্থ্য রাখে না তাকে পারস্পরিক স্পর্শের পূর্বে একটানা দু’মাস ছিয়াম রাখতে হবে। যে তারও সামর্থ্য রাখে না তাকে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে। এ বিধান এজন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা যেন ঈমান রাখ। এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক শাস্তি”। [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ৩-৪]
মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল।বিশ্বাস ও ধৈর্য্যের সাথে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
#আমার লেখায় ভুল ত্রুটি পেলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল
এ বিষয়ে আরো জানতে হলে যিহার
©রুবাইদা গুলশান
৮ নভেম্বর ২০১৬
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৫
নীল মনি বলেছেন: সমস্যা আছে বলেই নিষেধ করা হয়েছে।আপনি সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সূরা দেখে নিবেন।যদি পারেন তাফসীরটাও দেখবেন।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঠিক আছে, "যিহার" করলে, স্বামী বা স্ত্রীকে "একজন দাসকে মুক্ত" করে দিতে হবে! বাংলাদেশে "দাস" প্রথা আছে? কার কার দাস আছে? ম্যাঁওপ্যাঁও ধরণের পোষ্ট
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
নীল মনি বলেছেন: বাংলাদেশে দাস প্রথা নেই।তার বিপরীতে কিন্তু সমাধান দেয়া আছে।
ম্যাঁওপ্যাঁও বলতে কী বোঝাতে চাইছেন?
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৬
ওমেরা বলেছেন: কোরআন যা বলেছে সত্য বলেছেন ! অনেক ধন্যবাদ আপু।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৪
নীল মনি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ শুকরিয়া আপুউউউ
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যদিও যিহার আমাদের দেশের চেয়ে আরবেই জাহেলী যুগে বেশি প্রচলিত ছিল তবুও এ ব্যাপারে আমাদের জানা থাকা উচিত।
‘যিহার’ এর অর্থঃ নিজের স্ত্রীকে অথবা তার কোন অঙ্গকে ‘মা’ এর সাথে অথবা ‘স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন কোন মহিলার পৃষ্ঠদেশের সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করাকে আরবীতে ‘যিহার’ বলা হয়। এ কথা বলার উদ্দেশ্য হলো, মায়ের সাথে মেলামেশা যেমন ইসলামী শরী‘য়াতে হারাম, ঠিক এমনিভাবে স্ত্রীর সাথেও মেলামেশাকে হারাম করা। ভারতীয় উপমহাদেশে এই যিহারের প্রচলন খুব একটা দেখা যায় না। বিশেষ করে আরবে জাহেলী যুগ হতে এই যিহার প্রথা চলে আসছে। জাহেলী যুগে যিহারকে তালাক বলে গণ্য করা হতো। এই ‘যিহার’ এর পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার আর কোন অবকাশ ছিল না।
কিন্তু ইসলামী বিধানে ‘যিহার’ দ্বারা তালাক হয় না, কেবল কাফ্ফারা ফরয হয়। কাফ্ফারা পরিশোধ না করা পর্যন্ত স্ত্রী সাময়িকভাবে স্বামীর জন্য নিষিদ্ধ থাকে। কাফফারা পরিশোধের পর স্বামীর জন্য স্ত্রীর সাথে যথাযথভাবে ঘর-সংসার করা হালাল হয়ে যায়।
জাহেলী যুগ থেকে চলে আসা যে সমস্ত রসম-রেওয়াজ উম্মাতে মুহাম্মাদীর ভিতরে প্রবেশ করেছে ‘যিহার’ তার মধ্য থেকে একটি। যে সব শব্দের দ্বারা ‘যিহার’ গণ্য করা হয় তার কতকগুলি নিচে বর্ণনা করা হলো-
যেমন, স্বামী স্ত্রীকে বলবে, তুমি আমার নিকট আমার মায়ের পিঠের সমতুল্য। আমার বোন যেমন আমার জন্য হারাম তুমিও তেমনি আমার জন্য হারাম। তোমার শরীরের এক চতুর্থাংশ আমার জন্য আমার ধাত্রীমায়ের মত হারাম ইত্যাদি। তবে যদি স্বামী তুমি আমার মায়ের মত বলতে মায়ের মত গুণবতী, যত্নশীল বা মায়ের মত ভালবাসে বুঝায় তবে যিহার হবে না। যিহার তখনই হবে যখন নিয়ত থাকবে যে মা-বোন যে দিক থেকে হারাম সে দিক থেকে স্ত্রীকে হারাম বানালে।
যিহারের মাধ্যমে নারীদের উপর বড় যুলুম ও অত্যাচার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে যিহার একটি অমানবিক কাজ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন-
“তোমাদের মধ্য হতে যারা নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গে যিহার করে তারা যেন জেনে রাখে যে, তারা তাদের মা নয়। তাদের মা তো তারাই যারা তাদেরকে প্রসব করেছে। তারা তো কেবল অবৈধ ও মিথ্যা কথা বলে। আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও মার্জনাকারী” (আল-মুজাদালাহ, ২)।
‘ইসলামী শরী‘য়াত’ রামাযান মাসে দিনের বেলায় কেউ স্বেচ্ছায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে রোযা ভঙ্গের কাফ্ফারা, এমনিভাবে ভুলক্রমে হত্যার কাফফারা যেভাবে দিতে বলেছে যিহারের জন্যেও ঠিক একইভাবে কাফ্ফারা আদায় করতে বলেছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন-
“যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তার জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না তাহলে তাকে ৬০ জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ। এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)।
যিহার একটি ইসলাম বিরোধী কাজ হওয়ায় এর জন্য এত কঠিন শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
কোন হতভাগা স্বামী স্ত্রীকে ‘তুই আমার মা বা মায়ের মত’ বললে ‘যিহার’ হয়। কিন্তু যদি কোন হতভাগী স্ত্রী ‘তুমি আমার বাপ বা বাপের মত’ বলে। এ ক্ষেত্রে মহিলার পক্ষ থেকে যিহার হবে না। কেবল মহিলাকে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে। নারীরা যিহার করতে পারে না ৫৮৭ (ইবনে বায)
কসমের কাফফারা হল-
“আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেণির খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (আল মায়িদা: ৮৯)
এমন বোকামি করা থেকে আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন। আমিন।
‘
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০১
নীল মনি বলেছেন: এত সুন্দর করে ব্যাখা দিলেন। মাশা আল্লাহ্।
আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আপনি অনুমতি দিলে আপনার লেখার অংশটুকু যোগ করে দিতে পারি।
আপনি তো প্রচুর জানেন! মাশা আল্লাহ।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই মনে হয় পুরোটা পড়েননি। দাস মুক্ত না করতে পারলে অন্য উপায়ও উল্লেখ করা আছে। সবকিছুকে ম্যাওপ্যাও বলে তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৬
নীল মনি বলেছেন: উনার লেখা দেখে আমারও মনে হয়েছে উনি পুরোটা পড়েননি
।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় পোষ্ট আমি বরাবর এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৩
নীল মনি বলেছেন: এটা খুব খারাপ।ধর্ম জীবনের অংশ।এটি ঝগড়াঝাঁটি হবার মত কোন পোস্ট না। আর আমি এমনিতে নিরীহ মানুষ।
সকল ধরনের জ্ঞান অর্জন করা উচিত।
শুকরিয়া
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭
নীল মনি বলেছেন: মূল আপনি যেটা দিয়েছেন সেটা থাকুক।অনেকে লিংকে আলসেমি করে আর যাবে না।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২৩
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: ম্যাওপ্যাও গাজী ভাইয়ের আবিষ্কৃত শব্দ।
আমাকে আরো জানতে হবে; পরে মন্তব্য করবো
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২০
নীল মনি বলেছেন: শুকরিয়া। ফালতু এই শব্দের বিপরীত নিশ্চয়ই।
আমাকেও জানাবেন, এ বিষয়ে আরো কিছু জানলে।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৩১
রকি বিশ্বাস বলেছেন: এমন বোকামি করা থেকে আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন। আমিন
এবং এর সাথে সাথে শিরক এর গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন । আমিন
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২১
নীল মনি বলেছেন: সত্যিই তাই আল্লাহ আমাদেরকে সমস্ত ফিতনা ও গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন।আমিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওভাবে ডাকলে, আসলেই কি সমস্যা আছে??
বাবা মানে তো আর, আব্বা নয়!!
আর ভাই বললে সমস্যা কি?
সব মানুষই তো ভাই ভাই। আর এটাতো নিজের ভাই নয়!!