নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
আমাদের দেশে নির্বাচন মানেই ছিল উৎসব।
আমার শৈশবের স্মৃতি তাই বলে, আমার বেড়ে উঠার সময়টায় আমি তাই দেখেছি।
ভোটের আগের হৈচৈ প্রচারণা মাইক মিছিলের পর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিল ভোট দেয়া এবং
তারপর পরিবার পরিজন সহ সাদা কালো যুগের টিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য বসে যাওয়া!!
পুরো ফলাফল জানাতে প্রায় দিনরাত মিলিয়ে টানা ৭২ ঘণ্টা নানা অনুষ্ঠান চলতো টিভিতে।
নাটক
সিনেমা ছায়াছন্দ সার্কাস ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কে কোন আসনে কত ভোট পেয়েছে তার বুলেটিন হতো। বড়রা সে সব দেখতো আর আমরা ছোটরা হা করে টিভির অনুষ্ঠান দেখতাম।
সেই দু/তিন দিন বাসায় পড়াশোনা নিয়ে কেউ কিছু বলতো না। বাসায় পড়াতে প্রাইভেট স্যারও আসতেন না। স্কুলে যেতে হতো না।
ছুটি। আহা!
কি আনন্দ ভাব নিয়ে এ পাড়া সে রাস্তা টো টো করাই ছিল আমাদের কাজ।
গত কয়েকদিনের নির্বাচনী নানা কিছু দেখে ছোটবেলায় কাটানো নির্বাচনের দিনগুলোর কথা খুব মনে হচ্ছে।
বদলে যাওয়া সময়ের স্বাক্ষী আমরা।
আমরা সাদা কালো যুগের আবেগ নিয়ে বেড়ে উঠা এক প্রজন্ম। যারা বেড়ে উঠেছিলাম ভিন্ন এক ঢাকায়, যারা মন মননে ছিলাম অন্যরকম। মফস্বলের মতোন সেই ঢাকা কবেই বদলে গেছে; এখন আমরা যে শহরে বাস করছি তা একেবারেই অচেনা।
বেশী অচেনা মানুষগুলো।
পুরনো চিন্তা চেতনা আবেগ মায়া ভালোবাসা আপন পর দরদ বিশ্বাস আস্থার জায়গায় বেশ বড় ধরণের ঘাটতি।
আমরা মানিয়ে নিয়েছি।
চলছিতো।
নির্বাচন ২০১৮ নিয়ে এটি আমার একমাত্র স্ট্যাটাস।
আমি গত নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। ইনশাল্লাহ এবারেও যাবো। ভোট আমার নাগরিক অধিকার। আমি এর প্রয়োগ করতে চাই। আপনিও আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
শুভকামনা।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: সেই অালিফ লায়লা দেখার জন্য উঠানে মাদুর পেতে লোকজন সামলানো লাগতো। বিটিভি ছাড়া গতি ছিলোনা। একটি সিনেমা দেখার জন্য সেকি অধির অপেক্ষা! হারিয়ে গেছে দিনগুলি।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: আপনার মনের বাসনা পূর্ণ হোক ।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: সুষ্ঠু ভোট হোক এটাই কামনা ।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি তে আমার মনের সব কথা লিখেছেন।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
আরোগ্য বলেছেন: বেছে উৎসাহ পেলাম। ধন্যবাদ নীলদা।
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আরোগ্য বলেছেন: বেশ হবে। একটু টাইপো হয়ে গেছে।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অচেনা নগরে
অচেনা নাগরিকতায়
অচেনা চেতনায় কুয়াশা ভোর
সত্য মিথ্যা একাকার
দম্ভ ক্ষমতা আর অর্থের
বিবেক, মানবতা কিছু নেই আর!
তবু আশা বুক ভরা
এক সোনালী ভোরের
স্বপ্নের মতো সমৃদ্ধ সোনার বাংলার।।
+++
আহা সোনালী সেই দিনগুলি - - -
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: একটি ৩ ঘন্টা পূর্ণ দৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা দেখার জন্য ১২-১৫ ঘন্টা টেলিভিষন দেখতে হতো ।