নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
আমাদের দেশটা ডাক্তার রোগী নিয়ে গিজগিজ করা দেশ ছিল!
জেলা শহরে গেলে দেখতাম নড়ার জো নেই। রোগী আর রোগী। ডাক্তার, ফার্মেসি, দালাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঔষধ কোম্পানির ব্যাগওয়ালা ইত্যাদি নানান হাবিজাবিতে সয়লাব!! ঢাকাতো একটা বড় হাসপাতালই বলা চলে। এদিক সেদিক হাটে, গলি ঘুপচি, মাঠ ঘাটে হাসপাতাল আর ক্লিনিকের ছড়াছড়ি!!
আজ ডাক্তার নেই, রোগী নেই। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নাকি খাঁ খাঁ করছে। কি অদ্ভুত। আমরা সবাই কি কোন জাদুমন্ত্রে সুস্থ হয়ে গেলাম নাকি সকলেই অসুস্থ?
কোনটা?
এক করোনা আমাদের খাঁচায় ঢুকিয়ে দিয়েছে!! চাচা আপনা জান বাঁচা অবস্থায় নিয়ে ফেলেছে। আমরা এমনিতে কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক। এবার তা খুব উৎকটভাবে প্রকাশ হলো।
তবে এর মাঝেও ব্যতিক্রম আছে।
চারপাশে তাকিয়ে দেখুন। এক দল তরুণ কিন্তু তাদের যা সামর্থ্য নিয়ে মাঠে নেমে গেছে। তারা কারো অপেক্ষা করেনি। তারা কারো নির্দেশের জন্য বসে ছিলো না। সচেতনতার কাজটা তারাই সবার আগে শুরু করেছে। হাত ধোবার জন্য জনে জনে তারাই বলছে। সাবান দিচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাচ্ছে। সে সব বিতরণ করছে। রাত নেই দিন নেই তারা কিন্তু কাজ করছে। বস্তিতে বস্তিতে ঘুরছে। রাত বিরাতে খাবার নিয়ে অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে বিতরণ করছে। নিজেদের নাওয়া খাওয়া ভুলে এই তরুণ তরুণীর দল কিন্তু ঠিক ঠিক মানুষের পাশেই আছে।
আমরা সারা বছর পুলিশকে নিয়ে কত ট্রল করি। এই দুর্যোগে কিন্তু তারা মাঠে আছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি চাল ডাল তেল নুন নিয়েও মানুষের বাসায় যাচ্ছে। দিন নেই রাত নেই তারা কাজ করছেন।
বিদ্যানন্দের স্ট্যাটাসে জানা যায় কত মানুষ নাম পরিচয়ের তোয়াক্কা না করে মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য নিজেদের পণ্য ভরা ট্রাক পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
এসব ছোট ছোট উদ্যোগের পাশাপাশি আমরা দেখছি দেশের নামকরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রীজ এর পক্ষ হতেও নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আকিজ গ্রুপ, বসুন্ধরা এগিয়ে এসেছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতাল বানাবার আইডিয়া নিয়ে।
আসুন এই দুর্যোগ মহামারী রোধে সবাই এক হয়ে কাজ করি। যদি তা করতে পারি আমি নিশ্চিত করোনার কাছে আমরা হেরে যাবো না।
সেই প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এখন শুধু আপনার নিজের অবস্থান থেকে একটু সচেষ্ট হওয়া- তাতেই ছড়াবে আলো। আমরা পেতে পারি নতুন সকাল। রোদ ঝিলমিল আগামীর জন্য আসুন একসাথে মানুষের পাশে থাকি।
নীলসাধু
#নগরে_সাধু
০১০৪২০২০
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: "ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ব্যতীত অন্য কেউ পিপিই পড়লে তাকে এখন থেকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিব রোগীর সেবা করতে।"
-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
(এমনটাই হওয়া উচিত। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে)