নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বন্ধু সালমান শাহ :: শৈশব স্মৃতি

০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪



সালমান শাহ!
দেশের চলচ্চিত্রে নতুন একটি ধারার সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। ছবিতে তাঁর উপস্থিতি মানেই ছিল নিশ্চিত সাফল্য, প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়া দর্শকের সরব উপস্থিতি। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিল তার অবস্থান।
আমরা ছিলাম বন্ধু। কৈশোর এর সময়টায় আড্ডা, কোচিং, ক্রিকেট খেলা সবই একসাথে। উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাবে মাঠে ছিল আমাদের শেষ একসাথে ক্রিকেট ম্যাচ খেলার স্মৃতি।

নায়ক হবার পর ওর সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই সেই পুরনো ইমন। কোন বদল হয়নি ওর। কেয়ামত থেকে কেয়ামত পর্যন্ত ছবির একটি দৃশ্যে মোসুমীকে সে কোলে তুলে নিয়েছিল। আমরা দেখা হলেই এটি নিয়ে ওকে রাগাতাম সবচেয়ে বেশী। ক্যাম্নে তুললি বল। খুব মজা করতাম। কারণ সে তখনো ছিল ছিমছাম আকৃতির অথচ মৌসুমীকে ওর তুলনায় বেশ মোটাই মনে হয়েছিল। তো এই নিয়ে চলতো আমাদের হাসিঠাট্টা।

ওর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল উত্তরাতে।
সেদিন সে সহ শাবনাজ একটি ছবির শুটিং করছিল।
আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন বন্ধু বান্ধব ছিল। সবাই আমাকে অনুরোধ করছিল, কিরে তোর দোস্তের শুটিং হচ্ছে আয় ঢু দিয়ে যাই। আমি ওদের অনুরোধেই খবর পাঠালাম ওকে। লোকজন এসে আমাদের সবাইকে খাতির করে উপরে নিয়ে গেলো। নায়কের বন্ধুরা বলে কথা।
সেটে গিয়ে দেখি বাসর রাতের শুটিং চলছে।
মান অভিমান এর দৃশ্য। জামাই খাটে এবং বৌ নীচে শুয়ে আছে। বাতাস টাতাস দিয়ে ঝড়টড় তৈরি করা হয়েছে। চারপাশে নানা ধরনের লোকজন, টেকনিশিয়ান, সহ অভিনেতা।

সে ব্রেক নিয়ে শুটিং ছেড়ে বারান্দায় এসে আমাদের সঙ্গে দাঁড়ালো। আমি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম। দুই বন্ধুতে কিছুক্ষণ কথা হল। আমি রাগালাম ওকে। কিরে নায়িকা নিচে কেন? কি করছোস- জাতীয় নির্দোষ ফানি কথাবার্তা।
ও বলে, কইস না দোস্ত। এইসব হল শুটিং!!

এক সাথে দুজনেই সিগারেট খেলাম। তারপর চলে এসেছিলাম। সেটাই ছিল ওর সাথে আমার শেষ দেখা। তার ক’দিন পরেই আমি ওর মর্মান্তিক বিদায়ের খবর শুনি! রহস্যজনক এক মৃত্যু, যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেটা ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
আজ এতদিন পরেও বন্ধুর জন্য মন খারাপ হয়।
বিষণ্ণ হয়।

বহুবছর হল ইমন নেই! খুব ভালো লাগে যখন দেখি দেশের মানুষ বিশেষ করে একটি প্রজন্ম ওকে ভালোবাসে, সেই ভালোবাসার তীব্রতা বোঝা যায় প্রতি বছর ওর চলে যাবার দিনে। কতভাবেই ওর কথা মনে করে। নব্বুইয়ের দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়ক ছিল সালমান শাহ। তুখোড় অভিনেতা, স্টাইলিশ এই বন্ধুটির আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
আল্লাহ ওকে শান্তিতে রাখুক।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: মাগফেরাত কামনা করছি।

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২| ০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

শাওন আহমাদ বলেছেন: তার মনে হয় কোনো হেটার্স নেই। একজন মানুষ ব্যক্তি হিসেবে কতোটা ভালো হলে তাকে নিয়ে সবাই এভাবে সুন্দর স্মৃতিচারণ করতে পারে।

০৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬

নীলসাধু বলেছেন: হুম, ওর হেটার্স নেই। ওর মাঝে সারল্য ছিল।

আমাদের না বলা কথাগুলো নিয়ে আবার পোষ্ট দেবো ভাবছি।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার সেই বন্ধুটি মৃত্যুর পরেও বাংলাদেশের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।

০৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

নীলসাধু বলেছেন: হু এটা আমাদের কাছে ভালো লাগার অনেক।


ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

নজসু বলেছেন:


চিত্রনায়িকা মৌসুমীও অনেকদিন আগে থেকেই বলেছিলেন সালমান তার বন্ধু। কিন্তু ইদানিং এসে নীলা চৌধুরী সেটা অস্বীকার করে বলেছেন, মৌসুমীর দাবী সত্যি নয়। সালমানের বন্ধু যারা তাদের তিনি চিনতেন কিংবা চেনেন।

নীলা চৌধুরী আবার এই লেখা দেখলে আপনাদের বন্ধুত্ব অস্বীকার করবেন না তো? :( (মজা)

সালমান যখন মারা যান তখন আমি সবে প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছি। অথচ ঐ বয়সে সালমানের কোন সিনেমা মিস করতাম না। সিনেমা হল হোক কিংবা টিভি হোক। একটা শিশু-কিশোর মনেও সালমান ছিলেন তুমুল প্রিয় মুখ। বোঝা যায়, তিনি সবার কাছে কতোটা জনপ্রিয়? বাংলা সিনেমা যতোদিন থাকবে ততোদিন সালমান নামটা অম্লাণ হয়ে থাকবে।

এই যে, এতো বড় মাপের একজন অভিনেতা অথচ বন্ধুদের সময় দিতে কাপর্ণ্য করেননি। অনেক ভালো মনেরও মানুষ তিনি। ভালো মানুষেরা পৃথিবীতে বেশিদিন থাকেন না এটাই হয়তো একটা সত্যি কথা।

তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

০৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

নীলসাধু বলেছেন: ইমন তার বন্ধু ছিল না। খুলনা বা কোন এক জায়গায় তারা একটা সময়ে একই স্কুলে পড়েছিল এমন কিছু একটা শুনেছি আমরা। কিন্তু মৌসুমীর সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল এটা ভুল বলেই মনে হয়।

আন্টি ঠিকই বলেছেন, তিনি ইমনের বন্ধুদের চিনতেন। সে মারা যাবার পরতো বন্ধুর অভাব ছিল না, কিন্তু কে ই বা তার পাশে ছিল? কেউই না। এরা কেউই তার আসলে বন্ধু ছিল না।

যাক, সে সব কথা সে শান্তিতে থাকুক এই দোয়া করি।
ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: এমন একজন বিখ্যাত গুণী মানুষকে নিয়ে আপনি খুব সল্প পরিসরেই আলোচনা সেরে ফেললেন।
তাঁকে নিয়ে নিশ্চিত আপনার অনেক অনেক কথা বলার আছে। শোনার অপেক্ষায় রইলাম...

০৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।
আসলে এটি ছিল আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। সেটাই কপি করে দিয়েছি। ব্লগে একটা পোষ্ট রেখে দিলাম ওকে নিয়ে।
বিস্তারিত লিখলে তো মহাকাব্য হবে। আমরা ছিল্মা কৈশোর তারুণ্যের বন্ধু। তারপরতো সে চলেই গেলো। এর মাঝেই জমা হয়েছে কতো গল্প। সে যখন টুকটাক টিভিসি বা ছোট ছোট নাট্যাংশে অভিনয় করতো তখন তার সানগ্লাস ছিল এক বন্ধুর। টুপি ছিল আরেক বন্ধুর থেকে নেয়া- এভাবেই শুরুটা। কাড় কাছে সুন্দর ভালো কিছু দেখলে সে বলতো দোস্ত এটা রাখ এর পরেরবার অভিনয় করার সময় লাগবে। সে যখন পুরোদস্তুর নায়ক তখন ফার্মগেটে ওর সাথে দেখা। ও ছিল গাড়িতে। আমি হাঁটছিলাম। সে নিজেই গাড়ি থামিয়ে আমাকে ডেকে সে অবস্থাতেই আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই কজন করে মানুষ বাড়তে লাগ্লো ও পরে চলে গেলো। সুপারস্টার হয়ে যাবার পরেও আমাদের সবার সাথে ওর যোগাযোগ ছিল কিন্তু ও যে সমস্যা দিয়ে যাচ্ছে তা শেয়ার করেনি। তবে আমরা বুঝতে পারছিলাম ও ভালো নেই। এই বিষয়গুলী ও হ্যান্ডেল করতে পারেনি। সবকিছু মিলিয়ে এই চাপ সে নিতে পারেনি। এমনই আরো কিছু ঘটনায় ওকে আমরা হারিয়েছি।

আরো একটা পোষ্ট লিখবো সেখানে ওকে নিয়ে আরো কিছু কথা শেয়ার করবো।
ভাল থাকবেন।

৬| ০৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এখানে যেটা লিখেছেন এটা অতি ক্ষুদ্রতম অংশের স্মৃতিচারন বুঝতে পেরেছিলাম।
তবে শৈশবের স্মৃতিচারনে ওর সাথে শৈশব আর কৈশরের কিছু কথা থাকলে ভাল হোত।
ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যে অনেক কিছু জানানোর জন্য। ভবিষ্যতে আরো জানার অপেক্ষায় রইলাম।

৭| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রিয় নায়ক বলতে যা বোঝায়, উনি তাই ছিলেন আমার। খুব মিস করি।

৮| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৮

এইযেদুনিয়া বলেছেন: আহা, প্রিয় নায়ক! মাঝে মধ্যে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন প্লিজ।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

ফেনা বলেছেন: তার জন্য দোয়া আর ভালবাসা রইল। (আমার একমাত্র প্রিয় নায়ক)

তা নীল দা আপনি কই?
কেমন আছেন আপনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.