![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I often see flowers from a passing car That are gone before I can tell what they are Haven gives its glimpses only to those Not in position to look too close…
আমি আর আমার ভাই পিঠেপিঠি। বছর ছয়ের ছোট আমার। মনে হয় যেন এই তো সেদিন আমি বারান্দায় বসে খেলছিলাম, আর বড় ফুপু এসে আমার কোলে পুতুল পুতুল একটা বাবু দিয়ে বলে গেল এইটা নাকি আমার ভাই!!! গোল গোল হাত আর ছোট্ট ছোট্ট পা, এক চোখ পিট পিট করে তাকাচ্ছে। ধবধবে সাদা আর অসম্ভব সুন্দর একটা বাবু। আমার ভাই-এর একটা সাড়ে তিন হাত লম্বা গালভরা নাম দিলো আম্মা-আব্বা। আমি কিন্তু ঠিক করেছিলাম, ওকে আমি সারাজীবন বাবু বলেই ডাকবো।
সেই থেকে আমার ভাই আমাদের বাড়ির বাবু। আজও পর্যন্ত। ছোট্ট বাবুটাকে দেখতে কত লোক আসত আমাদের বাড়িতে, বাবুকে কত্ত কী গিফট দিত!!! সবাই ওকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতো, ওকেই আদর করত।আমার হিংসে হত খুব- কেন সবাই শুধু ওকেই আদর করবে, ওকেই গিফট দিবে? আমি কি কেউ না??একদিন আম্মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম।আম্মা হেসে বলেছিল আমি নাকি চৌরাস্তার ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে!!!কথাটা মনের ভিতর গেঁথে গিয়েছিলো।কত রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে যে আকুল হয়ে কেঁদেছি কথাটা মনে করে!! একরাতে আমার কান্না শুনে বাবুরও ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো। আমার গলা জড়িয়ে ধরে বাবুটাও কেঁদেছিল খুব। বাবুটা যে আমার আপন ভাই না, ভাবতেই বুক ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছিল আমার। কী বোকাই না ছিলাম তখন!!!
বাবুর যখন দুই মাস বয়স, আম্মার কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে। বাবুকে দেখে একটা আংটি দিয়েছিলেন, আর আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- ‘নানুভাই, তোমার আব্বা ফরসা, আম্মা ফরসা, ভাইটা ফরসা, তুমি কালো কেন? ’কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ের কষ্ট বুকে চেপে রেখে উত্তর দিয়েছিলাম- “আমার আম্মুর কালো রঙ পছন্দ তো, তাই। আমার ভাইটা দেখবেন বড় হলে কালো হয়ে যাবে। ”কতই বা বয়স তখন আমার?? ছয় কি সাড়ে ছয়!!! ছয় মাস বয়সে বাবুর নিউমোনিয়া হয়, এখন তখন অবস্থা। আমি নামাজের পাটিতে বসে সারাদিন সারারাত দোয়া করতাম – “আল্লাহ,তুমি আমাকে নিয়ে যাও, কিন্তু আমার ভাইটার যেন কিছু না হয়।”সুস্থ হওয়ার পর আমার সোনারঙ ভাইটা কালো হয়ে গেল—অনেক বেশী কালো। আমার নিজেকে রাক্ষুসি মনে হত সব সময়।
আমার ভাইটা আমার জীবনে দেখা সব চাইতে দুরন্ত শিশু। আমার এক শোকেস খেলনা ছিল, যেগুলো তিন ঝুড়ি ময়লা বানাতে ওর সময় লেগেছিলো মাত্র আড়াই বছর। আমার প্রিয় পুতুল তিথির হাত পা ভেঙ্গে আমাকে কষ্ট দিয়ে বাবু যে কি ভীষণ মজা পেত!! মেলামাইনের মগ গুলা এক আছাড়ে ভেঙ্গে ফেলত। ভেঙ্গে ফেলেছিল বিয়ের পরে পাওয়া আম্মার সবচাইতে প্রিয় ফ্লাস্কটাও। ভুতের ডিম কেনার দুই টাকা নিয়ে বায়না করে চিৎকার করে সারা বাড়ি মাথায় তুলত। আম্মা আবার একটা ব্যাপারে বেশ কঠোর ছিলেন- বাচ্চাদের সব চাহিদা পুরন করতে চেষ্টা করতেন, কিন্তু হাতে টাকা দিতেন না। ওতে নাকি বাচ্চারা নষ্ট হয়ে যায়!
আমার ভাইটার ছোটবেলা থেকেই খুব বুদ্ধি। স্কুলে যেত না সে। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলে উল্টো অজুহাত যা দিত তার সারমর্ম অনেকটা এইরকম-
আমি স্কুলে আর আব্বা অফিসে থাকে।এখন ও যদি স্কুলে চলে যায়, আম্মা তাহলে একা বাড়িতে যদি ভুতের ভয় পায়!!! বাবুটা ছোট বেলা থেকেই অসুস্থ। নিউমোনিয়ার পর পাঁচ বছর বয়সে হল জন্ডিস। তারপর টাইফয়েড আর ইউরিন ইনফেকশন। রক্তে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস বয়ে নিয়ে চলেছে আজ সাত বছর প্রায়...
আমরা কেউ তাই ওকে কখনো কিছু বলি না, ও চলে ওর মতো। কেউ কিছু আশাও করি না ওর কাছ থেকে। অ্যানুয়াল রেজাল্টের পর যখন আমার রোল ১ আর ওর ৯১ হল, মিস আমাকে খুব বকেছিল, বলেছিল, আমি নাকি স্বার্থপর। খালি নিজেই পড়ি, ভাইয়ের খেয়াল নিই না। মন খারাপ হয়েছিলো খুব। বাসায় এসে রাগ করে আম্মাকে বলেছিলাম ওকে মাছের বড় মাথাটা দিয়ে ভাত দিতে। বাবুর ক্লাস রোল কখনো ৫০ এর ধারে কাছেও আসত না। এই নিয়ে কারো কোনও মাথা ব্যথাও নেই। খালি আমার মানসম্মানে লাগত খুব। টিচাররা কথা শোনাত আমাকে। না পেরে আমি একদিন আব্বাকে বলেছিলাম ওকে অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিতে। ছোট্ট ভাইটা আমার!! মনে খুব কষ্ট পেয়েছিল সেইদিন। তারপর একদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রাথমিক বৃত্তিতে জেলায় দশম হয়ে বসলো। আমি গর্ব ভরা বুক আর গম্ভীর মুখে ঘোষণা দিলাম-“ইহা নিছক একটি দুর্ঘটনা ব্যতীত অন্য কিছু নহে।” আমার কথায় সেদিন কেউ হেসেছিল, কেউবা আবার বিশ্বাস করেও বসেছিল। আমার ভাইটা আবারো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। পরিবারের সবাইকে আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে জে এস সি তে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। আমার এই অসুস্থ অথচ অঘটনঘটনপটীয়সী ভাইটিকে নিয়ে তাই আজ আর কেউ স্বপ্ন দেখুক বা নাই দেখুক, আমি স্বপ্ন দেখি, অনেক বড় হবে ও, এরকম আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটাবে(এমনিতেই সে প্রায় ছয় ফুট লম্বা এখনি, মাথা উঁচু করেও আই কন্টাক্ট করতে কষ্ট হয়, আরও বড় হলে কী হবে কে জানে!! )।
ছোটবেলা থেকেই বাবুর ইলেক্ট্রনিক জিনিসের প্রতি ঝোঁক খুব। আর রিমোট কন্ট্রোল খেলনা কেনার বাতিক। আব্বা সরকারি চাকুরে, তাই সব শখ সব সময় পূরণও হয় না। আমি কিন্তু তাই নিয়ে বাবুকে কখনো মন খারাপ করতে দেখিনি।
বাড়ি গিয়েছিলাম সেদিন। দেখলাম বাবুর মন খারাপ। আম্মা নাকি ওকে বকেছে আগের রাতে। এম পি ফোর টা নাকি খুলে ফেলার পর আর জোড়া লাগাতে পারছে না। আমারও মন খারাপ হয়ে গেল শুনে। নিজের ঘরে চলে এলাম। আমার ঘরে এলেই আমার ক্যামন যেন শান্তি শান্তি লাগে। দশ ফিট বাই সাত ফিট দেয়াল জুড়ে বইয়ের আলমারি, তাক জুড়ে থরে থরে সাজানো প্রায় হাজার তিনেক বই। আহ! কী শান্তি!! দেখেই চোখ ভরে যায়। কেন যেন চোখ চলে গ্যালো উপরের তাকের দক্ষিণ কোনায়। পর পর সাজানো দুটো বই- লোটাকম্বল ০১, লোটাকম্বল ০২। লেখক সঞ্জিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। নায়িকার নাম মুকুলিকা- মুকু। নায়কের নামটা মনে পড়ে না কিছুতেই—আশ্চর্য তো!!! দুর্নিবার আকর্ষণ নিয়ে বই দুটো নামাই। পাতা ওলটাতে গিয়েই পরক্ষনে আবার রেখে দিই- থাক না!! পড়ে ফেললেই তো গ্যালো আকর্ষণ শেষ হয়ে!! পরে একসময় পড়বো আবার-যখন মন খুব খারাপ থাকবে-কিংবা যখন মুকু হতে ইচ্ছে করবে খুব!এও একধরনের খেলা... নিজের সাথে...আলো আধারির খেলা।
বাবুর ঘরে যাই আবার। অভ্যস্ত হাতে অগোছালো টেবিলটা গোছানো শুরু করি। বইয়ের ফাক গলে একটুকরো কাগজ নিচে পড়ে যায়- রঙটা নীল। কাগজটা তুলে নিয়ে পড়তে শুরু করি- অভিমান ভরা একটা চিঠি। বাবুটা আম্মাকে লিখেছে।কোনও এক ফাঁকে লুকিয়ে হয়ত রেখে দেবে আম্মার হিসাবের খাতার ভেতর। আমার বুকটা হঠাৎ মোচড় দিয়ে ওঠে। আম্মার ওপর অভিমান করে আমি একসময় রাতের পর রাত চোখের জলে বালিশ ভিজাতাম, আর আমার ভাইটা চিঠি লেখে। আমি মুগ্ধ হয়ে চিঠি পড়তে থাকি। কী গভীর আবেগ মাখা লেখা!! এতোটুকুন বাবুসোনাটার বুকে এত্ত গভীর আবেগ এলো কোত্থেকে???
নাহ! আমার ছোট্ট ভাইটা এবার সত্যিই বোধহয় বড় হয়ে গ্যাছে!!!
এক মাসের ওপর হতে গেল আমি অসুস্থ। প্রতিটা নিঃশ্বাসে আয়ু ক্ষয় হয়। এক পা এক পা করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছি। আম্মা খুব করে দেখতে চাচ্ছিল কয়দিন ধরে। তাই বাড়ি গিয়েছিলাম সকাল বেলা। বিকালে চলে আসার সময় আম্মা আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদল, প্রাণখোলা কান্না। আম্মার অস্রুসজল চোখের দিকে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আমি। সেখানে কোনও রাগ নেই, নেই অভিমান, বিষাদ বা অনুযোগ। কোনও আদর নেই, স্নেহ নেই, মমতা নেই। আছে শুধু ভালবাসা......... জোয়ারের জলে দুকূল ছাপানো নিখাদ গভীর ভালোবাসা! শান্ত নদীর মতো নিটোল স্নিগ্ধ ভালোবাসা। কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ের জন্যে কোন মায়ের চোখে কি এত ভালোবাসা থাকে???...............
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৩৬
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ সুম্মা। আপনার মতো লেখকের কাছ থেকে ভালো লাগা পাওয়াটা আমার অনেক বড় একটা অর্জন!!!
পিচ্চি বলে-"সুম্মারে মিসাই। চারখাম্বায় পাটিতে বসে সুম্মার সাথে কাবাব খাইতে চাই।
"
২| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৩
সোহরাব সুমন বলেছেন: ভালো লিখা ! লেখার সময় লেখক কি ভুলে যায় নাকি পাঠকদেরও আবেগ আছে ! তাদের এমন কান্না হাঁসিতে ভাসিয়ে কীলাভ !
১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৫৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। (লজ্জা লজ্জা মুখে ভালো মানুষী মুচকি হাসি। )
কেমন আছেন আপনি??
৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৩
জনদরদী বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে । লিখা বন্ধ করবেন না । চালিয়ে যান ।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:১৩
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনি মনে হয় আজ প্রথম আমার বাড়িতে এলেন। স্বাগতম।
অনেক দিন পর আজ একটা গল্প লিখলাম। ইচ্ছে আছে চালিয়ে যাওয়ার। আশা করি আপনাদের সাথেই পাবো পরের লেখাগুলোতেও।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৮
বহুলুল পাগল বলেছেন: আপনার ভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা । সুস্থ থাকুক বাবুটা
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:১৭
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। বাবুটার এমনিতে কোন সমস্যা নাই। শুধু এইচ বি এখনো নেগেটিভ হয় নাই।
আপনিও মনে হয় আজ প্রথম এলেন আমার বাড়িতে। স্বাগতম আপনাকেও।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২৫
কথক পলাশ বলেছেন: তোমার লিখা পড়ে হতবাক হয়ে গেছি।
দেখো একদিন সব অসুস্থতা জয় করে তুমি এবং তোমার ছোটভাই, বাবু-সেরা আসনটিকে আলো করে বসবে।
এবার শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৩৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: কী বলেন ভাইয়া!! হতবাক হওয়ার মতো লেখা নাকি!!!
লজ্জা পাচ্ছি কিন্তু।
আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। দোয়া করবেন।
সময়ের অপেক্ষায় আছি।
১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ৭:৫৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন:
আর একটা কথা। বাবুর নাম কিন্তু বাবু না। এইটা আদরের ডাক। আমি- বাবা- মামনি বাদে অন্য কেউ ওকে বাবু বললে খুব রাগ করে ও।
৬| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৩১
অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন: একমাত্র সহোদর
অনেক শুভকামনা বাবু ও তোমার জন্য
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৪৩
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লেখাটা পড়লাম। ভালো লাগা জানিয়ে এলাম।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৪২
বাদশা নামদার বলেছেন: অনেক ভাল লাগল
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৪৬
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপনিও আজ প্রথম!!! আমার বাড়িতে দেখি অতিথির মেলা বসে গেছে।
আপনাকেও স্বাগতম।
ধন্যবাদ বাদশা ভাই। ভালো আছেন তো??
৮| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৪৭
সরলতা বলেছেন: আপু,কি লিখলে এটা?
অনেক ভাল থেক তুমি,ভাল থাকুক বাবু,তোমার পরিবারের প্রতিটা সদস্য।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৫৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: গল্প লিখলাম আপু।
আমি ভালো আছি। বাবুরও তেমন কোন সমস্যা নেই। ডাক্তার মাহমুদ হাসান দেখছেন ওকে। ল্যাব এইড এর। আশা করি ওর এইচ বি আগামি মাসের মধ্যেই নেগেটিভ হয়ে যাবে।
তুমি ক্যামন আছো আপু?? তোমরা সবাই ক্যামন আছো??
৯| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:২৯
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ছোট ভাইটার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
নিজের খেয়াল নিও। ভালো থেকো আপু।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:২২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আমার ছোট ভাইটাকে আমি খুব বেশী ভালোবাসি।
নিজের খেয়াল এখন আর আমাকে নিতে হয় না। ফেবুতে আমার একটা বড় ভাইয়া আছে, নিয়ম করে ভাইয়াটাই আমাকে বকা দেয়, খেয়াল রাখে।
আমি ভালো আছি ভাইয়া। আপনিও ভালো থাকবেন।
১০| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:২৯
ডেইফ বলেছেন:
লেখাটা পড়ে মনটা কেমন যেন হয়ে গেল।
ভাল থাকা হোক সবাইকে নিয়ে, সবসময়, সব জায়গায়।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:২৬
পৃথিলা আফনান বলেছেন: লেখার সময় আমারও মনটা ক্যামন জানি লাগছিলো। অন্নরকম অনুভুতি।
আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভকামনা রইল।
আপনার নতুন পোস্ট পাচ্ছি না কেন?? রাগ করেছি কিন্তু।
১১| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৪৫
রাতের মারুফ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন
আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:২৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। অসাধারণ লিখেছি কিনা জানি না, তবে এইটুকু বলতে পারি যত্ন করে লিখেছি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
১২| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:১৭
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: খুব ভালো লিখা
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৩২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ শাহি ভাই। ভালো আছেন তো?
১৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:২৯
অভ্রমালা বলেছেন: আপনি, আপনার বাবু সবার জন্য শুভকামনা। ভালো লাগলো লেখাটা।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৫৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ অভ্রমালা। আমার বাড়িতে স্বাগতম আপনাকেও। ভালো থাকবেন।
১৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৪৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: বিষাদ-আনন্দের সুন্দর জীবন! চোখে পানি আসল, কিন্তু আমার মনে হয়, অনেক আনন্দময় দীর্ঘ জীবন হবে আপনার।
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:১১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: জীবন সত্যিই অনেক সুন্দর!!
চোখে পানি এনে দেয়ার জন্য স্যরি। আপনার কথার অংশবিশেষ যেন সত্যি হয়।
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:২৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আনন্দময় জীবন চাই- স্বল্প হোক বা দীর্ঘ। তাই বলেছি অংশবিশেষ।
১৫| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৫৬
অন্ধ তীরোন্দাজ বলেছেন:
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:১৩
পৃথিলা আফনান বলেছেন:
১৬| ১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:১১
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি বলেছেন: সব্বাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:১৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।
আপনিও ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
শুভকামনা।
১৭| ১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৩
রৌদ্র করোটি বলেছেন: অনেক সুন্দর আপনার উপস্থাপনা। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।শুভ কামনা আপনার ভাইটির জন্য।
শেষ প্যারাটা বুঝলাম না। আপনি কি অসুস্থ্য?
এক মাসের ওপর হতে গেল আমি অসুস্থ। প্রতিটা নিঃশ্বাসে আয়ু ক্ষয় হয়। এক পা এক পা করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছি।
কি হয়েছে আপনার?
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:৫৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ রৌদ্র করোটি।
শেষ প্যারাটা না হয় না বোঝাই থাক। কিছু রহস্য প্রকৃতিও রেখে দেয়।
আমি ভালো আছি।
আপনিও ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
১৮| ১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৫
মেঘ_মেঘা বলেছেন: অনেক বেশী সুন্দর লিখেছো এটা কি জানো তুমি? খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা। অনেকদিন পর তোমার ব্লগে এলাম সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। কিন্তু শেষে এসে মন খারাপ হলো। তোমার কি হয়েছে? অসুখ করেছে?
আমি যখন ছোট ছিলাম ৪ বছরের মত হবে আমার বয়স সেসময় আমার আব্বুর উপরে একদিন রাগ করে বলেছিলাম আমাকে কেউ আদর করে না সবাই মারে (আমাকে বকা দিলেই সেটা মার হয়ে যেত অতিরিক্ত আহ্লাদী হবার কারনে) কারন আমি আব্বুর মেয়ে না। আমার আব্বু সাথে সাথে আমাকে বলল আমি নাকি কালা মিয়া নামে একজনের মেয়ে সে আমাকে নিবে না তাই আব্বু আম্মু নিয়ে আসছে আমাকে। তারপর থেকে আমি দুঃখ পেলেই বলতাম আমাকে আমার বাবা কালা মিয়ার কাছে রেখে আসতে। আব্বু আম্মু খুব হাসত এই কথা শুনে কেউ কিছু বলত না। পরে একদিন আমার মেজো চাচা এসে আমার কান্না শুনে আমাকে বললো কালা মিয়া নাকি আমার দাদু বাড়ীর একটা পাগল টাইপের গরুর নাম
!!!
তোমার জন্য তোমার ভাইয়ের জন্য অনেক শুভ কামনা। ভালো থেকো আপু।
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আমার কি হয়েছে টা তো তোমার ব্লগে একদিন বলেছি। অন্যারন্য তে, তোমাকে আর মাহিপু কে।এখনো সুস্থ হই নি। ওই আর কি।
বেশী সুন্দর হইছে নাকি?? জানতাম না তো(মাথা চুল্কানর ইমো হবে)!!
হাহাহা!!তোমার কাহিনী শুনে মজা পেলাম। আমি ক্লাস এইটে পর্যন্ত ভাবতাম আসলেই আমি কুড়িয়ে পাওয়া। আমি ভালো আছি আপু। তুমিও ভালো থেকো।
১৯| ১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০১
ছোট ভাই বলেছেন: আপনার ছোট্ট ভাইয়াটার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আর পৃথিলা আপু, আমিও কিন্তু একজন ছোট ভাই।
১৪ ই জুন, ২০১১ ভোর ৫:০৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: তোমার জন্যও শুভকামনা পিচ্চি ভাই। আমার ভাইটা তোমার চাইতেও ছোট। নাইনে পড়ে।
জানিরে পাগল ভাই, জানি তুই আমার ছোট ভাই।
এমনি যেন থাকিস, মনের কোণে রাখিস।
তোমার জন্য দুইটা লাইন। এইবার খুশি তো???
২০| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫৮
অলস রাজা বলেছেন: কি হইসে তোমার? তুমি অসুস্থ জানতাম্নাতো! কাল রাত জাগছিলা নাকি? কমেন্ট গুলা দেখি সব ৪টা ৫টার মধ্যে।
পরিবারের একজন অসুস্থ থাকলে অন্যদের কেমন লাগে তা আমি জানি। তোমার আর তোমার ভাইয়ের জন্য শুভ কামনা।
এই লাইন গুলা কি একটু দেখবা,কোনও আদর নেই, স্নেহ নেই, মমতা নেই। আছে শুধু ভালবাসা......... জোয়ারের জলে দুকূল ছাপানো নিখাদ গভীর ভালোবাসা!
সন্তানের জন্য মায়ের যে ভালবাসা তা আদর , স্নেহ , মমতা হীন কি হতে পারে কখনো? মা বাবার আদর , স্নেহ , মমতায় সিক্ত ভালবাসা নিয়েইতো আমরা বেচে থাকি।
১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ক্যামন আছেন ভাইয়া?? আমি ভালো আছি। আমার কিছু হয় নাই। সামান্য সর্দি জ্বর, আর টনসিল ইনফেকশন।
আমি যে রাতে ঘুমাই, সেই রাত টা অস্বাভাবিক। তবে কোনদিন অনলাইনে থাকি না। কাল ছিলাম, প্রোজেক্টের কাজ করছিলাম।
আমার ভাই টার জন্যে দোয়া করবেন ভাইয়া।
এই লেখাটাকে নিছক একটা গল্প হিসেবে নিলেই মনে হয় ভালো হয়। লাইনগুলো দেখেছি ভাইয়া। গল্পের মেয়েটির চোখ তার মায়ের চোখে এইটাই দেখেছিল হয়ত!! মেয়েটা মৃত্যুর আগে আদর স্নেহ মমতা চায় না হয়ত। মেয়েটার মন হয়ত একটু ভালোবাসার জন্য কাঙাল.........।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
২১| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো ভালবাসায় জড়ানো লেখাটি। পৃথিবীর সব বোনদের কাছে ভাই গুলো আজীবন ছোটই থেকে যায়, বড় হয় না কখনো!
শুভকামনা রইলো তোমাদের জন্য!
ও আর লোটাকম্বলের নায়কের নাম পিন্টু
১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০৬
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপু, পিন্টুর নাম কেন বলে দিলেন??? গেল তো মজা নষ্ট হয়ে!!!
আমার বাড়িতে আজ প্রথম এলেন আপু। কিন্তু স্বাগতম বলার আগেই দিলেন তো মজা নষ্ট করে!!!
আমার তো এখনো মনে হয় আমার ভাই এর বয়স তিন বছর। আধো আধো কথা বলে।
ভালো থাকবেন আপু। আর চকলেটের কথাটা কিন্তু ভুইলেন না।
২২| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:১২
সায়েম মুন বলেছেন:
অনেক দরদ দিয়ে লেখা পোষ্ট। একদম মন খারাপ করা।
ভাই ভাল থাকুক। আপনি, সবাই ভাল থাকুন।
১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৩২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ছোট বেলায় আমার এক সহপাঠী ছিল, ওর নাম রিফাত মেনন মুন। আপনাকে দেখলে আমার ওর কথা মনে পড়ে। ছেলেটা খুব ঝগড়াটে ছিল। আমার সাথে প্রায়ই কথা বন্ধ থাকতো।
২৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:১২
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: দু:খের পোস্ট আমি পড়ি না
১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৩৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: পড়তে হবে না, শুধু চোখ বুলালেই হবে।
ক্যামন আছেন ভাইয়া??
জিএস
দি গ্রেট ইন্সম্নিয়াক ক্লাব।
২৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৫
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন:
কেমন আছিস রে ............
জানালার ওপাশের মানুষ টা কে কি এখন আর মনে পড়ে না ........
পোষ্ট ভালো লেগেছে .........
১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৩
পৃথিলা আফনান বলেছেন: কান্দিস না রে......
আমি ভালোই আছি। তুই ক্যামন আছিস রে??
জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি...।।
নিঃসঙ্গতার সময়েই তো ওই সঙ্গির কথা মনে হয় রে। আবদার করতে ইচ্ছে করে... একসাথে একশো ফানুস উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে নীল আকাশে...
তোকে কি আমার ধন্যবাদ বলা লাগবে???
২৫| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৩৫
পুবের পাহাড় বলেছেন: সোহরাব সুমন বলেছেন: ভালো লিখা ! লেখার সময় লেখক কি ভুলে যায় নাকি পাঠকদেরও আবেগ আছে ! তাদের এমন কান্না হাঁসিতে ভাসিয়ে কীলাভ !
ছোট ভাইটার জন্য শুভকামনা..
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৩৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
২৬| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:০২
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: গায়ে মানে না আপনি মোড়ল
১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: না মানলে নাই।
২৭| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:২২
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।আপনার কি হয়েছে
এক মাসের ওপর হতে গেল আমি অসুস্থ। প্রতিটা নিঃশ্বাসে আয়ু ক্ষয় হয়। এক পা এক পা করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছি। আম্মা খুব করে দেখতে চাচ্ছিল কয়দিন ধরে। তাই বাড়ি গিয়েছিলাম সকাল বেলা। বিকালে চলে আসার সময় আম্মা আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদল, প্রাণখোলা কান্না।
কে অসুস্থ বুঝতে পারলাম না।
আমার কোন ভাই বোন নেই।ভাই বোনের আদর কেমন হয় তাও কোনদিন জানি না।কাজিন রা আসলে শুধু দু চারটা কথা হয়।আর সারাদিন ব্লগ আর ফোরামই আমার দুনিয়া।
আপনার ও আপনার ভাইয়ের জন্য শুভকামনা।
১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আমার কিছু হয় নি। আমি ভালো আছি। গল্পের বোনটা অসুস্থ।
আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
২৮| ১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:২০
মো: জিল্লুর রহমান সোহাগ বলেছেন: কতগুলো ভালোবাসা আছে যেটার প্রকাশটা সবার নজরে না এলেও তার গভীরতাটা অনেক বেশি। আমরা আসলে নিজেরাই জানিনা আমরা কাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি । শুধু সময় বলে দেয় । ছেলেবেলায় আমার ছোট আপুর সাথে খুব ঝগড়া হতো , মনে হতো ও আমার সবচেয়ে বড় শত্রু , এবং এই ধারনাটা ছিলো কুয়েটে ভর্তি হবার আগ পর্যন্ত , কিন্তু যখন ওকে ছেড়ে কুয়েটে পড়তে এলাম একদিন আবিষ্কার করলাম আমি ওকেই সবচেয়ে বেশি মিস করি এবং ভালোবাসি, কি রকম অদ্ভুত তাইনা ???????
১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: হুম, ভালোবাসা বড্ড অদ্ভুত। ধরা দেয় না কিছুতেই।
ক্যামন আছেন বড়দাভাই??
২৯| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
লিটল হামা বলেছেন: অসম্ভব মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। শুভকামনা রইলো অনেক।খুব সুন্দর লিখেছো।
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: লিটল হামা ভাই আমার বাড়িতে!!!! :O
ধন্যবাদ হামা ভাই। দোয়া করবেন, এমন লেখা যেন আরও অনেক লিখতে পারি, অনেক দিন লিখতে পারি।
৩০| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১২
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: লেখাটা আগেই দেখেছি কিন্তু সময়ের অভাবে পড়া হয়নি। এখন পড়লাম। আমি বাড়ির ছোট ছেলে এবং পরিবারের ভীষণ কালো ভেড়া। মা প্রায়ই রেগে গিয়ে বলত তোকে পেটে ধরছিলাম তাই মায়া লাগে নয়ত কবেই বাড়ি থেকে তাড়ায় দিতাম। শুনে কষ্ট হত। বুঝতে পারতাম না আমার দোষটা কোথায়। মা এখন আর এসব বলে না। বলার সুযোগ পায় না তাই। তবে আমাকে নিয়ে মা বাবার ধারণা যতদূর বুঝি আগের মতই আছে। আরেকটা জিনিস বুঝি এখন। আমার অপরাধটা ছিল আমি প্রথাগত ভাবে আর সবার মত করে বড় হতে চাইনি। এখন চেষ্টা করি আমার ছেলে যেন আমার কাছ থেকে এমন কোন কথা না শোনে যা তার বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধতে পারে।
চমৎকার লেখা। ভাল লাগল।
প্রজাপতি স্বপ্নেরার আরেকটা পর্ব পোষ্ট করেছি । বোধ হয় খেয়াল করেনি।
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি পড়েও এসেছি পঞ্চম পর্ব। মন্তব্য করা হয় নি, এই যা।
ভালো আছেন ভাইয়া??
৩১| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২৮
আরিফ্ ৯১ বলেছেন: অয়াও। এই না হলে লেখা! চমৎকার। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন আমার চোখে পানি এখন। আপনারা ২ জন ই ভাল থাকুন। আর আপনার ভাইটিকে ব্লগে আনুন।
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: (লজ্জা মাখা হাসি মুখের ইমো হবে)
ভাই কে বলব। তবে ও তো লেখে না। দেখি। আপাতত ছবিটা দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ক্যামন আছেন??
৩২| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:০০
আরিফ্ ৯১ বলেছেন: ভাল ভাল। তবে বেশ কিছু ব্লগীয় ক্যাচালের ভিতরে পড়ে গেছি। সাম্প্রতিক কমেন্ট দেখলেই বুঝবেন।
হায়রে কি যে অবস্থা! অবশ্য আমি যে মজা একেবারেই পাচ্ছি না ব্যাপারটা সে রকম নয়।
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:২২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ক্যাচাল ভালো না।
৩৩| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৩০
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: মন ভালো?? নাকি খারাপ ??
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৩৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: দুপুরে ক্লাস টেস্ট আছে। তাই মন ভালো, মেজাজ একটু খারাপ। পড়া মাথার উপ্রে দিয়া যাইতেছে।
৩৪| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৩৮
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: তাহলে মন্তব্য করে আসেন। জানেন না মন্তব্য লেখকের উ-ৎ-সা-হ বাড়ায়। একে তো লম্বা লেখা দেখে কেউ পড়তে চাচ্ছে না। তার উপর আপনি পড়েও যদি মন্তব্য না করেন তাইলে তো আমাকে জঙ্গলে গিয়া কাঁদতে হবে।
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৪৩
পৃথিলা আফনান বলেছেন: কাল করি ভাইয়া?? ঘুম ধরছে তো(মাথা চুলকানোর ইমো)
কাল যাব ভাইয়া। প্লিজ কাইন্দেন না।
৩৫| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৪৭
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ক্লাস টেস্ট থাকলে মন ভালো থাকে?? খাইছে..কার এখানে আসলাম....উনি তো দেখছি বিদ্যাসাগর ( ১০০০হাজার ভোল্টের শক খাওয়ার ইমু)
১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: সাগর একটু কম হয়ে গেল না?? মহাসাগর হইলে ভালো হয়।
বিদ্যামহাসাগর!!!!
বেশি পড়লে আমার মন খারাপ হয়ে যায়,আর কম পড়লে মেজাজ।
৩৬| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:০০
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: যাও যাও ঘুমোতে যাও...এক গ্লাস হরলিক্স খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো..কাল না তোমার পরীক্ষা ( বড় ভাইয়ের ভাবের ইমু )
১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:০৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: এখন হরলিক্স খাওয়ার মতো এনার্জি নাই। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভাইয়া, পা দুইটা দেন, পরীক্ষার আগে কদমবুসি কইরা লই।
পরীক্ষার জন্য দোয়া করেন ভাইয়া। কী যে হবে আল্লাহ মালুম। কিছুই মাথায় ঢুকে না। সাইন্স অফ ম্যাটেরিয়ালস একটা জঘন্য বিষয়। ২ ক্রেডিটের পড়া মনে হয় ৫ ক্রেডিট!!!
শুভরাত্রি ।
৩৭| ১৬ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:২৬
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: কিছু পারো আার না পারো...লিখে যাবা..টিচার রাও অনেক কিছুই বুজে না..
ফাস্ট ইয়ারে..হিট এবং থার্মোডায়ানোমিক্সে ৭২ এন্সার কৈরা ৬৭ পেয়েছিলাম..তার মধ্যে উল্টাপাল্টা লিখেছিলাম প্রায় ১৫ এর মত..
..ম্যাডান ধরতে পারলো না কেন এটা একটা রহস্য..
যাইহোক...ভাল পরীক্ষা দিও ..শুভ নাইট..
১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৬
পৃথিলা আফনান বলেছেন: পরীক্ষা তো পুরাই ফাটাইয়া ফেলসি।
পড়ছিলাম খুব পরীক্ষাটার জন্যে। কিন্তু যেই ৩ টা প্রশ্ন বাদ দিছি, স্যার সেই তিনটাই দিছে।
বানায়া বানায়া ফুল আন্সার দিয়া আসছি। ৭৫% পামু ইনশাআল্লাহ।
৩৮| ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ২:২৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লিখেছেন, মন ভার করে দিয়েছেন বলা যায়...
এক কথায় শেষ করি, আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা...
১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৪
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকবেন আপনিও।
৩৯| ১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৫২
চশমখোর বলেছেন: দোয়া করি আল্লাহ যেনো আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়।
আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আসলে যাদের নিয়ে কেউ কখনো আশা করে না তারাই শেষ সময়ে এসে দেখিয়ে দেয় তারা কি জিনিস। এটাকে বলে ছাই চাপা আগুন। আগুন একবার জ্বলে গেলে নেভানোর সাধ্য কারো নেই। দোয়া করি আপনার ছোট ভাইয়ের আগুন যেনো সারাজীবনই জ্বলজ্বল করুক।
আপনাদের দুই ভাইবোনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৩১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আমি সুস্থ হয়ে গেছি। আপনাদের সবার শুভকামনার জন্যে আর অসুস্থ থাকতে পারলাম কই???
আজকে আমার ভাই আরও একটা দুর্ঘটনা ঘটাইছে। জুনিয়র বৃত্তির রেজাল্ট পাইলাম। সে জেলায় ২য় হইছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৪০| ১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৩৬
চশমখোর বলেছেন: আপনি সুস্থ হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।
আপনার ভাইয়ের সাফল্যের জন্য তাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
আপনিও ভালো থাকবেন। আমার ব্লগে আপনাকে স্বগতম।
ভাই বোনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
২০ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:২৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন: (হাসি হাসি মুখ। কিছু বলার নাই আর)
৪১| ২০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:০১
চতুষ্কোণ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর মায়াময় গভীর একটা লেখা। আবেগের এই শুদ্ধতম প্রকাশে মূক হয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। ভালো থাকুক আপনার ছোট ভাই এবং পরিবারের সবাই। শুভকামনা রইলো।
২১ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৪
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সেই সাথে আমার বাড়িতে স্বাগতম!
আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
৪২| ২৪ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কান্না পাচ্ছে রে আপু!
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৩১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: কেন আপু?? প্লিজ কেঁদো না। আমি চকলেট দেবো, কেঁদো না প্লিজ। কাউকে কাঁদতে দেখলে আমারও যে কান্না পায় আপু।
৪৩| ২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৫৮
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: রক্তের সম্পর্ক আর পারিবারিক বন্ধন যে কি জিনিষ সেটা আপনার লেখা পড়ে উপলব্ধি করতে পারলাম!! গভীর আবেগ দিয়ে লিখেছেন। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ও আপনার ভাইয়ের জন্য রইল শুভ কামনা।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:১৮
পৃথিলা আফনান বলেছেন: কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনিও মনে হয় প্রথম এলেন আমার বাড়িতে। স্বাগতম।
আপনার জন্য ও শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
৪৪| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৪
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: লেখাটা অসম্ভব টাচি। কিছুক্ষনের জন্য সময় থেমে গিয়েছিল।
রোল নং ১? ওরে বাবা, এইটা কি জিনিস? যাদের রোল ১ হত, তাদের আমার মানুষ মনে হতনা। তুমি কি মানুষ? আমার তো মনে হয় তোমাকে ছোটবেলা থেকেই জ্বীনে ধরছে। জ্বীনই সব পড় দেয়।
বাবুর জীবন অনেক সুন্দর হোক, ইন্সাল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।
আর পৃথি আন্টির কি আসলেই শরীর খারাপ?
হতেই পারেনা। পৃথি আন্টি বলছিলো যে আমার পিচ্চিদের ছড়া বলে শুনাবে। ওই সময় তো আরো অনেক বছর পর আসবে। প্রতি নিশ্বাসে তো সবারই আয়ু ক্ষয় হয়, তোমার যেন একটু কম হয়, এই কামনা আপু। ভালো থেকো সবসময়।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৯
পৃথিলা আফনান বলেছেন:
আয়ু ক্ষয়ের ব্যাপারটা আপনিই বুঝলেন ভাই। ওই সময়টায় খুব জালাচ্ছিল টনসিল নামের এক দুষ্টু গ্ল্যান্ড। এখন একদম ঠিক ঠাক।
৪৫| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন:
আয়ু ক্ষয়ের ব্যাপারটা আপনিই বুঝলেন ভাই। ওই সময়টায় খুব জালাচ্ছিল টনসিল নামের এক দুষ্টু গ্ল্যান্ড। এখন একদম ঠিক ঠাক।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: দিলাম কমেন্টের জবাব, আর এইটাই একটা কমেন্ট হয়ে গেল!! বেশ বেশ!!!
৪৬| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:১৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কি অদ্ভুত সুন্দর আবেগময় একটা লেখা! ছোটভাইটার জন্য আর তার বোকা আপুটার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। ভাল থাকুক সবাই।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১৩
পৃথিলা আফনান বলেছেন: সমুদ্র কন্যা আপুটারও যেন ভালো থাকা হয়।
৪৭| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৫০
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
আপনার ভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা।
কিন্তু লেখার শেষের দিকে এসে মনটাই খারাপ হয়ে গেল
০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫০
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আমি অনেক পচা। সবার মন খারাপ করিয়ে দিলাম।
৪৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৯
যাযাবর অভিধান বলেছেন: হঠাৎ চোখে পড়ল লেখাটা...
আমার কাছে পৃথিবীতে তারাই (ছেলেরা) সবচেয়ে সুখী যাদের বড় বোন আছে...
আর তাদের জীবনে কোন টেনশন নাই যাদের বড় দুই বোন আছে...
আমি হতভাগা... টেনশনহীন হয়েও থাকতে পারি নাই...
ছোটবেলায় কেউ কিছু বললে অভিমানে কত বালিশ ভিজিয়েছি... বাবা মা কারো কাছে না... শুধুই আমার আপুদের কাছে... অভিমানে... কেন থাকলে না... কেন রেখে গেলে আমাকে একা ছেড়ে... জান্নাতের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় থেকো তোমরা...
আপনার লেখা অসম্ভব ভালো লাগলো...ছোট ভাই সেরে উঠুক জলদি...
১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৩১
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপনার আপুদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আমার আর আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার যদি একটা বড় আপু থাকতো!!
৪৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৮
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: দারুণ। হৃদয় ছোঁয়া। প্রিয়তে।
২০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:২৪
পৃথিলা আফনান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫২
শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: প্রথম প্লাস .........
পিচ্চি অনেক ভালো লিখে