নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Que sera, sera

আমি , আমার ভাবনা এবং আমার দেশ *আমার সোনার বাংলাদেশ ****** Life is not about counting the breaths you take it is measured by the moment that take your breath away***** ইমেইল: [email protected]

নতুন

ইমেইল [email protected] স্বপ্ন দেখি নতুন বাংলাদেশের, সোনার বাংলা।শখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। অবসর সঙ্গী আমার কম্পিউটার আর বই। ভালবাসি-আমার জানটুপুটুস কে, নিজেকে, আমার মা, মাটি আর দেশকে

নতুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোমিওপ‌্যাথি ____ ঔষুধ না ফাকি? ১ম পব` ( তৈরি পদ্বতী)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:২৬



হোমিওপ‌্যাথি শুরু করেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ..১৭৯৬ সালে... যা আজও সারা বিশ্বের অনেক মানুষের কাছে একটি নিরাপদ চিকিৎসা হিসেবে বিশ্বাস যোগ্য এবং অনেকেই ব্যবহার করেথাকেন . আমাদের দেশেও নিরাপদ পাশ`প্রতিকৃয়াহীন চিকিৎসা হিসেবে এর গ্রহনযোগ্যতা ব্যপক....



কিন্তু যখন দেখি হোমিওপ‌্যাথি ডায়াবেটিকস, হেপাটাইটিস বি, সি ক্যন্সারের মতন রোগের চিকিৎসা করছে তখন মনে খটকা লাগে আসলেই হোমিওপ‌্যাথি র এই দাবি কতটুকু সত্যি হতে পারে?



হোমিওপ‌্যাথির ঔষুধ কিভাবে তৌরি হয়? : হোমিওপ‌্যাথির তৌরির একটা প্রকৃয়া হইলো Dilutions ...

এখানে যেই জিনিসটা রোগের উপশম করবে... তাকে ১ পরিমানকে ১০০ পরিমান এলকোহল বা বিশুদ্ধ পানির সাথে মিশিয়ে তাকে ১০ বার ঝাকানো হয়....

তার পরে ঐ খান থেকে ১ পরিমান নিয়ে ১০০ পরিমানের সাথে মিশিয়ে ১০বার ঝাকানো হয়... তাহলে পরবত` পাওয়ারের দ্রবন পাওয়া যায়...



X Scale C Scale

1X — 1:10

2X 1C 1:100

6X 3C 10−6

8X 4C 10−8

12X 6C 10−12

24X 12C 10−24

26X 13C 10−26

60X 30C 10−60 ৩০ সি দ্রবন এর উপরের ক্ষমতা হ্যানিম্যন চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতেন... এবং ব`তমানের হোমিও ডাক্তারা ব্যবহ র ক ে থাক..



এইখানে যত বেশি দ্রবভিত করা হবে ওষুধের তত ক্ষমতা বাড়বে>>>



কিন্তু গন্ডগোল বাধে এইখানেই.... যত বেশি পানির সাথে মিশানো হবে... মুল দ্রবনের অনুর সংখ্যা ততই কমতে থাকবে.... যখন ১৩ সি এর উপরে যাওয়া যায়... তখন ঐ দ্রবনে মুল দ্রবনের ১টা অনুর উপস্থিতি থাকার কোন সম্ভাবনা থাকে না...



১৩সি বানাতে মুল দ্রবন কে সারা পৃথিবার সব পানিতে মিশিয়ে ১০বার ঝাকাতে হবে... ঐ দ্রবনথেকে ১ ফোটা হলো ১৩সি দ্রবন :|



তাই ১৩সি দ্রবনের উপরে গেলে আসল জিনিসের ১ অনুও তাতে থাকতে পারে না...



কিন্তু বাজারে ২০০সি মানের হোমিও ওষুধ পাওয়া যায়... Oscillococcinum নামের ঔষুধ influenza-লক্ষনের জন্য বাজারে পাওয়া যায়... যা তৌরি হয় Muscovy হাসের লিভার ও হাট` থেকে.... ২০০সি মানের ঔষুধ বানাতে উপরের ছবির Dilutions ২০০ বার দ্রবভীত করা হয়.... যাতে ঐ হাটে`র ১ মৌল তাতে পাবার কোন সম্ভাবনা নেই...



তাহলে কিভাবে মানুষের কাজ হয় :- মানুষের মনের বিশ্বাসে অনেক সময় সে ভাল বোধ করে.... আর্ একজন হোমিও ডাক্তার মনদিয়ে রোগীর কথা শোনেন.... তাতে রোগীর বিশ্বাস জন্মে এবং তার শরিরের প্রতিরোধ ক্ষমতাই তাকে সারিয়ে তোলে.... একে বলে Placebo ইফেক্ট....





ব্লগার রিপেনডিল নিচে কমেন্টে খুবই সুন্দর ভাবে হোমিও কিভাবে কাজ করে তার কিছু্ব্যক্ষ্যা করেছেন...

--------------------------রিপেনডিল---------------------------------



এবার দেখুন হোমিও খাইলে কিভাবে রোগ ভালো হয়ঃ



প্লাসিবু ইফেক্ট- অর্থাৎ মনের বিশ্বাস থেকে নিরাময়, বিশ্বাস থাকলে পানি খেলেও রোগ ভালো হতে পারে, উদাহরন উপরে দিয়েছি।



বয়ান- বেশিরভাগ হোমিও ডাক্তার দেখবেন খুব অমায়িক, ধার্মিক, দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পরা সৌম্য চেহারার বয়স্ক একজন। কথা মন দিয়ে শোনেন, সময় নিয়ে বোঝান, রোগ ছাড়াও আশেপাশের বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইত্যাদি কারনে ডাক্তারের উপরে এমনিতেই ভক্তি চলে আসে আর বিশ্বাসটা আসে সেখান থেকেই।



প্রাকৃতিক নিরাময়- মানুষের শরীর এমনই এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র যা নিজেই নিজেকে সুস্থ করতে পারে। রোগের পাচটি পর্যায় আছে যার একটি হল নিরাময় পর্যায় যা এমনিতেই ঘটতে পারে। কবিরাজ, ঝাড়ফুক, তাবিজ, মাদুলিওয়ালারা এই পর্যায়ের উসিলাতেই বেচে আছে। ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে এই আর কি।



ব্যাতিক্রমি উপদেশ- অনেক সময়েই হোমিওবিদেরা দেন, যেমন আপনার ধরুন জয় বাংলা রোগ অর্থাৎ চোখ উঠেছে, তিনি দাওয়াই দিলেন আর বললেন আপনি কলা খাবেন না একদন, অথবা প্রতিদিন সকালে একটা কলার তিন ভাগের একভাগ পানিতে ভিজিয়ে ৫ দিন খাবেন!!! এই যে ব্যাতিক্রমি একটি উপদেশ পেলেন এটা একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করবে আপনার মনে তথা শরীরেও!



রোগের পর্যায়- দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন, নানা রকম ডাক্তার দেখিয়েছেন, টেস্ট করে করে আর এলোপ্যাথি খেয়ে ক্লান্ত (এলোপ্যাথি কেন কাজ করেনা সেটা পরের কমেন্টে বলব) এমন অবস্থাতেই সাধারনত হোমিওপ্যাথির কাছে যায় মানুষ। আর এখানেই ঝড়ে বক পড়ে। আগেই বলেছি রোগের একটা প্রাকৃতিক চক্র আছে, ৫ ধাপের এই চক্রের শেষ দুটি ধাপে নিরাময় হয় প্রাকৃতিক ভাবেই (সব রোগ বা সব ক্ষেত্রে নয়)।

রোগ আর রুগীর ধরন অনুযায়ী এসব ধাপের সময়কাল এক এক রকম। রোগের অবস্থা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার কিছু পরেই নিরাময় পর্যায় শুরু হয়। কিন্তু ওই সর্বোচ্চ অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়, এই ক্ষেত্রে নিরাময় পর্যায়ের আগে যে ব্যাটা হোক সে কবিরাজ কিংবা হোমিও কিংবা মাদুলী ওয়ালা সেই কেরামতি দেখিয়ে ফেলতে পারে।



খিচুড়ী চিকিতসা- অনেকে হোমিও এর সাথে এলোপ্যাথিও চালান, কবিরাজীও চালান। ভাল হলে স্বভাবতই পুরষ্কার যায় হোমিও এর ঘরে! আসলে যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভালো হয়েছে তার কেচ্ছা আড়ালেই থেকে যায়।



বন্ধ- হোমিওরা বলেন এলোপ্যাথি যা খাচ্ছেন বন্ধ করেন, সার্জারি করবেন না, ইঞ্জেকশোন নেবেন না। এতে একটা লাভ আছে। এলোপ্যাথি ওষুধ গুলো হোমিও এর পুরিয়া এর মত মিষ্টি নয় আর এগুলো যেহেতু আসলেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রস্তুতকৃত কার্যক্ষম ওষুধ তাই অনেক সময় অনেকেদের দেহে এগুলো সহনীয় হয় না, আর সার্জারির ভয় তো আছেই। তাই হোমিওবিদ এগুলো বাদ দিতে বলায় রোগীর অবচেতন মন (যা আগে থেকেই এগুলো বাদ দিতে বলছিল) উতফুল্ল হয় এবং উপশম ঘটায়, তবে প্রকৃত রোগ আড়ালেই থেকে যায় এবং রোগীর মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায়।



জীবন পদ্ধতি- মোটামুটি সব হোমিওবিদেরা জীবন যাত্রা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন যেগুলো আসলেই কাজের যেমন নিয়মিত হাটাচলা করা, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, বেশি করে ফলমূল খাওয়া, শাকশবজি খাওয়া, গোস্ত কম খাওয়া, কম ঘুমানো ইত্যাদি। রোগ এতে ভাল হবে নিশ্চয়ই।



সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

--------------------------রিপেনডিল---------------------------------





কিন্তু আপনদের কি মতামত হোমিওপ্যথি সম্পকে??? এটা ঔষুধ না ফাকি?



আগামিতে আসবে হোমিওপ্যথির উপরে চালানো কিছু গবেষনার কথা...

জেমস রান্ডির ১মিলিওন ডলার পুরুস্কারের কথা... .

পানির মনে রাখার ক্ষমতার কথা>>



এই বিষয়ে আপনাদের মতামত এবং অভিঙ্গতার কথা লিখুন...

মন্তব্য ১৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:৩৮

ইসরা০০৭ বলেছেন: আমি মনে করি হোমিওপ্যথিক ভালো এতে সাইডএফেক্ট নাই:)

পোষ্ট ভালো লাগলো।
আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৫৩

নতুন বলেছেন: সাইডউফেক্ট নাই কথা সত্য...... B-))

কারন ঐ জিনিসের ভেতরে বিশুদ্ধ পানি ছাড়া আর কিছুই নাই....

তাই কোন কিছুই হবার ভয়নাই...

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:২৮

তর্পন বলেছেন: বছর তিনেক আগে যখন এমন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দেই প্রতিক্রিয়া ছিল বিস্ময়কর। একজন ব্লগারের হোমিওপ্যাথি নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা পাবেন সেই পোস্টের লিঙ্কে।


হোমিওপ্যাথি: একটি অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসাব্যবস্হা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৫৮

নতুন বলেছেন: আপনার লেখাটাও ভাল হয়েছে...

:)

অনেকে পানি পড়া... ঝাড়ফুকেও উপকার পেয়েথাকে...

হোমিওর উপকারের % ও ঐ রকমের..

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৫৩

আজমান আন্দালিব বলেছেন: আমি জানিনা হোমিওপ্যাথিতে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এ জাতীয় রোগের নিরাময় হয় কিনা। তবে ছোটখাট দুয়েকটি রোগের বিষয়ে বলবো যেগুলোতে আমি উপকার পেয়েছি এবং এখনও সুস্থ আছি আল্লাহর রহমতে।

এসএসসি পরীক্ষার আগে আমার পাইলসের ভীষণ সমস্যা ছিল। চেয়ারে বসতে পারতাম না। রক্তক্ষরণ হতো। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানিয়েছিলেন অপারেশন করতে হবে। আমার নানা ছিলেন শখের হোমিও ডাক্তার। প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পাশাপাশি হোমিও প্র্যাকটিস করতেন গ্রামের বাড়ীতে। আশেপাশের দশ গ্রামে নানার এই যশ ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকায় আমাদের বাসায় বেড়াতে এলে নানাকে সমস্যা খুলে বললাম। তিনি আমাকে ওষুধ দিলেন। খেয়ে সেই যে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছি আজ প্রায় ৩০ বৎসর যাবত আর সমস্যা হয়নি।

ভার্সিটিতে যখন প্রথম বর্ষে পড়ি আমার মাথার চুল পড়ে গিয়ে টাক হয়ে গিয়েছিল। সে সময়ের কিছু ছবিতে আমি লজ্জায় কালি দিয়ে টাক ঢেকে অ্যালবামে রেখেছিলাম। আমার বন্ধুরা আমাকে ক্ষেপাত দোস্ত, তুই মাস্টার্স করার আগে তোর মাথা মাস্টার্স করবে। ঘুম থেকে উঠলে বালিশ বিছানা জুড়ে শুধু চুলই পরে থাকতে দেখতাম। দেখে কান্না পেত। নানাকে এই সমস্যার কথা বলায় তিনি ওষুধ দিলেন। চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেল। আল্লাহর রহমতে একনও আমার মাথায় যে চুল আছে তাতে অন্তত টাক পড়বে না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আমার ডান হাতের কব্জির সংযোগস্থলে একটা ছোট্ট টিউমার হয়েছিল। প্রথম প্রথম এটাকে পাত্তা দেইনি। আস্তে আস্তে এটা বড় হতে থাকে। একসময় এমন অবস্থা হলো যে লিখতে গেলে ব্যাথা পাই। কোনো কাজ করতে গেলে ব্যাথা পাই। সামনে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। ভার্সিটির মেডিক্যালে ডাক্তার দেখালাম। তারা বলল অপারেশন করে টিউমার ফেলে দেওয়া ছাড়া গতি নাই। ছোটখাট একটা টেবিল টেনিস বলের মতো ফুলে থাকা টিউমারটাকে নিয়ে আমি আতঙ্কে পড়ে গেলাম। চবি'র ছাত্র ছিলাম। হলের দারোয়ান আমার এ অবস্থা দেখে একদিন পরামর্শ দিলেন মদনহাট এক ডাক্তার আছে। ওনার কাছে যাওয়ার জন্য।

ব্যাথায় টিকতে না পেরে একদিন বিকেলে সেই হোমিও ডাক্তারের কাছে গেলাম। তিনি আমাকে একটি শিশি আর কাগজে মুড়িয়ে ৩ পুরিন্দা ওষুধ দিয়ে বলে দিলেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ দিন এগুলো খেতে হবে। ১০ টাকা ফি নিলেন। হাতের ব্যাথায় আমি বাঁচি না আর এ ওষুধে কি হবে ভেবে পরদিন সকালে খালি পেটে সবগুলো একসাথে খেয়ে ফেললাম। আর অপেক্ষায় থাকলাম কবে অনার্স পরীক্ষা শেষ হবে আর ঢাকা এসে অপারেশন করে এই যন্ত্রণাটাকে ফেলে দেব। ওমা তিন চারদিন পরে দেখি শক্ত টেবিল টেনিস বলটা কেমন যেনো নরম নরম মনে হচ্ছে। আস্তে আস্তে এটা ছোটও হতে লাগলো। পরীক্ষার টেনশনে আর কিচু মনে ছিল না। পরীক্ষার পর একদিন দেখলাম হাতের টিউমারটা আর নেই। এখন পর্যন্ত আর এরকম উপসর্গ দেখা দেয়নি। সেই ডাক্তারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আর কখনো যাওয়াও হয়নি।

আমার দুই হাতের দশ আঙুল জুড়ে আঁচিল হয়েছিল। কি যে অস্বস্তি লাগত! বিশ্রী রকমের আঁচিলগুলো ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে দিতাম। রক্তপাতও হতো। এলাকার এক প্রবীন ডাক্তারের কাছে সমস্যা নিয়ে গেলাম। তিনি ওষুধ দিলেন। আস্তে আস্তে আঁচিলগুলো যে কোথায় উধাও হয়ে গেল আল্লাহ মালুম।

আমি জানিনা যে রোগগুলোর কথা বললাম সেগুলো হোমিও প্যাথি ওসুধে ভালো হয়েছে নাকি আমার বিশ্বাস থেকে ভালো হয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস ডাক্তার যদি রোগের লক্ষণটা পুরোপুরি বুঝে ওষুধ নির্বাচন করেন সেক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেষ্ট। অবশ্য ক্যান্সার, জন্ডিস এগুলো হোমিওপ্যাথিতে ভালো হয় কিনা আমি জানিনা। তবে যদি কখনো এ সমস্ত রোগ ধরা পড়ে তবে প্রথমে হোমিও চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবো...হাহাহা...

আপনার পোস্টটি পর্যবেক্ষণে রাখলাম। দেখি হোমিও চিকিৎসার পক্ষে বিপক্ষে কি মন্তব্য আসে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১৭

নতুন বলেছেন: বৈজ্ঞানিক ভাবে কিছু জিনিসকে সত্য মানতে হলে প্রমান থাকতে হবে যে কিভাবে এটা কাজ করে....

হোমিও ঔষুধের তৌরি প্রকৃংয়াই এমন যে এতে আসল ঔষুধের ১টা মৌল আপনাকে দেওয়া পুরিয়া বা তরলের ভেতরে পাবেন না....

তাই ঐজিনিসকে কিভাবে ঔষুধ বলে মানা যায়?

মানুষ কিন্তু পানিপড়া খেয়েও সুস্হ হয় বলে দাবি করে...

হোমিও পদ্বতি দাবি করে যে পানির স্বরনশক্তির কথা.. কিন্তু আসলেই কি তা সম্ভব??? ( এই নিয়া পরের পবে` লিখবো)

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৫৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: অন্ধকারে বসে বসে টাইপ করেছি। তাই দু'একটি বানান ভুল হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বিষয়টি আলোচনায় আনার জন্য। জানার আগ্রহ রইল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২০

নতুন বলেছেন: আরে আমিও বাত্তিজালাইয়াই লিখছি.... আমার কি বানান ভুল কম হইছে.. ? :)

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:০৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
এক সময়ে আমি সাইনাসের আক্রমনের শিকার হয়ে অনেক ভুগেছি। আমার পরিবারে অনেক বড় বড় ডাক্তার আছেন, তাঁরা তাঁদের চিকিতসা পদ্ধতি মোতাবেক আমাকে অনেক বড়ী গিলিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সব বড়ি খেয়ে আমার কোনই উপকার হয় নাই। রীতিমত অনেক ভোগা ভুগেছি।

আমার এক ফুফাতো ভাই, শখের হোমিওপ্যাথি করেন, আমার এ সমস্যা শুনে বললেন যে আমি একটা ঔষধ দিচ্ছি, দুই পুরিয়া খেয়ে দেখ। আল্লাহ চাইলে সুস্থ হয়ে যাবে। আমি তেমন বিশ্বাস করি নাই। তারপরেও উনার কথা শুনে খেলাম। আজ প্রায় বিশ বছরের উপরে হতে চলল, আল্লাহর রহমতে সাইনাসের সমস্যা আমাকে আর জ্বালায় নাই।

আমার ছেলের জন্মের চার মাসের মাথায় এমন পাতলা পায়খানা হল একবার যে কোন ঔষধেই কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। আমি আমার পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা মনে করে আমার ফুফাতো ভাইয়ের কাছেই গেলাম। উনি দুইটা ঔষধ দিলেন। একটা খাওয়ালে পাতলা পায়খানা প্রথমে বন্ধ হবে, পরের ঔষধটা এর পরে দিতে হবে। উনি যে সব কথা বলেছিলেন, ঠিক ঠিক তাই ঘটল; এবং ছেলের পাতাল পায়খানা সেই ঔষধ খাওয়ানোর আধাঘন্টার ভেতরে বন্ধ হয়ে গেল। আমার কাছে মনে হচ্ছিল এইটা একটা মিরাকল।

এরপরে বাচ্চাদের জন্য আমি নিজে হোমিওপ্যাথি চর্চা শুরু করি। আমার নিজের পেশার সাথে হয়ত তা মানানসই নয়, তারপরেও করি। আমার অভিজ্ঞতায় এইটুকু বলতে পারি, ছোট বাচ্চাদের জন্য হোমিওপ্যাথি একটি উত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা। আর বড়দেরও অনেক অসুখের নিরাময় এই পদ্ধতিতে হতে পারে।

পোস্টটা পর্যবেক্ষনে থাকল। আমি সবার অভিজ্ঞতা ও মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

নতুন বলেছেন: আমিও দেশে থাকতে এক হোমিও ডাক্তার আংকেলের কাছে যাইতাম... ( বাবার সাথে ভাল সম্পক` ছিলো)

আমি ঠান্ডা বা অন্য কোন সমস্যা নিয়া গেলে উনি কিন্তু কোন পুরিয়া ধরাইয়া দিতেন না...

কম্পাউন্ডারকে একটা স্লিপ দিতেন... আর ওরা এক বা দুই ফোটা আমাকে খাওয়াইয়া দিতেন....

আমি ব্যাখ্যা করতে পারবো না কিভাবে আপনার উপরের সমাধান হয়েছে.... কিন্তু হোমিও ওষুধ বলে বাজারে যা বিক্রি করে তাতে মুল উপাদানের ১টা কনাও থাকেনা... আর এইটা বিশুদ্ধ পানি/ এলকোহলে ছাড়া আর কিছুই না...

এখন আপনি বলেন বিশুদ্ধ পানি কতটুকু কাজ করতে পারে ওসুখ সারাতে...

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:০৮

ঝটিকা বলেছেন: আপনি অষুধ তৈরীর যে বর্ননা দিয়েছেন সেটা সত্যিই অবৈজ্ঞানিক/ অকার্যকর কিনা জানিনা। তবে বিশ্বে জার্মান আমেরিকার মত বড় বড় দেশেও কিন্তু এখনো হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরী এবং ব্যাবহার হচ্ছে।

আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছি। আমার গালে চোয়ালের হাড় বড় হয়ে গিয়েছিল। গাল হা করলে শব্দ হত এবং সাথে ব্যাথাও হত। মাত্র দুইবার অষুধ খেয়ে পুরো ভালো হয়ে যায়। চোখে একটা আচিল হয়েছিল, অনেকদিন ছিল। একবার অষুধেই ওটা পড়ে যায়।
উন্নত দেশে বাচ্চাদের জ্বর, ঠান্ডা কাশির মত অশুখে তেমন একটা অষুধ দেয় না। কিন্তু বাংলাদেশে একটু কিছু হলেই কড়া কড়া এ্যান্টবায়টিকের কোর্স করতে বলে। পরবর্তিতে ঐসব অষুধের পার্শপতিক্রিয়ায় বাচ্চাদের অনেক ক্ষতি হয়। আমাদের ফ্যামিলিতে কয়েকটা বাচ্চার এমন হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি নিরাপদ এবং কার্যকর।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৪

নতুন বলেছেন: তবে বিশ্বে জার্মান আমেরিকার মত বড় বড় দেশেও কিন্তু এখনো হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরী এবং ব্যাবহার হচ্ছে।

ইংল্যান্ডের রানী, হলিউড সেলিব্রেটি রাও অনেকেই হোমিও ব্যবহার করেথাকে...


উপরে আমি হাসের লিভার থেকে তৌরি Oscillococcinum হোমিওর বিরুদ্ধে আমেরিকায় একটা মামলা চলছে.... সেই কম্পানির মুখপাত্র এক প্রশ্নের জবাবে নিচের কথা বলেছিলো>>
When Boiron's spokeswoman Gina Casey was asked if a product made from the heart and liver of a duck was safe, she replied: "Of course it is safe. There's nothing in it

she replied: "Of course it is safe. There's nothing in it >> এটা নিরাপদ কারন এতে কিছুই নাই... ;)


কারন সত্যি হলো ঐ দ্রবনে মুল দ্রবনের কিছুই নাই... এটা ২০০সি দ্রবন বাজারে ছাড়ে কম্পানি..

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:০৯

আসিফুজ্জমান তমাল বলেছেন: আমার মুখের আচিল সমস্যা ও ভাল হয়েছে।এ ব্যপারে আপনার বিশদ লেখা আশা করছি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২০

নতুন বলেছেন: কি ভাবে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সামাধানে হচ্ছে.. তা নিয়ে আমি বলতে পারবোনা...

মানুষ পানিপড়া, ঝাড়ফুকেও কাজ হয় বলে দাবি করে থাকে... :)

আমি এই সিরিজে... হোমিও কেন বিশুদ্ধ পানির চেয়ে বেশিকিছু না তা নিয়ে আলোচনা করবো...

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:২৯

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: আমাদের দেশের ১০০% ভন্ড হোমিওপ‌্যাথি চিকিতসকদের জন্যই এখন আমাদের দেশে হোমিওপ‌্যাথি চিকিতসা পদ্ধতিটাই ভন্ডামী হয়ে গিয়েছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৫

নতুন বলেছেন: শুধু দেশের হোমিওপ‌্যাথি চিকিৎসকদের দোষ দেবেন কেন?

যেই ভাবে হোমিওপ‌্যাথি বানানো হয়... তাতে বিশুদ্ধ পানি ছাড়া আর কিছুই থাকে না.... আর বিদেশ থেকে যেই ৩০সি.. ১০০সি..২০০সি মুল দ্রবন তারা কিনে আনেন ...

তাতে শুধুই পানি বা এলকোহ থাকে.... যেইভাবে দ্রবন বানানো হয় তাতে মুল মৌলের ১কনাও ৩০সি>> তে থাকতে পারেনা...

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫২

আবহমান বাংলা বলেছেন: আমি এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম যিনি ফান করে বলেছিলেন, গরু হারালে তার চিকিৎসাও হোমিওপ্যাথিতে আছে। কিন্তু তিনি যে ওষুধ দিয়েছিলেন, তা এলারজি জনিত চুল্কানি উপশমে মারাত্মক কাজে দিয়েছিল। আমি অবিশ্বাস নিয়েই খেয়েছি, তারপরেও আমার রোগ সেরে গেছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩২

নতুন বলেছেন: যিনি ফান করে বলেছিলেন, গরু হারালে তার চিকিৎসাও হোমিওপ্যাথিতে আছে

কথা ঠিকই বলেছেন.... কারন তারা এই ভাবেই সব রোগের চিকিৎসা করে থাকে... তাই গরু হারানোর রোগেরও চিকিৎসা সম্ভব... :)


আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ বিভাগ কিন্তু ২৪ঘন্টা আপনার শরীর কে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে....

আর হোমিওপ্যাথির ডাক্তার আপনাকে কিছু সাধারন নিয়ম মানতে বলেছে....আপনি কিছু নিয়ম মেনে আপনার শরীরের ক্ষমতাকে সাহাজ্য করেছেন ....

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:১৩

এস এইচ খান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫৭

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য....

সবাইকে বিঙ্গানের ভুল প্রয়োগ সম্পকে সচেতন করা উচিত...

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:১৩

পাগলমন২০১১ বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তাই বিশ্বাস করি।লেখাটা খুব ভালো হয়েছে।আশা করি চালিয়ে যাবেন।

শুভকামনা।সাথে রইলাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৫

নতুন বলেছেন: বৈজ্ঞানিক বিষয়ে বিশ্বাস এর চেয়ে প্রমানের দরকার বেশি...

আরো কয়েক পব` লেখার ইচ্চা আছে...

পড়ার জন্য ধন্যবাদ.. :)

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২১

মাহমুদ ইব্রাহীম বলেছেন: তবে যাই কন ভাই গলায় মাছের কাটা ফুটলে হোমিওপ্যাথির বিকল্প নাই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩১

নতুন বলেছেন: পানি পান করলেই বেশির ভাগ কাটাই চলে যায়...

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২১

চিলেকোঠার_সেপাই বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু দিন আগে ইন্ডিয়া হার্বাল, কলিকাতা হার্বাল এদের পুচ্ছদেশের কাপড় উন্মোচন করেছে র‍্যাব। কিন্তু এখনো অনেকেই বলে "যাই বলেন ভাই, আমি কিন্তু ওখান থেকে উপকার পেয়েছি"

হোমিওপ্যাথের ব্যাপারটাও অনেকটা সেরকমই কিন্তু এটা বন্ধ করার কোন উদ্যোগ কেউ নেবে না কারন এর পিছনে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা আছে। এখন অবশ্য হোমিও ওলাদের অধুনিকি করণ ঘটেছে। এরা কিছু না বুঝলেও হাতে প্রেশার মেশিন নিয়ে বসে ভাব নেয়। এখন নাকি হোমিও ওলারা পুরিয়ার প্যারাসিটামল না অই ধরনের ওষুধ মিশায় তাতে জ্বরজারি-সর্দি কাশিতে কিছুটা উপশম হয়।

তবে ১০/২০ রোগ নির্মুল করা সম্ভব সেটা হোমিওপ্যাথিরা পারে, ঝাক-ফুক দেয়া পীরেরা পারে, ঐ কলকাতা হার্বাল ও পারে। এটাকে বলে প্লাসিবো ট্রিটমেন্ট, বিশ্বাস থেকে রোগ সারানো যেটাকে বলে। তবে এইযুগে এসে ঝাড় ফুক, পীর ফকির, হোমিওপ্যাথ দিয়ে রোগ সারানো হাস্যকর।


তবে ঝাড় ফুক, পীর ফকির, হোমিওপ্যাথ এদের দৌরাত্যের কারন আমাদের শিক্ষা- আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা। এই ঢাকা শহরেই আমাদের এলাকার বাজারে এক লোক বসে যে জন্ডিস সারায়। এর খদ্দের যে শুধু বস্তিবাসী তাই না। অবাক হয়ে দেখি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারকেও মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে আসে। ঐ লোকের কাছে, যে কিছু দোয়া-দরুদ পড়ে হলুদ পানি দিয়ে গোসল করায় ৫ মিনিটেই জন্ডিস শরীর থেকে বের করে দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই জন্ডিস এমনি সেরে যায়, কিন্তু এখন ঐ পরিবার কৃতজ্ঞতার সাথে সারা জীবন ঐ ভন্ডের গুনকীর্তন করে যাবে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই... এই জিনিসটাই কেউই বুঝতে চায়না...

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২২

ফিরোজ-২ বলেছেন: ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: আমাদের দেশের ১০০% ভন্ড হোমিওপ‌্যাথি চিকিতসকদের জন্যই এখন আমাদের দেশে হোমিওপ‌্যাথি চিকিতসা পদ্ধতিটাই ভন্ডামী হয়ে গিয়েছে।

+++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

নতুন বলেছেন: শুধু আমাদের দেশের হোমিওপ‌্যাথি চিকিতসকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই...

এটা সারা বিশ্বেই প্রচলিত...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

নতুন বলেছেন: আর হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতিই কোন প্রমান ছাড়াই চলে আসছে...

কারন এর ঔষুধ কিভাবে কাজ করে তার প্রমান কেখনো কেউই দিতে পারেনাই...

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২৫

সিড বলেছেন: আমি ও অনেক উপকার পেয়েছি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

নতুন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ...

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

জনদরদী বলেছেন: যারা হোমিওপ্যাথির বিরোধীতা করছেন তাদের কাছে আমার পারিবারিক একটা ঘটনার ব্যাখা চাচ্ছি ।

আজ থেকে ২০ বছর আগে আমার দাদীর চোখে ছানি পড়ে ; ফলে দেখতে সমস্যা হত । ডাক্তার দেখালে তিনি জানাল ৬ মাসের মধ্যে অপারেশন করতে হবে । আমার দাদী চোখে আজও অপারেশন করা হয়নি । তিনি এখন পর্যন্ত চশমাও ব্যবহারকরেনা । উল্লেখ্য তার বয়স ৯০ এর মত । চোখের সমস্যা কিভাবে ভাল হল ? এটা কিভাবে মনের জোরে সম্ভব ?

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৫৩

খন্দ.লিমন বলেছেন: হোমিও খুব ভাল চিকিৎসা । আমার অনেক উপকার হয়েছে ....

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৬

মুক্তবাণী বলেছেন: হোমিওপ্যাথির বিকল্প নাই। ভন্ডামীতো আমাদের দেশের সকল পেশায় আছে।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪১

আমি হনুমান বলেছেন: আমি ও উপকার পাইছি তয় ডাকতরের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে
পযযবেকখনে থাকলাম

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৫৪

মোঃ মামুনুর রশীদ বলেছেন: আমি কোন উপকার পাইনি। আমি ঠোট কামরিয়ে ভিতরের দিকে একটা ছোট্ট গুটলি বানায় ফেলছি, যা এখন পার্মানেন্ট-মানে কমেওনা বারেওনা। হোমিও খেয়েছি ৩মাস, কোন রেজাল্ট না পেয়ে বন্ধ করে দিছি।

২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

েদশীদাবাং বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম যে, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমণ্ত্রী মোরারজী দেশাই প্রতিদিন সকালে তার মূত্র পান করতো এবং সে তাতে অনেক উপকার পেত.......................

২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯

েমাঃ মাহফুজূল হক বলেছেন: কিছু কুলাঙ্গার মুসলমানকে দিয়ে যেমন সমস্ত মুসলমানদের দোষ দিতে পারেন না তেমনি কিছু কুলাঙ্গার নামধারী হোমিও ডাক্তারদের উপর নির্ভর করে একটা নিয়ম নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানকে দোষ দিতে পারেন না। কোন বিষয়ের উপর মন্তব্য করতে হলে অবশ্যই সে বিষয় সর্ম্পকে ভাল ভাবে জানতে হবে, তার উপর যদি কোন বিজ্ঞােনর বিষয় হয় তাহলে তার তথ্য সুত্র অবশ্যই প্রয়োজন, তা আপনি দেন নাই। এ যাবত পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী হোমিওপ্যাথির দর্শন, ওষধ শক্তি তথ্য, আরোগ্য তথ্য বিষয়ে বিরূপ কোন মন্তব্য করতে পারে নাই। এই সীমিত পরিশরে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব নয় তাই আপনাকে অনুরোধ করবো এই ব্যপোক বিষয়ে জানতে চাইলে হ্যানিম্যানের অর্গানন অফ মেডিসিন-অনুবাদঃ ডাঃ নরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, হোমিও দার্শনিক বক্তিতা- জেমস টাইলার কেন্ট পড়েন তাছাড়া যদি সময় হয় তা হলে প্রতি শুক্রবার সকল ৯-১২টা পর্যন্ত সেগুন বাগিচা হাই স্কুেল হোমিওপ্যাথির উপর বাংলাদেশের বিশিষ্ট ডাক্তার মহোদয়গন ক্লাস নেন্ এখানে আসলে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন হোমিওপ্যাথি কি, কিভাবে রোগ আরোগ্য করে, হোমিও ওষধ কিভাবে তৈরী হয় ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: আমি এখনো কোন প্রমান দেইনাই...

আমি শুধু ঔষুধ তৈরির একটা পদ্বতী নিয়া আলোচনা করেছি মাত্র...Dilutions .. কিভাবে করে এবং উচ্চ মাত্রায় Dilutions এর পরে তাতে পানি ছাড়া মাদারটিংচারের কোন ১টা মৌল/কনা/অনু তাতে থাকতে পারেনা...

২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৩

সুদীপ্ত কর বলেছেন: আমার বাবা এমনিতেই শখের বসে হোমিওপ্যাথি পড়েছিলো। আমাদের ফ্যামিলির কারো কোনদিন অ্যালোপ্যাথির ধারেকাছে যাওয়া লাগেনি। দুই ফোটা ওষুধে যে কোন কিছু শেষ। :)

ইন্টারে পড়ার সময় আমি বইগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছিলাম। খুবই চমৎকার জিনিস। বিশেষ করে সিম্পটম মিলানোর বিষয়গুলো। মাথাব্যাথার সাথে চোখ লাল থাকলে এক ওষুধ। সেই সাথে পানি পড়লে আরেক ওষুধ। পুরাই ভানুমতির খেল। গলায় কাটা ফুটলে তো কোন কথাই নাই। হিপার সালফের দুইটা বড়ি গিলেন। ১০ মিনিটে কাটা নাই। :)
কোন সাইড ইফেক্ট নাই। মারাত্মক জিনিস।

আর হ্যানিম্যানের হোমিওপ্যাথির জনক হবার ইতাহাসতো মনে হয় জানেনই। আর বললাম না।

তবে হোমিওপ্যাথির একটা শর্ত আছে যেগুলা কলেজে পড়ানো হয়। সেটা হলো কোন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার তার প্রচারণার জন্য লিফলেট, মাইক, সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেনা। কিন্তু ইদানীং কিছু লোকজন হোমিওপ্যাথিকে রাস্তার ক্যানভাস চিকিৎসা বানিয়ে ফেলসে :(

২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:১৩

বাংলাদেশী পোলা বলেছেন: পয়সার অভাবে আমি প্রায়ই হোমিওপ্যাথী ডাক্তারের কাছে যাই-কিন্তু কোনো দিন উপকার পেয়েছি মনে পরেনা। তবে হোমিওপ্যাথী ঔষধ খেতে মজাই লাগে(মিষ্টি স্বাদের জন্য)-তাই খাই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২২

নতুন বলেছেন: ছোটো বেলায় মিস্টি বড়ির কে না খাইছে :)

২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৯

উড়ালিয়া বলেছেন: কিভাবে কাজ করে সেটা নিয়ে আপনি পড়ে থাকেন। আর শুনুন

১. এজমা
২. টিউমার
৩. শিশু রোগ ( সাধারন)
৪. চর্ম রোগ
৫. আঁচিল

এরকম কিছু আরও রোগে আপনার এলোপ্যাথি সম্পূর্ণ ব্যর্থ, সাময়িক আরাম দেয় মাত্র, সেখানে হোমিওপ্যাথ কার্যকর।


আর যদি মনের জোরের কথা বলেন, তাহলে বলবো , যেটা মনের জোর বাড়ায় তার চেয়ে কার্যকর ঔষধ আর কি হতে পারে !!! যদি তা কার্যকর না হত, আমি এবং আমার পরিবারের অনেকেই বেঁচে থাকতাম না এতদিন। কারন রাসায়নিক বিষযুক্ত ঔষধের চেয়ে আমরা হোমিওপাথ ৮০% ব্যবহার করে অভ্যাস্ত। আর আমার দাদা, পরে চাচা হোমিও পাথের ডাক্তার, আমাদের আসে পাশের থানা থেকে হাযার লোক তার চিকিৎসা নেন। এমন ও দেখা গেছে মাদ্রাজ, ভেলর থেকে মৃত্যু পরোয়ানা পাওয়া ব্যক্তি এখনো বেঁচে আছেন এই হোমিও এর ফলে, একজন আবার রাজশাহীর নাম ভাল একটি ক্লিনিকের মালিক ও আছেন, যিনি আমার খুব কাছের মানুষ, আর তার ক্লিনিক প্রতিদিন ই অনেক বড় বড় ডাক্তার, রোগীদের চিকিৎসা করেন।


ভাল খারাপ সব খানেই আছে। আমি নিজে যেখানে প্রমান তাই, অন্যের কথা শুনে চিলের পেছনে যেতে চাইনা। ভাল লাগলো আপনার পোস্ট

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৪০

নতুন বলেছেন: আপনার অভিঙ্গতার কথা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই...

আমি বলছিনা যে শুধু আমাদের দেশের ডাক্তারাই ইচ্চা করে প্রতারনা করছে....

আমার কথা হইলো শুরু থেকে হোমিওপ‌্যাথির আইডিয়াটাই গড়মেলে.... আর এর প্রস্তুত প্রনালী একটু পড়ে দেখেন.... ১৩সি এর উপরে ডায়ালুট করা দ্রবনে ১টা মূল মৌল থাকতে পারে না.... The molar limit The molar limit
If one begins with a solution of 1 mol/L of a substance, the 10-fold dilution required to reduce the number of molecules to less than one per litre is 1 part in 1×1024 (24X or 12C) since:
6.02×1023/1×1024 = 0.6 molecules per litre
Homeopathic dilutions beyond this limit (equivalent to approximately 12C) are unlikely to contain a single molecule of the original substance and lower dilutions contain no detectable amount. ISO 3696 (Water for analytical laboratory use) specifies a purity of ten parts per billion, or 10×10−9 - this water cannot be kept in glass or plastic containers as they leach impurities into the water, and glassware must be washed with hydrofluoric acid before use. Ten parts per billion is equivalent to a homeopathic dilution of 4C. উইকিতে মোলার লিমিটে তাই বলে...

কিন্তু আপনি কিভাবে মনে করেন যেই দ্রবনে মাদার টিংচারের ১টা মৌল নেই তা আপনার ঔষুধ হিসেবে কাজ করবে?

২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

রিপেনডিল বলেছেন: হোমিওপ্যাথির আশ্চর্য "সাইড ইফেক্ট" বিহীন রোগ নিরাময় ক্ষমতার পক্ষে যারা সাফাই গাইছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,
আমি একজন এলোপ্যাথি ডাক্তার, ডিউটি করি ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। ওয়ার্ডে "ডিডাব্লিউ থেরাপি" নামের এক অস্ত্র আমাদের হাতে আছে। নাইট ডিউটিতে সাধারনত একজন ডাক্তার পুরো ওয়ার্ড সামলান। দেখা যায় রাত ৩টা ৪টার সময় অনেক রোগী প্রচন্ড ব্যাথা, জ্বর, মাথা ঘুরানো, বমি ইত্যাদি নানা রকম উপসর্গ নিয়ে পড়িমড়ি করে ডাক্তারকে ডেকে তুলে। এসব ক্ষেত্রে স্পেসিফিক কিছু না হলে আমরা সিরিঞ্জে ৫ সিসি বিশুদ্ধ পানি অথবা স্যালাইন ভরে রোগীর হাতের শিরায় দিয়ে দেই আর একটু নাড়ি টিপে, প্রেসার মেপে রোগীর লোকজন কে আশ্বস্ত করি। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই ডিডাব্লিউ বা ডিস্টিল্ড ওয়াটার থেরাপী দেয়ার সাথে সাথেই রোগীর সব ব্যাথা যন্ত্রনা ভালো হয়ে যায়!

মানুষের মন বোঝা বড় দুষ্কর। আমি যতদূর জানি বেশীরভাগ হোমিওতে স্টেরয়েড থাকে, স্টেরয়েড এক যুগান্তকারী ওষুধ যা বিভিন্ন প্রদাহ করে উপশন করে কিন্তু অনেক সময় প্রদাত কমিয়ে মূল রোগ কে ঢেকে ফেলে এবং আসল রোগ অনাবিষ্কৃত থাকায় রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়।

হোমিও যারা বিশ্বাস করে খান তারা খেতে পারেন, বিশ্বাস মেলায় বস্তু, উপকারও পাবেন। কিন্তু কিছু বিষয়ের জন্য হোমিও এর উপর ভরসা না করলেই ভালো যেমন, মারাত্নক ইনফেকশন জনিত রোগ যেমন মেনিঞ্জাইটিস, এনকেফালাইটিস, যক্ষা, সেপ্টিসেমিয়া, টাইফয়েড, অ্যালার্জিক রিএকশন জনিত প্রদাহ যেমন, এসমা, আরটিকারিয়া, সাপে কাটা, লিভার (হেপাটাইটিস), কিডনি (ফেইলিউর, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম, নেফ্রাইটিস), হার্ট (ব্লক, ফেইলিউর, উচ্চ রক্তচাপ), বিভিন্ন ক্যান্সার, আঘাত জনিত সমস্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক সেবা নিলেই ভাল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

নতুন বলেছেন: আপনার অভিঙ্গতা সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ.... >>

মানুষের শরীরের যেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে.... তা কিন্তু ২৪ ঘন্টাই তাকে সুস্হ বানাতে কাজ করে যাচ্ছে....

যেহেতু হোমিওপ‌্যথির ডাক্তারা সময় দিয়ে তাদের কথা শুনেন... তাই তাদের উপরে একটা বিশ্বাস জন্মে....

আর মানুষের মন তার সুস্হতার উপরে বিরাট প্রভাব রাখে...

এই বিষয়গুলির ইফেক্টেই রোগী ভাল বোধ করে... আর সেই সুযোগে হোমিওপ‌্যাথির সাফল্য প্রচার করে হোমিও ডা্ক্তারেরা...

২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০০

নিভৃত নয়ন বলেছেন: আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আসলে আপনি এই বিসয়ে তেমন কিছুই জানেন না!!!কন এক জাইগায় পড়ছেন যে আসলে শেষে অসুধের কিছুই থাকে না ,সুধু পানি।সেই বিদ্যা জাহির করতে আসছেন।

হোমিওপ্যাথ কার্যকর অনেক ক্ষেত্রেই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

নতুন বলেছেন: ভাই আমিতো সব কিছু যানি না....

এইটা নিয়া একটু পইড়া দেখতেছি...

* আজকে ডাইলেসন নিয়া লিখছি...

সামনে পানির মেমরী নিয়া লিখবো... যেইটা হোমিওপ‌্যাথির আরেকটা বিষয়...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

নতুন বলেছেন: ভাই আপনি যদি প্রমান করতে পারেন যে হোমিওপ‌্যাথ আসলেই ঔষুধ

তা হলে ১ মিলিওন ডলার জিততে পারবেন? রাজি আছেন...

২৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

রিপেনডিল বলেছেন: উড়ালিয়া কে বলছি, এজমা হোমিও তে সম্পুর্ন ভালো হয়েছে (এখন ওষুধ ছাড়াই সে ভালো থাকে এবং যে পরিস্তিতিতে এজমা বাড়ে যেমন ধুলাবালি, শীতকাল ইত্যাদি সেসব পরিস্থিতিতেও সে ভালো আছে) এমন কিছু উদাহরন দিন।

টিউমার, দু'ধরনের আছে, ম্যালিগনেন্ট এবং বিনাইন। ম্যালিগনেন্ট বেশি ক্ষতিকর, ছড়িয়ে গেলে বাচার আশা কমে যায়। না ছড়ালে কেটে ফেলে দিলে এবং অবস্থা বিবেচনায় রেডিও বা কেমো থেরাপী যোগ করে সম্পূর্ন আরোগ্য হচ্ছে এমন অসংখ্য মানুষ আছে। সাম্প্রতিক জরিপে বলা হয় পৃথিবীতে প্রতি চার জন মানুষের একজন এর ম্যালিগনেন্ট রোগ আছে। এরা যদি এলোপ্যাথিতে সুস্থ না হত তাহলে পৃথিবীতে এত মানুষ থাকত বলে মনে হয় না। বিনাইন এর ক্ষেত্রে তো কোন চিন্তাই নেই, বেশী ঝামেলা হলে কেটে ফেল্লেই আরোগ্য।

শিশু চর্ম এবং আচিল, দয়া করে সরকারি হাসপাতালগুলো কয়েকদিন ঘুরে দেখুন, প্রতিধিন শতশত রোগী ভর্তি হচ্ছে আর শত শত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে।

আমাদের সমস্যা হল ডাক্তার রোগী ভাল করলে সেইটা আমরা গোনায় ধরি না, আর কবিরাজি বা হোমিওতে কেউ ভালো হলে (হোক না সে মনের জোরে কিংবা স্টেরয়েড এর জোরে কিংবা আল্লাহর কুদরতে) আল্লাহর কি কুদরত, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজিই একমাত্র চিকিতসা ব্যাবস্থা, এলোপ্যাথি বেকার এগুলো বলতে দেরি করি না। খুব গরমে যদি অপশন দেয়া হয় আলাদীনের জ্বীন এসে আপনাকে বাতাস করবে অথবা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আপনার রুম ২২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় নামিয়ে আনা হবে, সেক্ষেত্রে মানুষ আলৌকিকের পক্ষেই বেশি যাবে। আমরা ম্যাজিক পছন্দ করি।

২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

উড়ালিয়া বলেছেন: ২ বছর আগে দ্রবণ নিয়ে পড়া বাদ দিয়েছি, বুঝতে পারছি ঝামেলা টা কোথায়, কিন্তু আমি প্রস্তুত প্রণালী নিয়ে কিছুই বলিনি, খালি বলেছি যদি কোন এক সিস্টেম এ ফ্রেশ পানি দিয়েও আমার রোগ সারে কোন ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া, তাহলে আমি সেই সিস্টেম মেনে নিতে রাজি, কোন বিতর্কে না গিয়ে।

আর আপনি জানেন কি, এদেশের ২৫ - ৩০ % এলোপ্যাথ ঔষধ মাত্র কাজ করে, ৪০% কাজ ই করেনা, তখন রোগীরা ডাক্তার বদলায়, আর কিছু ক্ষেত্রে ঔষধ সেবনে রোগী আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় :(( :((

একটা পরিসংখ্যান দেখেছিলাম , সঠিক মনে নাই, তার চেয়ে এক কাজ করেন, সর্দিজর না, একটু বড় অসুখ, উপরে যেগুলি দিয়েছিলাম এর সাথে মেয়েলি অসুখ যোগ করে একটা পোস্ট দেন, দেখেন, এলোপ্যাথ চিকিৎসায় কত জন ডাক্তার বদল করেছে, আর কতজন সুস্থ্য ১০০% হয়েছে। তুলনা মূলক আমি মনে করি এলপাথে ৫০% সারলে হোমিওতে ৬০% হবে। :) (সুধু জটিল অসুখের ক্ষেত্রে)

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

েমাঃ মাহফুজূল হক বলেছেন: Dilution এর পরে হোমিওপ্যাথি ওষধে বস্তুগত কোন গুন থাকে না, শক্তিগত গুন বিকশিত হয়, আর মানুষের শরীরের সমস্ত সমস্যা তৈরী হয় শক্তিগত অবস্থা থেকেই যেমনঃ মন, আর শক্তি শক্তি দ্বারা ধ্বংস প্রাপ্তি হয়। তাই বলেন পানি না পানিতে থাকে ওষধের শক্তিকৃত অবস্তা যাহা চোখে দেখা যাই না, যাহা রোগ সৃষ্টি করতে পারে আবার রোগ ধবংস করতে পারে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:২৬

নতুন বলেছেন: আপনার এই পানির মেমরীwater memory কিন্তু এখনো প্রমানিত হয়নাই...

Jacques Benveniste ১৯৮৮ তে তিনি পানির মনে রাখার বিসয়টি নিয়ে নেচার পত্রিকায় লেখেন... যা পরে ভুল প্রমানিত হয়...

২০০২ সালে বিবিসি ও এই বিষয় নিয়ে গবেষনা করে তা প্রমান করতে পারেনাই...

তাই আপনার """"" তাই বলেন পানি না পানিতে থাকে ওষধের শক্তিকৃত অবস্তা যাহা চোখে দেখা যাই না, যাহা রোগ সৃষ্টি করতে পারে আবার রোগ ধবংস করতে পারে।""

বিষয় এখনো কেউই প্রমান করে পারেনাই...

এই বিষয় নিয়ে পরের পবে` লিখবো...

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪২

েমাঃ মাহফুজূল হক বলেছেন: কেও যদি বলে আগুনে হাত পরে না তা হলে তর্ক না করে হাতটা আগুনে ধরলে বুঝা যাবে আগুনে হাত পরে কিনা এটা পরীক্ষার বিষয়। এই বিষয়ে তর্ক না করে হোমিও বিজ্ঞান নিয়ে একটু পড়াশুনা করুন পরীক্ষা করুন সব বুঝতে পারবেন।সৃষ্টির শক্তিকৃত রহস্য সম্পর্কেও যানতে পারবেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১

নতুন বলেছেন: আমি তো পড়াশুনা কইরাই বুঝলাম যে হোমিওপ‌্যাথি ভুয়া...

আপনি কোথায় পরীক্ষা কইরা এর প্রমান পাইলেন যে হোমিওর্প‌্যথি সত্য??

প্রমান আমাকে দেন... তাইলে আমি ১ মিলিওন ডলারের জন্য ট্রাই করতে পারি... ;)

৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪২

রিপেনডিল বলেছেন: @নিভৃত নয়ন, লেখক না জেনে কিছু বলেন নি, আপনাকে উইকি থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছিঃ
"Scientific research has found homeopathic remedies ineffective and their postulated mechanisms of action implausible.[2][3][4][5] Within the medical community homeopathy is generally considered quackery.[6]"

অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক গবেষনায় হোমিওপ্যাথির কোন রোগ নিরাময়ক গুন পাওয়া যায় নি এবং এর কার্যপদ্ধতি অবিশ্বাস্য। চিকিৎসাব্যাবস্থায় একে হাতুড়ে পদ্ধতি হিসেবে গন্য করা হয়।

"Homeopathic remedies are prepared by serial dilution of a chosen substance in alcohol or distilled water, followed by forceful striking on an elastic body, called succussion. Each dilution followed by succussion is said to increase the remedy's potency. Dilution usually continues well past the point where none of the original substance remains."

অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত এতে পানি ছাড়া কিছুই থাকে না।

এবার দেখুন হোমিও খাইলে কিভাবে রোগ ভালো হয়ঃ

প্লাসিবু ইফেক্ট- অর্থাৎ মনের বিশ্বাস থেকে নিরাময়, বিশ্বাস থাকলে পানি খেলেও রোগ ভালো হতে পারে, উদাহরন উপরে দিয়েছি।

বয়ান- বেশিরভাগ হোমিও ডাক্তার দেখবেন খুব অমায়িক, ধার্মিক, দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পরা সৌম্য চেহারার বয়স্ক একজন। কথা মন দিয়ে শোনেন, সময় নিয়ে বোঝান, রোগ ছাড়াও আশেপাশের বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইত্যাদি কারনে ডাক্তারের উপরে এমনিতেই ভক্তি চলে আসে আর বিশ্বাসটা আসে সেখান থেকেই।

প্রাকৃতিক নিরাময়- মানুষের শরীর এমনই এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র যা নিজেই নিজেকে সুস্থ করতে পারে। রোগের পাচটি পর্যায় আছে যার একটি হল নিরাময় পর্যায় যা এমনিতেই ঘটতে পারে। কবিরাজ, ঝাড়ফুক, তাবিজ, মাদুলিওয়ালারা এই পর্যায়ের উসিলাতেই বেচে আছে। ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে এই আর কি।

ব্যাতিক্রমি উপদেশ- অনেক সময়েই হোমিওবিদেরা দেন, যেমন আপনার ধরুন জয় বাংলা রোগ অর্থাৎ চোখ উঠেছে, তিনি দাওয়াই দিলেন আর বললেন আপনি কলা খাবেন না একদন, অথবা প্রতিদিন সকালে একটা কলার তিন ভাগের একভাগ পানিতে ভিজিয়ে ৫ দিন খাবেন!!! এই যে ব্যাতিক্রমি একটি উপদেশ পেলেন এটা একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করবে আপনার মনে তথা শরীরেও!

রোগের পর্যায়- দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন, নানা রকম ডাক্তার দেখিয়েছেন, টেস্ট করে করে আর এলোপ্যাথি খেয়ে ক্লান্ত (এলোপ্যাথি কেন কাজ করেনা সেটা পরের কমেন্টে বলব) এমন অবস্থাতেই সাধারনত হোমিওপ্যাথির কাছে যায় মানুষ। আর এখানেই ঝড়ে বক পড়ে। আগেই বলেছি রোগের একটা প্রাকৃতিক চক্র আছে, ৫ ধাপের এই চক্রের শেষ দুটি ধাপে নিরাময় হয় প্রাকৃতিক ভাবেই (সব রোগ বা সব ক্ষেত্রে নয়)।
রোগ আর রুগীর ধরন অনুযায়ী এসব ধাপের সময়কাল এক এক রকম। রোগের অবস্থা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার কিছু পরেই নিরাময় পর্যায় শুরু হয়। কিন্তু ওই সর্বোচ্চ অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়, এই ক্ষেত্রে নিরাময় পর্যায়ের আগে যে ব্যাটা হোক সে কবিরাজ কিংবা হোমিও কিংবা মাদুলী ওয়ালা সেই কেরামতি দেখিয়ে ফেলতে পারে।

খিচুড়ী চিকিতসা- অনেকে হোমিও এর সাথে এলোপ্যাথিও চালান, কবিরাজীও চালান। ভাল হলে স্বভাবতই পুরষ্কার যায় হোমিও এর ঘরে! আসলে যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভালো হয়েছে তার কেচ্ছা আড়ালেই থেকে যায়।

বন্ধ- হোমিওরা বলেন এলোপ্যাথি যা খাচ্ছেন বন্ধ করেন, সার্জারি করবেন না, ইঞ্জেকশোন নেবেন না। এতে একটা লাভ আছে। এলোপ্যাথি ওষুধ গুলো হোমিও এর পুরিয়া এর মত মিষ্টি নয় আর এগুলো যেহেতু আসলেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রস্তুতকৃত কার্যক্ষম ওষুধ তাই অনেক সময় অনেকেদের দেহে এগুলো সহনীয় হয় না, আর সার্জারির ভয় তো আছেই। তাই হোমিওবিদ এগুলো বাদ দিতে বলায় রোগীর অবচেতন মন (যা আগে থেকেই এগুলো বাদ দিতে বলছিল) উতফুল্ল হয় এবং উপশম ঘটায়, তবে প্রকৃত রোগ আড়ালেই থেকে যায় এবং রোগীর মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায়।

জীবন পদ্ধতি- মোটামুটি সব হোমিওবিদেরা জীবন যাত্রা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন যেগুলো আসলেই কাজের যেমন নিয়মিত হাটাচলা করা, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, বেশি করে ফলমূল খাওয়া, শাকশবজি খাওয়া, গোস্ত কম খাওয়া, কম ঘুমানো ইত্যাদি। রোগ এতে ভাল হবে নিশ্চয়ই।

সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই.... এই বিষয়গুলি পরের লিখতাম... আপনি খুবই গুছিয়ে বলে দিলেন... :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০১

নতুন বলেছেন: আপনার এই অংশটুকু মুল লেখায় দিয়ে দিলাম... খুবই সুন্দরভাবে লিখেছেন.. :)

৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

রিপেনডিল বলেছেন: মোঃ মাহফুজুল হক, আপনি নিজেই বলছেন পরীক্ষা করুন পড়াশুনা করুন আবার নিজেই বলছেন আগুনে হাত পোড়ে কিনা জানার জন্য আগুনে হাত দিয়ে পোড়াবার দরকার নেই! আগুনে যে হাত পোড়ে এইটা কিন্তু মানুষ আগুনে হাত পোড়াবার পরেই জানতে পেরেছে!
বি দ্রঃ আপনি কোয়ান্টাম গুরুর ভক্ত না তো?!

৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ভাই দেশের এ্যালোপ‌্যথী চিকিৎসা যেভাবে ব্যাবসায়িক স্বার্থের কাছে সব মানবিকতা বিকিয়ে দিয়ে বসে আছে সেখানে হোমিওপ‌্যাথি ছাড়া উপায় কি?

স্বাধারণ মানুষ এবং রুগি হিসেবে আমার এটা জানার কোনই প্রয়োজন নাই যে কোন পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে - আমি বরং দেখি এ্যালোপ‌্যাথিক চিকিৎসা রোগ ভাল করার চেয়ে পুষে রেখে ব্যাবসা বাড়ানোর চেস্টা করে। বহু রোগের ক্ষেত্রে সারা জীবন ক্রমবর্ধমান হারে ওষুধ খাওয়ার ব্যাবস্থাপত্র দেয়। ডাক্তার, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি - পুরো চক্রটাই বর্তমানে রোগ ভাল করার চেয়ে মানুষের পকেট কাটতে ব্যাস্ত। সেখানে হোমিওপ‌্যাথি কম মুল্যে রোগ ভাল করে দিলে আমার কী প্রয়োজন আছে এর কার্যকারন পদ্ধতির থিওরী নিয়ে চিন্তা করার?

আপনি মনে হয় শুধুমাত্র একটা প্রশ্নে আটকে আছেন - যে পানিতে ঔষধের মাত্রা কম ( প্রায় নেই ) তাতে কাজ হয় কিভাবে? আসলে এটাই হোমিওপ‌্যাথী ওষুধের মৌলিকত্ব। তবে কোন এক লেখায় পড়েছিলাম হোমিওপ‌্যাথির জনক হ্যানিম্যান একই ওসুখের( সম্ভবত ম্যালেরিয়া জ্বরের ) দুই রকম ওষুধ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। উনি নিজেও এ্যালোপ‌্যাথির ডাক্তার ছিলেন এবং এ্যালোপ‌্যাথী ওষুধ সম্পর্কে ওনার থিওরী ছিল - "যে ওষুধ যে অসুখ সারাতে কাজ করে তা সুস্থ দেহে প্রয়োগ করলে সেই ওসুখ তৈরী করবে"। ঐ পরিক্ষায় তিনি স্থুল মাত্রার এ্যালোপ‌্যাথি ওষুধ নিজের সুস্থ দেহে প্রয়োগ করেন এবং দেখতে পান যে তার শরিরে সেই রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর পর তিনি নিজের তৈরী সুক্ষ্ম হোমিওপ‌্যাথী ওষুধ প্রয়োগ করে সেই রোগ থেকে মুক্ত হন। পর পর কেয়েক বার এই প্রকৃয়ায় স্থুল ওষুধ প্রয়োগে রোগ সৃস্টি এবং সুক্ষ্ম ওষুধে সেই রোগ থেকে মুক্তির মাধ্যমে তিনি তার থিওরীর সত্যতা প্রতিষ্ঠা করেন।

আর সুক্ষ্মতার শক্তির কথা চিন্তা করলে পারমানবিক শক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। এক টন কয়লা পুড়িয়ে যে তাপ শক্তি পাওয়া যায়, পারমানবিক চুল্লিতে কয়েক গ্রাম ইউরেনিয়াম থেকে তার চেয়ে বেশী শক্তি পাওয়া সম্ভব। তাহলে স্থুল ওষুধের চেয়ে সুক্ষ্ম অসুধে অধিক কার্যকর শক্তি থাকতে পারবেই - না এমন সিদ্ধান্ত কিভাবে নেবেন?

আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, যে অসুখের জন্য এ্যালোপ‌্যাথীর ডাক্তার কয়েক সপ্তাহ খাওয়ার জন্য কয়েকশ টাকার ওষুধ দিয়েছিলেন - হোমিও প‌্যাথির কয়েকটি পুরিয়ায় সেই অসুখ সম্পুর্ণ ভাল হয়েছে।

সুতরাং স্বাধারণ মানুষের জন্য এ্যালোপ‌্যাথিক চিকিৎসার নামে প্রচলিত ব্যাবসায়ীক সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হিসেবে হোমিওপ‌্যাথির কোন বিকল্প এখনও তৈরী হয়নি। তাই আমি মনে করি জনস্বার্থে একে আরো ব্যাপক জনগোষ্ঠির কাছে পৌছে দেয়ার ব্যাবস্থা করা উচিত।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

নতুন বলেছেন: আপনি মনে হয় শুধুমাত্র একটা প্রশ্নে আটকে আছেন - যে পানিতে ঔষধের মাত্রা কম ( প্রায় নেই ) তাতে কাজ হয় কিভাবে? আসলে এটাই হোমিওপ‌্যাথী ওষুধের মৌলিকত্ব।

এই মৌলিকত্ব কে বলে Water memorywater memory

হোমিওপ‌্যাথি দাবি করে যে যখন পানিতে মাদারটিংচার থেকে দ্রবন নিয়া ঝাকাঝাকি করা হয়... তখন পানি ঐ দ্রবনের গুনাবলি মনে রাখে...

এইটা নিয়া বেশ কয়েক বার ... বেশ কয়েক জন প্রমানের দাবি করেছে... কিন্তু পরে দেখাগেছে ঐটা সাধারন ব্যপার... সাধারন বিশুদ্ধ পানিতেও ( যা হোমিওপ‌্যাথি মেশানো না) সেই একই ফল দেখায়...

এই নিয়া ইউটিউবে বেশ কিছু ভিডিও আছে দেখতে পারেন..

৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

চিলেকোঠার_সেপাই বলেছেন: রিপেনডিল এর আগের কমেন্ট তো স্টীকি করে রাখা উচিত।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫

নতুন বলেছেন: হুম..

৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০২

রিপেনডিল বলেছেন: @উড়ালিয়া, পরিসংখ্যাঙ্গত আলোচনায় আসলে আপনি নিজেই ভুল বুঝতে পারবেন, এখানে এত কেচ্ছা কাহিনী টেনে সবাইকে বিরক্ত করতে চাচ্ছি না। এলোপ্যাথিতে কিছু মানুষ কেন ভালো হয় না সেই ব্যাখ্যায় আসছি--

প্রথমত আমাদের দেশের জনসংখ্যক্সা ১৬ কোটিরও বেশি, অথচ ডাক্তার অনেক কম, তাই স্বভাবতই চাপ থাক অকল্পনীয়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে গেলেই বুঝবেন। এমতাবস্থায় হোমিওদের মত সময় নিয়ে সব কথা নিয়ে, অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা করে, চিকিৎসা দেয়া সবসময় সম্ভব হয় না। এটি আমাদের অপারগতা স্বীকার করছি।

দ্বিতীয়তা, দেশের চিকিৎসাশিক্ষার কাঠামো খুব বেশি রকম হাস্যকর এবং দূর্বল। সেই সাথে দূর্নীতি আর রাজনীতি তো আছেই, এই যাতাকলে নিপিড়ীত হয় প্রতিটি ডাক্তার তাই তারা যখন সুযোগ পায় সেটা অন্যের উপর এ্যাপ্লাই করতে ছাড়েনা অনেকেই। ফলাফল ভুক্তভুগী সাধারন মানুষ।

তৃতীয়ত, রোগীরা অধৈর্য হয়ে পড়েন যখন একটি চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হয় আর দালালরা তো থাকেই, তাছাড়া আত্নীয় স্বজন বন্ধু কলিগ সবাই তখন ডাক্তার হয়ে পরামর্শ দেয় কিংবা অন্য ডাক্তারের ঠিকানা বাতলে দেয়, রোগীও নিজের মত একের পর এক ডাক্তার পালটায় আর চিকিৎসা নেয় নিজের মত। আখেরে লাভ হয় না কোনটাতেই।

চতুর্থত, দূর্নীতির চ্যাম্পিয়ন এই দেশে যেখানে শিশুখাদ্যে ভেজাল থাকে সেখানে ওষুধে থাকবে না এমনটা ভাবলেন কি করে? আমাদের হাসপাতালেই দেখেছি, একই ওষুধ সরকারি সাপ্লাই এর টা দিয়েছি কাজ হয় নি কোন, এরপর বাইরে থেকে কিনে এনে দিতেই ধুমধাম কাজ শুরু!

পঞ্চমত, বানিজ্যিক টেস্ট বানিজ্য, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। সেদিন দেখি এক মহিলার আল্ট্রাসনোগ্রাফী তে লেখা, প্রোস্টেট নাকি ছোট হয়ে গেছে (উল্লেখ্য প্রোস্টেট পুরুষদের অঙ্গ!)।

ষষ্ঠত, নিয়ম নীতি আমাদের থাকলে তো আমরা মানুষই হইতাম! যাকে বলা হয় এন্টিবায়োটিক খাবেন সাতদিন। তিনি ২ দিন খেয়ে বসে আছেন, কিংবা দাম বেশি বলে অন্য এন্টিবায়োটিকে সুইচ করেছেন (এন্টিবায়োটিকইতো!), এভাবে আমরা তৈরী করছি সব ঔষধ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন জীবানু! সুতরাং আমাদের রোগ ভাল হবে কি করে?!

সপ্তমত, রাজনীতি আর শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস কুরে কুরে খাচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থাকে। লবিং এর জোরে আর টাকার জোরে পার পেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে অমানুষেরা, এদের কাছে কি থেরাপী আশা করেন?!

আরো অনেক কিছু বলা যেত, আপাতত মনে হয় এইটুকুই যথেষ্ট।

৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

রােশদ সুলতান তপু বলেছেন: আসলে ডাক্তার হিসাবেই ডাক্তার হওয়া উচিত। হোমিওপ্যাথী ডাক্তারদের বেশীরভাগই দেখবেন তাদের সাইনবোর্ডে কোন সাবজেক্টে অনার্স আর মাস্টার্স করেছে সেটা ফলাও করে লেখে। তারপরে লেখে ডাক্তারী ডিগ্রী। আমাদের দেশের বেশীরভাগ হোমিওপ্যাথী ডাক্তারদের স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক বা অবসরপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী যারা কিনা এই ডাক্তারী পেশাটাকে অফটাইম পেশা হিসাবে নিয়েছেন। আমার অফিসের পাশে একজন আছেন যিনি কিনা হোমিওপ্যাথী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত স্টোরকিপার। তিনিও একজন ডাক্তার এব জটিল কঠিন রোগের গ্যারান্টিসহ চিকিৎসা করে থাকেন।
- হোমিওপ্যাথী কলেজে পড়ান কিন্তু এমবিবিএস ডাক্তাররা
- হোমিওপ্যাথী ডাক্তাররা তাদের বউয়ের ডেলিভারীর জন্যে এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারদের কাছে গিয়ে থাকেন।
- হোমিও ওষুধের কোন এক্সপ্যায়্যারী ডেট নেই
- কথায় কথায় হোমিও ডাক্তারেরা বলেন যে তাদের এমন ওষুধও আছে যা কিনা জিভের উপরে দিলে জিভ ফুটো হয়ে যাবে। তাদের কাছে নিশ্চয়ই জিভ ফুটো করার জন্যে কেউ যাবে না। তারা কিন্তু কখনও এই কথাটা বলে না যে এই কয় মিনিটের যে কোন ব্যাথা কমিয়ে দেব বা এই কয় মিনিটের মধ্যে আপনার পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে যাবে।

পৃথিবীতে মানুষ এমন বোগাস জিনিসও খায়।

৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৫

রিপেনডিল বলেছেন: @চিলেকোঠার সেপাই, এই আলোচনা কতদূর যায় তা দেখে একবারে সব জ্ঞান বিজ্ঞান আর ঝাড়ফুক সমেত পুরিয়া বানিয়ে পোস্ট দেব :)

৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০৯

উড়ালিয়া বলেছেন: আসেন কোলাকুলি করি, কাঙ্গাল মুরশিদ , :-B তাহলে দেখা যাচ্ছে কেজি কেজি সিরাপ, ট্যাবলেট এর চেয়ে বিশুদ্ধ প্রায় পানি পরমানু এর মত শক্তিশালী ।

পুঁজিবাদী কারনে আমাদের অনেক কিছুই বোঝানো হয় ব্যবসায়িক কারনে (যেমন কিছুদিন আগে ১৮০০ টাকার সয়াইন ফ্লু এর টিকা দিল পপুলার), পরে দেখা যায় ওদের ধান্দাবাজি জরিপ, আর্টিকেল এরকম আরও কত কি B-)) । ১০ টাকার হোমিও তে কি বা আর ব্যবসা করা যাবে বলেন :P

আচ্ছা রিপেনডিল বলেন তো, বেকুব সরকার কেন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলোতে হোমিও ডাক্তার বসাচ্ছে? B-)

৪০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:১৪

রিপেনডিল বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ, দয়া করে হোমিও কেন কাজ করে সে সম্পর্কিত আমার কমেন্ট টি পড়ুন (উপরে)।
আর উইকি এই আর্টিকেলটি দেখুন।

আবার আসুন সূক্ষ্ণতার কথায় আসি। আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র কিনা জানিনা, তবু বলছি, কয়লা আর ইউরেনিয়াম দিয়ে সূক্ষ্ণতার বিচার নিতান্তই হাস্যকর। কয়লার সাথে কয়লা তুলনা করুন আর ইউরেনিয়াম এর সাথে ইউরেনিয়াম। ইউরেনিয়াম দিয়ে কয়লা থেকে অনেক বেশি শক্তি পাওয়া যায় কিন্তু এখানে ইউরেনিয়াম ডাইলুটেড না। ১ আউন্স ইউরেনিয়াম থেকে যে শক্তি পাওয়া যাবে এক কেজি থেকে তার চেয়ে বেশি পাওয়া যাবে আবার আধা আউন্সে আরো কম পাওয়া যাবে। আর যদি কমাতে কমাতে ইউরেনিয়াম যদি শেষ পর্যন্ত নাই থাকে তাহলে কোন শক্তি পাওয়া যাবে না। এবার এটাকে হোমিও এর ডাইউলুশন এর সাথে মিলান।

পরিশেষ, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আপনি যদি মনে প্রাণে হোমিও বিশ্বাস করে সুস্থ হতে পারেন আমার তাতে কোন আপত্তি নেই, সেটা ভাল। আপনি চাইলে কোয়ান্টাম মহাজাতক, গাজীপুরের পানি বাবা, বরিশালের মাদুলি আর কালিজিরার তেল কিংবা সরঘাটের ড্রাগন মালিশ যেকোনটাতেই বিশ্বাস স্থাপন করে সুস্থ হন তবে আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আপনার হায়াত রেখেছেন। শুধু একটাই উপদেশ দেব, কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে অন্তত এই ধরনের বিশ্বাসের ভরসা করবেন না (তালিকা আগেই দিয়েছি), আপনি সুস্থ থাকুন এটাই আমরা চাই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১১

নতুন বলেছেন: যখন ডাইলুসনে আর কোন মলিকিউল থাকে না... কখন হোমিওপ‌্যাথি দাবি করে পানির ম্যমরীর কথ...

পানি ঐ মুল ঔষুধের গুনাবলি মনে রাখে... আর তার মতন আচরন করে...

এই দাবি ১৯৮৮ সালে নেচার ম্যাগাজিনে Jacques_Benveniste করেছিলেন... এবং পরে তা যে ঠিকনা প্রমান হয় রয়েল সোসাইটি অফ সায়ান্সএর তদন্তে...

তারপরে ২০০২ এ বিবিসি ও এই পানির মনে রাখার ক্ষমতা প্রমানের চেস্টা করে এবং তা প্রমান করতে পারেনাই..

Third-party attempts at replication of the Benveniste experiment have failed to produce positive results that could be independently replicated. In 1993, Nature published a paper describing a number of follow-up experiments that failed to find a similar effect,[24] and an independent study published in Experientia in 1992 showed no effect.[25] An international team led by Professor Madeleine Ennis of Queen's University of Belfast claimed in 1999 to have replicated the Benveniste results.[26][27] Randi then forwarded the $1 million challenge to the BBC Horizon program to prove the "water memory" theory following Ennis' experimental procedure. In response, experiments were conducted with the Vice-President of the Royal Society, Professor John Enderby, overseeing the proceedings. The challenge ended with no memory effect observed by the Horizon team.[28] For a piece on homeopathy, the ABC program 20/20 also attempted, unsuccessfully, to reproduce Ennis's results.[29]
Research published in 2005 on hydrogen bond network dynamics in water showed that "liquid water essentially loses the memory of persistent correlations in its structure" within fifty millionths of a nanosecond.[7]

৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২০

রিপেনডিল বলেছেন: @উড়ালিয়া, কোলাকুলি করলেন ভাল, আমিও বলি কেজি কেজি সিরাপ খাওয়ার চেয়ে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ভাল। ব্যাবসা যে হয় সেটা আগেই স্বীকার করেছি, হোমিওরাও ব্যাবসা করে তবে বেশিরভাগ না জেনে করে, উদ্দেশ্য তাদের মহতই থাকে।

যাহোক, সরকারি হাসপাতালে হোমিও ডাক্তার বসানো হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই, আমি দেখি নি। আর বসালে আরো ভাল, এই কারনে যে, আগেই বলছি হোমিও কাজ করে, কিছু ক্ষেত্রে এবং কেন কাজ করে সেটাও বলেছি। সুতরাং দেশের ১৬ কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে এত ডকাতার যেহেতু সরকার পাচ্ছে না তাই হোমিও বিশ্বাসের সেবা চলতেই পারে, পানি খেলে অন্তত মরবে না, ভালো হলে তো ভালোই আর যদি ভালো না হয় সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে এলোপ্যাথি ডাক্তারেরা তো থাকবেনই তারা তখন দেখবেন। উল্লেখ্য ঢাকাতেই হোমিওপ্যাথি এবং ইউনানী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ আছে, সেখানে যদিও এলোপ্যাথি চিকিতসাই দেওয়াআ হয় এবং ক্লাস ও নেই আমরা এলোপ্যাথি ডাক্তারেরাই।

৪২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

শার্লক বলেছেন: আমার গলায় একবার মাছের কাটা ফুটলো জ্বর এসে পড়লো সাথে গলাও ব্যাথা ঢোক গিললে কাটা ফোটে। হোমিও ডাক্তারের কাছে গেলাম দুই ফোটা খাওয়ায় দিল বাসায় আসতে আসতে দেখি ব্যাথা নাই ঢোক গিললেও কাটাও ফোটে না কি আজব। জানে পানি ফিরে পাইছিলাম :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

নতুন বলেছেন: :) যাতেই কাজ হোক কাটাতো গেছে...

৪৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @রিপেনডিল

আপনি যখন বিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুল্লেন তখন একটা ঘটনা মনে পরে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক( কলা অনুষদের ) একবার মোবাইলের ব্যাপারে বলছিলেন - ছয়ইঞ্চি যন্ত্র দিয়ে দুই মাইল দুরের মানুষের সাথে কথা বলা সম্ভব এটা যদি আমাকে শত শত থিসিস বা সেমিনারের মাধ্যমে বুঝান হত আমি সম্ভবত বিশ্বাস করতাম না, কিন্তু এখন এই যন্ত্রদিয়ে নিজে যখন হাজার মাইল দুরের মানুষের সাথে কথা বলছি তখন আর অবিশ্বাসের সুযোগ কোথায়??

আমাদের অবস্থা হচ্ছে তাই, বস্তুত স্বাধারণ মানুষ মাত্রই থিওরীর চেয়ে অভিজ্ঞতাকেই বেশি মুল্য দেয়। আপনি হোমিওপ‌্যাথির কার্যকারিতার যত কারণ উল্লেখ করলেন সেগুলো যদি বৈজ্ঞানিক সত্য হয় তাহলে এ্যালোপ‌্যাথিক চিকিৎসকগন এত এত ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন বাদ দিয়ে ঐ পদ্ধতি কেন গ্রহন করছে না? আমাদের আসল উদ্যেশ্বতো রোগ ভাল করা, না কি? সেটা মানষিক শক্তিতে হোক, শরিরের নিজের রোগপ্রতিরোধ শক্তিতে হোক এমনকি বিশ্বাসের শক্তিতে হলেই বা ক্ষতি কি? অথচ আমরা এ্যালোপ‌্যাথির ডাক্তারদের দেখি চিকিৎসা পদ্ধতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলতে - কেন? ব্যাবসায়িক উদ্যেশ্ব ছাড়া আর কিছু তো চোখে পরে না?

আর একটা প্রশ্ন, যার যৌক্তিক উত্তর কেউ দিতে পারে না - এ্যালোপ‌্যাথিক অষুধ ক্রমবর্ধমান হারে প্রয়োগ করতে হয় কেন? প্রথমে যার ২০০ মিলি প‌্যারাসিটামলে জ্বর ভাল হয় কয়েক বছর পর তার কেন ৫০০মিলির দুইটা খেতে হয়? ব্লাড প্রেসারের ওষুধ সারা জীবন ক্রমবর্ধমান হারে কেন খেতে হবে? আপনারা এত এত গবেষণা করেন অথচ এমন অষুধ বানাতে কেন পারেন না যা একবারে রোগ ভাল করবে?

আমার অভিজ্ঞতায় যতটুকু জানি প্রায় সব এ্যালোপ‌্যাথিক অষুধ প্রথম বারের তুলনায় দ্বিতীয় বার বেশি মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয় - কেন? এ্যালোপ‌্যথিক অষুধ যদি শরিরের উপকারই করবে, এই অষুধ প্রয়োগে যদি শরিরের উন্নতিই হবে তাহলেতো দ্বিতীয় বার কম মাত্রার অষুধেই কাজ হওয়ার কথা - অথচ এখানে হিসেবটা উল্টো, কেন?

এর ভিত্তিতে যখন অভিযোগ করা হয় যে "এটা আসলে এ'জন্য যাতে ওষুধ শিল্পের সাথে সংশ্লিস্টদের ব্যাবসার প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকে" তখন আমাদেরমত থিওরী না জানা, এ্যালোপ‌্যথিক চিকিৎসার তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্য স্বাধারণ মানুষের কাছে সেটা অনেক বেশী বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়। এর জন্য কি আমরা দ্বায়ী - না কি আপনাদের এই চিকিৎসা ব্যাবস্থা এবং এর গবেষকরা দ্বায়ী - না কি এই অভিযোগটাই প্রকৃত সত্য - চিন্তা করুন।

৪৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

উড়ালিয়া বলেছেন: ব্রাদার রিপেনডিল, ডাক্তারী কোন জ্ঞান নাই, তবে প্রানিবিদ্যা শেষ বর্ষের পরিক্ষা দেব ২১ তারিখে, এই মর্মে মানব ফিজিওলজি বা অন্যন্য প্রাণীর গঠন, রোগ প্রতিকার নিয়ে পড়াশোনা করতে বাধ্য হয়েছি, এটুকু জানি যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জিনিসটা কী, কিভাবে কাজ করে । ক অক্ষর গো মাংস হয়ে কমেন্ট করা ঠিক না। তবু বলি আপনার মত যদি সব হোমিও বিরোধী হত, তা হলে কিছু বলতাম না। কিন্তু অনেকেই সহিংস আচরণ করেন। আমি পরীক্ষিত রোগী, আমি হোমিও ভক্ত। আগেও বলেছি। ব্যপারতা। আর একটা বলেন, আমরা না হয় বিশ্বাস করলাম, কিন্তু দুধ ফিডার খেকো বাচ্চারা বুঝি বিশ্বাস অবিশ্বাস বোঝে, <৫ মাস।

৪৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫

উড়ালিয়া বলেছেন: আমি মিউটেশন , বিবর্তন মানি, কিন্তু আমি ব্যাকটেরিয়ার বংশধর এটার প্রমান চাইনা। কেননা ২/৪ হাজার বছরের কাহিনি জানলেই আমি খুশি ৪০/৫০ কোটি বছর আগে কি ছিলাম সেটার বিতর্কে আমি হনু পুত্র হতে চাই না।

আশ্চর্য হলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল খুব সম্ভবত ২০০৬ সালে হোমিও ডিপার্টমেন্ট চালু হয়েছে,আমি চিকিৎসাও নিয়েছি। আর এরকম আরও অনেক হাসপাতালে চালু হবে B:-/ B:-/ এটা আপনি জানেন না । B:-/

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১২

নতুন বলেছেন: ঐ চেম্বারে ঝাড়ফুকের জন্য আলাদা রুমের জন্য আন্দলন শুরু হবে...

৪৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

উড়ালিয়া বলেছেন: B-)) B-)) লেখক বলেছেন: ঐ চেম্বারে ঝাড়ফুকের জন্য আলাদা রুমের জন্য আন্দলন শুরু হবে... ;) ;)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭

নতুন বলেছেন: হোমিওপ‌্যাথি যদি পানির ফোটা দিয়া হাসপাতালে যায়গা পায়...

তাহলে পানি ফু দেওয়া ফকির তো পুরা গ্লাস ফু দিয়া দেয়.... তাতে ঔষুধ বেশি থাকে.. :)

৪৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

রিপেনডিল বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ, বিজ্ঞানের ছাত্র যদি না হন তাহলে বুঝানোটা কঠিনই বটে, খেয়াল করে দেখুন যে অধ্যাপক বলেছেন তিনি কলা অনুষদের যদিও নূন্যতম বিজ্ঞানের জ্ঞান তারও থাকা উচিত। যাহোক, আপনি এলোপ্যাথির ব্যাপারে যেসব দাবি করলেন সেগুলো কাল্পনিক কিংবা অল্প জানার ফল। এলোপ্যাথির সব ওষুধ প্রথমবারের পর দ্বিতীয়বার আরো বেশী ডোজে দিতে হবে এমন কোন কথা নেই, যদি কেউ বলে থাকেন তবে তিনি জানেন না এবং তিনি যদি ডাক্তারও হন তবুও বলব তিনি না জেনে বলছেন। তবে ডিপেন্ডেন্সি আর এডিকশন বলে দুটো ব্যাপার আছে। ডিপেন্ডেস্নি হল আপনি দেখলেন প্যারাসিটামল খেলে ব্যাথা কমে যায়, এরপর থেকে সামান্য একটু ব্যাথা পেলেই মুড়ি মুড়কির মত প্যারাসিটামল খাওয়া শুরু করলেন। এতে শরীরে ডিপেন্ডেন্সি তৈরী হয় অর্থাৎ শরীর মনে করে জিনিস তো আছেই, তাইলে নিজে নিজে ব্যাথা কমানের কি দরকার, ফলাফল হিসেবে বার বার প্যারাসিটামল খেলে কিডনী নষ্ট করে অনেকে। আবার মরফিন, প্যাথেডিন এসব ওষুধ তীব্র ব্যাথানাশক, কিন্তু এগুলো নেশা সৃষ্টি করে, তাই বার বার নেয়ায় এগুলো শরীরে স্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নষ্ট করে, তখন কম ডোজে কাজ হয় না, আরো বেশী বেশি এবং বার বার নিতে নিতে মারা যায়।

এলোপ্যাথি ডাক্তারের জটিল থেকে জটিল করছি কথাটা সত্য নয়। এখানে অনেকের ভুমিকা আছে, বড় ভূমিকা আছে রোগীদেরও। তারা অধৈর্য্য হয়ে যান, শুরুতেই সামান্য সর্দি কাশির জন্য প্রফেসর খোজেন, দুই দিন পর পর ডাক্তার পাল্টান, ইচ্ছামত ওষুধ বন্ধ করেন চালু করেন, এভাবে জীবানুগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয় তখন আমদের বাধ্য হয়ে আরো বড় অস্ত্র ব্যাবহার করতে হয়।

প্রেসারের ওষুধ বা হৃদরোগের ওষুধ কেন সারাজীবন খেতে হবে এটাও বোঝার জন্য মানুষের শরীর সম্পর্কিত কিছু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ধরুন কারো রোড এ্যকসিডেন্টে পা কাটা গেল, এখন তাকে তো সারাজীবন ক্রাচে ভর দিয়েই হাটতে হবে, ওষুধ দিয়ে তো পা গজানো যাবে না, কিংবা বলতে পারেন এলোপ্যাথী এত পারে তাইলে সব রোগ সারাইতে পারে না কেন, মানুষরে অমর করতে পারে না কেন!!

বিজ্ঞান এখনো তার শেষ পর্যায়ে পৌছায়নি, আমরা জ্ঞান আহরন করছি প্রতিনিয়ত, চেষ্টা করছি নতুন নতুন হাতিয়ার প্রস্তুত করতে। হয়ত একদিন হৃদরোগেরও পারমানেন্ট চিকিৎসা এক ফু দিয়ে করে ফেলতে পারব!


@উড়ালিয়া, অল্প বিদ্যা ভয়ংকর কথাটা জানেন নিশ্চয়ই। আর একটা ব্যাপার আমি কিন্তু অনেকগুলো পয়েন্ট বলেছি কেন হোমিও কাজ করে। শিশুর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই। শিশুদের রোগও অনেক কম হয় বা কম জটিল হয় এবং প্রাকৃতিক নিয়মে দ্রুতই সেরে যায়।

পরিশেষে আপনাদের দুজঙ্কেই বলছি বিশ্বাস করুন খান, আরোগ্য লাভ করুন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু একে বৈজ্ঞানিক সত্য বলে প্রমাণ করার কিংবা দু'একজনের অভিজ্ঞতা লব্ধ পরিসঙ্খ্যান দাড়া করার চেষ্টা করে একে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা পদ্ধতি বললে আখেরে ক্ষতি আমাদেরই হবে। আপনারা যারা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে জড়িত নন তারা সারাজীবনে হয়ত রোগী দেখেছেন বড়জোর শ'খানেক। আর আমরা যারা চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাথে জড়িত আমরা প্রতি সপ্তাহে রোগী দেখি শ'খানেক। সুতরাং কার কি অভিজ্ঞতা সেটার পরিসংখ্যানগত ডাটা আমাদের কাছেই বেশি। আমি দেখি কতজন হোমিও আর কবিরাজি করে লিভার কিডনি হার্ট সব পচায়ে শেষে এলোপ্যাথির কাছে আসে তখন মাঝে মাঝে আমাদেরো কিছু করার থাকে না। তাই আবারো বলি জীবনের উপর ঝুকি নেবেন না, ঝড়ে বক পড়বে সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেই ঝড় সবসময় সবার জন্য নাও হতে পারে। তাই জেনেশুনে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির আশ্রয় নেয়াটাই কি শ্রেয় নয়?

৪৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২

কোডনেম ৬৬৬ বলেছেন: এইচএসসিতে একটা জিনিস পড়েছিলাম-মোলারিটি। সেই জ্ঞান থেকেই প্রমাণ করা যায় এই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত active ingredient খুব বেশি বাকি থাকে না। আর ২০০ বার এক ফোঁটা করে নিয়ে দ্রবীভূত করতে থাকলে active ingredient নাই হয়ে যাবে। এটা সাধারণ ম্যাথ। যারা মানতে পারছেন না তাদের জন্য হাজারি অথবা কবীর স্যারের chemistry বই দ্রষ্টব্য।

৪৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১১

উড়ালিয়া বলেছেন: ভচ রিপেনডিল, গায়ে চিমটি দিলেন ক্যান? X(( X(( প্রতিনিয়ত রোগী দেখে আপনাদের তো আবার মানুষ আর জানোয়ার দের পার্থক্য থাকেনা, সব ই রোগী, এই হল আপনাদের বেশি শিক্ষিত দের ফল সমাজ পাচ্ছে , পাশ করেন ডাইল খাইয়া, পেটের ভেত্নুর গজ রেখে সেলাই দেন X(( X(( , হনুরা যেমন সব কিছুতে প্রকৃতি খুজে পায় আম্নেরা তেমনি " অসব এমনি সেরে যায়" , আর রোগীদের ধৈর্যের কথা বলছেন? এলপ্যাথের চেয়ে হোমিওতে অনেক বেশি সময় লাগে, তাই এলোপাথ ছেড়ে তাই এমনি এমনি হোমিওতে আশার কথা না। আর যুক্তিবাদি হনু হয়ে শেষ বয়সে উন্মাদ হওয়া কিংবা আত্নহত্যা করবোনা ব্রাদার। শরীর ঠিক রাখার জন্য অনেক ব্যায়াম আছে, এখন যদি আপনি বলেন খালি ফুটবল ই পারে শরীর ঠিক রাখতে, বাকি গুলো ভুয়া, তাইলে আপনি যান আপনি ১ম আমি ফাস্ট ;) আর একটি কথা, আমার বড় ফুপুর চোখে ইঞ্জেকশন দিয়ে এক তা নষ্ট করেছে আপনার জ্ঞাতি ভাই, এক কাজিন কে ভুল চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে, সেটাও এক জ্ঞাতি। সমাজে খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনাদের অপ চিকিৎসায় কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, খালি হোমিওর দোষ ধইরেন্না।

ভচ, নচিকেতার গানটা একটু শুনে উর্বর মাথা ঠাণ্ডা করেন >> তোমারও অসুখ হবে, তোমারই দেখান পথ...


আর হায়, আমি কিন্তু এক্সিডেন্টের রোগীর জন্য হোমিও বলিনি, কিংবা এটাতে সব সারবে, অন্য চিকিৎসার দরকার নাই তা বলিনি। বরং এটা একটা বিকল্প।






৫০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৭

রিপেনডিল বলেছেন: উড়ালিয়া কেউ জেগে জেগে ঘুমালে তাকে জাগানো যায় না, আপনাকে আমি খোচাইনি, স্বরন করিয়ে দিলাম। আমি কিন্তু আগেই স্বীকার করেছি যে ডাইল খেয়েও অনেকে ডাক্তার হয়, তাদের ডাক্তার বলতে বা জ্ঞাতিভাই বলতে আমার আপত্তি আছে। এলপ্যাথির সমস্যার কথা আমি কিন্তু শুরুতেই স্বীকার করে নিয়েছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনারা হোমিও এর বিরুদ্ধে কিছুই মানতে চাননা। তাই আমার সম্পূর্ন চেষ্টাটাই বৃথা গেল। যথাসম্ভব সহজভাবে সাধারন বিজ্ঞান ব্যাবহার করে কথাগুলো বলে ছিলাম, সেটাও যখন বোঝেন নি তখন ঝাড় ফুকই ভরসা। দোয়া করি আপনারা হোমিও এর বিশ্বাসে সুস্থ হন তাতে অন্তত আমাদের চাপ কিছুটা কমবে। তবে আফসোস লাগবে তখনই যখন সব হোমিও খেয়ে রোগের অন্তিম পর্যায়ে মৃত্যুর দুয়ারে এসে হাসপাতালে ভর্তি হবে আর আমাদের রাত জেগে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে তাকে বাচানোর জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে।

৫১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০৫

উড়ালিয়া বলেছেন: হ আইচে এক ডাক্তার ;) দেন আপনার কন্টাক্ট , সামনে বিয়া করুম, আল্লাহ দিলে বউ বাচ্চা হপে, তখন না হয় আমনের কাছেই যামুনে :-B :-B আম্নে হলে ডাক্তার অন্য গুলো ডাকাইত, ভচ, আজকাল ডাক্তারেরা রাইত জাগেনা, ইন্টার্নই পলাপাইন রোগী নামক গিনিপিগ গুলো উপর এক্সপেরিমেন্ট চালায় মাত্র, ডাক্তার দের সময় কই ভ্রাতা, উনারাতো ক্লিনিকে গলা কাটতে অস্ত্রে শান দিতে ব্যস্ত B-))


যাই হোক, ভালো থাকুন সবাই। বিদায়।

৫২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩৯

রিপেনডিল বলেছেন: উড়ালিয়া, আমি এখন নাইট ডিউটি তে আছি, হাসপাতালে বসেই লিখছি। ইন্টার্নিদের ডাক্তার বলে মানতে চাননা আবার হোমিও কবিরাজদের ডাক্তার ঠিকই মানেন! ইন্টার্নী চিকিতসকেরা এমবিবিএস পাশ করেই ইন্টার্ন করতে আসে আর একজন প্রফেসর আর ৮-১০জন প্রফেশনার ডাক্তারদের তত্ত্বাবধায়নে থেকে এখানেই কেউ কারো উপর এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ পায় না। এক্সপেরিমেন্ট হতে পারে ক্লিনিকে আর চেম্বারে। উল্লেক্ষ্য আমি গাইনীর ডাক্তার নই সুতরাং বাচ্চা হওয়া সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গাইনী ডাক্তারের কাছে গেলেই ভালো করবেন।
ডাকাত আছে অস্বীকার করছি না, কিন্তু সবাই যদি ডাকাত হত তাহলে এই দেশের জনসঙ্খ্যা এত হইত না! হিসেবে দেখা যাচ্ছে গুটিকয়েক ডাকাতের তকমা আমাদের ঘাড়েই নিতে হচ্ছে। আর আপনারা আস্থা হারিয়ে হচ্ছেন প্রতারিত।

৫৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৬

নতুন বলেছেন: @ উড়ালিয়া এবং কাঙ্গাল মুরশিদ

আপনাদের ব্যক্তিগত অভিঙ্গতায় এলোপ‌্যথিক চিকিংসা সমপ্কে` বিরুপ প্রতিকৃয়া হয়েছে বুঝতে পারছি....

কিন্তু সেইটা কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের জন্য হয়েছে.... তার জন্য চিকিৎসা পদ্বতী দায়ী নয়....

আমাদের আলোচনা হচ্ছে চিকিৎসা পদ্ভতী নিয়া....

আপনি যদি একজন খারাপ মানুষকে ডাক্তার বানাইলেও সে খারাপ আচরনই করবে.... আর এইটাই হইতেছে আমাদের দেশে....

আমার বউএর জ্বরের জন্য মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসরের কাছে গেছিলাম>>> উনি ক্রিকেট খেলা দেখছেন আর রোগী দেখছেন...... তাই উনার প্রিস্কাকাবসান নিয়ে আরেক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম... উনি সময় দিলেন... আলোচনা করলেন... এখন কোন সমস্যা হলে এই ডাক্তারের কাছেই যাই....

তাই ব্যক্তি ডাক্তার খারাপ বলে বলে এলোপ‌্যথিক চিকিৎসা পদ্ভতী খারাপ তা আমি বললো না....

কিন্তু কিছু খারাপ লোকের জন্য যদি আপনি হোমিওপ‌্যাথি বা ঝাড় ফুকের মতন জিনিসে বিশ্বাস আনা শুরু করেন.... তাহলে তো ইচ্চাকরেই প্রতারিত হচ্ছেন...

৫৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @রিপেনডিল

আপনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এটা জেনে ভাল লাগছে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির বানিজ্যিক চক্রের বিরুদ্ধে আমার কিছু বক্তব্য আছে। যেহেতু আমি নিজে চিকিৎসক নই, তাই আমার বক্তব্য পুরোটাই অভিজ্ঞতা নির্ভর - তবে এ'ধরনের কথা আপনি অন্য অনেকের কাছেই হয়ত শুনে থাকবেন।

বর্তমান চিকিৎসা ব্যাবস্থা - চিকিৎসা ব্যাবস্থা বলতে এ্যালোপ‌্যাথিই বুঝান হচ্ছে - অতি মাত্রায় ব্যাবসাকেন্দ্রিক। এখানে ডাক্তার, ক্লিনিক, হাসপাতাল, ওষুধ কোম্পানী, ডায়াগনোস্টিক ল্যাব, ফার্মাসি - সবাই ব্যাবসায়ী এবং পুঁজিবাদী ধারায় শিক্ষিত। পুজিবাদী ব্যাবসায়ী চেতনায় মুনাফাই সাফল্যের একমাত্র মানদন্ড -অর্থাৎ যে যত বেশী মুনাফা করতে পারে তাকে তত বেশী সফল ব্যাবসায়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এখন চিন্তা করুন কোন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে মুনাফা বেশী হবে - সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার চিকিৎসা, নাকি একবারে ভাল করার চিকিৎসা?

একটা ছোট্ট হিসেবে দেখুন - আমার পরিচিত একজন প্রেসারের রুগির বয়স ৪০ বছরের নিচে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে প্রতিদিন একটি করে অষুধ খাওয়ার ব্যাবস্থাপত্র দিয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি অষুধের দাম ৫ টাকা। বাংলাদেশের বর্তমান গড় আয়ু ৭০ বছর হিসেবে ঐ রুগীকে আগামী অন্তত ৩০ বছর এই ওষুধ খেতে হবে। বর্তমান দরে এর মোট মুল্য হবে ৫*৩৬৫*৩০ =৫৪,৭৫০ টাকা। এর সাথে ধরুন ১. অষুধের মুল্য বৃদ্ধি, ৩০ বছর পরে এই একই অষুধের দাম ২০ টাকায় ওঠা কোন ব্যাপারই না + ২. ওষুধের মাত্রা বৃদ্ধি, প্রতি দুই-তিন বছর পর পর এই ওষুধের মাত্রা বাড়াতে হবে বলে ডাক্তারই বলেদিয়েছে। তাহলে আগামী ৩০ বছরে এই একজন রুগীকে অন্তত দুই লাখ টাকা খরচ করতে হবে শুধুমাত্র প্রেসারের ওষুধ কেনার জন্য। এর সাথে নিয়মিত চেকআপের জন্য ডাক্তারের ফি, ল্যাব টেস্টের ফি, ক্লিনিকের ফি এবং এই ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় সৃস্ট অন্যান্য রোগ ও তার ওষুধের হিসেব আমি বাদই রাখলাম।

আমার জানা মতে ব্লাড প্রেসার ছাড়াও ডায়াবেটিক, হার্টের সমস্যা, প্রস্রাবের সমস্যা - ইত্যাদির জন্য সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার প্রেস্ক্রিপশন দেয়া হয়। আপনি অভিজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে নিশ্চয়ই আরো বিস্তারিত জানেন। আপনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন: সারা জীবন ক্রমবর্ধমান হারে ওষুধ প্রয়োগের ব্যাবস্থাপত্র দেয়া হয় এমন রোগের সংখ্যা কত?

আমার ধারনা এই সংখ্যা ৮-১০ এর কম কিছুতেই হবে না। যদি কোন ক্রমে এক কোটি মানুষকে গড়ে প্রতিদিন মাত্র ১০ টাকার ওষুধ খাওয়ার ব্যাবস্থাপত্রের আওতায় আনা যায় তাহলে উপরে উল্লেখিত হিসেব অনুযায়ী আগামী ৩০ বছরে ৪লক্ষ কোটি টাকার ওষুধের বাজার নিশ্চিত করা যায়।

এখন বলুন কোন স্বাভাবিক জ্ঞান বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যাবসায়ী এই বিশাল নিশ্চিত বাজারের সম্ভাবনা ধ্বংস করে একবারে রোগ সারানোর ওষুধ বাজারজাত করবে কি? করবে না, করতে পারবে না। যদি কেউ করার চেস্টাও করে তবু পুঁজিবাদী অর্থনীতির উপাদানগুলি - যেমন ব্যাংক, শেয়ার মার্কেট - তা কিছুতেই করতে দেবে না।

এই প্রেক্ষিতে আপনার কাছে দ্বিতীয় প্রশ্ন: গত দশ-পনের বছরের অভিজ্ঞতায় এমন কিছু রোগের নাম কি বলতে পারবেন যাতে আগে সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার প্রেস্ক্রিপশন দেয়া হত, বর্তমানে একবারেই রোগ সারানোর ওষুধ আবিষ্কার ও বাজারযাত করা হয়েছে?? আমাদের অভিজ্ঞতা কিন্তু উল্টো - সারা জীবন অষুধ খাওয়ার প্রেষ্ক্রিপশন দেয়ার প্রবনতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং উল্লেখিত ব্যাবসায়ীক প্রক্ষাপটে সেটাই স্বাভাবিক।

আপনি চিকিৎসক হিসেবে যত আন্তরিকতার সাথেই মানুষের রোগ নিরাময়ের চেস্টা করুন না কেন - অতি-বানিজ্য নির্ভর এ্যালোপ‌্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে আপনার হাত পা ওষুধ কোম্পানীর হাতে বাঁধা। আর দুনিয়াতে ওষুধ নিয়ে যত গবেষণা হয় তার সিংহভাগ স্পনসর করে ওষুধ কোম্পানী। আচ্ছা তৃতীয় আর একটা প্রশ্ন: এই ওষুধ কোম্পানীগুলোর উপর এমন কোন রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রন আছে কি যারা ওষুধ কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করতে পারে একবারে রোগ সারানোর উপযোগী ওষুধ আবিষ্কার ও বাজারযাত করার জন্য?

৫৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১২

বাজেকাম বলেছেন: সুদীপ্ত কর বলেছেন: আমার বাবা এমনিতেই শখের বসে হোমিওপ্যাথি পড়েছিলো। আমাদের ফ্যামিলির কারো কোনদিন অ্যালোপ্যাথির ধারেকাছে যাওয়া লাগেনি। দুই ফোটা ওষুধে যে কোন কিছু শেষ।

ইন্টারে পড়ার সময় আমি বইগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছিলাম। খুবই চমৎকার জিনিস। বিশেষ করে সিম্পটম মিলানোর বিষয়গুলো। মাথাব্যাথার সাথে চোখ লাল থাকলে এক ওষুধ। সেই সাথে পানি পড়লে আরেক ওষুধ। পুরাই ভানুমতির খেল। গলায় কাটা ফুটলে তো কোন কথাই নাই। হিপার সালফের দুইটা বড়ি গিলেন। ১০ মিনিটে কাটা নাই।
কোন সাইড ইফেক্ট নাই। মারাত্মক জিনিস।

আর হ্যানিম্যানের হোমিওপ্যাথির জনক হবার ইতাহাসতো মনে হয় জানেনই। আর বললাম না।

তবে হোমিওপ্যাথির একটা শর্ত আছে যেগুলা কলেজে পড়ানো হয়। সেটা হলো কোন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার তার প্রচারণার জন্য লিফলেট, মাইক, সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেনা। কিন্তু ইদানীং কিছু লোকজন হোমিওপ্যাথিকে রাস্তার ক্যানভাস চিকিৎসা বানিয়ে ফেলসে ।


মন্তব্যটা অনেক ভালো লেগেছে।


প্লাসিবো ইফেক্ট বা ডিডব্লিউ চিকিৎসার সাকসেস রেট কত?

১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৯

নতুন বলেছেন: প্লাসিবো ইফেক্ট বা ডিডব্লিউ চিকিৎসার সাকসেস রেট কত?


হোমিও আর প্লাসিবো দুইটার ই সাকসেস রেট সমান :)

৫৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম...
ভয়াবহ তথ্য...!

তবে কথা থেকে যায়... এই পৃথিবীতে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের জানার বাইরের অংশটুকো বিশ্বাস করতে চাইনা...
এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারও হোমিও নিয়ে এমন আচরণ করেন...

আর আপ্নার পোস্টে আপ্নি চরমভাবে ভায়াস্ট হয়ে পোস্ট ডেলিভারি দিয়েছেন... সো আপ্নি সব অভিজ্ঞতা আর আরোগ্য লাভকে একটা এবস্ট্রাকট্ক বিষয় বলে চালাতে চাচ্ছেন।
প্রিয় ব্লগার রিপেনডিল ও তাই করছেন।

আমার বক্তব্য হল আমরা আম মানুষ। রোগ মু্ক্তিই আসল... এই বিজ্ঞানের তক্কাতক্কির দরকার নাই... আর এই রোগমুক্তি যদি আমার ঘাস খায়াও হয় তাতে আপত্তি নাই...

তয়... হোমিওরা বাটপারি করে এইটা যমেন ঠিক তেমনি এলোরা কসাই এইটাও ঠিক...

আমার পায়ের নোখের ইনফেকশনের জন্য এলোরা ১৮ বছর চিকিৎ করছে ... এর পর কয় অপারেশন লাগবো । ৫বছরের ব্যাবধানে দুইবার অপারেশন করছে। এরপরও যখন ভাল হয়নাই তখন ৪/৫ জন স্কিন আর সার্জারি একসাথে বইসা নানা বই ঘাইটা কয় তোমার সমস্যটা তো সেভাবে হাই লাইট করা নাই...
সমস্যাটা নিয়ে হতাশ হয়ে গেলাম... কেউ কয় বিদেশ যাও। এত টাকা না পায়া গেলাম আপ্নাদের কথিত বিশ্বাস-ডাক্তার হোমিওর কাছে... ১ বছর যাবৎ ইনফেকশন নাই....

এইবার বলেন আমি শুধু পানি খায়া ভাল হইছি...?
যেখান ইটরা, ফ্লুগাল আরো কি খাওয়া আমারে ফকির বানাযাফালছে সেইখানে পানি খায়া ভাল হয়ে গেছে বিশ্বাসের কারণে এইটা যদি বলেন তাইলে আপ্নাকে কুপমন্ডুক ফাড়া আর কিছু কইতে পারুম না...
তয় আমি কিন্তু এই অপারেশন-টপারেশন বিশ্বাস কইরাই করছিলাম... বাবা যখন হোমিওর কথা কইতো আমি কইতাম ওইসব পাউডার-মাউডার দিয়া নখের নিম্নবৃদ্ধি ফিরাইব কেমনে...?

পরে আমি আমার অবিশ্বাস নিজেই গিলছি....

মোট কথা এইসব কিছু সৎ ও যোগ্য হোমিওর জন্য এলোদের ক্লিনিক,ভিজিট আর দালালীটার শতভাগ পূর্ণ না হাওয়াই সমস্যা...

আমি একটু হার্ড কইলাম... কারণ বহু ডাক্তারের সাথে একটা ছোট পেশার কারণে সম্পর্ক থাকায় ওদের ভেতরটা আমার জানা....

৫৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৩

উড়ালিয়া বলেছেন: আজ আবার আসলাম। সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: তবে কথা থেকে যায়... এই পৃথিবীতে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের জানার বাইরের অংশটুকো বিশ্বাস করতে চাইনা...
এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারও হোমিও নিয়ে এমন আচরণ করেন...



এ দেশে এবং আমার দেখা অনেক সুপান্থ সুরাহী আছে।

৫৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

উড়ালিয়া বলেছেন: দেখি অন্যদের কেমন ধারনা এই খানে

৫৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২

মনুমনু বলেছেন: ভাষানটেক এলাকায় একটি হোমিওপ্যাথী মেডিক্যাল কলেজ(সরকারি) আছে।
শুনেছি, এমবিবিএস সমমানের চিকিৎসক সনদ দেয়া হয় সফলভাবে ৫/৬ বছর পড়াশনা করার পর। বেসরকারী হইলেও একটা সন্দেহ হইত। আজ প্রায় ২০ বছরের উপরে আমি দেখছি ঐ মেডিকেল কলেজ চালো আছে।

৬০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১৯

রিপেনডিল বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ, বানিজ্যিক দিকটা ভালো ব্যাখ্যা করেছেন। আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো দিচ্ছি। সারাজীবন ওষুধ খেতে হয় এমন রোগের সংখ্যা অনেক, শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে যাদের জ্ঞান আছে তারা ভালো বুঝতে পারবেন তাও চেষ্টা করছি, মানুষের শরীরে থাইরয়েড নামের এক অঙ্গ থাকে গলার কাছে, এর থেকে থাইরয়েড হরমোন বের হয় যা মোটামুটি শরীরের সব রকম ক্রিয়া বিক্রিয়ার উপর নিয়ন্ত্রন রাখে। এখন ধরুন কারো যদি জন্মগত ভাবে এই থাইরয়েড তইরীর মেশিন নষ্ট থাকে কিংবা কোন কোন কারনে পাকাপাকি ভাবে নষ্ট হয়ে যায় তখন থাইরয়েড আসবে কোথা থেকে, কে বানাবে? উপায় একটাই বাইরে থেকে থাইরয়েড তৈরী করে প্রতিদিন তাকে প্রয়োজনীয় ডোজে থাইরয়েড খেতে বলা অথবা অন্যকোন উপায়ে যদি কৃত্রিম ভােবে বায়োজলিকাল বা নন বায়োলজিকাল থাইরয়েড গ্রন্থি তৈরী করে বসিয়ে দেয়া যায় সেটা চমৎকার সমাধান হবে, তবে বিজ্ঞান এখনো সে পর্যায়ে পৌছেনি, স্টেম সেল নিয়ে গবেষনার জন্য গতকাল চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল দেয়া হয়েছে, আশা করি সেখান থেকে ভবিষ্যতে কোন ফলাফল পাওয়া যাবে। ডায়াবেটিস ও এমনি একটি রোগ, বাইরে থেকে আমরা ইনসুলিন সাপ্লাই দেই কারন শরীরে মেশিন পাকাপাকিভাবে নষ্ট। প্রেসারের ক্ষেত্রে প্রেসারের মূল কারন্টাই এখনো মানুষের অজানা, কারন যেহেতু জানা যায় নি তাই এর চিকিতসা চলে উপসর্গ নির্ভর, প্রেসার কমানোর জন্য তাই ওষুধ খেতে হয় সারাজীবন।

আসুন অন্য প্রসঙ্গে, প্রশ্ন করেছেন এমন কোণ রোগ আছে কিনা যার ওষুধ আগে সারাজীবন খেতে হত এখন নতুন ওষুধ সারাজীবন খেতে হয় না, উত্তরঃ আছে। লেপ্রোসি বা কুষ্ঠ রোগ এর ওষুধ আগে অনেক বছর এবং ক্ষেত্রবিশেষে সারাজীবন খেতে হত এখন এক থেকে দু বছর খেলেই পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। এমন আরো আছে। আরো কিছু উদাহরন দেই, ওষুধ কম্পানিগুলো এখন কম্বিনেশন ড্রাগ প্রস্তুত করে, অর্থাৎ এক ট্যাবলেট বা ক্যাপ্সুলে একসাথে দুটো বা আরো বেশি ওষুধ থাকে এবং দাম অই দুটো ওষুধ আলাদা কিনলে যা হত তার প্রায় অর্ধেক হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। উচ্চরক্তচাপের অনেক ওষুধেরই কম্বিনেশন ড্রাগ আছে বর্তমানে। আবার গবেষনা করে নতুন, আরো কাজের এবং কম ডোজের ওষুধ বের করার ট্রেন্ড ও আছে। যেমন র‍্যাবেপ্রাজল। গ্যাস্ট্রিক আলসার এর ওষুধ, সাধারন অমেপ্রাজল যেখানে দুবেলা খেতে হয় সেখানে এটা একবেলা খেলেই চলে এবং দামটাও প্রায় কাছাকাছি।

এবার বাণিজ্য নির্ভর এলোপ্যাথির কিছু ফ্রি সেবার কথা বলি। দেশে কুষ্ঠ রোগ, যক্ষা ইত্যাদি বেশ কিছু রোগের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়, সরকারী হাসপাতালগুলোতে মাত্র দশ টাকার টিকেটে লক্ষ টাকার অপারেশন ও অন্যান্য চিকিতসা হয়। ওষুধ খাওয়াদাওয়া এগুলো তো আছেই। আমরা ডাক্তারেরা ব্যাক্তিগত উদ্যোগেও দেশের বিভিন্ন দরিদ্র অঞ্চলে মাঝে মাঝে হেলথ ক্যাম্প পরিচালনা করে বিনামূল্যে চিকিতসা এবং মাঝে মাঝে নিজেদের খরচেই বিনামূল্যে ওষুধ ও দেই। এই আমরাই পেটের নাড়ী পেচ খেয়ে পায়খানা আটকে থাকা রোগীর পেট কেটে মল মূত্র পরিষ্কার করে সুস্থ করি তাকে, পা পচে দূর্ঘন্ধ হওয়া গ্যাংগ্রিন এর রোগীকে মাসের পর মাস ড্রেসিং করে আমরাই সুস্থ করি একদম ফ্রি তে! বললে আরো অনেক বলা যায়, দীর্ঘায়িত করব না।

এবার আসুন হোমিওপ্যাথি বাণিজ্য কিনা সে কথায়। জানিনা জীবনে কয়বার হোমিও খেয়েছেন। আমার মা হোমিও এর দারুন ভক্ত। তার কানের পাশে প্যারোটিড টিউমার হওয়ায় তিনি হোমিও পুরিয়া খাওয়া শুরু করেন। প্রতি সপ্তাহে ১০০০টাকা করে লাগত। এভাবে মাসখানেক খেয়ে কোন ফল না পাওয়ায় এলোপ্যাথিতেই ফিরে আসেন। শুধু পানি বিক্রি করে যদি সপ্তাহে ১০০০ টাকা পাওয়া যায় এটাতো সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যাবসা!

সর্বশেষ প্রশ্ন, রেগুলেটরী সংস্থা আছে কিনা। হ্যা আছে, অবশ্যই আছে, আন্তর্জাতিক সংঘটন এফডিএ (The Food and Drug Administration (FDA) সব ওষুধের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বাজারে ছাড়ার লাইসেন্স দেয়। এফডিএ এর অনুমোদন ছাড়া কোন ওষুধ বাজারে আসতে পারে না, যদি আসে তবে সেটা বেআইনি। আর এগুলো তত্ত্বাবধায়নের জন্য WHO | World Health Organization তো আছেই।

৬১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২৬

রিপেনডিল বলেছেন: @বাজে কাম এবং সুদীপ্ত কর, আপনারা মেডিকেল এর বই ও দু'চারটা পড়ে দেখুন, আরো বেশি চমৎকৃত হবেন। হোমিও এর চেয়ে এলো অনেক বেশি পুরোনো এবং বিজ্ঞান সম্মত ব্যাবস্থা। হোমিও আপনাকে কোন ব্যাখ্যা দেবে না কোন ওষুধের কাজের পদ্ধতি কি, শরীরে সে কিভাবে কাজ করে, এই ব্যাখ্যা ঝাড় ফুক ওয়ালারাও দিতে পারে না। আর দেবেই বা কি করে, ওষুধ থাকলে তো দেবে, ওষুধ যে নেই সেই প্রমান মূল পোস্টেই পাবেন। গলায় কাটা ফুটলে হিপার সালফ লাগবে না, মুখে ভাত নিয়ে গিলে ফেলেন অথবা বার কয়েক ঢোক গিললেও কাটা চলে যেতে পারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই!

প্লাসিবু চিকিতসার সাকসেস রেট রোগের উপর নির্ভর করে। সাধারন এবং অসাধারন বেশ কিছু রোগের উপর প্লাসিবু এর ভাল প্রভাব আছে। তবে আগেই বলেছি ঝড়ে বক সবসময় পড়ে না, আর শরীর কিংবা মন ও সবসময় ততটা শক্তিশালী হয় না রোগের বিরুদ্ধে। তাই জীবনের উপর ঝুকি নিয়ে প্লাসিবু এর ভরসা না করাটাই বোধহয় ভালো।

৬২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৩৬

রিপেনডিল বলেছেন: @সুপান্থ সুরাহী, কথাটি ঠিকই বলেছেন নিজের জানার বাইরে অন্য কিছু বিশ্বাস করতে চাইনা। এটা কিন্তু আপনাদের মত হোমিও ভক্তদের ক্ষেত্রেও সত্য। পার্থক্যটা হচ্ছে হোমিও ওয়ালারা এটাকে বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠাই করতে পারে না, পারেনা ব্যাখ্যা করতে কিভাবে কেন কোন ওষুধ শরীরের কোথায় কাজ করল, তারা ধরা পড়ে যায় তাদের কোন ওষুধই নেই, শুধু পানি কিংবা এলকোহল।

রোগমুক্তি আসল কথা তা তো বটেই, আমিও সেজন্য মনে করি বিকল্প চিকিতসা পদ্ধতির দরকার আছে, তবে তার প্রায়োরিটি যেন অন্ধ বিশ্বাসের মত সব ক্ষেত্রে গ্রাস করে না ফেলে। ঝড়ে বক কিন্তু সবসময় পড়ে না।

আপনার সমস্যাটা অনিকোমাইকোসিস কিংবা ইনগ্রোয়িং নেইল হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিতসা আছে। তবে তাতে ওষুধ আর সার্জারি মিলায়ে ৬ মাসে ভালো হয়ে যাবার কথা। তবে একটা ব্যাপার আগেও আমি স্বীকার করেছি আমাদের মধ্যে অনেক নামধারী চিকিতসক আছেন আবার বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর চিকিতসকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব আছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই রোগী ভোগান্তির স্বীকার হয়। আপনার ইনফেকশন বিশ্বাসের জোরে হয়ত ভালো হয়নি, আগে যে অষুধ খেয়েছেন তার জোরেও ভাল হয়ে থাকতে পারে কারন নখের ইনফেকশন যেতে বেশ সময় লাগে কিংবা হোমিওতে স্টেরয়েড থাকে এই স্টেরয়েড ইনকেশন এর প্রভাব বাহ্যিকভাবে কমিয়ে রাখতে পারে কিন্তু ইনফেকশন ভেতরে থেকেই যায়। দয়া করে হোমিও কেন কাজ করে এই সংক্রান্ত আমার কমেন্টটি উপর থেকে পড়ে নিন।

৬৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪০

রিপেনডিল বলেছেন: @মনুমনু দেশে হোমিও এবং ইউনানী মেডিকেল কলেজ আছে আমিও জানি, এসব যায়গায় প্রায়ই এলো চিকিতসকেরা পড়তে যান। এখান থেকে যারা ডিগ্রী নিয়ে বের হন তারা তাদের দৌড় যানেন। কখন এলোপ্যাথিতে রেফার করতে হবে সেই জ্ঞান তারা রাখেন, তাদের নিয়ে আমার নেই। কিন্তু দেশে কজন সার্টিফিকেট ধারী পাশ করা হোমিও চিকিতসক আছে বলতে পারেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখবেন হোমিও চিকিতসকেরা হলেন মসজিদের ইমাম, রিটায়ার্ড চাকুরীজীবি ইত্যাদি। শেষ বয়সে এসে তারা কিছুদিন হোমিও বটিকা পড়ে চিকিতসক হয়ে যান। ভয় আমার এদের নিয়েই, কারন হোমিও খেয়ে ভাল না হওয়া আর দেরিতে এসে শরীরের কলকব্জা সব নষ্ট করে যখন আমাদের কাছে আসে রোগী তখন আমাদেরই খারাপ লাগে, চিকিতসা তখন আমাদেরই করতে হয়।

৬৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৩

রিপেনডিল বলেছেন: পরিশেষে একটা কথাই বলি, একদিন আমরাও হয়ত মঙ্গলগ্রহে যাব, কিন্তু সেদিনো আমরা সাথে করে ঝাড়ফুক তাবিজ কবজ নিয়ে যাব আর মঙ্গলের কোন একপেয়ে জলজের গায়ে আল্লাহু কিংবা ক্রুশ কিংবা ওং লেখা দেখে সুবহানআল্লাহ বলে মঙ্গলফোন ফাইভে ছবি তুলে মঙ্গলবুকে আপলোড করে বলব ভাল লাগলে লাইক দিন!

১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১১

নতুন বলেছেন: জটিল বলেছেন ভাই...

কিছু লোক আছে যারা প্রমান হাতে ধরিয়ে দিলেও বিশ্বাস করবেনা...

তাদের বিশ্বাসই আসল..

৬৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪০

মনুমনু বলেছেন: @রিপেনডিল, আপনার আশংকায় আমিও একমত।

৬৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৩৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @রিপেনডিল

ধন্যবাদ চিকিৎসা বানিজ্যের ব্যাপকতা অনুধাবনের জন্য। আপনার দেয়া উত্তর থেকে যা জানা যাচ্ছে তার মধ্যে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে - সারা জীবন ওষুধ খেতে হয় এমন রোগের সংখ্যা অনেক। কত আপনি তা বলেন নি, এবং এও বলেন নি যে এই সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে বড়ছে না কমছে। একটা মাত্র উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে আগে দীর্ঘসময় ওষুধ খেতে হত এখন তা কিছুটা কম সময় খেতে হয়। এর ভিত্তিতে বলা যায় ভবিষ্যতে কিছু ওষুধ সেবনের সময় কিছুটা হয়ত কমবে - কিন্তু অন্যান্য ওষুধের হার যে হারে বাড়ছে তার তুলনায় সেটা কিছুই না।

আপনি সরকারী ডাক্তারদের বিনামুল্যে চিকিৎসার উদাহরণ দিলেন। আপনি নিজে সরকারী ডাক্তার কি না জানি না, তবে যে, যে কাজের জন্য নিয়োজিত তার পক্ষে সেই কাজকে মহানুভবতা বা উদারতা ভাবার যে লক্ষন আপনার উত্তরে দেখা গেল তা রীতিমত আতংকের বিষয়। ধরুন আপনি একজন দাড়োয়ান রেখেছেন - যার দ্বায়িত্ব হচ্ছে সকাল বেলা আপনার অফিসের দরজা খুলে দেয়া। যদি সে তা না করে তাহলে আপনি অফিস শুরুই করতে পারেন না। এখন যদি সে এটাকে আপনার প্রতি বিরাট অনুগ্রহ হিসেবে বিবেচনা করে আর এম ভাব দেখায় যে তাকে ছাড়া আপনি অফিস শুরুই করতে পারেন না - তাহলে সেটা আপনার কাছে কেমন লাগবে??

একই ভাবে সরকারী ডাক্তারদের নিয়োগ দেয়া হয়, বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় মানুষকে বিনামুল্য চিকিৎসা দেয়ার জন্য। আপনারা যদি এটাকে মহানুভবতা/উদারতা/জনসেবা ভাবেন তাহলে প্রশ্ন করা কি অন্যায় হবে যে - আপনি কেন এই চাকরি নিলেন? আপনি কি চাকরি নেয়ার সময় জানতেন না এখানে কী কাজ করতে হবে? সরকার কি জোর করে আপনাকে কাজে নিয়োগ করেছে না নিজে রীতিমত পরীক্ষা দিয়ে প্রতিযোগিতা করে এই কাজে যোগ দিয়েছেন??

আমি আপনাকে আহত করতে চাই না, কিন্তু আমার ধারনা এ্যালোপ‌্যাথিক চিকিৎসকদের অন্যতম প্রধান সমস্যাই হচ্ছে এই মানষিকতা যা আপনার উত্তরের মধ্যেও ফুটে উঠেছে।

আপনি হোমিওপ‌্যাথিকেও বানিজ্য হিসেবে উপস্থাপনের চেস্টা করেছেন - এ্যালোপ‌্যাথির তুলনায় যা নিতান্তই হাস্যকর। আচ্ছা এ্যালোপ‌্যাথী চিকিৎসায় এক রোগের জন্য দেয়া ওষুধের পার্শপ্রতিকৃয়ায় যে অন্য রোগ হয় এবং তার জন্য যে আরো ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় - এটাতো স্বীকার করবেন? শুধুমাত্র এই পার্শপ্রতিকৃয়ার ভিত্তিতে দেয়া ওষুধ(অর্থাৎ নিজেই রোগ তৈরী করে তার পর চিকিৎসা দেয়া!!) থেকে এ্যালোপ‌্যাথীতে যা বানিজ্য হয় - হোমিওপ‌্যাথির মোট বিক্রি তার ধারেকাছেও যাবে না।

ওষুধকোম্পানীর উপর রেগুলেশনের ব্যাপারে আপনি যা বল্লেন আমার প্রশ্ন সেটা ছিল না। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতো ওষুধের মান ও কার্যকারিতা দেখে - আমার প্রশ্ন ছিল ওষুধের প্রয়োজনীয়তা কমানোর কোন প্রচেস্টা আছে কি না। ওষুধ বানিজ্যের যে উদাহরণ আমি দিয়েছি এবং আপনিও মেনেছেন তাতে কোন ওষুধ কোম্পানী স্বেচ্ছায় কখনই ওষুধের প্রয়োগ কমানোর উদ্যোগ নেবে না, ব্যাবসায়িক কারণে নিতে পারবে না। শুধুমাত্র সরকারী বা আন্তর্জাতিক সংস্থাই পারে তাদেরকে প্রয়োজনে লোকসান মেনে নিয়েও ওষুধের ব্যাবহার কামাতে বাধ্য করতে - সেরকম কোন ব্যাবস্থা বা উদ্যোগ আছে কি না?

আপনি যে কম্বাইন্ড ওষুধের উদাহরণ দিলেন সেটাও কিন্তু চরম বানিজ্যিক উদ্যোগ - বহুজাতিক কোম্পনীগুলো যেভাবে একটার সাথে আর একটা ফ্রি দেয় তেমন। এতে ওষুধের প্রয়োগ কমে না বরং অপপ্রয়োগ আরো বাড়ে। ধরুন 'ক' রোগের জন্য একটা ওষুধ আছে, 'খ' রোগের জন্য আছে আর একটা ওষুধ। যতক্ষন ওষুধগুলো আলাদা থাকছে ততক্ষন প্রত্যেক রোগে আক্রান্ত রুগীরা শুধুমাত্র তার জন্য প্রযোজ্য অষুধই কিনবে। কিন্তু যখন দুটিকে মিলিয়ে একটি ওষুধ বানান হল তখন যাদের দুটি রোগই আছে তারা কম দামে দুটি ওষুধ পেল ঠিকই কিন্তু যাদের দুটির মধ্যে যেকোন একটি আছে তারা অন্যটি অপ্রয়োজনেই কিনতে এবং খেতে বাধ্য হচ্ছে। এখানে বানিজ্যিক কোন লোকসান নাই বরং প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য বহু কোম্পানীই এ'ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে।

পরিশেষে বলতে চাই আপনি এ্যলোপ‌্যাথী ওষুধের মানের নিশ্চয়তার জন্য যে WHO এর উপর পুর্ণ আস্থা রাখছেন তারাই হোমিওপ‌্যাথীকে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আপনার কি মনে হয় এই সংস্থা শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি বিক্রিকে চিকিৎসা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ারমত বেকুব? যদি তাই হয় তাহলে আপনাদের এ্যালোপ‌্যথির ওষুধের মান কি এ'রকম এক বেকুবের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়????

৬৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

রিপেনডিল বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ আগা গোড়া কিছুই বোঝেন নি দেখা যাচ্ছে। সারাজীবন যে ওষুধ খেতে হত সেটা কমিয়ে এক বছরে আনা হয়েছে সেটাতে আপনি সন্তুষ্ট নন! কোন কিছুর হারই বাড়ছে না, প্রতিবছর নতুন নতুন অষুধ আসছে আরো বেশি কার্যক্ষম, দ্রুত এবং কম ডোজে কাজ করার জন্য। ফার্মাকোলজীর মূলনীতির অন্যতম একটি হচ্ছে কস্ট ইফেক্টিভনেস অর্থাৎ কার্যক্ষমতার সাথে দামের সামঞ্জস্যের ব্যালান্স। এই ক্রাইটেরিয়া যারা পূর্ন করতে পারে তাদেরই এফডিএ লাইসেন্স দেয়।

দারোয়ানের সাথে তুলনা করলেন দেখে খুব আমোদিত হলাম মশাই। ডাক্তারদের অবস্থান নিশ্চয়ই দারোয়ানদের সাথে তুলনীয়! আপনি আমাদের সবাইকে এক কাতারে ক্লিনিক ব্যাবসায়ী বলবেন আর আমরা আমাদের প্রকৃত ডিউটির অবস্থা বলতে গেলে দারোয়ান বলে গন্য করবেন! যাহোক, আমরা যে ফ্রি হেলথ ক্যাম্প করি, ব্যক্তিগত ভাবে বিনামুল্যে রোগী দেখি, এগুলোর জন্য কিন্তু সরকার আমাদের বেতন দেয় না। আমাদের অনারারী যেসব ডাক্তার আছেন তাদেরো সরকার কোন বেতন দেয় না। তারা ফ্রি তেই সেবা দেন। আর সরকারী হাসপাতালে কি কি ব্যাবস্থা ফ্রি দেয়া হবে এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা তথা ডাক্তার তৈরী এই সব নিয়মকানুন আমরা এই এলোপ্যাথির ডাক্তারেরাই তৈরী করেছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ডাক্তারেরাই চালায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা এমনভাবে বলছেন যেন সব অষুধেই গনহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে আর আমরা আরো ওষুধ লিখেই যাচ্ছি। হাস্যকর। যেসব অষুধে খারাপ রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা সেগুলো আগে ঐ ব্যাক্তির জন্য পরীক্ষা করে তারপর প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য ছোটখাট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারো কারো ক্ষেত্রে হয়। তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঐ ওষুধ বন্ধ করে দেয়া হয় অন্য একটি দেয়া হয় সেটার দাম আগেরটার চেয়ে কমও হতে পারে।

কম্বাইন্ট ওষুধের ব্যপারে আবারো ভুল বুঝলেন। কম্বাইন্ড পাওয়া যায় মানেই এই না যে আলাদাগুলো উঠে যাচ্ছে। কার একটা ওষুধ দরকার আর কার দুটো তিন্টে দরকার সেটা আমরাই ঠিক করি। যার একটা দরকার তাকে কোনভাবেই কম্বাইন্ড ড্রাগ এর জন্য প্রেসক্রাইব করা হয় না। যার জন্য যেটা প্রয়োজন তাকে সেটাই দেয়া হয়। কম্বাইন্ড এসেছেই একাধিক ওষুধ যাদের চলছে তাদের খরচ কমানোর জন্য।

WHO হোমিওকে সর্বক্ষেত্রে স্বীকৃতি দেয় নি।
WHO does not recommend the use of homeopathy for HIV, malaria, TB, influenza and infant diarrhoea

এখনো হোমিওকে পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি কারন হোমিও এখনো বেশ কিছু ক্ষেত্রেই উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় কাজ করে। কিছু মানুষ সুস্থ হয় পানি খেয়েই। এতে আমারো কোন আপত্তি নেই। আপত্তি শুধু এটাতেই কোন রোগের জন্য প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক উপায় কে পরিত্যাগ করে হোমিও কে সর্বগুনে গুনান্বিত চিকিতসাপদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে এবং এটা করে আখেরে নিজের জীবনের উপরে ঝুকি নেবার ক্ষেতরে।

আসি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ঝুকির কথায়। এফডিএ সম্প্রতি বেশ কিছু হোমিও ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে। এর কারন হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদিও বলা হয় এতে বিশুদ্ধ পানি ছাড়া কিছু নেই তবু দেখা গেছে বেশ কিছু হোমিও ওষুধ যথেষ্ট পরিমান ডাইলুটেড থাকে না এবং এগুলো শরীরে নানারকম প্রতিক্রিয়া যেমন কিডনি ও লিভার ফেইলিউর করতে পারে। এছাড়াও হোমিও ওষুধ তৈরির নির্দিষ্ট ধরাবাধা নিয়ম না থাকায় অনেক ঝুকিপূর্ন ওষধ হোমিও বলে বিক্রি হবার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এসব ক্ষেত্রে এফডিএ মামলা করেছে অনেক হোমিও ওষুধ এবং প্রাকটিশনারদের বিরুদ্ধে।

আসুন দেখি ডাব্লিউএইচও হোমিও খাবার ব্যাপারে কি বলে--

If You Are Thinking About Using Homeopathy--

*Do not use homeopathy as a replacement for proven conventional care or to postpone seeing a health care provider about a medical problem.

*If you are considering using a homeopathic remedy, bring the product with you when you visit your health care provider. The provider may be able to help you determine whether the product might pose a risk of side effects or drug interactions.

*Follow the recommended conventional immunization schedules for children and adults. Do not use homeopathic products as a substitute for conventional immunizations.

*Women who are pregnant or nursing, or people who are thinking of using homeopathy to treat a child, should consult their (or their child’s) health care providers.

*Tell all your health care providers about any complementary health practices you use. Give them a full picture of all you do to manage your health. This will ensure coordinated and safe care.

৬৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @রিপেনডিল

দাড়োয়ানের সাথে তুলনা করায় আহত হয়ে থাকলে দু:খিত। আমি আসলে কাজের প্রতি দ্বায়বদ্ধতার বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি। যখন আপনি ডাক্তার হওয়ার জন্য মেডিকেলে ভর্তির চিন্তা করেছেন তখন থেকেই আপনি জানেন আপনাকে কী করতে হবে - তার পর যদি গ্যাংগ্রিন পরিষ্কার করা বা মলদ্বারে অপারেশন করাকে মহৎ কাজ বা উদারতা হিসেবে চিন্তা করেন তাহলে সেটা দৃস্টিকটুই মনে হয়। হ্যা, যদি আপনাদের সরকারী নির্দেশে জোর করে ডাক্তার বাবান হত তাহলে সেটা বলতে পারতেন - কিন্তু আপনারা যেখানে আসন প্রতি ২০-২৫ জনের সাথে প্রতিযোগীতা করে ডাক্তারীতে ভর্তীহন - তখনতো আর এই কথা বলার কোন সুযোগই থাকে না। আপনারা জেনে বুঝে আগ্রহের সাথেই ঐ সেবকের পথ বেছে নিয়েছেন - তাই না?

যাই হোক, আপনার সাথে আলোচনা করে ভালই লাগল। আপনার আপত্তি যেমন - "হোমিও কে সর্বগুনে গুনান্বিত চিকিতসাপদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার " ক্ষেত্রে, আমাদেরও আপত্তি তেমনি 'হোমিওকে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি' বলে অবজ্ঞা করার ক্ষেত্রে। কারণ আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতায় জানি বহু মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। হোমিওর মধ্যে যেমন ভাল খারাপ আছে তেমনি এ্যালোপ‌্যাথির মধ্যেও পার্শপ্রতিকৃয়া, ব্যাবসায়ী চক্র, অহংকারী ডাক্তার ইত্যাদি খারাপ দিক আছে।

আর একটা বিষয়ে আপনার দৃস্টি আকর্ষণ করছি - কে আগে থেকে প্রচলিত ছিল আর কে পরে এসেছে? নিশ্চয়ই এ্যালোপ‌্যাথী আগে থেকে প্রচলিত ছিল এবং হ্যানিম্যান নিজেই এ্যালোপ‌্যাথীর ডাক্তার ছিলেন। তার পর তিনি হোমিওপ‌্যাথীর প্রচলন করেন। যদি এ্যালোপ‌্যাথীই একমাত্র বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা হয় আর হোমিওপ‌্যাথিতে শুধুমাত্র পানি ছাড়া কিছুই না থাকে তাহলে সেটা প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় হল কিভাবে? এবং প্রতিনিয়ত তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতাই বা বাড়ছে কিভাবে? তাহলে কি আপনি বলবেন আগেকার মানুষ অধিক বিজ্ঞানমনষ্ক ছিল তাই শুধুমাত্র এ্যালোপ‌্যাথিতেই চিকিৎসা চলত - আর উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দির মানুষের মাঝে বিজ্ঞানমনষ্কতা হ্রাস পেয়ে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিকাষ ঘটেছে তাই তারা এ্যালোপ‌্যাথি ছেড়ে হোমিওর দিকে আকৃস্ট হচ্ছে?? আপনার বিবেচনায় মানব সভ্যতাকি সাম্প্রতিক সময়ে পিছন দিকে চলা শুরু করল??

৬৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১

রায়হান০০৭ বলেছেন: হোমিও পাথি সম্পর্কে যা লিখেছেন তা বিশ্বাস হলনা

১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২১

নতুন বলেছেন: বিশ্বাস না হলে নিজে খুজে দেখুন না...

হোমিওপ্যাথি কি তা আপনিও খুজে দেখতে পারেন....

গুগুলেই সব তথ্য পাবেন... আপনি তখন বুঝতে পারবেন...

আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নাই...

৭০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

রিপেনডিল বলেছেন: @রায়হান০০৭, বিশ্বাস করার দরকার নেই, প্রমান চাইলে উইকি এই লিঙ্ক দেখুন

@রায়হান, আমরা আমাদের কাজ নিয়ে বড়াই কিংবা অনুগ্রহ করলাম এমন ভাব প্রকাশ করি না। এসব কাজ করেও যখন আমাদের কসাই আর ব্যাবসায়ী বলা হয় গনহারে সবাইবে তখন গায়ে লাগে বৈকি।

হোমিও এর আবিষ্কার ১৭০০ সালে, চিকিতসা বিজ্ঞান তখন পশ্চাতপদই ছিল এবং এলোপ্যাথি বলতে মূলত সার্জারীকেই বোঝানো হত। এলোপ্যাথি কেন কাজ করছে কেন জনপ্রিয় হয়েছে সেই ব্যাখ্যা বার বার দিতে ইচ্ছা করছে না অনেকবার করে বলেছি। এটা যে শুধু পানি ছাড়া কিছুই না সেই দাবি শুধু আমি করছি না, এটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি এবং পরীক্ষা নির্ভর গবেষনার মাধ্যমে প্রমানিত। জনপ্রিয় তো অনেক কিছুই হয়, তাবিজ, ঝাড়ফুক, পানি পড়াও অনেক জনপ্রিয়। বরিশাল অঞ্চলে যান, দেখবেন অনেক শিক্ষিত বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ তাবিজ আর পানি পড়া খেয়ে চলছেন। এখনো রাস্তার ক্যানভাসার রা অনেক জনপ্রিয়। কুসুংস্কার আর প্লাসিবু ইফেক্ট মানব সভ্যতার সাথে সব সময়েই জড়িত, তাইতো বললাম, মানুষ মঙ্গলে গেলেও এগুলো সাথে নিয়ে যাবে।

৭১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

সবুজ পাওয়ার বলেছেন: আজাইরা প্যাচাল আপনার ভাল লাগে না খাইয়েননা, মানুষকে ভড়কানোর কি দরকার। বিশ্বাস করেও যাদি রোগ ভালো হয় তনুওতো ভালো, সামান্যই টাকা নেয়, এ্যলোপ্যাথির মত ডাকাতি করে না, বাড়িতে বয়স্ক লোক থাকলে হোমিও প্যাথির কথা শুনে দেখেন। রোগ ভালো না হলে যুগ যুগ ধরে এই পদ্ধতি চলতো না, এত জনপ্রিয় হোত না, অনেক পুরোনো হোমিও ডাঃ আছে যাদের এপয়েনমেন্ট পেতে হলে তিন চার ঘন্টা সিরিয়ালে থাকতে হয়। ঝড়ে বক পড়ে বিদ্যায় আপনি বিশ্বাসী আজথেকে ছাগু মূত্র দিয়ে ঔষধ বানিয়ে রোগিকে খাওয়ানো শুরু করুন, আপনার যুক্তি মতে রোগ ভালো হবে তথা আপনারও ভাল ইনকাম হবে। খামাখা প্যাচাল পাইড়েন না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:০২

নতুন বলেছেন: ভাইরে এতো পাওয়ার থাকলে তো সমস্যা...

আমি দেখাইলাম যে হোমিও ঔষুধে মুল উপাদেনের কিছুই থাকেনা... থাকে..পানি...

আর পানি ঐ মুল উপাদেনের গুনাগুন মনে রাখে এই দাবীর প্রমান মেলেনা...

আমার কথা বিশ্বাস না হইলে.... যারা হোমিও বানায় তাদের জিগ্সাসা করেন কিভাবে ঔষুধ বানায় তারা?

ঐকিক নিয়ম যদি মনে থাকে তবে হিসাব কইরা বাইর করতে পারবেন যে ১৩সি এর উপরে দ্রবনে মূল উপাদানের কয়টা মৌল থাকে?

তখন ঐ দ্রবনের সাথে পানির কোন পাথ`ক্য থাকেনা...

এখন আপনি যদি অন্ধবিশ্বাসী হন তবে তো আপনাকে কিছুই বলার নাই...

পানি ঔষুধ বইলা মানুষকে খাওয়াইবো আর এই জিনিস বোঝানো আজাইরা প‌্যাচাল? মানুষ ভরকানো?

আপনি ইন্টারনেট আইছেন কেন ভাই.?? আপনার তো আমিষ দের সাথে থাকো উচিত... ( আমেরিকায় আমিষ বইলা একটা দল আছে..যারা এখনো প্রযুক্তি থেকে দুরে থাকে.. গুগুলরে জিগান আরো জানতে পারবেন)

৭২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রিপেনডিল বলেছেন: @সবুজ পাওয়ার, ছাগু মূত্র লাগবে না, পানি থেরাপী চিকিতসা আমি নিজে দিয়ে রোগী ভাল করসি অনেক, এইটা কমেন্টেই বলসি। পীর ফকিরের ভক্তদের নতুন করে বোঝানোর কিছু নাই। আপনার জীবনের ঝুকি আপনার হাতে, খালি রাত বিরাতে হোমিও খাওইয়া কোকাইতে কোকাইতে হাসপাতালে ভর্তি না হইলেই আমরা একটু শান্তি পাই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২২

নতুন বলেছেন: ভাই রিপেনডিল.... ঐসব লোক হইলে... আপনার চিকিৎসায় সুস্হ হইয়াও... পরে আবার হমিও খাইতে যাইবো...

৭৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @ রিপেনডিল

প্রচলিত এ্যালোপ‌্যাথি চিকিৎসা যে সাম্প্রতিক কালে পুঁজিবাদী ব্যাবসায়ীদের কবলে পরে 'সেবা' থেকে 'ডাকাতি'র দিকে ধাবিত হচ্ছে সেটা আমি আগেও বলেছি। আমি খুবই দু:খিত যে আপনার সাথে আলোচান করতে গিয়ে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে এই ধারনা আরো দৃঢ় হচ্ছে। যেমন - আপনি ৬০ নম্বর কমেন্টে বলেছেন:

"প্রেসারের ক্ষেত্রে প্রেসারের মূল কারন্টাই এখনো মানুষের অজানা, কারন যেহেতু জানা যায় নি তাই এর চিকিতসা চলে উপসর্গ নির্ভর, প্রেসার কমানোর জন্য তাই ওষুধ খেতে হয় সারাজীবন।"

দেখুন আমি আগেই দেখিয়েছি ওষুধ ব্যাবসায়ীদের কাছে মানুষকে সারা জীবন ওষুধ খাওয়ানোর প্রেস্কৃপশনই সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় - কারণ এই চক্রের মধ্যে একজনকে আনতে পারলে লক্ষাধীক টাকার বানিজ্য নিশ্চিত হয়। এখানে আপনি বলছেন সেই ব্যাবস্থাটা আপনারা এমনসব রোগের ক্ষেত্রে দিচ্ছেন যার মুল কারনই আবিষ্কৃত হয় নি? এবং আপনি স্বীকার করেছেন যে এ'ধরনের রোগের সংখ্যা অনেক? এবং আপনি নিশ্চয়ই এটাও জানেন যে ওষুধের উপর যত গবেষণা হয় তার সিংহভাগ স্পনসর করে ওষুধ কোম্পানী। তাহলে ব্যাপারটা কী দাড়াল?

এখন যদি আমি বলি ওষুধ কোম্পানী, ক্লিনিক, হাসপাতারলসহ চিকিৎসা ব্যাবসার সাথে জড়িত বিশাল বানিজ্যের স্বার্থেই রোগের কারণ নির্ণয় না করে শুধুমাত্র উপসর্গ চেপে রাখার জন্য সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার এই চিকিৎসা চালু রাখা হয়েছে - তাহলে সেটাকে কী খুব বেশী অযৌক্তিক মনে হবে?

আমি প্রথমেই বলেছি আপনারা চিকিৎসকরা মুলত চিকিৎসা বিনিজ্যের হাতে বন্দি - আপনারা চাইলেও সহজে এই চক্র ভাংতে পারবেন না। সেজন্য চিকিৎসক এবং রুগীদের সম্মিলিত সচেতনতা এবং চিকিৎসা বানিজ্যের বিরুদ্ধে রীতিমত সংগ্রাম করা প্রয়োজন। কিন্তু দু:খ লাগে তখন যখন দেখি সেবক হওয়ার ব্রত নিয়ে যারা চিকিৎসক হয় তারাও এই চিকিৎসা বানিজ্যে নেমে পরে।

আর একটা প্রশ্ন: যে ব্যাবস্থা সমস্যার মুল কারণ নির্ণয় না করে আন্দাজে সমাধান প্রদানের অনুমতি দেয়, ওষুধ কোম্পনীর সার্থে সারা জীবন ওষুধ খাওয়ারমত অযৌক্তিক প্রেস্কৃপশন লিখতে বাধ্য করে তাকে কি বৈজ্ঞানিক ব্যাবস্থা বলা যায়? বিজ্ঞান কি না জেনে, না বুঝে কোন সমাধান দিতে পারে?

যাই হোক, আপনি সুনিল বন্দপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক উপন্যাস 'প্রথম আলো' পড়েছেন? সেখানে ড. রায় নামে একটি চরিত্রের কথা মনে আছে যাকে বলা হত ধন্নন্তরী চিকিৎসক। তিনি প্রথমে ছিলেন এ্যালোপ‌্যাথির ডাক্তার এবং আপনারমতই হোমিওপ‌্যাথিকে চরম প্রতারনা বলে জানতেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে একসময় তিনি হোমিওপ‌্যাথির প্রতি আকৃস্ট হন এবং এতটাই দক্ষতা অর্জন করেন যে সেই সময় প্রবাদ হয়ে গিয়েছিল - একমাত্র মৃত্যু ছাড়া আর যে কোন রোগ তিনি নিরাময় করতে পারেন। চরিত্রটি কিন্তু কাল্পনিক নয় বরং বাস্তব। আপনি চেস্টা করলে হয়ত বিস্তারিত জানতে পারবেন।

হোমিওপ‌্যাথি সম্পর্কে আমাদের ( সম্ভবত আপনারও ) অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশে প্রচলিত হোমিও চিকিৎসকদের মাধ্যমে। আর এদের অধিকাংশই হচ্ছে হোমিওপ‌্যাথির কম্পাউন্ডার যারা শুধু এতটুকুই জানে যে কোন উপসর্গে কী ওষুধ দিতে হবে। আর এদের কথাবার্তায় বিশ্বাসের বিষয়টিও বেশ প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। তাই এ'দেরকে দেখে বা এদের চিকিৎসা পদ্ধতি দেখে হোমিওপ‌্যাথিকে বিচার করা আর ফার্মেসির কম্পাউন্ডারকে দেখে এ্যালোপ‌্যাথিকে বিচার করার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।

কিন্তু লক্ষ করলে দেখবেন যে হোমিওপ‌্যাথির জন্ম বাংলাদেশের কোন পীর ফকিরের হাতে নয় বরং জার্মানির এ্যালোপ‌্যাথিক ডাক্তার হ্যানিম্যানের হাতে। কলকাতার ড. রায়ও এ্যালোপ‌্যাথি থেকে হোমিও প‌্যাথিতে গিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিলেন। যতদুর জানি জার্মানি ফ্রান্সসহ ইউরোপের অনেক দেশে হোমিওপ‌্যাথি পড়তে হলে আগে এ্যালোপ‌্যাথির কোর্স শেষ করে আসতে হয়।

কাজেই আপনার এবং আপনারমত সকল এ্যালোপ‌্যাথিক চিকিৎসকদের প্রতি আমার আহ্বান হবে প্রথমত আপনারা চিকিৎসা বানিজ্যের ভয়াল গ্রাস থেকে মানুষকে রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তুলুন। এবং দ্বিতিয়ত সম্ভব হলে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে হোমিওপ‌্যাথির উপর পড়াশুনা করুন। বাংলাদেশের হোমিওপ‌্যাথি নয় বরং হ্যানিম্যান রচিত মুল গ্রন্থ বা ইউরোপের হোমিওপ‌্যাথি কোর্সের সিলেবাস সংগ্রহ করে চর্চা করুন। আশা করি আপনারাও ড. রায়ের মত ধন্নন্তরী চিকিৎসক হয়ে উঠতে পারবেন।

৭৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "হোমিও এর আবিষ্কার ১৭০০ সালে, চিকিতসা বিজ্ঞান তখন পশ্চাতপদই ছিল এবং এলোপ্যাথি বলতে মূলত সার্জারীকেই বোঝানো হত। এলোপ্যাথি কেন কাজ করছে কেন জনপ্রিয় হয়েছে সেই ব্যাখ্যা বার বার দিতে ইচ্ছা করছে না অনেকবার করে বলেছি। এটা যে শুধু পানি ছাড়া কিছুই না সেই দাবি শুধু আমি করছি না, এটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি এবং পরীক্ষা নির্ভর গবেষনার মাধ্যমে প্রমানিত। জনপ্রিয় তো অনেক কিছুই হয়, তাবিজ, ঝাড়ফুক, পানি পড়াও অনেক জনপ্রিয়। বরিশাল অঞ্চলে যান, দেখবেন অনেক শিক্ষিত বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ তাবিজ আর পানি পড়া খেয়ে চলছেন। এখনো রাস্তার ক্যানভাসার রা অনেক জনপ্রিয়। কুসুংস্কার আর প্লাসিবু ইফেক্ট মানব সভ্যতার সাথে সব সময়েই জড়িত, তাইতো বললাম, মানুষ মঙ্গলে গেলেও এগুলো সাথে নিয়ে যাবে। "

আপনার এই কমেন্ট যে কতটা হাস্যকর তার প্রমান দেখুন উইকির এই লিংকের শেষ প‌্যারায়: http://en.wikipedia.org/wiki/Homeopathy

ঐ অংশটুকু কপি পেস্ট করে দিচ্ছি:
Revival in the late 20th century

The Food, Drug, and Cosmetic Act of 1938 (sponsored by Royal Copeland, a United States Senator from New York and homeopathic physician) recognized homeopathic remedies as drugs. By the 1950s, there were only 75 pure homeopaths practicing in the U.S.[230] However, in the mid to late 1970s, homeopathy made a significant comeback and sales of some homeopathic companies increased tenfold.[231] Greek homeopath George Vithoulkas performed a "great deal of research to update the scenarios and refine the theories and practice of homeopathy" beginning in the 1970s, and it was revived worldwide;[80][232] in Brazil during the 1970s and in Germany during the 1980s.[233

৭৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯

রিপেনডিল বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ, খুজে খুজে শুধু নিজের পক্ষের অংশটুকুই বের করেছেন নাকি উইকি থেকে? এর আগে যে বেশির ভাগ হোমিও ওষুধের ডাইলুশোনাল মেথড সম্পর্কে বলা হয়েছে সেটা পড়েন নি? হোমিও কেন কাজ করে সেটা পড়েন নি?

এজন্যেই এ ধরনের ব্যাপারে নন প্রফেশনালদের সাথে আলোচনায় যেতে নেই। আপনার তালগাছ ধরেই বসে থাকবেন শত চেষ্টা করলেও। দয়া করে নিজেরা আগে সুনীল না পড়ে কিছু চিকিতসা বিজ্ঞান পড়ুন তখন আলোচনায় আশা যাবে। সুনীল পড়ে হোমিও এর বা এলো এর সার্টিফিকেট দিতে আমি রাজী নয়। আমি যেটা বলব সেটার পিছনে পুরো মানব সভ্যতার এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত জ্ঞান গবেষনা আর অভিজ্ঞতা আছে। এটা কষ্ট করে পড়েই চিকিতসা বিদ্যায় নেমেছি। আপনারা আমাদের কি ভাবেন আমি জানিনা, ভিতরের অবস্থা না যেতে অন্তত বাইরে থেকে মন্তব্য করাটা উচিত নয়।

বার বার ঐ একই কথা ফার্মাসিউটিক্যালস এর ল্যাজ ধরে বসে আসেন। কে বলেছে চিকিতসা সংক্রান্ত সব গবেষনা ফার্মা এর টাকায় হয়? চিকিতসকদের কি এতই ফেলনা ভাবেন? আর বাংলাদেশ এর বিদেশের হোমিও প্রসংগ টেনে এনেছেন, বলছেন হোমিও এর আসল রূপ বিদেশে, তো হোমিও চিকিতসা করতে বিদেশে যান না কেন? কেন এই দেশের হাতুড়ে দের কাছে যান?

বিশ্ববিখ্যাত সব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, বায়োলজিস্ট, কেমিস্ট, ফার্মাসিস্ট, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হাজারো প্রফেশন এর লক্ষ লক্ষ দক্ষ মানুষ দিনরাত না ঘুমিয়ে না খেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে কাজ করে যাচ্ছেন যেন আপনাদের মত মানুষেরা একটু শান্তিতে থাকে, যেন চিকিতসাসেবা পায় হাতের নাগালে। আর আপনারা ঐ হোমিও এর ঘন্টা ধরে বসে আছে। হোমিও এর গবেষনা এর বায়োলজিকাল রিসার্চ কোথায় হয় বলতে পারেন?

আসছেন উপসর্গ বিচারে চিকিতসার কাহিনী শোনাতে, রোগীকে চিকিতসা না দিয়ে মেরে ফেললেই মনে হয় খুশি হতেন, নাকি? এই দেশের মানুষ এত কম খরচে চিকিতসা পায় বলেও এর মর্মটা বোঝে না। ঐ ইউরোপ আমেরিকায় চিকিতসা করানো লাগ্লে বুঝতেন। এখন যদি দাবী করেন কেন বিজ্ঞানীরা তেল নির্ভর প্রযুক্তি চালাচ্ছে, এত খরচ, কেন সৌর নির্ভর বিনামূল্যে শক্তির সব প্রযুক্তি হল না, নিশ্চয়ই এখানে সিন্ডিকেট চলছে, ইচ্ছা করে আবিষ্কার করছেন না, এই দাবী করবেন? তাতো করবেন না, সব দোষতো ঐ চিকিৎসকদের।

কারন জানা যায় নি এমন রোগের সংখ্যা অনেক নয় অল্প। আর কারন একেবারেই জানা যায় নি তা নয়, প্রভাবক জানা আছে, এবং সেই বিষয়ে প্রচারনাও আছে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা, নিয়মিত হাটাচলা করা, অতিরিক্ত লবন না খাওয়া, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখা, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, ধূমপান, মদ্যপান, রেড মিট থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি অনেক প্রভাবক থেকে সতর্ক করার বহু প্রচারনা আমরা চালাই, সেটা তো মানেন না, চোখেও পড়েন, সে রোগ বানায়ে ওষুধ দিলেই দোষ। কেন আগে থেকে প্রিভেন্ট না করার পরামর্শ কি আমরা দিয়েছি? এত এত রোগের ভ্যাক্সিন বের হচ্ছে যেন একবার দিলেই আর সারাজীবন এই রোগ না হয়, এতে কি অষুধ কম্পানির লস হচ্ছে না? ভ্যাকসিন বের না করে ওষুধ থাকাই তো ভাল ছিল, লাভটা আরো বেশি হত। কিংবা আমাদের সাথে যোগসাজশ করে ইনফেকশন কন্ট্রোল করে সার্জারী বা অন্যান্য চিকিতসা সম্পন্ন করার ব্যাবস্থা বন্ধ করে দিলেও তো লাভটা ওদের বেশি হত। বেশি বেশি ইনফেকশ্ন হলেই তো বেশি টাকা। কিংবা গবেষনা করা দীর্ঘ মেয়াদে কম ডোজে কার্যকর ইনসুলিন বানানোর কি দরকার ছিল? ইনসুলিনই বা বানোনোর কি দরকার ছিল, মুখে খাওয়ার বড়িতে তো আরো বেশি লাভ হত। আরো শুনবেন? শোনার দরকার নেই। হোমিও এর পরামর্শ নিন এবং সুস্থ থাকুন।

৭৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৫

নতুন বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ ভাই...

আপনি কিন্তু খুবই যত্ন করে এলোপ‌্যাথির যেই সব তথ্যউপাত্ত দিয়েছেন তা কিন্তু আমাদের ব্যবসায়ীদের কাজ... তারা এলোপ‌্যাথিকে নিজেদের ব্যবসায় ব্যবহার করছেন.... এইটা যদি আপনি এলোপ‌্যাথির ওষুধের দোষ দেন তা ভুল....

আ একটা বিষয় হলো আপনি এতো কিছু বোঝেন কিন্তু একটু কস্ট করে হোমিও যে ভুয়া এইটা বুঝতে চাইছেন না!!!


আমি বলছিনা যে আমার কথা মানতে হবে...>>> আমি একটা বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছি... আপনি একটু কস্ট করে এই বিষয়টা নিয়ে একটু গবেষনা কইরা দেখেন না... প্লিজ...

কেউ যদি শুধু পানি খাওয়াইয়া আপনাকে বলে যে ঔষুধ দিলাম এটা প্রতারনা.... আর আমাদের দেশের সরল হোমিওডাক্তারা কিন্তু পুরা বিশ্বাস করে যে তারা হোমিও দিয়ে রোগী সুস্হ করছে....

আপনিই বলেন যে আমি যেই ডায়লুসনের কথা বলেছি... পানির ম্যমরির প্রমান না হবার কথা বলেছি... তা কয়জন হোমিও ডাক্তারেরা জানে???

আর পানি খাওয়াইয়া রোগী সুস্হ করার পক্ষে আপনি যদি যান তবে কিছুই বলার নাই....

আপনাকে অভিনন্দন.... আর প্রাথ`না করবো যেনো বড় কোন অষুখ আপনার না হয়... কারন হোমিও বিশুদ্ধ পানি কিন্তু বড় কোন অষুখে কাজ করবে না...

৭৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: হোমিওপ‌্যাথির বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থানটা যদি শুধুমাত্র জনকল্যানে হয়ে থাকে তাহলে এ্যালোপ‌্যাথির বানিজ্যিকিকরণ বা কারণ না জেনে শুধুমাত্র উপসর্গ চেপে রাখার জন্য সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার ব্যাবস্থাপত্রের বিরুদ্ধেও একই রকম জোরাল অবস্থান থাকা উচিত। বরং আরো বেশী সোচ্চার হওয়া উচতি - কারণ হোমিওতে যদি বিশুদ্ধ পানি খাওয়ানো হয় তাতে উপকার না হলেও ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নাই, হয়ত আসল রোগটা চুপে চুপে বেড়ে যাবে - কিন্তু এ্যলোতে উপসর্গ চেপে রাখার জন্য যে ক্যামিক্যাল ওষুধ সারা জীবন খাওয়ানো হয় তাতে আসল রোগ বাড়তে থাকা ছাড়াও ঐ ওষুধের পার্শ প্রতিকৃয়ায় নতুন রোগ তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। আপনি কি এ্যালোপ‌্যাথির এই অবৈজ্ঞানিক প্রকৃয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন??

হোমিও প‌্যাথির উপর গবেষনার যে আহ্বান জানিয়েছেন সেটা অবশ্যই যৌক্তিক - কিন্তু গবেষণাতো সবার কাজ নয়। আমার অবস্থান থেকে চিকিৎসা বিষয়ে গবেষনার সুযোগ খুবই কম - এ্যালোপ‌্যাথি সম্পর্কেও আমি যা বলেছি তা আমার গবেষণা নয় বরং সাধারণ পর্যবেক্ষণ এবং এ্যালোপ‌্যাথী চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য। আমি যদি চিকিৎসক হতাম তাহলে অবশ্যই হোমিও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেস্টা করতাম - বিশেষ করে হ্যানিম্যানের মুল রচনাবলি এবং ইউরোপের হোমিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস সংগ্রহ করে পড়ার চেস্টা করতাম। এ'জন্যই আমি চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের প্রতি এই আহ্বান জানাই - আপনি যদি চিকিৎসক হন তাহলে আপনার প্রতিও একই আহ্বান থাকবে।

আমি একটা বিষয় লক্ষ করেছি - হ্যানিম্যান নিজে এ্যালোপ‌্যাথির ডাক্তার হয়ে হোমিওর প্রবর্তন করেছিলেন, কলকাতার ড. রায়ও এ্যালোপ‌্যাথি থেকে হোমিওতে গিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিলেন, ইউওরোপে এখনও হোমিওপ‌্যাথি পড়তে হলে আগে এ্যালোপ‌্যাথি কোর্স সম্পুর্ণ করে আসতে হয় - সুতরাং হোমিওপ‌্যাথি হচ্ছে এ্যালোপ‌্যাথির পরের স্তর।

এ্যালোপ‌্যাথি সম্পর্কে যতটুকু বুঝি এর সকল কার্যক্রম শুধুমাত্র বস্তুকেন্দ্রিক, বস্তুগত শরির, রোগ জীবানু নিয়েই এর কাজ এবং এর সকল ওষুধও ক্যামিক্যালভিত্তিক। কিন্তু মানুষের স্বাস্থতো কেবল বস্তুকেন্দ্রিক নয় - স্বাস্থ হচ্ছে মনোদৈহিক সুস্থতা। হোমিওর সাফল্যের মুলেও মনে হয় স্বাস্থের ব্যাপারে মনের অবস্থানকে গুরুত্বের সাথে নেয়ার মধ্যেই লুকিয়ে আছে।

পদার্থবিদ্যায়ও একসময় মন বা চেতনাকে কোন গুরুত্বই দেয়া হত না। কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উদ্ভবের পর চেতনার গুরুত্ব বেড়ে গেছে। একই ভাবে চিকিৎসা ব্যাবস্থায়ও মনের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করার ধারনা সম্ভবত হোমিও থেকেই শুরু। হোমিওরা বলে তারা রোগের নয় বরং রুগীর চিকিৎসা করে।

যাই হোক, এই সবই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে পর্যবেক্ষণের বিষয়। যদি যোগ্য কেউ এ'সব নিয়ে গবেষণা করেন তাহলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে। তবে একটা বিষয় মনে রাখা জরুরী - এই বিশ্বজগত কিন্তু শুধুমাত্র বস্তুগত বিষয়ের সমস্টি নয়। তাই এর সবকিছু শুধুমাত্র বস্তুগত বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। আর চিকিৎসার লক্ষ বস্তুগত বিজ্ঞানকে প্রতিষ্ঠিত করা নয় বরং রোগমুক্তির মাধ্যমে মানব কল্যান। যদি এমন কিছু পাওয়া যায় যা বস্তুগত বিজ্ঞানের আওতার বাইরে বা বস্তুগত বিজ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না - কিন্তু মানুষের জন্য কল্যানকর, তাহলে আমি অবশ্বই তার পক্ষে থাকব। আশা করি আপনারাও তেমনটিই করবেন।

৭৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আর হ্যা, প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমি নিজেও প্রার্থনা করি যেন জীবনের প্রথম কঠীন রোগটিই হয় মৃত্যু - তাহলে আর চিকিৎসা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

৭৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৭

নতুন বলেছেন: হোমিওপ‌্যাথির বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থানটা যদি শুধুমাত্র জনকল্যানে হয়ে থাকে তাহলে এ্যালোপ‌্যাথির বানিজ্যিকিকরণ বা কারণ না জেনে শুধুমাত্র উপসর্গ চেপে রাখার জন্য সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার ব্যাবস্থাপত্রের বিরুদ্ধেও একই রকম জোরাল অবস্থান থাকা উচিত।


আমি একতরফা কোন পক্ষনিয়ে হোমিওর বিরুদ্ধে কথা বলিনি...

আমি ভন্ডামীর বিরুদ্ধে... তাই এই বষয়টা তুলে ধরেছি...

আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ঔষুধের ব্যবসা করে... ক্লিনিকের ব্যবসা করে... ব্যবসা মানুষ করে লাভের জন্য... সেবা দানের জন্য না...

আর এলোপাথিক ঔষুধ নয়... যে কোনো বিষয়েই যদি কোন কিছু মানুষের অকল্যানের জন্য চেস্টা করে এবং তা আমার নজরে আসে ... আমি অবশ্যই তার প্রতিবাদ করি এবং করবো...

৮০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯

মুক্ত মানব বলেছেন: একটি গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। একলোক তার ছেলেকে বিয়ে করাল। মেয়েটি ছিল বেশ খাটো। গ্রামের বউ কাজ কর্ম তো করতেই হবে। একদিন শাশুড়ি বলল “বউমা এক গ্লাস পানি দিতে পারবা?” বউমা তরি ঘড়ি পানি আনতে কলসের কাছে গেল। পানি ঢালতে গিয়ে তার নাক ফুল পরে গেল কলসের মধ্যে । ব্যাস নাক ফুল খুঁজতে শুরু করল বউমা। দেরি দেখে শাশুড়ি ডাকতে শুরু করল বউমা, “পানি কি দিবা?” বউমা বলে, “আম্মা পানি তো দেব কিন্তু কলসের মধ্যে আমার নাক ফুল পরে গেছে খুঁজে পাইনা তো।” শাশুড়ি বলে দেখ কলসের তলানি তে পরে আছে । বউমা বলে, আম্মা- পামু ক্যামনে কলসের তো তলানি নাই। শাশুড়ি হাসতে হাসতে বলল পাইবি ক্যামনে, “তোমার হাত হইছে আধা হাত, এক হাত কলসের তলানি তুই ক্যামনে পাইবি?” প্রিয় নিশাচর- আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ । হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে আপনি কি লিখবেন?আপনার তো আধা হাত, এক হাতের খবর কি লিখবেন? আপনি কি জানেন, দেশে কয়টি কলেজ আছে যেখানে হোমিও পরানো হয়? মাত্র ৪৪ টি(!) যেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের মাধ্যমে ডিপ্লোমা (চার বসর মেয়াদি) ডিগ্রী প্রদান করা হয় । তিনটি কলেজ আছে যেখানে পেশা গত স্নাতক (৫ বসর শেষে এক বসর ইন্টার্ন) ডিগ্রী প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রেজিস্ট্রেশন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একটি পুর্নাঙ্গ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ আছে মিরপুর ১৪ নম্বর এ ২৫০ সিটের হাসপাতাল সহ। লাল সালুর গল্প দিয়ে সেস করছি আপনার কথায় মনে পরল সেই ভণ্ড মজিদের কথা, যে কি না হাসপাতালে গিয়ে নার্স কে ডাক্তার মনে করে তার রোগীর ভাল সেবার জন্য অনেক কাকুতি মিনতি করেছিল।আসলে রতনে রতন চেনে না হলে কি আর আপনি কোন না কোন ভণ্ড ডাক্তার (আপনার কাছে জা হয়ত উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন জার শুধু ম্যাটে রিয়া মেদিকায় ধারনা থাকলেই চলে) এর পাল্লায় পরেছিলেন ।প্লিজ ওয়েলকাম মিরপুর ১৪ নাম্বার, ঢাকা ১২০৬।
সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
ফোন ৯০০১১৫০ কলেজ, ৮৮১২১৩৪
পরিচালক হোমিও, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
০১৭৫৮৬০০৭৮৮, ০১১৯০৬০০৭৮৮, ০১৯১৬৬০০৭৮৮
ডাঃ মানিক
প্রভাষক (অনা) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ,
স হ ম ক যে আপনাকে স্বাগত জানাবে।



এটা আমার হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার বন্ধুর মন্তব্য। ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত সে জানাবে বলে জানিয়েছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৯

নতুন বলেছেন: @ মুক্ত মানব >

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য... কিন্তু আপনি যদি আগে থেকেই মনে করেন আমার হাত খাটো আমি এই বিষয়ের কিছুই বুঝতে পারবোনা... তা হলে আপনি কিভাবে যুক্তি দিয়ে আলোচনা করবেন??

আমি নিজে থেকে কিছুই বলিনি... আপনার হোমিও ওষুধ বানানোর প্রকিৃয়া নিয়ে আলোচনা করেছি... আর কিছু গবেষনার উপরে আলোকপাত করেছি...

আমি বলেছি হোমিওপ‌্যাথির মুল তত্বের অসাড়তা নিয়ে....

আপনার সাথে বা আপনার ডাক্তার বন্ধুর সাথে গঠন মুলক আলোচনা হবে বলে আশা করি...

আপনি শুধু জিস্গাসা করবেন....

* তিনি কি প্রমান করতে পারবে যে হোমিও ঔষুধে মুল উপাদানের ১টা মৌল থাকে??

** যদি না থাকে তবে ঐ বিশুদ্ধ পানি কিভাবে কাজ করে?

ধন্যবাদ..

৮১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: আচ্ছা হ্যানিমেন বুঝলে কেমতায় যে পানি স্মৃতি শক্তি মনে রাখে ?

যদিও আমি হোমিও বিশ্বাসী না তবে ঘরের কয়েক মানুষের কাজে দিয়েছে যদিও প্লাসিবো হইবার পারে কিন্তু খটকা লেগে আছে ।

হ্যানিমেন কিসের ভিত্তিতে তিনি প্রমান করেন যে পানির মেমরী আছে ?

জানানো যাবে কি ?

আপনি যেহেতু অনেক গবেষনা করছেন :) একটু খুজে দিবেন কি ?

সেই প্রমানকে সহসা কি উনি নিজে জাস্টি ফাই করেছিলেন ? যে আসলেই শুদ্ধ ছিল কিনা ?

আর ঐ প্রমানকে কি পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা হ্যানীমেনের মত জাস্টিফাই করে নাকি নিজেদের মত জাস্টিফাই করেন ?

কারন , যেহেতু এলোপেথীর ডাক্তার নতুন পাথ আবিষ্কার করবে সে অন্তত বকলম নয় আমার মত , নিষ্চয় সে ভিন্ন কিছু পেয়েছিল ।

আপনি হ্যানিম্যানের বলা তথ্য গুলো আউড়ে দিচ্ছেন তাই ব্লগার পড়ছে আমিও বুঝছি ...যে পানি মনে রাখে ঐকিক নিয়মে একসময় হাড়িয়ে যায় মূল উপাদান ...যা হ্যানিমেন দাবী করেছেন কিন্তু কিসের প্রমানে ?

রোগমুক্তি লাভের পরপরই কি মনগড়া কথা বললেন ? নাকি প্রমান করে যাতে বুঝা যাবে আসলেই পানি মনে রাখতে পারে !

বটম পয়েন্ট তার প্রমানটা কিভাবে সংঘটিত হয় ?? কোন উদাহরন বা রোগমুক্তির যুক্তি শুনতি চাচ্ছি না ...

প্রমানটা কিভাবে সংঘটিত হয় ?

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০৬

নতুন বলেছেন: রিফাত ভাই পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ.. :)

# হ্যানিমেন কিসের ভিত্তিতে তিনি প্রমান করেন যে পানির মেমরী আছে ?



তিনি পানির ম্যমরী নিয়া কিছু বলেন নাই.... তিনি বলেছেন "like cures like" মানে যেই জিনিসে আপনার সমস্যা ঘটাতে পারে... সেই জিনিসই সমস্যা সারাতে পারে...

তিনি পানির ম্যমরীর কথা বলেন নাই...

কিন্তু যখন পরে মানুষ ঐকিক নিয়মে অংক কইরা প্রশ্ন জিগাইছে... যে ১৩সি দ্রবনে তো ১টা মৌল পাওয়া যা্ইবোনা....

তখন আধুনিক হমিও পন্ডিতেরা দাবি করতেছে যে পানি ঔষুধের গুনাবলি মনে রাখে তাই... পানির অতি দ্রবনে মূল ঔষুধের গুনাবলি থাকে... >> Jacques Benveniste Click This Link তাদের মধ্যে অন্যতম... তিনি খুবই নামকরা ছিলেন... এবং সেই সময়ে নোবেল পুরুস্কার পেতে পারেন তেমন গুজবও ছিলো তাকে নিয়ে... তিনি প্রথমে দাবি করেন যে তিনি প্রমান পেছেয়েন যে পানির ম্যমরি আছে... তিনি নেচার পত্রিকায় প্রবন্ধে দাবিও করেন...

কিন্তু পরে নেচার পত্রিকা তার ল্যাবে টিম পাঠিয়ে পরিক্ষা করে... তখন তিনি তার প্রমান দেখাতে পারেন নাই... http://en.wikipedia.org/wiki/Water_memory

এখন আরেকটা পশ্ন হইলো... পানি যদি মনেই রাখে.... তা হলে পানি যে টয়লেটে যায়..> মানুষের পেটে যায.... নানান যায়গায় থাকে.. সব কিছুইতো মনে রাখার কথা... তাইনা?>? =p~

৮২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪০

কর্ন বলেছেন: Click This Link এইডা একটু পইরেন

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৩

নতুন বলেছেন: IIT-Bombay research published in the latest issue of 'Homeopathy', a peer-reviewed journal from reputed medical publishing firm Elsevier.

এই গবেষনা প্রকাশ করেছে... "হোমিওপ‌্যাথি" নামে জানাল`>>

এইটা যদি পূন` গবেষনাই হইতো তবে তা অবশ্যই

Nature
Philosophical Transactions of the Royal Society
PLoS ONE
Proceedings of the National Academy of Sciences
Proceedings of the Royal Society
Science

তাহলে এইসব জানালে ছাপা হইতো...

৮৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৩

কর্ন বলেছেন: Click This Link

১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

নতুন বলেছেন:  a recent paper by IIT Bombay researchers
has been lauded in an editorial “Do serial dilutions really dilute?” of the premier journal
“Homeopathy”. 


জানালের নাম ই হোমিওপ‌্যাথি....

উপরের গবেষনা কিন্তু অন্য কোন জা`নালে প্রকাশিত হয়নাই...

৮৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: বুঝলাম কিভাবে এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পেল ,যেহেতু তা সঠিক কাজের না ।

প্লাসিবোর দোহাই দিয়ে তো তা সঠিক চিকিৎসা হিসেবে খ্যাতি পাবার কথা না ।


যাই হোক এখন কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না ?
ক্ষতির সম্ভাবনা নাও থাকে কিন্তু আছে যদি তা রোগটিকে আপাতত প্লাসিবো এফেক্ট এর মাধ্যমে ঢেকে রাখে ও পরবর্তীতে বৃদ্ধি পায় ! তখন এটি ভয়াবহ হয়ে দাড়াবে । তাই নয় কি ?
এর ভিত্তিতে তো অন্তত এর বিরুদ্ধে অবস্থান করাই উচিত ।
ছোটখাট রোগের জন্য প্লাসিবি বা হানেমান ঠিকাছে কিন্তু বড় রোগের ক্ষেত্রে একে এড়িয়ে চলাই শ্রেয় ।

তবু ডাক্তারদেরকে এ্যালোপেথির ঔষুধ দেওয়ার সময় ও বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিতে হবে ।



২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২০

নতুন বলেছেন: অনেক পুরানো জিনিসই এক সময়ে কিছু মানুষের স্বীকৃতি পেয়ে যায়...

যেমন সিগারেট... সবাই জানে খারাপ... কিন্তু কিছু মানুষ কিন্তু ঠিকই ভাল পায়...

তাবিজ, ঝাড়ফু... বান মারা... এখনো অনেক মানুষই বিশ্বাস করে...

এমন অনেক জিনিসই আছে.. >> আর কিছু মানুষই আছে যারা... বিশ্বাস করার জন্য বসে আছে.. :)

কিছুদিন আগে এক দম্পত্বি... তার মেয়ে কে ডাক্তার না দেখাইয়া নিজেরাই হোমিও খাওয়াইছে...পরে অবস্তা খুবই খারাপ হইলে হাসপাতালে নিয়ে যায়.... পরে শিশুটি মারা যায়... এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে...

আমাদের দেশের হোমিও চিকিৎসকেরা কিন্তু সরল মনে বিশ্বাস করে যে তারা ঠিকই চিকিৎসা করছে....

এইটাই বিপদজনক ... আর এর মাধ্যমে প্রতারনার স্বীকার হচ্চে সাধারন জনগন...

* এর বিরুদ্ধে অনেকেই প্রচারনা চালাচ্ছে.... জেমস রেন্ডী ১ মিলিওন ডলার পুরুস্কার ঘোষনা করেছে যদি কেউ প্রমান করতে পারে যে তার অতিপ্রকৃতিক ক্ষমতা আছে...
* রিচাড ডকিন্স ও এর বিরুদ্ধে বেশ লেখালেখি করেছেন এবং ভিডিও আছে...

৮৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

সুমন্ত বলেছেন: i want to get some address of Homeopathy Doctors in Dhaka.
thanks

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২২

নতুন বলেছেন: হমিও ডাক্তার সব মোড়ে মোড়েই আছে.... যে কেউই কিছু বই পইড়াই হইতে পারে...

সাধারন কিছু সমস্যার জন্য যেতে পারেন... কিন্তু সিরিয়াস বিষয়ে অবশ্যই অভিঙ্গ এলোপ‌্যাথীক ডাক্তারের কাছে পরামশ` নিয়েন...

হোমিওপ‌্যাথি ভুয়া জিনিস... একটু খোজ নিলেই জানতে পারবেন... গুগুল এ একটু খোজ নেন...

৮৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫১

hasin82 বলেছেন: আপনি বারবার বলে যাচ্ছেন, হোমিওপ্যাথি ভূয়া। কিন্তু এতজন ব্লগার বলেছেন যে উপকার পেয়েছেন এটা কিভাবে আপনি ব্যখ্যা দিবেন? আপনি অতি চাতুরতার সাথে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং অত্যন্ত গোঁয়ারের মত একি কথা বলে যাচ্ছেন যে অবৈজ্ঞানিক। হাউ ফানি।


হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা আমি দিব আপনার লেখা কমেন্টেই তবে এখন না কাল। আমার কাছে সোর্স আছে, প্রমাণও আছে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

নতুন বলেছেন: উপরে রিপেন্ডিল ভাই কিন্তু এই কাজ হবার বিষয়ে কমেন্টে লিখেছেন... আমি আমার লেখায় যোগ করেছি...

--------------------------রিপেনডিল---------------------------------

এবার দেখুন হোমিও খাইলে কিভাবে রোগ ভালো হয়ঃ

প্লাসিবু ইফেক্ট- অর্থাৎ মনের বিশ্বাস থেকে নিরাময়, বিশ্বাস থাকলে পানি খেলেও রোগ ভালো হতে পারে, উদাহরন উপরে দিয়েছি।

বয়ান- বেশিরভাগ হোমিও ডাক্তার দেখবেন খুব অমায়িক, ধার্মিক, দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পরা সৌম্য চেহারার বয়স্ক একজন। কথা মন দিয়ে শোনেন, সময় নিয়ে বোঝান, রোগ ছাড়াও আশেপাশের বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইত্যাদি কারনে ডাক্তারের উপরে এমনিতেই ভক্তি চলে আসে আর বিশ্বাসটা আসে সেখান থেকেই।

প্রাকৃতিক নিরাময়- মানুষের শরীর এমনই এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র যা নিজেই নিজেকে সুস্থ করতে পারে। রোগের পাচটি পর্যায় আছে যার একটি হল নিরাময় পর্যায় যা এমনিতেই ঘটতে পারে। কবিরাজ, ঝাড়ফুক, তাবিজ, মাদুলিওয়ালারা এই পর্যায়ের উসিলাতেই বেচে আছে। ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে এই আর কি।

ব্যাতিক্রমি উপদেশ- অনেক সময়েই হোমিওবিদেরা দেন, যেমন আপনার ধরুন জয় বাংলা রোগ অর্থাৎ চোখ উঠেছে, তিনি দাওয়াই দিলেন আর বললেন আপনি কলা খাবেন না একদন, অথবা প্রতিদিন সকালে একটা কলার তিন ভাগের একভাগ পানিতে ভিজিয়ে ৫ দিন খাবেন!!! এই যে ব্যাতিক্রমি একটি উপদেশ পেলেন এটা একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করবে আপনার মনে তথা শরীরেও!

রোগের পর্যায়- দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন, নানা রকম ডাক্তার দেখিয়েছেন, টেস্ট করে করে আর এলোপ্যাথি খেয়ে ক্লান্ত (এলোপ্যাথি কেন কাজ করেনা সেটা পরের কমেন্টে বলব) এমন অবস্থাতেই সাধারনত হোমিওপ্যাথির কাছে যায় মানুষ। আর এখানেই ঝড়ে বক পড়ে। আগেই বলেছি রোগের একটা প্রাকৃতিক চক্র আছে, ৫ ধাপের এই চক্রের শেষ দুটি ধাপে নিরাময় হয় প্রাকৃতিক ভাবেই (সব রোগ বা সব ক্ষেত্রে নয়)।
রোগ আর রুগীর ধরন অনুযায়ী এসব ধাপের সময়কাল এক এক রকম। রোগের অবস্থা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার কিছু পরেই নিরাময় পর্যায় শুরু হয়। কিন্তু ওই সর্বোচ্চ অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়, এই ক্ষেত্রে নিরাময় পর্যায়ের আগে যে ব্যাটা হোক সে কবিরাজ কিংবা হোমিও কিংবা মাদুলী ওয়ালা সেই কেরামতি দেখিয়ে ফেলতে পারে।

খিচুড়ী চিকিতসা- অনেকে হোমিও এর সাথে এলোপ্যাথিও চালান, কবিরাজীও চালান। ভাল হলে স্বভাবতই পুরষ্কার যায় হোমিও এর ঘরে! আসলে যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভালো হয়েছে তার কেচ্ছা আড়ালেই থেকে যায়।

বন্ধ- হোমিওরা বলেন এলোপ্যাথি যা খাচ্ছেন বন্ধ করেন, সার্জারি করবেন না, ইঞ্জেকশোন নেবেন না। এতে একটা লাভ আছে। এলোপ্যাথি ওষুধ গুলো হোমিও এর পুরিয়া এর মত মিষ্টি নয় আর এগুলো যেহেতু আসলেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রস্তুতকৃত কার্যক্ষম ওষুধ তাই অনেক সময় অনেকেদের দেহে এগুলো সহনীয় হয় না, আর সার্জারির ভয় তো আছেই। তাই হোমিওবিদ এগুলো বাদ দিতে বলায় রোগীর অবচেতন মন (যা আগে থেকেই এগুলো বাদ দিতে বলছিল) উতফুল্ল হয় এবং উপশম ঘটায়, তবে প্রকৃত রোগ আড়ালেই থেকে যায় এবং রোগীর মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায়।

জীবন পদ্ধতি- মোটামুটি সব হোমিওবিদেরা জীবন যাত্রা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন যেগুলো আসলেই কাজের যেমন নিয়মিত হাটাচলা করা, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, বেশি করে ফলমূল খাওয়া, শাকশবজি খাওয়া, গোস্ত কম খাওয়া, কম ঘুমানো ইত্যাদি। রোগ এতে ভাল হবে নিশ্চয়ই।

সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

৮৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

অডি বলেছেন: "লেখক বলেছেন: তাই ১৩সি দ্রবনের উপরে গেলে আসল জিনিসের ১ অনুও তাতে থাকতে পারে না... "

বিজ্ঞান এখন কিছু পায়নি বলে ভবিষ্যতেও পাবেনা এমনতো কোন কথা নেই।

আমি নিজের শরীরে সুস্থ অবস্থায় অতিপ্রয়োগ করে দেখেছি- রাস টক্স ২০০ নিলে শরীরে জ্বর এবং ব্যাথা তৈরী হয়। আপনারা কেউ চাইলে এটা নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা বা বড় আকারে গবেষণা করে দেখতে পারেন।

আমার মতে অনেকক্ষেত্রে হোমিওপ‌্যাথি কার্যকর তবে এর সীমাবদ্ধতাও আছে অনেক। যারা একে সম্পুর্ন অকার্যকর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়- তারা না জেনেই বা ব্যবসায়িক কারনেই তা করে।

"healing cancer from inside out" ডকুমেন্টারীটা চাইলে কেউ দেখতে পারেন। এখানে ঔষধ ইন্ডাস্ট্রির ক্যান্সার প্রতারণা এবং পরমত অসহনশীলতার কিছু তথ্য পাবেন।

পরিশেষে একটা কথা- আপনারা কি জানেন, ঔষধ প্রশাসনে যারা যাওয়া-আসা করেন/ করতে হয়, তারা কি শিখেন? ঔধন প্রশাসনের ইটও ঘুষ খায়। যেখানে সব্বাই ঘুষ খায়/ আর ঘুষ দেয় তারা সব্বাই মানব জাতির জন্য শুধুই ভাবেন আর খাটেন, এরকম ভাবার কোন কারণ নাই।

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

নতুন বলেছেন: বিজ্ঞান এখন কিছু পায়নি বলে ভবিষ্যতেও পাবেনা এমনতো কোন কথা নেই।

ফু দেয়া পানি পড়া খেয়েও অনেকের পেটে ব্যথা ভাল হয়.... বিজ্ঞান এখনো প্রমান করতে পারেনাই বলে যদি সব মেনে নিতে হয়... তবে পানিপড়াও কোন দোষ করেনাই...

আমি নিজের শরীরে সুস্থ অবস্থায় অতিপ্রয়োগ করে দেখেছি- রাস টক্স ২০০ নিলে শরীরে জ্বর এবং ব্যাথা তৈরী হয়। আপনারা কেউ চাইলে এটা নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা বা বড় আকারে গবেষণা করে দেখতে পারেন।

প্লাসিবু ইফেক্ট- অর্থাৎ মনের বিশ্বাস থেকে নিরাময়, বিশ্বাস থাকলে পানি খেলেও রোগ ভালো হতে পারে, ---

আপনি যেহেতু এই পরিক্ষা করেছেন... পরিক্ষাটা নিরোপেক্ষ ভাবে করবেন কি?

আপনি আপনার পরিচিত কাউকে সাহাজ্য করতে বলুন পরিক্ষাটা আবার করতে.... তাকে বলুন যেন তিনি বিশুদ্ধ পানি নেন এক বোতলে... বোতলের নাম দেন ( নীল) এবং রাস টক্স ২০০ ( হলুদ)

উনি জানবেন যে কোনটাতে ঔষুদ আছে আর পানি.... কিন্তু আপনি জানবেন না....

তার পরে পরিক্ষা করুন... কয়েক বার... যে কোনটা খেলে আপনার কেমন লাগে.... লিখে রাখুন... এবং পরিক্ষা শেষে উনাকে বলুন যে নীল= ? হলুদ= ?

তারপরে দেখুন আপনার ঔষুদ আর পানির মাঝে পাথ`ক্য কতটুকু??

আমি বত`মানে এই বিষয়ে কাজ করতে সময় পাইনা... হয়তো অবসরে যাবার পরে এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করবো...যাতে মানুষকে একটু সচেতন করতে পারি....


যেখানে সব্বাই ঘুষ খায়/ আর ঘুষ দেয় তারা সব্বাই মানব জাতির জন্য শুধুই ভাবেন আর খাটেন, এরকম ভাবার কোন কারণ নাই।

যেখানে টাকাপয়সার ব্যপার আছে সেখানে সবই সম্ভব... আমি সেইটা জানি এবং মানি...

আমি কখনোই বলিনা যে এলোপ‌্যাথি দেবতুল্য... এর পেছনেও আছে কোটি কোটি টাকার মুনাফার খেলা... সেটাও অনেক খারাপ...

৮৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

জামিল হাসান বলেছেন: বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে গত চার বছরে এ রোগের ওষুধের বিক্রি এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

নতুন বলেছেন: আমি কখনোই বলিনা যে এলোপ‌্যাথি দেবতুল্য... এর পেছনেও আছে কোটি কোটি টাকার মুনাফার খেলা... সেটাও অনেক খারাপ..

কিন্তু প‌্যারাসিটামল খেলে ব্যথা কমে.... ঘুমের ঔষুধ খেলে আপনি ঘুমাবেন....

কিন্তু বিশুদ্ধ পানিকে ঔষুধ বলে বিক্রয় করা অবশ্যই চরম প্রতারনা... তাই নয়কি??

৮৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

জামিল হাসান বলেছেন: এইটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রর পরিসংখ্যান ।সারা দুনিয়াতে টোটাল ডায়াবেটিস রোগীর হিসাবটা কেমন হবে ভাবার বিষয়। অন্যান্য রোগ এর হিসাব ত বাদ দিলাম ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

নতুন বলেছেন: এর জন্য আমাদের লাইফস্টাইল + বিভিন্ন ভ্যাজাল খাবার+ফাস্টফুড+বেশি বেশি বিভিন্ন ঔষুধ খাওয়া এবং আরো অনেক কারন দায়ী....


কিন্তু বিশুদ্ধ পানিকে ঔষুধ বলে বিক্রয় করা অবশ্যই চরম প্রতারনা... তাই নয়কি??

৯০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

সোহাগ আহসান বলেছেন: হুমমম..... সবই বুজলাম, আপনার এই সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আছে। কারণ আমারও একসময় আপনার মত ধারনা ছিল। আপনার কথা মতই মূল ঔষধ কে ১০০সি অথবা ২০০সি পর্যন্ত Dilution করে এমন একটা ঔষধ আপনাকে খাওয়াব যা জ্ঞানহীন /অজ্ঞান করে দিবে। হ্যাঁ আপনি বলতে পারেন "বিশ্বাস", কে আপনাকে বিশ্বাস করতে বলছে, আপনি বিশ্বাস না করেই খাবেন, যদি জ্ঞানহীন /অজ্ঞান না হন তবে ত আপনাকে আর কিছু বলার থাকে না, আর যদি জ্ঞানহীন /অজ্ঞান হয়ে যান তবে আপনাকে বেশি কিছু বলার নাই, বিজ্ঞানের যুক্তিটা একটু মিলিয়ে দিবেন। আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র তাই আমিও সাধারনত বিজ্ঞানের বাহিরে যাই না। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর কি এ সময় বিজ্ঞানের কাছে আছে? তবে হ্যাঁ আমি এটা মনে করি যে, হোমিওপ্যাথি ঔষধের সূক্ষ্মতার শক্তি নিয়ে এই যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব এটার ব্যাখ্যা সত্ত্বর বিজ্ঞান দিবে। আপনার সবগুলো পয়েন্ট আর সমালোচনার একটা একটা করে উত্তর দেওয়ার সময় নাই, থাকলে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

নতুন বলেছেন: হুমমম..... সবই বুজলাম, আপনার এই সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আছে।

ভাই আপনাকে তো দুনিয়ার সকল হোমিওপ‌্যাথীর প্রস্তুতকারক/গবেষকরা খুজতেছে। কারন এখন পযন্ত হোমিওপ‌্যাথির কাজের প্রমান কেউই দিতে পারেনাই। তাই আপনি যদি দিতে পারেন তবে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে। আপনার একটা গবেষনা পত্র দুনিয়াতে সাড়া দেবে এমনকি নোবেলের মতন পুরুস্কারও পেতে পারেন।

আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র তাই আমিও সাধারনত বিজ্ঞানের বাহিরে যাই না। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর কি এ সময় বিজ্ঞানের কাছে আছে? তবে হ্যাঁ আমি এটা মনে করি যে, হোমিওপ্যাথি ঔষধের সূক্ষ্মতার শক্তি নিয়ে এই যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব এটার ব্যাখ্যা সত্ত্বর বিজ্ঞান দিবে। আপনার সবগুলো পয়েন্ট আর সমালোচনার একটা একটা করে উত্তর দেওয়ার সময় নাই, থাকলে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনি কি পানির ম্যামরীর কথা ভাবছেন ব্যাক্ষার জন্য?? সেটাও প্রমান হয়নি।

ভাই এখন সময় নাই কিন্তু একটু সময় করে বিষয়টা নিয়ে লিখবেন প্লিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.