নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমেইল [email protected] স্বপ্ন দেখি নতুন বাংলাদেশের, সোনার বাংলা।শখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। অবসর সঙ্গী আমার কম্পিউটার আর বই। ভালবাসি-আমার জানটুপুটুস কে, নিজেকে, আমার মা, মাটি আর দেশকে
অজ্ঞতার চাদর
বেচে থাকার তাগিদেই প্রথম মানুষেরা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ভাবনা শুরু করে আর সেই নতুন কিছু জানার আগ্রহ থেকেই বিজ্ঞানের শুরু। জ্ঞানের আলো মানুষকে আজকের উন্নত সভ্যতায় নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান, দশ`ন, নতুন কিছু জানার আগ্রহ মানুষ জাতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে মানুষ সৌরজগতের শেষ প্রান্তে ভয়েজার ২ পাঠিয়েছে যেটা এক সময় সৌরজগতের সীমা অতিক্রম করবে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর জন্য কাজ চলছে। ঐখানে কিভাবে বসবাস করা যায় তার জন্য ভাবনা শুরু হয়ে গেছে। চিকিতসা বিজ্ঞানের উতকষে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে, শিশু এবং প্রসুতী মায়ের মৃত্যু হার অনেক কমে গেছে। গুটি বসন্ত রোগ এখন শুধুই কয়েকটা ল্যাবেই পাওয়া যায়, পলিও মুক্ত বিশ্বের ঘোষনা আসবে কিছু দিন পরেই।
মানুষ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি অজ্ঞতাও কিন্তু বিভিন্ন রকমের চাদর দিয়ে অনেক মানুষকে ঘিরে রাখছে, আজ তেমন কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
জ্ঞানের উতকষ`তার সাথে সাথে অজ্ঞতাকে ও কিছু মানুষ ব্যবসার পুজি হিসেবে ব্যবহার করে এবং সমাজে কিছু মানুষকে অজ্ঞতার চাদরে ঢেকে নিজেদের সাথ` হাসিল করে।
নিচের বিষয় গুলি সম্পকে আমরা সবাই কমবেশি জানি এবং অনেকেই এই জিনিস গুলি নৈতিক এবং সত্য বলে বিশ্বাসও করি।
দাস প্রথা:- আপনি যদি এই লেখাটা পড়ছেন তার অথ` হলো আপনি আমার মতনই একজন ব্লগার। আপনি আমারই মতন একজন মানুষ। কিন্তু পৃথিবির একটা সময় কিছু মানুষ, অন্য কিছু মানুষকে নিজের সমান মানুষ মনে করতো না। তাদের দাস মনে করতো, তাদের পন্যের মতন কেনা বেচা করতো, অত্যাচার করতো, মেরে ফেলতো এবং সেটা অপরাধ ছিলো না।
প্রাচীন কালে এই বিষয়ের কিছু আইনও পাওয়া যায়।
কোড অফ হাম্মুরাবি
পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা থেকেই মনে হয় দাস প্রথার শুরু হয়েছিলো,খৃস্টপূব` ৩৫০০ বছর আগের মেসোপটিমিয়া সভ্যতায়, খৃস্টপূব` ১৮৫০ সালের হ্যামুরাবীর আইনেও দাসপ্রথার বিষয়টা পাওয়া যায়। মানুষ কেনা বেচা তাদের দাস বানানোর এই প্রকৃয়া্টি এক সময়ে মানুষ বিশ্বাস করতো।
ইয়ামেনে দাসের বাজার
বিশ্বে শুধু মাত্র ১৬-১৯শতকে প্রায় ১২ মিলিওনের বেশি মানুষকে আফ্রিকা থেকে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে। এটা যদি কিছু দিন আগের ঘটনা হয় তবে বিশ্বের ইতিহাসে মোট দাসের সংখ্যা বিলিওনের ঘরে পৌছে যাবে বলেই আমার মনে হয়।
এই দাস প্রথাও কিন্তু এক সময় অনৈতিক ছিলো না। তখন মানুষ এটাকে অন্যায় মনে করতো না।
ধমীয় বিশ্বাস:- বিশ্বে আনুমানিক প্রায় ৪২০০ ধম` বিশ্বাস মানুষ অনুসরন করে।
বড় ধম`গুলির টাইমলাই
সকল ধম`ই মানুষের উপকারে মানুষের ভালোর জন্যই। কিন্তু যেহেতু বিশ্বাসের উপরে ভিক্তিকরে গড়ে উঠে তাই ধমী`য় বিশ্বাসের কারনে আরো অনেক কুসংস্কার গড়ে উঠে। পানি পড়ে, জ্বীনে ধরা, ডিমনের আছর, দেবতার উদ্দেশ্য মানুষ উতসগ`, ক্রুসেড, রাজনীতি সব সময়ই ধম`কে ব্যবহার করেছে জনগনকে অধীনে রেখে ক্ষমতা বজায় রাখতে।
যদিও ধম` বিশ্বাস অনেক পুরানো কিন্তু প্রাচীন কালে ধম`বিশ্বাসের কারনে যুদ্ধ হতো না। বরং হিন্দু বনাম বৌদ্ধ, খৃস্টান বনাম ইসলাম ধমের প্রসারের কারনে ধমের কারনে হানাহানির কারনে লাখো মানুষের প্রান গিয়েছিলো। প্রায় ২-৩ লক্ষ মানুষ ইসলাম বনাম খৃস্টানদের ধম`যুদ্ধ ক্রুসেডে প্রান হারিয়াছিলো। বত`মানেও ধমের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হয় নি। আইসিস, আলকায়েদা, কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে গুলি।
যারা মানুষ হত্যা করছে তারা কিন্তু বিশ্বাস করে তারা ঠিক কাজটিই করছে। মানুষ হত্যা যদি ধমের নামে ঠিক হয় তবে মানুষের জন্য ধমে`র শান্তির বানী কতটুকু তাদের প্রভাবিত করতে পারছে?
মজার একটা বিষয় হলো সকল ধমের বিশ্বাসীরাই কিন্তু মনে করে তারাই মাত্র সঠিক এবং বাকিরা ভুল পথে আছে... তাহলে আসলে সঠিক পথ কোনটি?
বন`বাদ/ উন্নত জাতি বিশ্বাস:- ১৯০০ শতকে রেসিজমের ধারনা মানুষের মাঝে আসে, কালো মানুষদের নিচু জাত মনে করে এবং এই ভাবনা দাসপ্রথার সাথে চলতে থাকে এবং অনেক মানুষ এই বন`বাদের কারনে মারাও গেছে। এখনো অনেক মানুষ মনে করে তারা উন্নত জাতি । ১৭৩৫ সালে বিজ্ঞানী Carl Linnaeus তার Systema Naturae বই এ প্রানী.উদ্ভিদকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করার প্রকৃয়ার ধারনা দেন, সেখানে মানুষকেও শ্রেনীবিন্যাসের অন্তভুক্ত করেন। এই রকমের আইডিয়া থেকে মানুষের বিভিন্ন জাতি ভাগের ধারনা কিছু রাজনিতিক,দাশনিক আরম্ভ করেন এটা। হিটলার তার আরিয়ান জাতি বিশ্বাস থেকে নিচু জাতি ঈহুদীদের ইউরোপ থেকে নিশ্চিন্হ করতে পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তাতে পায় ৬ মিলিওন ইহুদীকে হত্যা করা হয়েছিলো। বন`বাদের প্রভাব থেকে বিশ্বকে বের হতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে। যদিও এখনো সাদারা নিজেদের উন্নত জাতি মনে করে কালোদের নিচু জাতি। হিন্দু ধমের জাতি ভাগের কারনে নিচু জাতের মানুষের জন্য আলাদা পাত্র খাবার দেওয়া হতো, তাদের মাটিকে বসতে দেওয়া হতো তাদের সাধারন মানুষের মতন জীবন জাপন করার ব্যবস্হা তাদের ছিলো না, এখনো অবস্হা খুব বেশি ভালো হয় নি যদিও।
হোমিওপ্যাথি:- বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি মানুষ হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করে থাকে, আধুনিক চিকিতসা বিজ্ঞানের শুরুর আগে অনেক বিকৃত রকমের প্রদ্বতিতে রোগের চিকিতসা করা হতো, তখন হোমিওপ্যাথি নতুন একটা তত্ব নিয়ে আসে এবং যদিও হোমিওপ্যাথি কাজ করে এমন কোন প্রমান নেই তবুও মানুষের বিশ্বাসের উপরে ভর করে এখনও প্রায় ৬ বিলিওন ডলারের হোমিও ঔষুধ বিশ্বে বিক্রি হয়।বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির উপরে সরকারী মেডিক্যাল কলেজ আছে এবং সরকারী ভাবে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে হোমিওডাক্তার নিয়োগ দেয়। এমনকি ইংল্যান্ডের রানীরও নিজেস্ব হোমিও ডাক্তারও আছে।
সমতল পৃথিবী:- মানুষ চাদে গিয়েছে চাদ থেকে পৃথিবির ছবি তুলেছে, স্যাটেলাইট যাচ্ছে ছবি তুলছে, আইএসএস ৯০ মিনিটে পৃথিবি প্রদক্ষিন করে মানে ২৪ ঘন্টায় ১৬ বার পৃথিবির চারপাশে চক্কর দেয়।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও দুনিয়াতে কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে পৃথিবি আসলে সমতল। এন্টারটিকা চারপাশে উচু বরফের দেওয়াল এবং তার পরে কিছুই নাই। এটা সবার কাছ থেকে নাসা এবং সরকার ষড়যন্ত করে লুকিয়ে রেখেছে, মানুষ চাদে যায়নি, সূয` এবং চাদ পৃথিবির উপরে ঘোরে এবং সূয` ছোট এবং মাত্র ৩০০০ কিমি উপরে আছে।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ম্যাপ যেটা পাওয়া যায় সেটা ৬স্ঠ শতকের ব্যবলিওন সভ্যতায় পাওয়া ম্যাপ Imago Mundi ,
এই ভাবে অনেক দিন যাবত সমতল পৃথিবির ধারনা চলে আসছিলো। খুস্টপূব ৫ম শতকে গোলাার পৃথিবির ধারনা গ্রীক দাশ`নিকরা প্রথম দেয় এবং এটা খৃস্টপূব` ৩য় শতকে এসে Cleomedes' দুই শহরের দুপুরের সূযে`র আলো কত ডিগ্রিতে পড়ে এবং দুরুত্বের হিসাব করে পৃথিবির পরিধি হিসাব করেছিলো।
কিন্তু আধুনিক কালে এসো আবার কিছু মানুষ পৃথিবি সমতল বলে বিশ্বাস করা শুরু করেছে এবং তাদের অনেক অনুসারী রয়েছে। দেশেও অনেকেই এই রকমের বিশ্বাস করে। কারন এরা গুজব,হুজুগে বিশ্বাসী, যৌক্তিক ভাবনা পছন্দ করেনা।
পৃথিবি সবকিছুর কেন্দ্র এবং সূয`,তারা সবকিছু পৃথিবী কেন্দ্রকরে ঘুরে এমন আইডিয়ার বিরোধিতার জন্য গ্যালেলিওকে নিবাসনে দেওয়া হয়, ব্রুনকে আগুনে পুরিয়ে মারা হয় তার বিজ্ঞান বিশ্বাসের জন্য।
কালো জাদু :- প্রাচীন সমাজ থেকেই মনে হয় অলৌকিকতায় বিশ্বাস চলে এসেছে কারন তখন তাদের কাছে অজানা বিপদ থেকে রক্ষার পেতে চাইতো এবং সেই আশা থেকেই অজানা শক্তি তাদের সাহাজ্য করতে পারে এবং সেই রকমের শক্তির জন্য চেস্টা থেকেই জাদুর বিষয়টা এসেছে। কিছু মানুষ বিভিন্ন ভেলকি/জাদু দেখিয়ে সমাজে সবার উপরে প্রভাব বিস্তার করতো। অনেকেই তাদের কাছে সাহাজ্য চাইতো। একটা সময় এই রকমের জাদুকর, পুরহিত,ডাইনি,সাধক সমাজে অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে।
যদিও ব্লাকম্যাজিক/কুফুরীর প্রমানিত কিছু না কিন্তু মানুষ এটা বিশ্বাস করে এসেছে ইতিহাসের অনেকটা সময়। এখন এই বিশ্বাস এখন কমতে শুরু করেছে। কিন্তু শিক্ষার প্রভাব যাদের মাঝে কম তারা এখনো বিশ্বাস করে। সচেতন মানুষ বিশ্বাস করেনা কারন বিজ্ঞানের আবিস্কার এবং ব্যক্ষা জানার পরে ভন্ডামীর বিষয়টা মানুষ টের পেয়েছে এবং তাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস কমে যাবার ফলে তাদের আয় কমে গেছে এবং এর মাত্রা কমেছে।
কিন্তু সমাজ যদি শিক্ষিত না হয় তবে কুসংস্কার দুর হয় না এবং এই রকমের ভেলকী,জাদু, দিখিয়ে অলৌকিক ক্ষমতার বিশ্বাস করিয়ে অনেকেই টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে এখনো।
মিচিও কাকুর একটা ভিডিও দেখেছিলাম তিনি বলছিলেন যে মনে হয় অলৌকিক বিশ্বাসের জন্য আমাদের কোন জীন আছে। কারন হয়তো ১০ বারের ৯ বারই মনে হোওয়া জিনিস ভুল হবে কিন্তু হয়তো ঐ ১ বারের কারনে আপনি অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। এই ভাবেই মানুষের মতনে এই অলৌকিক ভাবনাটি রয়ে গেছে বিব`তনের অংশ হিসেবে।
এই রকমের অনেক বিশ্বাস বিশ্বের ইতিহাসে মানুষের মাঝে ছিলো কিন্তু বত`মানে জ্ঞানের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মাঝে পরিব`তন আসছে। সব শেষে আশা করবো সবাই তার নিজের জ্ঞানের উতকষতার মাধ্যমে অজ্ঞতার চাদরের বাইরে বের হয়ে যৌক্তিক ভাবনায় বিশ্বকে দেখা শুরু করুক।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১১
নতুন বলেছেন: দেশে তো সব ধরনের হুজুগ, গুজবে মানুষ বিশ্বাস করছে।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
কুসংস্কারের মুলে শিক্ষাহীনতা ও নীচু মানের শিক্ষা।
হোমিওপ্যাথী ২০ কোটীর অনেক বেশী মানুষ ব্যব হার করেন, একা পাক-ভারতে ২০ কোটীর বেশী মানুষ উহা ব্যবহার করেন।
ধর্মের কারণে, এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে সন্মানের চোখে দেখে না।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
নতুন বলেছেন: শিক্ষার এই সমসা কবে সমাধান হবে আমাদের সমাজে?
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: "You Look Happier" is the best compliment you received.
Alhamdulillah
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
নতুন বলেছেন: কেঠা হেপিয়ার হইলো ভাই?
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
শের শায়রী বলেছেন: বেশ কিছু তথ্য লেখাটাকে সমৃদ্ধ করছে। বাই দ্য ওয়ে আপনার কি রেফ লিখতে সমস্যা হয় যেমন "ধর্ম" আপনি টাইপ করছেন "ধ'ম" আপনি যদি অভ্র ফ্রন্টে টাইপ করেন ইংরেজী R এর ওপর পরপর দুইবার চেপে "ম" বা অন্য কোন শব্দ লিখুন দেখবেন "রেফ" চলে এসেছে।
ভালো থাকুন।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ। যুক্তাক্ষরে একটু সমস্যা হয়। ধম` ব্লগের ইউনিজয় ব্যবহার করি, এতে রফালা আপনার মতন আসেনা( ধর্ম ) ।
আরেকটা কারন হতে পারে বাংলা না লেখার অভ্যাস, ব্লগে ছাড়া বাংলা লেখার সুযোগ হয় না। তাই অনেক সময় বানানো একটু ভুল হয়
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬
সৈয়দ সদানন্দ বলেছেন: ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪১ এর দিকে পোস্টটি প্রকাশিত হয়েছে ।
এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্টে পাঠক সংখ্যা দেখে খুব অবাক হচ্ছি! ব্লগ আর আগের মতো নেই! এখানেও একধরণের ভুতের বশীকরণ পক্রিয়া চলছে ! টেবলট প্রয়োজন বুঝলেন, টেবলট !!
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে।
আমার লেখার হাত খুব একটা পাকা নয় কিন্তু যেই পয়েন্ট গুলি তুলে ধরেছি তা নিয়ে ভাবতে পারে।
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
সৈয়দ সদানন্দ বলেছেন: দাস প্রথার রিফমিং ভার্সনের বর্তমান প্রক্রিয়া অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাহিরে। আমরা চাইলেই এটাকে নির্দিষ্ট বন্দনীতে অবধ্য করতে পারি। আবার অনেকের কাছে এটা আপেক্ষিক বলে মনে হয়! যদিও এখানে আপেক্ষিকতার কোন কিছু নেই । আমাদের মধ্যে অধিকাংশরাই এসবের ধারধরে না, তারা মনে করে নিজেরা স্বাধীন কিন্তু এই স্বাধীন মনোভাব লালন করার দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়ে আমাদেরকে বরং সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে ।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪
নতুন বলেছেন: এটা এক রকম ঠিক বলেছেন যে সরাসরি দাস প্রথা এখন কমেছে কিন্তু পরোক্ষ ভাবে ঠিকই মানুষ দাসের কাজগুলি করে যাচ্ছে।
সমাজের দরিদ্র শ্রেনীকে দরিদ্র রেখে তাদের দিয়ে যদি আপনি কম খরচে কাজ করাতে পারেন তবে মানুষ কে বন্ধী করে কাজ করানো দরকার হয়না।
তাই কপো`রেসন সমাজ ব্যবস্থা এমন করার পেছনে কাজ করে যাতে আসলে দারিদ্রতা না কমে বরং নতুন সস্তা শ্রমিক পাওয়া যায়।
তাইতো স্কুলে নতুন ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে পড়াশুনা করায় না, করায় ভালো কম`চারী কি ভাবে হওয়া যায় সেই শিক্ষা।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
সোহানী বলেছেন: অনেকগুলো বিষয় ও গুড়ুত্বপূর্ন পয়েন্ট এনেছেন নতুন ভাই। তবে সব কিছুর আসল কথাই বলেছেন, 'বিজ্ঞান, দর্শন ও সাহিত্য চর্চায়ই হতে পারে এর মুক্তির পথ।"
তবে এখন অবশ্য আমার মতে এর চর্চা কম। মানুষ কিছু বিশ্বাস করার আগে গুগুল মামাকে জিজ্ঞাসা করে….হাহাহাহা।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৮
নতুন বলেছেন: আমরা rational animal তাই মানবিয় গুনাবলি যদি আমরা পরের জেনারেসনে পাস করে যেতে না পারি তবে সামনের মানব সমাজে মানবিয় গুনাবলীর অভাব দেখা দেবে।
বিশ্বের অনেক দেশে যারা আমাদের চেয়ে মোবাইল অনেক আগে পেয়েছে তারাও কিন্তু অনেক বই পড়ে, অনেকেকই রাস্তা চলতি পথে গাড়ীতে বই পড়তে দেখা যায়।
আর আমাদের দেশে মনে হয় লাইব্রেরী গুলি বন্ধ হয়ে যাবে ১০-২০ বছরের মধ্যে।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আসলে অলৌকিক ও অতিপ্রাকৃতের প্রতি মানুষের একটা সহজাত আকর্ষণ রয়েছে।কারণ চাইলেও আমরা কখনোই
'সব কিছু'র ব্যাখ্যা পাই না বা পাব না,কিছু প্রশ্ন কৌতূহলই রয়ে যাবে।তাই অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাসে যদি মানসিক শান্তি মিলে তবে তাতে দোষ নেই।কিন্তু অন্ধবিশ্বাস যদি স্বাভাবিক ন্যায়বোধকে ভুলিয়ে দেয়,তবে অবশ্যই তা চিন্তার বিষয়।
পোস্টটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০০
নতুন বলেছেন: খুজলে অবশ্যই সব কিছুর ব্যক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারন মানুষেরা খুজেনা। বরং বিশ্বাস করতে ভালোবাসে।
আর উপরে মিচিও কাকুর ভিডিওতে উনিও উল্লেখ করেছেন যে হয়তো আমাদের ইভুলোসনের এই অজানা বিষয়ে ভয় জিনিসটা হয়তো উপকারে এসেছে তার জন্য এটা আমাদের মাঝে আছে।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
অন্তরন্তর বলেছেন: অশিক্ষা এবং কুশিক্ষা ( জগতে যত বড় ক্রাইম দেখবেন শিক্ষিতরাই করেছে ) এর জন্য দায়ী। খুব সুন্দর লিখেছেন। দাসপ্রথা এখনও বিদ্যমান, ধর্মীয় অন্ধতা, বর্ণবাদ এখনও সবদেশেই কিছুটা হলেও আছে, কালজাদু বিশ্বাসী লোক বেশিভাগই আমাদের উপমহাদেশে, হোমিওপ্যাথি চলছে চলবে কারন আমাদের উপমহাদেশের কথা বাদ দিন উন্নত দেশে হোমিওপ্যাথি হসপিটাল আছে( আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্য ইংল্যান্ডে একজন বিশেষজ্ঞ আমাকে হোমিওপ্যাথি হসপিটাল এ রেফার করেছিল)। যতই শিক্ষিত হচ্ছি ততই মানবিকতা ভুলে যাচ্ছি বলে আমার মনে হচ্ছে। তারপরও শিক্ষার বিকল্প নেই এবং আশা করি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। শুভ কামনা রইল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
নতুন বলেছেন: কুশিক্ষা বলতে আমি তাদের সাটিফিকেট ধারী বলে থাকি। শিক্ষা যদি মানুষকে ভালো দিকে পরিবত`ন না করে তবে সে শিক্ষিত নয়, সাটিফিকেটধারী।
ইংল্যান্ডের রানীর নিজেস্ব হোমিও ডাক্তার আছে তার কথা আমিও বলেছি। অতীতে হোমিও আরো জনপ্রিয় ছিলো।
কিন্তু হোমিও কাজ করেনা সেটা প্রমানিত । এখনো কোন প্রমান হোমিপ্যাথী দেখাতে পারেনাই যে তাদের ওষুধ প্লাসিবোর চেয়ে বেশি কায`কর। আমার মামাশশুর হোমিও ডাক্তার, উনি ও তার ছেলে মেয়ের জন্য এলোপ্যাথীর ডাক্তারের সরনাপন্ন হয়।
এই সম্পকে আমার কয়েকটা ব্লগ আছে দেখতে পারেন, সেখানে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পৃথিবী গোল না সমতল তাতে কি আসে যায়? তবে এটি নিয়ে দ্বন্দ্ব করা অবস্যই অন্যায়। পৃথিবী গোল/ সমতল/ চৌকোন আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, বিজ্ঞান যা বলে - তা আমরা বিস্বাস করি। কোনো একদিন হয়তো আবিস্কার হবে পৃথিবী আসলে ত্রিভুজ/ডিম্বাকৃতি !!! ধর্ম নিয়ে খুনাখুনি চলবে - - - - - - - - - সম্ভবত এটিই ধর্মের মূল।।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮
নতুন বলেছেন: ভাই বিজ্ঞান কখনো বিশ্বাস করতে বলেনা।
বিজ্ঞানের যৌক্তিক ব্যক্ষা আপনি পরখ করে দেখতে পারবেন, সেই জন্যই্ এটা বিজ্ঞান।
পৃথিবী অবশ্যই সমতল না। গোলাকার।
চাদ থেকে ছবি তোলা আছে। কিছুদিন আগেও স্পে্সএক্স টেসলা গাড়ী পাঠিয়েছে তখন সবাই সরাসরি ভিডিও দেখেছে।
কিছু মানুষ যৌক্তিক ভাবনার চেয়ে শুনে বিশ্বাস করতে পছন্দ করে, সেই জন্যই এই সব কিছু টিকে আছে।
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নতুন ভাই,
আমার বিচিত্র কারণে মনে হয় মানুষ অজ্ঞতার অতলে ডুবে থাকুক এবং সেটাই বরং ভালো। মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য, পৃথিবীর জন্য। নয়তো জ্ঞান আর অজ্ঞান মিলে যে ফাইট চলে তাতে মরছে লক্ষ কোটি - নয় কি? তাই পৃথিবী সমতল না অবতল তাতে কি আসে যায়? আমার ব্যাক্তিগত জীবনে পৃথিবী গোলাকার আকৃতি বা যেকোনো আকৃতিতে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই। আকাশে চাঁদ দেখি - এই তো। পৃথিবী দেখার কোনো সুযোগ নেই।
ভিন্ন প্রসঙ্গ: - নীল আমষ্ট্রং চাঁদে অবতরনের পর আজ পর্যন্ত আর কেউ কি চাঁদে কেনো অবতরন করেছেন? এখন পর্যন্ততো লোকাল ট্রেনের মতো লোকাল রকেট চালু হবার কথা, নাকি বিজ্ঞান টিভি চ্যানেল, কম্পিউটার আর সেল ফোনে আটকে আছে?
বিজ্ঞান আর ধর্ম দুটোই মহামারী, দুটোর তান্ডবেই মানুষ মরছে। দুটোই মানুষ মারার কল।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৪
নতুন বলেছেন: নীল আমস্ট্রং এর পরে আরো ১১ জন চাদে নেমেছেন, হেটেছেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_people_who_have_walked_on_the_Moon
বিলিওর ডলারের প্রোজেক্টে যদি লাভ না থাকে তবে আপনি কি সেটা চালু রাখবেন? চাদে কোন লাভ নেই, তাই সেখানে কেউই যায় না, ঐখানে খনিজ পদাথ` নেই যেটাতে পৃথিবির লাভ হতে পারে।
বিজ্ঞান কখনোই মানুষ মারার জন্য কিছু সৃস্টি করেনা। বিজ্ঞান মানুষ মারার কল নয়। চাকু দিয়ে ডাক্তার অপারেশন করেন, শেফ রান্না করে, ডাকাত ডাকাতি করে। মানুষ বিজ্ঞানের আবিস্কার কিভাবে ব্যবহার করে সেটা তার উপরে নিভ`র করে।
ধম` মানুষকে ভালো জিনিস সেখায় কিন্তু অন্যদের নিচু বলে সেখায় কিছু ক্ষেত্র সেখান থেকেই ভুল ব্যাখ্যা পেয়ে মানুষ হত্যার ঘটনাও ঘটে।
১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিজ্ঞান, দর্শন এবং সাহিত্য চর্চা- তিনটেই মানুষের মনকে আলোকিত করে। প্রথমটা মানুষের যৌক্তিক বিশ্লেষণ ক্ষমতাকে শাণিত করে, দ্বিতীয়টা মানুষের ভাবনা শক্তিকে প্রখর করে, আর তৃতীয়টা মানুষের সুকোমল বৃত্তিগুলোকে আলোড়িত করে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করার প্রেরণা যোগায়।
পোস্টের শিরোনামটা সত্য ও সুন্দর, লেখার বিষয়গুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কিন্তু আলোচনাটা তেমন জোরালো হয় নাই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
নতুন বলেছেন: যারা একটু হালকা বিষয়ে চিন্তা করে তাদের এই রকমের বিষয়ে মজা পাবার কথা না।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নতুন ভাই,
আমি হালকাও না ভারিও না। মাঝারি চিন্তা করি। তবে পোষ্টে আর কেউ নেই তাই আলোচনা এগুতে পারছেনা। সময় মানুষকে অটোমেটিক এগিয়ে নিয়ে যাবে এটি সময়ের বিধান।
শুভেচ্ছা নিবেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৩
নতুন বলেছেন: পোস্টে আমার অবসারভেসন গুলি লিখেছি মাত্র। এতে সমালোচনা বা আলোচনা বা ভিন্নমতের কিছু নাই তাই এটা নিয়ে তেমন জোরালো আলোচনার কিছু নাই।
১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬
স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: বিজ্ঞান মানুষ কে অটিস্টিক করে তুলছে
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৮
নতুন বলেছেন: আপনি কি অটিস্টিক হয়ে গেছেন?
না
প্রতিদিন প্রতিক্ষন বিজ্ঞানের অবদান ব্যবহার করে দেখেও যদি বলেন বিজ্ঞান অটিস্টিক করে তুলেছে তবে কিছুই বলার নাই।
১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: যাক আমার ধারণা সঠিক | আপনিও তাই হয়ে গেসেন | না হলে বুজতেন আমি কি বোঝাতে চাচ্ছিলাম | অতিরিক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষ কে যান্ত্রিক রোবটে পরিণত করেছে | এটাকে অটিস্টিক বলা যায় |
আপনি হন নি |
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩
নতুন বলেছেন: সব জিনিসেরই ভালো মন্দ আছে, আপনি ভালটা ব্যবহার করবেন, মন্দটা এড়িয়ে চলবেন।
১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪
ফড়িং-অনু বলেছেন: যেখানে বিশ্বাস সেখানে ঠকবার সম্ভবনা বেশি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নতুন বলেছেন: বিশ্বাসের দরকার আছে তবে অন্ধ বিশ্বাস অবশ্যই খারাপ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হোমিওপ্যাথি, রাশিচক্র, জিন ভুত পেত্নি, যাদুটোনা বিশ্বাস করা বোকামি।