নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চুয়াডাঙ্গায় সরকারী ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের ফালি ব্যবহার করার খবর অনেকেই জানি। আঁতকে উঠার মত খবরই বটে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এমন পুকুর চুরি দুর্নীতি অহরহই হয়ে চলেছে। এটা একটা ওপেন সিক্রেট।
বাংলাদেশে যে কোন কাজে, যেমন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ থেকে স্টেডিয়াম কিংবা সেতু তৈরিতে, এমন কোন কাজ নাই যেখানে দুর্নীতি হয়না। তাও আবার ছোটখাট দুর্নীতি না এবং একটা পর্যায়ে দুর্নীতি থেমে থাকে না। উপর থেকে নিচে, প্রশাসন থেকে প্রকৌশলী, আমলা থেকে আইনজ্ঞ, নিরাপত্তা কর্মী থেকে নিরাপত্তা রক্ষী; সবাই দুর্নীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
যেহেতু সবাই দুর্নীতির হিস্যা পেয়ে থাকে সেহেতু কেউ কাজের তদারকি করার প্রয়োজন বোধ করেনা। দায়সারাভাবে একটা কাঠামো দাঁড় করিয়ে দিয়েই শেষ। একটা কাজে বাজেট যা হয় খরচ করা হয় অর্ধেকেরও কম, কিন্তু দেখানো হয় ১০০% খরচ। অথবা একটা কাজে খরচ যত না হবে, বাজেট করা হবে তার থেকে বেশী; উদ্দেশ্য দুর্নীতি।
দুর্নীতির ফলাফল প্রতিনিয়ত পেয়ে যাচ্ছি। ভাঙ্গা রাস্তা, ধসে পড়া ভবন, স্বল্প আয়ুর ব্রিজ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত খোঁড়াখুঁড়ি, যানজট, দূষণ ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা কাজ ভালোভাবে না করার ফলে ওই কাজটা বারবার করতে হচ্ছে। বারবার করা মানে বারবার দুর্নীতি। আনুপাতিক হারে হিসাব করলে ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ।
বাংলাদেশ গরীব দেশ, যাদের আয় সীমিত, বাজেট সীমিত। এই সীমিত বাজেটেও যদি দুর্নীতি হয় তাহলে থাকে টা কি? সীমিত অর্থকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে কিভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়া যায় এই চিন্তা কারোই নেই। সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দিকে কাররই নজর নেই। সরকার, আমলা, প্রশাসন; সবাই একই গোয়ালের গরু। ব্যক্তিগত অর্জনই তাদের মূল লক্ষ্য। যার ফলে জবাবদিহিতার কোন সিস্টেম নেই, কারো কাজে প্রশ্ন করার কেউ নেই।
হায়!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৯
নিউটনিয়ান বলেছেন: হ্যাঁ সেটাও খাটে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৫
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আমি ভাই আপনার পোস্টের শিরনামটা একটু বদলাইয় ল্যাখতে চাই, "যেখানে রাজনীতি মজবুত সেখানে নির্মাণ কাজ ভঙ্গুর হতেই পারে"।