নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায়দারাবাদের ডায়েরী….
রামোজি ফিল্ম সিটি দেখার অভিঙ্গতা…. (১৪/০৯/২০১৪)
গতকালকে আমাদের এক ব্যাচমেট বন্ধু(পুজার) জন্মদিনের পার্টিতে দেখা হয়েছিল আমাদের কোর্স কোরডিনেটর ড: অনুরাধার সঙ্গে। সে জানালো এনআইআরডি থেকে একটি বাস আগামীকাল সকালে সর্টকোর্সের কিছু ইন্টারন্যাশনাল পারটিছিপেন্টস নিয়ে রামোজি ফিল্ম সিটি পরিদর্শনে যাচ্ছে। আমরা পিজিডিআরডিএম এর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা যেতে চাইলে তাদের সাথে যোগ দিতে পারি।সুযোগটি আমরা লুফে নিলাম। বিনা বাক্য ব্যয়ে জানিয়ে দিলাম আমরাও রামোজি ফিল্ম সিটিতে যাচ্ছি…
রাতে ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে সকাল ৮টার মধ্যে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরলাম। শ্রীলংকার তিলকারত্নে বাদে আমরা বাকি পাচজনই যাচ্ছি। আমার সঙ্গি ঘানার জন, ফিজির মেলে, ইন্দোনেশিয়ার লুকি ও ভিয়েতনামের কুয়ান।
আমার দেশের মতো ইন্ডিয়াতেও যে সময়ের মূল্যে একটু কম সেটা বুঝে গেলাম। কথা ছিল সকাল সাড়ে আটটায় বাস ছাড়বে। সেই বাস ছাড়ল ৯:১৫। যা হোক বাস চলতে শুরু করেছে এটাই বড় কথা। একদম সামনের সারির একটি সিট বেছে নিয়েছি। আমার সাথে বসেছে ঘানার জন। বাসে আমরা পাঁচজনসহ জনা বিশেক যাত্রী হবে। নাইজেরিয়া, ওমান, সাওথ আর্ফিকা, আলজারিয়া, নেপাল, মরিসাস, শ্রীলংকার পার্টিছিপেন্টদের সাথে পরিচয় হলো। আমার পাশের সিটে বসেছে নাইজেরিয়ার দুই কৃষ্ণ সুন্দরী। একজনের নাম ভিক্টোরিয়া। সে নাইজেরিয়া সরকারের এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের একজন অফিসার।
যা হোক বাস এনআইআরডি ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে প্রধান সড়কে উঠে পড়েছে। ইন্ডিয়ার হাইওয়েগুলো অসাধারন। আট লেনের বিশাল প্রশস্ত হাইওয়ে। দুইপাশে বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ লাগানো। শুধু তাই নয় দুপাশে নেটের জাল দিয়ে ঘেরা। যাতে কোন জন্তু-জানোয়ার হাইওয়েতে না উঠতে পারে। রাস্তা সুরক্ষার জন্য কি অসাধারন ড্রেনেজ সিস্টেম। ইন্ডিয়ার হাইওয়ে দেখে আমার দেশের হাইওয়ের কথা মনে পড়ে গেল। ঢাকা-চিটাগং, ঢাকা-ময়মনসিংহের হাইওয়ে নিয়ে প্রতিনিয়ত টেলিভিশনে ঘটে যাওয়া নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। ঈদ আসলে জোড়াতালি দিয়ে হাইওয়ে ঠিক করার কথা মনে পরে গেল। কোন একটা পরিসংখ্যানে জানতে পারলাম ইন্ডিয়াতে কাচঁ-পাকা মিলিয়ে যে পরিমান রাস্তা আছে সেটা প্রায় বাংলাদেশের আয়তনের সমান।
কি বিশাল হাইওয়ে… চলে গেছে এক স্টেট থেকে অন্য স্টেটে। রাস্তায় দূরত্ব নির্ধারনী একটি সাইন বোর্ডে দেখলাম। মুম্বাই ৬৬৫ কি:মি:। প্রশস্ত হাইওয়ে দিয়ে আমাদের বাস এগিয়ে চলেছে রামোজি ফিল্ম সিটির দিকে….
পরিস্কার আকাশ। রোদ উঠেছে, তবে সে রোদে বিশেষ তাপ নেই । বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছি। রাস্তার দুপাশে সবুজ ক্ষেত। মাঝে-মাঝে বাড়ি-ঘর। মাঝে-মাঝে পাথরের টিলা চোখে পড়ছে। যেন একেকটা ভাস্কর্য। পাথরের টিলাগুলোর গায়ে গুল্ম জাতীয় সবুজ গাছের আচ্ছাদন। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, কোন এক শিল্পী যেন ছবি আঁকছে। তার ছবি আঁকা এখনও শেষ হয়নি…
ঠান্ডা বাতাসে চোখ বুজে এসেছিল। জন ডাকলো, নিয়াম। তাকিয়ে দেখি সবাই বাস থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।বুঝলাম আমরা পৌছে গিয়েছি ।ঘড়ি দেখলাম। ১০:৪০। এক ঘন্টার একটু বেশি সময় লেগেছে। বাস থেকে নেমে পড়লাম। নেমেই চোখে পড়ল বিশাল অক্ষরে লেখা রামোজি ফিল্ম সিটি। মোবাইল বের করে একটা ছবি তুললাম…
টিকিট কাউন্টার এ আসলাম। টিকিটের মূল্য জন প্রতি ৮০০ রুপি।টিকিট কাটলাম। টিকিটের সাথে একটি ম্যাপ ও একটি স্টিকার দিয়ে দিল। গেটে ঢোকার মুহর্তে চেক করল। তারপর স্টিকারটি আমার টি শার্টের গায়ে লাগিয়ে দিল। ঢুকে পড়লাম। ম্যাপ দেখে বুঝতে পারলাম বিশাল এরিয়া নিয়ে তৈরি এই ফিল্ম সিটি।
গেটে ঢুকেই দেখি রামোজি ফিল্ম সিটির অনেকগুলো বাস দাড়িয়ে আছে। একটা বাসে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম। বাস ছেড়ে দিলো। প্রায় দশ মিনিট বাস জার্নি শেষে আমরা রামোজি ফিল্ম সিটির মুল গেটে এসে পৌছালাম।
হাতের ম্যাপ ও অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্যে থেকে ইতিহাস যেটুকু জানা গেল, সেটা হলো রামোজি ফিল্ম সিটির আয়তন প্রায় সতেরশত একর। ১৯৯৬ সালে ইন্ডিয়ার রামোজি গ্রুপের রামোজি রাও এই ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। রামোজি রাও উষা-কিরন মুভিস এর ব্যানারে প্রায় ৮০টি হিন্দি, তেলেগু,মারাঠি,বাংলা ও তামিল ভাষার ছবি প্রযোজনা করেছে।গিনিজ বুকের রেকর্ড অনুযায়ী রামোজি ফিল্ম সিটি বিশ্বের ইন্টিগ্রেটেড ফিল্মসিটি গুলোর মধ্যে দীর্ঘতম। ঢোকার মুহুর্তেই চোখে পড়ল। বড় করে লেখা… লার্জেস্ট ফিল্ম সিটি ইন দ্যা ওর্য়াল্ড।
বাস থেকে নামার পড়েই চোখে পড়ল ইউরেকা বিল্ডিং। ইংরেজদের স্টাইলে তৈরি ।লাল রংয়ের অসম্ভব শৈল্পিক ব্যবহার। দেখতে দারুন।পাশেই বিভিন্ন রাইডার।ড্যান্সিং, রেন্জার, বাম্পিং কার,থ্রিল রাইড, কিডিং রাইড… ঘানার জন ও নাইজেরিয়ার ভিক্টোরিয়ার পাল্লায় পড়ে ড্যান্সিং রাইডারে উঠে পড়লাম। তিন মিনিটের ড্যান্সিং রাইডারের অভিঙ্গতা সারাজীবন মনে থাকবে। মনে-মনে প্রতিঙ্গা করলাম জীবনে আর কোনদিন ড্যান্সিং রাইডারে উঠবো না। মাথা কেমন ঘুরছে, বমি-বমি লাগছে। একটা চেয়ারে বসে একটু রেসট নিলাম। একটু পরে সব ঠিক হয়ে গেল। রাইডারের পাশেই একটা হোটেল। হোটেলের নাম সাঙ্গাম। একতলা হোটেলটি সুন্দর। হোটেলের পেছনে, একটু দূরে বিশাল একটি পাথরের টিলা। মনে হচ্ছে টিলাটি যেন এই ফিল্মসিটির সবার কর্মকান্ড দেখছে।
আমরা এবার একটা খোলা লাল রংয়ের বাসে উঠে বসলাম। বাস চলতে শুরু করলো। আমাদের বাস নম্বর পচিশ। বাসের মেয়ে গাইডটি তেলেগু, হিন্দি ও ইংরেজী ভাষায় চলমান বাস থেকে দেখিয়ে-দেখিয়ে বিভিন্ন স্থাপনার বর্ননা দিচ্ছিল। কোন বিল্ডিং সুটিং এর সময় শাহরুখ ছিলেন… রানী মুখার্জির নামে কোন বিল্ডিং… দিল সে সিনেমার শুটিং কোথায় হয়েছিল ইত্যাদি… বাস চলমান অবস্থাতেই দেখলাম, সুটিং এর জন্য ব্যবহৃত মার্কেট। বিভিন্ন দোকান। বিভিন্ন বাড়িঘর। কোনটি গ্রামের দৃশ্যে ব্যবহারের জন্য।কোনটি শহরের দৃশ্যে ব্যবহারের জন্য। কোনটি অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য…
সিনেমায় ব্যবহারের জন্য বিশাল বড়-বড় লোহার ফ্রেম। মেয়েটি বলছিল, সিনেমায় ব্যবহারের সময় এই লোহার ফ্রেমে কাঠ ও হার্ডবোর্ড লাগিয়ে বিশাল বিল্ডিং তৈরি করা হয়। বাস চলছিল। কি সুন্দর রাস্তা। রাস্তার দুপাশে ল্যাম্পপোস্টের সারি। দুপাশে পাম গাছের সারি। সিনেমায় রাস্তার দৃশ্য হিসেবে এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়।
আমাদের বাসটি একটা জায়গায় এস একটু স্লো হয়ে গেল। পাঁচ রাস্তার মিলনস্থলে বিশাল একটি ফোয়ারা। নাম তার এন্জেল ফাউন্টেন। কি অসাধারন শিল্পকর্ম। সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি ।শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে…
আবার বাস চলতে শুরু করলো। কিছুক্ষন চলার পরে একটা জায়গায় এসে বাসটি পার্কিং করলো। আমরা বাস থেকে নেমে পড়লাম। নেমে প্রথমেই চোখে পড়ল জাপানিজ গার্ডেন। জাপানিজ স্টাইলে সাজানো চমৎকার বাগান। বাগানের মাঝখান দিয়ে একটা কৃত্রিম ঝর্নাধারা বয়ে চলেছে। দেখে মনে হয় যেন একদম ন্যাচারাল। ঘানার জন ও ভিয়েতনামের কুয়ান ইচ্ছামতো ছবি তুলে চলেছে। মাঝে-মাঝে তাদের সাথে আমিও যোগ দিচ্ছি।
জাপানিজ গার্ডেন পার হয়ে আমরা চলে এলাম হাওয়া মহলে।একটা পাথরের টিলার উপরে তৈরি করা হয়েছে হাওয়া মহল। ঐতিহাসিক মোঘল স্থাপত্যে তৈরি করা হয়েছে হাওয়া মহল। হাওয়া মহলের চারদিক খোলা। রোদের তাপ বেড়ে যাওয়ায় একটু গরম লাগছিল। হাওয়া মহলে এসে শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। মহলটি একটু উচুতে হওয়ার কারনে ঝিরঝিরে একটুকরো বাতাস এসে লাগছিল। হাওয়া মহলের কিছু অভিনেতা -অভিনেতৃ ঐতিহাসিক চরিত্র সেজে সেখানে হাওয়া খাচ্ছিল। আমরা সবাই তাদের সাথে ছবি তুললাম।
হাওয়া মহল পার হয়ে আমরা চলে এলাম রক গার্ডেনে। পাথর দিয়ে বানানো কি চমৎকার বাগান। রক গার্ডেন পার হয়ে আসলাম লেগ গার্ডেনে। একটি মানুষ পায়ের উপর পা তুলে বাগানে শুয়ে আছে। অসম্ভব সুন্দর শিল্পকর্ম।লেগ গার্ডেন থেকে হাটতে-হাটতে চলে এলাম আস্কারি গার্ডেনে। সবুজের কি চমৎকার সমারোহ। আস্কারি গার্ডেন থেকে চলে এলাম বাটারফ্লাই গার্ডেণে। নেট দিয়ে ঘেরা একটা সবুজ ঘরে জীবন্ত বিভিন্ন রকমের প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। বাটারফ্লাই বাগান থেকে বের হয়ে গেলাম বার্ডস পার্কে। বিভিন্ন রং-ঢংয়ের পাখির সমারোহ। বিভিন্ন রং ও সাইজের ম্যাকাও পাখি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হলো যেন পাখির রাজ্যে চলে এসেছি। কালো প্রজাতির বিশাল বড় রাজহাঁস দেখলাম। এছাড়া আরও বিভিন্ন পাখির বিশাল কালেকশণ।
পাখির রাজ্যে থেকে এবার চলে এলাম কিরিপালু কেভস এ। সেখানে বিভিন্ন আকারের ধ্যানরত বুদ্ধমূর্তি। একটা ঘরে আলো-আধারিতে বুদ্ধ দ্যান করছে। দেখে মনে হলো আমিও ধ্যানে বসে যাই। আর একটা ঘরে পুরনো আমলের বিভিন্ন পাথরের মূর্তি সুন্দর করে সাজানো। দেখতে-দেখতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। হাটতে-হাটতে চলে এলাম সন ফাউন্টেনের সামনে। অসম্ভব সুন্দর ভাস্কর্য। খোলা বিশাল মাঠের মাঝখানে সন ফাউন্টেন। অনেকগুলো ঘোড়া দৌড়রত অবস্থায় মাটি থেকে বেশ কিছু উপরে ঝুলে আছে। চারপাশে কৃত্রিম ফোয়ারা থেকে অবিরল পানি গড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন রংয়ের পাথর ব্যবহার করে তৈরি ভাস্কর্যটি দেখার মতো। সন ফাউন্টেন থেকে বের হয়ে দেখলাম আমাদের জন্য একটা বাস দাড়িয়ে আছে। বাসে উঠে পড়লাম। বাস সিনেমার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন স্পট দেখাচ্ছিল। বাসের মহিলা গাইডটি ধারা বর্ণনা দিয়ে চলেছে…
আমারা এসে পড়লাম ট্রেন ইস্টেশনে। দেখে মনে হয় যেন সত্যিকারের ট্রেন ইস্টেশনে চলে এসেছি। এই ট্রেন ইস্টেশনেই নাকি চেন্নাই এক্সপ্রেস এর শুটিং হয়েছে। বাস আবার চলতে শুরু করলো। আমরা চলে এলাম এয়ারপোর্টে। মনে হলো যেন একদম সত্যিকারের বিমান বন্দরে চলে এসছি। বিশাল জায়গা নিয়ে বানানো ডেমো বিমানবন্দর। ইকনমিক্লাস ও বিজনেস ক্লাসের বিমানে উঠে পড়লাম। মনে হলো যেন সত্যিকারের বিমানে উঠে পড়েছি। বিমান ও এয়ারপোর্ট সংক্রান্ত সকল শুটিং এখানে হয়।
বিমানবন্দর থেকে বাস আমাদের নিয়ে এল মোঘল গার্ডেনে। মনে হলো যেন মোঘল আমলে ফিরে এসেছি। মোঘল গার্ডেন দেখে চলে এলাম মুভি ম্যাজিক থিয়েটারে।এখানে মুভি সংক্রান্ত পুরনো আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের একটা বিশাল সংগ্রহশালা আছে। সংগ্রহ শালা দেখে আমরা ঢুকে পরলাম একটা হলে, সেখানে উপস্থিত দর্শকদের নিয়ে একটি ছোট মুভি বানিয়ে আমাদের দেখিয়ে দিল। মুভি বানানোর বিভিন্ন টেকনিক্যাল দিক বুঝিয়ে দিল। বুঝিয়ে দিল একটা ফিল্ম বানানোর সাথে কত বড় মহাযোগ্য চলে, কত মানুষের পরিশ্রম ও চেষ্টা থাকে! সব দেখতে-দেখতে অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম।
মুভি ম্যাজিক থেকে বেড়িয়ে এলাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৩:২০ বেজে গেছে। আমাদের ফিরতে হবে। কখন সময় পার হয়ে গেছে মনে নেই। দুপুরের লাঞ্চের কথাও ভুলে গিয়েছি। আরও অনেককিছু দেখার ছিল কিন্তু সময় নেই। আমাদের বাস সাড়ে তিনটায় মেইন গেটের সামনে থাকবে। মেইন গেটে যাওয়ার জন্য বাসে চড়ে বসলাম। প্রায় মিনিট দশেক বাস চলার পর আমরা মুল গেটে পৌছালাম। বিশাল এড়িয়া। অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো। সিনেমা বানানোর সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এখানে বিদ্যমান। ভাবছিলাম আমার দেশের বাংলা সিনেমার কথা। বাংলা সিনেমা তৈরির সুযোগ-সুবিধার কথা। মন খারাপ হয়ে গেল। বেরিয়ে এলাম রামোজি ফিল্ম সিটি থেকে। বেড়িয়ে মনে হলো টিকেটের দাম ৮০০ রুপি না হয়ে আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল। রামোজি বাবুর রুচি আছে…. যে কারনে হিন্দি সিনেমাও এগিয়ে যাচ্ছে… কি হবে আমার বাংলা সিনেমার…?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
ইয়েন বলেছেন: খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন লেখাটা ... ছবি দিলে লেখাটা আরও প্রানবন্ত হত ... লেখায় +