নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ..। এই প্রবাদ বাক্যে এখন আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মানায় না। কারন, এখন আমরা সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত..।দিনকে দিন আমরা আত্নকেন্দ্রিক স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি…
সমবায়ই আদিম মানুষকে শক্তি যুগিয়েছিল। সমবায়ই মানব সভ্যতাকে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু এখন আর আমরা সমবায়ের শক্তিতে বিশ্বাস করি না।
কিন্তু এ কথা ভুলে গেলে চলবে না… একমাত্র সমবায়ই পারে পৃথিবীর সকল সমস্যার সমাধান দিতে…। মানবজাতি এক ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে আবার একদিন সমবায়ের পথে ফিরে আসবে। একথা নির্ধিধায় বলা যায়। মানব সভ্যতা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে…
সমবায় সমিতি নিবন্ধনের জন্য তিন প্রস্থ উপ-আইন লাগে। উপ-আইন এমন একটা আইন, যা সমবায় সমিতির সকল সদস্যর আলোচনাক্রমে তৈরি করা হয়। উপ-আইনে লেখা থাকে সংগঠনটি কিভাবে, কি কি আইন-কানুন মেনে চলবে। সদস্যদের স্বার্থ কিভাবে সংরক্ষণ হবে…। ইত্যাদি…সবকিছু নির্ধারন করা থাকে। নিচে একটি সমবায় সমিতি নিবন্ধনের একটি খসড়া উপ-আইনের মডেল উপস্থাপন করা হলো-
…………………………………………………………………………………………………………..সমবায় সমিতি লিমিটেড
এর
উপ-আইন।
(সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ অনুসারে নিবন্ধনকৃত)
প্রারম্ভিক:
১। সংক্ষিপ্ত শিরনাম: এই উপ-আইন……………………………………………….সমবায় সমিতি লিমিটেড এর উপ-আইন নামে অভিহিত হইবে।
২। সংঙ্গা: বিষয় বা প্রসংঙ্গের প্রয়োজনে ভিন্নরুপ না হইলে, এই উপ-আইনে-
(ক) “আইন” বলিতে সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ ও উহার পরবর্তী সংশোধনী সমূহকে বুঝাইবে।
(খ) “উপ-আইন” বলিতে এই সমিতির উপ-আইন বুঝাইবে।
(গ) “নিবন্ধক” বলিতে সমবায় অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং নিবন্ধকের নিকট হইতে সাধারণ কিংবা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
(ঘ) “সমিতি” বলিতে পরবর্তিতে এই সমিতিকে বুঝাইবে।
সমিতির নাম ও ঠিকানা:
৩। সমিতির নাম: এই সমিতির নাম--- সমবায় সমিতি লিমিটেড।
৪। সমিতির ঠিকানা: (১) সমিতির নিবন্ধকৃত অফিস হইবে-
গ্রাম: ডাকঘর:
উপজেলা: জেলা:
(২) সমিতির ঠিকানা পরিবর্তন করিতে হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে নিবন্ধককে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে এবং উপ-আইন সংশোধন করিতে হইবে।
সদস্য নির্বাচনী এলাকা ও কর্মএলাকা:
৫। সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকা………………………… …………………………………. এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
৬। সমিতির কর্ম এলাকা …………………………… ………………………………………………. এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
(ক্রমিক নং ৫ ও ৬ সমবায় সমিতির সাংগঠনিক সভার সিদ্বান্তক্রমে হইবে)
সমবায় সমিতি গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
৭। সমবায় সমিতি গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
(ক) মুখ্য উদ্দেশ্য:
(১) সমবায় সংগঠনের মাধ্যমে সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
(২) সরকারি সহযোগিতায় সদস্যদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করা।
(৩) সমিতির নির্ধারিত প্রকার ও শ্রেণির উদ্দেশ্যকল্পে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা।
(৪) দারিদ্র বিমোচন সংক্রান্ত সমিতির উদ্দেশ্যর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ।
(সমিতির সাংগঠনিক সভার সিদ্বান্তক্রমে এমিক নং ৩ অথবা প্রয়োজনে অতিরিক্ত ২টি উদ্দেশ্য নির্ধারন পূর্বক সংযোজিত হইবে)
(খ) উপরোল্লিখিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য দেশের প্রচলিত আইন প্রতিপালন পূর্বক সমিতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিবে।
৮। সীলমোহর:
ব্যবস্থাপনা কমিটি সমিতি পরিচালনার জন্য একটি সাধারণ সীলমোহর রাখিবে এবং উহা সম্পাদকের নিকট থাকিবে।
সমিতির সদস্যপদ:
৯। সমিতির সদস্যপদের যোগ্যতা:
(১) সমিতির শ্রেণি ও প্রকারের সাথে সংগতিপূর্ণ যে সমস্ত পুরুষ ও মহিলা সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকায় বাস করেন এবং ১৮ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়স্ক তাহারাই এই সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন।
(২) যাহারা সদস্য হইবেন তাহাদের প্রত্যেকেই:-
(ক) …….. (…….) টাকা করিয়া ভর্তি ফিস জমা দিতে হইবে।
(খ) ………. (……..) টাকার অন্তত ০১ (এক)টি শেয়ার ক্রয় সহ শেয়ার মূল্যের সমপরিমান টাকা সঞ্চয় আমানত হিসেবে জমা দিতে হইবে;
(গ) সদস্যর তালিকা বহিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়া দস্তখত বা টিপসহি দিতে হইবে;
(ঘ) সমিতির উপ-আইনসমূহ মানিয়া চলিবার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হইবে।
(ঙ) নতুন সদস্য ভর্তির ক্ষেত্রে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হইবে।
( সমিতির সাংগঠনিক সভায় (ক) ও (খ) নির্ধারিত হইবে)
১০। সদস্যের মনোনীত ব্যক্তি:
সমিতির প্রত্যেক সদস্য এমন একজন একক ব্যক্তিকে মনোনীত করিবেন, সদস্যের মৃত্যুর পর অথবা অন্য কোন কারনে সদস্যপদ হারাইলে তাহার অনুপস্থিতে তাহার শেয়ার এবং তদসংক্রান্ত যাবতীয় অধিকার ও দায় দায়িত্ব অর্জন করিবেন; এইক্ষেত্রে উত্তোরাধিকার সংত্রান্ত কোন আইন প্রযোয্য হইবে না। সদস্য ইচ্ছা করিলে যে কোন সময়ে তাহার মনোনয়ন লিখিতভাবে পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবেন।
১১। সদস্যপদের অবসান: নিম্নলিখিত কারনে সদস্যপদের অবসান হইবে-
(ক) সমস্ত শেয়ার বাজেয়াপ্ত বা হস্তান্তরিত হইলে, বা
(খ) সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে, বা
(গ) সদস্যপদ প্রত্যাহার করিলে, বা
(ঘ) মৃত্যু ঘটিলে, বা
(ঙ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কতৃক সদস্যপদ রহিত হইলে, বা
(চ) আদালত কতৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হইলে।
১২। সদস্যপদ প্রত্যাহার:
কোন সদস্য যদি নিজে অথবা জামিনদার হিসাবে সমিতির নিকট ঋনী না থাকেন তাহা হইলে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট ১ (এক) মাসের লিখিত নোটিশ দিয়া সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, কিন্তু এরুপ ক্ষেত্রে সদস্য পদত্যাগীকে সমিতির কোন পাওনা ঋন বা অগ্রিম থাকিলে তাহা শেয়ার বা আমানত হইতে কর্তন করিয়া রাখা যাইবে। সদস্যের শেয়ার আমানত কোন সদস্যের নিকট অথবা নতুন কোন সদস্য বরাবর হস্তান্তর করা যাইবে। সমিতি কোন শেয়ার ক্রয় করিবে না।
১৩। সদস্য বহিস্কার ও অপসারণ:
(১) কোন সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বিবেচনায় যদি ইচ্ছাপূর্বক আইন, বিধিমালা, উপ-আইন বা সমিতির প্রণীত অন্য কোন নিয়ম লংঘন করেন, তাহা হইলে ৭(সাত) দিনের নোটিশ দিয়া উপ-আইনের বিধান অনুযায়ী তাহাকে জরিমানা, পদচ্যুত বা সদস্যপদরহিত করা যাইবে।
(২) বাতিলকৃত সদস্যের পাওনা শেয়ার বা আমানত সম্বন্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণকরিতে পারিবে। সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে উক্ত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা কমিটি পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে সদস্যপদ হইতে অপসারন করিতে পারিবে।
১৪। সমিতির সদস্যগণের অধিকার ও দায়বদ্ধতা:
(ক) সদস্যের অধিকার:
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ৩৬ হইতে ৪১ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ৮৭ হইতে ৯১ পর্যন্ত কার্যকর হইবে।
(খ) সদস্যের দায়:
সমিতির দেনার জন্য সদস্যগণ স্ব-স্ব কতৃক ক্রয়কৃত শেয়ারের হার পর্যন্ত দায়ী হইবে।
(গ) প্রতিনিধি মনোনয়ন:
ব্যবস্থাপনা কমিটি এই সমিতির কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমিতিতে সমিতির সদস্যেদের মধ্য হইতে একজন সদস্যকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনয়ন দিবেন।
মূলধন সৃষ্টি, ব্যবহার এবং ঋন আদায়:
১৫। মূলধন সৃষ্টির উপায়:
সমবায় আইন, বিধিমালা এবং এই উপ-আইনের বিধান মান্য করিয়া নিম্নলিখিতভাবে সমিতির মূলধন সংগ্রহ করা যাইতে পারে:
(ক) শেয়ার বিক্রয়;
(খ) সদস্যের নিকট হইতে আমানত গ্রহণ;
(গ) কেন্দ্রীয় সমিতি, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ সদস্য ব্যতিত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন আমানত বা ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে না;
(ঘ) সরকারি বা অন্যত্র হইতে অনুদান বা ঋণ গ্রহণ।
(ঙ) সম্পত্তি, ব্যবসায়, কারবার বা অন্যান্য আয় হইতে।
১৬। অনুমোদিত শেয়ার মূলধণ:
(ক) সমিতির অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের পরিমাণ……. (……..) টাকা হইবে। এবং প্রতি শেয়ারের মূর্যূ হইবে……. (……..) টাকা। সদস্য ব্যতীত অন্য কেউ শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবেন না।
(খ) কোন সদস্য সমিতির মোট অনুমোদিত শেয়ার মুলধনের (১/২০) অংশের বেশি শেয়ার খরিদ করিতে পারিবে না।
(অনুচ্ছেদ (ক) তে উল্লেখিথ অংক সাংগঠনিক সভার অনুমোদন মোতাবেক ভিন্নরুপ হইতে পারে)
১৭। সদস্যদের ঋণ গ্রহনের সীমা:
শেয়ার বাবদ প্রদত্ত টাকার ৪০ গুনের অধিক কোন সদস্যই কর্জ পাইবে না। ঋন গ্রহনের শর্তাবলী সমিতি কর্তৃক ঋণ নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক নীতিমালা মোতাবেক লেনদেন হইবে। সদস্য ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া যাইবে না।
সাধারণ সভা:
১৮। সাধারণ সভা:
প্রতি বৎসর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল সদস্য সমন্বয়ে বিধি মোতাবেক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান যথারীতি হইবে। বিশেস কারনে সমিতি বিধি মোতাবেক বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করিতে পারিবে।
১৯। সাধারণ সভা অনুষ্ঠান:
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ১৬ হইতে ১৭ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ১৩ হইতে ২১ পর্যন্ত অনুসরণপূর্বক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা বা তলবী সভা অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
সমিতির ব্যবস্থাপনা:
২০। (ক) ব্যবস্থাপনা কমিটি:
(১) সমিতির পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব সমবায় সমিতি আইন, বিধিমালা ও উপ-আইন মোতাবেক……….(….) সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদনযোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সকল কার্য উক্ত কমিটি সম্পাদন করিবে। ব্যবস্থাপনা কমিটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্বতিতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবেন। তিন বৎসর পূর্তির পূর্বে কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন সম্পন্ন করিতে হইবে।……….(……..) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সদস্যগণ নিম্নলিখিত পদাবলী হইবেন-
(১) সভাপতি- ১ জন
(২) সহ-সভাপতি- ১ জন
(৩) সম্পাদক- ১ জন
(৪) কোষাধ্যক্ষ- ১ জন
(৫) সদস্য- …… জন
(সমিতির সাংগঠনিক সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির মোট সদস্য ও পদসমূহ নির্ধারিত হইবে)
(২) নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক সমিতির সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯০ দিনের জন্য ১টি অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন।
(৩) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যের পদ কোন কারনে শূন্য হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য সদস্যকে কো-অপ্ট করিয়া শূন্যপদ পূরণ করিবেন।
২১। ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন পদ্বতি:
সমবায় আইনের ধারা ১৮(২) এবং বিদি ২২-৩৬ এর বিধান সাপেক্ষে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ সাধারণ সভায় নির্বাচিত হইবেন।
২২। উপ-আইনে যাহাই থাকুক না কেন সমিতিতে ধার্যকৃত নিরীক্ষা ফি এবং সমবায় আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী ধার্যকৃত সমবায় উন্নয়ন তহবিল বকেয়া থাকিলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণকে কোন ভাতা দেওয়া যাইবে না।
২৩। ব্যবস্থাপনা কমিটির ক্ষমতা:
ব্যবস্থাপনা কমিটি নিম্নরুপ কার্যাদি সম্পন্ন করিতে পারিবে:
(১) নতুন সদস্য ভর্তি,
(২) সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে আইন ও উপ-আইনের বিধান মতে বর্তমান কোন সদস্যকে অপসারন, বহিস্কার বা সদস্যপদ স্থগিত অথবা জরিমাণা করা।
(৩) তহবিল উন্নীতকরন,
(৪) তহবিল বিনিয়োগ,
(৫) সমিতির স্বার্থে মামলা দায়ের, পরিচালনা ও আপোষ করা,
(৬) শেয়ার আবেদনপত্র নিস্পত্তি করা,
(৭) ঋনের আবেদন নিস্পত্তি এবং তাহার বিপরীতে জামানত নির্ধারণ করা,
(৮) বিশেষ ধরনের কাজের জন্য উপ-কমিটি গঠন করা,
(৯) হিসাব সংরক্ষণ ও হিসাব বিবরণী প্রস্তুতকরণ।
২৪। সভাপতি ও সহ-সভাপতির ক্ষমতা ও কর্তব্য:
আইন ও বিধি অনুযায়ী সমিতির সভাপতি এবং কোন জরুরী অবস্থার প্রেক্ষিতে সভাপতির অনুপস্থিতিতে সমিতির সহ-সভাপতি সমিতির স্বার্থে ঋণ বরাদ্দ ব্যতীত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
২৫। সম্পাদকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব:
(ক) সমিতির কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজন অনুযায়ী সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহবান এবং আলোচ্যসূচি মোতাবেক সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ২৪(চব্বিশ) ঘন্টা পূর্বে সদস্যগণকে সভার কার্যক্রম অবহিতকরণ;
(খ) সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট অথবা ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত কোন সদস্যের নিকট সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন;
(গ) সমিতির দৈনন্দিন অন্যান্য কার্যাদি।
২৬। কোষাধ্যক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব: সমিতির সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন।
২৭। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যপদের বিলুপ্তি ও অফিসার অপসারণ: ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যের সদস্যপদ বিলুপ্ত হইবে, যদি-
(ক) উক্ত সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতাসমূহ বহাল না রাখেন;
(খ) পদত্যাগ করেন;
(গ) মৃত্যুবরণ করেন।
২৮। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা:
সমিতির কার্য পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠান করিবে। সভা অনুষ্ঠানের ৭ দিন পূর্বে আলোচ্যসূচিসহ নোটিশ প্রেরণ করিতে হইবে এবং সভা সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হইবে। কমিটির অর্ধেক সদস্য উপস্থিত থাকিলে সভার কোরাম হইবে। কোন মাসে আলোচ্যসূচি না থাকিলে তা লিখিতভাবে সকল সদস্যকে জানাইতে হইবে।
২৯। সমিতির বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি:
সমিতির কোন বিরোধ/বিবাদ দেখা গেলে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক উহা মীমাংসা/নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উহা নিষ্পত্তির জন্য নিবন্ধক বরাবর উপযুক্ত কোর্ট ফি সংযুক্ত করিয়া সংক্ষুব্ধ পক্ষ ডিসপুট দায়ের করিতে পারিবেন। বিরোধ নিষ্পত্তিতে সমবায় সমিতি আইনের ধারা ৫০ হইতে ৫২ এবং সমবায় বিদিমালা ১১১ হইতে ১২২ পর্যন্ত অনুসরণ করিতে হইবে।
৩০। সম্পত্তি বিক্রয়, বিনিময়ের উপর বিধিনিষেধ:
সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে নিবন্ধকের অনুমতি ব্যতিত ইহার স্থাবর সম্পত্তি এবং যন্ত্রপাতি বা যানবাহনের ন্যায় সম্পত্তি যাহা সমিতির মূলধনের অংশ তাহা বিক্রয়, বিনিময় বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অতিরিক্ত সময়ের জন্য ইজারা প্রদানের মাধ্যমে হস্তান্তর করিতে পারিবে না্।
৩১। সমিতি অবসায়ন:
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ৫৩ হইতে ৫৮ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ১১১-১২২ পর্যন্ত অনুসরণপূর্বক কোন সমবায় সমিতির কার্যক্রম অবসায়নে ন্যস্ত করা যাইবে।
৩২। সাধারণ:
(ক) যে সকল বিষয় সম্পর্কে এই উপ-আইনগুলিতে কোন নির্দেশ বা বিধান নাই তাহা বিদ্যমান সমবায় আইন ও বিধির নির্দেশ অনুসারে স্থিরীকৃত হইবে এবং যদি আইন ও বিধিতে তাহাদের কোন বিধান না থাকে , তাহা হইলে এই উপ-আইনগুলি অমান্য না করিয়া নিবন্ধকের অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটি যেরুপ বিবেচনা করিবেন সেইরুপ বিধান দিবেন;
(খ) এই উপ-আইনের কোন অনুচ্ছেদ বা উপ-অনুচ্ছেদ সর্বশেষ সংশোধনীসহ বিদ্যমান সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর কোন ধারা কিংবা বিদ্যমান সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর কোন বিধির সাথে অসংগতিপূর্ণ কিংবা সাংঘর্ষিক প্রমানিত হইলে তাহা তাৎক্ষনিক বাতিল ও অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে এবং ঐ সমস্ত বিষয়াবলী বিদ্যমান সমবায় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পন্ন হইবে।
-0-
©somewhere in net ltd.