নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী এখন ক্রমে হতেছে নিঝুম

নিবারণ

আমি পরিচয়ে পরিচিত, পরিচয়হীনতায় অপরিচিত

নিবারণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা যেমন আমেরিকান পণ্য বয়কট করছি, আমেরিকা আমাদের বয়কট করলে কী হবে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

কোক, পেপসি বা অন্যান্য খাবার কিংবা কসমেটিকসের আমেরিকান পণ্য আমরা বয়কটের ডাক দিয়েছি, ইজরায়েলি পণ্য বলে। যদিও এর মধ্যে সবগুলো ইজরায়েলিই তো নয় ই, আমেরিকান পণ্যও নয়।

এসব নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথা ব্যথা না থাকাটাই স্বাভাবিক। তবু আমেরিকা যদি আমাদের পণ্য বয়কট করে?

শুধুমাত্রা গত বছর বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, গার্মেন্টস বা এপারেল রপ্তানি করেছে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৮,৯১,৭৪,৭০,৮৬,২০০ টাকা। বাংলাদেশ গত বছর সবচেয়ে বেশি কাপড় রপ্তানি করেছে আমেরিকায়। প্রতি বছরই তা করে।

এখন কোনো কারণে যদি পাগলা ট্রাম্পের মাথায় কেউ দেয়, বাংলাদেশকেও বয়কটা করা দরকার? তখন ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে?


আরেকটা বিষয়, ফেসবুকে ঢুকলে দেখি, অনেকেই বলছে, ইজরায়েলের প্রতি না-কি অনেক বাঙালি দরদ দেখাচ্ছে বা এই হত্যাকাণ্ডকে সাপোর্ট করছে। আদৌ কেউ তা করছে?এমন প্রমাণ আছে?
এখন এখানে ইহুদিরা এভাবে অসহায় মুসলমানদের না মেরে যদি, অন্য কোনো ধর্মাবলম্বিরা যদি অন্য আরেক ধর্মের কাউকে বিনা অপরাধে মারত, তার জন্য কি মানুষের খারাপ লাগত না? প্রতিবাদ করত না?


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭

আহলান বলেছেন: আপনাকে বঝুতে হবে কেনো আম্রিকা এই দেশ থেকে পোশাক কিনে। আম্রিকা মানেই সবাই বিলিয়নিয়ার নয়। মিলিয়নিয়ারও নয়। সেখানে হাসিনা বা জয় বা টিউলিপের মতো চোর বাটপারদের সংখ্যা খুবই কম। তারা পরিশ্রম করে হালাল টাকায় দিন যাপন করে। এই দেশের সস্তা শ্রম বাজার থেকে তারা যে দামে পণ্য পায়, অন্য দেশ থেকে তা পাবে না। দ্বিতীয়ত ভারতে অনেক মুসলিম নিধন হচ্ছে, কেউ কি তেমন মাথা ঘামাচ্ছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিরা তাদের ধর্মের জন্য মার খেয়েেছে। এর পর মুসলিম ছাড়া ধর্মীয় কারণে আর কোন ধর্মের লোক এভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে? দু একটা উদাহরণ দিন তো দেখি ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নিবারণ বলেছেন: আপনি যেভাবে কইতাছেন, ব্যাপারটা আবার তেমনও না। আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে কাপড় না নিলে ওদের কোনো ক্ষতিই হবে না। ইভেন আমেরিকার কাপড় আমদানি করার লিস্টে বাংলাদেশ নাই ও৷ অন্যান্য দেশ থেকে তারা ম্যালা বেশি কাপড় আমদানি করে। অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে কাপড় নেয়, তার মেইন কারণ সস্তা শ্রম। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে, বিশেষ করে গত বছরে নতুন বায়ার তো সৃষ্টি হয় ই নাই, উলটা ম্যালা বায়ার চইলা গেছে। আমি এই সেক্টরে ভাই ১০ বছর ধইরা আছি৷

দ্বিতীয়ত, আমি একবারও কই নাই, মুসলিমদের উপর নির্যাতন হইতাছে না। চীনের উইঘর, ভারত, ইজরাইল মিলাইয়া মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হইছে, হইতাছে। আমার প্রশ্ন হইলো, বাংলাদেশের কোন মানুষটা এই নির্যাতনরে সাপোর্ট দিতাছে? যদি দেয়, উদাহরণ চাইছি। না দিয়ে থাকলে, মানুষ কই কইতাছে, বহু বাঙালির ইজরায়েলের জন্য দরদ উতলাচ্ছে। কার উতলাচ্ছে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নিবারণ বলেছেন: *মানুষ ক্যান কইতাছে

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: তৈহিতি জনতার বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫০

নিমো বলেছেন: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বয়কট বয়কট খেলার সুযোগ নাই। সব জায়গায় চাইলেই সব কিছু পয়দা করা যায় না। কিংবা উৎপাদন খরচ বা লাভের অংক ঠিক থাকবে না। বাণিজ্য হলো বুদ্ধির সাথে আলোচনা ও চুক্তি। যারা ব্লগে এসে ইসলাম নিয়ে বড় বড় কপচান, তাদেরও জেনে রাখা দরকার এই ধর্মের প্রবর্তকের সফলতাও নানা আলোচনা ও চুক্তির মধ্যে দিয়ে এসেছিল। সারাক্ষণ জিহাদ জিহাদ আবালতা প্রকাশ হবে, সফলতা আসবে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩০

নিবারণ বলেছেন: আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবশ্যই সে সুযোগ নাই। আমেরিকার চায়না নিয়ে এত চুলকানি, তাও চায়নার কাপড় ছাড়া এদের চলে না। ঘুরাইয়া পেচাইয়া নিতাছেই।

তাও আমাদের আরও সহনশীল হওয়া দরকার, নমনীয় হওয়া দরকার।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫২

আমি নই বলেছেন: আপনি বলেছেন " ইভেন আমেরিকার কাপড় আমদানি করার লিস্টে বাংলাদেশ নাই ও৷"

অথচ আমেরিকা যে পাচটি দেশ থেকে সবচাইতে বেশি টেক্সটাইল পন্য তথা কাপর আমদানি করে তার ৪ নাম্বারে আছে বাংলাদেশের নাম। মনে যা আসলো বইলা দিলাম, এটা ফেসবুক না, যা বলবেন জেনে বলবেন। আপনার ১০ বছর ধইরা থাকা না থাকায় কোনো কিছু কম বেশি হবেনা।

বায়ার কেন চলে গেছে এটা সম্পর্কেও আপনার ধারনা সিমিত। বায়ার চলে যাওয়ার মুল কারন ছিল ডলার সংকটের কারনে কাচামাল আনতে না পারা এবং সময়মত পন্য ডেলিভারি দিতে না পারা। এখানেও আপনার ১০ বছর ধইরা থাকার অভিজ্ঞতা ফেইল মারছে।

আর রাষ্ট্রীয় ভাবে বয়কট এতই সহজ? ট্রাম্প যে ৩৭% ট্যারিফ এ্যড করেছে এটার সমালোচনা করে অন্তত ৫ জন বড় বড় ব্যাবসাহী কথা বলেছে, কারন যাইহোক আমেরিকার মার্কেটে আমাদের পন্যর ব্যাপক চাহিদা আছে সুতরাং এত সহজ না বিষয়টা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৮

নিবারণ বলেছেন: আপনি এতোটা এগ্রেসিভ কেনো হলেন তাই তো বুঝলাম না।

ইভেন আমেরিকার কাপড় আমদানি করার লিস্টে বাংলাদেশ নাই ও লেখাটায় টাইপো ছিলো। টপ লিস্টে নাই ও লিখতে চেয়েছি। আর লিস্টে থাকবে না, বলতে যাব কেনো? পোস্ট পড়লে তো দেখার কথা, পোস্টেই উল্লেখ করেছি, ১৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ইমপোর্ট করেছে। লিস্টে না থাকলে এইটা নিলো কীভাবে?

আর এটা ফেসবুক না, একটা মন চাইলো বলে দিলাম। মানুষের সাথে নম্রভাবে বা ভালোভাবে কথা বলাও জানতে হয় ভাই। আমার দশ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলছেন? আমি আমার চাকরির প্রথম থেকে আমেরিকান বায়ারেরই কাজ করছি। আশা করি আর কিছু বলতে হবে না। বায়ার কেনো চলে যাচ্ছে আমি জানি।

আমেরিকা ম্যাক্সিমাম টাইম চায়না বা ভিয়েতনামের অলটারনেটিভ হিসাবে বিবেচনা করেছে বাংলাদেশকে। ৩৭% ট্যারিফ নিয়ে উলটাপালটা কাহিনী চলতেছে, ভিয়েতনামের উপর তো আরও বেশি। ট্র্যাম্প এই কাজের জন্য লং টার্মে ভুগবে। আর বাংলাদেশের বেশি চাহিদার জন্য ৩৭% করছে, ব্যাপারটা তো ভাই এমন না। আমরা ওদের মাল পত্র দেই, আমরা ওদের থেকে নেই কম, তাই ট্যারিফ বেশি এড হইছে। আর এখন যা নেন তাও সব বয়কট কইরা দিলে তো ট্যারিফ আরও বাইড়া যাবে।

আপনি রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্দোলন করতেছেন, ভাংচুর করতেছেন আমেরিকান পণ্য আপনার দরকার নাই, এসব জিনিস দেখানো কি খুব দরকার? দরকার না হলে, ব্যবহার করবেন না। দেশে যে মানুষগুলো ইনভেস্ট করে ব্যাবসা করছে, ক্ষতি তো হচ্ছে তাদের বেশি। আমেরিকার কী হবে এতে? কিছুই না।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৭

আমি নই বলেছেন: হুমম, বাংলাদেশ নিয়ে উল্টা-পাল্টা তথ্য দেখলে মাথা হট হয়ে যায়, নম্রতা/ভদ্রতা আর থাকেনা। তবে টাইপোটা পরের মন্ত্যবে বলে দিলেই এমনটা হতোনা। আমি এটা করতাম ওটা করতাম এগুলা বলে নিজেকে জাহির করাটাও অনেকটা বাচ্চাদের কাজ। আপনি/আমি কতটুকু জানেন/জানি বা ভাবনা আপনার-আমার লেখাতেই/মন্তব্যেই উঠে আসবে। যাইহোক আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে মন থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।

ট্যারিফ কিভাবে বসানো হয়েছে আমি জানি, আমি জাস্ট এটা বুঝিয়েছি বাংলাদেশের উপরে ৩৭% ট্যারিফের সমালোচনা হয়েছে যেটা অন্য কোনো দেশের বেলায় হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে (আমার চোখে পরেনি)।

ভাই বাংলাদেশের কোথাও রাষ্ট্রীওভাবে আন্দোলন হচ্ছে না, বা আমার হয়ত জানা নেই, আপনি কি খবরের লিংক দিতে পারবেন ঠিক কোথায় রাষ্ট্রীওভাবে আন্দোলন হচ্ছে? আপনাকে তুরস্কের উদাহরন দিতে পারি যেখান থেকে বেশ কয়েকটি আমেরিকান ফুড চেইন ব্যাবসা গুটিয়ে নিয়েছে কারন তুরস্কের মানুষ ঐ সকল ফুড চেইনের খাবার নিতো না, একারনে আমেরিকা রাষ্ট্রিয় ভাবে তুরস্কের বিরোদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে শোনা যায়নি। আমাদেরও উচিৎ ছিল এমনটা করা বাট সেটা না করে মর্দে মুমিনরা জুতা চুরিতে ব্যাস্ত ছিল।
বয়কটের মুভমেন্টটা টোটালি পার্সনাল একটা মুভমেন্ট, এটা কখনই মিছিল-সমাবেশ করে বাস্তবায়ন সম্ভব না, আমরা এই সাধারন বিষয়টাই বুঝিনা।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০৬

নিবারণ বলেছেন: আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলেও আমি দুঃখিত। টাইপোটা আমি খেয়াল করিনি। খেয়াল করলে ঠিক করে দিতাম।

বাংলাদেশ- আমেরিকা আর তুরস্ক-আমেরিকা সম্পর্ক একসাথে মিলালেও ভাই হবে না। তুরস্ক থেকে আমেরিকা যতটুকু আমদানি করে, আমেরিকা তুরস্কে তার চেয়ে বেশি রপ্তানি করে। তাই ওদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নাই। তুরস্ক আমেরিকান ট্যারিফ লিস্টের সেফ কান্ট্রি (১০%) গুলার একটা।

কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়টা আলাদা। বাংলাদেশ আমেরিকার থেকে যে অর্থ নেয়, সে তুলনায় কিছুই দেয় না।

বয়কটের মুভমেন্টটা টোটালি পার্সনাল একটা মুভমেন্ট, এটা কখনই মিছিল-সমাবেশ করে বাস্তবায়ন সম্ভব না, আমরা এই সাধারন বিষয়টাই বুঝিনা। আমিও চাই এটা পার্সোনালই থাকুক। এটা নিয়ে এক্সট্রিম লেভেলে যাওয়াটা, কিংবা সেদিন দেখলাম কোকের ফ্যাক্টরি পর্যন্ত ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়া, এসব বিষয় বাড়াবাড়ি। এসবে আমেরিকার কিছুই হবে না, ক্ষতি যা হবে নিজেদের।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমেরিকা আর ভারত এক কাতারের নয়। আমেরিকা বাংলাদেশের পণ্য বয়কট করলে দেশের বহু মানুষকেই না খেয়ে থাকতে হবে। অবশ্য সেটা সবার বোধগম্য নাও হতে পারে। বাঙালী আবেগী জাতি, প্রতিবাদ থাকুক প্রতিবাদের জায়গায়, ভাংচুর করা নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ। দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে সেটা বোঝার জন্যও এদের নতুন করে জন্ম নিতে হবে। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বয়কট করবে কি? তারা তো আমাদের গোনায় ধরে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.