নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিভৃতা। ভালোবাসি পড়তে। একটু আধটু লেখালেখির অপচেষ্টা চলে মাঝেমাঝে।

নিভৃতা

সামুতে আট বছর আগে কোনভাবে যুক্ত হলেও আমার ব্লগিং জীবন আসলে শুরু জানুয়ারি, ২০২০ থেকে।

নিভৃতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: আক্রোশ - ০৬

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০




৫ম পর্ব - Click This Link

----গোয়েন্দা অফিসার! এখানে কেন?
বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন তাহের মাহমুদ।
----সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
একটু পরেই দরজায় নক হলো। ফারুক হোসেন বললেন,
----আসুন।
তপু ভেতরে ঢুকে নিজের আই ডি কার্ড দেখালো। তারপর দুজনের সাথে হ্যাণ্ডশেক করে বলল,
----কিছু প্রশ্ন ছিল আপনাদের কাছে।
----আপনি কি কোন ব্যাপারে তদন্ত করতে এখানে এসেছেন?
----জ্বী। আপনাদের বিরুদ্ধে ভেজাল খাদ্য তৈরির অভিযোগ করা হয়েছে। শুনেছি আপনারা খাদ্যে ভেজাল মেশান যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফারুক হোসেন ও তাহের মাহমুদ দুজনে একটু বিস্মিত হয়ে একে অপরের দিকে তাকালেন। ফারুক হোসেন বললেন,
----অভিযোগটা কে করলো?
----মেয়র পল্লব আহমেদ।
দুজনের বিস্ময়ের পরিধি আরেকটু বাড়লো। চেহারায় একটা ভয়ের ছায়া এসে পড়লো। কিন্তু সেটা গোপন করে ফারুক হোসেন বললেন,
----অভিযোগটা সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং যা শুনেছন তার কোন ভিত্তিই নেই। কিছুদিন পর পর ফুড ইন্সপেক্টর আমাদের তৈরি খাদ্য যাচাই করে রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে আমাদের কোন খাদ্যে ভেজাল আছে সেরকম কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
----সেই ফুড ইন্সপেক্টরকে আপনারা ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখেন।
----কী বলছেন এসব?
তাহের মাহমুদ উত্তেজিত হয়ে উঠেন। কিন্তু ফারুক হোসেন ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। ভেতরে ভেতরে কিছুটা ভড়কে গেলেও উপরে তা প্রকাশ না করে স্বাভাবিক কণ্ঠে বললেন,
----এসবই আমাদের কম্পিটিটরদের ষড়যন্ত্র।
----ষড়যন্ত্র নাকি সত্যি সেটা কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝা যাবে। আপনাদের ফেক্টরি থেকে সেম্পল অলরেডি ল্যাবে পাঠানো হয়ে গেছে। যদি কিছু পাওয়া যায় দৈনিক সুপ্রভাতের প্রথম পাতায় বড় বড় হেডলাইনে খবরটা ছাপা হয়ে যাবে। হাজার হোক দেশের এত খ্যাতিমান ফুড কোম্পানি আপনাদের। আর এত খ্যাতিমান ফুড কোম্পানির খবর তো লিড নিউজেই যাওয়ার কথা। কী বলেন?
----কী চান আপনারা? কত টাকা লাগবে বলুন?
----তার মানে স্বীকার করছেন আপনারা খাদ্যে ভেজাল মেশান?
----দুনিয়াটাই তো এখন একটা ভেজালরে ভাই। ভেজাল ছাড়া কি ব্যবসা হয়?
----আচ্ছা আপনাদের এই ব্যবসার অংশীদার কয়জন?
----অংশীদার আমরা দুজনই। আমরা দুই বন্ধু মিলেই এই কোম্পানিটা খাড়া করি।
----তার মানে আপনারা দুজনই কেবল এই কোম্পানির আসল মালিক। আর কোন অংশীদার নেই।
----না, আর কোন অংশীদার এই কোম্পানির নেই।
----আপনাদের কোম্পানির নামটা কিন্তু বেশ। তাওফা। তা দিয়ে তাহের বুঝলাম। ফা দিয়ে ফারুকও বুঝলাম। কিন্তু ও দিয়ে কার নাম সেটা তো বুঝলাম না।

দুজনের চেহারা দেখে মনে হলো কেউ যেন এক বালতি ছাই ঢেলে দিয়েছে ওদের উপর। তপু প্রশ্নটা করেছিল তাহের মাহমুদের দিকে তাকিয়ে। তাহের মাহমুদ অপ্রস্তুত বোধ করলেন। কী বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। তার কপালে  বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। তিনি রুমালটা বের করে নার্ভাসভাবে ঘামটা মুছতে লাগলেন। কিন্তু ফারুক হোসেনের নার্ভ অনেক শক্ত। তিনি ঘাবড়ে গেলেও যে কোন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা তার আছে। তিনি একটু হেসে বললেন,
----তাহের, তোমার সত্যি বয়স হয়ে গেছে। আজকাল অনেক কিছুই ভুলে যাও তুমি।

(চলবে)



©নিভৃতা

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ড্রামা লিখছেন তাই না?

যাক পরে কী হয় পড়ে জানব।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

নিভৃতা বলেছেন: হা হা হা। কী যে বলেন। আমি ড্রামা লিখতে পারি না। আসলে আমি কিছুই লিখতে পারি না।
শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়তে দেরী হয়ে গেল।
গতকাল নোয়াখালি গিয়েছিলাম।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

নিভৃতা বলেছেন: তাই তো ব্লগটাকে কাল প্রাণহীন লাগছিলো।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগছে আপি
লিখে যান

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১০

নিভৃতা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.