![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধা-সরকারী স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা জানিনা আপনাদের কাছে কতটুকু যৌক্তিক মনে হয়, তবে আমার কাছে মনে হয় এ পরীক্ষাটা শিক্ষক হবার পথে অন্তরায় ছাড়া আর কিছুই না। এ পরীক্ষাটা পুরোপুরি বাতিল করা উচিত বলে আমার মনে হয়।
বছর বছর সময়মতো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ঠিকই, সবার কাছে থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করাও হয় ঠিকই, কিন্তু এরপরে আর কোনও খবর নেই। সনদ নিয়ে এরা কী করছে, না করছে তার খবর মন্ত্রণালয় রাখেন না। তারচাইতেও বড় ব্যাপার, এ পরীক্ষাটা নেবার কারণ কী? সবাই শিক্ষক হবার যোগ্য নয়, তাই আপনারা নিজেদের তরীকা মতো পরীক্ষা নিয়ে মেধাবী শিক্ষক বাছাই করে দেশকে উদ্ধার করতে চান, এইতো? কিন্তু আপনারা যে পরীক্ষা নেন, সেটা তো আরও আট-দশটা সাধারণ পরীক্ষার মতই। নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস আছে, বাজারে নিয়োগ গাইড আছে। স্রেফ পরীক্ষার কয়মাস আগে দিনরাত (চিরকাল যেভাবে পরীক্ষার আগে আমরা মাথা বেঁধে দিনরাত পড়ে এসেছি) পড়াশুনা করে, মুখস্থ করে পরীক্ষা দিয়েই তো পাস করা যাচ্ছে। এতে কি ম্যানেজিং কমিটি কিংবা গভর্ণিং বডির নিয়োগ পদ্ধতির সাথে আদৌ কোনও মৌলিক বৈসাদৃশ্য আছে? তারচেয়েও বড় প্রশ্ন, নিবন্ধন পরীক্ষায় আপনারা একজন শিক্ষকের হয়ত মেধা যাচাই করছেন, কিন্তু মেধা থাকা, আর ক্লাসে পাঠদানের দক্ষতা- দুটো তো এক জিনিস নয়। ভালো নম্বরধারী সনদ পাওয়া একজন শিক্ষক কি ভালোভাবে পড়াতেও পারবেন? আর তার চরিত্র? তিনি যে পরিমল মার্কা শিক্ষক নন, তার গ্যারান্টি কি আপনাদের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারবে? সবকিছু যদি বাদও দেই, তারপরেও শেষ একটা কথা থেকেই যায়। সেটা হল- সনদধারীরা কি চাকুরী পাচ্ছে কিংবা এমপিওভূক্ত হচ্ছে, তার খবর কি আপনারা রাখছেন? যদি নাই রাখেন, কিংবা এতসব প্রশ্নের উত্তর নাই থাকে আপনাদের ঝুলিতে, তাহলে কেন এই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা? কতটা যৌক্তিক এই পরীক্ষা?
২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখেছেন। আমি আপনার মতামতের সাথে সম্পূর্ণ একমত। বিষয়টি গভীর ভাবে ভাবতে হবে।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩১
অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের সবারই উচিত বিষয়টা ভেবে দেখা।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
শহীদ আম্মার বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ন একমত। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় যেসব অনিয়ম চালু আছে বাংলাদেশে এটার তারমধ্যে অন্যতম। পুরোটায় ফালতু একটা সিস্টেম।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩২
অনন্ত নিগার বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশের কম্পিটিটিভ এক্সামগুলোতে আমার চরম আপত্তি আছে ! যিনি বাংলা পড়াইবেন , তাহার অংক পরীক্ষা নেওয়ার দরকার কি ? সাধারণ জ্ঞান দিয়া তিনি কি করিবেন ? অযথা সময় ও শ্রম নষ্টে আমাদের শিক্ষাবিদদের জুড়ি নাই !
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাংলাদেশে কম্পিটিটিভ পরীক্ষাগুলো হলো দুনিয়ার সবচেয়ে ফালতু পরীক্ষা। এগুলো দিয়ে মেধা যাচাই হয় না, বরং মুখস্ত বিদ্যা যাচাই হয়। কী অদ্ভুত সিস্টেম! পদার্থ বা রসায়নে অনার্স মাস্টার্স করা একজনকে শিখতে হচ্ছে বাংলা সাহিত্য। শিক্ষাবিদ বা নীতি নির্ধারকদের উচিত মূল্যায়নের পদ্ধতিটি শুধু বিষয় ভিত্তিক করা।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩১
অনন্ত নিগার বলেছেন: সহমত। কিন্তু কী করব ভাই? লেখালেখি ছাড়া আমরা আর কীইবা করতে পারি? বেশি লিখতেও ভয় লাগে।
৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
সুমন কর বলেছেন: সহমত।
৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত। কিন্তু আমাদের কথা (ব্লগারদের) কেউ শুনে না।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
অনন্ত নিগার বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবুও আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে পরিবর্তন আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: বাস্তব সম্মত কথা। ভাল ছেলে ভাল বাবা হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।