নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

************************************************************ ************

সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য।আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ [email protected] ,

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন

আমি ভালো আছি।

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুকের দুধ খাইলেই কি না খাইলেই কি!!! সৌদি আলেমের মাথায় এই বুদ্ধি আসলো কই থেকে??? ”এই পোস্ট নাস্তিকদের জন্য নয়”

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৫

সম্প্রতি বড় মাপের একজন সৌদি আলেম যেই ফতোয়া দিয়েছে এটা নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝর উঠেছে। ব্লগে এই ব্যাপারটিও এসেছে । আমার মাথায় একটা জিনিস ঢুকতাছে না। ইসলাম সম্পর্কে কম জানি, কিন্তু আমি দুইটা জিনিস ভালো ভাবেই জানি



১) অবিবাহিত (আত্নীয় এবং অনাত্নীয়) নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক হারাম।

২) দুধ মাতার সাথে যৌন সম্পর্ক হারাম।



সেই আলেম সাহেবের যুক্তি হইলোঃ দুধ পান করানোর কারনে একজন নারী ওই পুরুষের দুধ মা হয়ে যাবে। এতে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে।



আমার প্রশ্ন হইলো ঃ ১) যেখানে অবিবাহিত সকল নারী পুরুষের সম্পর্ক হারাম সেখানে বুকের দুধ খাওয়া না খাওয়াতে কি আসে যায়??



২) যারা পর নারীর সাথে হারাম কাজে দ্বিধা করে না, সে ওই মহিলার ক্ষেত্রে দুধ পান করিয়ে অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে কি?



৩) ইসলাম ধর্মে, একজন মানুষের জন্য মাতৃ দুগ্ধ পান করার সময় সীমা কত?





বিঃ দৃঃ কাউকে হেয় করার জন্য এই পোস্ট নয়। আমি জানার জন্য দিয়েছি। আমি নাস্তিক নই, আমার ধর্ম কে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এই ফতোয়া টি আমার বিভিন্ন চিন্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যারা মাইনাস দিবেন আশাকরি কারন বলে যাবেন।



মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১৬/-২

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১০

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালেই কেবল দুধ মা হবে। তার বেশী উপরের কাউকে বুকের খাওয়ানো প্রয়োজন পড়ে না। এ ব্যাপারটি না জেনে সবাই সৌদির উল্লেখিত ঘটনা নিয়ে তোড়পাড় করছে। আমার মনে হচ্ছে এখানে কোন ষড়যন্ত্র লোকায়িত।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৮

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: ষড়যন্ত্র?? হতে পারে।

২| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১২

কেমন সুর বলেছেন:
-- কিছুই আসে যায় না

-- না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি

-- ২ বছর

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৯

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৫

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১২

কেমন সুর বলেছেন:
-- কিছুই আসে যায় না

-- না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি

-- ২ বছর

৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৮

শিমুল এলাহী বলেছেন: আমি খুব বিশেষজ্ঞ নই।।।
তবে আপনার কথার কিছু যুক্তি দেয়া সম্ভব বলে মনে করছি।।
ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।।

(১) এখানে 'দুধ' একটি খাবার হিসেবে না দেখাটাই ভালো।।

পৃথিবীর মা জাতির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক আর্শীবাদ।।। যে সন্তানের মা মারা যায় ভিন্ন কথা....কিন্তু যার মা আছে সেই সন্তানের বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন দুধ।।

অন্য কোন দুধমাতা সেই সন্তানকে বাচিয়ে রাখলে সে ঠিক মায়ের দায়িত্বই পালন করে।।

দুধমাতা তার শরীরে নিগ্রে যে সন্তানকে দুধ পান করিয়ে বাচিয়ে রাখে তাকে আল্লাহর যেমন মাতার স্বিকৃত দিতে কার্পন্য ছিলনা,, আমদেরও থাকার প্রশ্ন নয়।।

সুতরাং একজন মার সাথে সন্তানের 'বিবাহ' তথা যৌন সম্পর্ক কোন বিকৃত রুচির কুকুর ছাড়া কোন মানুষ কি মেনে নিতে পারে??

(২) ইসলাম কোন পরনারীর সাথেই সম্পর্ক করতে বলেনি।।
ইসলাম যেমন বলেছে দুধমাতার সাথে যৌন সম্পর্ক অবৈধ,, তেমনি অন্য পরনারীর ক্ষেত্রে একই নিষেধাজ্ঞা।।।

সুতরাং এখানে কে কি করলো তার সাথে ইসলামের বিধানের সম্পর্ক একটাই,,,তা হলো--- আল্লাহ মানুষকে সব কাজ করার স্বাধীনতা দিছে।।।

ভালো-মন্দ বেছে নেয়ার দায়িত্ব আপনার,,,পথ প্রদর্শক হিসেবে রয়েছে কোরআন।।

(৩) আমি এটা জানিনা।।। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিশুর গঠনের উপর ভিত্তি করে ও প্রয়োজনের তাগিদ অনুভব করে একজন মায়ের কাছে অতি সহজেই অনুমেয়।।।
ইসলাম এতটা কঠোর নয়,,,, বেচে থাকার জন্য প্রয়োজনের তাগিদে একটা শিশুকে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও দুধ পানের স্বিকৃতি থাকবে বলেই আমার ধারনা।

আপনার মা যেমন করে যেদিন বুঝেছিল আপনার দুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই,, সেদিন থেকে আপনি খাচ্ছেন না।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:১৯

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: আপনার এক নম্বর জবাবের ক্ষেত্রে বলছি ঃ আপনার জবাব খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন কি? এই ফতোয়া কেন দেয়া হয়েছিলো?

সাম্প্রতিক কালে সৌদি নারীরা বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। এবং পুরুষ সহকর্মীর পাশাপাশি কাজ করছে। সৌদি আরবের মতন দেশে পর্দাপ্রথা আবশ্য কর্তব্য এবং অনাত্নীয় পুরুষের সাথে মেলা মেশা কঠিন ভাবে নিষেধ।

তাই উক্ত আলেম সাহেব দুধ পান করিয়ে নারীপুরুষের মেলামেশা কে জায়েজ ঘোষনা করেছেন।

যাই হোক আপনার জবাবের ক্ষেত্রে আসি। একটি শিশুকে যেই মা দুধ পান করিয়ে বড় করেন সেও গর্ভধারিনী মা থেকে কোনো অংশে কম নয়। আপনার সাথে একমত।

কিন্তু কর্ম ক্ষেত্রে যেই সব যুবক তাদের সহকর্মী যুবতী নারীর দুধ পান করবেন সেই যুবক বা যুবকেরা সেই নারীকে সত্যি মা বলে ভাবতে পারবে ?? এক বার দুধ পান করিয়ে সেই নারী কি তার সমবয়েসী বা তার চাইতেও বড় পুরুষকে কি তার সন্তান ভাবতে পারবে ??

সম্পর্ক টা কি হাস্যকর হয়ে গেল না?

৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:২১

বল্টু মিয়া বলেছেন: ৩) ইসলাম ধর্মে, একজন মানুষের জন্য মাতৃ দুগ্ধ পান করার সময় সীমা কত? দুই বছর বলেই তো জানি।

বাকি সব প্রশ্নের সাথে একমত।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:২৫

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: প্রথমেই বলতে হয় ইসলামের নামে আমাদের মুসলিম সমাজে অনেক বিভ্রান্তিকর- হাস্যকর ব্যাপার আছে যা মুলত কেবল ইলামের নামে প্রচার হয় অথচ এতে বৃহত্তর মুসলিম জাতির কোন ঐক্যমত তো নেই উপরন্তু এর বিরোধী সিদ্ধান্তে মুসলিম স্কলারদের এজমা রয়েছে । যেমন কিছুদিন আগে এই বয়ষ্কদের দুধপান করানোর মাসলার সাথে আরো একটি মাস্আলা দেখছিলাম একজন শিয়া আলেম বলছিলেন: কিভাবে ঘরের পরপুরুষ চাকর বাকরদের সাথে পর্দা রক্ষা করা যায় । তিনি বলছিলেন আপনার ঘরে যদি কোন মেয়ে থাকে তাকে একদিন বা কয়েকঘন্টার জন্য সেই চাকরের সাথে বিয়েদিন তাহলেই সে আপনার কাছে মাহরাম হয়ে গেল এবং তারসাথে পর্দার প্রশ্নটি বাকী থাকলো না। !!! আবার কেউ হয়তো সুন্নীদের কথিত এই ফতোয়া, যেখানে দুই বছরের বেশী বয়স্ক অথবা সোজা কথায় একজন পূর্ন বয়ষ্ক লোকের ব্যাপারটি আসবে সে যদি কোন মহিলার দুধ পান করে তবে তার সাথে বৈবাহিক তাহরীমের হুকুম বা পর্দা না করার ব্যাপারটি আসবে কিনা।

এগুলো মুলত কিছু মোনাফিক, মুসতাশরিকদের গবেষণা থেকে ইসলামকে ক্রিটিসাইজ করার ব্যর্থ চেষ্টা, যারা ষ্পষ্ট হুকুমগুলোর ধারে কাছে না গিয়ে সন্দেহ ও সংশয়পূর্ন কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে এবং এ নিয়ে বলে বেড়ায়। আমরা সকলেই অবগত ইসলাম প্রথমযূগে তার পরিপূর্ণ হুকুম সমেত উপস্থাপিত হয় নি, বেসিক কিছু আমরা সবাই জানি যে একসময় সাহাবগন শরাব খেয়েও নামাজে আসতেন, তখন শরাব হারাম হয়নি, মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস থেকে আচমকাই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তাই প্রয়োজনের খাতিরে সাময়িক কিছূ হরাম বিষয়কে বৈধ করা হয়েছিল, যা পরবর্তিতে মানুষের জন্য স্থায়ীভাবে হারাম করে দেয়া হয়। যেখানে প্রথমে সরাসরি শরাবকে নিষেধ করা হয়নি বরং পর্যায়ক্রমে তা হয়েছিল । যেমন যুদ্ধ ক্ষেত্রে মুতার বিষয়টিও প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন এমন আরো অনেক বিষয় যা পরবর্তিতে স্পষ্ট কোরানের আয়াত, অথবা হাদীস বা এজমায়ে সাহাবার মাধ্যমে নিষিদ্ধ হয়। এবং সেই প্রয়োজন দ্বিতীয়বার ফিরে আসার কোন সুযোগ নেই।

সরাসরি সহিহ হাদিস যদি কোরানের কোন আয়াতের স্পষ্ট হুকুম বিরোধী হয় , আর সেই আয়াত মানসুখ হবার স্পষ্ট দলীল না থাকে তবে সেই হাদিসের উপর আমল করা হয় না বরং আয়াতর উপর আমল করা হয়। এ ক্ষেত্রে সহিহ হাদিসটিকে কয়েকভাবে ব্যাখা করা হয় যেমন খাস লিল হুকুম, খাস লি নাফছ, খাস লিয যারফ্ ইত্যাদি । অর্থাত কোনটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট যেমন রসূল স এর বহুবিবাহ, এক সাহাবীর কাফ্ফারার পয়শা তিনি নিজে খাওয়ার অনুমতি প্রভৃতি হল ব্যক্তির জন্য নিদৃষ্ট বা খাস লি নাফছ এর উদহারণ। মুতার ব্যাপার টি যুরুফ বা সময়ের জন্য, এবং এ জাতিয় আরো অনেক বিশেষ কাজ বিশেষ ব্যক্তি ও সময়ের জন্য নির্ধরিত হবার প্রমান পাওয়া যায়।

আমি প্রথমেই দুধ পান করানোর ব্যাপারে কোরানের একটি আয়াত পেশ করবো:
وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ “আর মাতৃজাত তাদের সন্তানদের পরিপূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবেন। ”
فعن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم “ لا يحرم من الرضاع إلا ما كان في الحولين ” وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ” لا يتم بعد حلم ولا رضاع بعد فصال ” وقال صلى الله عليه وسلم ” إنما الرضاعة من المجاعة ” ইবনে আব্বাস রযি আনহু থেকে বর্নিত রসূল স: বলছেন রেযাআহ এর মাধ্যমে যে হারাম হবার হুকুম তা কেবল শিশু দু্ইবছরের ভিতরের রেযাআহ বা দুধপান” “ফেসাল বা দুধ ছাড়ানোর পরে তা রেযাআহ বলে ধর্তব্য নয়” “যখন বাচ্চাদের দুধের চাহিদার (দুধ ছাড়া অন্য সাধারণ খাবাএর উপযোগীতা না থাকা ) সময় থাকে তাকেই রেযাআহা বলা হবে” সুতরাং হাদীসের হুকুম খুবই ষ্পষ্ট, দুই বছরের বেশী দুধ পান না করানোকেও গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে। এসব স্পষ্ট হুকুম বাদ দিয়ে কিছু সন্দেহমূল বর্ননা যা আমি একটু পরো আলোচনা করবো তার পিছে পড়া নিশ্চয় গোমরাহী ও নেফাকের পরিচয়, আর রাফেজী-খারেজী ও মুসতাশরিক ও নাস্তিকরা মুলত এগুলো আলোচনা কে ইসলাম হেয় করার জন্য, কোন গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় স্কলার কখনোই এগুলোর আলোকে কদর্যপূর্ন ফতোয়া প্রদান করেন না।

এরপর আসুন দুধপান করানোকে এখানে আরবীতে رضاعة রাদাআহ যে শব্দে বর্ননা করা হয়েছে তার অর্থ ও তাহকীক করি।
আহলুল লুগাহ বা আরবী ভাষাবিদগন স্পষ্টই বলছেন রদাআহ হলো স্তন চুষে দুধ খাওয়ানো বা খাওয়া । রাদাআহ এর অর্থ আমাদের পরিষ্কার বুঝতে হবে : ” স্তন থেকে চুষে কাউকে দুধ খেতে দেয়া” নতুবা আমরা সবাই গবাদী পশুর দুধ পান করি, এবং গবাদী পশুর দুধ পান করার কারনে একজন মেয়ের সাথে একজন ছেলের তাহরীম বৈবাহিক সম্বন্ধ নিষিদ্ধ হয় না। দুধকে কোন পাত্রে নির্গমন করে তা পান করারোনে আরবীতে তাহলিব বলা হয়, ইরজা বা রেজায়া হ বলা হয় না ।

অনুরুপ কোন মহিলার দুধ নিষ্কাষন করে কোন প্রাপ্ত বয়ষ্ক পুরুষ ও মহিলাকে পান করানো হলে তাদের মধ্যে তাহরীম বৈবাহিক নিষদ্ধতা প্রয়োগ হবে না। এবার প্রাপ্ত বয়ষ্ক মাহরাম পুরুষকে দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারটিতো আরো পরিষ্কার হবার কথা। কারণ কোন প্রপ্ত বয়ষ্ক লোকের পক্ষে তার স্ত্রী ব্যতি অন্য কোন মাহরাম বা গায়রে মাহরাম মহিলার দুধ চোষা তো দুরের কথা দেখার প্রশ্নকে ও ইসলাম সম্মত ভাবার সুযোগ নেই। তারপরো ভেংঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করি। যেহেতু হযরত আয়েশা রযি আনহা এর ব্যাপারে কয়েকটি বর্ণনা এভাবেই পাওয়া যাচ্ছে: سنن أبي داود:
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ كَانَ تَبَنَّى سَالِمًا وَأَنْكَحَهُ ابْنَةَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ إِلَيْهِ وَوُرِّثَ مِيرَاثَهُ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى فِي ذَلِكَ ( ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ ) إِلَى قَوْلِهِ ( فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ ) فَرُدُّوا إِلَى آبَائِهِمْ فَمَنْ لَمْ يُعْلَمْ لَهُ أَبٌ كَانَ مَوْلًى وَأَخًا فِي الدِّينِ فَجَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ ثُمَّ الْعَامِرِيِّ وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَرَى سَالِمًا وَلَدًا وَكَانَ يَأْوِي مَعِي وَمَعَ أَبِي حُذَيْفَةَ فِي بَيْتٍ وَاحِدٍ وَيَرَانِي فُضْلًا وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِمْ مَا قَدْ عَلِمْتَ فَكَيْفَ تَرَى فِيهِ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْضِعِيهِ فَأَرْضَعَتْهُ خَمْسَ رَضَعَاتٍ فَكَانَ بِمَنْزِلَةِ وَلَدِهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ فَبِذَلِكَ كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِي اللَّهم عَنْهَا تَأْمُرُ بَنَاتِ أَخَوَاتِهَا وَبَنَاتِ إِخْوَتِهَا أَنْ يُرْضِعْنَ مَنْ أَحَبَّتْ عَائِشَةُ أَنْ يَرَاهَا وَيَدْخُلَ عَلَيْهَا وَإِنْ كَانَ كَبِيرًا خَمْسَ رَضَعَاتٍ ثُمَّ يَدْخُلُ عَلَيْهَا وَأَبَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُدْخِلْنَ عَلَيْهِنَّ بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ حَتَّى يَرْضَعَ فِي الْمَهْدِ وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ وَاللَّهِ مَا نَدْرِي لَعَلَّهَا كَانَتْ رُخْصَةً مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَالِمٍ دُونَ النَّاسِ
.
উক্ত হাদীসে বলা হচ্ছে : ” হযরত আয়েশা ও হযরত উম্মে সালমা রযি: থেকে বর্নিত : আবু হুযায়ফা সালেমকে পালক ছেলে রেখেছিলেন, এবং তার ভাতিজি হিন্দ বিনতে ওয়ালিদের সাথে সালেমকে বিয়ে দিয়েছিলেন, আর (যে ওয়ালিদের কন্যার সাথে সালেমের বিয়ে হয় সেই ওয়লীদ ) এক আনসারী মহিলার মাওলা (দাসপ্রথার একটি হুকুম যা তখন প্রচলিত ছিল এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত বলা যাবে) ছিলেন। তাদর এই পোষ্য ব্যাপরটি ছিল রসূল স: এবং যায়েদের মত । আর তখনকার জাহেলী যূগে প্রথা এমন ছিল যে পোষ্য তার পালকের মীরাছ পেত , কিন্তু যখন আল্লাহ ( ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ ) إِلَى قَوْلِهِ ( فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ ) (তোমরা তাদেরকে তাদের পিতার পরিচয়ে ডাকবে) আয়াতের মাধ্যমে তা নিষিদ্ধ করে দিলেন তখন পোষ্যদেরকে তাদের আসল পিতার পরিচয়ে ডাকা হতো , আর যাদের পিতৃ পরিচয় পাওয়া যেত না তাদের মাওলা বলা হতো এবং দ্বীনের খাতিরে (সাধরণ মুসলিম ) ভাই বলা হত । অতপর সাহলা যিনি আবু হুযায়ফার স্ত্রী রসূল স: এর কাছ এসে বল্লেন: হে আল্লাহর রসূল আমরা তো সালেমকে নিজের ছেলের মতো জানতাম, এবং সে আমাদের কাছে আসা যাওয়া করতো, এখন আল্লাহ উক্ত হুকুম নাজিল করেছেন যা আপনি জানেন, এখন তাকে নিয়ে আমরা কি করবো? তখন রসূল স: বল্লেন: أَرْضِعِيهِ فَأَرْضَعَتْهُ خَمْسَ رَضَعَاتٍ فَكَانَ بِمَنْزِلَةِ وَلَدِهَا مِنَ الرَّضَاعَةِতুমি তাকে দুধ পান করাও, অতপর তিনি তাকে পাচবার দুধপান করালেন এবং তাদের মধ্যে মা ও ছেলের সম্পর্ক হলো দুধের দিক থেকে । ” আয়শা রযি: এই ঘটনার ভিত্তিতে তার ভাই ও বোনদের মেয়েদেরকে বলতেন তোমরা يُرْضِعْنَ مَنْ أَحَبَّتْ عَائِشَةُ أَنْ يَرَاهَا وَيَدْخُلَ عَلَيْهَا وَإِنْ كَانَ كَبِيرً তোমরা ছেলেদেরকে দুধ খাওয়াবে যদি তাদেরকে আমার কাছে পাঠাতে চাও যদিও তারা বড় হয়ে থাকে! আর উম্মে সালমা রযি সহ বাকি সকল উম্মাহাতুল মুমিনিন এ বিষয়টি মানতেন না, এবং উক্ত রেযাআর মাধ্যমে যারা মাহরাম হয়েছিল তাদেরকে নিজেদের কাছে আসতে দিতেন না। তারা কেবল কোলের বাচ্চার ব্যাপারেই অনুমতি দিতেন এবং হযরত আয়েশা রযি এর ব্যাপরে বলতেন وَاللَّهِ مَا نَدْرِي لَعَلَّهَا كَانَتْ رُخْصَةً مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهم عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَالِمٍ دُونَ النَّاسِ আল্লাহর কসম এটা রসূল সল্লাল্লাহু আল্ইহে ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে দেয়া হযরত আয়শার জন্য ব্যক্তিগত সুযোগ, যা কেবলি তার জন্য খাস অন্য করাও জন্য নয়। ” আবুদউদ ১৭৬৪নং হাদীস।
সুতরাং বিষয়টি এই বর্ননায় অত্যন্ত পরিষ্কার যে ইসলামে বিশেষ ব্যক্তির জন্য অতিবিশেষ কেবলি তাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের খাতিরে কিছু রুখসত বা সুযোগ দেয়া হয়েছে, যার আলোকে সেই হুকুম অন্য করারো জন্য সাব্যস্ত করার সুযোগ নেই।

সূত্র :
১। আহলুল হাদীস.কম ইমাম শাফেয়ী ও ইবন বায ও ওসায়মীন এর ফতোয়া
২। স্যন্ডরোজ ফোরাম/ বয়ষ্কদের দুধপান নিয়ে হাদীসের সংকলণ।

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৭

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: খুব ভালো বিশ্লেষন। ধন্যবাদ অনেক বিষয় পরিস্কার ধারনা দেয়ার জন্য।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪২

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: সেই আলেম সাহেবের যুক্তি হইলোঃ দুধ পান করানোর কারনে একজন নারী ওই পুরুষের দুধ মা হয়ে যাবে। এতে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে।

এখানে আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে। "এতে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে।"-নয় হয়ত ঐ আলেম বলতে চেয়েছে, তাদের মধ্যে পর্দা করা লাগবে না। কিন্তু ঐ আলেমের(!) এ বক্তব্যও যে যুক্তিযুক্ত নয় তা আমি উপরেই বলেছি।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৮

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: ইসলাম ধর্মে, একজন মানুষের জন্য মাতৃ দুগ্ধ পান করার সময় সীমা কত?


উ: দুই বছর। যদি শিশু দুধ ছাড়া অন্য কিছু না খায় এবং এর দ্বারা শিশুটির স্বাস্থ্যগত অবস্থা ঝুকিপূর্ন হয় তবে শর্তস্বাপেক্ষে মাতৃ দুগ্ধ পান করার সময় সীমা আরও ছয় মাস বাড়ানো যাবে, এর বেশী নয় -এটি ইমাম আবু হানিফা(র.)-এর মত।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫৫

বালক বন্ধু বলেছেন: @ দুর্ধর্ষ বেদুইন
খুবই ভাল।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৫৮

দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের উত্তর জানতে সামহয়্যারইনে প্রশ্ন করা আমার মতে উচিত নয়। বরং এতে আরও বিভ্রান্তি বাড়ে বৈকি!

আপনি কোন বিজ্ঞ মুফতির কাছ থেকে জানতে পারতেন। তা সম্ভব না হলে এখানে প্রশ্ন করতে পারেন-পিস-ইন-ইসলাম/প্রশ্ন-উত্তর
অথবা আল কাউসার/ প্রশ্ন-উত্তর

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৩০

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: ওয়েবে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার সাইটের মধ্যে কোনটা নির্ভরযোগ্য ও সঠিক তা বোঝা মুস্কিল।

১১| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৬

মাহফুজ ইসলাম বলেছেন: @দুর্ধর্ষ বেদুইন, দারুন বিশ্লষন।

১২| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৬

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: @দুর্ধর্ষ বেদুইন, আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৯

এজি মাহমুদ বলেছেন: দুর্ধর্ষ বেদুইন, দুর্ধর্ষ কর্মের জন্য অভিনন্দন!!

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৯

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: দুর্ধর্ষ বেদুইন, কষ্ট করে সুন্দর ব্যাখ্যা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে কথা হলো- যারা তামাশা করার জন্য এসব নিয়ে মাতা মাতি করে তারা যেই সে ই থেকে যাবে।

১৫| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৫৭

ঊষালগ্ন হুতাশন বলেছেন: এচলাম rockxxxxxxxx m/

১৬| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৪৭

মোঃমোজাম হক বলেছেন: বলবেন কি আপনি কোন মহান ধর্মে বিশ্বাসী :-/ :-/

১৭| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: পুরা ব্যাপারটাই ফাউল। পদে পদে ঝামেলা!!
কারনঃ
১. বুকের দুধ খাওয়ানোর বয়সকাল দুই বছর পর্যন্ত। এই বয়সের মানুষকে নাবালেগ বলে!:)
২. বুকের দুধ খেতে হলে হলে নারীটিকে অবশ্যই নবজাতক সন্তানের মা হতে হবে, অর্থাৎ বিবাহিত হতে হবে। তারমানে কি অবিবাহিতরা বাইরে কাজ করতে পারবে না?X(

২৫ শে জুন, ২০১০ সকাল ৮:৫৬

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: কি জানি ভাই, এটাও আমার একটা প্রশ্ন।

আসলে পুরা ব্যাপারটিই ধার্মিকদের জন্য বিরিক্তিকর, আর বিধর্মী এবং নাস্তিকদের জন্য হাসির বস্তুতে পরিনত হয়েছে।

১৮| ২৫ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৩

ডিজিটালভূত বলেছেন: ফতোয়াটা বিভ্রান্তিকর।
আলেমদের সকলের চেয়ে বেশী সচেতন হওয়া দরকার।
এটা প্রায় হিল্লা বিয়ের মতই তো হল।
ধন্যবাদ দুর্ধর্ষ বেদু্ইন-কে।

২৬ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:০৯

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: হুম , এই বিষয়ে দুধর্ষ বেদুইন ব্যাপারটির বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩০

অবাঞ্চিত বলেছেন: কে যে সত্যি বলে আর কে যে মিথ্যা বলে বোঝা মুস্কিল। সৌদি রাজপরিবারের আলেম, সে না জেনে বলছে সেটাও বিশ্বাস হয় না। কি যে লিখ আছে, ১ ইসলাম নিয়ে এতো মতভেদ ক্যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.