![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্তব্য জানা, কিন্তু যাত্রা পথের পাথেয় অপ্রতুল। আবার অনত্র যাওয়ার বিকল্পও নেই। চিন্তিত মন, ক্লান্ত শরীর - পথ বিপদসংকুল।
আমাদের বহু লেখক কবি আছেন যাঁহারা আওয়ামি লীগের মিছিল শেষ করে বিএনপি'র হোটেলে খেয়ে-দেয়ে জামাতের ঘরে যান ঘুমুতে।
সাধারণ মানুষ দল বদল করিলেও এক দল থেকে বের হয়ে অন্যদল করেন। এক সাথে দুই দল করার সুযোগ পান না।
কবি-লেখকগণ
- পাখীর মত সব আকাশে বেড়ান।
- মাছের মত সব সব নদীতেই সাঁতরান।
- ফুলের মত সবার খোপাতেই ওঠেন।
- ....র মত সব পাত্রেই মুখ দেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৫৫ জন বুদ্ধিজিবী-লেখক-শিল্পী নিজ চাকুরী বা অবস্থান বা প্রাণের [তাঁদের নিজ নিজ ব্যাখ্যা মতে] খাতীরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেখানে বড় বড় কবি ও শিল্পীগণও ছিলেন।
অথচ, মিলিটারী কহিয়া যাদের আমরা গালী দেই কোর্ট-মার্শাল বা ফায়ারিং স্কোয়াডের ভয়কে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল হক বা মতিউর রহমানের মত মিলিটারীগণ।
কোন কারনে যদি আজ বাংলাদেশ স্বাধীন না হোত, তাহলে সার্জেন্ট জহুরুল হক বা ক্যাপ্টেন মতিউরগণ থাকতেন গাদ্দার হিসাবে, আর আঞ্জুমানারা হয়ত পাকিস্তান টিভি-রেডিওতে গান গাইতেন, রুটি-রুজীর কোন সমস্যাই হোত না।
আজ অনেকে হক বা গুন বা সাহা বা এরকম আরো অনেকের কন্ট্রিবিউশন জামাত বা জামাত সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানে আছে বলে অবাক হচ্ছেন....!!!
আসলে অবাক হওয়ার কিছু নাই।
এনারা এরকমই।
তাহারা হয়ত বলেন, আমরা মরিয়া গেলে বীরগণের বীরত্বগাঁথা কে লিখিত, আর কেইবা তাদের স্মরণে গান গাইত।
অনেক বাঙালীর মত রুনা লায়লাও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পশ্বিম পাকিস্তানে আটকা পড়েছিলেন এবং তিনি সেখানে নিয়মিত বেতার ও টিভিতে গান পরিবেশন করছিলেন। প্রাণ-ভয়ে তিনি হয়ত জহুরুল হক বা মতিউরের মত কোন পদক্ষেপ নেন নাই; কিন্তু অসুস্থতা বা অন্য কোন অযুহাতে টিভি-রেডিওতে গান পারিবেশনা থেকে তো বিরত থাকতে পারতেন।
আসলে তাঁহাদের মেরুদন্ডের স্থিতিস্থাপকতা এতই যে উহা কখনো বৃত্ত, কখনো ত্রিভুজ, কখনো চতুষ্কোন, আবার কখনো অসম আকার ধারন করিতে সক্ষম।
[f/zazabormon]
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব এখন তুললে ইনুরা গোসসা হবেন...