![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্তব্য জানা, কিন্তু যাত্রা পথের পাথেয় অপ্রতুল। আবার অনত্র যাওয়ার বিকল্পও নেই। চিন্তিত মন, ক্লান্ত শরীর - পথ বিপদসংকুল।
বাতাসে আদ্রতা কমছে। শুষ্ক-আরামদায়ক আবহাওয়া। বায়ুর গতিও দক্ষিণ থেকে উত্তরাভিমুখে পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে। ঝিরি ঝিরি বাতাসের সকাল। না গরম, না ঠান্ডা পরিবেশ। ধুলো-বালিহীন চলাচলের পথ। চামড়ায়-চেহারায় নাই বিরক্তিকর চটচটে অনুভুতি। গায়ে যেমন চাপাতে হয় না চাদর, তেমনি শরীর উদোম করার ইচ্ছাও জাগে না। ঝকঝকে মিষ্টি রোদের সকাল যেমন উপস্থিৎ, প্যাচপ্যাচে বৃষ্টি-কাদাও তেমন নাই।
হেমন্ত কাল। নূর-পয়েন্ট'এ হেমন্ত নামছে।
ধান সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ নিচ্ছে ধীরে ধীরে সেটা যদিও নজরে নাই, তবুও অনুভব করতে কষ্ট হচ্ছে না - ধান-ক্ষেতের আলে দাড়িয়ে শিষের ডগার শিশির-বিন্দুতে ঠিকড়ে ওঠা সূর্য-রশ্মির ঝিলিক।
ষড় ঋতুর এই বাংলা মূলুক যে কত মোহনীয় আর বৈচিত্রপূর্ণ তা বোধ হয় কুলাঙ্গার ছাড়া কারোরই চোখ এড়ায় না। গাছের পাতার যে এত বহুরুপ সবুজ আছে তা এই বাংলা'তেই মনে হয়।
নূর-পয়েন্টে যে কয়টি গাছই আছে সেগুলোর পাতার রঙ প্রত্যেকটিরই সবুজ - কিন্তু পৃথক।
আম-জাম-জামরুল-গাব-নিম-কাঠাল-লেবু-মেহেদী-পেয়ারা-পেপে-সফেদা-নারকেল-হরতকী-আতা-মান্দারী-জাম্বুরা-পাতাবাহার সবগুলোই নূর-পয়েন্টে আছে, সবগুলো গাছেরই পাতা সবুজ, কিন্তু আলাদা।
আমি এই পাতার ফাঁকেই সূর্যালোক দেখছি.....
দেখছি হেমন্তের সকাল।
সবাইকে হেমন্তের শুভেচ্ছা।
সালামা।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হেমন্তের একটা আলাদা রূপ আছে। এই ঋতুকে অনেকটা বেড়ে উঠার ঋতু বলে মনে হয়। প্রকৃতি পরিপক্ক হয়ে উঠে এই ঋতুতেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
রিফু আলম বলেছেন: ভাল লিখছেন।কুলাঙ্গার ছাড়া কারো চোখ এরায় না। কথাটা যুক্তি যুক্