![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্তব্য জানা, কিন্তু যাত্রা পথের পাথেয় অপ্রতুল। আবার অনত্র যাওয়ার বিকল্পও নেই। চিন্তিত মন, ক্লান্ত শরীর - পথ বিপদসংকুল।
কি যে দাপুটে রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন আমাদের হোসাইন মোহম্মদ এরশাদ। নয় নয়টা বছর ক্রমাগত শাসন করেছিলেন আমাদের। সেই সময় বড় দলগুলো'কে করেছিলেন নাস্তানাবুদ। বড় দলগুলোর নেতাদের ভাগিয়ে গড়েছিলেন ক্ষমতার আলো-বাতাস-জল’এ পুষ্ট জাতীয় পার্টি। ছোট দলগুলোকে করেছিলেন গৃহপালিত।
অবশ্য জিয়াউর রহমানও দল গড়েছিলেন একই কায়দায় - ক্ষমতার চরম ব্যবহার, আর পরম নিরাপদ আবহে। বিএনপি বা জাপা মূলত বয়লার মুরগির মত দল যাদেরকে ক্ষমতার "তোলা-খাবার" সরকারী বাটিতে বেড়ে দিতে হয়। বিরোধী দলে আসলে এরা মাথা চুলকে ভাবতে থাকে - কি যেন করতে হবে বা অন্য দল এই পরিস্থিতিতে কি যেন করত........কি যেন করত........
রাজনীতির রোদের তাপে, বিরোধী-মাঠের ধুলো-কাদায় ইহারা কেমন যেন মাখনের মত গলে গলে যায়।
তবু বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কিছুটা টিকে গেল জিয়াউর রহমানের রক্তের কারনে। তাঁর ব্যাক্তি-সততা প্রচার হয়েছিল এবং তিনি খুন হওয়ায়, বিএনপি’র ঘটে যায় রাজনৈতিক প্রাপ্তি।
আর তাঁর সেই রক্ত-ত্যাগের উপরই মানুষের মাঝে বিএনপি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেলে। জিয়া তাঁর রক্ত দিয়ে বিএনপি'কে দাঁড় করালো একটা বড় দল হিসাবে।
কিন্তু মাঠের রাজনীতি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরো কিছু নিবেদিত নেতা প্রয়োজন যারা ভাববে বা ভাবার দরকার ছিল বিএনপি ছাড়া অন্য কিছু তারা কল্পনাই করবে না।
কেন ভাববে? কোন রক্ত-ঋণে??
তাই যতক্ষণ মধু, ততক্ষণ বিএনপি।
একটা পরিবারের দুইটা প্রাণী বিরোধী-বৈরী পরিবেশে আর কতদুর টেনে নিবে!!
জাপার তো সেটাও নাই। একে তো ক্ষমতার বসে "এসো পিকনিক করি" ধরনে "চলো একটা রাজনৈতিক দল খুলি" বলে তৈরী হল দলটি। তারউপর নাই কোন বড় ধরনের ত্যাগ যা দলের মেরুদন্ড সোজা রাখবে। এরশাদের আজকের অবস্থা দেখলে বড় মায়া লাগে।
তৃতীয় বিশ্বের একটা রাজনৈতিক দলের যে সমস্যা বা যে সীমাবদ্ধতাগুলো থাকে তার সবগুলোই কম-বেশী আওয়ামী লীগে আছে - সন্দেহ নাই।
অসততা আছে, কোন্দল আছে, কপটতা আছে, মাস্তানী আছে......তবুও দলটি দাড়িয়ে গেছে তাদের বেশ কিছু নেতার নিবেদিত শ্রম-সময়-মেধা ব্যয়ের ফলে। যতই অপ্রাপ্তিই থাকুক, এই নেতারা আওয়ামিলীগ ভিন্ন নিজেকে অন্য কোন দলে ভাবতেই পারেন না।
নিজ দলকে নিজ রক্ত ভাবেন।
অন্য যে কোন বিশ্লেষন থাকুক না কেন, প্রধান কারন হচ্ছে - এই নেতাদের পূর্বপুরুষগণ রক্ত দিয়েছেন নিজ দলের জন্য। শেখ পরিবারের মতই তারা আলী’কে নিজের দল মনে করেন।
খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার যেমন বিএনপি ছাড়া আর কোন কিছু ভাবতে পারেন না।
শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার ছাড়াও এরকম অন্তত এক ডজন পরিববার আছে যারা আওয়ামিলীগ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেন না।
তাজ উদ্দিনের পরিবার;
নজরুল ইসলামের পরিবার;
মোহম্মদ মনসুরের পরিবার;
কামরুজ্জামানের পরিবার;
কিবরিয়ার পরিবার;
আহসান উল্যার পরিবার;
আইভি রহমানের পরিবার;
..... এই পরিবারগুলো’ই বিপদে আপদে আওয়ামিলীগ’কে রক্ষা করে যা বিএনপি বা জাতীয় পার্টির নাই।
আওয়ামিলীগ ছাড়া অন্য কোন দলে প্রথম সারীর এত নেতা খুন হয় নাই।
আজ ৩ নভেম্বরে চার নেতা হত্যা-দিবসে কেন জানি আমার ঘুরে-ফিরে এ কথাটিই মনে পড়ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১
আহা রুবন বলেছেন: আওয়ামীলীগের কারও কারও ঔদ্ধত্য আচরণ জন্মানোর পেছনে বিএনপির ছ্যড়াব্যাড়া অবস্থা অনেকটাই দায়ী।