নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে তো বলতে পারেন মহামানবই। আমি তো অতি নগণ্য।।।।

অসংজ্ঞায়িত নিঝুম

বিষাদের বহমান করুন স্রোতধারায় গা ভাসাইয়া দেয়া ক্ষুদ্র মানব আমি।

অসংজ্ঞায়িত নিঝুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বার্থপর

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮

সেদিন ছিলাম তোমার অপেক্ষায়।অসীম আকাশের বুকে ছিলো নীলের দৌরাত্ম।পলে পলে আকাশের বুকে শুভ্র আসন পাতিয়া কখনো সাদা মেঘেদের ভেলা আবার কখনো যেন কালো মেঘেদের দল মিলিয়া আকাশের নীল ম্লান করিবার খেলায় ব্যাস্ত ছিল। আবার কখনো মেঘেদের মাঝে উকি দিতেছিল তেজোদীপ্ত দিবাকর। মাথায় যেন গলিয়া পড়িতেছিল রোদের উত্তপ্ত লাভা।হঠাত বারি ধারায় প্লাবিত ধরণী। আমি তখনো তোমার অপেক্ষায় বসিয়া....যদি ফিরিয়া যাও, যদি দেখিতে না পাও, যদি বিমর্ষ বদনে আশাহত হও তাহা ভাবিয়া আমি তোমার অপেক্ষায় ঠাঁয় দাড়াইয়া। সময়েরা আপন স্রোতে বহিয়া যায় তাহার সাথে সাথে আমার আশারাও ক্রমশ চুপশাইয়া যায়। ঘাড় ঘুরাইয়া চারপাশে দেখি শুন্যতা। অবেলার বেলায় ধোয়াশার চাদর।মৌনতার বিছানা পাতিয়া আমার এ প্রতীক্ষা! সে যদি তুমি বুঝিতে।বেলা গড়াইয়া যায়।কৃষ্ণচূড়ার মৃত পাতারা অসময়ে খসিয়া পড়িতেছে। আমার হৃদয় হইতেও যেন প্রতীক্ষা খসিয়া পড়িল। কথা ছিলো তুমি একটা বিকেল দিবে তোমার পায়ে একটা পায়েল পড়াইবো নিজ হাতে, একসাথে তোমার হাত ধরিয়া বালুতীরে তোমার সহিত নগ্ন পায়ে হাটিবো। বাতাস তোমার চুলগুলো নিয়ে খেলা করিবে আর তাহা দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইবো।গোধুলী চলিয়া আসিলো।তুমি আসিলেনা। তবু আমার প্রতীক্ষা। প্রতীক্ষার মাঝেই আমি মুগ্ধ হই। আকাশ দেখি মেঘ দেখি, মেঘেদের রং দেখি পাখিদের নীড়ে ফেরার দৃশ্য দেখি। অতপর দিনের আলো নিভিয়া গেল। দিবাকর পশ্চিমাকাশে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়িলো। আর আমারো প্রতীক্ষার শেষ প্রহর চলিয়া আসিলো।আমি সন্ধ্যার পাখির ডানায় চড়িয়া আশাহত বিমর্ষ বদন নিয়া নীড়ে ফিরিলাম। তুমি আমাকে বুঝিবেনা। তুমি বুঝিতেও পারিবেনা এমন অস্ফুট ভালোবাসার সুরের অনুসরণ। কারন তুমিই হয়তো আমাকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করো। তোমার পৃথিবী আমাকে তো “স্বার্থপর” উপাধী দিয়াই ভুষিত করিয়া রাখিয়াছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.