| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিখিলেস প্যারিসে
নির্জন সমুদ্রপাড়ে... একা এক নিশিতে... চোখ ভরে জোসনা দেখব বলে... বসে থাকি অনন্ত রাত...
![]()
১১ বছরের ছোট্ট মেয়েটি। নাম শান্তামনি। হাসিমাখা মুখ, ফুটফুটে চেহারা। পড়ালেখাতেও মেধাবী। ক্লাস ফোরের ৪০ জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে ওর রোল নং তিন। বাবা মা, স্কুলের শিক্ষক এবং এলাকার সবাই ওকে নিয়ে গর্ব করে- একদিন ও অনেক বড় হবে। শান্তামনিও মন দিয়ে পড়ে। সব সাবজেক্টেই ওর এ প্লাস। কিন্তু সেই হাসিমাখা মুখ থেকে হঠাৎ করেই হাসি উড়ে গেছে। প্রথমে মাথাব্যথা, মাথাব্যথা থেকে জ্বর। জ্বরের ট্রিটমেন্ট করাতে গিয়ে ডাক্তার জানান, ওর শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার (লিউকেমিয়া) বাসা বেঁধেছে। প্রথমে বাবা তার চিকিৎসা করালেন শেরপুর সদর হাসপাতালে। এক সপ্তাহে ৫ ব্যাগ রক্ত দিতে হলো। কিন্তু তার শরীরে রক্ত থাকছে না। প্রশ্রাব ও দাঁতের গোড়া দিয়ে বেরিয়ে যায়। ডাক্তার বললেন দ্রুত ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। বিদেশও নিতে হতে পারে। টাকা লাগবে ৬ থেকে ৮ লাখের মতো। বাবা শাহ আলম পড়ে গেলেন চিন্তায়। তিনি সামান্য কৃষিকাজ করেন। তার পক্ষে এত টাকা যোগানো সম্ভব নয়। সপ্তাহে এতো রক্ত যোগানোও অসম্ভব। কিন্তু একমাত্র মেয়েটা এভাবে মারা যাবে কোনো বাবা-মা’ই চান না। তারা আল্লাহর ওপর ভরসা করে চলে এলেন ঢাকায়।
১৭ ডিসেম্বর বিকেলে ভর্তি করা হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুরু হলো খালি পকেটে অচেনা ঢাকায় শান্তার বাবার ছুটোছুটি। পরদিনই বোন টেস্টের জন্য ভারতে পাঠানো হলো তার বোনস্ক্যান কপি। রিপোর্ট অনেক ব্যয়বহুল হলেও রেজাল্ট এলো পজিটিভ। ডাক্তার বললেন, নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। খুব শিগগির ভালো হয়ে ওঠবে মেয়েটি।
শান্তামনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের ২০৮ নং ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছে। প্রতিদিন কয়েকটি ব্যয়বহুল ইনজেকশন এবং প্রতি সপ্তাহে চারব্যাগ রক্ত লাগছে ওর। এছাড়া অন্যান্য টেস্ট তো রয়েছেই। নিয়মিত চিকিৎসায় বর্তমানে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। পুরোপুরি সেরে ওঠতে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা প্রয়োজন। একজন কৃষক বাবার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয় এতো টাকা সংগ্রহ করা। তাই সহৃদয়বান এবং বিত্তবানদের কাছে মানবিক আবেদন রইলো, যারা যেভাবে পারেন অসহায় একটি মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো যোগাযোগ ও
অর্থসাহায্যের জন্য বিকাশ নাম্বার :
০১৭১৭-৮৩১৯৩৭ (শান্তার ভাই)
কথা বলতে পারেন শান্তার বাবার সঙ্গে :
০১৮৩৬-৯৫১৩১৩ (শান্তার বাবা)
ব্যাংক এ্যাকাউন্ট :
M Sharif Ahmed Apple
Savings Ac No. 1911519004
Dutch-Bangla Bank
Bijoynagar Branch, Dhaka-1000
![]()
শান্তামনির বর্তমান ছবি
শান্তামনির চিকিৎসার পেপারস
![]()
পেপার আডলোডে প্রবলেম হচ্ছে, বাকিগুলো পরে যোগ করব। সবাইকে আবারো পোস্টটি পড়া ও সহযোগিতার অনুরোধ করছি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: ভাই কোন উদ্যোগের কথা বলছেন, বুঝলাম না, শান্তামনিকে বাঁচানো দরকার, তাকে বাচাতে সাহায্য দরকার, এই মুহূর্তে আর কিছু চাওয়ার নাই...
আশা করি বিষয়টা বুঝবেন, কিভাবে হেল্প করা যায়, কি করা যায় সেটাও বলতে পারেন, তাহলে বড়ই উপকার হয় অসহায় পরিবারটির।
ধন্যবাদ
২|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
এম মশিউর বলেছেন:
দোয়া করি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক শান্তামনি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: দোয়া তো অবশ্যই করবেন, যদি সম্ভব হয় নিজে বা অপরকে বলে কিছু হেল্প করবেন, সেটাই এই মুহূর্তে ওর দরকার, না হলে মেয়েটিকে বাচানো যাবে না...
৩|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
আমি ইহতিব বলেছেন: শান্তামনি ভালো হয়ে যাক এই দোয়া করি, ফেবুতে শেয়ার দিচ্ছি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: ধন্যবাদ রইল...
আশা করি আপনারা এগিয়ে এলে মেয়েটির মুখে আবারো হাসি ফুটবে..
৪|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ইখতামিন বলেছেন:
শান্তা সুস্থ্য হয়ে উঠুক। শেয়ার করছি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: অবশ্যই...
সহযোগিতা পাওয়ার আশা রইল...
৫|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ্ শান্তা মনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। আপনার উদ্যোগের পাশেই আছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করবো শান্তা মনি'র জন্য।
৬|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মানবিক দিক বিবেচনা করে সামু কর্তৃপক্ষের কাছে পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ রইল।
৭|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫২
সাদরিল বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ রইল।
৮|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪৪
হীরা ৪৪ বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ রইল
৯|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০০
খেয়া ঘাট বলেছেন: পৃথিবী এতো দুঃখময় কেনো?
পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ রইল
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনাদের উদ্যোগ সফল হোক, সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক শান্তামনি।