নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধ্যায় ২৮ - হযরত উমর (রা:-) কিভাবে ইসলাম গ্রহন করলেন?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮



আমরা অনেকেই প্রাক-ইসলামিক যুগের সত্য কাহিনী গুলি জানি না। আরবে কি সমাজ ব্যবস্থা ছিল? কি অসাধারন ত্যাগ তিতিক্ষা মাধ্যমে প্রথমে আরবে ইসলাম প্রচার করা হয়েছিল। নবী করীম (সা:-) এর আবির্ভাবের সময় আরবের সমাজ কি রকম ছিল, কিভাবে একে একে সাহাবীরা ইসলাম গ্রহন করলেন। চমৎকার ভাবে সেগুলি তুলে ধরা হয়েছে এই বইটা তে।
MUHAMMAD - His life based on the earliest sources by Martin Lings
link: Click This Link

বই পড়তে আমার ভালো লাগে। সবসময় আমি বই পড়ি । এই বইটা পড়ার সময় মনে হলো হয়তো অনেকেই এই বই টার নাম জানেন না কিংবা ইংরেজি তে লেখা দেখে হয়তো পড়তে পারেনি। তাদের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এটাই আমার প্রথম বাংলা অনুবাদ। পড়ার সময় কিছু কিছু জায়গায় আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। কি অসাধারন লেখা ! কি কষ্টই না নবী করীম (সা:-) আর তার সাহাবীরা করে গেছেন এই পৃথিবীর বুকে ইসলাম প্রচার করার জন্য! বিশেষ করে এই অধ্যায় ২৮। আল্লাহর অসীম করুনা ছাড়া কখনোই এটা সম্ভব হতো না। এটা পড়ার পরেই আমি এটা বাংলায় অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই। ধর্মভীরু দের জন্য আল্লাহর রহমতের কোন শেষ নেই!

ভুল ত্রুটি জন্য ক্ষমা করবেন। স্ব ইচ্ছায় কোনো ভুল ত্রুটি করা হয় নি। মহান আল্লাহ আমাকে আরো এই ধরনের বই বাংলায় অনুবাদ করার তওফিক দান করুন। আমীন।

অধ্যায় ২৮ - হযরত উমর (রা:-) কিভাবে ইসলাম গ্রহন করলেন
--------------------------------------------------------------------
নোট: নবী করীম (সা:-) নাম উচ্চারন করার সময় অবশ্যই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং এবং প্রত্যেক সাহাবীদের নামের পর (রা:-) প্রত্যেককে পড়তে হবে। অনুবাদের সুবিধা ও ধারাবাহিকতার জন্য সেটা লেখা হয়নি। আল্লাহ সবাই কে অসীম রহমত বর্ষন করুন, আমীন।

আবিসিনিয়া থেকে দুজন কূরাইশ দূত মক্কায় ফিরে এসে খবর দিলেন যে, তাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং নেগাস (আবিসিনিয়ার রাজা) মুসলমানদের পক্ষ নিয়েছেন এবং তাদেরকে সেখানে যতদিন খুশি থাকতে দিয়েছেন। তাদের ধর্ম কে সত্য বলে ঘোষনা করেছেন। কুরাইশরা সেটা শুনে ক্রুদ্ধ ও প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়ে। তারা অবিলম্বে মুসলিম মুমিনদের দমন ও নিপীড়ন তীব্র করে তোলে যা মূলতঃ আবু জেহেলের নির্দেশেই করা হয়েছিল। তার ভাগ্নে উমর তার নির্দেশাবলী পালন করার জন্য সবচেয়েএকনিষ্ঠ এবং অক্লান্ত পরিশ্রমী ছিলেন। উমর সেই সময়ে ছাব্বিশ বছর বয়সী তরুন ছিলেন, একজন সাহসী যুবক যিনি সহজে বিচলিত হতেন না।

কিন্তু তার মামার (আবু জেহেল) বিপরীতে তিনি ছিলেন ধর্মভীরু এবং প্রকৃতপক্ষে নতুন ধর্মের বিরোধিতা করাই তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। খাত্তাব (তার পিতা) তাঁকে ক্ব্বারের পূজা করার জন্য এবং দেবতাদের এবং দেবীগণের সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত হওয়া সবকিছুই প্রশ্ন ছাড়া শ্রদ্ধা করতে উৎসাহিত করেছিলেন। এটা তার জন্য একসঙ্গে এক পবিত্র ঐক্যবদ্ধ বিশ্বাষ যা কখনো প্রশ্ন করা হয়নি । যদিও কুরাইশরা কিছুদিন পূর্বেও এক ছিল; কিন্তু মক্কা এখন দুটি ধর্মের শহর এবং দুটি সম্প্রদায়। তিনি স্পষ্টভাবে দেখেছিলেন যে, সমস্যাটি শুধুমাত্র একমাত্র কারণে। যে কারণ ছিল একটি মানুষ। এই মানুষ টাকে সরিয়ে দাও, সবকিছু শীঘ্রই আগের মতো হয়ে যাবে। এটাই একমাত্র প্রতিকার, এটা ছাড়া অন্য কোন প্রতিকার নেই। তিনি এই লাইনগুলি সবসময়ভাবতেন এবং এগুলি তাকে উদ্দীপ্ত করতো ।

অবশেষে এক দিন, আবিসিনিয়া থেকে ব্যর্থ দুতদের ফেরার পর পরই হঠাৎ ক্রুদ্ধ হয়ে রাগের মাথায় তলোয়ার হাতে নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন। রাস্তায় বের হবার সাথে সাথেই তার সন্গে নুয়াইম ইবনে আবদ আল্লাহর দেখা হলো। তিনি ছিলেন তার গোত্রেরই একজন। নুয়াইম ইসলাম গ্রহন করেছিলেন কিন্তু তিনি উমর ও তাঁর অন্যান্য লোকদের ভয়ে সেটা গোপনে রেখেছিলেন। উমরের মুখের উজ্জ্বল অভিব্যক্তি দেখেই তিনি তাকে তাকে জিজ্ঞেস করলো সে কোথায় যাচ্ছে। "আমি মোহাম্মদের কাছে যাচ্ছি, যিনি বিদ্রোহী, যিনি কোরাইশদের বিভক্ত করে দুই ভাগ করেছেন," উমর আরও বলেন, "এবং আমি তাকে হত্যা করব।" নুয়াইম তাকে প্রথমে বুঝাতে লাগলেন যে এটা করতে গেলে তিনিও মারা যেতে পারেন কিন্তু উমর এই ধরনের যুক্তিতে বধির ছিলেন। তখন তিনি আরেকটি উপায় নিয়ে চিন্তা করছিলেন, যার দ্বারা তিনি অন্ততপক্ষে উমরকে দেরী করে দিতে পারেন, সর্তক করার সময় অন্তত পাওয়া যাবে। এটা করলে সেটা সদ্য ইসলাম গ্রহনকারীদের সাথে একটি বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে, যারা তার মতনই ইসলাম গ্রহন করার কথা গোপন করেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে, তারা তাকে ক্ষমা করবে, এমনকি এই পরিস্থিতিতে তার এই চিন্তাধারার জন্য তাকে প্রশংসাও করা হবে। তিনি তখন বললেন 'হে উমর, তুমি প্রথমেই তোমার নিজের বাড়ির লোকদের কাছে ফিরে যেয়ে তাদের কে আগে ঠিক কর!" "আমার বাড়ি?" উমর জানতে চাইলেন। "তোমার দুলাভাই সাঈদ এবং তোমার বোন ফাতিমাহ। তারা উভয়েই মুহাম্মদের অনুসারী, তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। মাথা যদি কাটতে চাও তবে এদের মাথা আগে কাট "। উমর এটা শুনার পর একটা শব্দও উচ্চারন না করে সোজা তার বোনের বাসার দিকে রওনা দিলেন।

জুহরাহ গোত্রের খাব্বাব নামের একজন সদ্য মুসলিম মাঝে মাঝেই এসে তাদের (সাঈদ ও ফাতেমা) পবিত্র কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। ঠিক সেই সময় তিনি তাদের সুরা তা-হা যা অতি অল্প সময়ের আগেই নাযিল হয়েছে সেটা কাগজ থেকে পড়ে শুনাচ্ছিলেন। সেই সময় তারা উমরের কন্ঠস্বর শুনতে পেল যে তিনি উচ্চস্বরে নিজের বোনের নাম ধরে ডাকছিলেন। উমরের কন্ঠস্বর শুনেই খাব্বাব ঘরের এক কোণে লুকিয়ে পরেন এবং ফাতেমা কাগজ গুলি নিজের কাপড়ের (গাউন) ভিতরে লুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু উমর তাদের পড়ার শব্দ শুনেছিল এবং তিনি তাদের জিগ্গেস করলেন "কি পড়ছ তোমরা ?" তারা তাকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিল যে সে কিছুই শোনেনি। তিনি বললেন, "আমি শুনেছি এবং আমাকে বলা হয়েছে যে তোমরা দুইজনই মুহাম্মদের অনুসারী হয়েছ।" তারপর তিনি তার সাঈদকে ধরার চেস্টা করছিলেন এবং ফাতেমাহ তার স্বামীকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যান। এই সময় উমরের একটা আঘাতে ফাতেমাহর শরীরের একটা জায়গায় কেটে রক্ত পরতে থাকে । তার পরেও তারা বলতে থাকেন "আমরা মুসলমান, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি, সুতরাং তুমি যা ইচ্ছা কর। ফাতেমাহর ক্ষত থেকে রক্তপাত হচ্ছিল এবং উমর রক্ত ​​দেখে তিনি তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হন। তার মধ্যে একটি পরিবর্তন আসে এবং তিনি তার বোনকে বলেন: "যে কাগজ টা তোমরা পড়ছিলে সেটা কোথায়? আমাকে পড়তে দাও। দেখি মুহাম্মদ তোমাদের জন্য কি নিয়ে এসেছে । তাদের মত উমার ও পড়তে পারেন। কিন্তু যখন তিনি কাগজটা চাইলেন তখন তারা বললেন, "আমরা তোমাকে বিশ্বাস করতে ভয় পাই।" তিনি বলেন, "ভয় করো না", এবং তিনি তলোয়ার খাপে নিক্ষেপ করে বেষ্টন বন্ধ করেন এবং তিনি তাঁর দেবতাদের নামে শপথ করে বলেন যে তিনি কাগজ টি পাঠ করে আবার ফিরৎ দিবেন। তখন ফাতেমাহ বললেন "ও আমার ভাই, আপনি মূর্তিপূজক, অশুচি, এবং শুধুমাত্র শুদ্ধ অবস্থায় এটাকে স্পর্শ করতে পারবেন।" এরপর উমর উঠে গেলেন এবং নিজেকে ধুয়ে শুদ্ধ করলেন। তারপর ফাতেমাহ তাকে কাগজটি দিলেন যেটা ছিল সুরা তা-হার প্রথম অংশ। তিনি এটি পড়তে শুরু করেন এবং তিনি একটি প্যাসেজ পড়ার পর বললেন "কি অসম্ভব সুন্দর এবং কি মহান এই শব্দমালা!" । যখন খাব্বাব এই কথা শুনলেন তখন তিনি তাঁর গোপনীয়তা থেকে বের হয়ে এসে বললেন, 'উমর! আমি আশা করছি আল্লাহ তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সালাতের মাধ্যমে আপনাকেই মনোনীত করেছেন।গতকালকেই আমি শুনেছি তিনি নামজের পর দোয়া করছিলেন, হে আল্লাহ, আপনি হাশামের ছেলে হাক্কাম বা খাত্তাবের পুত্র উমর দিয়ে ইসলাম কে শক্তিশালী করো।'' উমর তখন বলেছিলেন, "হে খাব্বাব, মুহাম্মদ কোথায় আছেন? কিভাবে আমি তার কাছে যেয়ে ইসলাম গ্রহন করবো ?" খাব্বাব তাকে বলেছিলেন যে তিনি তার সঙ্গীদের সাথে সাফা গেটের কাছাকাছি আক্রামের এর বাড়িতে আছেন এবং উমর আবার তার খাপে বেষ্টন বন্ধ তলোয়ার নিয়ে রওনা দিলেন। উমর বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে ঠক ঠক করলেন আর বললেন যে তিনি কে এসেছেন।

নুয়াইম সবাইকে আগেই সাবধান করে দিয়েছিল যাতে উমরের আগমন অপ্রত্যাশিত না হয় কিন্তু তারা উমরের কন্ঠস্বর শুনে অবাক হন। একজন যেয়ে দরজার ফাক দিয়ে দেখে আসলেন যে সত্য সত্যই উমর এসেছেন। "আল্লাহর রসূল," তিনি বললেন, "এটা সত্যিই উমর এবং তিনি তার তলোয়ার সাথে নিয়ে এসেছেন।" হামজা বললেন, "তাকে ভিতরে আসতে দাও"। "যদি সে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে আসে, তবে আমরা ভাল উপহার দেব এবং যদি তার ইচ্ছা খারাপ হয় তবে আমরা তাকে তার তলোয়ার দিয়েই হত্যা করব।" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথায় সায় দিয়ে বললেন যে তাকে আসতে দাও। এবং তার সাথে দেখা করার জন্য এগিয়ে গেলেন। তিনি উমরের বেল্ট ধরে তাকে ঘরের মাঝখানে নিয়ে আসলেন এবং বললেন "তোমাকে এখানে কি নিয়ে এনেছে খাত্তাবের ছেলে? আমি তো এখানে কোন বিপদ দেখতে পাচ্ছিনা "। "হে আল্লাহর রাসূল," উমর বললেন, "আমি আপনার কাছে এসেছি যে, আমি আল্লাহর প্রতি, তাঁর রসূলের প্রতি এবং তাঁর কাছ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছি তা সত্য বলে গ্রহন করতে "। "আল্লাহু আকবার" নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত জোরে আনন্দিত হয়ে বললেন যে বাড়ির প্রতিটি পুরুষ ও স্ত্রীলোক জানতো পারলো যে উমর ইসলামে প্রবেশ করেছে এবং তারা সকলে আনন্দিত হলেন।

উমর তার ইসলাম (গ্রহন করার কথা) গোপন রাখার কোনো চেস্টাই করলেন না। তিনি সবাইকে, বিশেষ করে যারা নবীর সর্বাধিক বিরুদ্ধচার করেছিল তাদের জানাতে সবচেয়ে বেশী আগ্রহী ছিলেন।। পরের বছর গুলিতে তিনি বলেছিলেন: "যে রাতে যখন আমি ইসলামে প্রবেশ করলাম, তখন আমি নিজেকে প্রশ্ন করলাম, মক্কার লোকজনের মধ্যে কে আল্লাহর রসূলের সাথে শত্রুতা করার সময় সবচেয়ে বেশি সহিংস, আমি তার কাছে গিয়ে তাকে বলব যে, আমি তাদের একজন। আমার উত্তর ছিল: আবু জেহেল। পরের দিন সকালে আমি গিয়ে তার দরজায় গিয়ে আঘাত করলাম। আবু জাহেল বের হয়ে বললেন, "আমার বোনের ছেলেকে সবচেয়ে ভাল স্বাগত জানাই! কোন বিষয় আপনাকে এখানে নিয়ে এসেছে?" আমি উত্তর দিলাম: "আমি তোমাকে বলতে এসেছি যে, আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল, মুহাম্মদের প্রতি ঈমান এনেছি এবং তিনি যে সত্য টা নিয়ে এসেছেন তা আমি সত্যকে বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি।" আবু জাহেল বললেন, "খোদা তোমাকে অভিশাপ দিক। তারপর তিনি আমার মুখের ওপর দরজা ধাক্কা দিয়ে বন্ধ করে দিলেন।


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, এপ্রিল ২০১৮

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

কাজী শীপু বলেছেন: খুব সুন্দর লেখাটা; অনেক কিছু জানলাম। আরো লিখবেন, আমাদের জন্য।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমার প্রথম অনুবাদ পড়ে আপনার ভালো লাগলো দেখে খুব খুশী হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমি আরো এ রকম লিখব, অনুবাদ করবো।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ততকালীন মক্কায় দারিদ্রতা, বিচারহীনতা, বেদুইন গোত্রদের হিংস্রতা মানুষকে অসহায় করে তুলেছিল। মুহম্মদ ( স: ) এর তৎপরতা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করছিলো। আরবদের তেমন কোন ধর্ম ছিলো না; ফলে, নতুন ধর্মের কথা তাদের উৎসাহিত করেছে। আবার যারা 'ঐক্যে' বিশ্বাস করতেন, তারা আগামীতে মানুষের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর প্ল্যান করছিলেন; ওমর ( রা: ) সামনে সুসময়ের কথা ভেবে মুহম্মদ ( স: ) এর সাথে যোগ দিয়েছিলেন; এবং তিনি সেটাকে কাজে লাগায়েছেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সমস্যা টা আসলে মানষিক। স্বাভাবিক চিন্তা করার জন্য যতটুকু বিচার বুদ্ধি স্বাভাবিক মানুষের থাকা উচিৎ তা সম্ভবত আপনি হারিয়ে ফেলেছেন কিংবা কোনো কালেই আপনার ছিল না। আপনি যেটাকে সুসময় বলছেন সেটা এমন এক সময় যখন সদ্য ইসলাম গ্রহন কারীরা নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করার কথা প্রকাশ করারও চিন্তা করতে পারতো না। কতটা অসহায় ছিল সেটা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ! আর আপনি বলছেন সুসময়। আপনার কথা মতো তাহলে ওমর (রা:) ভবিষ্যত দেখতে পেতেন! ইসলাম ধর্ম সর্ম্পকে আপনার কথা বলার সময় আরও যত্নবান হওয়া উচিৎ। আপনার প্যা প্যা শুনতে শুনতে আমি অতিসয় বিরক্ত। ধর্মিয় পোষ্ট গুলিতে আপনার কথা না বলাই উচিৎ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: উপরে একটা লিংক দেয়া আছে । আশা করি ইংরেজি পড়তে পারেন। ভালো করে আগে বই টা পড়েন। দুই লাইন পড়ে ছাগলের পাচ নম্বর বাচ্চার মতো প্যা প্যা করবেন না। এটা কোনো মুসলিম লেখকের লেখা নয়। Lings was a Shakespeare scholar।
উকিপিডিয়া যেয়ে দেখুন। https://en.wikipedia.org/wiki/Martin_Lings

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: একবার ধর্ম গ্রহন করার পর কেউ কিন্তু আর নাস্তক হয় না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: নাস্তিক আর আস্তিক পুরোটাই হলো বিশ্বাষের ব্যাপার।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে অনুবাদের ব্যাপারে আরেকটু যত্নশীল হবেন। পড়ার সময় যাতে হোঁচট খেতে না হয়। আরও সাবলীল হওয়া উচিত। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: আমার প্রথম অনুবাদ এটা । অবশ্যই পরবর্তি লেখার সময় আপনার কথা আমার মাথায় থাকবে। ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

মাহিরাহি বলেছেন: ইংরেজিটার লিংক আছে কি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১১

নীল আকাশ বলেছেন: Click This Link

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

ক্স বলেছেন: গোবেশকের সাথে একমত। উমার সুসময় দেখেই রাসুল (সঃ) এর দলে ভিড়েছিলেন। পবিত্র কুরআনের বাণী বা বোন-বোনাই'র ঈমানের তেজ অথবা রাসুলের (স) ব্যক্তিত্ব কোন ফ্যাক্টর না। কত কিছু যে নতুন নতুন জানছি আমাদের মেরিকান গোবেশকের ল্যাবরেটরির কল্যাণে! মনে হল উমর যেন এরশাদ কাকুর কপি - ক্ষমতা যেদিকে কাকুও সেদিকে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: ইতালিয়ান আর মেক্সিকান মেয়েদের ঝাড়ি খেতে খেতে মনে হয় এটার মাথা পুরোপুরি আউট হয়ে গেছে....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.