নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ নুর হোসেন দিবস এবং গনতন্ত্র

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১



শহীদ নুর হোসেন দিবস আজ। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের এই দিনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নুর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গনতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে। তার রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত পায় আমাদের গণতন্ত্র।

নূর হোসেনের এই আত্মত্যাগ তত্কালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। এ দিনে হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল অকুতোভয় নূর হোসেন। তাঁর বুকে-পিঠে উত্কীর্ণ ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই জ্বলন্ত স্লোগান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান সহ্য হয়নি তত্কালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাঁর বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। এই আন্দোলনের জোয়ারে নব্বইয়ের শেষ দিকে ভেসে যায় স্বৈরাচারের তক্তপোশ। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।

যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন নুর হোসেন, তাঁর সে স্বপ্ন আজোও সফল হয়নি।

১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে, ধংশ হয়ে গেছে গনতন্ত্রের মূলমন্ত্র। তার সে অবদান কি বৃথা গিয়েছে নাকি সেটা আজ সত্যই প্রশ্নের সম্মুখীন।

আজ এই দিনে আমার সত্যই জানতে ইচ্ছে হয়, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল গুলি যেভাবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের আবেগ কে পাথর চাপা দিয়ে, গনতন্ত্র কে টুটি চেপে ধরেছে। আর এরশাদের মতও স্বৈরাচার কে আবার ক্ষমতায় দেখতো! তাতে নুর হোসেন যদি টাইম মেশিনে করে আজকের এই অবস্থা দেখতে পেতেন তাহলে তিনি কি এভাবে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতেন? নাকি সেদিন মতিঝিলে ঘরোয়া হোটেলে যেয়ে খিচুরী খেয়ে বাসায় ফিরতেন?

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, নভেম্বর, ২০১৮

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
বাংলাদেশে মানুষ কেবল শহীদ হয়ে যায়।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: দেশের জনসংখ্যা মনে হয় সত্যি বেশি হয়ে গেছে........

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আজ আরেকজন শহীদ নূরের দরকার। যে হাজারো নূরকে প্রেরণা দিবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: দেশের যে অবস্থা, কে বেগোরে প্রান দিবে অনর্থক? কোন লাভ নেই। আগে সবার মানষিকতার পরিবর্তন দরকার!

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: শাসক দলের কাছে গণতন্ত্র অাজ দুঃস্বপ্নের মত অাতংকিত, অথচ নূর হোসেন তাদেরই একজন কর্মী ছিল ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: মেটাফোর হিসেবেই তো পোষ্ট টা দিয়েছি, আপনি ছাড়া আর কেউ ধরতে পারেনি.......সবাই মনে হয় রাজনীতির উপর চরম ক্ষ্যাপা..........কেউ কোন কমেন্ট করে না......পুরোই ফ্লপ পোষ্ট। আশা করেছিলাম এতে ব্যাপক আলোচনা করা যাবে..........
ধন্যবাদ আপনাকে....।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: খামাখা জীবন দিলো নূর হোসেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই আপনি আসল কথাটা বললেন, ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নূর হোসেনের মৃত্যুর সময় আমি ছিলাম একজন ছাত্র | অন্যান্য ছাত্রদের মতো আমারও এরশাদের প্রতি ছিল চরম ক্ষোভ ও ঘৃণা | রাজপথে মিছিলে মিছিলে পার করে দিয়েছি আমার যৌবনের অনেক মূল্যবান সময় | কিন্তু চরম বিস্ময়ের সাথে দেখতে হলো আন্দোলনের পিঠে কুড়াল মেরে হাসিনা এবং আরো অনেক নেতানেত্রীরা এরশাদের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিলেন | সেলিম, দেলোয়ার, নূর হোসেনের রক্তের সাথে বেইমানি করে শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে রাজনীতিবিদরা যে আন্দোলনকারী জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে তা দেখার দুর্ভাগ্য আমার হলো | এর পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেই সার্কাসই আমি দেখি আমি আর বিস্মিত হই না, কারণ আমি খুব ভালো করেই জানি এরা সবাইই হালুয়ারুটির ভাগ নিয়ে কামড়াকামড়িতে লিপ্ত | আর করুণা বোধ করি সকল দলকানা সমর্থকদের যারা এই সকল লূটেরাদের দেবতার আসনে বসিয়ে পূজা করে থাকেন |

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক আপনার মতো আমিও ছিলাম ছাত্র। ঢাকার রাজপথে আমিও শ্লোগান দিয়েছিলাম এই গন আন্দোলনে, চোখের সামনে এরশাদের পতন দেখেছি, দেখেছি কিভাবে একে আওয়ামীলীগ আবার কিভাবে এর পাছায় কাপড় দিয়ে ঢেকে দিল.....৮৬ এর বেইমান কাকে বলে নিশ্ছয় এখনো ভূলে যান নি....লং ড্রাইভে কে যেত এরশাদের সাথে? বাংলাদেশের মানুষ হলো বেইমান। এরা খুব তাড়াতাড়ি ইতিহাস ভূলে যায়......এই জন্যই আজকে দেশের মানুষের এই অবস্থা.............এই একটা দলের জন্যই আজ পুরো দেশের এই অবস্থা,,,,,,,,,,,,,,,,,সাধে কি ১৯৭৫ এ........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.