নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
নাহিদ হাত ঘড়ির দিকে তাকাল, এগারোটা বেজে দশ মিনিট। মেয়েটা তো এখানে আসতে কোন দিন এত দেরী করে না? ও আজকে কি ভার্সিটিতে আসেনি? হায় হায়, বেছে বেছে আজকেই আসেনি? এমনই কপাল খারাপ হয় কারো? ও মনে মনে ঠিক করে এসেছিল মেয়েটার সাথে আজকে কথা বলবেই! আরও কিছুক্ষন দেখা যাক, ড্যাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনের নীচু বাউন্ডারি ওয়ালের উপর অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে রইল নাহিদ…….
এক
সিঙ্গাড়াটা কামড় দিয়ে নাবিলা সাথে সাথেই বুঝলো বিরাট ভূল হয়ে গেছে, তাড়াহুড়ো করা ঠিক হয়নি। যথেষ্ট গরম এখনও, মুখের ভিতর গরম আলু গুলির উত্তাপ হারে হারে টের পাচ্ছে ও। এত ছেলেমেয়েদের সামনে মুখ থেকে বের করে ফেলেও দেয়া যাচ্ছে না! কি বিপদ?
-আপনি চাইলে আমি ফু দিয়ে সিঙ্গাড়াটা ঠান্ডা করে দিতে পারি?
নাবিলা হতভম্ব হয়ে সামনে দাড়ান ছেলেটার দিকে তাকাল। এই চিজ আবার কোথা থেকে আসল? চরম বিরক্তি নিয়ে নাবিলা মুখের ভিতরের গরম সিঙ্গাড়ার অংশটুকু গিলে ফেলে সামনের ছেলেটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার দেখল।
-আপনাকে এই জনহিতকর কাজটা কে করতে বলেছে?
-কেউ না, আপনার খেতে কষ্ট হচ্ছে, সেজন্য বললাম। এভাবে মুখে খাবার নিয়ে দাড়িয়ে থাকলে নেক্সট ক্লাস নিশ্চিত মিস করবেন, এমনিতেও সিঙ্গাড়া খেতে আসতে আজকে লেট করেছেন!
কথা অতিশয় সত্য, ক্লাস থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসতেই মিথিলার সাথে দেখা। দাড়িয়ে কথা বলতে যেয়ে আসলেই দেরী হয়ে গেছে কিন্তু এই ছেলে আমার ডেইলি রুটিন জানলো কিভাবে? এটাতো অতিব চিন্তার বিষয়! এই ছেলের তো কিছু খোঁজ খবর নেয়া দরকার, ওকে ফলো করছে নাকি?
-আপনি কি আমাকে চেনেন?
-জী, চিনি, বেশ ভালো ভাবেই চিনি!
-তাই, আচ্ছা, বলুন দেখি আমার পরিচয়?
-আপনি নাবিলা, পুরো নাম নাবিলা হক। তৃতীয় বর্ষ মনোবিজ্ঞানে পড়ছেন। বাসা শ্যামলি আদাবরে। বাবা আরেফিন হক, সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ে ডেপুটি সেক্রেটারি, মা রাশেদা হক, গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে আপনিই বড়, ছোট মৃদুলা হক, হলিক্রসে পড়ে, ফার্স্ট ইয়ার সাইন্সে। আরও কিছু শুনতে চান?
কি তাজ্জব ব্যাপার? এই ছেলে আমার বায়োডাটা পেল কোথা থেকে? যা বলেছে এতেই তো ওর মাথা ঘুরে পরে যাবার মতো অবস্থা! আবার বলছে আরও কিছু শুনতে চান নাকি? নাবিলা খুব দ্রুত চিন্তা করা শুরু করলো, ঘটনা কি? কিভাবে সম্ভব এটা? এই ছেলেকে কি ওর বিয়ের জন্য সিভি দেয়া হয়েছে? মনে হচ্ছে না! এরকম কিছু হলে অবশ্যই আগে ওকে বাসায় জানাতো! এই প্রবলেম সলভ না করে নেক্সট ক্লাসে যেয়ে কোন লাভ হবে না, কিছুই মাথায় ঢুকবে না।
নাহিদ নিজের উপর খুব খুশি হলো। পারফেক্ট স্টার্টিং, ঠিক এমনটাই ও চেয়েছিল। পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে নাবিলা এখন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এই ঘোর না কাটা পর্যন্ত নাবিলা ওকে নিয়ে ভাবতে থাকবে। এই মেয়ে নিজেকে অতিশয় বুদ্ধিমতি মনে করে। এখন দেখা যাক এর বুদ্ধির ঢেঁকি আসলে কত বড়!
-আমার বায়োডাটা আপনাকে কে দিয়েছে?
-আমি বানাচ্ছি তবে এখনো পুরাপুরি শেষ হয়নি।
-কি? আপনি আমার বায়োডাটা বানাচ্ছেন? কেন?
-আমার ইচ্ছা, তাই। ইচ্ছে করলে আপনিও আমাকে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে কাজটা আমার জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে।
-আমার বায়োডাটা দিয়ে আপনি কি করবেন?
-আপনি না মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী? বুঝতে পারছেন না? পড়াশুনা করেন নাকি ফাঁকিবাজি করে বেড়ান?
-আপনি আমার বায়োডাটা বানাচ্ছেন, আমি স্টুডেন্ট কেমন সেটা জানেন না?
- জী, জানি। সেজন্যই তো বললাম। মনোবিজ্ঞান ক্লাসের ফার্স্ট স্টুডেন্টের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তো আসলেই ভয়াবহ ব্যাপার?
নাবিলা কিছুটা দ্বিধার মধ্যে পড়ে গেল। এই ছেলে ইচ্ছে করেই ওর সাথে মাইন্ড গেম খেলছে। ওকে ঘাটাঘাটি করার সাহস পেল কোথা থেকে? সবাই তো ওর সাথে কথা বলার আগে দশবার ভেবে চিন্তে কথা বলে, আর এই ছেলে কিনা গায়ে পড়ে লাগছে। ব্যাপারটা ইন্টেনশনাল। এই ছেলে গভীর পানির মাছ। এই সাবজেক্টের মেয়েদের দেখলে ছেলেরা এমনিতেই দৌড়ের উপর থাকে! আচ্ছা, এই ছেলে কত বড় চীজ এটা ওর বের করতেই হবে!
-দেখিতো আমার বায়োডাটা, কতটুকু করতে পেরেছেন?
-আপনাকে দিতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু এটা যে অবস্থায় নিবেন ঠিক সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা আগে দিতে হবে।
-কেন, এমন কিছু কি লিখেছেন যে পড়ার পর ফিরত নাও দিতে পারি? লিখছেন তো আমার বায়োডাটা? এর মধ্যে কি আবার অন্য কিছু ঢুকিয়েছেন নাকি?
নাহিদ খুব সুন্দর একটা হাসি উপহার দিল নাবিলাকে, রহস্যময় হাসি। নাবিলা সাথে সাথেই বুঝল, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। এই জিনিস ওকে যেভাবেই হোক দেখতেই হবে। এই ছেলেকে খেপালে এই জিনিস দেখা যাবে না।
-উলটা পাল্টা কোন কিছু না পেলে অবশ্যই ফেরত পাবেন।
নাহিদ কয়েক সেকেন্ড নাবিলার দিকে তাকিয়ে থেকে কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ থেকে একটা ছোট লেদার কাভারের ডায়েরি বের করে নাবিলার হাতে দিল। নাবিলা ডায়েরিটা নিয়ে সাথে সাথেই ওর ব্যাগের মধ্যে রেখে দিল। প্রায় সব মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের গভীর আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা হুট করে নিভে যায়। এরা মনে প্রানে বিশ্বাস করে ছেলেদের বেশি পাত্তা দিতে হয় না, দিলেই মাথায় উঠে যাবে।
-এখন দেখবেন না?
-আমার যখন সময় হবে তখন দেখব!
-কবে আর কিভাবে ফিরত পাব?
-আগে পড়ে দেখি এর ভিতরে কি আছে?
নাবিলা বেশ অবাক হলো যখন দেখল ছেলেটা আর কোন কথা না বলে চলে গেল। মাইন্ড করল নাকি? ধ্যাত, করলে ওর কি যায় আসে? সিঙ্গাড়াটা ইতিমধ্যেই ঠান্ডা হয়ে গেছে, নাবিলা মনোযোগ দিয়ে সেটা খেতে শুরু করল। পরপর আরও দুইটা ক্লাস আছে, খালি পেটে ক্লাসে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়া যাবে না……
দুই
সেদিন সকাল বেলা কলাভবনের গেইট দিয়ে ঢুকেই অন্য কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা ওর ডিপার্টমেন্টের করিডোর ধরে হাঁটা শুরু করলাম। কিছু দূরে তাকিয়ে দেখি নাবিলা কয়েকটা মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। একটা লাল রঙের শাড়ি পড়েছে আজকে। মেয়েটা এত সুন্দর কেন? একবার দেখলে শুধু দেখতেই ইচ্ছা করে! কি সুন্দর করে যে হাত পা নেড়ে নেড়ে কথা বলে! ইচ্ছে করে মেয়েটার খুব কাছে আসতে, ওকে না বলা ভালোবাসার কথা গুলি বলতে, ইচ্ছে করে ভালোবাসতে, ওর ভালোবাসা পেতে….। ওর ব্যস্ত ঠোঁট, বড় বড় দুইটা চোখ আর ওর মুখের খুব সুন্দর হাসিটা দেখে সাথে সাথেই আমার মনটা উদাস হয়ে গেল।
মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে তুমি পাগল করে দিলে
তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব ঐ আকাশের নীলে,
তোমার জন্য আমার বুকে অনেক অনেক আশা
সারাজীবন ধরে শুধুই চাই তোমার ভালোবাসা।
মনটা আমার দিলাম তোমায় যতন করে রেখ
বুকের মাঝে ভালোবেসে আমার ছবি এঁকো,
অনাগত স্বপ্নগুলি আর সাঁজিয়ে দিলাম আশা
ফিরিয়ে কি দেবে তুমি আমার ভালোবাসা?
সেইদিন রাত এগারোটার সময় এই অংশটুকু পড়ে রীতিমত ভিমরি খেল নাবিলা। হতভম্ব হয়ে কবিতাটা দ্বিতীয় বার পড়ে আবার একটা বিষম খেল ও! এত দেখি রীতিমতো এক প্রেমিক কবি এসে হাজির, সর্বনাশ! বেডে শুয়ে ঘুমানোর আগে কেবল ছেলেটার ডায়েরিটা খুলেছে ও। ডায়রিটার প্রথম অংশে সাদামাটা ভাবে ওর বায়োডাটা লেখা। ছন্নছাড়া ভাবে বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন জায়গায় লেখা, মনে হচ্ছে ভালই কষ্ট আর সময় লেগেছে জোগাড় করতে। কিন্তু এত মেয়ে থাকতে নাবিলা কেন? এটাই আগে বের করা দরকার! ডায়রির পিছনে আরও অনেক কিছু লেখা। সেখান থেকে র্যানডম একটা পেজ বের করে নাবিলা কেবল পড়া শুরু করেছিল। হাফ পেজ পড়েই ওর এই অবস্থা! আল্লাহই জানেন, না জানি ভিতরে আর কি কি আছে! এখন তো মনে হচ্ছে ওকে এই লেখাগুলি পড়ানোর জন্যই সকাল বেলা এই অতিশয় বুদ্ধিমান ছেলেটা সিঙ্গাড়ার ফু কাহিনী তৈরি করছে। ভালোই বেকুব বানিয়েছে ওকে, রীতিমত শকিং এক্সপেরিয়েন্স! ডায়রির দ্বিতীয় পেজে ছেলেটার নাম লিখা, নাহিদুল ইসলাম, ডাক নাম নাহিদ। ডায়রিতে লেখা প্রেমের কিছু কিছু ডায়ালগগুলি আসলেই কঠিন। নাহ, সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, কোন ভাবেই তাড়াহুড়া করা যাবে না……..
তিন
নাবিলার খালার বাসার ছাদেই প্রথম নাবিলাকে দেখে নাহিদ। পাশের বিল্ডিংটাই ওদের। বিকেল বেলা হাতে কোন কাজ নেই দেখে ছাদে এসে বসতেই ও শুনতে পেল অসম্ভব সুন্দর করে কে যেন ওর সবচেয়ে পছন্দের কবিতাটা (মহাদেব সাহার মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস, বইঃ ধূলোমাটির মানুষ) আবৃত্তি করছে। কান খাড়া শুনল নাহিদ। চমৎকার আবৃত্তি, অসাধারণ কন্ঠস্বর। নিস্তব্ধ পরন্ত বিকেল বেলায় মনোমুগ্ধকর এই আবৃত্তি নাহিদের মনটাকে সাথে সাথেই ব্যাকুল করে দিল। ছাদের একদম কিনারায় এসে দেখতে পেল ওর দুই প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীকে এক অপরূপা কবিতা আবৃত্তি করে শুনাচ্ছে। সেই দিন টানা চারটা কবিতার আবৃত্তি শুনল নাহিদ। নিজে লেখালিখি করলেও আবৃত্তি করার কন্ঠ নেই ওর। শুধু মনে হচ্ছিল এই অপরূপাকে দিয়ে যদি ওর সেরা কিছু কবিতা একবার আবৃত্তি করানো যেত, ইস! শেষ বিকেলের আলো যেন মেয়েটাকে অন্যরকম একটা অপার্থিব সৌন্দর্য্য দিয়ে ঘিরে রেখেছিল। এই অপার্থিব সৌন্দর্য্য এড়িয়ে যাবার ক্ষমতা নাহিদের ছিল না। কাউকে ভালোবাসা বাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, এক মুহূর্তই যথেষ্ট! কোন কিছু বুঝার আগেই নাহিদ নাম না জানা এই অপরূপা আবৃত্তিকারের প্রেমে পড়ে গেল!
অল্পকিছুদিন ধরেই ওর বাসায় বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছিল। বুয়েটে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর নাহিদ এখন বাইরে চলে যাচ্ছে হায়ার স্টাডিজের জন্য। নাবিলাকে দেখে সাথে সাথেই ওর মাথা নষ্ট অবস্থা। সেইদিনই রাতের বেলা নাহিদ সোজা নাবিলার খালার কাছে যেয়ে হাজির। উনার দুই ছেলেমেয়েকেই ও পড়াত একসময়। উনি খুব ভাল করে চেনেন নাহিদকে। পাত্র হিসেবে ও খুবই যোগ্য ছেলে কিন্তু চরম একটা দুঃসংবাদ শুনল নাহিদ। লেখাপড়া শেষ করার আগে কোন ভাবেই বিয়ে করবে না নাবিলা। ছাত্রী হিসেবে খুবই ভালো রেজাল্ট, বাসায় এজন্য এটা মেনে নিয়েছে। বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে কনর্ফাম রিজেক্ট হবে। একমাত্র অপশন হলো এই মেয়েকে প্রথমে রাজি করাতে হবে। মেয়ের সাবজেক্ট আর দৃঢ়চেতা স্বভাবের কথা শুনে একটু ভয় পেল নাহিদ। কিন্তু, প্রেমের জন্য মানুষ কি না পারে? ওর হাতে আছে মাত্র দেড় মাস। এর মধ্যেই নাবিলার মন জয় করে ওকে বিয়ে করে ফেলতে হবে। এই মেয়েকে দেশে রেখে গেলে কোনদিনও ফিরে এসে পাওয়া যাবে না। ভার্সিটির পিএল ফর এক্সাম ফাইটের মতো প্রিপারেশন নিয়ে মাঠে নামল নাহিদ। জীবনে কত ভয়ংকর সব কঠিন কাজ করেছে ও, আর ভালোবাসা দিয়ে একটা মেয়ের মন জয় করতে পারবে না? ও এই চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করল। নাবিলার খালাকে এই প্রস্তাব দিতেই উনি রাজি হয়ে গেলেন সাহায্যের জন্য। ছেলেটাকে উনি এমনতেই পছন্দ করেন। নিজের মেয়ে বড় থাকলে তো অনেক আগেই এর সাথে বিয়ে দিয়ে দিতেন। প্রায় পনের বছর ধরে এই ছেলেকে চেনেন উনি। নাবিলাকে ওর পছন্দ হয়েছে শুনে উনি খুব খুশি হয়ে গেলেন। আর নাহিদও প্রেমের পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করল…………
তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই একটা অনবদ্য প্রেমের কবিতা
যেই কবিতার প্রতিটি বর্ণে-ছন্দে-মাত্রায়,
উচ্চারিত হবে আমার গুপ্ত প্রেমের অব্যক্ত কথামালা।
ভালোবাসার সেই অতলান্তিক পংক্তি গুলিতে
তোমাকে নিয়ে পাড়ি দেব আমি যোজন যোজন দূরত্ব,
কিংবা হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে
সাজাব অনুরাগে শিহরিত কিছু চতুর্দশপদী কবিতার লাইন।
চার
প্রায় পাঁচ দিন ধরে নাবিলা ওকে নিয়ে লেখা ফিদা কাহিনী খুব মনোযোগ দিয়ে বারবার পড়ল। লেখাগুলি খুব আবেগ নিয়ে লিখেছে, কাঁচা প্রেমে পড়লে যা হয় আরকি? তবে লেখার মাঝে মাঝে কবিতাগুলি দুর্দান্ত। প্রায় প্রতিটা কবিতাই ওকে মুগ্ধ করেছে। এই নশ্বর পৃথিবীতে ওকে নিয়ে যে কেউ ভালোবেসে কবিতা লিখবে, তাও আবার এত দারুন সব কবিতা, এটা নাবিলা কখনো কল্পনাও করেনি। নাবিলা যে কবিতা পছন্দ করে, সেটা মনে হয় ছেলেটা জানে। ওর মাথা নষ্ট করার জন্য সর্বোচ্চ চেস্টা করেছে, আপাতত ওর কাছে মনে হচ্ছে কিছুটা সফলও হয়েছে। ওর নব্য প্রেমিক কবি কে নিয়ে কি করা যায় ভাবছে ও? ছেলেটা দেখতেও একেবারে মন্দ নয়, ডায়রির একদম শেষ পাতায় আবার অনুরোধ করেছে নাবিলার খালার কাছে রাখা একটা চিঠি পড়ার জন্য। নির্ঘাত আরও একটা গদগদ প্রেমের চিঠি হবে, ঐটা পড়ার লোভ ও কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারছে না! খালার কাছে ওর এমনিতেই যেতে হবে এই ছেলের ভালোমত খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। নাহ, কালকেই ভার্সিটি থেকে সরাসরি ওর খালার বাসায় যেতে হবে…..
খালার বাসায় নাহিদের আদ্যপান্ত খুব মনোযোগ দিয়ে শুনল নাবিলা। ছেলের আর ফ্যামিলির সব কিছু শুনে নাবিলা খুব ভালো করেই বুঝল, এই প্রস্তাব ওর খালা নাবিলার বাসায় দিলে ওর বাসায় সাথে সাথেই রাজি হয়ে যাবে। ছেলে বিয়ের পাত্র হিসেবে খুবই ভালো কিন্তু ও তো এখন বিয়ে করবে না। আবার এই প্রেমিক কবিকে তো মুখের উপর সরাসরি না বলতেও ইচ্ছে করছে না। কি করা যায়? নাহিদের চিঠিটা আগে পড়ে দেখি ভাবল নাবিলা, তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে…………
প্রিয় নাবিলা,
আপনি যখন এই চিঠিটা পড়ছেন ততক্ষনে নিশ্চয়ই আমার হাতে লেখা ডায়েরিটাও পড়ে ফেলেছেন! সুতরাং আপনি ইতিমধ্যেই আমার মনের সব কথা জেনে গেছেন। আমি এমনিতেই খুব লাজুক স্বভাবের ছেলে। এত গুলি কথা আপনার সামনে যেয়ে হয়ত কোনদিন বলতেও পারতাম না। কোনদিন কোন মেয়েকে প্রোপজ করে তাকে আবার এই স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজিও করাতে হবে এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। আমি প্রথমেই আপনার কাছে হার মেনে নিচ্ছি। আপনাকে কনভিন্স করানো আমার পক্ষে সম্ভব না। এই প্রায় অসম্ভব চেস্টা আমি করবোও না।
আপনার সাথে সাত বার দেখা হবার প্রায় পুরো কাহিনীই আমি লিখে ফেলেছি, সম্ভবত শেষবার দেখাটা লিখতে পারিনি কারন ডায়েরিটা ইতিমধ্যেই আমি আপনার কাছে দিয়ে দিয়েছি। এই ডায়রিটা লেখার সময় আমার মনে যা যা এসেছে সেটাই লিখে গেছি। এর প্রতিটা বর্ণ, প্রতিটা বাক্য আমার মনের অব্যক্ত ভাললাগার অনুভূতিগুলিকে আপনার কাছে তুলে ধরেছে। এর চেয়ে ভালো কোন পন্থা আমার মাথায় আসেনি।
নাবিলা, আমি আপনাকে অসম্ভব ভালোবাসি। আপনাকে ভালোবেসে বিয়ে করে আমার স্ত্রী হিসেবে এই পৃথিবীতে সর্বোচ্চ যতটুকু সম্মান দেয়া যায় তার সবটুকু দেবার প্রতিশ্রুতি আমি দিলাম। এই চিঠিটা সেটার প্রমান হয়ে থাকবে আপনার কাছে। আমার ভালোবাসা আপনার লেখাপড়া চালিয়ে নেবার পথে কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। আমি হিসেব করে দেখেছি, আমার মার্স্টাস শেষ হবার পরপরই আপনার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হবে। আমি ইউনিভার্সিটি অফ কালিফোর্নিয়া – লস আঞ্জেলস এ যাচ্ছি পড়াশুনা করার জন্য। আপনি নিশ্চয়ই জানেন এটা এই মুহূর্তে মনোবিজ্ঞানের উপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য খোদ ইউএসএ তেই র্যাংকিং এ ৩য়। আপনার রেজাল্ট খুবই ভালো। আপনাকে আমি কথা দিচ্ছি, আপনাকে আমি ঠিক এইখানেই মার্স্টাসে ভর্তি করে দেব। নিজের প্রিয়তমার জন্য এতটুকুও কি আমি করতে পারব না, বলুন? এতে তো আমারই লাভ, আপনি আমার কাছে থাকবেন। এর চেয়ে বেশি আর কি চাইবার আছে আমার এই ছোট্ট জীবনে…….
নাবিলা, সেদিন আপনাকে নীল শাড়ি পরে আপনার খালার বাসার ছাদে কবিতা আবৃত্তি করতে শুনলাম। কি যে সুন্দর লাগছিল আপনাকে! আমার জানা কোন ভাষা বা শব্দই সেটা প্রকাশের উপযুক্ত নয়! ইচ্ছে করছিল ছুটে আপনার কাছে চলে যাই। কতটা কষ্ট হয়েছে নিজেকে ধরে রাখতে সেটা শুধু আমি আর আমার উপর আল্লাহই জানেন। আমার বাসার ছাদে বসে ঠিক সেই মুহুর্তেই আপনাকে নিয়ে এটা লিখেছি, এত ভালো আবৃত্তিকারকে এটা কবিতা বলার সাহস আমার নেই।
আমি একবার তোমার কাছে আসতে চাই,
তোমার চোখের কাজল কালো দিঘীতে
.....আমি আজীবন ডুব সাতার কাটতে চাই!
আমি একবার তোমার চুলের সুঘ্রান নিতে চাই,
তোমার চুলের মাতাল করা সুবাসে
...........একবার পাগল হয়ে যেতে চাই!
আমি একবার তোমার অধর স্পর্শ করতে চাই,
তোমার উষ্ণ ঠোঁটের সিঞ্জনে
.......আমি একেবারে ফতুর হয়ে যেতে চাই!
আমি একবার তোমাকে কাছে পেতে চাই,
তোমার প্রেমের উষ্ণ শিহরনে আমি, প্রতিটা মুহুর্তে
.......নতুন করে আবার বেঁচে থাকতে চাই!
আমি তোমাকে একবার ভালোবাসতে চাই,
তোমার প্রেমের অতৃপ্ত সরোবরে, ছোট্ট আমার জীবনটা
……....তোমাকে নিয়েই কাটিয়ে দিতে চাই!
আমি আরেক বার আপনার সাথে দেখা করতে চাই, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব। সময় খুবই স্বার্থপর, খুব দ্রুতই হয়ত আমাকে আপনার কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিতে চাইবে………
পাঁচ
লেখাপড়া শেষ করে রাতে নাবিলা বিছানায় ঘুমাতে যাচ্ছে, কালকে একটা পরীক্ষা আছে। মশারি গুঁজছে এমন সময় মোবাইলটা বেজে ওঠল, এত রাতে কে ফোন করল? অপরিচিত নাম্বার দেখে বিরক্ত লাগলো নাবিলার, কৃত্রিম রাগ গলায় এনে জিজ্ঞেস করলো-
-কে?
নরম গলায় নাহিদ হাসতে হাসতে বললো-
-আপনার বিরহে বিক্ষুব্ধ প্রেমিক। আমার ভয়ে কি ভার্সিটিতে সিঙ্গাড়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন নাকি?
কথা অতিশয় সত্য, ইচ্ছে করেই গত কয়েকদিন ও ডাসের ধারে কাছেও যায়নি। এই ছেলের বিরহ আর প্রেমের গভীরতা কতটুকু সেটা ওর জানা দরকার ছিল আর তাছাড়া নাহিদের লেখাগুলি ওকে ভালোই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এই অনিশ্চয়তার মুহুর্তে ও নাহিদের সামনে কোনভাবেই পড়তে চাচ্ছে না।
-আজ নিয়ে সাত দিন হলো আপনার গলাও শুনি না আর চেহারাও দেখি না। খুব অস্থির অস্থির লাগছিল, ভাবলাম একটু কথা বলি। আপনার কন্ঠ শুনার পর নিশ্চয়ই এখন আমার সুন্দর একটা ঘুম হবে, মিষ্টি একটা স্বপ্নও দেখবো আপনাকে নিয়ে।
নাবিলা চুপ হয়ে গেল কথা গুলি শুনে। ইচ্ছে করছিল ওকে নিয়ে শেষ কবিতাটায় উলটা পালটা কিছু লাইন লেখার জন্য কঠিন একটা ধমক দিতে, এই সব নব্য প্রেমিকদের সব সময় কঠিন ঝাড়ির উপর রাখতে হয়। কিন্তু নাহিদ এতো সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলল যে, এরপর আর কিছুই বলতে ইচ্ছা করল না ওর।
-আমার ডায়েরিটার সব কিছু কি পড়া শেষ হয়েছে?
-হুম, তবে এর মধ্যে অনেক উলটা পালটা কথা আছে।
-উলটা পালটা কথা গুলির জন্যই তো আপনাকে পড়তে দিয়েছি। যেটা যেটা বুঝতে পারেন নি, বলুন আমাকে? সুন্দর করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
-কালকে আমার পরীক্ষা। আজকে রাতে নতুন কিছু আর বুঝতে চাচ্ছি না।
-তাই, আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার খালার কাছে আপনার জন্য একটা চিঠি রেখেছিলাম, পেয়েছেন সেটা?
-হুম, পেয়েছি। পড়েও ফেলেছি। কবিতাটা ভালো হয়েছে।
-সত্য বলছেন? আমি তো খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম।
-আপনি কবিতা বেশ ভালোই লিখেন।
-তাই! তাহলে কি এই অধম কবির ব্যাপারে আপনি কি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন?
-এখনও না, আমার টিউটোরিয়াল চলছে, আমি ব্যস্ত লেখাপড়া নিয়ে, আমার কিছুটা সময় লাগবে।
-তাহলে আর এখন আপনাকে বিরক্ত করব না, শুভ রাত্রি। I wish you a sweet and beautiful dream tonight.
খুট করে একটা শব্দ করে ফোন লাইনটা কেটে গেল। নাম না জানা একটা অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি হলো নাবিলার মনে। ঠিক তার সাথে ভাললাগার দোলাচলে মিষ্টি মিশ্র এক অনুভূতি নিয়ে সেই রাতে ঘুমাতে গেলো নাবিলা…
ছয়
রোকেয়া হলের পাশ দিয়ে সামনে নীলক্ষেতের দিকে এগিয়ে গেলে বাম দিকের যেই রোডটা ব্রিটিশ কাউন্সিলের দিকে চলে গেছে, ঠিক সেই রোডের মাথায় নাহিদকে অপেক্ষা করতে বলেছিল নাবিলা। ওর খুব লজ্জা লাগছিল, ডিপার্টমেন্টের সামনে বা ডাসের সামনে দাড়ালে পরিচিত কেউ না কেউ ওদের দেখবেই। তাছাড়া, এই রোডটা নাবিলার খুব পছন্দের একটা জায়গা, হাতে সময় পেলেই বান্ধবীদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসে ও। একটু দূর থেকেই নাবিলা দেখল ওর প্রেমিক পুরুষ সবুজ রংয়ের পাঞ্জাবি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবুজ নাবিলার খুব পছন্দের রং। তাই এত দূর থেকেই নাবিলার মনটা ভালো হয়ে গেল। ছেলেটা খুবই বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিমান ছেলেদের ও দারুন পছন্দ করে। সামনে যেয়ে দাড়াতেই নাহিদ এক গুচ্ছ রক্তলাল গোলাপ উপহার দিল ওকে। নাবিলা সাথে সাথেই গোলাপের সংখ্যা গুনল, পাঁচটা। গোলাপ উপহারের জন্য পাঁচ হচ্ছে একটা ম্যাজিকেল নাম্বার। কোন মেয়েকে যদি কখনো পাঁচটা গোলাপ দিয়ে প্রপোজ করা হয় তাহলে সেই মেয়ে নাকি না বলতে পারে না। নাহিদ আজকে বেশ আঁটঘাট বেঁধেই এসেছে বুঝা যাচ্ছে, ওর মন হরনকারী আর কি কি কাজ নাহিদ করতে পারে সেটা নাবিলার দেখতে ইচ্ছে করছে। প্রেমে পরলে ছেলেরা পারেনা এমন কোন কাজ নেই! আর এই ছেলে এমনিতেই দারুন ইনোভেটিভ, যে বুদ্ধি করে বায়োডাটার নামে ওকে নিয়ে লেখা একগাদা প্রেমপত্র পড়িয়ে ওর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে! হাতের গোলাপ ফুল গুলিতে ভাল করে তাকাল নাবিলা, কোন কাঁটা আছে নাকি?
-আমি এখানে আপনার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে সব কাঁটা ভেঙ্গে ফেলেছি। আপনি খোপায় ফুল পড়তে খুব পছন্দ করেন, এটা আমি জানি।
নাবিলা ওর হাতের ব্যাগটা নাহিদের হাতে দিয়ে খোপায় গোলাপ ফুল গুলি গুঁজে নিল আর ওর ব্যাগটা ফেরত নিয়ে খুব সুন্দর একটা হাসি গিফট করল নাহিদকে। খোপায় গোলাপ ফুল সহ নাবিলাকে দেখে হঠাৎই নাহিদের মনে হল স্বর্গের সবচেয়ে সুন্দরী অপ্সরীটাই ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। নাবিলার হাসিটা যেন ওর মাথা সাথে সাথেই নষ্ট করে দিল। মুহূর্তের মধ্যেই ও নাবিলার হাত দুটি নিজের দুই হাতের মাঝে নিয়ে অস্ফুটে স্বরে বলল-
-নাবিলা, আমি আপনাকে ভালোবাসি, অসম্ভব ভালোবাসি। আমার বুকে ঢুক ঢুক করা এই হৃদপিন্ডটা যদি বের করে এনে আপনাকে দেখাতে পারতাম, তাহলে দেখতেন সেটার সারা জায়গায় শুধু আপনারই নাম লেখা। এই হাত দুটি ধরে সারা জীবন শুধু আমি আপনাকেই ভালোবেসে যেতে চাই, আর কিচ্ছু চাইনা। আপনি আমাকে ভালোবাসার যেই পরীক্ষাই নিতে চান আমি সেটাতেই রাজী, তাও আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।
নাহিদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখে নাবিলা হতম্ভব হয়ে গেল। এই ছেলের অবস্থা যে খারাপ সেটা ও নাহিদের লেখাগুলি পড়েই বুঝেছিল, কিন্তু বাস্তবে তো মনে হচ্ছে নাহিদের মাথা ভালোই নষ্ট হয়েছে দেখি। নাহিদের এই গদগদ প্রেমের ডায়ালগ শুনতে অবশ্য ওর মন্দ লাগছে না। ছেলেটাকে ওর অপছন্দ হয়নি, চিঠির সাথের শেষ কবিতাটা কঠিন লিখেছে। ঐটা পড়ে ওর প্রায় হৃদকম্পন শুরু হয়ে গিয়েছিল। মেঘ না চাইতেই ঢাক গুরগুর অবস্থা!
-ডায়রির মধ্যে লেখা সব কবিতাই কি আপনি লিখেছেন?
লজ্জায় নাহিদের মুখ চোখ লাল হতে গেল। অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে নাবিলার দিকে তাকিয়ে বলল-
-আমি কি আর কবিতা লিখতে পারি? কি যে বলেন না আপনি? উল্টো পালটা কিসব লিখেছি আর আপনি বলছেন সেগুলি কবিতা!
নাবিলা হেসে দিল এই কথাগুলি শুনে। নাবিলা কবিতা খুব ভালো আবৃত্তি করতে পারে, কোনটা কবিতা আর কোনটা নয় সেটা ও ভালো করেই বুঝে।
-আমাকে নিয়ে এই পর্যন্ত কয়টা কবিতা লেখা হয়েছে?
-উঁহু, এটা বলা যাবে না। আমার মনের ভিতরে এসে আপনাকে গুনে নিতে হবে!
লজ্জায় মাথা নীচু করে ফেলল নাবিলা। হুট করে নাহিদ এমন সব কথা বলে বসে যে ওর লজ্জায় মরি মরি অবস্থা! নাহিদ এখনও নাবিলার হাত দুটি ছেড়ে দেয় নি, কেন জানি ওর মনে হচ্ছে নাবিলা ছাড়াতেও চাচ্ছে না। এক বুক ভরা ভালোবাসা চোখে নিয়ে ও নাবিলার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল-
-নাবিলা, আমি খুব একা। জীবনের এই নিঃসঙ্গ অথৈ সাগরের মাঝে আমি এক বুক ভরা হাহাকার নিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছি। এক মুঠো স্বস্তির নিশ্বাসও কি আমি আপনার কাছে চাইলে দেবেন না?
অতর্কিত এই প্রেমের আহবানে নাবিলার বুকটা অপ্রত্যাশিত আবেগের শিহরণে তোলপাড় হয়ে গেল। ভালোবাসা আহবান হঠাৎই মানুষকে বিহবল করে তুলতে পারে, হৃদয়ের অন্ত:করনে প্রশান্তির পসরা সাজাতে পারে, আকর্ষণের তীব্র ছায়ায় আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে, ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে কল্পলোকের অথৈ অতলে। নাহিদের যে সাত সমুদ্র ভালোবাসা ওকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনুরাগে, সেটা কি এড়িয়ে যাওয়া সত্যই ওর পক্ষে সম্ভব?
নিজের মনের উপর নাবিলার অসম্ভব বিশ্বাস ছিল যে হুট করে কেউ এসে ওর মনের দখল নিয়ে যেতে পারবে না। একজন সত্যিকারের রাজকুমারই পারবে এসে ওর মনের ঘরের চাবি ওর কাছ থেকে কেড়ে নিতে। কিন্তু সেই কল্পনাকেও যেন হার মানাল নাহিদের প্রেমের আকুতি! এভাবে সত্যি সত্যিই ওর আসল রাজকুমার না চাইতেই চলে আসবে আর ওর মনের বদ্ধ দুয়ার চাবি কেড়ে নিয়ে খুলে দেবে, তা নাবিলা কল্পনাও করেনি। নাহিদের প্রেমময় ভালোবাসার আহবান যেন নাবিলাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ওর অধর ছুঁয়ে গেল আর সাথে সাথেই নাবিলা প্রণয়ের শিহরনে কেঁপে উঠল। ভালবাসার এই হাতছানি থামিয়ে দেবার শক্তি নাবিলার নেই। ওর শীতলতায় তপ্ত হৃদয়ে হঠাৎ করেই স্পর্শ করল প্রণয়ের অনল, সেই অনলে কিছু বুঝার আগেই দগ্ধ হয়ে যায় নাবিলার হৃদয়। সেই দগ্ধ হৃদয়ে অসহ্য শিহরনের মাঝেই নাবিলা কান পেতে শুনতে পেল অনাগত ভবিষ্যতে অসম্ভব ভালোবাসায় ঘেরা জীবনের হাতছানি…….
চোখের ভাষায় ভালোবাসার অবুঝ আবদার
উচ্চারিত হয় ষোড়শীর নৃত্যেমত্ত নূপুরের নিক্কনে,
কিংবা কাঁচের কাঁকনের রিনিঝিনি পদ্যে,
অনাগত অনুভুতি কেঁপে উঠে প্রণয়ের প্রথম স্পর্শে।
সাত
নাহিদের হাতে সময় খুব কম, মাত্র দশ দিন পরেই ওর ফ্লাইট ইউএসএ তে চলে যাবার। উইন্টার সেমিস্টার শুরু হয়ে যাবে, দেরি করার কোন উপায়ও নেই। নাবিলাকে এখনও বিয়ের ব্যাপারে কিছু বলেনি ও। এখন প্রায় প্রতিদিনই নাবিলার সাথে দেখা হয় ওর। সেদিন ডেস্পারেট হয়ে নাহিদ বিয়ের প্রস্তাব দিতেই লজ্জায় লাল হয়ে গেল নাবিলা। নাবিলা জানত আজ না কাল এই প্রস্তাব আসবেই। নাহিদেরও কোন উপায় নেই! মাথা নীচু করে ও নাহিদকে ওর বাসায় যোগাযোগ করতে বলল আর জানাল ওর কোন আপত্তি নেই বিয়েতে।
ঠিক পাঁচ দিন পরে নাবিলার বাসায় একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে বিকেল বেলা ওদের বিয়ে হয়ে গেল। সব গার্জিয়ানরা বসে গল্প শুরু করলে নাবিলা ওর বর কে নিয়ে ড্রয়িং রুম থেকে বের হয়ে ছাদে চলে এল। বিকালটা তখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। হাতে হাত ধরে ছাদে অনেকটা সময় দাড়িয়ে শেষ বিকেলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে দুইজন। আকাশ কিছুটা মেঘলা! হঠাৎ বয়ে যাওয়া দমকা বাতাস ওর মনটাকে ছুয়ে যাচ্ছে, কি যে ভালো লাগছে! বিশুদ্ধ বাতাসে জোরে একটা শ্বাস নিল নাবিলা, অসম্ভব সুন্দর মাতাল করা বাতাসের গন্ধ! দু এক ফোটা বৃষ্টির ছিটা এসে শীতল করে দিচ্ছে ওর মনটাকে। অসম্ভব ভাললাগা অনুভুতিতে ওর মন চাইছে হারিয়ে যেতে কোনো এক অজানা দেশে যেখানে থাকবে শুধু ও আর নাহিদ! এক বুক ভরা ভালো লাগা নিয়ে আজ নাবিলার কেন যেন এই মাতাল করা প্রকৃতিটাকে খুব করে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে, এই মেঘ, আকাশ, বৃষ্টি, শীতল ঠান্ডা দমকা হাওয়া সব কিছু যেন ওর খুব আপন মনে হচ্ছে! ইচ্ছে করছে চলে যেতে সেই নীল মেঘগুলোর উপরে, আরো উপরে যেখানে থাকবে শুধু ওরা দুইজন আর ওদেরকে ঘিরে থাকবে অপরূপা সৌন্দর্য……
ঊর্মির ভাঁজে গুঁড়ো নীল জলবিন্দুর উচ্ছাস
শুন্যে উঠেই একে অন্যের সাথে বিলীন হয়ে যায়,
অপ্রত্যাশিত আবেগের জোয়ার এলে
ভালোবাসায় দুই হৃদয় মিলিয়ে যায়
একে অন্যের অস্তিত্বের সাথে।
আট
এক বছর পাঁচ মাস পরের কথা। নাবিলা জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের বর্হিগমন লাউঞ্জের একটা চেয়ারে চেক-ইন করে বোর্ডিং পাশ হাতে নিয়ে বসে আছে। আর অল্প কিছুক্ষন পরেই ইমিরাট'স একটা ফ্লাইটে লস অ্যাঞ্জেলস এ যাচ্ছে ও। নাবিলার সাথের বড় দুইটা ব্যাগের একটার মধ্যে ইউনিভার্সিটি অফ কালিফোর্নিয়ার মার্স্টাস' এর অফার লেটার। নাহিদ ওর কথা রেখেছে। ওর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল ওর প্রিয় সাবজেক্টের উপর বিদেশে যেয়ে উচ্চতর শিক্ষার, নাহিদের প্রস্তাবে রাজি হবার এটাও ছিল অন্যতম কারন।
তিন মাস আগে নাহিদ দেশে এসে ঘুরে গেছে। সাত দিন ছিল। ওরা দুইজন মিলে কক্সবাজার আর সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গিয়েছিল। ফ্লাইট এনাউন্সমেন্টে আরও ২৫ মিনিট দেরি হবে শুনে নাবিলা ব্যাগ থেকে এ্যাপলের আই ফোন এক্স বের করে সেই ট্যুরের ছবিগুলি দেখতে শুরু করল। এই ফোনটা নাহিদ ওকে গিফট করেছে, দেশে ফেরার সময় ইউএসএ থেকে নিয়ে এসেছিল। ছবি গুলি দেখতে দেখতে নাহিদের একটা ফুল স্ক্রীন ছবিতে এসে থেমে গেল নাবিলা। কি যে সুন্দর লাগছে নাহিদকে! নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না ছবিটা ওই তুলেছিল। গভীর আবেগে নাবিলা ৫.৮ ইঞ্চি টাচ স্ক্রীনে আংগুল দিয়ে বার বার নাহিদকে স্পর্শ করার চেস্টা করে যেতে লাগল……
# আজ থেকে প্রায় ছয় বছর পরে মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী নেবার পর নাবিলা দেশে ফিরে আসে আর ঢাকা ভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। আর তার কয়েক দিন পরেই মিথিলা ওর সমস্যা নিয়ে নাবিলার সাথে দেখা করে। নাবিলার পরের পর্ব গুলিতে ওকে সাইকোলজিস্ট হিসেবে দেখা যাবে। আগ্রহী পাঠকদের কে নাবিলার পরের পর্বগুলি পড়ার জন্য সাদর আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
উৎসর্গঃ এই গল্পটা মোঃ মাইদুল সরকার Click This Link ভাইকে উৎসর্গ করলাম। উনার অনুরোধেই নাবিলাকে নিয়ে লিখেছি, এমনকি এই গল্পে যে ছবিটা দেয়া হয়েছে সেটাও উনি এঁকেছেন। ইচ্ছে ছিল নাবিলাকে নিয়ে সাইকোলজির উপর লিখব, একটা পর্ব লিখেই ফেলেছিলাম, হঠাৎ করেই অনবদ্য একটা প্রেমের গল্প লিখতে ইচ্ছে করল। আর তাই…….
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ডিসেম্বর, ২০১৮
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: সাত সকাল বেলা প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকে কফি খাওয়াব আগে তারপর কথা...
ধন্যবাদ কষ্ট করে গল্পটা পড়ার জন্য।
শুভ কামনা রইল।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯
হাবিব বলেছেন: অাপাতত কবিতাগুলো পাঠ করলাম। ভাল হয়েছে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: পুরো গল্পটা পড়ার পর জানাবেন কেমন লাগলো?
ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শুভ সকাল।
প্রথমেই ধন্যবাদ। তারপর আশা করি ভাল আছেন। অফিসে এসে কাজ গুছিয়ে নিয়ে ব্লগে ঢুুঁ মারতেই আমার ঘরে আপনার আগমন দেখে ভাল লাগলো। সেই সাথে গল্প পাঠের আমন্ত্র। আমার ছবি ব্যবহার ও গল্পটি আমাকে উৎসর্গ করায় আমি সৌভাগ্যবান।
সংগত কারণেই লাইক দিলাম ও প্রিয়তে নিলাম। গল্পের সূচণা পড়া হলো এবার গভীরে গিয়ে বাকি কথা পড়ে বলবো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: পুরো গল্পটা পড়ার পর জানাবেন কেমন লাগলো?
ধন্যবাদ।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন
খুব ভাল লাগল
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল, খাঁজা ভাই।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই পরের পর্ব পাবেন। একটু অপেক্ষা করুন। পরের পর্ব ড্রাফট পর্যায়ে আছে।
শুভ কামনা রইল!
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এক এর ৪র্থ প্যাারার শেষ লাইনে -এখন দেখা এর বুদ্ধির..... এখানে এখন দেখা যাক এর বুদ্ধির....হবে।
এছাড়া আর কোথাও কোন ভুল চোখে পড়েনি।
ব্লগে পড়া এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ প্রেমের গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এক গল্প উপহার দিলেন আজ।
ভালবাসার প্রকাশ কত সুন্দর ও সার্থক হতে পারে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দারুণভাবে।
গল্পের সমাপ্তিতে দারুণ কাজ হয়েছে আগরে ও পরের গল্পগুলো যু্ক্ত হতে পেরেছে আর এখানেই লেখকের স্বার্থকতা।
আমিও কিন্তু নীল আকাশ নামে একটা কবিতা লিখে ফেলেছি।
নাবিলা -তোমার কাছে বার বার ফিরে আসব
হয়তো সোনালী ডানার চিল হয়ে নীল আকাশে
হয়তো শিউলী ভেজা শিশির কোন ভোরের বাতাশে
তোমাকেই বার বার বহুরূপে ভাল যে বাসাবো।
উপহার নিন-আমার ডিজাইন করা শোপিস;
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। কিভাবে যেন চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল!
ব্লগে পড়া এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ প্রেমের গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এক গল্প উপহার দিলেন আজ।
মাত্র এই একটা কথা দিয়ে মনের সব কষ্ট ভূলিয়ে দিলেন। আপনার জন্যই এত কষ্ট করে লিখেছি।
আমার এই গল্পটার পরিনতি হবে অহরিত ভাইয়ের শেষ গল্পটার মতো। খুব কম ব্লগারই পড়লেন। কতটুকু ভালো গল্প এটা হয়েছে সেটা আমি জানি।
অনুমুতি দিলে আপনার এই কবিতাটা নিয়ে বড় করে লিখতে চাচ্ছি। আমাকে নিয়ে যখন লিখেছেন তখন আমারই তো শেষ করা উচিৎ।
শোপিস টা খুব সুন্দর হয়েছে। সামনা সামনি নিশ্চয়ই আরও সুন্দর লাগবে।
ভালো থাকবেন ভাই, সব সময়।
শুভ কামনা রইল!
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার লেখার গাঁথুনি.....
কবিতাগুলো....স্নিগ্ধ, সুন্দর.....
মুগ্ধতার ছোঁয়া রইলো......
ভাবীরে কবিতাগুলো উৎসর্গ করা হউক
মেয়েরা কিন্তু মাইন্ড গেম ভালোবাসে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২
নীল আকাশ বলেছেন: দুর্দান্ত মন্তব্যের জন্য প্রানঢালা ধন্যবাদ।
ভাবীরে কবিতাগুলো উৎসর্গ করা হউক ) - বাসায় যেয়ে অবশ্যই আপনার ভাবী কে জানাব। হয়ত এর মধ্যে আপনার এই মন্তব্য পড়েও ফেলেছে। তারপরও বলব।
মুগ্ধতার ছোঁয়া রইলো...... - আপনার হৃদয় ছোয়া মন্তব্যে আমারও মুগ্ধতা।
ভালো থাকুন, সব সময়।
শুভ কামনা রইল!
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি সকালেই পরেছি। কিন্তু তখন মন্তব্য করতে পারিনি কারেন্ট চলে গিয়েছিল।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: কেমন হয়েছে গল্পটা রাজিব ভাই?
অনেক কষ্ট করে লিখেছি এই প্রেমের গল্পটা। এত মনোযোগ দিয়ে এর আগে কোন লেখা লিখিনি। কেমন লেগেছে জানালে খুব খুশি হব।
ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল!
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কোন কবিতাটা ভাইয়া নীল আকাশ নাকি আজকের কমেন্টে যেটা ছোট করে লিখেছি সেটা ?
এত সুন্দর একটা গল্প কেন পাঠকরা পড়ছে তাই মনটা একটু ভার।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: নাবিলা -তোমার কাছে বার বার ফিরে আসব
হয়তো সোনালী ডানার চিল হয়ে নীল আকাশে
হয়তো শিউলী ভেজা শিশির কোন ভোরের বাতাশে
তোমাকেই বার বার বহুরূপে ভাল যে বাসাবো।
নাবিলা কে নিয়ে লেখা কবিতাটা। অনুমুতি দিলে আপনার এই কবিতাটা নিয়ে বড় করে লিখতে চাচ্ছি। আমার নায়িকাকে নিয়ে যখন লিখেছেন তখন আমারই তো শেষ করা উচিৎ।
মন ভার নয়, অনেকেই গল্প কিভাবে লিখতে হয় জানতে চেয়েছে। এদের এটা ভালো করে পড়া উচিৎ।
৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেন পড়ছে না হবে। ৩ জন প্রিয়তে নিয়েছেন এটা একটা ভাল দিক।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রেরনাদায়ক মন্তব্যের জন্য।
কেউ না পড়লেও আমার কিছু যায় আসে না । আপনার জন্য লিখেছি, আপনার যখন ভালো লেগেছে, আমার কষ্ট সফল হয়েছে..........।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই কবিতাটা ব্যবহার করুণ।
আর কবিতাটাও পূর্ণতা পাবে নাবিলাকে পেয়ে।
ধন্যবাদ ভাল থাকুন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: শুধু আপনার টা নয়, এই গল্পে লেখা সব কবিতাই আমি পূর্ণ কবিতায় লিখে ফেলছি। ধাপে ধাপে পোষ্ট দিব।
ধন্যবাদ।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার প্রেমের গল্প! পড়ে মুগ্ধ হলাম। খুঁটিনাটি বর্ণনাগুলো এত সুন্দর ভাবে দিয়েছেন যে, মনে হচ্ছিল সব চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। আপনার বড় সম্পদ আপনার লেখার সাবলীলতা; এমনভাবে গল্প আগাতে থাকে যে, পড়া থামানো যায় না।
গল্পটা বেশ বড় হয়েছে, আরেকটু ছোট হলে পড়া সহজ হতো। আমার মনে হয় অনেকেই আপনার গল্প কিছুদুর পড়ে সময়ের অভাবে শেষ করতে পারেননি, নাহয় এমন চমৎকার গল্পে অনেক মন্তব্য থাকার কথা।
গল্পের বাক্য বিন্যাসে বা বানানে- কোথাও ভুল পাইনি। তন্ন তন্ন করে খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত এসে একটা ভুল পাওয়া গেল!! যদিও আণুবীক্ষণিক!
ঠিক আজ থেকে প্রায় ছয় বছর পরে .......... ঠিক আর প্রায়, একই সাথে কি হয়?
কবিতাগুলো কি আপনার লেখা? অনবদ্য হয়েছে!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, গল্পের ফিনিস টা এমন ছিল না। নাহিদ বাইরে ভার্সিটিতে কালো এক ছেলের গুলি খেয়ে মারা যায়। আর নাবিলা ওর বরের কথা রাখার জন্য পড়তে ইউএসে চলে যায়। পরে মনে হলো আপনি আমার লেখা পড়বেন অবশ্যি। আপনার মতো সবাই হাপি এনডিং দেখতে চায়। শেষমেশ চেন্জ করে দিলাম। ভালোই করেছি মনে হচ্ছে.......।
চমৎকার প্রেমের গল্প! পড়ে মুগ্ধ হলাম। খুঁটিনাটি বর্ণনাগুলো এত সুন্দর ভাবে দিয়েছেন যে, মনে হচ্ছিল সব চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। আপনার বড় সম্পদ আপনার লেখার সাবলীলতা; এমনভাবে গল্প আগাতে থাকে যে, পড়া থামানো যায় না। - এই গল্পটা লেখার সময় আমি খুব মনোযোগ দিয়ে লিখেছি। সত্যই একটা অনবদ্য প্রেমের গল্প লিখতে চেয়েছি। নিজের কাছেই চ্যালেন্জ ছিল। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হলাম। আমি লেখার ব্যাপারে খুব খুত খুত করি। ১০০% পছন্দ না হলে লেখা কখনোই পোষ্ট দেই না।
কবিতাগুলো কি আপনার লেখা? অনবদ্য হয়েছে! - জি, এখানে লিখা সব কবিতাই এই গল্পের জন্য লেখা হয়েছে। বুঝুন তাহলে কত কষ্ট করেছি।
কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!
১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
মা.হাসান বলেছেন: সামুর কবিতার কল্যনে স্নায়োবিক বৈকল্যে ভুগছি। ডাক্তার ধারলো অস্ত্র, ভোত ভারি অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি থেকে এবং বিশেষকরে কবিদের থেকে দূরে থাকতে বলেছে। আপনার লেখাটা তাই কবিতাগুলো বাদ দিয়ে পড়লাম। অসাধারণ। ভক্ত হয়ে গেলাম।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আমার ব্লগের গল্পের উঠানে আপনাকে স্বাগতম। আমি একজন গল্পকার। এটাই আমার আসল পরিচয়। ব্লগে কবিদের অত্যাচারে মাঝে মাঝে উল্টা পাল্টা কবিতার নামে কিছু লেখা চেস্টা করি। এত দারুন মন্তব্যের জন্য সকাল বেলা আপনাকে এক কাপ কফি খাওয়াবো আগে...
সামুর কবিতার কল্যনে স্নায়োবিক বৈকল্যে ভুগছি। ডাক্তার ধারলো অস্ত্র, ভোত ভারি অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি থেকে এবং বিশেষকরে কবিদের থেকে দূরে থাকতে বলেছে। আপনার লেখাটা তাই কবিতাগুলো বাদ দিয়ে পড়লাম। অসাধারণ। ভক্ত হয়ে গেলাম। - এত সুন্দর মনোমুগ্ধকর মন্তব্য সামুতে আমি খুব পেয়েছি। আপনি যদি সত্যই ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আমি অনুরোধ করবো মিথিলাকে নিয়ে লেখা এই দুইটা গল্প পড়ার জন্য।
১। Click This Link
২। Click This Link
তারপর আমি দেখতে চাই আপনি আমার লেখা গল্প নিয়ে কি বলেন.........
আপনাকে আমি আমার সব গল্পে দেখতে চাই।
ভালো থাকুন ভাই, সব সময়।
শুভ কামনা রইল!
১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
আরোগ্য বলেছেন: নীল আকাশ ভাই অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প আমাদের উপহার দিলেন সেই সাথে বেশ কিছু মিষ্টি কবিতা। পোস্টে একরাশ ভালোলাগা রইলো।
পরের পর্ব দিতে বেশি দেরি করবেন না।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল।
আমার মিষ্টি প্রেমের গল্পটা তাহলে ভালোই লেগেছে আপনার। এটা আমার লেখা সেরা প্রেমের গল্প। এর চেয়ে ভাল প্রেমের গল্প আজ পর্যন্ত আমি লিখিনি। শুধু কবিতাই লিখেছি এটার জন্য ৫ টা। শুধু এটা (কবিতা সহ) লেখার জন্য বাকি সব লেখা বন্ধ করে রেখেছিলাম।
পরের পর্ব সাইকোলজি নিয়ে লেখা হবে, আশা করি পড়ে ভালোই লাগবে.....।
শুভ কামনা রইল!
১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
অপেক্ষায় থাকলাম ।
এক রাশ মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল।
আমার মিষ্টি প্রেমের গল্পটা তাহলে ভালোই লেগেছে আপনার। এটা আমার লেখা সেরা প্রেমের গল্প।
এক রাশ মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। - অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার আর এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সব সময় পাশে থাকার জন্য অকৃত্রিম কৃতগ্গতা।
আজকাল আপনি খুব খুব ভালো ভালো লেখা দিচ্ছেন। কি যে ভালো লাগছে সেগুলি দেখে.....।
আপনাকে বলেছিলাম না শুধু শুরু করুন সব ঠিক হয়ে যাবে.......।
পরের পর্ব সাইকোলজি নিয়ে লেখা হবে, আশা করি পড়ে ভালোই লাগবে.....।
শুভ কামনা রইল!
১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০
মুক্তা নীল বলেছেন: দেরিতে আসার জন্য শুরুতেই দুঃখিত । হুম এবার বুঝলাম আমার ভাই কতোটা রোমান্টিক,,,,,,। তা না হলে মন থেকে এই প্রেম তারপর ভালোবাসা প্রকাশ অতঃপর পরিনয়। বাহ!!!! গল্পের নামকরণের সহ সাথকতা। (নাহিদ+নাবিলা+নীলআকাশ+ভাবি) আমার বুঝি বুঝি এটা কার প্রেমের ইতিহাস......... *মজ করলাম*
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু।
নিখাদ একটা পরিপূর্ণ প্রেমের গল্প লেখার খুব করে ইচ্ছে করছিল। কেন জানি না! আগের সব গল্প গুলিতে অল্প অল্প করে চেস্টা করেছিলাম। এবার ভাবলাম চাস্টা ফেস্টা নয়, ডাইরেক্ট এ্যাকশন। মিষ্টি প্রেমের এই গল্পটা মনে হয় আসলেও ভালো হয়েছে। দেখলাম কা-ভা ভাই (মডারেটর) লাইক দিয়েছেন আবার নির্বাচিত পোষ্টেও পাঠিয়ে দিয়েছে।
হুম এবার বুঝলাম আমার ভাই কতোটা রোমান্টিক,,,,,,। তা না হলে মন থেকে এই প্রেম তারপর ভালোবাসা প্রকাশ অতঃপর পরিনয়। বাহ!!!! গল্পের নামকরণের সহ সাথকতা। সত্যই মনে বেশ রোমান্টিক মুড নিয়ে এই গল্পটা লিখেছি। তাই না হলে এত নিখাদ প্রেমের কিছু কবিতা কিভাবে বের হতো? নাম করনের ঠিক মতো করার জন্য এর আগে কা-ভা ভাই ঝাড়ি দিয়েছেন, এতে কাজ হয়েছে। উনি আমার জন্য ভালোই চেস্টা করেছেন যেন আমি আরও ভালো লেখক হয়ে উঠতে পারি। আমি কৃতগ্গ উনার কাছে আর আপনার কাছে। আপু, সব সময় আপনি যে ভাবে আমাকে অনুপ্রেরনা দেন পৃথিবীর কোন ভাষাই সেটা প্রকাশ করার মতো নয়। অনুরোধ রেখে গেলাম, সব সময় আমার পাশে থাকার।
আর একটা কথা, নাবিলাকে নিয়ে সিরিজ করব সাইকোলজির উপর গল্প লেখার জন্য। সবচেয়ে প্রথম আপনাকেই আমন্ত্রন দিলাম পড়ার জন্য। আপনি হচ্ছেন আমার সব চেয়ে আপন পাঠক।
শুভ কামনা রইল, প্রিয় আপু।
শুভ কামনা রইল!
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই ,
আপাতত উপস্থিতি জানান দিলাম। পরে পড়ে পূর্ণাঙ্গ কমেন্টে আসছি।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল।
আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট আমার লেখার জন্য পাথেয়। চাতক পাখির মতো আমি বসে আছি আপনার সমালোচনার জন্য।
রাকু ভাই আর কওসার ভাই ও আসবে ইনসাল্লাহ।
শুভ কামনা রইল।
১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !!! কি লিখলেন !! ক্যাম্পাস জীবন মনে করায়ে দিলেন !!!
ব্রিটিশ কাউন্সিলের সেই রাস্তা !!! বৃষ্টির পর এলোমেলো বাতাস কেটে হাঁটা।
অথবা
শীতের উৎসব মুখর সময়ে শুকনো পাতা মাড়িয়ে হেটে চলা !!!
চমৎকার লিখেছেন! নাবিলা আর মিথিলার পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ার অপেক্ষায় রইলাম।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, শুভ সকাল।
গতকালকে রাতের বেলায়ই আপনার মন্তব্যটা পড়েছি। বড় করে প্রতি-মন্তব্যটা করব দেখে রাতে লিখিনি।
মনে হচ্ছে এই গল্পটা আপনাকে নস্টালজিক করে দিয়েছে! এই ক্যাম্পাস আমার জায়গা না। আমি পড়েছি বুয়েটে। তারপরও ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঠিক এই রাস্তাটা দিয়ে হাটতে কি যে ভালো লাগতো! ঢাকা ভার্সিটিতে আমার সেরা পছন্দের জায়গা এটা। অনেক দিন আগের কথা, কিছুটা ভূলে গিয়েছিলাম বর্ননা, তাই কয়েকদিন আগে আরেকবার দেখে এসেছিলাম এই গল্পে লিখব বলে। মনে হচ্ছে কষ্টটা কাজে লেগেছে।
আপু, আপনার কাছে সব সময় আমার গল্প নিয়ে আলাপ করি। আজকেও কিছু জানতে চাই, আপনার মতামত শুনতে চাই-
১। আপনার মনে আছে? কা-ভা ভাই আমাকে মিথিলার লাস্ট গল্পে প্রকৃতি, পরিবেশ, অনুভূতি নিয়ে গল্প লিখতে বলেছিলেন। এবার আমি কিছুটা চেস্টা করেছি তিন, সাত আর ছয় প্যারায়। কেমন হয়েছে? এটা জানা আমার জন্য খুবই জরুরী। কেমন লিখতে পেড়েছি এই জায়গা গুলিতে? কা-ভা ভাই মনে হয় পছন্দ করেছে। লাইক দিয়ে নির্বাচিত পোষ্টেও পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে আপনিই সব চেয়ে ভালো পর্যালোচনা করে বলতে পারবেন! কি কি জায়গা আরও কাজ করতে হবে বলে দিতে পারবেন!
২। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে নিজের লেখা বেশ কিছু কবিতা দিয়েছি। আমি আপনার কাছে জানতে চাই?
*) কবিতা গুলি কি গল্পের সাথে মানিয়ে গেছে? আরও এই রকম চেস্টা করব পরের লেখা গুলিতে?
*) আপনি হচ্ছেন ব্লগের কবিতার রানী। আপনার সাজেশন মতো বাংলা ডিকশনারী নিয়ে গল্পের কিছু কবিতা লিখেছি। ছোট ছোট কবিতা গুলি কেমন হয়েছে?
আমি লজ্জিত শবনম কে নিয়ে অনেক দিন কিছু না লেখার জন্য। শবনম চরিত্রটা আপনি খুব পছন্দ করেন আমি জানি। আসলে ওকে নিয়ে লেখার মতো ভালো টপিক পাচ্ছি না। শবনম কে নিয়ে খুব ভালো কিছু না হলে লিখব না। একটু অপেক্ষা করতে হবে আপু। তবে কথা দিচ্ছি শবনম কে নিয়ে আমি ফিরবই, অবশ্যই দারুন গল্প নিয়ে! এই জন্যই আপনার কাছে উপরের সাজেশন গুলি চাচ্ছি। শবনম কে নিয়ে এই গল্পের চেয়েও ভালো কিছু লিখতে চাই আমি।
ভালো থাকুন, প্রিয় আপু, সব সময়।
শুভ কামনা রইল!
১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৪
ল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন প্রিয় ভাই,
প্রথম কবিতাটা তো গান মনে হলো ---++++ মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়া তুমি পাগল করে দিলে আ হ হ তুমি পাগল করে দিলে ---
নাবিলা সাইকোলজিস্ট হিসাবে কি করে তা দেখার অপেক্ষায়।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল লতিফ ভাই। চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথম কবিতাটা তো গান মনে হলো ---++++ মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়া তুমি পাগল করে দিলে আ হ হ তুমি পাগল করে দিলে - বেশি ভালো লেগেছি এই কবিতাটা? ঠিক আছে, এটা কে বড় করে আপনার জন্য লিখে দিব। একটু সময় দিন আমাকে!
শুভ কামনা রইল!
১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
হাবিব বলেছেন: আমার মাঝে মাঝেই সিঙ্গারার গরম আলুতে মুখ পুড়ে .......
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
সিঙ্গারার ফু কাহিনী কেমন লাগলো? আশা করি গল্পটা বেশ ভালো করে পড়েছেন। কথোপকথন আর অনুভুতি প্রকাশগুলি ভালো করে খেয়াল রাখবেন। গল্পের এই অংশগুলি গল্পের পটভূমিই পাল্টে দেয়। খেয়াল করুন পুরো গল্পে চরিত্র মাত্র কয়টা?
এটার জন্য লেখা কবিতাগুলি কেমন লাগলো? লতিফ ভাই তো আমার এক কবিতা ভালোবেসে গান বানিয়ে দিল!
ভালো থাকুন আর আরও সুন্দর সুন্দর লেখা দিন আমাদের।
শুভ কামনা রইল!
২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪
হাবিব বলেছেন: খুব খুব সুন্দর লাগলো...... আপনার বর্ণনা ভঙ্গি দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে।
আপনি একদিন এদেশের নামকরা গল্পকার হবেন। গল্পটা আমি প্রিয়তে রেখেছি..........
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব ভাই, কোন কৃতগ্গতার ভাষাই আপনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য লেখার জন্য উপযুক্ত নয়।
আপনি একদিন এদেশের নামকরা গল্পকার হবেন। - আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক!
ভাই, যদি সত্যই গল্প লেখা শিখতে চান, তাহলে দয়া করে অহরিত ভাইয়ের ব্লগে ঢুকে আস্তে আস্তে সব গল্প গুলি পড়ুন। উনি আমার সেরা পছন্দের একজন লেখক। উনাকে দেখেই আমি লেখা শুরু করেছি। প্রচুর জিনিস শেখার মতো আছে উনার লেখার মাঝে। উনি আমার গুরু।
ভালো থাকুন, হাবিব ভাই। ভাবছি কিছু কবিতা লিখব এবার।
শুভ কামনা রইল!
২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০০
হাবিব বলেছেন: দু:খিত, আপনার শেষ প্রতি মন্তব্যে দুইবার লাইক দিতে পারলাম না............
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: সম্ভবত আমি এখন সব মন্তব্যের যে প্রতি-মন্তব্য দিচ্ছি সেজন্য মনে হয় আপনাকে একসেস দিচ্ছে না।
২২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মনটা ভরে গেল নাবিলার প্রতি পাঠকের লাইক, কমেন্ট ও মন্তব্যে।
আলোচিত পাতায় গল্পটি দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলাম।
অভিনন্দন আপনাকে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল ভাই।
কালকে এত এত মন্তব্য দেখে আমার মনটাও ভরে গিয়েছে। আলোচিত পাতায় গল্পটি দেখার জন্য আমিও ব্যাকুল ছিলাম।
অভিনন্দন আপনাকে চমৎকার ছবিটার জন্য। ইউনিক হয়েছে। ভাবছি আপনার কাছ থেকে আরও এইরকম ছবি নিয়ে দেব। গল্প শেষ হলেই আপনাকে জানাব থীম নিয়ে ছবি দেবার জন্য।
শুভ কামনা রইল!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, এটাতো নির্বাচিত পোষ্টেও এসেছে........
কি দারুন লাগছে! কাভা ভাইয়ের কথা আর সাজেশন মতো এবার লিখেছিলাম।
মন টা উরু উরু লাগছে।
২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুন মিলে গেল-আমার কবিতা আর আপনার গল্প একই সাথে আলোচিত ও নির্বাচিত পাতায় ঠাঁই নিয়েছে।
হা।হা।হা। সুখী হোক ব্লগ জীবন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: দারুন হয়েছে। কা-ভা ভাই কে অভিনন্দন।
২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
নীল আকাশ বলেছেন: আমার সবচেয়ে পছন্দের এই গল্পটা নির্বাচিত পোষ্টে নিয়ে আসার জন্য ব্লগের মডারেটর কা-ভা ভাই কে অকৃত্রিম কৃতগ্গতা আর বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কা-ভা ভাই, এই গল্প লেখার পুরোটা সময় আপনি আমাকে আমার মিথিলার গল্পে যে সাজেশন দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখেই লিখেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে আর সামু ব্লগকে আমাকে এত সুন্দর একটা প্লাটফর্মে লেখা দেবার সুযোগের জন্য।
শুভ কামনা রইল!
২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই ,
বরাবরই আপনার প্রেমের গল্প জমজমাট হয় । আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি বরং আরো পরিপূর্ণ লাগলো। এক কথায় জমাট আরকি । ইতিপূর্বে অনেকেই বিষয়টা নিয়ে আলোকপাত করেছেন।
সিঙ্গারায় ফু দেওয়ার দৃশ্যটি আমার কাছে বেশ উপভোগ্য লাগলো । লাভ অ্যাট ফাস্ট সাইট ' বলে যে কথাটা আছে সেটা বোধহয় সিঙ্গারা খাওয়ার দৃশ্যে প্রথম এসেছিল বলে আমার মনে হয়। যে কারণে সম্পূর্ণ অচেনা অজানা একটি ছেলের গায়ে পড়ে এমন কথোপকথনকে সে মান্যতা দিয়েছিল।
2- ডায়েরির পেজে নাবিলা সম্পর্কে নায়কের কথাগুলো ও কবিতাটি বেশ মনমুগ্ধকর।
3 - 2 এর সঙ্গে তিনের সিকোয়েন্সটা দারুন মানিয়েছে ।খালার বাড়ির ছাদের মাথায় পরপর চারটি আবৃত্তি শুনে নাহিদ যেভাবে নাবিলার প্রেমে পড়ল সেটি বেশ ভালো লাগলো।
4 - খালার বাসায় গিয়ে নাবিলা নাহিম এর আদ্যোপান্ত শুনে যেভাবে নিজেকে তৈরি করেছে সেখানে আপনার এই পর্বটি বেশ সুন্দর লাগলো একে অপরের অন্তরের গভীরতা এবং সঙ্গে সুন্দর কবিতাটি বেশ সুখপাঠ্য হয়েছে । 5 6 7 8 সবগুলোই সুন্দর হয়েছে।
তবে একদম শুরুতে 1-1 সেকেন্ড প্যারার প্রথম লাইনে যে মিথিলাকে সঙ্গে নাবিলার সাক্ষাৎ হলো তাকে একদম শেষে নাবিলা ঢাকা ভার্সিটির সাইকোলজির শিক্ষক হিসেবে আবার তার পুরনো বন্ধু মিথিলাকে সাইক্রেটিস্ট এর পরামর্শ দেওয়ার মধ্যে একটি চমক রেখে দিলেন।
সবমিলিয়ে দারুন একটি প্রেমের উপাখ্যান উপহার পেলাম।
শুভ কামনা ও ভালবাসা রইল ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রি দাদা, আপনার মন্তব্য পড়ে আমি বেশ কিছুক্ষন চুপ করে ছিলাম। এতটা গভীরভাবে আপনি আমার গল্পটা পড়েছেন যে উত্তর দেবার আগে আমাকেই যে আবার পুরো আবার দেখতে হয়েছে। অসাধারণ একটা মন্তব্য করেছেন। এটা এই পোষ্টের অবশ্যই শ্রেষ্ঠ মন্তব্য। এবার আসি গল্পটায়-
- সিঙ্গারায় ফু দেওয়ার দৃশ্যটি আমি লাভ অ্যাট ফাস্ট সাইট হিসেবেই লিখেছি। আপনি ঠিকই ধরে ফেলেছেন।
২ - একগাদা সিটিং দিয়ে প্রেম কাহিনী বানানোর চেয়ে সর্টকাট রাস্তায় গিয়েছি। গল্পটাও ছোট করে ফেলেছি।
৩ - এই মহাদেবের কবিতাটা আমার মাথায় ঢুকিয়েছে লতিফ ভাই। এটা আমার স্মৃতি কবিতায় মন্তব্যে লতিফ ভাই দিয়েছিল। পড়ে এতই ভাল লেগেছে যে এখানে দিয়ে দিয়েছি।
৪,৫,৬ - বেশ সময় নিয়ে মিলিয়ে লিখেছি। কোন ফাক ফোকর রাখিনি।
নাবিলাকে প্রশ্ন যেন না আসে সেজন্যই মিথিলার সাথে প্রথমেই দেখিয়েছি আবার শেষে এসে আমার মিথিলার গল্পের সাথেও মিলিয়ে দিয়েছি। এর পরে নাবিলা কে সাইকোলজিস্ট হিসেবে লিখলেও নতুন করে পরিচয় করে দিতে হবে না।এক ঢিলে সব পাখি মেরে দিয়েছি।
নিখাদ একটা পরিপূর্ণ প্রেমের গল্প লেখার খুব করে ইচ্ছে করছিল। কেন জানি না! আগের সব গল্প গুলিতে অল্প অল্প করে চেস্টা করেছিলাম। এবার ভাবলাম চাস্টা ফেস্টা নয়, ডাইরেক্ট এ্যাকশন। মিষ্টি প্রেমের এই গল্পটা মনে হয় আসলেও ভালো হয়েছে। আপনি যখন কোন ভূল ছাড়া সার্টিফিকেট দিলেন তখন আমার আর কি লাগে!
আপনার জন্যও শুভ কামনা ও ভালবাসা রইল ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল, দাদা।
এই পোষ্টের শ্রেষ্ঠ মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে আমার নিজের হাতে ফুটানো প্রিয় গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা.......
ধন্যবাদ।
২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
নজসু বলেছেন:
প্রিয় নীলাকাশ ভাই।
আপনার গল্পের খবরটা পেলাম শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় পদাতিক চৌধুরির কুহেলিকায়।
প্রিয় আরোগ্য কিংবা লতিফ ভাইয়ের পোষ্টেও।
তাই বলতে পারেন বিনা দাওয়াতে এলাম আমি।
রাজীব ভাই আজকে কলা রুটি খেতে গিয়ে চল্লিশার দাওয়াত কবজি ডুবিয়ে আয়েশ করে খেয়েছেন।
আমিও তেমনি গতকাল আপনার এই গল্পের পোষ্টের এসে আয়েশ করে গল্পটা পড়েছি।
আপনার আগের কিছু গল্প আমি পড়েছি। কমেন্টও আছে।
কিন্তু আজকের গল্পের মতো মিষ্টি প্রেমের গল্প খুব কমই পড়েছি।
সহজ, সরল আর নিষ্পাপ যেন।
আমি এই গল্পটির জন্য একটা কথাই বলবো-
আপনি এতো সুন্দর করে গল্প লেখেন মনে হয় ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভাসছে।
ভালো থাকবেন ভাই।
আরও এমন সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প আপনার কাছে পাওনা রইল।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল, সুজন ভাই। অনেক দিন পরে আমার ব্লগে এলেন। ব্যস্ত থাকেন মনে হয় খুব! এত দারুন মন্তব্য করেছেন, আগে আপনাকে সকাল বেলা হট কফি খাওয়াই.....
নিখাদ একটা পরিপূর্ণ প্রেমের গল্প লেখার খুব করে ইচ্ছে করছিল। কেন জানি না! মাইদুল ভাই মিথিলার শেষ গল্পটা পড়ার পর অনুরোধ করেছিলেন নাবিলাকে নিয়ে লেখার জন্য। গল্প লেখার ব্যাপারে আমি প্রচন্ড খুত খুত করি। এই গল্পটা লেখার সময় আমি খুব মনোযোগ দিয়ে লিখেছি। সত্যই একটা অনবদ্য প্রেমের গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। নিজের কাছেই চ্যালেন্জ ছিল। এখানে লিখা সব কবিতাই শুধু এই গল্পের জন্য লেখা হয়েছে। বুঝুন তাহলে কত কষ্ট করেছি। সব কষ্ট আমার উসুল হয়ে গেছে আপনাদের দুর্দান্ত সব মন্তব্য পড়ে......
বেশ কিছুদিন পরে আজ আপনাকে দেখলাম কারো লেখায় প্রুফ রিডার আর সমালোচক হিসেবে না মন্তব্য করে মুগ্ধ পাঠক হিসেবেই মন্তব্য করলেন। আমিও তেমনি গতকাল আপনার এই গল্পের পোষ্টের এসে আয়েশ করে গল্পটা পড়েছি। বুঝা যাচ্ছে নাবিলা/নাহিদ প্রেম রসায়ন আপনাকেও প্রেমে পুকুরে ডুবিয়ে ছেড়েছে....
কিন্তু আজকের গল্পের মতো মিষ্টি প্রেমের গল্প খুব কমই পড়েছি।
সহজ, সরল আর নিষ্পাপ যেন।
আমি এই গল্পটির জন্য একটা কথাই বলবো-
আপনি এতো সুন্দর করে গল্প লেখেন মনে হয় ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভাসছে।
- সুজন ভাই, চমৎকার ঠিক এই লাইনটা করুনধারা আপুও বলেছিলেন। মনে হচ্ছে গল্পের বর্ননা ভালোই লিখেছি। আজকের এই গল্পটা দুর্দান্ত হয়েছে সেটা সব মন্তব্য গুলি পড়লেই বুঝা যাচ্ছে তবে এর জন্য আমি পুরো কৃতিত্ব দেব আপনাদের যারা আমার প্রায় সব লেখায় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। একজন ভালো লেখক তৈরী হতে সময় লাগে, লাগে প্লাটফর্ম আর যেটা অবশ্যই প্রয়োজন ভালো পাঠক। সামুতে আমি এর সব কিছুই পেয়েছি। কা-ভা ভাই প্রায়ই গল্পে এসেই সাহায্য করে যেতেন। এর সব কিছুর ফাইনাল প্রোডাক্ট হলো এই রকম সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প।
প্রিয় আরোগ্য কিংবা লতিফ ভাইয়ের পোষ্টেও। তাই বলতে পারেন বিনা দাওয়াতে এলাম আমি।
- সুজন ভাই আপনি এদের অনেক আগে থেকেই আমার গল্পের পাঠক। আর আমার ব্লগ বাড়িতে আপনার আসার জন্য কোন দিনও আপনার দাওয়াত লাগবে না। আমার ব্লগের সদর দড়জা আপনার জন্য সব সময়ই খোলা............
আরও এমন সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প আপনার কাছে পাওনা রইল।
ইনসাল্লাহ, আরও ভালো ভালো লিখব। আশা করব আপনারাও সব সময় পাশে থাকবেন।
শুভ কামনা রইল!
২৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা । সকাল বেলা এরকম রক্তমাখা তাজা গোলাপ দেখে মন যে দুলে উঠল বড় । তবে অনধিকার চর্চা করছি কি না জানি না । কমেন্টের মধ্যে যদি আপনি এরকম ফার্স্ট সেকেন্ড নিরূপণ করেন তাহলে কিন্তু আগামী দিনে আপনার কমেন্ট বক্স ফাঁকা হতে বাধ্য। আমি অত্যন্ত বিব্রতবোধ করছি । দয়া করে খারাপ ভাবে নেবেন না ,প্লিজ।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: দাদা, ভালো কথা মনে করে দিয়েছেন। আসলে আপনার মন্তব্যটা আমাকে এতই মুগ্ধ করেছে যে না বলে পারিনি........
আর পরের লেখায় এই কাজ করবো না। ধন্যবাদ ভূল ধরিয়ে দেবার জন্য। তবে গোলাপ ফুলটা আসলেও আপনার প্রাপ্য!
শুভ কামনা রইল!
২৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: পড়লাম, এক কথায় অসাধারন ।
এক কমপ্লিট প্যাকেজ যেন গল্পটি । অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া, সত্যি বলছি । প্রেম, ভালোবাসা আর আবেগে পরিপূর্ণ এক লেখা । সবচেয়ে বড় কথা গল্পটি তে কোন ট্র্যাজেডি নেই, ট্র্যাজেডি ভালো লাগেনা, মন খারাপ লাগে আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে আবেগ গুলো লেখায় নিয়ে আসতে পারেন বিষয়টি ভালো লাগে ।
আমার একটি সমস্যা আছে ভাইয়া, আমি আমার মনের কথা, তার জন্য আবেগ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারিনা এমনিতেই গল্প লেখা অনেক কঠিন তার উপর এই সমস্যা তাই চাইলেও আমি পারিনা গল্প লিখতে
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা আরও আগেই পড়েছি। কাজের ব্যস্ততার জন্য প্রতি উত্তর দেয়া হয় নি। এখন লান্চ করে এসে বসলাম।
@ পড়লাম, এক কথায় অসাধারন । এক কমপ্লিট প্যাকেজ যেন গল্পটি । অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া, সত্যি বলছি । প্রেম, ভালোবাসা আর আবেগে পরিপূর্ণ এক লেখা। - এই জন্যই তো আমি আপনাকে এটা পড়তে বলেছিলাম। গ্যারান্টি দিয়েছিলাম না ভালো লাগবে! নাবিলা কে নিয়ে এই লেখাটা আমার লেখা সেরা প্রেমের গল্প! সম্ভবত শবনম বা মিথিলার চেয়েও ভালো হয়েছে...
@ সবচেয়ে বড় কথা গল্পটি তে কোন ট্র্যাজেডি নেই, ট্র্যাজেডি ভালো লাগেনা, মন খারাপ লাগে আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে আবেগ গুলো লেখায় নিয়ে আসতে পারেন বিষয়টি ভালো লাগে - ট্র্যাজেডি ছিল প্রথম ভার্সনে। ( বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, গল্পের ফিনিসটা এমন ছিল না। নাহিদ বাইরে ভার্সিটিতে কালো এক মাতাল ছেলের গুলি খেয়ে মারা যায়। আর নাবিলা ওর বরের কথা রাখার জন্য পড়তে ইউএসে চলে যায়। পরে মনে হলো খুব রিস্ক হয়ে যায়! আপনার মতো সবাই হাপি এনডিং দেখতে চায়। শেষমেশ গল্পটাই পুরো ফ্লপ করবে। তাই চেন্জ করে দিলাম। ভালোই করেছি মনে হচ্ছে.......
@ আমার একটি সমস্যা আছে ভাইয়া, আমি আমার মনের কথা, তার জন্য আবেগ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারিনা এমনিতেই গল্প লেখা অনেক কঠিন তার উপর এই সমস্যা তাই চাইলেও আমি পারিনা গল্প লিখতে - যতটুকু মনে পড়ে আপনার কোন একটা ছোট গল্পে প্রেমিকা ছেলেটাকে এয়ারপোর্টে ট্যাক্সিতে বিদায় দিতে যায়, সেটাতো বেশ ভালো হয়েছিল। কেন যেন এরপর আর আপনাকে গল্প লিখতে দেখলাম না........। ট্রাই করে দেখতে পারেন। আস্তে আস্তেই হয়ে যাবে। আমারও প্রথম প্রথম অনেক ভয় লাগতো! :`<
নিয়মিত আমার লেখা পড়ার আমন্ত্রণ রেখে গেলাম।
শুভ অপরাহ্ন।
২৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ
+++++
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল।
ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।
শুভ কামনা রইল!
৩০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
তারেক ফাহিম বলেছেন: তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই কবিতার প্রতিত্ত্যরের লিংক-এ পাওয়ার সাথে সাথে পড়া শুরু করলাম আর এখন শেষ করলাম। একেবারে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পড়লাম। ব্যস্ত ছিলাম আরকি, ধ্যাত ব্যস্ত কি লিখার যে আবেগ এক পার্ট বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।
মন্তব্য করতে এলাম, কিন্তু মন্তব্য প্রতিত্ত্যরগুলো পড়তে পড়তে আবার ভুলে গেলাম কি যেন পড়ছি যাক আবার পড়ার সুযোগ হল।
এবার কাজের কথায় আসি- পুরো ব্লগটিতে ভালোবাসা- আবেগ ঘিরে রেখেছে। যতই নিচে মানছি ততই ভয় পাচ্ছি না জানি দু'জনের এত এত আবেগ কোন একসিডেন্ট কিংবা অন্য কোন চরিত্র এনে পাঠককে ব্যাথিত করেন কি না। না শেষে আমি স্বার্থক থুক্ক আমি কেন লেখক স্বার্থক আমিতো পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি।
গল্পের শেষে মিথিলা, নতুন চরিত্র মনে হল। নাকি মিথিলার চরিত্র আমায় ফাঁকি দিলো ।
সবশেষে বলবো অসাধারণ লেখুনি হাত আপনার, গল্পে কবিতায় দুটোতে।
নতুন গল্পে পাঠক হিসেবে থাকার প্রয়াস আছে।
আপনার জন্য শুভকামনা, ভালো থাকুন সবসময়।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন। তারেক ফাহিম ভাই অবশেষে এই গল্পটা পড়লেন! আপনি আপনাকে তখনই বলেছিলাম গল্পটা আরও দুর্দান্ত হয়েছে। আমি নিশ্চিত আপনার আগে পড়া কবিতাটা ভালো ভাবে চোখেই পড়ে নি এই গল্পের আমেজে।
আমি গল্প লেখার যত কিছু জানি সব এই গল্পে ব্যবহার করেছি, সর্ব্বোচ্চ চেস্ট করেছি। নিখাদ একটা পরিপূর্ণ প্রেমের গল্প লেখার খুব করে ইচ্ছে করছিল। কেন জানি না! আগের সব গল্প গুলিতে অল্প অল্প করে চেস্টা করেছিলাম। এবার ভাবলাম চাস্টা ফেস্টা নয়, ডাইরেক্ট এ্যাকশন। মিষ্টি প্রেমের এই গল্পটা মনে হয় আসলেও ভালো হয়েছে। দেখলাম কা-ভা ভাই (মডারেটর) লাইক দিয়েছেন আবার নির্বাচিত পোষ্টেও পাঠিয়ে দিয়েছে।
ফাহিম ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনে হচ্ছে আপনি মিথিলার ২য় পর্ব পড়েন নি (মিথিলার ভালোবাসা Click This Link )বন্ধ্যা চরিত্র মিথিলার ১ম পর্ব পড়েছিলেন। নাবিলা এইখানে সাইকোলজিস্ট হিসেবে এসেছে। প্রায় সবাই এই গল্পটা পড়ে এসেছে, এই জন্য নাবিলা কে প্রশ্ন করেনি। যদি এই নাবিলার গল্প আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনার অবশ্যই মিথিলার ভালোবাসা নিশ্চিত ভালো লাগবে। গ্যারান্টি দিলাম।
সবশেষে বলবো অসাধারণ লেখুনি হাত আপনার, গল্পে কবিতায় দুটোতে। অকৃত্রিম শুভেচ্ছা এত দারুন একটা মন্তব্য করার জন্য। আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক!
শুভ কামনা রইল!
৩১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৮
মা.হাসান বলেছেন: ১২ নম্বর মন্তব্যের জবাবে কফির জন্য ধন্যবাদ। কফি যথা সময়ে চোখে পড়েছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে প্রতিমন্তব্যের জন্য আসা হয়নি। লিংক দুটো (এবং সেখানে এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্লগার অহরিতের লেখায়) ঘুরে এলাম (এবং যথারীতি মিথিলা ২য় পর্বে গান স্কিপ করলাম)। লেখাগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ। লেখার বিষয়ে মন্তব্য লেখার পাতায়।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আপনাকে অনুরোধ রইল, অহরিত ভাইয়ের লেখা অবশ্যই পড়বেন। প্রতিটা গল্প দুর্দান্ত!
লেখাগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ। লেখার বিষয়ে মন্তব্য লেখার পাতায়। - আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমার সব লেখা এক এক করে পড়ার জন্য।
শুভ কামনা রইল!
৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৫
রাকু হাসান বলেছেন:
কবিতাগুলো আমারও ভালো লেগেছে । অনেকে অনকে কথা বলছে । আমি একটু ভিন্ন কথা বলি । আপনি শেষে বলে দিয়েছেন নাবিলা কে পরের পর্বে সাইকোলজিস্ট হিসাবে দেখা যাবে । এতে প্রত্যেক পাঠক আগেই অবচেতন মনে নাবিলার চরিত্র ভেবে নিবে এবং আমিও নিলাম । তখন হয়তো গল্পকারের পাঠকের মন রাখতে বেগ হতে হবে । আর যেহেতু মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে বুঝাই যায় সাইকোলজিস্টের মতো কিছু একটা হতে যাচ্ছে নাবিলা । শুভকামনা রইলো ভাই । আমার নিতান্ত ছোট মতামত টা রাখলাম মাত্র । শুভরাত্রি ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
রাকু ভাই। শুধু এই গল্পের জন্যই কবিতা গুলি লেখা হয়েছে। গল্পাটা যেমন জোস কবিতা গুলিও দুর্দান্ত হয়েছে। একাট কেবল ব্লগে দিয়েছি আর সেটা আপনি পড়েও ফেলেছেন।
আপনি শেষে বলে দিয়েছেন নাবিলা কে পরের পর্বে সাইকোলজিস্ট হিসাবে দেখা যাবে । এতে প্রত্যেক পাঠক আগেই অবচেতন মনে নাবিলার চরিত্র ভেবে নিবে এবং আমিও নিলাম । তখন হয়তো গল্পকারের পাঠকের মন রাখতে বেগ হতে হবে । আর যেহেতু মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে বুঝাই যায় সাইকোলজিস্টের মতো কিছু একটা হতে যাচ্ছে নাবিলা। - ইচ্ছে করেই সেটা বলেছি। সাইকোলজির উপর কাজ করব বলেই গল্পটার শেষে এটা বলেছি। এই সিরিজের একটা গল্প প্রায় শেষ করে এনেছি। পিওর সাইকোলজির উপর লেখা হবে। ঐটা আমার প্রিয় সাবজেক্ট। আমি নিশ্চিত সাইকোলজির উপর লেখা গুলি খুব ভালো হবে। এই ব্লগে এই টপিকের উপর কেউ লেখা না। আমি এটা নিয়েই লিখতে চাই।
শুভ কামনা রইল!
৩৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ভাইজান সত্যি আপনি অনেক সুন্দর লিখেন । নাহিদদের চরিত্র টি ইন্টারেস্টিং ছিল ।
অনেক ভালো লাগলো গল্পটি পরে। পরবর্তিটির অপেক্ষায় রইলাম
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
দেরিতে মন্তব্য করার জন্য দু:খিত।
আপনি মনে হয় আমার গল্প এই প্রথম পড়লেন। সেজন্য প্রথমেই আপনাকে আমার গল্পের উঠানে স্বাগতম। আমি একজন গল্পকার। ব্লগে এটাই আমার আসল পরিচয়।
ভাইজান সত্যি আপনি অনেক সুন্দর লিখেন । নাহিদদের চরিত্র টি ইন্টারেস্টিং ছিল । - খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো গল্পটি পরে। পরবর্তিটির অপেক্ষায় রইলাম - পরের পর্ব পেতে সময় লাগবে। আমি খুব আস্তে আস্তে লিখি। কোয়ালিটি নিয়ে কোন কমপ্রোমাইজ করি না।
আপনাকে আমি সেজন্য অনুরোধ করব আপনি নাবিলা কে নিয়ে নিয়ে ১ম পর্ব আর মিথিলাকে নিয়ে লেখা আগের ২টা পর্ব পড়ে আসুন। আমি নিশ্চিত আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবে। এই গল্প যেটা আপনি পড়লেন, সেটা আগের গুলির কাছে কিছুই না। আমার সব পাঠকরা সিরিয়াল ধরে গল্প পড়ে। সবাই পুরানো পাঠক। আগের গল্প না পড়লে আসল মজাটা আপনি পাবেন না।
লিংক নিচে দিলাম। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ঐ গল্প গুলিতে আমি অপেক্ষা করব.......।
১। গল্প - আমি মিথিলা, একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি! Click This Link
২। গল্প - মিথিলার ভালোবাসা Click This Link
নিশ্চয় আপনার সাথে খুব শিঘ্রই কথা হবে, আজ এই পর্যন্তই!
শুভ কামনা রইল!
৩৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাইয়া-
স্থান- সি.আর.বি (শিরীষ তলা)
২১/১২/১৮ ইং সকাল-১০.৩০ ঘটিকায়।
অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১
নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
এটা যদি ফাইনাল হয়ে থাকে তাহলে আমি অবশ্যই আসব। সি.আর.বি এর কোন দিক দিয়ে ঢুকব আমি? আমি আসব নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে। আর আপনার মোবাইল নাম্বার টা জিমেইলে দিয়ে দেন।
ধন্যবাদ।
৩৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
আরোগ্য বলেছেন: নীল আকাশ ভাই পরের পর্ব কি ২০১৮ তে পাবো?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আরোগ্য ভাই,
নারে ভাই, তবে কথা দিচ্ছি এই বছরের মধ্যে এমন একটা গল্প পাবেন যে, নাবিলার এই গল্পের নামও ভূলে যাবেন। প্রায় শেষ করে এনেছি। একটু সময় দেন আমাকে......। ১০০% বিনোদন থাকবে......
অসংখ্য ধন্যবাদ এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আপনাদের মতো পাঠক আছে দেখেই আরও লিখতে ইচ্ছে করে.....
শুভ কামনা রইল!
৩৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
আরোহী আশা বলেছেন: এক্কেবারে জাত গল্পকারের গল্পকার
এক যুগের রবিন্দ্রনাথ. .।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আরোহী আশা,
সাত সকাল বেলা আপনার এই মন্তব্যটা পড়ে আমার সামান্যর জন্য হার্ট ফেইল করে নি। আমার যদি কিছু হতো সেজন্য আপনিই দায়ী থাকতেন!
করেছেন কি আপনি, হায় খোদা! কোথায় আমি আর কার সাথে তুলনা করলেন?
আমার এই গল্পটা যে আপানর ভালো লেগেছে সেটাই আমার স্বার্থকতা। অন্য রকম একটা গল্প বেশ সময় নিয়ে লেখার চেস্টা করেছিলাম।
যদি সময় থাকে এই গল্পের সেরা একটা কবিতা আলাদা করে দিয়েছি এখানে Click This Link পড়ে দেখতে পারেন।
শুভ কামনা রইল!
৩৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: অনেকে বলে মন থেকে চাইলেই নাকি পাওয়া যায়। সবার ক্ষেত্রে অবশ্য মন থেকে চাওয়ার পরেও পাওয়ার সৌভাগ্য হয়না। নাহিদ মন থেকে চেয়েছে এবং সে সৌভাগ্যবান ছিল। গল্পটা বেশ মিষ্টি ছিল। পরের গুলোর জন্যেও অপেক্ষায় রইলাম।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আপনি মনে হয় আমার গল্প এই প্রথম পড়লেন। সেজন্য প্রথমেই আপনাকে আমার গল্পের উঠানে স্বাগতম। আমি একজন গল্পকার। ব্লগে এটাই আমার আসল পরিচয়। আমার সব গল্প পড়ার জন্য আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম!
গল্পটা বেশ মিষ্টি ছিল। - ঠিক বলেছেন। মিষ্টি প্রেমের গল্পই লিখেছি এটা। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেকে বলে মন থেকে চাইলেই নাকি পাওয়া যায়। সবার ক্ষেত্রে অবশ্য মন থেকে চাওয়ার পরেও পাওয়ার সৌভাগ্য হয়না। - এটা নিশ্চয় কোনইনসিডেন্স, ঠিক এই বিষয়ের উপরেই আমি আজকে একটা গল্প দিয়েছি আজকে এখানে Click This Link
পড়ে বলুন ঠিক বলেছি নাকি?
শুভ কামনা রইল!
৩৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ অসাধারণ সুন্দর সব প্রতিমন্তব্যের জন্যে। আমি অনেকবারই বলেছি, ব্লগে প্রতিমন্তব্যের বিষয়টি একটি শিল্প, অনেকে এটিকে সিরিয়াসলি নেয়না। উত্তরই দেয়না, অথবা ৫ লাইনের মন্তব্যের জবাবে শুধু ধন্যবাদ বলে শেষ করে দেয়। আপনি এ ব্যাপারে পুরোপুরি সফল!
বন্ধ্যা মেয়েটির গল্পটি সত্যিই আমার মন ছুঁয়েছিল, আমার খেয়াল ছিলনা সেটি আপনিই লিখেছিলেন। আপনার স্মৃতিশক্তি ভালো! মনেও থাকে আপনার! আপনার অন্য পোস্টের প্রতিমন্তব্যে এ লেখাটির ব্যাপারে জানিয়ে কৃতজ্ঞ করেছেন।
এই লেখাটি আমার ভালো লেগেছে, তবে আরো অনেক বেশি ভালো লাগত যদি দুটো ভুল না করতাম,
১) পড়ার সময়ে কবিতাগুলো স্কিপ করে গিয়েছি। আমি শুধু গল্পের পরিণতি কি হবে, কি টুইস্ট আসবে এই আগ্রহে গড়গড় করে গদ্য অংশ সামনের দিকে পড়ে গিয়েছি। এই কাজটি না করলে চরিত্রগুলো আরো বেশি মুগ্ধতার আবেশে ঘিরে রাখত। সরি ফর মাই ফল্ট!
২) আমি জীবনে প্রচুর প্রচুর প্রচুর লাভ স্টোরি পড়েছি! একারণে একটি মেয়ে সুন্দরী, আবৃত্তি করে সেই কারণে একটি দেখতে তেমন খারাপ নয়, কবি ছেলে তার প্রেমে পাগল হয়ে যায় এমনকিছু শত শত বার পড়ে ফেলেছি। আমার এখনো প্রেমের গল্প পড়তে ভীষন ভালো লাগে, তবে একটু সিরিয়াস ধর্মী হলে বেশি ভালো লাগে। ভালোবাসার আবেগ যেখানে কোন সিরিয়াস ও বাস্তবসম্মত ঘটনাচক্রে ধীরে ধীরে বাড়বে। কোথায় কবে দেখলাম, সুন্দর মুখটি পাবার জন্যে পাগল হয়ে গেলাম সেটা আর টানেনা। আপনার ওমন কোন লেখা থাকলে বা সামনে লিখলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। আই জাস্ট লাভ টু রিড দোজ!
পুরো গল্প চলাকালে আমি ভেবেছি মেয়েটি ছেলেটির সাথে মাইন্ড গেম খেলবে। এমন মেধাবী, সুন্দরী, দৃঢ়চেতা, ব্যক্তিত্বসম্পন্না, আবৃত্তিকার, মনোবিজ্ঞানের ছাত্রীর চরিত্রে আরো অনেক বেশি ডেপথ, ইন্টারেস্টিং, অন্যরকম কিছু আশা করেছিলাম। ও প্রপোজ পেয়ে সেটাই করেছে যেটা অন্য যেকোন সাধারণ মেয়ে করত! নাহ আমি বলবনা গল্পটি আনরিয়ালিস্টিক ছিল। এমন হয় বাস্তবে। আপনার লেখায় যে কি পরিমাণ সরলতা, সাবলীলতা ও একটা বাস্তবতার (চরিত্র এবং সেটিং এর শক্ত গঠন) ছোঁয়া থাকে তা আপনি জানেন বোধ করি। এজন্যে আমার পড়তে ভালো লেগেছে। মারাত্মক রকমের ভালো লাগা মনকে ছুঁয়ে ছিল পুরোটা সময়। কিন্তু আমি এই গল্পটি বহুদিন মনে রাখব সেটি বললেও মিথ্যে হবে। পাঠকগণ ট্রাজেডি দেখলে রাগ করে, তবে রোমিও জুলিয়েট গল্পে বেঁচে থাকলে সাধারণের মনে বহু আগেই মরে যেত। একটি কমেন্টে জানলাম আপনি কেমন ধরণের ট্রাজেডির কথা ভেবেছিলেন, সেটি আবার অনেক ফিল্মি হয়ে যেত। তার চেয়ে এই ভালো। কাটুক না কিছু মিষ্টি সময় হাজারো ব্যস্ত, জটিল সময়ের ভীরে!
আবারো আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
দেরী করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য আমি সত্যই দুঃখিত। আমি আপনার মন্তব্য আগেই পড়েছি। সময় নিয়ে উত্তর দিব দেখে পরে ফিরে আসলাম।
মন্তব্য আর প্রতি মন্তব্যের ব্যাপারে আমি যেটা বিশ্বাস করি সেটা হলো- আমি কারো লেখায় প্রাসংগিক মন্তব্য করার আগে সময় নিয়ে বেশ ভাল করে পড়ে নেই। না পড়ে, ফাঁকি দিয়ে আমি কোন মন্তব্য করি নি কখন, আর করবও না কোন দিনও। এই ধরনের কাজ বা মন্তব্য লেখকের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই না! ঠিক এই জন্য আমাকে আপনি মন্তব্যের সিরিয়ালে সব সময় অনেক পিছনে পাবেন। ব্লগে এখন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেখানে ১ ২ ৩ হতে হয়। এরা আদৌ লেখা পড়ে কিনা, আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বেশির ব্লগার রাই মন্তব্য দেবার ব্যাপারে কি লিখবে সেটা বুঝেই না। উপস্থিতি জানানোর জন্য মন্তব্য আমি ঘৃনা করি। আমি একজন মানুষ, আমার পক্ষে সব লেখা পড়া সম্ভব না। তাই সব লেখায় আমি যাই না, আর মন্তব্য করার সুযোগ কোথায়!
আমার লেখা নিয়ে যেটা বললেন তার সম্পর্কে আমি বলতে পারি যে, আমার নায়ক নায়িকারা কেউ কখন সুপার হিরো বা হিরোইন নয়। আমি খুব সাধারন মানুষ, যারা আমাদের চোখের সামনেই ঘুরাঘুরি করে, তাদের কি নিয়ে লিখি। এই জন্য এই গল্পগুলি পড়ার সময় সবাই খুব সহজেই গল্পের সাথে মিশে যায়।
আমি অনেক সময় নিয়ে গল্প লিখি। বেশ খুত খুত করি বলতে পারেন। ১০০% ঠিক না হলে পোষ্ট দেই না। যেহেতু আপনি আরও এই ধরনের গল্প পড়তে চেয়েছেন আমি আপনাকে বলব আমার লেখা শবনম সিরিজের কুসুম কুসুম প্রেম (১ + ২) পড়ে দেখতে পারেন। এটা অন্য ধরনের লেখা। আর সময় হাতে থাকলে আমি আপনাকে
অহরিত ভাইয়ের ব্লগে ঢুকে আস্তে আস্তে সব গল্প গুলি পড়তে বলব। আমার কাছে এই ব্লগের সেরা গল্প লেখক। আমার প্রিয়তে সব উনার গল্প।
আপনি ভালো থাকুন সব সময়।
আপনার আর আপনার পরিবারের সবার জন্য রইল শুভ নববর্ষ আর শুভ কামনা!
ধন্যবাদ।
৩৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সত্যি গল্পটা অসাধারণ হয়েছে, এত বড় গল্প কিন্তু এতটাই মোহাচ্ছন্ন ছিলাম যে মনেই হল না গল্পটা এত বড়। মনোবিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রীর সাথে এমন মাইণ্ড খেলে জিতে গেল গল্পের নায়ক। সত্যি এটা গতানুগতিক গল্পের চেয়ে কিছুটা হলেও আলাদা। অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ভাই,
লজ্জিত এত পরে প্রতি মন্তব্য করার জন্য। আপনার মন্তব্যের কোন নোটিফিকেশন আমার কাছে আসে না। তাই এত পুরানো পোস্টে মন্তব্য এসেছে জানতে পারি নি। ।
এই গল্পটা আমার লেখা অন্যতম সেরা লেখা। সম্ভবত আমার সেরা প্রেমের গল্প এটা। বেশ কিছু কবিতাই লিখেছিলাম এটার জন্য।
ভালোবাসার খেলায় কেউ হারে না। সবাই জিতে যায়।
আমার এত দারুন একটা গল্প পড়ার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন।
৪০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ছয় লাইন পড়ে মন্তব্য করছি, কয়বার পড়েছেন এবং কয়বার রিরাইট করেছেন? সম্পাদনার কথা পরে জানতে চাইব।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমি খুব আস্তে লিখি। ধীরে ধীরে এক প্যারা এক প্যারা লিখি। নিজের লেখার উপর আমার খুব খুত খুত স্বভাব আছে। এমন কী একটা লেখা শেষ হবার পর মিনিমাম ২/৩ বার রিভিশন চলে। বাংলা বানান নিয়ে আমার কিছুটা সমস্যা আছে। এটা এখন ভালো করে শিখছি। আর এই জন্যি আপনার লেখা পড়ছি শেখার জন্য।
আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর আমার জানা নেই। এটা বলাও সম্ভব না।
৪১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: যাক, ১ আমি হলাম আনাড়ি লেখক, আমার লেখা থেকে শুধু শব্দ শিখতে পারবেন তার চেয়ে বেশি শিখতে চাইলে বিপদে পড়বেন। বানান এবং ব্যাকরণে আমার সমস্যা আছে। আমি লণ্ডন বড় হয়েছি। আমার ব্যাকরণ আপনাদের মত নয়। তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।
এখন আসি গল্পে, আমরা যেমন কথা বলি তেমন লেখি না।
মৌখিক এবং লৈখিক ভাষা দুই বিষয়। আঞ্চলিক ভাষায় সাধু ভাষা মিশে চলিত হলেও মৌখিক ভাষায় উপন্যাস লেখা যায় না।
নাহিদ হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে, এগারোটা দশ মিনিট। মেয়েটা আসতে কোন দিন এত দেরি করে না, ও কি আজ ভার্সিটিতে আসেনি? হায় হায়, বেছে বেছে আজটাকে বাছলো? এত খারাপ কপাল কারো হয়? ও মনে মনে ঠিক করেছিল মেয়েটার সাথে আজ কথা বলবেই! আরও কিছুক্ষণ দেখা যাক, ড্যাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনের নীচু বাউণ্ডারি ওয়ালের উপর অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে…….
এক
সিঙ্গাড়ায় কামড়ে নাবিলা বুঝলো বিরাট ভুল হয়েছে, তাড়াহুড়ো করা ঠিক হয়নি। এখনও যথেষ্ট গরম, মুখের ভিতর গরম আলুর উত্তাপ হারে হারে টের পাচ্ছে। এত ছেলেমেয়েদের সামনে মুখ থেকে বের করে ফেলতেও পারছেনা! কী বিপদ?
-আপনি চাইলে ফু দিয়ে সিঙ্গাড়া ঠান্ডা করে দিতে পারি।
মুনশিয়ানা করছি না আমি শুধু চেষ্টা করেছি। কেমন হয়েছে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: আমি খুব ভালো করেই জানি আমার এই সমস্যা আছে। আপ্রাণ চেষ্টা করছি এটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য। তবে মজার ব্যাপার কী জানেন? আমি যদিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য, আজকাল দেশের নামকরা লেখকরা সবাই এই মিশ্রণ ভাষাই যথেচ্ছা ব্যবহার করেছে। কিংবা এরচেয়ে খারাপ। ফেসবুকে এইসব লেখকদের বইয়ের এ্যাডের ভাষা দেখুন। তবে এটা কাটিয়ে উঠতে আমাকে কষ্ট করতে হবে। এটা প্রায় ১-১/৪ বছর আগের। আমি এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসবোই।
ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা রইলো।
এখন অফিস এবং ব্যক্তিগত কিছু কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত। ফ্রী হলেই এই গল্পটা নিয়ে আবার রিরাইট করবো।
শুভ কামনা রইলো।
৪২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সত্য প্রেম আসলে প্রিয় ২৭/২৮ বছর আগের লেখা পরে আসল গল্পের প্রায় ৯০ ভাগ ডিলিট করে এটা বানিয়েছি শুধু সংলাপ থেকে। আসল গল্প বেশি কাল্পনিক এবং এখন আমার ভালো লাগে না। এখন যথেষ্ট বাস্তবিক হয়েছ যদিও সংলাপে মনে হয় আদিমযুগের লেখা।
আমি আমার মত লেখালেখি করি, বড় লেখদের লেখা পড়ে শিখতে চেয়ে জেনেছি লেখায় নষ্টামি না থাকলে লেখা জনপ্রিয় হয় না।
যাক, আমি ভেবেছিলাম আপনি রাগ করবেন। হাজিবাবা পড়লে আরও মজা পাবেন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
না রাগ করিনি। প্রশ্নই উঠে না। আমি সব সময় শিখতে চাই। নতুন কিছু শিখতে চাই। নিজের ভুলগুলি সংশোধন করতে চাই।
একজন নতুন লেখক বেড়ে উঠার পিছনে সব চেয়ে বড় প্রভাবক হলো ভালো কিছু সমালোচক। যেই নতুন লেখকের কোন সমালোচক নেই তার ডেভেলপমেন্টের আসলে কোন সুযোগও নেই। তাকে বাহাবা দিয়ে দেয়া মন্তব্যগুলি তার সাড়ে সর্বনাশ ছাড়া আর কিছু করবে না। মাঝে হাতে সময় থাকলে আমার লেখাগুলি পড়বেন। যেকোন ভুল চোখে পড়লে সেটা ধরিয়ে দিবেন।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো।
৪৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০
নিভৃতা বলেছেন: অনেকদিন পর দারুণ একটা প্রেমের গল্প পড়লাম। নাবিলা কাহিনীর শুরুটা প্রেম এবং পরিণয় দিয়ে অসাধারণ হয়েছে। এই পর্বে নাবিলার চেয়ে নাহিদেরই মনো বিষয়ক জ্ঞান বেশি মনে হচ্ছে। একেবারে নাবিলার যোগ্য পাত্র। পরবর্তী পর্বগুলো ধীরে ধীরে পড়ে নিবো।
কিছু বানান ভুল আছে। আর কয়েকটি জায়গায় "যেয়ে" এর পরিবর্তে " গিয়ে" লিখলে মনে হয় ভালো হত। প্রথম কবিতাটা আরেকটু ভালো হতে পারতো মন হচ্ছে, যদিও আমার কবিতা সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম।
০১ লা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: নিভৃতা,
আমার এই অসাধারণ গল্পটা পড়ার জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা রইলো।
সাইকোলজির উপর বেশ কয়েকটা পর্ব লেখার পরও কেন যেন মনে খুঁতখুঁত লাগছিলো কিভাবে নাবিলা'কে ব্লগে সবার সাথে পরিচয় করে দেই। তাই এই গল্পটা লিখে ফেললাম। সাধারণত আমি আলাদা করে শুধু প্রেমের গল্প লিখি না।
এই গল্প অনেক প্রিয় আমার। এই গল্পের জন্যই আমি আলাদা করে চার চারটা কবিতা লিখেছি যার প্রতিটা পরে আলাদাভাবে পোস্ট করেছি।
নিজ পড়ে আসুন আমার প্রিয় কবিতা - কবিতাঃ মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে.....
যখন আমি এই গল্পটা লিখেছিলাম তখন আমি খুব ভালো মতো বাংলা বানান জানতাম না। এখন এই গল্পটা লিখতে বসলে এইভুলগুলি মনে হয় হতো না। যাক, যখন বলেছেন, এই গল্পটা আবার রিরাইট করে দেখতে হবে। হাতে সময় পেলেই বসে যাবো।
এইকয়দিন অফিসের কাজে খুব ব্যস্ত ছিলাম। আজকে কিছুটা ফ্রি হয়েছি।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কবিটার লাইনগুলো বেশ হয়েছে।