নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বানী চিরন্তনী ২ঃ ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা!!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৯



ভালোবাসা হচ্ছে একটি আকাংখা, জীবনের একটা স্বপ্ন। ভালোবাসা মনের সুপ্ত বাসনা, হৃদয়ের অনুভূতি। পৃথিবী রহস্যময়, রহস্যময় মানুষের জীবন, তার চেয়েও রহস্যময় এই প্রকৃতি। প্রকৃতি মানুষের সঙ্গে অনেক ধরনের খেলা খেলে, প্রকৃতি আনন্দ পায় এই সব খেলায় আমাদের সঙ্গি করে আর আমরাও কারো না কারো প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বেড়াই! যত বড় সাধুই হোক না, তার ধ্যান ভাঙাতে একজন গোপিনি যথেষ্ট। ঐ গোপিনির কাছেই সকাম প্রেম পেরিয়ে নিষ্কাম প্রেমের দীক্ষা নিতে হয়। প্রেম ভালবাসার পিপাসায় সবাই সব সময় অতৃপ্তই থাকে। সব পেয়েও যেন কিছুই পেলাম না, এমন একটা অনুভূতি সব সময় প্রেমিক প্রেমিকাদের হৃদয়কে তাড়া করে ফিরে। বয়সের পার্থক্য সেখানে কোনদিনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

ভালোবাসা মানে পরস্পরকে বুঝতে পারা। যে মানুষটিকে ভালোবাসবেন, তাকে যদি বুঝতেই না পারেন তাহলে প্রেম ভালোবাসার কোনো অর্থ আছে বলে মনে হয় না। মুখে মুখে সবসময় ভালোবাসি ভালোবাসি বলার চেয়ে, মনে হয় ভালোবাসার মানুষটাকে বুঝতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। ভালোবাসা বেঁচে বা টিকে থাকে পরস্পরের বিশ্বাসে। যে প্রেমে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়, সেখানে হয়ত প্রেম থাকে না, থাকে সামাজিকতাকে রক্ষা। বিশ্বাস ভালবাসার মূলভিত্তি! যে ভালবাসায় বিশ্বাস নেই, সেই ভালবাসা কখনোই চিরস্হায়ী হবে না। ভালোবাসা অনেক পবিত্র একটি অনুভূতি। স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাউকে ভালোবাসা উচিৎ নয়। এটা হচ্ছে পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্ক যেখানে থাকবে না কোনো চাওয়া-পাওয়া, থাকবে না কোনো স্বার্থ, থাকবে শুধুই মনের গভীরতম সূক্ষ্ম অনুভূতি……….

আমাদের অনেকেই ভালোবাসা, প্রেম আর ভালোলাগার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলি। চলুন তবে দেখে আসি এদের মধ্যে আসলে পার্থক্যটা কোথায়-

প্রেম করা কাকে বলে?
প্রেম যখন তখন যার তার সাথে করা যায়। কারো প্রেমে পড়লে ঘণ্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলা, একটু অবসর পেলেই দুজনে ঘুরতে চলে যাওয়া, দামী রেস্টুরেন্টে বসে ফেসবুকে চেক ইন দেয়া, দিনে দশ বিশ বার আই লাভ ইয়্যু বলা, একসাথে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেয়া। সবাইকে জানিয়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে যেটা করা হয় সেটা হল প্রেম|

ভালোবাসা কাকে বলে?
ভালবাসা একটা সূক্ষ্ম অনুভূতি। হৃদয়ের খুব গোপন একটা অনুভূতি। কাউকে ভালবাসলে শুধুমাত্র তাকে ঘিরেই আলাদা একটা জগৎ তৈরি করা, একটা স্বপ্নের জন্ম দেওয়া, স্বপ্নটা ভবিষ্যতের, একসাথে পথচলার। ভালবাসা মানে শুধু দুজনে মিলে ভাল কিছু সময় উপভোগ করা নয়, বরং জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে দুজন দুজনের পাশে থাকা। জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে ভালবাসার মানুষটার হাত ছেড়ে দেয়া নয়, বরং হাত দুটো আরো শক্ত করে ধরে থাকার নামই ভালবাসা।

ভালোলাগা কাকে বলে?
কাউকে বা কোন কিছুকে চোখের দেখায়, কানে শোনায় কিংবা অনুভবে তৃপ্ত হওয়াটাই হচ্ছে ভালো লাগা। এই ভালোলাগা থেকেই এখনো শিখছি, লিখছি। সেদিন থেকে আর হয়ত এই ব্লগে আর লিখবো না, যেদিন এই ভালোলাগাটা আর থাকবে না!



আপনি কি কারো প্রেমে পড়েছেন?
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন, প্রেমে পড়া মস্তিষ্ক শুধু লালসাগ্রস্ত মস্তিষ্কের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। এমনকি যারা দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রতিশ্রুতিশীল সম্পর্কে আবদ্ধ আছেন তাদেরও চেয়েও আলাদা তাদের মস্তিষ্ক। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন, রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানী হেলেন ফিশার, ভালোবাসার জৈবিক ভিত্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, প্রেমে পড়ার সময়টুকু একটি অনন্য বৈশিষ্টসুচক সময়কাল। আর এই ১৩টি লক্ষণে বুঝা যাবে আপনি প্রেমে পড়েছেন:

১. সে অনন্যঃ আপনি যখন প্রেমে পড়বেন তখন আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপনার কাছে অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে মনে হবে। মূলত মস্তিষ্কে ব্যাপকহারে ডোপামিন নিঃসরণের ফলে এই একক মানসিকতার সৃষ্টি হয়। এই রাসায়নিক পদার্থটি মনোযোগ বাড়ানো এবং কেন্দ্রীভুত করার ক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করে। আর একারণেই ভালোবাসার মানুষটির প্রতি এমন একক মানসিকতা বা অনুভূতি তৈরি হয়।

২. সে নিখুঁতঃ যারা সত্যিকার অর্থেই প্রেমে পড়েন তারা তাদের ভালোবাসার মানুষটির ইতিবাচক গুনাবলীর ওপরই বেশি মনোযোগ দেন। নেতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করেন এবং তাকে যথাযথ বা নিখুঁত ভাবতে থাকেন। এছাড়া ভালোবাসার মানুষটির তুচ্ছাতিতু্চ্ছ বিষয়গুলোও মনে রাখেন। ডোপামিনের পাশাপাশি নরপিনারফ্রিন নামের রাসায়নিক নিঃসরণের ফলে এই স্মৃতি স্থায়ী হওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে!

৩. আমি একটা সর্বনাশাঃ প্রেমে পড়লে অনেক সময় আবেগগত এবং শারীরবৃত্তীয় অস্থিরতা তৈরি হয়। এর ফলে আপনার মধ্যে উল্লাস, প্রাণচাঞ্চল্য, অতি উদ্যম, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য, কম্পন, হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া এবং সামান্যতম বিপত্তিতে উদ্বেগ, আতঙ্ক ও হতাশার অনুভূতি দেখা দিবে। অনেকটা মাদকাসক্তদের মতো অবস্থা তৈরি হবে। মাদক সেবন করলে মস্তিষ্কের যে অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রেমে পড়ার পর ভালোবাসার মানুষটিকে দেখলেও ঠিক একই অংশ উত্তেজিত হয়। গবেষকদের মতে প্রেমে পড়াটাও এক ধরনের আসক্তির মতো!

৪. কারো সঙ্গে বিদ্বেষের ফলে আপনারা আরো ঘনিষ্ঠ হনঃ অন্য কারো সঙ্গে বিদ্বেষের ফলে যদি আপনার ভালোলাগার মানুষটির সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাহলে আপনি নিশ্চিত তার প্রেমে পড়েছেন।

৫. আপনি তার চিন্তায় বুঁদ হয়ে থাকেনঃ যারা প্রেমে পড়েছেন তারা জানিয়েছেন, তারা তাদের জেগে থাকার ৮৫% সময় ভালোবাসার মানুষটির চিন্তায় কাটিয়ে দিয়েছেন। এর জন্য দায়ী মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক নিঃসরণ।

৬. সব সময় একসঙ্গে থাকার ইচ্ছা হয় যার প্রেমে পড়েনঃ তারা আবেগগতভাবে তাদের ভালোবাসার মানুষটির ওপর নির্ভরশীলও হয়ে পড়েন। এর মধ্যে থাকে সব সময় আগলে রাখার প্রবণতা, ঈর্ষা, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় এবং বিচ্ছেদের ভয়।

৭. চিরদিন একসঙ্গে থাকার ইচ্ছা হয় প্রেমে পড়লেঃ ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে আমৃত্যু একত্রে থাকার ইচ্ছা জাগে। সারাক্ষণ শুধু ভালোবাসার মানুষটির আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার এবং তার সঙ্গে ভবিষ্যত কল্পনা কাজ করে। এমনকি তাকে ছাড়া বাঁচা অসম্ভব বলে মনে হয়।

৮. আমি তার জন্য যে কোনো কিছু করতে পারবঃ যারা প্রেমে পড়েন তারা তাদের ভালোবাসার মানুষের প্রতি শক্তিশালী সহানুভূতি অনুভব করেন। ভালোবাসার মানুষটির বেদনাকে নিজের বেদনা বলে মনে করে এবং তার জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে।

৯. সে কি এই পোশাকটি পছন্দ করবেঃ প্রেমে পড়লে আপনি পোশাক-আশাক, আচার-ব্যবহার এবং দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর ক্ষেত্রে আপনার ভালোবাসার মানুষটির পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দিতে শুরু করবেন।

১০. আমরা কি স্বতন্ত্র হতে পারিঃ যারা গভীরভাবে প্রেমে পড়েন তারা ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যৌন কামনা বোধ করেন। এক্ষেত্রে কিছু আবেগগত উৎকণ্ঠাও কাজ করে। এর সঙ্গে থাকে অধিকারপ্রবণতা, একচেটিয়া যৌন অধিকার স্থাপন এবং যৌন অবিশ্বস্তার সন্দেহ সৃষ্টি হলে চরম ঈর্ষাকাতরতাও কাজ করে। মানুষের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতাগুলো কাজ করে যাতে করে তার সন্তান গর্ভধারণ করা পর্যন্ত তার সঙ্গিনী অন্য পাণিপ্রার্থীদের দূরে সরিয়ে রাখে।

১১. যৌনমিলনের চেয়ে আবেগগত মিলনের আকাঙ্খা বেশিঃ প্রেমে পড়লে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে যৌন মিলনের আকাঙ্খার চেয়ে বরং আবেগগত মিলনের আকাঙ্খা বেশি কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রেমে পড়লে ৬৪% মানুষই যৌনতার চেয়ে বরং আবেগগত মিলনকে বেশি প্রাধান্য দেন।

১২. নিয়ন্ত্রণহীনতাঃ প্রেমে পড়লে আপনি অনেকসময় আবেগগতভাবে স্বেচ্ছাচারী বা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বেন।

১৩. স্ফুলিঙ্গ দূর হয়ে গেছে দুর্ভাগ্যক্রমেঃ প্রেমে পড়ার অবস্থাটি চিরস্থায়ী হয় না। এটি একটি ক্ষণস্থায়ী দশা যা থেকে পরে দীর্ঘমেয়াদি, পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল সম্পর্ক তৈরি হয়। অথবা কোনো সম্পর্কই আর হয় না। তবে দুজনের মাঝখানে সামাজিক বাধা বা স্থানিক দূরত্ব থাকলে প্রেমে পড়ার সময়কালটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।




ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি বলে?
বিজ্ঞানের ভাষায়, ভালোবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা। যার জন্য একাধারে দায়ী আমাদের জিন। প্রেমের প্রথমদিকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল বা কান লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গ গুলো দেখা যায়; বিজ্ঞানীদের মতে সেসবের পেছনে দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন। মাঝে মাঝে দেখা যায় কারো কারো প্রেমের আবেগ কমে যায়। তার কারণ মস্তিষ্ক থেকে ওই হরমোনগুলো নিঃসৃত হয় না। আবার এও দেখা গেছে যে কোনো মানুষের শরীরে কৃত্রিমভাবে এই হরমোন রসায়ন প্রয়োগ করা হলে তাদের মাঝে সেই প্রেমের অনুভূতি হয়।

দুই প্রেমিক প্রেমিকার সদা ঘোর লাগা অবস্থার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি, এ নিয়ে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ হেলেন ফিশার এবং স্নায়ুচিকিৎসক লুসি ব্রাউন, আর্থার অ্যারোন প্রমুখ বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪০ জন প্রেমে পড়া ছাত্রছাত্রীদের উপর এক গবেষণা চালান। তাদের গবেষণার ধরনটি ছিলো এরকমের। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সামনে তাদের ভালবাসার মানুষটির ছবি রাখা হল এবং তাদের মস্তিষ্কের ফাংশনাল এমআরআই (fMRI) করা হলো। দেখা গেলো, এ সময় তাদের মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল এবং কডেট অংশ উদ্দিপ্ত হচ্ছে, আর সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিন নামক এক রাসয়ায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটছে। অবশ্য কারো দেহে ডোপামিন বেশি পাওয়া গেলেই যে সে প্রেমে পড়েছে তা নাও হতে পারে। আসলে নন-রোমান্টিক অন্যান্য কারণেও কিন্তু ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়তে পারে। যেমন, গাঁজা কিংবা কোকেইন সেবন করলে। সেজন্যই আমরা অনেক সময়ই দেখি ভালবাসায় আক্রান্ত মানুষদের আচরণও অনেকটা কোকেইনসেবী ঘোরলাগা অবস্থার মতোই টালমাটাল হয় অনেক সময়ই।

তবে ভালবাসার এই রসায়নে কেবল ডোপামিনই নয় সেই সাথে জড়িত থাকে অক্সিটাইসিন, ভেসোপ্রেসিনসহ নানা ধরনের বিতিকিচ্ছিরি নামের কিছু হরমোন। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই হরমোনগুলো নাকি ‘ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে’ মানে প্রেমিক প্রেমিকার বন্ধন দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা এও বলেন কেউ মনোগামী হবে না বহুগামী হবে – তা অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করছে এই হরমোনগুলোর তারতম্যের উপর। দেখা গেছে রিসেপটর বা গ্রাহক জিনে ভেসোপ্রেসিন হরমোনের আধিক্য থাকলে তা পুরুষের একগামী মনোবৃত্তিকে ত্বরান্বিত করে। কেউ যখন প্রেমে পড়ে তখন তার ব্রেইনে প্রচুর পরিমাণে 'ডোপামিন' এবং 'নর-ইপিনেফ্রিন' তৈরি হয়, যে কারণে এমন নেশাগ্রস্তের অনুভূতি হয়।

তাই প্রেমে পড়ার মধ্যে দিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তা জনিত সমস্যা, যেমন- জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, প্যানিক ডিসওর্ডার, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডারের সূচনা ঘটতে পারে। আবার সম্পর্ক না হলে ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কেউ কেউ অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডারেও ভুগেন।



ভালোবাসা নিয়ে মজার কিছু তথ্য
সবার জীবনেই কিছু আবেগময় ভালোবাসার গল্প থাকে। ভালোবাসা মানুষকে প্রাণবন্ত এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ভালোবাসা একজন মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। এই ভালবাসা সম্পর্কে কিছু বৈজ্ঞানিক মজার তথ্য তুলে ধরা হল:
* ভালবাসা হার্টরেট বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের ভিতরের ভয় দূর করে।
* যখন মানুষ প্রিয়জনক ঠোট চুম্বন করে তখন সে মাথা বাম দিকে না নুইয়ে ডান দিকে বাকিয়ে নিয়ে যায় (৬০% ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এরকম হয়)
* যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে তার স্ত্রীকে চুমু দেয় তারা ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকে যারা চুমু দেয় না তাদের চেয়ে।
* ৫ ভাগের ১ ভাগ ভালবাসা একতরফা হয় যা পরবর্তীতে পরস্পরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
* প্রেমে পড়লে মানুষের মন ও দেহ শান্ত থাকে। তাদের নার্ভস লেভেলের উন্নয়ন হয় এবং স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
* নতুন প্রেমিক-প্রেমিকাদের হরমোন ডিসঅর্ডার সমাধানে প্রেমের ভূমিকা অত্যধিক।
* পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, প্রত্যেক ছেলে মানুষ বিয়ের আগে ৭ বার প্রেমে পড়ে।
* বিয়ের আংটি সব সময় অনামিকা আঙ্গুলে পড়ানো হয়। কারণ সেই আঙ্গুলের সাথে হার্ট এর সংযোগ আছে বলে ধরা হয়।
* গোলাপ ভালোবাসার প্রতীক এবং এর বিভিন্ন কালার ভালোবাসার বিভিন্ন অর্থ বহন করে।
- লাল গোলাপ-প্রকৃত ভালোবাসা
- লাইট পিংক গোলাপ-ইচ্ছা, আকাঙ্খা
- হলুদ গোলাপ-বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য
* যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়ে তাদের দেহে সেরেটোনিন নামক এক প্রকার হরমোন উৎপন্ন হওয়া কমে যায়। যার ফলে এদের মন কিছুটা উদাস থাকে বা বিষণ্ণতায় ভুগে।



ভালোবাসা নিয়ে শ্রেষ্ঠ বাণীর সংগ্রহঃ
পৃথিবীর আদিমতম যে সম্পর্ক তার নাম ভালোবাসা। ইতিহাসের পাতায় পাতায় ভালোবাসার জন্য জীবন বিসর্জন, সিংহাসন ত্যাগ, অর্থ প্রাচুর্য ত্যাগসহ আরো কত না ঘটনা রয়েছে। ভালোবাসা অমর ও অক্ষয়। ভালোবাসার মৃত্যু নেই। আনন্দ আর বিরহ নিয়েই ভালোবাসা। এই ভালোবাসা নিয়ে রচিত হয়েছে কত গল্প,কবিতা, উপন্যাস,গান আর সিনেমা। আর এই ভালোবাসা বিষয়ক বিখ্যাত কিছু উক্তি নীচে দেয়া হলো। অনেক দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে বানীগুলি সংগ্রহ করেছিলাম।

১। ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানেনা। আর মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানেনা। - সমরেশ মজুমদার ।

২। বিশ্বাস করুন, আমি কবি হতে আসিনি, আমি নেতা হতে আসি নি, আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম, প্রেম পেতে এসেছিলাম। সেই প্রেম পেলাম না বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চির দিনের জন্য বিদায় নিলাম। - কাজী নজরুল ইসলাম।

৪। প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৫। এই পৃথিবীতে প্রিয় মানুষগুলোকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা কষ্টকর কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়। কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না, জীবন তার মতই প্রবাহিত হবে। - হুমায়ূন আহমেদ।

৬। প্রেম মানুষকে শান্তি দেয় কিন্তু স্বস্তি দেয় না। - বায়রন।

৭। কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়। - হুমায়ূন আহমেদ।

৮। প্রেমে পড়লে বোকা বুদ্ধিমান হয়ে উঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়। - স্কুট হাসসুন।

৯। মেয়েদের তৃতীয় একটা নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে। - হুমায়ূন আহমেদ।

১০। প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকিলে রস নিবিড় হয় না। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১১। ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই। - হুমায়ূন আহমেদ।

১২। বিচ্ছেদের দুঃখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া উঠে। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৩। যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না। - হুমায়ূন আহমেদ।

১৪। নারীর প্রেমে মিলিনের গান বাজে, পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৫। ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সব চাইতে মূল্যবান হল মেয়েদের হাসি। - হুমায়ূন আহমেদ।

১৬। প্রেমের ক্ষেত্রে জয়ী হয়ে কেউ শিল্পী হতে পারে না, বড় জোর বিয়ে করতে পারে। - ওয়াশিংটন অলসটন।

১৭. মেয়েরা প্রথমবার যার প্রেমে পড়ে, তাকে ঘৃনা করলেও ভুলে যেতে পারে না। পরিষ্কার জল কাগজে পড়লে দেখবেন তা শুকিয়ে যাওয়ার পড়েও দাগ রেখে যায়। - সমরেশ মজুমদার।

১৮। একই ব্যাক্তির সাথে বহুবার প্রেমে পড়াই হল সার্থক প্রেমের নির্দশন। - ব্রাটন।

১৯। যে ভালবাসা যত গোপন, সেই ভালবাসা তত গভীর। - হুমায়ূন আহমেদ।

২০। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম। - হুমায়ূন আজাদ।

২১। ভালোবাসার জন্য যার পতন হয় সে বিধাতার কাছে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল। - জনসন।

২২। প্রেম হল সিগারেটের মতো, যার আরম্ভ হল অগ্নি দিয়ে, আর শেষ পরিণতি ছাই দিয়ে। - জর্জ বার্নার্ড শ।

২৩। ধোয়া, টাকা আর প্রেম কিছুতেই চেপে রাখা যায় না ঠিক ফুটে বেরুবেই। - শংকর।

২৪। ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ - জর্জ চ্যাপম্যান।

২৫। প্রেম হচ্ছে স্বার্থ সিদ্ধির চরম অভিব্যক্তি। - হল রুক জ্যাকসন।

২৬। প্রেম নারীর লজ্জাশীলতাকে গ্রাস করে, পুরুষের বাড়ায়। - জ্যা পল বিশার।

২৭। যে ভালোবাসা পেলো না, যে কাউকে ভালোবাসতে পারলো না, এই সংসারে তার মতো হতভাগা কেউ নেই। - কীটস্।

২৮। ভালোবাসা হচ্ছে একধরনের মায়া যেখানে, পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আলাদা করে দেখে আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে। - লুইস ম্যাকেন।

২৯। ভালোবাসা হচ্ছে একটা আদর্শ ব্যাপার আর বিয়ে হচ্ছে বাস্তবতা। আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তাই কখনই নিষ্পত্তি হবে না। - গ্যেটে।

৩০। আমরা কোনো ভাবেই ভালোবাসার ওপর মূল্য নির্ধারণ করতে পারি না, কিন্তু ভালোবাসার জন্য দরকারি সব উপকরণের ওপর মূল্য নির্ধারণ করতেই হবে। - ম্যালানি ক্লার্ক।

৩১। সোনায় যেমন একটু পানি মিশিয়ে না নিলে গহনা মজবুত হয় না, সেইরকম ভালবাসার সঙ্গে একটু শ্রদ্ধা, ভক্তি না মিশালে সে ভালবাসাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। - নিমাই ভট্টাচার্য ক্রোধ।

৩২। তুমি যদি কাউকে ভালোবাস, তবে তাকে ছেড়ে দাও। যদি সে তোমার কাছে ফিরে আসে, তবে সে তোমারই ছিল। আর যদি ফিরে নাআসে, তবে সে কখনই তোমার ছিল না। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৩৩। দুটো জিনিস খুবই কষ্টদায়ক। একটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে কিন্তু তা তোমাকে বলে না। আর অপরটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে না এবং সেটা তোমাকে সরাসরি বলে দেয়। - শেক্সপিয়ার।

৩৪। যখন কোন পুরুষ কোন নারীকে ভালবাসে, তখন সে তার জন্য সব কিছু করতে পারে। কেবল তাকে ভালবেসে ছেড়ে যেতে পারেনা। - অস্কার ওয়াইল্ড।

৩৫। ভালবাসা যা দেয় তার চেয়ে বেশী কেড়ে নেয়। - টেনিসন।

৩৬। সত্যিকারের ভালোবাসা হল অনেকটা প্রেতাত্মার মতো। এ নিয়ে সবাই কথা বলে, কিন্তু শুধুমাত্র কয়েকজনই এর দেখা পায়। - লা'র চেফউকোল্ড।

৩৭। প্রেমের নিরব স্বপ্ন যতই মধুর, তার অর্ধেক মধুরতাও জীবনে আর কিছুতেই নেই। – টমাস মুর।

৩৮. কোন কাছি বা দড়ি অত জোরে আকর্ষণ করতে বা অত শক্ত করে বাঁধতে পারে না, প্রেম যা একটি মাত্র সুতো দিয়ে পারে। – বার্টন

৩৯. প্রেম হচ্ছে সব কিছুর শুরু, মধ্য এবং অন্ত। – লাকর্ডেয়ার।

৪০. ছোট ছোট বিচ্ছেদ প্রেমকে গভীর করে আর দীর্ঘবিচ্ছেদ প্রেমকে হত্যা করে। –মিরবো।

৪১. যৌবনে যার প্রেম এলোনা তার জীবন বৃথা। - শংকর

৪২. অন্ধভাবে কাউকে ভালবাসলে তার ফল শুভ হতে পারেনা। - কারলাইন

৪৩. যে ভালবাসে কিন্তু প্রকাশ করে কম, সে ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রকৃত। - জর্জ ডেবিটসন

৪৪. গভীর ভালবাসার কোন গোপন ছিদ্রপথ নেই। - জর্জ হেইড

৪৫. ভালবাসার নদীতে জোয়ার ভাটা আছে। - জন হে

৪৬. ভালবাসা হৃদয়ের দরজা মুহুর্তেই খুলে দেয়। - টমাস মিল্টন

৪৭. ভালবাসা দিয়ে মরুভুমিতেও ফুল ফোটানো যায়। - ডেভিসবস

৪৮. যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন তখন আপনার জমিয়ে রাখা সব ইচ্ছেগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। - এলিজাবেথ বাওয়েন।

৪৯. বন্ধুত্ব অনেক সময় ভালোবাসায় পর্যবসিত হয়, কিন্তু বন্ধুত্বের মধ্যে কখনো ভালোবাসা থাকে না। - চার্লস কনটন।

৫০. শুকনো হৃদয়ের খাঁ খাঁ শূন্যতা প্রণয়ের বৃষ্টিভেজা বাতাস দিয়ে ভরিয়ে তোলার নামই ভালোবাসা। - ব্লগার রূপক বিধৌত সাধু।

৫১. ভালোবাসা যদি কাউকে উদার হতে শেখায়, তবে সেটাই সত্যিকার ভালবাসা। - ব্লগার উম্মু আবদুল্লাহ।


আমার কাছে ভালোবাসা:
ভালোবাসা অনবদ্যতা আমি প্রায়ই তুলে ধরি আমার গল্পগুলিতে। সেখান থেকে বেছে বেছে অন্যতম সেরা দুইটা অংশ নীচে তুলে দিলাম আমার পাঠকদের জন্য।

একঃ কুসুম কুসুম প্রেম কাহিনী
হাত রুমালে মুছে উঠে দাড়াবো, সেই সময় দেখি শবনম আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ওহ মাই গড, শবনম আজকে শাড়ি পড়ে এসেছে! লাল শাড়ি। কি যে সুন্দর লাগছে! আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেন ওর দিকে তাকিয়ে আছি। চোখ সরানো যাচ্ছে না। আমার ছোট্ট এই জীবনে শবনম ছাড়া কি বা চাইবার আছে? পাঞ্জাবীর পকেটে হাত দিলাম। বড় একটা রক্ত লাল গোলাপ নিয়ে এসেছি শবনমকে দিব বলে।
শবনম মনে হয় টের পেয়ে গেল আমি করব। এক স্টেপ পিছিয়ে যেয়ে বললঃ
-হাঁদারাম কোথাকার? আপনার কি ধারনা আপনার জন্য আমি শাড়ি পরে এসেছি? তাও আবার লাল শাড়ি? এক ঘন্টা রাস্তায় বসিয়ে রেখেছি, তাও লজ্জা করে না। মানুষ এত বেহায়া হয় কিভাবে?

শবনমের লাল শাড়ি, লাল ব্লাউজ, লাল টিপ, লাল লিপষ্টিক আর হাতে কাঁচের লাল চুড়ি দেখে আমি আশেপাশের সমস্ত পৃথিবীর কথা ভূলে গেলাম। শবনমের সব কথা যেন আমার এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বের হয়ে গেল। ও আজকে আমাকে যা ইচ্ছা বলুক, কিচ্ছু যায় আসে না আমার।
-আপনার জন্য আমার কোন লজ্জা করে না। কেউ কি আপনাকে কখনো বলেছে আপনি আসলে কতটা সুন্দর? শবনম আমি আপনাকে আমি পাগলের মতো ভালোবাসি। আপনি আমাকে যা ইচ্ছা বলতে পারেন, যা ইচ্ছা করতে পারেন, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আমার এই ছোট্ট জীবনে আপনাকে ছাড়া আমি আর কিছুই চাই না। আপনি যদি চান এই মুহূর্তে, আমি আমার হৃদপিন্ড ছিড়ে এনে আপনার হাতে হাসি মুখে তুলে দিব। দেখতে চান?

এক নিশ্বাসে কথা গুলি বলে আমি নিজেই অবাক! কত কথা গুছিয়ে এনেছি ওকে বলব বলে, আর কি আবোল তাবোল বলে ফেললাম। কতটা দিন ধরে যে আবেগ বুকে চেপে রেখেছিলাম সেটা শবনমকে দেখে সাথে সাথে যেন বের হয়ে আসল।

দুইঃ পরিণয়
নাবিলা ওর হাতের ব্যাগটা নাহিদের হাতে দিয়ে খোঁপায় গোলাপ ফুল গুলি গুঁজে নিল আর ওর ব্যাগটা ফেরত নিয়ে খুব সুন্দর একটা হাসি গিফট করল নাহিদকে। খোঁপায় গোলাপ ফুল সহ নাবিলাকে দেখে হঠাৎই নাহিদের মনে হল স্বর্গের সবচেয়ে সুন্দরী অপ্সরীটাই ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। নাবিলার হাসিটা যেন ওর মাথা সাথে সাথেই নষ্ট করে দিল। মুহূর্তের মধ্যেই ও নাবিলার হাত দুটি নিজের দুই হাতের মাঝে নিয়ে অস্ফুটে স্বরে বলল-
-নাবিলা, আমি আপনাকে ভালোবাসি, অসম্ভব ভালোবাসি। আমার বুকে ঢুক ঢুক করা এই হৃদপিন্ডটা যদি বের করে এনে আপনাকে দেখাতে পারতাম, তাহলে দেখতেন সেটার সারা জায়গায় শুধু আপনারই নাম লেখা। এই হাত দুটি ধরে সারা জীবন শুধু আমি আপনাকেই ভালোবেসে যেতে চাই, আর কিচ্ছু চাইনা। আপনি আমাকে ভালোবাসার যেই পরীক্ষাই নিতে চান আমি সেটাতেই রাজী, তাও আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

লজ্জায় মাথা নীচু করে ফেলল নাবিলা। হুট করে নাহিদ এমন সব কথা বলে বসে যে ওর লজ্জায় মরি মরি অবস্থা! নাহিদ এখনও নাবিলার হাত দুটি ছেড়ে দেয় নি, কেন জানি ওর মনে হচ্ছে নাবিলা ছাড়াতেও চাচ্ছে না। এক বুক ভরা ভালোবাসা চোখে নিয়ে ও নাবিলার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল-
-নাবিলা, আমি খুব একা। জীবনের এই নিঃসঙ্গ অথৈ সাগরের মাঝে আমি এক বুক ভরা হাহাকার নিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছি। এক মুঠো স্বস্তির নিশ্বাসও কি আমি আপনার কাছে চাইলে দেবেন না?

অতর্কিত এই প্রেমের আহবানে নাবিলার বুকটা অপ্রত্যাশিত আবেগের শিহরণে তোলপাড় হয়ে গেল। ভালোবাসা আহবান হঠাৎই মানুষকে বিহবল করে তুলতে পারে, হৃদয়ের অন্ত:করনে প্রশান্তির পসরা সাজাতে পারে, আকর্ষণের তীব্র ছায়ায় আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে, ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে কল্পলোকের অথৈ অতলে। নাহিদের যে সাত সমুদ্র ভালোবাসা ওকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনুরাগে, সেটা কি এড়িয়ে যাওয়া সত্যই ওর পক্ষে সম্ভব?

নিজের মনের উপর নাবিলার অসম্ভব বিশ্বাস ছিল যে, হুট করে কেউ এসে ওর মনের দখল নিয়ে যেতে পারবে না। একজন সত্যিকারের রাজকুমারই পারবে এসে ওর মনের ঘরের চাবি ওর কাছ থেকে কেড়ে নিতে। কিন্তু সেই কল্পনাকেও যেন হার মানাল নাহিদের প্রেমের আকুতি! এভাবে সত্যি সত্যিই ওর আসল রাজকুমার না চাইতেই চলে আসবে আর ওর মনের বদ্ধ দুয়ার চাবি কেড়ে নিয়ে খুলে দেবে, তা নাবিলা কল্পনাও করেনি। নাহিদের প্রেমময় ভালোবাসার আহবান যেন নাবিলাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ওর অধর ছুঁয়ে গেল আর সাথে সাথেই নাবিলা প্রণয়ের শিহরনে কেঁপে উঠল। ভালবাসার এই হাতছানি থামিয়ে দেবার শক্তি নাবিলার নেই। ওর শীতলতায় তপ্ত হৃদয়ে হঠাৎ করেই স্পর্শ করল প্রণয়ের অনল, সেই অনলে কিছু বুঝার আগেই দগ্ধ হয়ে যায় নাবিলার হৃদয়। সেই দগ্ধ হৃদয়ে অসহ্য শিহরনের মাঝেই নাবিলা কান পেতে শুনতে পেল অনাগত ভবিষ্যতে অসম্ভব ভালোবাসায় ঘেরা জীবনের হাতছানি…….


ভালোবাসা নিয়ে লেখাটা শেষ করতে চাই ব্লগের কবিতা সম্রাজ্ঞী আমার প্রিয় কবি মনিরা সুলতানা আপুর পছন্দ করা আমার একটা প্রেমের কবিতার স্তবক দিয়ে-

তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই একটা মসলিন প্রেমের কবিতা-
যেই কবিতার প্রতিটি তন্তু আর আঁশে,
ভাঁজে ভাঁজে গাঁথা থাকবে আমার লুন্ঠিত হৃদয়ের অগুনিত সংখ্যাতথ্য।
উদ্ধত আর বেপরোয়া এই হৃদয় তোমার মাঝেই পেয়েছে স্নিগ্ধতা।
কিংবা তোমার শান্ত বুকে আমার পাগলপরা প্রেম
আঁকবে রঙধনুর সাত রঙ দিয়ে ভালোবাসার এক জলজ্যান্ত পোট্রেইট।


উৎর্সগঃ আমার খুব প্রিয় মুক্তা নীল আপুকে। যিনি এই ব্লগে, আমাকে ব্লগের আপন ভাই হিসেবে বরন করে নিয়েছেন। আজকের এই লেখাটা ভাই হিসেবে আপুকে উপহার দিলাম!

আগের পর্ব পড়ে আসুন এখান থেকে বাণী চিরন্তনী: বিয়ে করেছেন! আসুন এটাকে নিয়ে সেলিব্রেট করি!

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

হাবিব বলেছেন: শুভ সকাল ভাইয়া

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও শুভ সকাল।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

হাবিব বলেছেন: দারুণ পোস্ট, প্রিয়তে রাখলাম। বিস্তারিত পরে পড়বো ইনশাআল্লাহ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: অনেক দিন ধরে খেটেখুটে লিখেছি। বেশ বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি। অনেক অনেক অজানা জিনিস জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশভাই,

ভালোবাসা দিবসে দারুন একটি পোস্ট দিয়েছেন। জবরদস্ত মনে হল । একেবারে তো মনে হলেও রিসার্চ পেপার । হাবিবভাই তো ইতিমধ্যে বলেই দিয়েছেন যে পোস্ট প্রিয়তে চলে গেছে। আমি ওনার পদাঙ্ক অনুসরণ করলাম । উৎসর্গে ভালো লাগা।

বসন্তের শুভেচ্ছা রইল ♥♥♥♥♥

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল দাদা,
অনেক দিন ধরেই এই টপিকে উপর কাজ করছিলাম। আমার বিভিন্ন লেখায়, গল্পে কিংবা কবিতায় অহরহই কাজে লাগে।
ভাবলাম আমার সকল পাঠকদের বরং শেয়ার করে দেই! সবারই কাজে লাগবে।
লাইক এবং প্রিয়তে নেয়ার জন্য মন থেকে কৃতগ্গতা রইল!
ধন্যবাদ অনন্তর...........

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও পয়লা ফাল্গুনের রক্তিম ফান্গুনী শুভেচ্ছা এবং হ্যাপি ভালেটাইন ডের শুভেচ্ছা রইল!

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ও মোর খোদা, ব্লগে তো দেখি ভালু্বাসার ছড়াছড়ি..;) মুই অহন কি করি??:P

২০। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম। - হুমায়ূন আজাদ।
কথা সত্য।


আমি যতদুর জানি, মুক্তা নীল ছেলে ব্লগার। :D:P

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: মনে হয় আপনি ভুল জেনেছেন। উনি নিজে এসে আমাকে বলে গেছেন উনি মেয়ে। একবার ঝাড়িও খেয়েছি উনাকে ভাইয়া বলার জন্য। আমার সব লেখাতে আপুকে পাবেন।
লেখাটা কেমন হয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই টপিকে উপর কাজ করছিলাম। আমার বিভিন্ন লেখায়, গল্পে কিংবা কবিতায় অহরহই কাজে লাগে। ভাবলাম আমার সকল পাঠকদের বরং শেয়ার করে দেই! সবারই কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মনোমুগ্ধকর কথামালা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয়তে নিয়েছেন নাকি?
চমৎকার মন্তব্যের জন্য মন থেকে ধন্যবাদ নিবেন।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

মুক্তা নীল বলেছেন: ।ভাই,
শুভ্র ও নির্মল শুভেচ্ছা রইলো । আপনার এই লেখা পড়ে অনেক পাঠকের ভালো লাগবে এবং অনেক কিছুর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন চমৎকার ভাবে ।
প্রেম, ভালোবাসা ও ভালোলাগা এই তিনের সংজ্ঞা নিরূপণে একদম পারফেক্ট । প্রেমে পড়ার ১৩টি লক্ষণের বিশ্লেষণ দিয়েছেন গভীর ভাবে --- --- যে কখনও প্রেমে পড়েছে সেই এর মানে বুঝবে, আর যে প্রেমে পড়েনি সে হয়তো জানবে.......
ভালোবাসা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা ব্যাখ্যা আমার জানার ছিলো না। সত্যি-ই ভাই , আপনি অনেক কষ্ট করেছেন। ভালোবাসা নিয়ে মজার কিছু তথ্য সবসময়ই মজার হয়। সবাই -ই মজা পাবে।
ভালোবাসা নিয়ে শ্রেষ্ঠ বাণী সংগ্রহ করে পড়ে , কিছু কিছু লিখে রাখতাম । এই বাণীগুলো যুগে যুগে অমর হয়ে থাকবে। পুরোনো আবেগ জাগিয়ে তোলে ।
আমার কাছে ভালোবাসা --- কুসুম কুসুম প্রেম কাহিনি ও পরিণয়ে আপনি শবনম ও নাবিলা ভালবাসার অবস্থান দাঁড় করিয়েছেন স্ব- অবস্থানে ভালোবাসা র শক্ত হাতে সূক্ষ রুপে। যার ক্রেডিট শুধুই আপনি ।
শেষে এসে অবশেষে যখন আমার নাম টা দেখলাম , কিছুক্ষন চুপ হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর একটা উপহার ,,,, ,,,, ধন্যবাদ দিবো কিভাবে ? ভাইবোনের ভালোবাসার মধ্যে ধন্যবাদ অতি নগন্য ।আপনারা মতো মানুষের কাছ থেকে এতো বড় সম্মান পাওয়া আমার চরম সৌভাগ্যের। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। পোস্টটা ভালো করে পড়লাম।
আপনার ও পরিবারের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে ভালো থাকুন সারাবেলা সবসময় । দোয়া রইলো। অনেক ভালো লাগলো।
পোস্টটি অবশ্যই প্রিয়তে নিবো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা আপু,
আমার এই পোস্ট আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। একটা ভালো পোস্ট আপনাকে
উৎর্সগ করব সেজন্যই অনেক দিন ধরে এটা লিখছিলাম। আমি আমার পছন্দের
মানুষদের জন্য সবচেয়ে ভালো লেখাটাই উৎর্সগ করি। আপনার পছন্দ হয়েছে
এটা সব চেয়ে বড় কথা।

আপনারা মতো মানুষের কাছ থেকে এতো বড় সম্মান পাওয়া আমার চরম সৌভাগ্যের। - যেই সম্মান আপনি আমাকে দিয়েছেন, ভাই ডেকে, সেজন্য এটা আপনার অবশ্যই প্রাপ্য।

ধন্যবাদ এবং খুব তাড়াতাড়িই যেন আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন আল্লাহর কাছে সেই দোয়াই করছি।
শুভ কামনা রইল!

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: নীল আকাশ! অনেক কষ্ট করে অনেক তথ্য নিয়ে পোষ্টটি দিয়েছেন। স্বার্থক ভাই আপনাদের লেখা! আমি পড়ে পুরাই ফিদা! ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট অবতারণা করে আমাদের অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, অনেক কষ্ট করে লিখেছি। এটা। আমার লেখার ধরনই এটা। সবাইকে ভালোবাসা নিয়ে অনেক কিছু জানানোর জন্যই এত কষ্ট করে লিখলাম।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নিবেন।

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লেখা দারুন হয়েছে। লাইকসহ সোজা প্রিয়তে। :)


দুঃখিত। একটা মিস্টেক হয়েছিল,
মুক্তা নীল মেয়ে https://www.somewhereinblog.net/blog/muktaneel
আর আমি মুক্তা - ছেলে https://www.somewhereinblog.net/blog/amimukta

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপু অলরেডি চলে এসেছেন উপরে। উনার জন্যই এত সুন্দর করে লিখছি।
আমার মনে হয়ছিল আমি মুক্তা ব্লগারের সাথে মিলিয়ে ফেলেছেন উনাকে।
লাইক আর প্রিয়তে নেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট।
তবু পুরোটাই মন দিয়ে পড়লাম।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: অনেক অনেক কিছু জানাতে চেয়েছি মাত্র একটা পোস্টে...
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল!

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফিরবো লেখায় ......

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
ঠিক আছে আপু, আমি অপেক্ষায় থাকলাম।
আমি এখন শবনম নিয়ে মহা ব্যস্ত। দুর্দান্ত একটা থীম পেয়েছি। এখন ওটাই বসে বসে লিখছি।
শুভ চরিত্রটা খুব কঠিন, আমার খবর হয়ে যাচ্ছে আট মাস আগের পুরানো শুভকে আগের মতোই ফিরিয়ে আনতে!
ধন্যবাদ।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: একটু একটু ফাজিবাজি করে পুরো পোস্ট পড়েছি বোনাই। বেশ পরিশ্রমী পোস্ট। এতো সুন্দর ভালোবাসামণ্ডিত পোস্টটি মুক্তানীল আপুকে উৎসর্গ করার জন্য উনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই।
যে ভালোবাসে সেই ভালোবাসা বোঝে আর যে ভালোবাসা বোঝে সে ভালোবাসতে ভয় পায়। - আরোগ্য।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা ভাই,
এত বড় পোস্ট একবারে পড়া সম্ভব নয় এটা আমি জানি। আমি অনেকটাই রেফারেন্স নোটের মতো করে লিখছি এটা যেন, সবাই যখন যেটা লাগবে থীম কপি করে নিজের লেখায় ব্যবহার করতে পারবে।

যে ভালোবাসে সেই ভালোবাসা বোঝে আর যে ভালোবাসা বোঝে না, সে ভালোবাসতে ভয় পায়। - আরোগ্য। এখনই যোগ করে দিচ্ছি।

ধন্যবাদ।

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ওরেব্বাপস্! প্রেম আর ভালবাসা নিয়ে বিশাল পোস্ট। তবে পুরোটা পড়তে খারাপ লাগেনি। বিশেষ করে প্রেম আর ভালবাসার বিশ্লেষণগুলো দারুণ হয়েছে। এতকিছু কোত্থেকে জোগাড় করলেন আপনি? প্রেম আর ভালবাসা নিয়ে মনে হয় বেস্ট পোস্ট। পোস্টে প্লাস।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা,
আপনার পোস্টে কিছুটা অলরেডি বলে এসেছি। ভালোবাসা কি সেটা অনেকেই ভালো মতো জানে না। অনর্থক না বুঝে এটাকে নস্টামির পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমি চেস্টা করেছি এটার ইনার মিনিং কি সেটা বুঝানোর। শুধুই দেহজ সম্পর্ক কখনই ভালোবাসার উদাহরণ হতে পারে না! অসম্ভব! এটা একটা পবিত্র ব্যাপার!

প্রেম আর ভালবাসা নিয়ে মনে হয় বেস্ট পোস্ট। পোস্টে প্লাস। - এত সম্মান দিলেন আমাকে, কি বলে যে ধন্যবাদ দিব আপনাকে! মন থেকে দেয়া কৃতজ্ঞতা রইল আপনার জন্য!
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল!

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৬

আরোগ্য বলেছেন: আরে বোনাই মোটেই যোগ করবেন না, এটা আমার একান্ত মত। আমি লিখেছি
যে বোঝে সে ভালোবাসতে ভয় পায়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ভুল অর্থ করেছিলাম। ঠিক আছে ডিলিট করে দিচ্ছি।
তবে এখন যেটা ৫০ নাম্বারে দিয়েছিলাম সেটাও কিন্তু চমৎকার হয়েছিল।
ধন্যবাদ আবার ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: চমৎকার তথ্যমুলক পোস্ট। ধন্যবাদ!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৪

বলেছেন: একটা যুগান্তকারী পোস্ট ভাই,

ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীর বুকে আর কিছু নেই।
আমার মতে,
ভালোবাসার সাথে শ্রদ্ধাবোধ ও সংকীর্ণতার উর্ধে থেকে গভীর প্রেমের জন্ম হয়। উদারতার একান্ত নিজস্ব স্বভাবে আপন করে নেওয়াটাই ভালোবাসা। ভালোবাসির সাথে আবশ্যকতা হলো বিশ্বাস যা বয়ে আনে আত্মসুখ।

কীটস বলেছেন - যে ভালোবাসা পেলো না আর ভালোবাসা বিনিময় করলো না তার মতো দূর্ভাগা সংসারে আর একটাও নেই।

ভালোবাসায় আবেগ নয় বিবেক হোক জাগ্রত।+++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী প্রিয় লতিফ ভাই,
আমি চেস্টা করেছি ভালোবাসার সংগা সবাইকে বুঝানো জন্য আমার পোস্টে। ভালোবাসা একদিনের জন্য কেন হবে? আমার ভালোবাসার মানুষ, আমার স্ত্রীকে, সারা দিন, সারা মাস, সারা বছর আমি ভালোবাসি। কাউকে ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট একটা দিন লাগবে কেন?

এটা সম্পুর্ন হলো মিডিয়া হাইপ, আর বিজনেস পলিছি। আর কিছু না। বেকুব কিছু লোকজন না বুঝেই এই একদিনই ভালোবাসা নিয়ে হইচই করে আর বাকি সারা বছর কাথা মূড়ি দিয়ে ঘুমায়!

ভালোবাসা কি সেটা অনেকেই ভালো মতো জানেই না। অনর্থক না বুঝে এটাকে নস্টামির পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমি চেস্টা করেছি এটার ইনার মিনিং কি সেটা বুঝানোর। শুধুই দেহজ সম্পর্ক কখনই ভালোবাসার উদাহরণ হতে পারে না! অসম্ভব! এটা একটা পবিত্র ব্যাপার!

বর্তমানে ইয়ং জেনারেশন ভালোবাসার নামে যা করে বেড়ায় সেটা হলো শুধুই নোংরামী। এরা ভালোবাসার অর্থই বুঝে না। অমুকের ফ্ল্যাটে যেয়ে শুধুই কাপড় খোলা আর ফুর্তি করা কখনোই আর যাই হোক ভালোবাসা হতে পারে না....
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৫

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



এত লম্বা---------------------পোস্ট!!!!!!
শেষ পর্যন্ত পড়িনি তাই ভাল-মন্দ কিছু বললুম না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
অনেক অনেক কিছু জানাতে চেয়েছি মাত্র একটা পোস্টে...সেই জন্য বড় হয়ে গেছে!
কষ্ট করে আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল।

১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৪

বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,
একটা কথা বলতে আবারো আাসা না হলে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে ---

যাকে এই পোস্ট টা উৎসর্গ করেছেন তা যেন সোনায় সোহাগা, উনি আসলেই পরিপূর্ণ ভালোবাসাময় মানুষেরা একজন।

আপনার বোনের জন্য রইলো নির্মল ভালোবাসার এক ঝুলি গোলাপ।


সুন্দর প্রতিউউওরের জন্য আপনাকে ও কোমল ভালোবাসা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল লতিফ ভাই,
আপনি এই আপুকে খুব পছন্দ করেন এটা আমি জানি। আপনিই আমাকে একবার কিছুদিন আগে অনুরোধ করেছিলেন আপুর জন্য ভালো একটা লেখা উৎর্সগ করতে। সেজন্যই সময় নিয়ে ভালো একটা লেখাই উনাকে দিলাম। আপু খুবই অমায়িক। যথেষ্টই আন্তরিক। উনাকে অপছন্দ করার কোন কারনই থাকতে পারে না।

আপনার বোনের জন্য রইলো নির্মল ভালোবাসার এক ঝুলি গোলাপ। - এটা উনার জন্য পোস্ট, অবশ্যই উনি আপনার এই উপহারের কথা জানবেন।

প্রতি মন্তব্যের ব্যাপারে তো আমি পুরানো পাপী। আপনি তো সেটা জানেনই।

ফিরে আসার এবং চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

রিফ্রাক্শন বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইল!

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক গার্বেজ জমা করেছেন এক যায়গায়?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
যত জায়গায় পেয়েছি এই ধরনের সব গার্বেজ জমা করেছি এক জায়গায়। কিন্তু আপনি আমার এই পোস্টের থীমটা বুঝতে পারেন নি দেখে খুব অবাক হলাম। ভালোবাসা কি সেটা অনেকেই ভালো মতো জানে না। অনর্থক না বুঝে এটাকে নস্টামির পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমি চেস্টা করেছি এটার ইনার মিনিং কি সেটা বুঝানোর। শুধুই দেহজ সম্পর্ক কখনই ভালোবাসার উদাহরণ হতে পারে না! অসম্ভব! এটা একটা পবিত্র ব্যাপার! কেন এটাকে সবাই এত অপবিত্র ভাববে বলুন?

আমি অনেকটাই রেফারেন্স নোটের মতো করে লিখছি এটা, যেন সবাই যখন যেটা লাগবে থীম কপি করে নিজের লেখায় ব্যবহার করতে পারবে। আমার কাছে অনেকই এটা বলছিল। উপের মন্তব্য গুলি পড়ে দেখুন।

লতিফ ভাইয়ের কথাটাই বলি, ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীর বুকে আর কিছু নেই। ভালোবাসার সাথে শ্রদ্ধাবোধ ও সংকীর্ণতার উর্ধে থেকে গভীর প্রেমের জন্ম হয়। উদারতার একান্ত নিজস্ব স্বভাবে আপন করে নেওয়াটাই ভালোবাসা। ভালোবাসির সাথে আবশ্যকতা হলো বিশ্বাস যা বয়ে আনে আত্মসুখ।

ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।
শুভ কামনা রইল!

২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: আমার আজকের পোষ্টটি অনুগ্রহ করে পড়ে মন্তব্য করবেন, লেখাটি আমার এবং সোহানাজোহার আলোচনায় লেখা হয়েছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আমি ব্যক্তিগত ভাবে আসলে খুব ব্যস্ত থাকি। তাই সব সময় ব্লগে থাকা সম্ভব হয় না।
আপনার ২টা পোস্টে আমি যেয়ে দেখে এসেছি। ১মটাতে পোস্টের বিষয় নিয়ে বলেছি।
আর ২য়টাতে কিছু গঠন মূলক মন্তব্য করে এসেছি। নিরপেক্ষ ভাবে সেটা পড়বেন। যা বলেছি সেটা সব কিছু প্রশমিত করার
জন্যই বলেছি। আপনাদের ভালোর জন্যই বলেছি। মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। ভিতরের/ইনার মিনিংটা বুঝার চেস্ট করবেন।

ব্লগে সবাই আমার মতো হাতে ধরিয়ে বুঝিয়ে দেবার চেস্ট করে না। আমার কষ্ট বা চেস্টাটা যেন সফল হয়। খুব তাড়াতাড়িই যেন আপনারা ভালো ব্লগার হয়ে উঠতে পারেন সেই কামনা রইল!
ধন্যবাদ।

২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার কাছে ভালোই লেগেছে। লাইক, পাশাপাশি প্রিয়তেও রাখলাম। এ মুহুর্তে ভালোবাসার একটা সংজ্ঞা মনে পড়ছে। সেটা হলো, শুকনো হৃদয়ের খা খা শূন্যতা বৃষ্টিভেজা বাতাস দিয়ে ভরিয়ে তোলার নামই ভালোবাসা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল দাদা,
অসম্ভব সুন্দর একাট লাইন লিখে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নিবেন। আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, প্রিয় পাঠকদের কাছ থেকে পাওয়া চমৎকার লাইন গুলি মূল পোস্টে যোগ করে দিব। আপনারটা খুব পছন্দ হয়েছে। আমার কোন প্রমের গল্পে যদি ঢুকে যায় দাদা তাহলে কিন্তু মাইন্ড করবেন না.........
নিন ৫০ নম্বর বাণী-
শুকনো হৃদয়ের খাঁ খাঁ শূন্যতা প্রণয়ের বৃষ্টিভেজা বাতাস দিয়ে ভরিয়ে তোলার নামই ভালোবাসা। - ব্লগার রূপক বিধৌত সাধু।
ধন্যবাদ।

২২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পোস্ট সুন্দর হয়েছে। তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে আমি কখনও প্রেমে পড়িনি!!!!

আমি শুধু আমার দুই সন্তানকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসি। তাদের সব অপরাধ বিশ্বাসঘাতকতা বেঈমানী আমি মুহুর্তে ক্ষমা করে দেই। একটু বকাবকি করি প্রথমে, তারপরে সব মাফ। না, এতটা উদারতা আমি আর কখনও কারো সাথে দেখাইনি। সে কারনে আমার মেয়ে সেদিন আমাকে খুব সুন্দর একটা কথা বলল, "তুমি যদি আমার সব অপরাধ ক্ষমা করতে পার, তাহলে আল্লাহ কেন ক্ষমা করবেন না? তিনি কি তোমার চেয়ে অনুদার?"

ভালবাসা যদি কাউকে উদার হতে শেখায় তবে সেটিই সত্যিকার ভালবাসা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপু শুভ সকাল,
ভালোবাসা কেন শুধুই প্রেমিক প্রেমিকা মধ্যে হবে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভালোবাসা হলো সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা। এরচেয়ে সূক্ষ্মতম অনুভূতির কোন আবেগ এই নশ্বর পৃথিবীতে কেয়ামত পর্যন্ত সৃস্ট হয়নি আর হবেও না............

সে কারনে আমার মেয়ে সেদিন আমাকে খুব সুন্দর একটা কথা বলল, "তুমি যদি আমার সব অপরাধ ক্ষমা করতে পার, তাহলে আল্লাহ কেন ক্ষমা করবেন না? তিনি কি তোমার চেয়ে অনুদার?" আপনার মেয়েকে বলবেন-
الرَّحْمَنُ (আর রাহমান) পরম দয়ালু, সৃষ্টির সকলের প্রতি ব্যাপক ও প্রশস্ত দয়ার অর্থবোধক নাম। এ নামটি আল্লাহর জন্যে সবিশেষ, তিনি ব্যতীত কাউকে রহমান বলা জায়েয নয়।
الرَّحِيمُ (আর রাহীম) পরম করুণাময়, তিনি মুমিনদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমাকারী করুণাকারী, তাঁর ইবাদতের প্রতি মুমিনদের হেদায়াত করেছেন। জান্নাত দিয়ে আখেরাতে তাদেরকে সম্মানিত করবেন।
العَفُو (আল আফুউ) ক্ষমাকারী, তিনি বান্দার গুনাহ মিটিয়ে দেন তাকে ক্ষমা করে দেন, অপরাধ করে শাস্তিযোগ্য হওয়া সত্বেও তিনি শাস্তি দেন না।
الغَفُوْرُ (আল গাফূরু) মহাক্ষমাশীল, তিনি বান্দার অন্যায় গোপন রাখেন, তাকে লাঞ্ছিত করেন না এবং শাস্তিও দেন না।
الْغَفَّارُ (আল গাফফার) অত্যধিক ক্ষমাকারী, গুনাহগার বান্দা ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন।
الرَّءُوفُ (আর রাউফ) অতিব দয়ালু, রহমত বা দয়ার সাধারণ অর্থের তুলনায় এ শব্দটি অধিক ও ব্যাপক অর্থবোধক তাঁর এই দয়া দুনিয়াতে সৃষ্টির সকলের জন্যে এবং আখেরাতে কতিপয় মানুষের জন্যে। আর তারা হচ্ছে আল্লাহর বন্ধু মুমিনগণ।
الحَلِيمُ (আল হালীম) মহাসহিষ্ণু, তিনি বান্দাদেরকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন না; অথচ তিনি শাস্তি দিতে সক্ষম। বরং তারা মাফ চাইলে তিনি তাদেরকে মাফ করে দেন।
التَّوَّابُ (আত তাওয়াব) তওবা কবূলকারী, তিনি বান্দাদের মধ্যে যাকে চান তওবা করার তাওফীক দেন এবং তাদের তওবা কবূল করেন।
السِّتِّيْرُ (আস সিত্তীর) দোষ-ত্রুটি গোপনকারী, তিনি বান্দার অন্যায় গোপন রাখেন, সৃষ্টিকুলের সামনে তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন না। তিনি ভালবাসেন বান্দা নিজের এবং অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখুক, তাহলে তিনিও তাদের অপরাধ গোপন রাখবেন।

এই সৃস্টিকর্তার চেয়ে বেশি ক্ষমাশীল কেই বা আছেন বলুন?

আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, প্রিয় পাঠকদের কাছ থেকে পাওয়া চমৎকার লাইন গুলি মূল পোস্টে যোগ করে দিব। আপনারটা খুব পছন্দ হয়েছে। নিন ৫১ নম্বর বাণী-

ভালবাসা যদি কাউকে উদার হতে শেখায়, তবে সেটাই সত্যিকার ভালবাসা। - ব্লগার উম্মু আবদুল্লাহ।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল,আপু।

২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই রকম ভালবাসার পোস্ট ছিল, এক্কেবারে "ভালবাসাপিডিয়া"!!! ভালবাসার অনুভূতির জন্য মস্তিষ্কের নানান রাসায়নিক বিশ্লেষণ পড়ে ভালবাসার নান্দনিকতা ভুলে যাবার উপক্রম হল। ;) হায়রে প্রেম, হায়রে ভালবাসা... :||

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: ইচ্ছে করেই সেদিন (১৪ তারিখে) এটা পোস্ট দিয়েছি। ভালোবাসার নামে যেসব নোংরামি সবাই করে বেড়ায় সেটা কত বড় ভুল সেটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছি।

ভালোবাসা কি সেটা অনেকেই ভালো মতো জানে না। অনর্থক না বুঝে এটাকে নস্টামির পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমি চেস্টা করেছি এটার ইনার মিনিং কি সেটা বুঝানোর। শুধুই দেহজ সম্পর্ক কখনই ভালোবাসার উদাহরণ হতে পারে না! অসম্ভব! এটা একটা পবিত্র ব্যাপার! কেন এটাকে সবাই এত অপবিত্র ভাববে বলুন?

আমি অনেকটাই রেফারেন্স নোটের মতো করে লিখছি এটা, যেন সবাই যখন যেটা লাগবে থীম কপি করে নিজের লেখায় ব্যবহার করতে পারবে। আমার কাছে অনেকেই এটা চেয়েছিল, প্রেমের গল্পগুলি কিভাবে আমি লিখি! সবাই কে সাহায্য করার জন্য এই এত্ত বড় মেগা পোস্ট। আমার যা জানা সবই দিয়ে দিয়েছি এক জায়গায়!

ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।
শুভ কামনা রইল!

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: ভালোবাসা নিয়ে খুব বড় একটি রচনা করেছেন। অর্ধেক পড়েছি। বাকি অর্ধেক পরে পড়ার জন্য রেখে দিয়েছি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন মেহেদী,
আমি আপনার লেখা আগে পড়িনি। কিভাবে কিভাবে যে মিস হয়ে গেল??? মনে হচ্ছে বড় ভুল হয়েছে। আপনার লেখার হাত চমৎকার। গল্পগুলি খুব ভালো লেগেছে (২টা পড়েছি এই পর্যন্ত)। ইনার থীম নিয়ে কাজ করেন আপনি, এটা বড় একটা গুন, খুব কম লেখককেই এই রকম লেখা ফুটিয়ে তুলতে দেখা যায়! আমি মুগ্ধ!!!
আপনার ব্লগে বসে আছি আমি। একটানা পড়ে যাব যত গুলি পছন্দ হয় আর যে কয় দিন লাগে...........
ধন্যবাদ।

২৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১১

প্রামানিক বলেছেন: ভালোবাসা নিয়ে অনেক পরিশ্রমী লেখা, যেন ভালোবাসার উপর থিসিস পড়লাম। ধন্যবাদ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: দেরী করে উত্তর দেয়ার জন্য দু:খিত।
আমি অনেকটাই রেফারেন্স নোটের মতো করে লিখছি এটা, যেন সবাই যখন যেটা লাগবে থীম কপি করে নিজের লেখায় ব্যবহার করতে পারবে। আমার কাছে অনেকেই এটা চেয়েছিল, প্রেমের গল্পগুলি কিভাবে আমি লিখি! সবাই কে সাহায্য করার জন্য এই এত্ত বড় মেগা পোস্ট। আমার যা জানা সবই দিয়ে দিয়েছি এক জায়গায়!
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য!

২৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

করুণাধারা বলেছেন: নীল আকাশ, এই চমৎকার পোস্টে আমি একটা দীর্ঘ মন্তব্য করেছিলাম। প্রতি মন্তব্য দেখতে এসে আবিষ্কার করলাম, আমার মন্তব্যটি নেই। জানিনা কারণ কি! সম্ভবত আমি "মন্তব্য প্রকাশ করুন" বাটন টিপতে ভুলে গেছিলাম, কিছুদিন যাবত কিছু সমস্যার মধ্যে আছি, সম্ভবত সে কারণেই। হয়তো লক্ষ্য করেছেন, আমি অনেক আগেই লাইক দিয়েছিলাম।

আজ বিষণ্ণ বোধ করছি। জানিনা আর কখনো আপনার, আর অন্যদের পোস্টে মন্তব্য করতে পারব কিনা! আশা করি, ক্ষমতাশীলের সুবুদ্ধির উদয় হবে। এই পোস্ট নিয়ে আজ আর মন্তব্য করতে ইচ্ছা করছে না। আপনার যে পোস্টে আপনি স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে লিখেছেন, সেটা নিয়ে একটা দীর্ঘ মন্তব্য ভেবে রেখেছিলাম; লেখার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আশা করি, আবার সুযোগ পাব মন্তব্য করার, ইনশাল্লাহ এই সব ঝামেলা কেটে যাবে।

ভালো থাকুন সতত, শুভকামনা রইল।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
মন আমারও ভালো নেই। একটা মানুষের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা কতগুলি ব্লগারদের মন যে খারাপ করে দিতে পারে!!
আপনি একজনের পোস্টে যেই কারন বলেছেন সেটাই হলো আসল কারন। খুবই দু:খজনক।
আশা করব সব কিছুর শেষে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আমি ইচ্ছে করেই লিখেছি। ইসলামের এই ব্যাপারগুলি নিয়ে অযথাই নাস্তিকরা আজেবাজে কথা বলে, সেগুলি যে কত বড় ভুল সেটাই দেখাতে চেয়েছি।

ভালো থাকুন আপু, সব সময়।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৯

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে এইটা কি লিখলেন B:-) . পড়তে পড়তে মাঝ এসে খেই হারিয়ে ফেলেছি তারপর লেখার দৈর্ঘ্য মাপতে যেয়ে হোচট খেলাম।...হাহাহাহা কারন আমি দীর্ঘ লিখা সাধারনত বাসায় পড়ি। ছোট লিখা বাসে ট্রেনে যেতে যেতে পড়ি। :P

যাহোক এখন পজ, বাসায় যেয়ে আবার শুরু করবো প্রথম থেকে............. B:-/

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আপু, এটা লেখার শানে নযুল বলি আপনাকে। অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু নতুন গল্পকার এবং ব্লগার প্রেমের আর ভালোবাসার গল্প কিভাবে লিখতে হয় সেটা জানতে চাচ্ছিল। আমি এটা বড় করে রেফারেন্স হিসেবে দিয়ে দিয়েছি যেন যে যার মতো করে কপি করে নিয়ে নিজের মতো লিখতে পারে। একদম শেষে উদাহরনও দিয়ে দিয়েছি কিভাবে কিভাবে লিখতে হয়।

জব্বার কাকুর বিজয় নিয়ে চুরি করার কাহিনী আপনি জানে না দেখে অবাক হলাম আমি। ঐ সময় বেশ হইচই হয়েছিল এটা নিয়ে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!

২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমাদের দেশে ও আশেপাশের দেশে 'ভালোবাসা' ও 'প্রেম' এই শব্দ দুটিকে আলাদাভাবে ডিফাইন করা হয়। ভালোবাসা শব্দটিকে ধরা হয় বেশ পবিত্র, শৈল্পিক এবং আত্মিক অপরপক্ষে 'প্রেম' শব্দটিকে একটু নেতিবাচক ধরা হয়। বলছি না সবাই করে। কেউ কেউ!
পোষ্টের শুরুতে আপনিও কিছুটা মজা করেই করেছেন বোধয় (!)
দামী রেস্টুরেন্টে খাওয়া, সেলফি তোলা ইত্যাদি ইত্যদাই ----

ভালোবাসা ও প্রেম সম্পর্কিত আপনার কথাগুলো ঠিক আছে। আমি আরেকটু বলতে চাই শুধু। আমি 'প্রেম' নিয়ে বলতে চাই--
প্রেম শব্দটা এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'পরম' থেকে। যা কিছু পরম, যেখানে আপনি নিজেকে খুজে পাবেন, যেখানে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারবেন-- সেখানেই প্রেম আছে। খুব সহজ উদাহরণ হতে পারে, ঈশ্বরে প্রেম!
মানুষ শুধু ঈশ্বরের প্রেমেই পড়ে না, একই প্রগাঢ় প্রেমে মানুষ মানুষের প্রেমেও পড়তে পারে।

ভালোবাসা যেমন শুদ্ধ, আত্মিক ও হৃদয়ের দাবী-- তেমনি প্রেমও পরিশুদ্ধ ও পরম!

থ্যাংকস এ লট নীল আকাশ, ভালোবাসা ও প্রেম সম্পর্কিত এত বড় একটা পোষ্ট পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন। ভালোবাসা ও প্রেমে থাকবেন যুগপত

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: জাহিদ ভাই,
ভালোবাসা এবং প্রেম এই ২টা শব্দ নিয়ে আমাদের দেশ প্রচুর ভুল ধারনা আছে।
শব্দ ২টা পৃথক হলেও আবেগ এবং অনূভুতি একই। আমি এই লেখায় আপ্রান চেস্টা করেছি সবার ভুল কিছুটা হলেও ঠিক করে দেয়ার জন্য।
প্রেম যে পরম থেকে এসেছে সেটা আমি জানতাম না। লেখাটা এডিট করে এই অংশটুকু যোগ করে দেব।

রুমডেট আর লিটনের ফ্ল্যাটের নামে যেই টাইপের প্রেম পীড়িতি এখন এই দেশে ব্যাপক প্রচলিত, আর যাই হোক সেটা আমি নিশ্চিত প্রেম কিংবা ভালোবাসার কোনটাই না।

আমার এত পুরানো একটা লেখা এসে পড়ার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন ভাই।
হাতে যদি সময় থাকে তাহলে একটা গল্প পড়ার জন্য অনুরোধ রেখে গেলাম। আমার সেরা প্রেমের গল্প।
নাবিলা কাহিনী ১ - পরিণয়। ব্লগের সেরা প্রেমের কবি এটা পড়ে কি বলে জানতে চাইছি!

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,




বিশাল পোস্ট, আষ্টেপৃষ্ঠে ভালোবাসা বা প্রেমের ইট-বালুতে গাঁথা। অনেক বিস্তৃত করে বলেছেন। মূল লেখা থেকে কপি করা যায়না বলে অনেক কথার ( উল্লেখপূর্বক ) পাশাপাশি আরো কিছু বলার সুযোগ বড় একটা থাকেনা, থাকলে কপি করে এনে বলা যেতো । তাই খুব অল্প করে বলি - প্রায় আড়াই বছর আগে দেয়া আমার “লভ এ্যান্ড রোমান্স” । সখি ভালোবাসা কারে কয়...... পোস্টে আপনার সব কথারই প্রতিফলন আছে। আপনি ব্যক্তি কেন্দ্রিক ভালোবাসার কথাই মূলতঃ বলেছেন এই লেখায় আর আমার লেখায় সকল কিছুকেই ভালোবাসা বা ভালোলাগার কথা বলা হয়েছে।
আপনার বিষয় বস্তুর অনেক কিছুই আমার বিভিন্ন লেখাতে আপনি খুঁজে পাবেন।
মানুষ যতোই সাধু্ সাজুক না কেন গোপিনীদের পাল্লায় পড়লে তাদেরও যে ধ্যান ভাঙতে পারে তেমন কথার সন্ধান পাবেন এখানে ----“প্রেমবধ”

আর ভালোবাসাবাসি কিম্বা রাগ-বিরাগ-অনুরাগ যে আমাদের মগজেরই খেলা তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাবেন এখানে ---ঠিক দুক্কুর বেলা ভুতে মারে ঢিল....

খুব তথ্যবহুল হয়েছে লেখাটি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
অনেক কষ্ট করে অনেক জায়গা থেকে মাল মসল্লা যোগার করে এটা লিখেছি। আপনার লেখার সাথে অনেক মিল আছে দেখেই আপনাকে এটা পড়তে বলেছিলাম।

খুব তথ্যবহুল হয়েছে লেখাটি। - একটা মাত্র কথাতেই আপনি আমার কাজের সঠিক মূল্যায়ন করে দিয়েছেন।

আপনার ২টা লেখাই আমি পড়ে এসেছি এবং মন্তব্য করে এসেছে। লেখাগুলি ভালো করে পড়ার জন্যই প্রতি মন্তব্য দিতে দেরি হয়ে গেল। আশা করি সেটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.