নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
ধারাবাহিকতার জন্য আগে প্রথম পর্ব পড়ে আসুন, নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয় (প্রথম পর্ব)
তিন
লাবীবের চেহারা দেখেই নাবিলা বুঝল কতটা হতাশা আর বিশ্বাসভঙ্গের বেদনা বুকের ভিতর নিয়ে চরম এক নৈরাশ্য ভরা দুইচোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। লাবীবের বর্তমান অবস্থার জন্য ওকে কোনভাবে দোষ দেয়া যায়না। গত পরশুদিন লাবনী নাবিলার উপদেশ মতো লাবীবকে আলাদা ঘরে ডেকে এনে রাতেরবেলা মীরাকে নিয়ে পুরো ঘটনার আদ্যপান্ত্য বলে দিয়েছে। লাবীব এতটাই শকড হয়েছে যে গতকালকে থেকে অফিসেই যাচ্ছে না। বেচারা, এত পছন্দ করে কোন মেয়েকে বিয়ে করার পর যদি হুট করেই শুনে মেয়েটা সমকামি, তাহলে সেটা সহ্য করা আসলেও কঠিন। বাসায় কাউকে বলতেও পারছে না। বাসায় নাকি প্রায় জোর করেই ও লাবনীকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল! আজকে নাবিলা নিজে ফোন করে লাবীবকে সন্ধ্যার সময় দেখা করার জন্য আসতে বলেছে। লাবীবকে আবার শক্ত হয়ে ঘুরে দাড়াতে ও সাহায্য করতে চাইছে। তাছাড়া লাবনীর চিকিৎসা জন্যও লাবীবের সাহায্য অবশ্যই লাগবে।
-লাবীব, আমি জানি আপনি প্রচন্ডভাবে শকড হয়েছেন। এটাই খুব স্বাভাবিক। আপনার জায়গায় যে কোন পুরুষ ঠিক একই আচরন করত। বৈবাহিক জীবনে বিশ্বাসভঙ্গতা খুব মারাত্মক অপরাধ। আপনি নিজের মন শক্ত করুন। লাবনী যে অপরাধ করেছে অথবা যার প্ররোচনায় করেছে তাকে আপনার উপযুক্ত শাস্তি দিতেই হবে। এটা আপনার নৈতিক অধিকার।
-ওর সাথে আমি এখন কিভাবে আর সংসার করব?
-সমস্যা কোথায়? লাবনী যে একজন নারী, সম্পূর্ণভাবেই নারী সেটা আপনি সবার চেয়ে অনেক ভালো করে জানেন। ও যদি এই সত্যটা আপনাকে না বলতো, আপনি কি এত কিছু টের পেতেন? আপনার সাতমাসের বৈবাহিক জীবনে কখন কোন উলটা পালটা কিছু কি মনে হয়েছে?
-না। আর এটার জন্য আমার সবচেয়ে বেশী ভয় লাগছে। যে এভাবে লুকিয়ে এই ভয়ংকর অপরাধ করতে পারে, সে সুযোগ পেলে আবারও করবে।
-একদম ঠিক বলেছেন। লাবনীকে কোনভাবেই এইধরনের সর্ম্পকে আর জড়াতে দেয়া যাবে না।
-তাতে কি লাভ হবে? ও তো বাকি সব মেয়েদের থেকে ভিন্ন। ঠিকই আমাকে ফেলে এই মীরা নামের নষ্ট মেয়েটার কাছে চলে যাবে।
-কে বলেছে আপনাকে লাবনী ভিন্ন মেয়ে? আপনি কি জানেন না, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে সুরা রুমে বলেছেনঃ ‘‘এবং তার নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি নিদর্শন হচ্ছে - তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন। যেন তোমরা তার কাছে মানসিক শান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।’’ (সূরা রুম, ২১)। তিনি আবারও সুরা আরাফে বলেছেনঃ “তিনি আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে জোড়া হিসেবে তৈরি করেছেন যেন তোমরা একে অপরের কাছ থেকে শান্তি ও আরাম পাও।’’ (সূরা আরাফ, ১৮৯)। সাথী বা জোড়কে পবিত্র কুরআন শরীফে ‘আযওয়াজ' নামে অভিহিত করা হয়েছে।
-লাবনী কিভাবে আমার জোড় হবে? ও তো প্রেম করে বেড়ায় ঐ মেয়েটার সাথে!
-নারী ও পুরুষের মধ্যকার যে স্বাভাবিক সর্ম্পক সেটাই প্রেম। অন্যভাবে যদি বলি, বিপরীত লিঙ্গধারী একজন আর একজনের জন্য নিজের মন, নিজের বিশ্বাস ও নিজস্ব অস্তিত্ব সঁপে দেয়ার নামই প্রেম বা ভালোবাসা। একটা মেয়ের সাথে আরেকটা মেয়ের সর্ম্পক কখনই প্রেম বা ভালোবাসা হতে পারে না। এটা একধরনের অস্বাভাবিক সর্ম্পক।
-কেন হতে পারে না ম্যাডাম? লাবনী তো আমাকে বলেছে ও মীরা’কে প্রচন্ড ভালোবাসে?
-যে সম্পর্ক সৃষ্টিকর্তা নিজেই বলেছেন সৃষ্টি করেন নি, সেখানে সামান্য মানুষ কিভাবে এই সম্পর্ক সৃষ্টি করবে, আপনিই বলুন?
-কিন্তু সবকিছুর পরেও আমার ভয় লাগছে, ও যদি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চায় বা চলে যায়?
-আপনি যে ওকে প্রচন্ড ভালোবাসেন সেটা লাবনী খুব ভালো করে জানে এবং বুঝে। আমি ইচ্ছে করেই বলেছিলাম, তুমি লাবীব’কে একবারে ছেড়ে দাও, ডিভোর্স দিয়ে দাও, দিয়ে মীরার কাছে পুরোপুরি চলে যাও। লাবনী আমাকে যে উত্তর দিয়েছিল সেটা হলোঃ “আমি লাবীব’কে ডিভোর্স দিব বললেই ও সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে যাবে। আমি ছাড়া ও একদিনও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবে না। ওর এত কষ্ট হবে যে সেটা আমি কোনভাবেই সহ্য করতে পারব না। আপনি আমাকে এই ভয়ংকর প্রস্তাব আর দিবেন না। এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। এটা আমি পারলে আপনার কাছে আর আসতাম না”।
লাবীব যেন নিজের কানকেও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না লাবনী এই কথাগুলি বলেছে! ওর বুকভরা একতরফা ভালোবাসা তাহলে পুরোপুরি বৃথা যায়নি! লাবনীকে শতভাগ ওর জীবনে ফিরে পাবার সম্ভাবনা কি আদৌ আছে!
দ্বিধাগ্রস্থ চোখে লাবীবকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে নাবিলা আবার বলা শুরু করলঃ
-লাবীব, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে সূরা কাহাফে বলেছেনঃ "মানুষ বড়ই তাড়াহুড়ো করে” (সূরা কাহাফ, ৫৪)। আর তাড়াহুড়ো করতে যেয়েই মানুষ ভুল করে। আপনি লাবনীকে নিয়ে দ্রুতই কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না। আমি আপনাকে অনুরোধ করব নিজের মনকে খুব ভালো করে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কি লাবনীকে সত্যই খুব ভালোবাসেন? আপনি কি ওকে ফিরে পেতে চান একদম আপনার মতো করে? সারাজীবনের জন্য?
-সেটা কি আসলেও সম্ভব?
-সম্ভব, তবে সেটা একান্তই আপনার উপর নির্ভর করবে। দরকার হলে কয়েকদিন সময় নিয়ে ভাবুন, ভালো করে ভেবে আমাকে জানান। মনে রাখবেন, আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছার উপরই লাবনীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা অনেকাংশেই নির্ভর করছে। হয়ত আপনার চমৎকার একটা সিদ্ধান্তই আপনাদের দুর্দান্ত একটা দাম্পত্যজীবন উপহার দেবে, আর ভাবুন লাবনী কতটা কৃতজ্ঞতা নিয়ে বাকি সারাটা জীবন আপনার কাছে থাকবে।
লাবীব কিছুটা সময় চেয়ে নিয়ে নাবিলার কাছ থেকে চলে আসল। বিষয়টা গুরুতর, হুট করে এতবড় সিদ্ধান্ত ওর নেয়া ঠিক হবে না। তাছাড়া বাসায় ফিরে ওর আগে লাবনীর সাথে ভালো করে কথা বলতে হবে!
চার
-রূপম, লাবনী মেয়েটা আমাকে দারুন ভাবে কনফিউশনে ফেলে দিয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব যে একটা মেয়ে একই সাথে একটা ছেলে আর একটা মেয়ের সাথে সমান তালে সর্ম্পক বজায় রাখবে? হয় সে বিষমকামি হবে, না হয় সমকামি হবে। কিন্তু একই সাথে ও দুইটা জায়গায়ই সমানভাবে আনন্দ উপভোগ করবে এটা তো স্বাভাবিক হতে পারে না। হয় সে আমাকে মিথ্যা কথা বলছে, না হয় আমার কাছে কোন ভয়ংকর তথ্য গোপন করছে।
-ম্যাডাম, ভালোবাসা তো দুইজনের মধ্যে সর্ম্পককেই বুঝায়। কিন্তু এটা কি হতে পারে না, যে তার প্রকাশভঙ্গিটা খুব ভিন্ন ভিন্ন, একেকজনের কাছে তা একেক সময় একেক রকম।
-রূপম এটা সম্ভব। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কাকে কার কিভাবে ভালো লাগবে সেটা অন্য কেউ ঠিক করে দেয়া প্রায় অসম্ভব। কাউকে জোর করে কোন সর্ম্পকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে সে হয়ত আস্তে আস্তে সেটাতে হয়ত অভ্যস্ত হয়ে যাবে কিন্তু কখনই সেটা ভালোবাসায় রূপান্তরিত হবে না। জোর করে আর যাই হোক ভালোবাসা হয় না।
-এমন কি হতে পারে না ম্যাডাম, লাবনী আসলেই সমকামি কিন্তু লাবীবের প্রচন্ড ভালোবাসা ওর নিজের ভিতরেই সন্দেহ ঢুকিয়ে দিয়েছে।
-তুমি যেটা বলেছ সেটা একটা পসিবিলিটি হতেও পারে। আবার আমি কিন্তু তোমাকে উল্টাটাও বলতে পারি। লাবনী আসলে কখনই সমকামি ছিল না। মীরার সাথে যা হচ্ছে সেটা আসলে কোন একটা পরিস্থিতির স্বীকার যেটা থেকে ও আর এখন নিজে বের হতে পারছে না!
রূপম কিছুক্ষন চুপ করে নাবিলা দিকে তাকিয়ে রইল। নাবিলা আসলে ঠিক কি বলতে চাচ্ছে ওর কাছে সেটা বুঝার চেস্টা করছে ও।
-সেক্ষেত্রে ম্যাডাম, শুধু লাবনী কেন মীরা’কে নিয়েও আমাদের চিন্তাভাবনা করা উচিৎ।
-অবশ্যই উচিৎ। তবে আমরা এই কেসে ওয়ান বাই ওয়ান আগাবো। তুমি লাবনীর ব্যাপারে খুব ভালোমতো খোঁজ নাও আর আমি দেখি কিভাবে মীরাকে আমার কাছে ডেকে এনে কথা বলা যায়। কিভাবে এদের মধ্যে সর্ম্পকটা হলো সেটা মীরার মুখ থেকেও শুনা দরকার। লাবনীকে নিয়ে তোমার সার্চ ক্রাইটেরিয়া আমি ছোট করে দিচ্ছি। এই কাগজে লেখার ঘটনাগুলিই শুধু তুমি ভালো করে খোঁজ নেবে। যদি কিছু না পাওয়া যায় তারপরই আমরা মীরা'র ব্যাপারে খোঁজ নিব। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, ডাল মে কুছ ক্যালা হ্যায়।
-ঠিক আছে ম্যাডাম। কিন্তু লাবনী যদি সত্যই সমকামি হয় তাহলে আপনি কি করবেন?
-রূপম মনে রাখবে, সমকামিতা মূলত একটি মানসিক রোগ। তবে অনেকেই এটাকে মানসিক রোগের জায়গায় মানসিক বিকৃতিও বলে থাকেন। আমাদের কাছে মানসিক রোগও যা, মানসিক বিকৃতিও তা। এই দুইটা ক্ষেত্রেই চিকিৎসা আমাদেরই দিতে হয়। আমি খুব করে জানতে চাইছি ঠিক কবে থেকে আর কি কারনে লাবনী কিংবা মীরা এই মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অসুখের কারন যদি বের করা যায় ওদের সুচিকিৎসা অবশ্যই করা যাবে।
-আপনি কি লাবনীর ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন?
-না। আমার হাতে এখন উপযুক্ত উপাত্তের অভাব। আর ঠিক এই কারনেই তোমাকে ডেকেছি।
-ধরুন, লাবনীকে আপনি ওর আসল পরিচয় দেখিয়ে দিলেন কিন্ত মীরাকে কিভাবে আপনি সামলাবেন?
-মীরার সাথে আগে কথা বলে নেই। প্রতিটা মানুষেরই কোন না কোন জায়গায় দূর্বলতা থাকে। মীরার যদি কোন দূর্বলতা থাকে সেটা বের করতে আমার বেশী সময় লাগার কথা না। আমার ইচ্ছে আছে এই মেয়েটাকেও যদি সম্ভব হয় কিছু করার। চোখের সামনে এই বয়সী একটা মেয়ে অস্বাভাবিক ভাবে জীবযাপন করে বেড়াবে সেটা তো হতে পারে না।
রূপম আর কথা না বাড়িয়ে নাবিলার বাসা থেকে বের হয়ে আসল। বাংলাদেশে হুট করেই একজনের সব অতীতের ইতিহাস বের করে আনা খুব কঠিন। তবে মীরা এবং লাবনীর অতীতের ইতিহাস এখন বের করে আনতেই হবে। এই কেসের গ্রহনযোগ্য সমাধানের জন্য এইগুলি জানা এখন খুব জরুরী হয়ে পড়েছে……..
পাঁচ
ভার্সিটিতে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির উপর একটা ট্যিউটোরিয়াল শেষ করে নাবিলা ওর অফিস রুমে ফিরে আসতেই দেখে একটা অল্পবয়সী মেয়ে রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই দেখল মেয়েটা কান্নাকাটি করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। মেয়েটা ওর কোন স্টুডেন্ট নয়, তবে কে হতে পারে সেটা সহজেই চিনতে পারল ও।
-মীরা, ভিতরে আস।
মীরাকে ডাকার সাথে সাথেই ওর রুমে ঢুকে ওর মুখামুখি একটা চেয়ারে বসল। মীরা'র ওর কাছে আসা মোটেও আনএক্সপেক্টেড নয়। নাবিলা লাবনীকে ওর পারমিশন ছাড়া মীরার সাথে দেখা, এমনকি কথা বলতেও নিষেধ করে দিয়েছিল।
-ম্যাডাম, আপনি কি লাবনীকে আমার কাছে আর আসতে দিবেন না?
-না।
-ম্যাডাম, আমি লাবনীকে ভালোবাসি, প্রচন্ডভাবে ভালোবাসি। আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না। ও ছাড়া আমার জীবনে আর কেউ নেই, আমি মরে যাব ম্যাডাম।
-টিনএজ বয়সে মেয়েরা অনেক সময়ই ভয়ংকর সব ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। নিজেকে জানতে ও বুঝতে শিখো, হুট করে ঝোঁকের মাথায় জীবনের সিদ্ধান্ত নিও না। এখনও জীবনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার মতো বয়স তোমার হয়নি, মীরা। অনেক লম্বা একটা জীবন পড়ে আছে তোমার সামনে। এই রকম একটি ভুল সম্পর্কে নিজেকে জড়িয়ে নিজের জীবনটা আরও জটিল করে ফেলো না।
কথাগুলি শুনে মীরা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে আছে দেখে নাবিলা অন্য বিষয়ে কথা শুরু করল।
-মীরা, লাবনী আমাকে জানাল যে তুমি নাকি কোন এক ডাক্তারের কাছে জেনেছে যে, সমকামিতা জ্বিনগত ব্যাপার এবং এটা জেনেটিক কারনেই হয়। তুমি কি এটা আসলেও বিশ্বাস করো?
-জী, উনি বলেছেন এটা নিয়ে ভয় পাবার কোন কারন নেই। খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এটা!
-উনি তোমাকে সর্ম্পুন ভুল তথ্য দিয়েছেন। কোন কিছু জেনেটিক কারণে হয়, না পরিবেশ বা পরিস্থিতির কারণে হয় তা নির্নয় করার জন্য বিজ্ঞানের সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো “মনোজাইগোটিক” বা যমজদের নিয়ে গবেষণা। কারণ তারা একই ভ্রূণ থেকে জন্ম হয় বলে তাদের জেনেটিক কোড একদম বা প্রায় ঠিক একই রকম। সমকামিতা হওয়া যদি জেনেটিকই হয়, তাহলে তো একজোড়া যমজের মধ্যে যদি একজন সমকামি হয় তাহলে তো আরেকজনও সমকামি হবে। আর একজন সমকামি না হলে আরেকজনও হবে না। যেহেতু দুজনের জেনেটিক কোড একদম একই, তাই না? অন্ততঃ ১০০% ক্ষেত্রে না হলেও তার মধ্য থেকে ৮০-৯০% ক্ষেত্রে তো এমন হওয়ার কথা? আমেরিকার বিখ্যাত Columbia University-এর গবেষক, Peter Bearman এবং Yale University-এর গবেষক, Hannah Brockner আবিষ্কার করলেন ছেলে যমজদের ক্ষেত্রে এই রেট মাত্র ৭% আর মেয়ে যমজদের ক্ষেত্রে মাত্র ৫%! (American Journal of Sociology. Volume 107 (5): Page 1179–1205)। তাহলে এটা কি জেনেটিক্যাল কারণে? নিজেকে জিজ্ঞেস কর? তাহলে এইক্ষেত্রে সেটা ৮০-৯০% হওয়ার কথা ছিল। আর সেখানে ৫-৭% দেখা যাচ্ছে! তার মানে বোঝা গেল, “সমকামিতা প্রাকৃতিক” এই দাবি পুরাটায় অযৌক্তিক। উনি তোমাকে ভুল তথ্য দিয়ে সর্ম্পূনভাবে বিভ্রান্ত করেছে।
-কিন্তু ম্যাডাম, ইন্টারনেটে অনেক জায়গায়ই তো প্রায় এই কাছাকাছি জিনিসই বলা আছে?
-তুমি সম্ভবত, LGBT সাইটগুলিতে এই বিভ্রান্তমূলক তথ্যগুলি পেয়েছ। এইসব সাইটে ইচ্ছে করেই এই সব ভুল তথ্য দেয়া হয়। অনেকটাই যেন লেজকাটা শিয়ালের মতো, যে বাকি শিয়ালদের লেজও কাটা দেখতে চায়! তুমি চাইলে আমি আরও প্রমান তোমাকে দিতে পারব। তুমি কি শুনতে চাও?
-জী, আমি শুনতে চাই! আমি কি এতদিন এতবড় ভুল ধারনার মধ্যে ছিলাম? এটা কিভাবে সম্ভব?
-এখনও বিশ্বাস করতে পারছ না। ঠিক আছে, বড় বড় দুইটা প্রমান দিচ্ছি তোমাকে।
মনোযোগ দিয়ে শোনঃ-
(এক) মানবজাতি জেনেটিক্সের ফিল্ডে এক বিরাট সাফল্য অর্জন করে যখন তারা 'The Human Genome' প্রজেক্ট কমপ্লিট করে। এই প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালে এবং শেষ হয় ২০০৩ সালে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে মানুষের জেনেটিক কোডের সিকুয়েন্সগুলোকে নিখুত ভাবে ম্যাপিং করা হয়। কিন্তু এই প্রজেক্ট দিয়ে সেই কালপ্রিট তথাকথিত 'Gay gene' কে কোনভাবে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।
(দুই) X ও Y হল মানুষের সেক্স ক্রোমোসোম। X ক্রোমোসোম ১৫৩ মিলিয়ন base pairs এবং ১১৬৮টি জিন ধারণ করে। X ক্রোমোসোমের থেকে ছোট ক্রোমোসোম Y তে আছে ৫০ মিলিয়ন base pairs এবং ২৫১টি জিন। এই ক্রোমোসোমগুলোকে নিয়ে গবেষণা করেছে Baylor University, The Max Planck University, The Sanger Institue, Washington University মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার এবং প্রচুর সময় খরচ করে এবং তাদের রিসার্চে তারা আজ পর্যন্ত 'Gay gene' এর কোন অস্তিত্ব X ক্রোমোসোমেও পায়নি, Y ক্রোমোসোমেও পায়নি।
-এবার বলো তোমার ঐ ডাক্তার কিভাবে ঠিক কথা বলেছেন?
মীরা অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে নাবিলা দিকে তাকিয়ে আছে। এত বড় একটা ভুল ধারনা মনের ভিতর নিয়ে ও এই পৃথিবীতে বেঁচে ছিল? কতবার নিজের এই বিকৃতকামিতার জন্য প্রচন্ড ঘৃণায় আত্মহত্যা করার কথাও চিন্তা করেছিল ও!
-আমি তোমার আর লাবনীর জন্য “লেসবিয়ানিসম, এদের কমন প্যার্টান এবং কিউর” উপর একটা নোট রেডি করেছিলাম। লাবনীকে ইতিমধ্যেই এটা পড়তে দেয়া হয়েছে। আর আজকে যাওয়ার সময় তুমিও অবশ্যই এটা বাসায় নিয়ে যেয়ে খুব ভালো করে পড়বে।
-ঠিক আছে ম্যাডাম।
-অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা একসাথে দুষ্টামি করে এ্যাডাল্ট সিনেমা দেখে, পর্ণসাইট ভিজিট করে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। নিষিদ্ধের প্রতি তীব্র আকর্ষন এই বয়সে সবারই থাকে। কিন্তু আমি তোমার কাছে জানতে চাই, এইসব পর্ণসাইটে ঢুকার পর গার্ল-টু-গার্ল, লেসবিয়ান সেক্স এইসব জায়গায় ঢুকার আইডিয়া প্রথম কার মাথা থেকে এসেছে? নিশ্চয় তোমার, তাইনা?
মীরা কোন উত্তর না দিয়ে মাথা নীচু করে চুপচাপ বসে আছে। মীরা’র এই নিঃস্তব্ধ নিরবতা দেখে নাবিলা’র মনে একই সাথে আরও অনেক প্রশ্ন এসে ভিড় জমাল।
-আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, লাবনীর সাথে এই ধরনের সর্ম্পকের বুদ্ধি তোমার মাথা থেকেই এসেছে। তোমাদের মধ্যে শারীরিক সর্ম্পকের সময় টপ পজিশনে কে থাকত? তুমি, তাই না?
মীরা আগের মতোই কোন উত্তর না দিয়ে মাথা নীচু করে বসে আসছে।
-যেদিন তোমাদের প্রথম ফিজিক্যাল রিলেশনশীপ হয়, তুমি বাথরুমে ঢুকার আগে তোমরা একসাথে নিশ্চয় এইসব পর্ণসাইটগুলি ভিজিট করছিলে এবং তুমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই লাবনীর সাথে এইসব দেখছিলে। আমি কি ঠিক বলেছি?
মীরা হালকা ভাবে মাথা উপর নীচ করে নাবিলার কথায় সায় দিল।
-লাবনীর আগেও নিশ্চয় আর কোন মেয়ের সাথে তোমার এই ধরনের সর্ম্পক ছিল?
-জী।
-সেই মেয়েটা কোথায় আছে এখন?
-ওর বাসায় জানার পর একটা ছেলের সাথে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয় আর তারপর আর ওর সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারিনি।
নাবিলা মীরার অবস্থা কিছুটা হলেও এখন আন্দাজ করতে পারছে। এই মেয়ের সাথে আরও বেশ কিছু সেশন করতে হবে তবে সেটা এখানে হবে না। রূপমের কাছ থেকেও মীরাকে নিয়ে রির্পোটে এই মেয়ের আগের কাহিনী খুব ভালো করে জানা দরকার। লাবনীর সমস্যার সমাধান এই মেয়ের সুস্থতার উপরই অনেকাংশে নির্ভর করছে।
-মীরা, মানুষের ব্রেনের Adaption ক্ষমতা প্রবল। শৈশব ও কৈশোরে যে কোন বিকৃত যৌন আচরণের সাথে ব্রেন নিজেকে দ্রুতই খাপ খাইয়ে নেয়, ফলে পরবর্তীতে সেই আগ্রাসী এবং বিকৃত রূচির মানুষটার লিঙ্গের প্রতি একটা চরম বিতৃষ্ণা নিজের অজান্তেই তৈরী হয়। তোমার কি শৈশব কিংবা পরবর্তি জীবনে তোমার সাথে কি কোন রকম অসুস্থ কিংবা বিকৃত যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল?
মীরা প্রচন্ড অবাক হয়ে গেল। হতভম্ব হয়ে নাবিলার দিকে তাকিয়ে আছে। মুখে কিছু না বললেও নাবিলা মীরার চোখের দৃষ্টিতে যা দেখল তাতে ওর ধারনা যে নিতান্তই ভুল নয় সেটা বুঝে ফেলল।
-মীরা, আমি তোমাকে সত্যই সাহায্য করতে চাই। যদি তুমি সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে চাও এবং স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরে আসতে চাও তাহলে আমি তোমাকে একদম ফ্রী ট্রীটমেন্ট করব।
মীরা সেদিন আর কোন কথা না বলে ওর জন্য তৈরী করা নোটটা নিয়ে সোজা উঠে চলে আসল। কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া ওর এখানে ঝোকের মাথায় চলে আসা যে মোটেও ঠিক হয়নি সেটা ও হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছে। এখন কি করবে ও?
দ্বিতীয় পর্ব এখানেই শেষ
কৃতজ্ঞতাঃ
১. বই – “সমকামিতা বিজ্ঞান এবং ইসলাম”
২. ইন্টারনেটে এই বিষয়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যসমূহ
৩. Book – “Hadith Sahih on behaviour of LGBT”
এই ব্যাপারে যারা আরও কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে চানঃ
https://www.focusonthefamily.com/socialissues/citizen-magazine/can-you-love-thy-neighbor-and-defend-marriage/love-thy-neighbor-part-1
https://rosariabutterfield.com/
http://www.oneby1.org/testimony-maria.cfm
https://www.amazon.com/All-Things-New-Lesbians-Lifelong/dp/1935769324
https://www.amazon.com/Free-Indeed-Womans-Victory-Lesbianism/dp/0931593581
না বলা কথা:
আমার আগের গল্পটাতে জনৈক মূর্খ এবং অর্বাচীন ব্লগার ব্লগার প্রশ্ন তুলেছিলেন আমার লেখার যোগ্যতা আর বিষয় নিয়ে। আমার শ্রদ্ধেয় পাঠকরা তাকে খুব ভালো বুঝিয়ে দিয়েছেন আমি কে আর আমি কি ধরনের লেখা লিখি। তারপরও নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেই এই গল্পটা লিখতে বসেছিলাম। এটার জন্য আমাকে কি পরিমান স্ট্যাডি করতে হয়েছে সেটা শুধু আমি আর আমার সৃষ্টিকর্তাই জানেন। প্রতিটা গল্পেই আমি আমার সম্মানিত পাঠকদেরকে একটা মেসেজ দিয়ে যাই। আশা করছি এই গল্পের মেসেজটাও সবাই উপলব্ধি করতে পারবেন!
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর ২০১৯
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: নীল আকাশ টেনশন করবেন না। অবশ্যি এই ভাড় চলে আসবে। নীল নাম নিয়েই এর মারাত্মক এলার্জি আছে।
যেখানেই নীল দেখে সেখানেই এর বদ হজম হয়।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: গোপাল ভাড়ের নাম তো শুনেছি! কিন্তু ব্লগে আবার কোন ভাড় আছে? খেয়াল করিনি তো! রাতে এসে লেখাটি পড়বোনি। ভাল থাকবেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০
নীল আকাশ বলেছেন: রাকিব ভাই,
রাতের বেলা যখন এই পোস্টে ফিরে আসবেন ততক্ষনে এই ভাড় নির্ঘাত চলে আসবে।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০
ইসিয়াক বলেছেন: নীল আকাশ ভাই অত্যন্ত সাহসি লেখা সন্দেহ নাই । শুধু সাহসি নয় তথ্য বহুল ও বটে। বোঝা যাচ্ছে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন ।পবিত্র কোরআনের আয়াত সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যা আপনার লেখাকে সুগঠিত করেছে ।
আমার খুব ভালো লেগেছে ।বিশেষ করে মীরার কেস হিস্ট্রিটা আরো আকর্ষক ।
পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: সত্য প্রকাশে আমি কখনই পিছ পা হই না। এটা নিয়ে সারা পৃথিবীতেই মিথ্যে কথা রটনা করা হয়। আসল সত্য জানানোর জন্যি এত কষ্ট করে এটা লিখেছি।
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম ভাইয়া
অসাধারণ লিখার ভঙ্গি
আমার খুবই ভালো লেগেছে
লাইক ইউর গল্প
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপু আমি আপনাকে গতকালকেই বলেছি। এরা ডাহা মিথ্যাচার করে এটা নিয়ে। সত্য সবারই জানা উচিত।
পরের পর্ব পড়ার জন্যও অনুরোধ রেখে গেলাম।
ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ পড়বো সঙ্গেই আছি ভাইয়া
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। শনিবার এর ৩য় পর্ব পোস্ট করব ইনসাল্লাহ।
শুভ কামনা রইল।
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন:শনিবার এর ৩য় পর্ব পোস্ট করব ইনসাল্লাহ।
শুক্রবার নয় কেন । অপেক্ষার প্রহরগুলো বড্ড কষ্টকর। তবু ও অপেক্ষা করছি । কর্তার ইচ্ছাই কর্ম
কি আর করা হাহাহা
ধন্যবাদ
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: ইসিয়াক ভাই,
আমার লেখা অনেকদিন আগেই শেষ। পড়ার সুবিধার জন্য প্রতি পর্বের মাঝে একদিন করে গ্যাপ দিয়েছি। কারন আমি জানি অনেকেই অনেক প্রশ্ন করবেন। নীচে ১৪ নাম্বার মন্তব্য পড়ে আসুন।
পাশেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
মা.হাসান বলেছেন: Xq28 জেনেটিক মার্কার এবং হোমোসেক্সুয়ালিটি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, কিন্তু আপনি যেমনটা বলেছেন, সাম্প্রতিক সব গবেষণা এটাই প্রমান করে যে মানুষের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন তার পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা, অতীত অ্যাবিউজের ঘটনা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে (আমি অনুমান করি ধর্ম সম্পর্কে কিছু লোকের বিরূপ ধারনার কারনও সমান্তরাল, ছোট বেলায় মাদ্রাসায় অনাচার-অত্যাচারের শিকার হবার পরে ধর্মের নাম শুনলে কারো কারো গায়ে জ্বালা করে)।
সমকামির পাশাপাশি উভকামি নাকের একটি শ্রেণী আছে। লাবনী এই শ্রেণীর হয়ে থাকলে মিরা এবং লাবীব দুজনকে একসঙ্গে ভালোবাসায় সমস্যা দেখি না।
প্রথম মন্তব্যের জবাবে যা বলেছেন, এর প্রেক্ষিতে বলতে হয়, নীল নামের প্রতি যাদের এলার্জি, এদের কারো কারো আবার নীল ট্যাবলেটের প্রতি দূর্বলতা আছে।
গল্প চমৎকার লাগছে। তবে নাবীলার কাছে মীরার আসার বিষয়ে খটকা থেকে গেল। মীরা কিভাবে জানলো যে নাবীলাই লাবনীকে মীরার কাছে যেতে নিষেধ করেছে?
প্রথম পর্বে নাবীলা লাবনীর কাছে পাঁচটি করে ছবি এবং হাতে লেখা ভালোবাসার কারন (লাবীব ও মীরাকে) জানতে চেয়েছিল। এটা কি কাজে লাগলো তা মনে হয় ৩য় পর্বে দেবেন। আপনার গল্প পড়ে এটা বড় সুখ যে পরের পর্বের জন্য অনুযোগ করতে হয় না, আপনি সব টুকু লিখে পর্ব আকারে পোস্ট করেন।
অনেক শুভেচ্ছা।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
আপনার এই মন্তব্যে আমি আবার ফিরে আসছি। অনুগ্রহ করে নীচে ১৪ নাম্বার মন্তব্য একবার পড়ে আসুন।
শুভ কামনা রইল।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে আসল সত্য নীচে তুলে দিলাম।
There's No Such Thing as a 'Gay Gene,' a New Study Argues
https://time.com/5662444/gay-gene-study/
In 1993, researchers discovered a stretch of DNA on the X chromosome they believed to be linked to male homosexuality. In the years since, the concept of a “gay gene” has been a source of debate within both the scientific community and the general public, inspiring ever-larger follow-up studies over the years.
A new study published in Science, thought to be the most comprehensive on the topic, adds important information to that back-and-forth. After studying the DNA of nearly half a million people with varying sexual experiences, the researchers found no evidence of a single “gay gene.” There was some genetic association with self-reported same-sex sexual activity, but environmental factors likely play an even larger role, according to the study.
The researchers examined genotyping data and self-reported sexual histories from almost 500,000 (mostly white) people of both sexes who were either participating in genetic research projects, like the U.K. Biobank study, or had purchased genetic testing products from 23andMe and consented to inclusion in the study. Most participants came from the U.K. Biobank study, which involves adults ages 40 to 70, though the paper also included some young adults and adolescents participating in other studies.
উভকামি বলে আসলে কিছু নেই। এরা হলো ধান্দাবাজ। গাছের ফলও খায় আবার ডাল কেটে দোকানে বিক্রিও করে দেয়। এরা কখনই নিজেকে প্রকাশ্যে উভকামী বলে স্বীকার করে না।
নাবীলার কাছে মীরার আসার বিষয়ে খটকা থেকে গেল। মীরা কিভাবে জানলো যে নাবীলাই লাবনীকে মীরার কাছে যেতে নিষেধ করেছে? - লাবনী প্রায় সব বিষয়ই মীরার সাথে আলাপ করে। এমন কি নাবিলার কাছে যে এসেছে সেটাও বলেছে। কিন্তু হুট করে লাবনী সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে মীরার সন্দেহ যেয়ে পড়ে নাবিলা উপর।
ছবি এবং হাতে লেখা ভালোবাসার কারন সাইকোলজিক্যাল এনালিসিস করার জন্য নেয়া হয়েছিল। ইচ্ছে ছিল এইগুলি নিয়ে কিছুটা লিখব। গল্পটা বেশ বড় হয়ে যাবার জন্য আর বেশি লিখিনি।
আমি আমার সম্মানিত পাঠকদের বিরক্ত করা পছন্দ করি না। পর্ব দেরি করে দিলে পাঠক আগের পর্বে কি লিখেছি সেটা ভুলে যায় এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
শবনম কেমন লাগছে?
শুভ কামনা রইল।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত পড়া শেষ হলো। সময় নিয়ে মন্তব্যে আবার আসছি। একটা জায়গায় বেশ খটকা লাগলো।একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে পেশেন্ট যাবেন তার মানসিক সমস্যা নিয়ে। ধর্মের মতো স্পর্ষকাতর বিষয়কে এক্ষেত্রে টেনে আনাটা কতটা প্রাসঙ্গিক সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল। আসছি আবার।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০১
নীল আকাশ বলেছেন: পদাতিক ভাই,
আপ্নার মন্তব্য পড়ার পরই আমি আবার এই বিষয় নিয়ে একটা মন্তব্য দিয়েছি। ১৪ নাম্বার মন্তব্য অনুগ্রহ করে পড়ে আসুন।
নাবিলা সাইক্রিয়াটিস্ট নন, উনি সাইকোলজিস্ট। এদের কাজের ধরন এবং পার্থক্য সেখানে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা আছে।
এদের চিকিৎসার জন্য সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যবহার করা হয়। পোস্টের লিংকগুলি দেখে আসুন অবাক হয়ে যাবেন।
এরপরও কোন প্রশ্ন থাকলে আবার ফিরে এসে জিজ্ঞেস করুন।
ধন্যবাদ।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ডা: নাবিলা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজী ও কুরানের সুরা এক সাথে চালাচ্ছে? ভালোই গাঁজা
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: আচ্ছা আপনি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজীর কি বুঝেন বলুন তো?
ইংরেজিতে স্পেলিং করতে দিলে সব দাত ভেঙ্গে পড়ে যাবে, উনি এসেছে আমাকে জ্ঞান দিতে।
১ম মন্তব্য পড়েছেন?
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
টুংটাং যৌনতা পাঠক আনে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩
নীল আকাশ বলেছেন: পাঠারা সারা বছরই ব্যা ব্যা করে। এই জন্যই এদের খাশি করে দেয়া হয়।
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কুরআনের আয়াতগূলো এখানে না আনলেই আমার মনে হয় ভাল হতো। লেখার স্টাইলটা খুব সুন্দর শেষ পর্যন্ত পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা আছে আপনার। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ভাই,
খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলেছেন। আমি এটার বিষদ ব্যাখ্যা নীচে ১৪ নাম্বার মন্তব্যেই দিয়েছি। সারা বিশ্বেই এটা ফলো করা হয়। ক্যাথলিক চার্চগুলি নিয়মিত সেসন করান চার্চগুলিতে।
কষ্ট করে ১৪ নাম্বার মন্তব্য পড়ুন। তারপরও কোন জিজ্ঞাসের বিষয় থাকলে আবার ফিরে আসুন।
ধন্যবাদ।
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
নীচের ১৪ নাম্বার মন্তব্য পড়ে আসুন।
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্যতিক্রম যৌনতা ও কুরানের বাণীর ককটেল বানাচ্ছেন?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি জানেন গল্পের এই পর্ব সম্মানিত মডারেটর লাইক দিয়ে ব্লগের গল্প সংকোলনে রেখে দিয়েছেন। আপনি কি উনার চাইতে বেশি জানেন না বেশি বুঝেন?
প্রতিনিয়ত নির্বোধের মতো আর কতদিন নিজেকে হাস্যকর প্রানীতে প্রমান করার আপ্রান চেস্টা করে যাবেন?
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনারা সকলেই হয়তো দাঁতে ব্যাথা হলে ডেন্টিস্টের কাছে যান, হাড়ে ব্যথা হলে অর্থোপেডিকের কাছে যান। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে আলাদা বিশেষজ্ঞের ব্যাপারে হয়তো আপনারা সকলেই জানেন। এবার তাহলে জেনে নেওয়া দরকার যে মানসিক সমস্যা হলে কি করা উচিৎ।
সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সাইকোলজিস্ট বা মনোবিজ্ঞানী উভয়ে ভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষিত চিকিৎসক যারা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারেন। সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট এর মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য বিদ্যমান। চলুন তাহলে জেনে নিই সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট এর মধ্যকার পার্থক্যের বিষয়ে। আপনি কী সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে যাবেন নাকি সাইকোলজিস্ট এর কাছে যাবেন? কিন্তু সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট এর মধ্যকার পার্থক্য যদি না জানেন তাহলে এদের কাজের ধরনও বুঝবেন না।
সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্ট দুজনই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। এদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সাইকিয়াট্রিস্ট হতে হলে তাকে অবশ্যই মেডিকেল ডিগ্রি নিতে হয় অর্থাৎ ডাক্তার হতে হয়। আর সাইকোলজিস্ট হতে হলে মেডিকেল ডিগ্রি নিতে হয় না, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি সাবজেক্টে অনার্স/মাস্টার্স ডিগ্রি নিলেই হয়। অনেকেই এরপরও আরও উচ্চতর ডিগ্রী নেন, যেমন পিএইচডি।
আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে, সাইকিয়াট্রিস্ট ঔষধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে কিন্তু সাইকোলজিস্টের ঔষধ প্রেসক্রাইব করার অনুমতি নাই। তবে উনি কাউন্সেলিং সেবা দিতে পারবে। সাইকিয়াট্রিস্টদের মেডিকেল ট্রেনিং থাকার কারণে তারা ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। এটাই তাদের মধ্যকার উল্লেখযোগ্য পার্থক্য। কিছু ক্ষেত্রে সাইকোলজিস্টরাও সীমিত সংখ্যক ঔষধের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারেন যদি তারা সাইকো-ফারমাকোলজি এর কোর্স সম্পন্ন করেন।
সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট উভয়েই সাইকোথেরাপি অনুশীলনের বিষয়ে – রোগীদের সাথে তাদের সমস্যার বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। তাদের ভিন্ন প্রেক্ষাপট এবং প্রশিক্ষণের কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ধরন ভিন্ন হয়।
যেমন ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে ড. মেহেতাব খানম একজন কাউন্সিলিং সাইকোলজির শিক্ষক। তিনি কথা বলার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারেন কিন্তু কোন মেডিসিন দিতে পারবেন না। ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে কাউন্সিলিং সাইকোলজি বিষয়ে পড়ালেখা করা যায়। সাইকোলজি কাউন্সিলর দের আবার বিভিন্ন শাখা আছে। যেমন-ক্লিনিকাল, এডুকেশনাল। সাইকোলজিস্টের কাছে চিকিৎসা নেবার জন্য অন্য কোন ডাক্তারের সুপারিশের দরকার হয় না। মানসিকভাবে অস্থির বোধ করলেই তার সাহায্য নেয়া যায়।
এবার চলুন দেখি সাইকোলজি কি?
সাইকোলজি হল মানুষের মনের ও আচার আচরণের একটি বৈজ্ঞানিক পড়াশুনা। আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি ও আবেগের কারণে যে যে কাজগুলি করা থাকি, তা সবই পরীক্ষা করা হয়। সাইকোলজিকাল জ্ঞ্যানের কারণে আমরা বুঝতে পারি মানুষ কি ভাবে নিজেদের সমস্ত সমস্যা এমনকি মানসিক সমস্যারও সমাধান করতে পারে।
একজন সাইকোলজিস্ট কে?
সাইকোলজিস্ট হল তাঁরা, যাঁদের সাইকোলজির উপর ডিগ্রি রয়েছে এবং যারা মানুষের আচার আচরণ বুঝতে পারদর্শী। বৈজ্ঞানিক মাধ্যমে তাঁরা মানুষের চিন্তাভাবনা, কাজ, ধারণা ইত্যাদি পড়াশুনা করেন। প্রমাণ-জড়িত পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁরা মানুষের জীবনের নানা রকম সমস্যা, যেমন সম্পর্কের সমস্যা, অভিভাবকত্বের সমস্যা, বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা, জীবনধারা ও মানসিক স্বাস্থের সমস্যা, অসুস্থতা ইত্যাদি সমস্যার সামাধান করতে সাহায্য করেন। তাঁরা তাঁদের চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের দুশ্চিন্তা, হতাশা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মাদকাসক্তি সারিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।
এরা মানুষের মানসিক সমস্যার সমাধান করেন তাদের রুগীদের সাথে কথা বলে, দিনের পর দিন কাউন্সিলিং করে। এটাই এদের কাজের পদ্ধতি।
যারা এই সিরিজের প্রথম গল্প “পরিণয়” থেকে পড়ে আসেন নি তাদের জন্যঃ
এই সিরিজ গল্প নাবিলা একজন সাইকোলজিস্ট। তার নাম ডঃ নাবিলা হক। উনি সাইকোলজির উপরে আমেরিকা থেকে পিএইচডি করে এসেছেন। দেশে ফেরার আগে উনি কয়েক বছর সেখানে আপ্রেন্টিস সাইকোলজিস্ট হিসেবে চাকুরীও করে এসেছেন।
এই গল্পটাতে নাবিলা তার রুগী লাবনী এবং মীরার সাথে একের পর এক সেসন করেছে যেটা হলো আসলে কাউন্সিলিং। রুপম চরিত্র এর আগেও নাবিলা সিরিজের আগের গল্পগুলিতে এসেছে। রুপমের পুরো নাম হলো এহতেশামুল হক। উনি আগে ডিবিতে ছিলেন, এখন পিবিআইতে এসেছে ট্রান্সফার হয়ে। উনি একজন ডিটেকটিভ যিনি শখের বসে নাবিলা ম্যাডাম’কে বিভিন্ন জটিল কেসগুলিতে সাহায্য করেন বিভিন্ন তথ্য দিয়ে।
“লেসবিয়ানিসম এবং গে” এক ধরনের মানসিক সমস্যা। সারাবিশ্বেই ক্যাথলিক চার্চ এবং ইসলামিক সেন্টারগুলি এদের সুচিকিতসা করেন পুরোপুরি ধর্মীয় নিয়মকানুন মেনে। আমি এই গল্পের প্রতিটা পর্বের শেষে বেশ কিছু লিংক দিয়েছি যেখানে এটার খ্রীস্টিয় পদ্ধতি দেয়া আছে। এটা এখন পর্যন্ত ভালোভাবে প্রমানিত যে এদের সুচিকিতসার একমাত্র কার্যকর পন্থা হলো ধর্মীয় অনুশাষন। এমন কি লন্ডন ভিত্তিক ইসলামিক সেন্টারগুলিতেই ব্যাপকভাবে এটাই মেনে চলা হয়। সাইকোলজিস্টরাও এটা মেনে চলেন। কিছুদিন আগেও খোদ আমেরিকাতেই জোর করে একবছরের ডিটেনশন সেন্টারে এদের পাঠানো হতো চিকিতসা করার জন্য।
স্ট্যাটিসটিক্যাল ডাটা প্রমান করে যে, কৈশর বা আরও অল্পবয়সে বিকৃত যৌন নির্যাতনের শিকার হলে এইসব ভিক্টিমরা এইসব বিকৃতরুচির আচরনের দিকে ঝুকে পরে।
এই পোস্টে একজন জ্ঞানহীন, মুর্খ এবং অর্বাচীন ব্লগারের মন্তব্য এড়িয়ে যান। উনার বেশির ভাগ মন্তব্যই অশিক্ষিত মুর্খের মতো। উনি প্রতিনিয়তই আমার পোস্টগুলিতে সেটা প্রমাণ করে যান।
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০
ঢাবিয়ান বলেছেন: পড়লাম।খুব ভাল লিখেছেন। সাইকোলজিস্টের কুরআনের আয়াত উচ্চারনে যাদের এলার্জি রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই পৃথীবির প্রচুর ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দেবার পাশাপাশি রোগীকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে বলেন। ডাক্তাররা নিজেদের বিশ্বাষের জায়গা থেকেই কথাগুলো বলেন। জীবনে নামাজ রোজা না করা প্রচুর মানুষকে দেখেছি যে অসুস্থ হলে চুরান্ত ধার্মিক হয়ে যায়। এসব ব্যপারে সমালোচনার কিছু নাই। সাইকোলজিস্ট তার চিকিৎসায় ধর্মীয় অনুশাষনের উপড় জোড় দিয়ে যদি রোগীকে সুস্থ করতে পারে তবে সমস্যাটা কোথায়?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: দারুন কথা বলেছেন সবচেয়ে মজার কথা হলো চার্চগুলিই সবচেয়ে বেশি এদের বিরুদ্ধে বাইবেল কে ব্যবহার করে। আমরা আসলে অনেক কিছুই জানি না।
ধর্ম নিয়ে এদের কারও কারও চুল্কানি আছে যেটা এদের মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায়। এরা চুরান্ত ভন্ড। বাইরে নাস্তিকতার লেবাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
ভাই, আপ্নাকে অজস্র ধন্যবাদ। পরের পর্ব পড়ার অগ্রীম দাওয়াত দিয়ে গেলাম।
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: ১৪. ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনারা সকলেই হয়তো দাঁতে ব্যাথা হলে ডেন্টিস্টের কাছে যান, হাড়ে ব্যথা হলে অর্থোপেডিকের কাছে যান। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে আলাদা বিশেষজ্ঞের ব্যাপারে হয়তো আপনারা সকলেই জানেন। এবার তাহলে জেনে নেওয়া দরকার যে মানসিক সমস্যা হলে কি করা উচিৎ..........................
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম এবং অনেক অজানা তথ্য জানলাম।
ধন্যবাদ আকাশনীল ভাই
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্ট সবার জানার জন্যই লিখা হয়েছে। আপনি পড়েছেন দেখে কৃতজ্ঞতা রইল।
১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাইকোলজী একটা বিজ্ঞান, কুরান পবিত্র ধর্মগ্রন্হ; আপনি কাহিনী বানাতে গিয়ে, ২টিকে মিশায়ে কি ককটেল বানাচ্ছেন?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি জানেন গল্পের এই পর্বে সম্মানিত মডারেটর লাইক দিয়েছেন। আপনি কি উনার চাইতে বেশি জানেন না বেশি বুঝেন? কি ককটেল বানাচ্ছি সেটা আপনি বরং সম্মানিত মডারেটর সাহেব কে জিজ্ঞেস করুন।
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
আরইউ বলেছেন: আপনি কি এই বিষয়ে মানে হিউম্যান সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এর একজন এক্সপার্ট? গল্প হিসেবে কিছু লিখলে সেটা গল্পে সীমাবদ্ধ রাখাই শ্রেয়। আপনার দেয়া সায়েন্টিফিক তথ্য অথবা তথ্যে ইন্টারপ্রিটশানে ভুল আছে। ছোট একটা উদাহরণ দেই — আপনি বলছেন টুইন স্টাডি বিহেভিয়ারাল জেনেটিক্স বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় — এটা কিন্তু সর্বসম্মত সত্য নয়।
আপনি যেভাবে হোমোসেক্সুয়ালটিকে “মানসিক রোগ“ বলছেন, তা সায়েন্টিফিক নয়। এর পেছনে অনেক ড্রাইভার আছে — বায়োলজিকাল, সোসাল, এনভায়রনমেন্টাল... সায়েন্সকে মিসইন্টারপ্রিট করবেন না দয়া করে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।
লেখার মাঝে যেই সায়েন্টিফিক তথ্য দিয়েছি সেইগুলির সূত্র দিয়ে দিয়েছি। জেনেটিক্স বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় — এটা কিন্তু সর্বসম্মত সত্য নয়। এই পৃথিবীতে কোন কিছুই তো সর্ব সম্মত নয়। খোদ বিজ্ঞানই নিত্য ন মতুন কিছু আবিষ্কার করে চলছে। এমনকি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বানী সর্ব সম্মত বলে স্বীকার করা হয় না। হয় বলুন?
"লেসবিয়ানিসম এবং গে" খোদ মনোবিজ্ঞানের আবিষ্কারক ফ্রয়েড মানসিক রোগ বলেছেন। এমনকি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আমেরিকাতেও মনোবিজ্ঞান এসোসিয়েশন এটা মানসিক রোগ হিসেবেই ট্রীট করতেন। আমি কোন কিছুই মিসইন্টারপ্রিট করিনি। পাশ্চাত্য সমাজ এইসব বিকৃত রূচি জাস্টিফাই করার জন্য এখন অনেক কিছুই বলে বেড়ায়। খোদ চার্চগুলি এর বিরুদ্ধে কি প্রচার করছে সেটা পড়ে দেখুন।
আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৩
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: লেখাটি ভালোই হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ নাম্বার অংশে যেই তথ্যগুলো যুক্ত করেছেন। আপনার লেখাটির উপর মন্তব্য করার জন্য আরো অনেক কিছু জানতে হবে আমাকে। ইনশাআল্লাহ আবার ফিরবো। ভাল থাকবেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: রাকিব ভাই,
এই লেখাটার উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। জনসাধারনের যেসব ভুল ধারনা ছিল সেইগুলি ভেঙ্গে দেয়া। সত্য স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা আর সবাই কে এই জঘন্য আচরন সর্ম্পকে সচেতন করা।
আমি নিজেও অনেক স্টাডি করেছি। জানার কোন শেষ নেই।
ধন্যবাদ।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৩
ল বলেছেন: LGBT right of respect নিয়ে অনেক দেশে পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।।।
লেখাটি শেষ হবার পর একসাথে সম করে পড়বো যদিও একবার পড়া শেষ।।। বুঝতে বেগ পেতে হচ্ছে।।। সবার মন্তব্য পড়ছি।। দেখা যাক সবকিছু কি ঠিক আছে সময় বলে দিবে।।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
নীল আকাশ বলেছেন: লতিফ ভাই,
প্রচন্ড জটিল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছি। আপনি ত্য জানেন আমি সবসময় ওড টপিক নিয়ে লিখি। এই লেখাটার উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। জনসাধারনের যেসব ভুল ধারনা ছিল সেইগুলি ভেঙ্গে দেয়া। সত্য স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা আর সবাই কে এই জঘন্য আচরন সর্ম্পকে সচেতন করা।
আমি নিজেও অনেক স্টাডি করেছি। জানার কোন শেষ নেই।
যেহেতু আপনি বাইরে আছেন৷ এই বিষয় নিয়ে আমার চেয়েও ভাল জানেন।
ভালো মতো একটা সমালোচনা করে ভুল গুলি ধরিয়ে দিয়ে মন্তব্য দিন
দরকার পড়লে ৩ পর্ব পড়ার পর একবারে দিন।
ধন্যবাদ।
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমাদের সমাজের নিষিদ্ধ একটি দিক নিয়েই আলোকপাত করেছেন। বেশ সাহসিকতার পরিচয় বলা যায়। সমকামিতার সাথে জীববিজ্ঞানের সম্পর্ক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ উভয়ের নিকট সমভাবে কৌতূহলের বিষয় হলেও এখনো পর্যন্ত দুইয়ের মধ্যে নিশ্চিত কার্যকারণ সূত্র আবিষ্কৃত হয়নি। সমকামিতার সাথে বিজ্ঞান বিশেষ করে জীববৈজ্ঞানিক (প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে জীববিজ্ঞান ও যৌন অভিমুখিতা বলা হয়) সম্পর্ক আছে কী নেই, থাকলে কতটুকু আছে - তা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। একজন মানুষ কেন সমলিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে তার কোনো একক নির্ণায়ক (জিন, হরমোন ইত্যাদি) এখনো অবধি কোনো গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস সমলিঙ্গের প্রতি যৌনাকর্ষণের পেছনে সামাজিক নির্ণায়ক (social factor) ও জীববৈজ্ঞানিক উভয়বিধ কারণ যুগপৎ সক্রিয়। মানুষের স্বভাব গঠনে ক্রিয়াশীল জিন ও হরমোন এবং সামাজিক নির্ণায়কসমূহ (social factor) মিশ্রিতভাবে এই যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণ করে থাকে বলে বিজ্ঞানীগণ মত দিয়েছেন। একটি অনুকল্প মতে, অন্তত পুরুষের ক্ষেত্রে সে সমকামী না বিষমকামী হবে তা নির্ধারণ জন্মের পরে পরিবেশ করবে; সে সম্ভাবনা দুর্বল।
যৌন অভিমুখিতা ব্যাখার ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের তত্ত্বসমূহ বেশ জনপ্রিয়। এতে বংশানুক্রমিক বিষয়ের (genetic factor) জটিল অন্তক্রিয়া সহ মস্তিষ্ক এবং মাতৃগর্ভকালীন প্রাথমিক জীবনের পরিবেশ (early uterine environment) নিয়েও আলোচনা করা হয়।[৫] এই বিষয়গুলো জিন, জন্মপূর্বে মার্তৃগর্ভে হরমোন এবং মস্তিষ্কের গঠনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং ব্যক্তির বিষমকামী, সমকামী, উভকামী ও নিষ্কামী যৌন-অভিমুখিতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
শুভ রাত্রি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমি এই গল্প যে বিষয়টা নিয়ে এসেছি সেতাই আপনি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে আপনার মন্তব্যে। এই সমস্যা মানব সৃষ্ট, এটা কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এলজিবিটি মানুষজনকে ভুল ধারনা দেয়ার চেস্টা করে যাচ্ছে। পারি পার্শ্বিক যে কারনে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয় সেগুলি ইচ্ছে থাকলেই মনোবিদ দের কাছে যেয়ে চিকিতসার মাধ্যমে ভালো করে ফেলা যায়। এই গল,পে আমি ঠিক সেটাই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।
আপনার মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে আসল সত্য নীচে তুলে দিলাম।
There’s no evidence that a single ‘gay gene’ exists
https://www.sciencenews.org/article/no-evidence-that-gay-gene-exists
Instead, a combo of small genetic factors and environmental influences affects partner choice
gay couple. There’s no one “gay gene,” but many genetic, environmental, social and cultural factors may combine to influence sexual behavior, researchers say.
By Tina Hesman Saey
August 29, 2019 at 2:00 pm, Updated August 30, 2019 at 3:45 pm
Publication of the largest-ever study of the roles of genes in homosexual behavior is fanning the debate over whether being gay is due to genes or environment.
First reported at a genetics conference in 2018, the study found five genetic variants associated with having a same-sex sexual partner (SN: 10/20/18). But those variants, called SNPs, don’t predict people’s sexual behavior, researchers report in the Aug. 30 Science.
“There is no ‘gay gene’ that determines whether someone has same-sex partners,” says Andrea Ganna, a geneticist at the Broad Institute of MIT and Harvard and the University of Helsinki.
Family studies have suggested that genetics account for about 32 percent of heritability of homosexual behavior. But each SNP, or single nucleotide polymorphism, has a very small effect on whether someone has ever had a same-sex sexual partner, the new research found.
Sign Up For the Latest from Science News
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৫
আরোগ্য বলেছেন: পদাতিক ভাইটির সাথে একমত হয়ে বলতে চাই, কুরআনের আয়াতগুলি আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলো। কথাগুলো লাবীবের সাথে না বলে ভিকটিমের সাথে শেয়ার করলে ভালো হত। লাবীবের কাছে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিকল্প পন্থা আছে।
সমকামিতা কোন মানসিক সমস্যা নয়, এটা মানুষ সজ্ঞানে করে তাই এদের মানুষিক রোগীর কাতারে ফেলে দেয়াা যায় না। লুত নবীর সম্প্রদায়ের মানুষজন সর্বপ্রথম এই ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হয়। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকর্ষণ ও বৈচিত্র্য চেষ্টা করার স্পৃহা এবং যৌনউদ্দীপক বিষয়ে জড়িত থাকা সমকামিতার কারণ হতে পারে।
জুয়া খেলা খারাপ সবাই জানি কিন্তু লাসভেগাসে জুয়া হালাল এবং স্বাভাবিক। তদ্রূপ সমকামিতা একটা জঘন্য কাজ কিন্তু মানুষের আসকারায়, মানুষিক রোগের নামে তা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। নানারীতে তারাই যায় যাদের অনুতাপ বোধ আছে। সেখানে অর্থাৎ ধর্মীয় নিবাসগুলোতে নিজেকে শুদ্ধ করা সহজ হয়।
একটা গল্প হয়তো আপনিও জানেন। এক চোর সারারাত চুরি করে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। লোকে কিছু বললে বলে চুরি আমার পেশা আর নামাজ আমার ফরজ। পাপ মানুষ জেনে বুঝেই করে, অজ্ঞানে করলে তা পাপ নয়। আর যখন পাপের অনুতাপ বোধ জাগ্রত হয় তখনই নিজেকে শোধরাবার চেষ্টা করে।
পরের পর্বের জন্য শুভ কামনা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
লাবীবের বিষয় আগে ক্লীয়ার করি। বিকল্প পন্থার যে কথা আপনি বলেছেন সেটা তো লাবনীর জন্য অন্যায়। কারন ও তো লাবীবকে পছন্দ করে, আর ভালোবেসে ফেলেছে দেখেই তো নাবিলার কাছে এসেছে। লাবনী তো মীরার সাথে সর্ম্পক নিয়ে এখন আর সন্তুস্ট নয়। হলে কি নাবিলার কাছে আসত, বলুন? অপরাধ করলে শাস্তি দেয়া উচিৎ কিন্তু তালাক কিংবা ১ম স্ত্রীর অমতে ২য় বিয়ে হতে পারে না। আর একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবে সাহায্য চাইতে আসা নিজের একজন রুগীর সংসার ভেঙ্গে যেতে কেন দেবে নাবিলা বলুন তো? লজিক কি বলে? তালাক হচ্ছে ইসলামে সবচেয়ে জঘন্য কাজের অনুমতি।
ইসলামের অনুশাষনের কথা লাবনীকেও বলা হয়েছে। ৩য় পর্বে দেখবেন। নাবিলা চেস্টা করেছে এদের সংসার যেন ভেঙ্গে না যায়। আর কেন এই চেস্টা করেছে সেটাও ৩য় পর্বে পাবেন।
আমি আবারও বলছি সারা বিশ্বেই এদের সুচিকিৎসার জন্য ধর্মীয় পন্থা অবলম্বন করেন সাইকোলজিস্ট রা। আমার দেয়া লিংকগুলি পড়ে দেখুন কিভাবে বাইবেল কে এরা ব্যবহার করেন।
৩য় পর্ব পড়ুন। কালকেই দেব।
ধন্যবাদ।
২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ এই পর্বটিও পড়ে ফেললাম। দারণা আর গল্পের সেটিং যখন কাছাকাছি হয় তখন লেখার প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। আমার কাছে যুক্তিযত গল্পটি আমার বিশ্বাসকে নড়বরে করছে না। যারা বিশ্বাসে দূর্বল তাদের সমস্যা হতে পারে। চালিয়ে যান সত্য একদিন উম্মুচিত হবেই। সাথে আছি, আগামী পর্বের অপেক্ষায়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১১
নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই,
ধর্ম জীবন থেকে পৃথক কিছু নয়। এইসব বিকৃত্রুচির ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তো আমাদের আগেই সর্তক করে দিয়েছেন হযরত লুত (আলাইহিস সালাম) এর কওমের পরিনতির কথা বলে।
এরা ভন্ড আর এদের পক্ষে যারা যারা কথা বলে এরাও ভন্ড।
রোজ হাসরের ময়দানে এদের এই জঘন্য পাপকাজের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক পরিশ্রম করেছেন বুঝা যাচ্ছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই,
এতে আমার কোন কষ্ট নেই। আর সবার কাছে যদি সত্য এবং আসল তথ্য পৌছাতে পারি তাহলেই আমি সার্থক।
প্রচুর স্ট্যাডি করেছি, এখন করছি। জানার কোন শেষ নেই।
৩য় পর্ব পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
২৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্প যেন আরও জমজমাট হলো।
কৌতূহল বেড়ে গেল।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: এই পর্বও পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আগামী পর্বেই এটার পরিসম্পতি হবে।
২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: গত কয়েকদিন ধরে যে বিষয়টা নিয়ে আমি ভাবছিলাম, আপনি গল্পের মাধ্যমে তাকেই তুলে এনেছেন।
কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়া, যে ঢাকার এক নামি (মেয়েদের) স্কুলের শিক্ষিকা (ভিকারুন্নেসার নয়), বলছিল ভিকারুন্নেসার ছাত্রীর আত্মহত্যার পর থেকে সব স্কুলের গভর্নিং বডি শিক্ষিকাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ছাত্রীরা যাই করুক তা শিক্ষিকাদের উপেক্ষা করে যেতে হবে, স্কুলের দরকার শুধু ছাত্রীদের থেকে ভালো রেজাল্ট আদায় করা। এই ঘটনার পর থেকে ছাত্রীরাও শিক্ষিকারা তাদের কিছু করতে পারবে না একথা জেনে গেছে তাই তারা প্রচন্ড রকম বেপরোয়া হয়ে গেছে, এখন স্কুলের ভিতর নাইন টেনের মেয়েরা প্রকাশ্যে প্রেম করছে। এক্ষেত্রে কিছু মেয়ে চুল ছোট করে কেটে আচরণে ছেলেদের মত হওয়ার চেষ্টা করছে... শিক্ষিকারা চুপচাপ দেখে যাচ্ছেন চাকরি বাঁচানোর জন্য!
এটা শোনার পর থেকেই ভাবছিলাম, আমাদের সমাজের এতটা অবক্ষয় কি করে হলো! এই বয়সের মেয়েরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে বড়জোর কোন ছেলের সাথে প্রেম করতে পারে, তা না করে তারা প্রকাশ্যে মেয়েদের সাথে প্রেম করছে!! আপনার গল্পকে যাদের অবিশ্বাস্য বা অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে, তারা হয়তো কিছুদিন পরেই আমাদের সমাজের এমন অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে দেখবেন (আল্লাহ না করুন)। এক্ষেত্রে আপনার গল্পটা একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছে, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমে আসবে।
গল্পের মাধ্যমে আপনি বিস্তারিতভাবে সমকামিতার কারণ ও এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় বর্ণনা করেছেন। ভাষা প্রাঞ্জল, তাই পড়তে ভালো লেগেছে। তবে একটা জায়গায় আমার মনে হয় জ্বিনগত না হয়ে জিনগত হবে। আজকাল প্রগতিশীলতা প্রদর্শন করতে গিয়ে অনেকেই সমকামিতাকে জিনগত বৈকল্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। এই গল্পে তাদের ভুল প্রমাণ করার অনেক উপাদান দিয়েছেন।
গল্পে +++++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
সামাজিক এই বিষয়গুলি নিয়েই লেখার জন্য আমি নাবিলা সিরিজটা লিখছি। এই ধরনের প্রচুর সমস্যা আছে যেইগুলি আমরা দেখেও না দেখা ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। বেশকিছুদিন ধরেই বেশ কিছু পত্রপত্রিকাতে এই ধরনের নিউজ আসছে। ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন মিডিয়ার কল্যানে এইসব জঘন্য বিষয় নিয়ে সবাই খুব সহজেই আজে বাজে জিনিস শিখতে পারছে।
ঈদের মধ্য নাকি এবার এই বিষয় নিয়ে একট নাটকও দেখানো হয়েছে। এই সব হলো পাশ্চাত্য সমাজের অশুভ পরিকল্পনা। খুব ঠান্ডা মাথায় তারা মুসলিম দেশগুলিতে এইসব ছড়িয়ে দিচ্ছে ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দেবার জন্য। যত বেশি এইসব ঢুকাতে পারবে ততবেশি ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে।
মডারেটর আমাকে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত লিখতে বলেছে। আমি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটা সিরিজ লেখা আরম্ভ করেছি। পর্ব আকারে এর আদ্যপান্ত তুলে ধরব। যতটুকু এখান থেকে জানতে পেরেছে সেটার বাইরেও আরও অনেক অজানা বিষয় আছে যেইগুলি শুনলে সবার মাথাই ঘুরে যাবে। খুব শিঘ্রই এই সিরিজ ব্লগে দেব।
সবসময় পাশে থেকে উতসাহ এবং সাহস দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভ কামনা রইল আপু, ভালো থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: ছোটবেলায় সার্কাসে দেখতাম ভাড়রা অঙ্গ দুলিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গি করে লোক হাসাচ্ছে। সার্কাস তো উঠেই গেছে কবে, তবে আমি পোস্টে দিলেই প্রায় নিয়মিত এরকম একজন ভাড়ের দেখা পাই আমার পোস্টে। এখন আমি অপেক্ষা করে আছি ব্লগে আমার পোস্টে আসা নিয়মিত একজন ভাড়ের জন্য!!!