নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ৬ঃ নৈতিকতার অবক্ষয় এবং কারণ অনুসন্ধান

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৭



লাইভ ভিডিওতে এসে নিজের হাতে স্ত্রী’কে বারংবার কুপিয়ে হত্যা, অসুস্থ মা’কে সন্তানরা গোপনে জঙ্গলে ফেলে আসা, জীবন্ত মানুষের একটা পা কেটে বিজয় মিছিল করা কিংবা অসহায় মানুষের রিলিফের খাদ্য বা টাকাপয়সা লুটপাট করা ইত্যাদি খবরগুলি আমাদের মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে এখন সহসাই প্রশ্ন তুলছে! দিন দিন এইসব নৃশংস কর্মকান্ডগুলি দেখে আমাদের অবাক হবার ক্ষমতাও লোপ পাচ্ছে আর বাড়ছে বিষ্ময়ের মাত্রা! আসলে আর কী ঘটতে বাকি আছে এই দেশে? মনুষ্যত্ববোধ একদমই হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষগুলোও যেন দয়ামায়াহীন নিষ্ঠুর হয়ে পড়ছে। বর্বরতা যেন মহামারির আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, গুমসহ নানামুখী অপকর্মের শিকার প্রতিনিয়তই হতে হচ্ছে এইদেশের মানুষ'কে। ক্রমাগত এইসব নৃশংস ঘটনাগুলি দেশের মানুষের জন্য বইয়ে নিয়ে আসছে যেন অশনি সংকেতের সুতীব্র স্রোত। ইঙ্গিতের মধ্যে দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে মানুষের পাশবিক হিংস্রতার সুতীব্র উত্থানের!
.
এই সৃষ্টিজগতে মানুষ শুধুমাত্র নৈতিক মূল্যবোধের জন্যই অন্যসব প্রানীদের থেকে পৃথক। এই নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাস, লক্ষ্য/উদ্দেশ্য, সংকল্প, আচার-আচরণ এবং কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজের বেশিরভাগ মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবনতির সমষ্টিগত নাম হলো সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। নৈতিক মূল্যবোধ’কে মানুষ থেকে পৃথক করলে, তখন শুধুই প্রানীর বৈশিষ্ট্য থাকবে; কিন্তু মনুষ্যত্ব বলে কোন বৈশিষ্ট্যই আর থাকে না।
.
নৈতিকতা হলো নীতিবোধ ও মানবীয় গুণাবলির জীবন দর্শন। মানবজীবন’কে সুপথে ভালোকাজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নৈতিকতা হলো পাথেয়। নৈতিক মূল্যবোধ এবং মনুষ্যত্ব একটি অপরটির পরিপূরক। অথচ এইদেশে এখন শুরু হয়েছে ‘জোর যার মুলুক তার’ নীতির অবাধ চর্চা। জঙ্গলের পশু সমাজের এই বৈশিষ্ট্য কোনোভাবেই মানবীয় বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সর্বত্রই আজ অনৈতিকতার ছড়াছড়ি, মানবিক মূল্যবোধের নিদারূণ অবনতি। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠছে মানবীয় বৈশিষ্ট্যহীন আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, অসহিষ্ণু, নৈতিকতা বিরোধী এক একটা যন্ত্রমানব হিসেবে। দুঃখজনক হলেও সমাজে এখন মানুষের চাইতে অমানুষের সংখ্যাই বেশি!
.
মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারার তিনটি স্তর; শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্য। এর মধ্যে অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার এই যুবসমাজই দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কর্ণধার। তারাই দেশ ও জাতির সম্পদ। কিন্তু এই যুব সমাজের নৈতিকতার অবক্ষয়ই সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই অবক্ষয়ের RCA বা Root Cause Analysis যদি করা হয় তাহলে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠে, এই যুবসমাজের নৈতিক অধঃপতনের প্রধানতম কারণ হ’ল সঠিক শিক্ষার অভাব। এই শিক্ষা আসে শুধুমাত্র দুইটা স্তর থেকে।
.
একঃ
আমরা আমাদের সন্তানদের শিক্ষিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেই, কিন্তু কয়জন ছেলেমেয়েদের’কে প্রকৃত মানুষ বানানোর চেষ্টা করি? পরিবার হলো প্রতিটা শিশুর শিক্ষার সূতিকাগার, প্রথম পাঠশালা। সততা, কর্তব্য পরায়নতা, নিষ্ঠা, ধৈর্য, উদারতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, নান্দনিক সৃজনশীলতা, দেশপ্রেম, কল্যাণবোধ, পারস্পরিক মমতাবোধ ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলী শিশুরা পারিবারিকভাবেই শিখে আসে। প্রতিটা পরিবার যদি নৈতিকতা চর্চার কেন্দ্র ও পরিশোধনাগার হয়ে ওঠে, তবে সমাজ থেকে অনেক অপরাধের চিরতরেই নির্বাসন সম্ভব। সমাজে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করা দরকার। নৈতিকতার শিক্ষা শুধু বক্তৃতায় আর পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করলেই হবে না, বরং এগুলো পারিবারিক অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিটা শিশুর আচরণেই যুক্ত করা প্রয়োজন। অনেক পরিবারেই দেখা যায়, ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে না, তারা কোথায় রাত কাটায়, কখন বাড়ী ফেরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখন যায় আসে, সেগুলোর ব্যাপারে কোন খোঁজখবর রাখে না। সন্তানকে ছোটবেলা শাসন করতে বললে তারা বলে, বড় হলে ভালো হয়ে যাবে। আবার বড় হলে বলে, তারা আমাদের কথা মানে না, এখন তাদের সাথে পারি না ইত্যাদি। পারিবারিক অনুশাসন ছোটবেলাতেই করতে হয়। ভালো বীজই যদি না লাগানো হয় তাহলে ভালো ফসল আসবে কিভাবে?
.
দুইঃ
দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল স্তম্ভ হলো তিনটি। শিক্ষক, ছাত্র ও পরিচালনা কমিটি। দলীয় রাজনীতির বিষাক্ত ছোবলে এই তিনটি ক্ষেত্রই আজ নোংরা এবং ক্লেদাক্ত হয়ে গেছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয় দিকই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আগে শিক্ষকগণ ছিলেন সবার অপরিসীম শ্রদ্ধার পাত্র। অথচ এখন এরাই নিজদলীয় ছাত্রদের ভাই ও বন্ধুর পর্যায়ে নেমে এসেছেন। বিরোধীমতের ছাত্র ও শিক্ষকগণ প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে পরস্পরের বিরোধী হিসাবে গণ্য হন। অথচ মহান দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, “শিক্ষা হলো মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের আবিষ্কারক। সত্য ও সুন্দরের পথ যারা দেখান তারাই হলেন শিক্ষক”। মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির নিপুণ শিল্পী হলেন শিক্ষক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ চর্চার অনন্য কারখানা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধের চর্চা তেমন নেই বললেও চলে। শিক্ষকতার সঙ্গে নৈতিকতা ও সততার বিষয়টি গভীরভাবে সম্পর্কিত। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক যদি নৈতিকতা ও সততার ভিত্তিতে গড়ে না উঠে তাহলে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলশ্রুতিতেই আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এত বেহাল দশা!
.
.
শেষ কথাঃ
আজ আমরা নৈতিকতার দিক দিয়ে চরমভাবে ধ্বংসের মুখে। ক্ষয়িষ্ণু এই সমাজের ভয়ংকর অবক্ষয়ের বিভিন্ন চিত্র
দেখেও আমরা এখন আর অবাক হচ্ছি না। সবারই চোখের সামনে এইসব ঘটনাগুলি ঘটছে, কিন্তু বিবেকের দরজা খুলে কেউ আসল সত্য উপলব্ধি করছে না। আসলে একটি সমাজ অবক্ষয়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হয়, যখন সমাজের মানুষগুলোর বিবেকের সামনে মোটা কালোপর্দা ঝুলে যায়। একসময়ের বিবেকবান মানুষগুলো ধীরে ধীরে চরমভাবে বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়।
.
সোসাল মিডিয়াতে এখন দেশের সবজায়গা থেকেই চাল চোর/রিলিফের সামগ্রী চোর/তেল চোর ইত্যাদি বিভিন্ন চোরদের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এর অর্থ হলো, সামাজিক অবক্ষয় এখন দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পরেছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় হলো সামাজিক নৈতিকতার আত্মশুদ্ধি, যা একমাত্র সমাজের প্রতিটা মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের আত্মশুদ্ধি ছাড়া কখনই সম্ভব না।
.
কবি ফররুখ আহমেদ বলেছিলেন, “রাত পোহাবার কত দেরী, পাঞ্জেরী?”
.
কবি বেঁচে থাকলে এখন বলতাম, “রাত আর পোহাবে না পাঞ্জেরী, যদি আমরা নিজেরাই না জাগি!“
.
এই দেশে কোনদিনও হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো কেউ আসবে না, যতদিন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ভালো না হচ্ছি।
.
.
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
জনস্বার্থে – নীল আকাশ@সামহ্যোয়ারইন ব্লগ, গ্রুপ এবং ফেসবুকের নিজস্ব পাতায় একযোগে প্রচারিত
কপিরাইট @ মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ, এপ্রিল ২০২০

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নৈতিকতা বিষয়ি যেন এখন অধরা; নৈতিকতা বলতে যে কিছু আছে তা যেন সকলেই ভুলতেই বসেছি। এখন মানুষের শুধু চাই আর চাই; টাকা চাই, বাড়ি চাই, গাড়ী চাই। কিন্তু সেগুলো কি ভাবে আসবে (?) বৈধ পথে না অবৈধ পথে সেটা বিষয়না!!!!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাই, বৈধ পথে কখনই অনৈতিকতা আসবে না। আমরা লোভী জাতী। পাপ আমাদের পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলেছে।
খুব শিঘ্রই আমরা জাতী হিসেবে চরম অধঃপতনে যাবো।
শুভ কামনা রইলো।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নৈতিকতার অবক্ষয় রোধ করতে হলে আমাদের অনেক অনেক গভীরে যেতে হবে। এই অবক্ষয় যেমন একদিনে হয়নি, এর প্রতিকারও একদিনে সম্ভব না। তবে সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, এই অবক্ষয় রোধ করার জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেটার শুরুই আমাদের কর্তারা করতে পারছেন না। বরন্চ উনাদের কার্যকলাপ আমাদেরকে দিনে দিনে আরো নীচে নিয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতের সুন্দর ছবি দেখানোর দায়িত্ব যাদের উপর, তাদের কাছ থেকে আমরা আরো অধঃপতনের অশনি সংকেত পাচ্ছি। সামনে আরো ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাইরে,
সর্ষের ভিতরেই এখন সবচেয়ে বেশি ভুত। কাকে দিয়ে ভুত ছাড়াবেন এখন?
যত দূর্নীতি হচ্ছে সব জনপ্রতিনিধিরাই করছে। এদের সাঙ্গপাঙ্গরা করছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় করছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই এখন লুটপাট হচ্ছে।
অবশ্যই সামনে আরো ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,





খুবই কন্ক্রিট ভাবে নৈতিকতার অবক্ষয় এবং তার কারণ অনুসন্ধানের বিশাল ইমারত গড়লেন। প্রতিটি অনুধাবনই সত্য।

কিন্তু শেষে যা বললেন - তা-ই সত্য। এ রাত আর পোহানোর নয়, কোনও বংশীবাদকও নেই যারা নিয়ে যাবেন এক তিমির রাত্তিরের ওপারে।

আশার কোনও বাণী শোনাতে পারলুম না বলে দুঃখিত নই কারন চোরাবালিতে একবার গেঁথে গেলে বাঁচা দূরস্ত...............

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
খুব দূঃখ করে এটা লিখেছেই। সারা দেশের মানুষ না খতে পেরে অনাহারে আছে অথচ দিনের পর দিন জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ইচ্ছে মতো লুটপাট করছে। এই দেশ আসলেই তলাবিহীন ঝুড়ি। এরা সব চোরের বংশ।
আশার বাণী কোথায় পাবেন আপনি?
নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা রইলো।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ তাদের সন্তানদের এখন ভাল মানুষ বানাতে চায় না তারা চায় তাদের সন্তানেরা ভাল জিপিএ পাক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হোক। যেদিন দেশের মানুষ তাদের সন্তানদের ভাল মানুষ বানাতে চাইবে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাইবে সেদিন হয়ত নৈতিকতা সম্পূন্য মানুষ হবে।

পারিবারিক এবং সামাজিক একটা পরিবর্তন দরকার নয়ত ভবিষ্যতে এর আরো খেসারত দিতে হবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। আমিও সেটাই লেখায় বলতে চেয়েছি।
আমরা বাচ্চাদের প্রকৃত মানুষ যতদিন বানাতে চাচ্ছি না ততদিন কোনরকম উন্নতির সম্ভাবনা নেই।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নৈতিকতার অবক্ষয়ে ডুবে যাচ্ছে সমাজ-পরিবেশ-দেশ
যারা এই অন্যায়গুলো করছে তারা যেমন অপরাধী, যারা এই ভিডিওগুলো করছে তারাও কোনো অংশে কম অপরাধী নয়! অনেকে হয়তো বলতে পারেন এই ভিডিওগুলো করার কারণে মানুষ জানতে পারছে, প্রতিবাদ করতে পারছে - তারা সম্পূর্ণ ভুল ধারণায় আছেন (প্রচারে প্রসার হয়)। যেখানে এক দুটি ছবি তুললে যথেষ্ট সেখানে আস্ত আস্ত ভিডিও করার প্রয়োজন নেই। এই ভিডিও করার কারণে মানুষ আরো বেশী বেশী অপরাধ প্রবণ হচ্ছে, মানুষ অপরাধ করার নতুন নতুন পন্থা সম্পর্কে জানতে পারছে।

এখন বাংলাদেশে যেকোনো স্থানে ঝগড়া থেকে শুরু করে হত্যা পর্যন্ত ছবি ও ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে এটি কোনোভাবেই কোনো সুস্থ্ সাভাবিক সমাজ ও দেশের পরিচয় নয়। খুনির বিচার করতে হবে সাথে হত্যাকান্ড সহ নানা ধরনের অপরাধ যারা ভিডিও করে প্রচার করছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে দিন দিন নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটতেই থাকবে আর অবক্ষয়ের জোয়ার ধরে রাখার মতো শক্তি কোনো দেশের আইন প্রশাসনের নেই।

সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য নীল আকাশ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই,
আজকাল সোসাল মিডীয়াতে কিছু নিউজ দেখলে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।
আজকে পত্রিকা পড়লাম বৌ আর ছেলে মিলে প্রতিবন্ধী বাবা/স্বামীকে বাসায় ফেলে রেখে চলে গেছে। মানুষ পাশন্ড হয়ে যাচ্ছে । দেশের আপদমস্তক নষ্ট হয়ে গেছে। দূর্নীতি মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে গেছে। আমি আসলেই খুব হতাশ হয়ে যাচ্ছি।
এই দূঃসময়ে মানুষের বাসায় বাসায় যেয়ে করোনা চিকিতসার নামে নামে ডাকাতির চেষ্টা করছে।
আমি চাই এইদেশে বিরাট একটা গজব আসুক। ময়লা আবর্জনা পরিষাক্র হবার পর আবার নাহয় চেষ্টা করা যাবে শুরু থেকে।ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



খুবই কষ্ট পেয়েছি আপনার উল্লেখিত পোস্টের শুরুর দিককার কয়েকটি অপরাধ সংঘটনের ঘটনায়। আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত নসিব করুন। +++

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: নকিব ভাই,
খবর যা আসে তা যা ঘটে তার অনেক কম। এখন বুঝুন দেশে কী ঘটছে? মানুষ দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: অবক্ষয়টা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে, সাধারন মানুষের মধ্যে এর বিস্তার ঘটবে - এটাই স্বাভাবিক ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
জনপ্রতিনিধিরা আর দলীয় নেতারা রাজনৈতিক আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ইচ্ছে মতো লুটপাট করছে। এদের ঠেকানোর কেউ নেই। এদের দেখে এখন সাধারণ মানুষও শুরু করে দিয়েছে। কেউ পিছিয়ে পরতে চাচ্ছে না।
ধন্যবাদ।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব জায়গায় ব্যথা ঔষুধ দিবো কোথায় । ঘুস খেয়ে পরিবার চালাচ্ছি । উপরের চেয়ারে বসে মিথ্যা বললে আর অধিকার চুরি করলে এমন হবে ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: এরা এতই খারাপ হয়েছে যে, ঘুষের টাকায় একটা জাল পেলে দুঃখ করে বলে, হায় হায়! দেশ রসাতলে গেল!

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন এই দেশ নষ্ট হয়ে গেছে। পচে গলে গেছে।
আর ঠিক হবার সম্ভবনা নাই। দিন দিন আরো খারাপ হবে। পচে গন্ধ বের হবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই আমি আপনার সাথে ১০০% একমত। মানব প্রজাতী থেকে এদের নাম আসলেও কেটে দেয়া উচিত।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে যদি নৈতিকতার অবক্ষয় লালন পালন করা হয় তবে সেই রাস্ট্রে আর ভাল আর কি আশা করতে পারেন? ইউরোপ আমেরিকায় করোনায় কীট পতঙ্গেের মত মরছে তারপরেও সেখানে অমানবিক কোন ঘটনার কথা শোনা যায়নি। জাতিগতভাবে একতাবদ্ধ হয়ে মানুষ সেখানে লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। আর আমাদের দেশে উচ্চ তাপমাত্রার কারনেই হোক বা আর যেই কারনেই সেভাবে ছড়ায়নি করোনা, মৃৃত্যূূর হারও কম। কিন্ত মানুষের আচার আচরন হয়ে গেছে জানোয়ারের চাইতেও অধম। করোনার আতংংকে হাস্পাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না হাজার হাজার পেশেন্টকে যারা কেউই করোনা রোগী নয়। গর্ভবতী এক নারী হাস্পাতালে ভর্তি হতে না পেরে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছে, হাস্পাতালে ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় প্রান যাচ্ছে বহু মানুষের । ডাক্তার স্বাস্থকর্মীদের বাসা ছেড়ে দিতে হুমকি দিচ্ছে অনেক বাড়ীওলা। করোনায় আক্রান্ত রোগীর বিল্ডিং এ তালা লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। মানুষের আচরনে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনা কোন রোগ নয়, মানুষ খুনের চাইতেও ভয়ঙ্কর কোন অপরাধ। জীবনের ঝুকি নিয়ে যেসব সরকারী ডাক্তার, স্বাস্থকর্মী কাজ করছে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে সামাজিকভাবে বয়কট করার কথাও অনেক জায়গায় শুনলাম। ফেসবুক খূললে দেখা যায় একদল মানুষ প্রতিদিন লকডাউন সেলিব্রেট করছে নিত্য নতুন রান্নার আইটেমের ছবি দিয়ে। ত্রান নিয়ে যা চলছে তা নাহয় নাই বললাম।

অথচ বিদেশে হাজার হাজার মানুষের প্রান যাচ্ছে একদিকে আর মানবিকতার দৃৃষ্টান্তও স্থাপিত হচ্ছে আরেকদিকে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
এই দুর্যোগের সময়ে সবাই লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। যে যার মতো অমানুষের মতো আচরণ করা শুরু করেছে।
এই দেশে মানবিক আচরণ আশা করাও ভুল। দিন দিন মানুষ নৈতিকতা ভুলে জন্তু জানোয়ার হয়ে যাচ্ছে।
খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: দেশ খুব তাড়াতাড়ি রসাতলে যাবে। কারণ এটা ঠেকানো কেউ নেই।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। যারা ঠেকাতে পারতো এরাই বেশি রসাতলে গেছে।
ধন্যবাদ।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৭

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, এই পোষ্টের ব্যাপারে যদি আলোচনায় যাই তাতে এমন কিছু বিষয় অবতারনা হবে যা আমি চাইনা, সজ্ঞানে এড়িয়ে যেতে চাই।

শুধু এটুকুই বলি ন্যায় কে ন্যায় অন্যায় কে অন্যায় বলার সাহস যেদিন হারিয়ে ফেলছি সেদিন থেকেই আমার (অন্যদের ব্যাপার জানি না) নৈতিক অবক্ষয় শুরু হয়েছে।

শুভ কামনা।।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: এইদেশে মানুষের সব অধিকার বন্ধ করে দিয়ে দূর্নীতি আরো জোরেসোরে চলছে।
কেউ যেন অপকর্মগুলি প্রতিবাদ না করতে পারে সেইজন্যই এই ব্যবস্থা।
ভালো থাকুন ভাই।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৪

সোহানী বলেছেন: এ "অবক্ষয়" শব্দটি অনেক অনেক কিছুর সাথে জড়িত। একদিনে দেশের এ অবস্থায় দাড়াঁয়নি তেমনি একটা ট্যাবলেট গুলে খাওয়ালে ও এর থেকে রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। আমার অনেক লেখায় আমি তা বলেছি বা এ সমস্যা তুলে এনেছি।

কিন্তু তারচেয়েও ভয়াবহ কথা হলো আমরা কি এর সমাধানে কোন ভাবে এগিয়ে এসেছি বা কিছু করার চেস্টা করেছি?

উত্তর সহজ, না আমরা কিছুই করিনি বা করার কোন চেষ্টা করিনি। সেটা রাস্ট্রীয় পর্যায় হোক বা ব্যাক্তি পর্যায়ে হোক।

তাহলে কি হবে আমাদের?? তার উত্তরই আপনার উল্লেখিত ঘটনাপ্রবাহ। এর থেকে নিস্তার পেতে হলে অনেক কিছুর তিকেই হাত বাড়াতে হবে।

সময় থাকলে এটি পড়তে পারেন...
আসেন একটু কঠিন বিষয় নিয়া আলাপ আলোচনা করি.....

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০২

নীল আকাশ বলেছেন: কিন্তু তারচেয়েও ভয়াবহ কথা হলো আমরা কি এর সমাধানে কোন ভাবে এগিয়ে এসেছি বা কিছু করার চেস্টা করেছি?
উত্তর সহজ, না আমরা কিছুই করিনি বা করার কোন চেষ্টা করিনি। সেটা রাস্ট্রীয় পর্যায় হোক বা ব্যাক্তি পর্যায়ে হোক।

এটাই হলো আসল কথা। যত দিন গেছে অধ:পতন ততই বেড়ে গেছে। আগে ব্যক্তি পর্যায়ে হতো এখন রাস্ট্রীয় পর্যায় সমর্থন পাচ্ছে এবং রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে করা হচ্ছে, এটাই শুধু উন্নতি হয়েছে দেশের।
আপনার লেখা আগেই পড়েছিলাম, আবার যেয়ে পড়ে এসেছি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর আপনার পোস্টটি সবার জন্যই চিন্তার খোরাক যোগাবে | প্রতিটি শিশুকে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা অভিবাবকের জন্য ফরজ যদি এই জাতিকে চরম অধঃপতন থেকে রক্ষা করতে হয় | আপনার সাথে এই বিষয়ে আমি একমত |

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে অবিভাবকদের কাছ থেকে আপনি তার সন্তানদের নৈতিক বা সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান আশা করছেন সেই অবিভাবক শ্রেণী নিজেরা কতটুকু সৎ এবং নীতিবান ? বাংলাদেশের জনগণের এক বিশাল অংশ সময়ের সাথে সাথে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে চরম অর্থ ও ক্ষমতা লিপ্সু, স্বার্থপর, এবং হিংস্র হয়ে পড়ছে | এই সকল ইহলৌকিক লাভলোকসানের বিষয়ে সকল রসুনের গোড়াই এক ও অদ্বিতীয়|

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড যে জাতির বৈশিষ্ট সেই জাতির কাছ থেকে এর চাইতে বেশি কিছু আশা করা বোকামি | এরা এক দিকে চরম ধার্মিকতার লেবাসে মাতম তুলে আর অন্য দিকে যত রকম অসৎ কর্ম আছে করে বেড়ায় | রিলিফ চুরি, খাদ্য, ঔষধ এমনকি করোনার মাস্ক পর্যন্ত ভেজাল | আশেপাশের ছোট দেশ নেপাল, ভুটান বা যুদ্ধবিদ্ধস্ত শ্রীলংকার দিকে তাকান - সেখানে কোনো খাবার কিনতে গেলে অন্তত আপনাকে কখনোই চিন্তা করতে হয় না যে খাবারে ভেজাল দেয়া আছে | আর বাংলাদেশে এই চরম ধার্মিক জাতি রমজানে খাদ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে কিপরিমান সংযমের নজির প্রদর্শন করে তা সবাই অবগত আছেন |

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে অবিভাবকদের কাছ থেকে আপনি তার সন্তানদের নৈতিক বা সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান আশা করছেন সেই অবিভাবক শ্রেণী নিজেরা কতটুকু সৎ এবং নীতিবান ? বাংলাদেশের জনগণের এক বিশাল অংশ সময়ের সাথে সাথে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে চরম অর্থ ও ক্ষমতা লিপ্সু, স্বার্থপর, এবং হিংস্র হয়ে পড়ছে | এই সকল ইহলৌকিক লাভলোকসানের বিষয়ে সকল রসুনের গোড়াই এক ও অদ্বিতীয়|
আপনি যা যা বলেছেন তার প্রতিটা শব্দের সাথে আমি একমত। দিনের পর দিন লুটপাত দূর্নীতি আর অসাধু কাজ কর্ম করে করে সারা দেশের মানুষ এখন পশুর চেয়ে খারাপ হয়ে গেছে। দেশ থেকে নৈতিকতা অনেক আগেই উঠে গেছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভয়ংকর অপরাধও হাসিমুখে মাফ করে দেয়া হয় সেখানে আর ভাল কিছু আশা কিভাবে আশা করা যায়, বলুন? লুটপাট এখন একা নয় দলবেঁধেই করা হয়। তেলের খনি চালের খনি এখন বাসার মেঝে খুড়লেই পাওয়া যাচ্ছে। ভিআইপি পুত্ররা তাদের বাবাদের ইন্ধনে নকল এন-৯৫ এর ব্যবসা করলেন, এতে কত ডাক্তার, পেশাজীবী মারা যাবেন, এটা মেনে তুচ্ছ অপরাধ!! এটা প্রকাশ্যে এলেও কারো কোন শাস্তি হল না, কেন হলো না বলুন? এটা কী মারাত্মক অপরাধ নয়?

শুনলাম এখন দেশে ভিআইপিদের জন্য ভেন্টিলেটর ও সব সুবিধা সহ নতুন হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। দেশে এখন রুলস একটাই। টাকা পয়সা আছে, বেঁচে যাবেন। না থাকলে ফুটুস হয়ে যাবেন। দেশে নাগরিক সুবিধা বলে কিছু নেই এখন।

এখন মনে হয় এইদেশে জন্ম গ্রহণ করাটাই বড় পাপ!

অসম্ভব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন ভাই।

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নৈতিক অবক্ষয় যখন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয় তখন একে থামানো কঠিন হয়ে পরে। তবে ধর্ম, শুদ্ধ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আবহ, খেলাধুলার প্রতি অনুরাগ ইত্যাদি এই অবক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। ।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাইরে,
নৈতিক অবক্ষয় কখনই এত বিস্তার পেতো না যদি না রাষ্ট্রীয় মদদ পেতো? রাজনৈতিক মদদ পেয়ে দূর্নীতি করা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতো? গোটা রাষ্ট্রের সব সরকারী প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই।
দেশের অবক্ষয় কারা কমাবে? এইসব সরকারী প্রতিষ্ঠান? সরকার? এরাই তো বড় নৈতিকতাহীন।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় নীল আকাশ ভাই ,

ভালো লিখেছেন। অবক্ষয়তায় আমরা একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। ন্যূনতম ন্যায় নৈতিকতা আমাদের আর অবশিষ্ট নেই। এক ভয়ঙ্কর সামাজিক অবক্ষয় আজ আমাদেরকে গ্রাস করেছে। অন্যায়কারী তার কৃতকর্মের পিছনে যুক্তি উপস্থাপন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে বিজয় মাল্যে ভূষিত হচ্ছে।
নৈতিকতা শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছে।

পোস্টে লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
সর্ষের ভিতরেই এখন সবচেয়ে বেশি ভুত। কাকে দিয়ে ভুত ছাড়াবেন এখন?
যত দূর্নীতি হচ্ছে সব জনপ্রতিনিধিরাই করছে। এদের সাঙ্গপাঙ্গরা করছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় করছে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই এখন লুটপাট হচ্ছে।
সারা দেশের মানুষ না খেতে পেরে অনাহারে আছে অথচ দিনের পর দিন জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ইচ্ছে মতো লুটপাট করছে। এই দেশ আসলেই তলাবিহীন ঝুড়ি। এরা সব চোরের বংশ।
আশার বাণী কোথায় পাবেন আপনি?
নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা রইলো।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । কিছু মানুষ এখন এতটা নিচ পর্যায়ে চলে গেছে এরা পশুর চেয়েও অধম এবং নিম্নতর স্তরবিহীন। ভালো বীজই যদি না লাগানো হয় তাহলে ভালো ফসল আসবে কিভাবে? ----একদম খাঁটি কথা। আরেকটি কথা কি
ভাই এই দেশে তো কোন কিছুর কঠোর আইন ও বিচার নাই ।

অ,ট : শবনম বইটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে । আপনাকে বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা শবনম সিরিজটা প্রথম ব্লগে পড়ছিলাম তখনই মনে ধরেছিল গল্পটি। অনেকটা এরকম বাস্তব ঘটনা ঘটেছে আজ থেকে ৬/৭ বছর আগে আমার এক পরিচিতির। ওই মেয়েটা ডিভোর্সের প্রায় দু'বছর পর আবার বিয়ে হয় এবং সেই ছেলেটা ওর পূর্ব পরিচিত ও অবিবাহিত ছিলো । আপনাকে সত্যি কথা বলতে কি, শবনম গল্পটি মোটেও কাল্পনিক হয়নি একদম বাস্তবিক এবং প্রশংসার যোগ্য তাছাড়া প্রচ্ছদটাও চমৎকার হয়েছে ।আশাকরি ভাইয়ের কাছ থেকে আগামীতে আরও বই পাবো ইনশাআল্লাহ ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
খুব ত্যক্ত এবং বিরক্ত হয়ে এই লেখাটা লিখেছি। মানুষ যত দিন যাচ্ছে তত অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। আছা বলুন তো নিজের মাকে কিভাবে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে? এটা কী মানুষের পক্ষে সম্ভব?
আইন করে লাভ কী? নৈতিক অবক্ষয় কখনই এত বিস্তার পেতো না যদি না রাষ্ট্রীয় মদদ পেতো। রাজনৈতিক মদদ পেয়ে দূর্নীতি করা এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। গোটা রাষ্ট্রের সব সরকারী প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই।

শবনম নিয়ে খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। কৃতজ্ঞতা রইলো আপু।
ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

করুণাধারা বলেছেন: নৈতিকতার প্রথম পাঠ শুরু হয় পরিবার থেকে, ছোটবেলায় আমাদের সবার এই কবিতা মুখস্থ ছিল, "সকালে উঠিয়া...আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে, আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে..."

আজকাল বাবা ছেলেকে হাতে ধরে অসততা শেখাচ্ছেন। এইযে ভিআইপি পুত্ররা তাদের বাবাদের ইন্ধনে নকল এন-৯৫ এর ব্যবসা করলেন, এতে কত ডাক্তার, পেশাজীবী মারা যাবেন, এটা মেনে তুচ্ছ অপরাধ!! এটা প্রকাশ্যে এলেও কারো কোন শাস্তি হল না! আমি খুবই অবাক হয়েছি। অবশ্য অবাক হওয়া উচিত না, এটাই নিয়ম হয়ে গেছে। ইদানিং মনে হচ্ছে করোনা যেন অনেক মানুষের জন্য টাকা বানানোর উপলক্ষ্য হয়ে এসেছে। কাফনে যে পকেট থাকে না এরা তা মনে রাখেন না।

পোস্টে লাইক।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফেরার জন্য লজ্জিত প্রিয় আপু।
আমি একটা নতুন গ্রুপ খুলেছি ফেবুতে 'শবনম সাহিত্য কেন্দ্র' নামে' । এটা গুছানো জন্য মহা ব্যস্ত ছিলাম এই কয়দিন।

দেশ থেকে নৈতিকতা অনেক আগেই উঠে গেছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভয়ংকর অপরাধও হাসিমুখে মাফ করে দেয়া হয় সেখানে আর ভাল কিছু আশা করে লাভ নেই। লুটপাট এখন একা নয় দলবেঁধেই করা হয়।

শুনলাম এখন দেশে ভিয়াইপিদের জন্য ভেন্টিলেটর ও সব সুবিধা সহ নতুন হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। দেশে এখন রুলস একটাই। টাকা পয়সা আছে, বেঁচে যাবেন। না থাকেল ফুটুস হয়ে যাবেন। দেশে নাগরিক সুবিধা বলে কিছু নেই এখন।

কাফনে যে পকেট থাকে না এরা তা মনে রাখলেও সব পাপের হিসাব এদের একচুল পরিমান হলেও দিতে হবে।

খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.