নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
গল্পঃ মন দরজার ওপাশে
ড্রয়িংরুমে ঢুকে অবাক হলো রাহাত। অপরিচিত একটা যুবক বসে আছে ওর জন্য। যুবক অপরিচিত হলেও চেহারাটা খুব পরিচিত ওর কাছে। কারও ওকে বলে দিতে হলো না যুবকের পরিচয়। চেহারায় এতটা মিল থাকে কিভাবে? রাহাত'কে দেখেই যুবক উঠে দাঁড়ালো।
-আমার নাম সেহজাদ। সিলভিয়া আমার বড় বোন। I have a very sad news for you.
রাহাত যুবকের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলো আসলে sad news টা কী হতে পারে?
-সিলভিয়া কেমন আছে?
-She is no more. She died four days ago. We brought her dead body to Dhaka as per her last wish.
রাহাত মুহূর্তেই পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেল। একজন এত পরিচিত জলজ্যান্ত একটা মানুষ এভাবে একবারে চলে গেল? রাহাত কিছু জানলোই না! সিলভিয়ার সাথে বলা শেষ কথাগুলি হুট করেই আবার মনে পড়ে গেল ওর। রাগের মাথায় বেশি খারাপ ব্যবহার করেছিল ও। সিলভিয়া'ও কেন যেন খুব সফট ছিল সেইদিন। নাহলে এত সাহস পেত না ও...........
-আপুর ডেডবডি আমাদের বাসায় রাখা আছে। আপনি কী দেখতে চান?
রাহাত হঠাৎ মনের ভিতরে গভীর একটা শূন্যতা অনুভব করলো। সময় বড় নিষ্ঠুরভাবে সবকিছু উলটপালট করে দেয়। সিলভিয়ার বিরুদ্ধে ওর অনুযোগ অভিযোগ যতই থাকুক না কেন মৃত মানুষের প্রতি কোন ক্ষোভ রাখা উচিৎ নয়। পুরনো স্মৃতিরা ফিরে ফিরে এসে সবকিছুর হিসাব চাইছে আজ ওর কাছে-
-ম্যাডাম, এটা কী সম্ভব যে আমি আপনার প্রেমে পড়েছি? কেন আপনি ডাকলে আমি এত অস্থির হয়ে উঠি, পাগলের মতো আপনার কাছে ছুটে আসি?
-can you define what is love? I think you are still confused.
সেহজাদ ওর সামনে এসে দাঁড়ালে রাহাত আবার বাস্তবে ফিরে আসলো-
-আপনি ইচ্ছে করলে আমার সাথে যেতে পারেন আপু'কে শেষ একবার দেখার জন্য। আপু এটা চেয়েছিল। আপনি কী যেতে চান?
কেন যেন সিলভিয়া'কে শেষবারের মতো দেখতে রাহাতের খুব ইচ্ছে হলো-
-হ্যাঁ, আমি আপনার যেতে চাই, চলুন।
সারা রাস্তাই রাহাত নিঃস্তব্ধতার গহীনে ডুবে রইলো। একটু পর পরই রাহাতের মানসপটে সিলভিয়া'কে নিয়ে ওর দারুন সব স্মৃতিগুলি ভেসে উঠছে। মানুষ চলে যায় কিন্তু স্মৃতিগুলি অম্লান হয়ে হৃদয়ে থেকে যায়। কেউ খুব কাছে থাকলে তার অভাবের হাহাকার বুঝা যায় না, দূরে গেলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
রাহাতের সামনে যখন সিলভিয়া’র ডেড বডীর মুখের কাপড় যখন সরিয়ে দেয়া হলো, ও আর সহ্য করতে পারলো না…….
নিঃস্তব্ধ নির্বাক হয়ে রাহাত ওর চোখের সামনেই তিনঘন্টা পরে সিলভিয়া'কে ওদের বাসার পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শুইয়ে দিতে দেখল।
সেহজাদ রাহাত'কে সিলভিয়া'র সেই অতি পরিচিত রুমে নিয়ে আসলো। রাহাতের কত স্মৃতি এই রুমের সাথে জড়িয়ে আছে। রুমে ঢুকার সাথে সাথেই রাহাত আবার আবেগতাড়িত হয়ে পরলো। কিছুক্ষণ পর যখন রাহাত আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে সেহজাদ ওর দিকে তাকিয়ে বললো-
-আপু আপনার জন্য একটা প্যাকেট রেখে গেছেন। ভিতরে কী আছে আমি জানি না। মৃত্যুর আগে সবাই'কে বলে গেছেন এই প্যাকেট যেন শুধু আপনিই খুলেন।
সেহজাদ মাঝারি সাইজের একটা প্যাকেট রাহাতের হাতে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল। প্যাকেট হাতে নিয়েই রাহাত মুহূর্তেই হারিয়ে গেল ফেলে আসা পুরানো সব স্মৃতিগুলিতে……..
এক
শাহেদ রাহাতের স্কুলফ্রেণ্ড। শাহেদের কাছেই প্রথম রাহাত সিলভিয়ার ম্যাডামের কথা শুনে। শাহেদ কেবলই এখানে দুইমাস হলো চাকুরীতে ঢুকেছে। রাহাত সদ্যই লেখাপড়া শেষ করে এখন বেকার। সাহস করে একদিন একটা সিভি নিয়ে সিলভিয়া'র সাথে দেখা করতে গেল চাকুরীর জন্য। শাহেদই অফিসের ভিতরে ঢুকার ব্যবস্থা করে দিলো। সিভি হাতে নিয়ে যখন এমডি'র রুমে ঢুকলো ও, নাজিভা বুশরা সিলভিয়া তখন মোবাইলে fluently ইংরেজিতে কথা বলে যাচ্ছে। এই মহিলার জন্ম এখানে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠা এবং লেখাপড়া ইউকে’তে। আচার আচরণও নাকি এখানে এসে খুব একটা পাল্টায় নি। হুট করে বাবা মারা যাওয়ায় দেশে এসে পারিবারিক গার্মেন্টস এবং বায়িং হাউজ বিশাল একটা বিজনেসের হাল ধরেছে।
-Sit down Rahat. আপনার কথা শাহেদ বলেছে আমাকে কিছুক্ষণ আগেই।
রাহাত সিভি'টা এগিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়েই রইলো। হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ আগ্রহ নিয়েই সেটা পড়লো ম্যাডাম।
-Why was your result so poor? This is first time I am seeing a third class certificate holder.
পারিবারিক অস্বচ্ছলতার জন্য সারাবছরই অনেক টিউশনি করে বেড়াতো রাহাত। অল্পবয়সে টাকার চিন্তা মাথায় ঢুকলে আর যাই হোক, কোন ছাত্রের ঠিকমতো পড়াশুনা হয় না। কিন্তু এটা ইন্টারভিউয়ের সময় কী বলা যায়?
-আপনাকে আমার অফিসে এইমুহূর্তে কোন চাকুরী দেয়া সম্ভব হবে না। সিভি থাক। দরকার পরলে পরে ডাকা হবে।
রুম থেকে বের হয়ে আসার সময় রাহাত নিশ্চিত হয়ে গেল অরণ্যে বৃথা রোদন করে এই ম্যাডামের সাথে কোন লাভ হবে না।
কয়েকদিন পরে নিরুপায় হয়ে শাহেদ’কে আবার যেয়ে ধরলো রাহাত। দশদিন পরে রাহাত'কে ম্যাডাম ডেকে উনার বাসায় ফ্যামিলি প্রোপার্টি দেখেশুনে রাখার জন্য একটা চাকুরী অফার করলে রাহাত বেশ হতাশ হলো। এটা কোন চাকুরী হলো? কিছুটা অনুযোগ করতেই-
-I heard everything about you from Shahed. এই চাকুরীটা আমি নিতান্তই দয়া করে তোমাকে দিয়েছি। Do you know how many boys are un-employed right now in this country?
-বেতন কত পাওয়া যাবে?
-That will be solely depends on your performance.
ম্যাডাম আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে রাহাত অফিসের রুম থেকে বের হয়ে আসলো। এই দেশে বেকারদের কেউ পাত্তাও দেয় না। বাড়তি সময় নিয়ে কেউ কথাও বলতে চায় না। বেকারত্ব একটা মহাপাপ!
দুই
একমাস পরেই ম্যাডাম রাহাতের পারিবারিক অবস্থার কথা শুনে নতুন একটা চাকুরীর প্রস্তাব দিলো। ম্যাডাম আগ্রহ নিয়েই ওর কাছে বাংলা শিখতে চাইছে। বেতনও ভালো দেবে। এখন এটাই ওর নতুন চাকুরী। আগেরটা বাদ।
বাংলার ছাত্র হিসেবে কাজটা খুব সহজ রাহাতের জন্য এবং সিলভিয়াও খুব মনোযোগী ছাত্রী। প্রথমদিকে সপ্তাহে পাঁচদিন টানা বাংলা পড়ানো শুরু করলো রাহাত। ছোটবেলায় ম্যাডাম বাংলা কিছুটা শিখেছিল, তবে ইউক’তে যাবার পর আর তেমন সুযোগ পায়নি।
সাতাশদিন পরে-
-এর পরেরবার আসার সময় ভালো দেখে একটা বাংলায় লেখা একটা poetry বই আর একটা novel নিয়ে আসবে। Be careful, if I don't like them, you will be in deep shit!
রাহাত শেষ কথাটার অর্থ ভালোভাবে যে বুঝতে পারেনি, সেটা সিলভিয়া ওর চেহারা দেখেই বুঝে ফেললো। এই ছেলের ইংরেজি জ্ঞানের অবস্থা একেবারেই নিন্মমানের। সিলভিয়া’র fluent ‘British Accent’ বুঝতে রাহাতের খুব বেগ পেতে হয়। এরপরই সিলভিয়া ওকে ব্রিটিশ কাউন্সিলে নিজের খরচে ইংরেজি শিখতে পাঠালো। রাহাত এই সুযোগ পেয়ে অবাক! একদিন কারণ জিজ্ঞেস করতেই-
-Come on Rahat, this is a pure investment. How can you communicate if you don't understand what I am saying?
কিছুদিন পরে রাহাত আরও বেশি অবাক হলো, যখন ওকে কমপ্লিট মেডিক্যাল চেক-আপ করতে পাঠানো হলো। সব খরচ সিলভিয়া দেবে। এই মহিলার কর্মকান্ড বড়ই অদ্ভুত। কখন কী করবে তার কোন ঠিক নেই। তবে একটা জিনিস রাহাতের খুব ভালো লাগে যে, ওর আর টাকা পয়সা চাইতেও হয় না। প্রায় সেশনেই ওকে বেশ ভালো পেমেন্ট করে। ওর হাতখরচও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। ভালো পোষাক আর ফিটফাট হয়ে না গেলে সিলভিয়া ননস্টপ টীজ করতে থাকে ওকে ক্ষেপানোর জন্য।
তিন
আরও একমাস পরে-
সিলভিয়া'কে আজকে দেখে রাহাত রীতিমতো চমকে উঠলো। এই প্রথম সিলভিয়া শাড়ি পরে এসেছে ওর সামনে, টাঙ্গাইলের সূতী শাড়ি, ক্রীম কালারের। শাড়ি এবং রং দুইটাই রাহাতের খুব পছন্দ হয়ে গেল। রং মিলে যাওয়া অবশ্যই কাকতলীয় ব্যাপার। সিলভিয়া'কে কী এটা বলেছে ও? মনে পড়ছেনা তো?
-আজকে রাহাত তুমি আমাকে কবিতা আবৃত্তি করা শিখাবে, ঠিক আছে?
কিসের কবিতা আবৃত্তি? রাহাত মুগ্ধ হয়ে একদৃষ্টিতে সিলভিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যাডাম’কে শাড়িতে এতই সুন্দরী লাগছে যে ওর বুকের ভিতরে সুনামী শুরু হয়ে গেল। আচ্ছা এই ম্যাডাম এত সুন্দর কেন? আর সব সুন্দরী ম্যাডামরা কেন যে ধরা-ছোঁয়া-স্পর্শের বাইরেই থাকে? শুধু দেখে আর কথা বলে কী মন ভরে?
-রাহাত, আমি কী তোমার গার্লফ্রেন্ড যে এভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছো? ছেলেরাও তো নিজের গার্লফ্রেন্ড’কে এভাবে হা করে তাকিয়ে দেখে না।
ইচ্ছে করেই এভাবে ওকে ভয়ংকর সব টীজ করে সিলভিয়া। তবে আজকে লজ্জা শরমের মাথা খেয়েই রাহাত সিলভিয়া’র উপর থেকে চোখ সরালো না।
-আপনি যে শাড়ি পরতে পারেন আগে জানতাম না।
-তুমি আমার সর্ম্পকে কোনকিছুই জানো না। শুধু আসো আর যাও। আজকে থেকে ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবে। ভালো করে দেখে বলো আমাকে শাড়িতে কেমন লাগছে? অনেকদিন পরে শাড়ি পড়লাম।
সিলভিয়া ম্যাগি হাতার ব্লাউজের সাথে দুইহাতের বাহুতেই অপূর্ব সুন্দর একজোড়া রূপার বাজুবন্ধ পরেছে। রাহাত শত চেষ্টা করেও সেই বাজুবন্ধগুলির উপর থেকে চোখ সরাতে পারলো না। সিলভিয়া সোফা থেকে উঠে রাহাতের সামনে হাঁটাহাঁটি করতে শুরু করলো।
-শাড়ি খুব ভয়ংকর ড্রেস। আমার এটা পরে হাঁটতে খুব ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে যেকোন সময়ে পা শাড়িতে আটকে আমি পরে যাবো।
হঠাৎ রাহাতের মনে হলো সিলভিয়া সত্য সত্যই পায়ে শাড়ি আটকে পরে যাচ্ছে। দৌড়ে যেয়ে ও সিলভিয়া’কে ধরলো। সিলভিয়ার শরীরের হঠাৎ স্পর্শ রাহাতের সারাদেহে মাদকতার এক অদ্ভুত শিহরণের স্রোত বইয়ে দিলো। রাহাত যতটা না আঁকড়ে ধরলো সিলভিয়া'কে, তারচেয়ে অনেক বেশি জোরে রাহাত'কে জড়িয়ে ধরলো সিলভিয়া। এর আগে কখনও কোন মেয়ে রাহাত’কে জড়িয়ে ধরেনি। এত কাছে সিলভিয়া'র ডীপ ক্রীম কালারের লিপস্টিক দেয়া ঠোঁট জোড়া দেখে রাহাত আশেপাশের সবকিছু বেমালুম ভুলে গেল। সুতীব্র তৃষ্ণায় আর আবেগের শিহরণে কেঁপে উঠে রাহাত পাগলের মতো জড়িয়ে ধরলো সিলভিয়া'কে। সিলভিয়া'র শরীর ওর শরীরের সাথে মিলিয়ে ফেলতে চাইলো।
সিলভিয়া একটা শব্দও করলো না। বড় বড় চোখে রাহাতের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সহসাই নিজের ঠোঁট নামিয়ে আনলো রাহাতের ঠোঁটে।
একঘন্টা পরে-
-রাহাত, তুমি এভাবে মাথা নীচু করে আর কতক্ষণ বসে থাকবে?
-ম্যাডাম, আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারিনি দেখে খুবই লজ্জিত। প্লীজ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আর কখনই আমি এই কান্ড ঘটাবো না। প্লীজ আমাকে চাকুরী থেকে বাদ দিবেন না। এরপর থেকে আমি খুব ভদ্রছেলে হয়ে থাকবো।
সিলভিয়া রাহাতের দিকেই তাকিয়ে ছিল। রাহাতের এই করুণ আর্তনাদগুলি শুনে হাসতে হাসতে ভেঙ্গে পরলো সিলভিয়া। টানা একমিনিট ধরে হাসা শেষ করে রাহাতের দিকে তাকিয়ে সকৌতুক স্বরে বললো-
You are not an angel, just a human being!
কথাগুলি অর্থ বুঝার পর হতম্ভব হয়ে রাহাত সিলভিয়া'র দিকে তাকিয়ে আছে।
-You are so innocent! So cute and lovely! Are you virgin before this?
লজ্জায় রাহাত এখন আর সিলভিয়ার দিকে তাকাতেই পারলো না।
রাহাতের হতম্ভব ভাব এখনও কাটেনি। রাহাতের অবস্থা দেখে সিলভিয়া বেশ মজা পেলো। কেমন যেন একটা অপ্রস্তুত দৃষ্টিতে মেঝের দিকে আছে এখনও।
-রাহাত, আমার দিকে তাকাও? লজ্জা পাচ্ছো নাকি আমার দিকে তাকাতে?
রাহাত মুখ তুলে সিলভিয়ার দিকে তাকালো। ওর জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছে কিছুক্ষণ আগেই। এর রেশ ওর ভিতরে এখনও রয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে ম্যাডামের খুব কাছে যেয়ে উনাকে জড়িয়ে ধরে থাকতে। এত ভয় কিসের? লাজ শরম হারানোর বাকি আছে কিছু? রাহাত আস্তে করে বিছানায় শুয়ে থাকা সিলভিয়া'র পাশে যেয়ে শুয়ে পরলো। জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতেই কঠোর কন্ঠস্বর শুনতে পেলো-
-Rahat, I told you repeatedly I am not your girlfriend. We are just friends. You always keep this relationship up to friendship, not beyond that.
-Now get up and go home.
রাহাতের হাত নিজের গা' থেকে সরিয়ে দিয়ে সিলভিয়া সোজা বাথরুমে চলে গেল। আর চরমতম অবাক হয়ে রাহাত বিছানা থেকে নেমে বাকি কাপড়গুলি পড়ে সেখান থেকে চলে আসলো।
চার
কিছুদিন পরেই ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে বসলো রাহাত। ও অবশ্যই সিলভিয়ার প্রেমে পড়েছে। কিন্তু সিলভিয়া’কে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার সাথে সাথেই ওকে মুখের উপরই না বলে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছে ও, কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে সেটাও না করে দিয়েছে। তারমানে রাহাতের সাথে আসলে সিলভিয়া কোন গ্রহণযোগ্য সর্ম্পক তৈরি করবে না।
এভাবে নিজেকে কারও খেলার পুতুল বানিয়ে রেখে নিজের সর্বনাশ করার কোন মানে হয় না। সিলভিয়ার ধারেকাছে ঘেঁষাও বিপদজনক। কিভাবে যেন ওর সব প্রতিরোধই ভেঙ্গে দেয়। মেয়েটা একবারেই বেপরোয়া টাইপের।
পনেরদিন পরে, হুট করেই কাউকে কিছু না জানিয়ে পুরোপুরি উধাও হয়ে গেল রাহাত।
তিনমাস পরে-
সকালবেলা নাস্তা খেয়ে কেবলই বাসা থেকে বাইরে বের হবে রাহাত, ঠিক এইসময়ে মোবাইলে ফোনকলটা এলো। আননোন নাম্বার। সিলভিয়ার সব নাম্বার ও ব্লক করে রেখেছিল।
-রাহাত, আমি সিলভিয়া বলছি। কেমন আছো তুমি?
-কেন ফোন করেছেন? আমি আপনাকে না বলেছি আমি আর আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছি না? আমাকে আমার মতো থাকতে দিন।
-আমি চাই তুমিও আমার সাথে ইউকে'তে চলো। আমাকে বলেছিলে তোমার বাইরে যাবার খুব শখ, আমার সাথে চলো। আমাকে আর ভালো না লাগলে ওখানে যেয়ে আমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। অন্তত তোমার বাইরে যাবার ব্যবস্থাটা তো হলো।
-এইসব লোভ দেখিয়ে কোন লাভ নেই। আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না। চাঁদে নিয়ে যেতে চাইলেও যাবো না।
-রাহাত, তুমি ছোটবাচ্চাদের মতো জিদ করছো। আমি যা যা বলছি সব তোমার ভালোর জন্য। একদিন সবকিছুই তুমি জানতে পারবে।
-আমার ভবিষ্যত নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না।
-রাহাত আমি তোমার পাসপোর্ট বানিয়েছি। তুমি ঢাকায় আসো। ইউকে এমব্যাসিতে তোমার ভিসার জন্য এপ্ল্যাই করা হয়েছে।
-এপ্ল্যাই করলেই আমাকে ভিসা দিয়ে দেবে? এত সোজা?
-রাহাত আমি ইউকে সিটিজেন। আমি তোমাকে আমার সাথেই নিয়ে যেতে পারবো স্পাউজ ভিসায়।
-আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না।
-পাগলামী করো না। মানুষ যা দেখে তা সব সত্য নয়, যা বুঝে তাও সব সত্য নয়। There are so many things you don’t know about me. আমি তোমাকে যথেষ্টই পছন্দ করি। আমি তোমার সব ভুল ভেঙ্গে দেবো। আমার সাথে অন্ততঃ একবার দেখা করো, প্লীজ। তোমাকে আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
-আমাকে খবরদার আপনি আর বিরক্ত করবেন না।
-রাহাত আমি তোমাকে বিরক্ত করছি? এটা তুমি আমাকে বলতে পারলে? কিভাবে পারলে?
এই কথার উত্তর না দিয়ে রাহাত ফোনকল কেটে দিয়ে নাম্বারটা ব্লক করে দিলো।
দশদিন পরে আবারও সিলভিয়া আরেকটা নাম্বার থেকে ফোন দিলে আরও বাজে ভাষায় অপমান করে লাইন কেটে দিলো রাহাত। পনেরদিন পরে শাহেদের কাছে খবর পেল সিলভিয়া ইউকে’তে চলে গেছে। ওকে আর কোন বিরক্ত না করে চুপচাপ সিলভিয়া চলে গেছে, এটা শোনার পর এই জীবনে প্রথমবারের মতো রাহাত এত খুশি হলো যে চোখে জল চলে আসলো। ও এখন স্বাধীন, মুক্ত। আর কেউ ওকে ব্যবহার করতে পারবে না……
পাঁচ
সহসাই বাস্তবে আবার ফিরে এলো রাহাত। হাতের উপর প্যাকেট'টা দেখে ত্রস্তহাতে দ্রুতই খুলে ফেললো রাহাত। কী রেখে গেছে ওর জন্য সিলভিয়া?
একটা বড় সাদা কাগজ, ভাঁজ করা। ভাঁজ খুলে রাহাত দেখে ওর জন্য একটা চিঠি, বাংলায় লেখা।
আমার প্রিয় রাহাত,
তুমি যখন এই চিঠিটা পড়ছো ততক্ষণে আমি তোমার কাছে থেকে অনেক, অনেক দূরে চলে গেছি।
রাহাত, আমি ছোটবেলা থেকেই লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। দেশে সুচিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই দেখে আমাকে ছোটবেলাতেই ইউকে'তে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই পৃথিবীতে সবশিশুরা বড় হয় অনেক বড় বড় স্বপ্ন নিয়ে আর আমি বড় হয়েছি আমার মৃত্যু ঠিক কবে হবে সেটা জেনে। জীবনের শেষ বছরটা কাটানোর জন্যই আমি দেশে ফিরে আসি। আর এসেই তোমার সাথে পরিচয় হয়। তুমি আমাকে সবসময়ই ভুল বুঝে এসেছো। কারণ আমি নিজেই সেটা চেয়েছি। আজ আর আমি কিছু লুকাবো না।
রাহাত, আমিও একটা মেয়ে। আমারও একটা মন আছে, সেই মনের একটা দরজাও আছে। কিন্তু সেই দরজা দিয়ে তুমি কখনও ওপাশে তোমার জন্য রেখেছি দেখনি! জোর করেও একবার দেখার চেষ্টা করো নি। আমি তোমার সাথে এত স্বল্পসময়ে কোন স্থায়ী সর্ম্পকে জড়াতে চাইনি, কারণ আমি জানি আমি কখন চলে যাবো। তুমি বারবার আমার কাছে আসতে চেয়েছ আর আমি নিষ্ঠুরভাবে তোমাকে শুধু দূরেই সরিয়ে দিয়েছি। আমি চাইনি আমার জন্য তোমার জীবনটাও নষ্ট হয়ে যাক।
রাহাত, এই পৃথিবীতে একেক জনের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ একেক রকম। আমি তোমাকে শুধু আমার নিজের ভাবতাম দেখেই এতটা স্বেচ্ছাচার করতাম আমার অধিকার থেকে। কখনও ভেবো না যে, আমি ভালোবাসতেও জানতাম না?
শুধু দেশ থেকে চলে আসার সময় মাত্র একবার তোমাকে পাবার জন্য খুব ইচ্ছে করছিল। আমার ইগোর সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে একান্ত অনুরোধ করেছিলাম। তুমি আমাকে যা ইচ্ছে তাই বলে অপমান করলে। আমি তো এইজীবনে ছোটবেলা থেকেই শুধু কষ্টই পেয়ে গেলাম। তবুও তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই।
আমার জীবনের সময় খুব দ্রুতই শেষ হয়ে আসছে রাহাত। হাস্পাতালের এই বেডেই আমার বাকি দিনগুলি কেটে যাবে। যখন প্রচন্ড কষ্ট হয়, যন্ত্রণা হয়, তখন আমি চোখ বন্ধ করে তোমার সাথে কাটানো দুর্দান্ত সেই আবেগে মাখামাখির একান্ত সময়গুলির কথা ভাবি।
আমার ছোট্ট এই জীবনে তুমি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছ। আর তাই একবারে চলে যাবার আগে তোমার জন্য একটা বিশেষ উপহার রেখে গেলাম। আমার জন্য তো ইউকে তে আসলে না, এবার কী না এসে পারবে, রাহাত?
ভালো থেকো রাহাত, সব সময়।
আমাকে ভুলে যেতে চাইছো? সেই সুযোগ আমি তোমাকে দেবো না রাহাত।
চির বিদায়।
রাহাত স্তব্ধ হয়ে গেল। না জেনে না বুঝে কত ভয়ংকর ভাবেই সিলভিয়া'কে শেষ দিকে অপমান করেছিল রাহাত!
রাহাতের হাত কাঁপছে এখন। কী উপহার রেখে গেছে ওর জন্য সিলভিয়া? নার্ভাস ভঙ্গিতে প্যাকেটের ভিতর থেকে আরেকটা কাগজ বের করলো রাহাত। একটা ফটোকপি। ইউকে গর্ভমেন্টের সীল আর লোগো দেয়া। একটা বার্থ সার্টিফিকেট। রাহাতের বুকে এখন কালবৈশাখী ঝড় বইছে। কাগজের নীচের দিকে পড়তে পড়তে নামলো ও।
Name: Rehnuma Rahat
Father's Name: Rahat Ahmed
Mother's Name: Nazibah Bushra Silviya
Date of Birth দেখে চমকে উঠলো রাহাত। বাংলাদেশে থেকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় চলে গিয়েছিল সিলভিয়া। সিলভিয়া পেটে রাহাতের বাচ্চা নিয়ে শেষ একবার ওর সাথে দেখা করতে চেয়েছিল, সেটাও মানা করে দিয়েছিল রাহাত। এত নিষ্ঠুরতম আচরণ করেছে ও, আর সিলভিয়া নিরবে সব সহ্য করে চলে গেছে শুধুই ওর ভালোর জন্য। মনে পড়ে গেল, সিলভিয়া ওকে বলেছিলঃ There are so many things you don’t know.
কক্সবাজারে যেয়ে খুব আবেগঘন অবস্থায় রাহাত সিলভিয়া'কে একবার বলেছিল, ওর একটা মেয়ের খুব শখ। আর মেয়ে হলে নাম রাখবে রেহনূমা রাহাত। সিলভিয়া সেটা ভুলে যায় নি। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার আগে রাহাত'কে শ্রেষ্ঠতম উপহারটাই দিয়ে গেছে। বাচ্চাটার বয়স মাত্র একমাসও হয়নি। মা নেই৷ বাবা থেকেও নেই।
নিজের উপর সুতীব্র ক্রোধে রাহাতের ইচ্ছে করছে পুরো পৃথিবী'কে টুকরো টুকরো করে ফেলতে। ফটোকপি কাগজটার উল্টোদিকে সিলভিয়া'র হাতে লেখা একটা লাইন-
রাহাত, কক্সবাজারে আমাদের গভীর ভালোবাসা'কে পূর্ণতা দিয়ে গেলাম।
(আমাকে ভুলে যেতে চাইছো? সেই সুযোগ আমি তোমাকে দেবো না রাহাত।)
হুট করেই নিজের উপর সব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললো রাহাত। চিৎকার করে উঠে হাতের কাগজ রেখে দিয়ে রাহাত পাগলের মতো দুইহাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে দেয়াল আঘাতের পর আঘাত করে হাত রক্তাক্ত করে ফেলতে লাগলো। রাহাতের চিৎকার শুনে সেহজাদ সহ আরও কয়েকজন এসে রাহাত'কে জোর করে দেয়ালের সামনে থেকে সরিয়ে দেবার সময় শুনতে পেল অস্ফুটস্বরে রাহাত বার বার বলে যাচ্ছে-
-সিলভিয়া, আমি ভুল করেছি। আমাকে মাপ করে দাও। আমি তোমাকে কখনই ভুলে যাবো না। আমি সারাজীবন ধরে একমাত্র শুধু তোমারই থেকে যাবো। শুধু আর একবার আমার কাছে ফিরে আসো। আর একবার আমাকে সু্যোগ দাও……..
পূনশ্চঃ তিনদিন পরে খুব সকালবেলা রাহাত'কে ইউ।কে এ্যামবেসির সামনে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসতে দেখা গেল।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
কপিরাইট @ নীল আকাশ, এপ্রিল ২০২০
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২১
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: নিদারুন করুন
ভাল লেগেছে
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়েছি। আসছি পরে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি আপনাকে যেটা পড়তে দিয়েছিলাম সেটা ছোট করে ফেলেছি।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭
শের শায়রী বলেছেন: প্রেমের গল্প খুব একটা পড়ি না, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বেশ লাগল। মারা যাবে জেনেও সিলভিয়া রাহাতের বাচ্চা নিয়ে এক ধরনের অন্যায় করছে আমার মতে।
পোষ্টে ভালো লাগা।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: সিলভিয়ার চিকিতসার জন্য ওকে ইউকে'তে ফিরে যেতেই হতো। আর রাহাত'কে তো ওর সাথে নিয়ে যাবার জন্যই রাহাতের ভিসার ব্যবস্থা করে রেখেছিল ও। একবারে চলে যাবার আগে রাহাত'কে সবকিছু খুলে বলার জন্য ডেকেছিল সিলভিয়া কিন্তু রাহাত সাড়া দেয়নি সেই ডাকে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার গল্প
২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ অপু ভাই।
প্রথম আমার ব্লগ বাড়িতে আসার জন্য সুস্বাগতম রইলো।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: মনোমুগ্ধকর গল্প।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই,
খুবই মর্মস্পর্শী একটি গল্প মন দরজার ওপাশে ।
দূরে গেলে অথবা মৃত্যু হলেই বোঝা যায় যে মানুষটা
কত আপন ছিলো। অনেক ধন্যবাদ অনেকদিন পর সুন্দর
একটি গল্প পড়লাম।
রমজানের রহমত সকলের উপর বর্ষিত হোক।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
গল্পটা অনেক বড় ছিল। ব্লগে দেবার জন্য কিছুটা ছোট করে দিয়েছি।
ব্লগে ইদানিং কম আসা হচ্ছে। ফেবুতে নিজের একটা সাহিত্য গ্রুপ খুলেছি। সেটা নিয়ে বেশ ব্যস্ত।
আমার নতুন লেখাগুলি এই গ্রুপেই আগে পোস্ট দেই। ফেবু ব্যবহার করলে 'শবনম সাহিত্য কেন্দ্র' নামে খুঁজে দেখতে পারেন।
মানুষ কতটা আপণ হয় সেটা মারা গেলেই বুঝে যায়। সেজন্যই বলে, গেও যোগী ভিখ পায় না!
আপনাকেও পবিত্র মাহে রমজানে শুভেচ্ছা রইলো।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্প চমৎকার হয়েছে কোন সন্দেহ নাই। তবে একটা জিনিস.......বৃটেনে বড় হওয়া একজনের পক্ষে প্রথম দেখায় রেজাল্ট নিয়ে এভাবে সরাসরি খোচা দেয়াটা বেমানান। এটা ঠিক বৃটিশ ম্যানারের সাথে যায় না। অবশ্য সিলভিয়ার জন্ম এ'দেশে.....এটা একটা ব্যাখ্যা হতে পারে!
আরেকটা ব্যক্তিগত অপছন্দের কথা বলি; ম্যাগি হাতা ব্লাউজ আমার দুই চোক্ষের বিষ!!! স্লীভলেস হলে তাও মেনে নেয়া যেতো!
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লতিফ ভাইয়ের কোন হদিস পেয়েছেন?
সিলভিয়ার জন্ম এইদেশে দেখেই কিছু রিয়াক্ট এইদেশের মতো দিয়েছি। এইদেশে লোকের আবার বৃটিশ ম্যানার? কত সিলহটি লোক দেখলাম বৃটিশ থেকে আসার পর!
হে হে ম্যাগি হাতা ব্লাউজ ইচ্ছে করেই দিয়েছি। খুল্লাম খুল্লার চাইতে কিছু ঢেকে রাখলে বেশি আকর্ষনীয় লাগে!
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৪
আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: গল্প টা ভালো লেগেছে ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানুষ ভুল করে কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ সবার জীবনে আসে না। রাহাত সাহেবের জীবন সন্তান নিয়ে সুন্দর ও ভালোবাসাময় হোক এই কামনা করছি। গল্পে +++
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: মানুষ ভুল করে কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ সবার জীবনে আসে না।
এটাই এই গল্পের মূল থীম।
মানুষ কত কিছু করে কিন্তু জানে না আসল সত্য কী?
খুব দারুন একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বড় ভাই।
পবিত্র মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ লেখা । ভালো থাকুন।