নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ প্রতিক্রিয়া ১ - সাদাত হোসাইনের "অর্ধবৃত্ত"

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৪



বইঃ অর্ধবৃত্ত
লেখার ধরণঃ উপন্যাস
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
প্রকাশনীঃ অন্যধারা
প্রচ্ছদঃ চারু পিন্টু
প্রকাশঃ একুশে বইমেলা ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৮৪
মলাট মূল্যঃ ৫৯০/-


এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে সবাইকেই আশেপাশের মানুষের সাথে সর্ম্পক গড়ে তুলতে হয়। সেই সর্ম্পকের অন্তরঙ্গতা এবং আবেগ একেকজনের সাথে একেক রকম হয়। সময়ের সাথে সাথে এই সর্ম্পকগুলির আনুসঙ্গিতাও বদলে যেতে থাকে। হুট করে কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বদলে যায় সর্ম্পকের দৃষ্টিভঙ্গি। কাছে মানুষ হয়ে যায় দূরের কেউ। এক সময়ে দূরে তাড়িয়ে দেয়া মানুষকেও নিজেই প্রয়োজনে হুট করে বুকে জোরেই টেনে নিতে হয়।

অর্ধবৃত্ত উপন্যাস মূলত বিভিন্ন সম্পর্কের গভীরতা, সংকট ও সমীকরণ মিলিয়ে দেয়ার গল্পের সমাহার। এই লেখার পুরোটা জুড়েই আছে একাধিক সর্ম্পকের টানাপোড়েন নিয়ে ঝড় ঝঞ্ছা এবং বিচ্ছেদ বিভেদ আর হাহাকারের বিভিন্ন রঙয়ের আস্তরন। উপন্যাসিক আদ্যোপান্ত চেষ্টা করেছে জীবনের বিভিন্ন নিস্তরঙ্গ সর্ম্পকের খুটিনাটি বিষয়গুলি ফুটিয়ে তুলতে।

কাহিনীঃ
পুরো উপন্যাস ঘিরে রয়েছে একটা মাত্র যৌথ পরিবারের সংসার নিয়ে। এই সংসারে আছে নানাবিধ মানুষ, প্রত্যেকেরই রয়েছে মতামত, মতের ভিন্নতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি। সম্পর্কগুলি বিশ্লেষণ করার চেষ্টাও করা হয়েছে সেভাবেই। স্বার্থের প্রয়োজনে স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে পরপুরুষে জড়িয়ে পরে। আবার এই স্বার্থের প্রয়োজনেই চরম সংসার বিদ্বেষী মানুষ হুট করে বৌ নিয়ে এসে হাজির হয়। এখানে সবাই নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা মনে করে। কিন্তু আদতে সবাই নিজের স্বার্থের জন্যই সবকিছু করে বেড়ায়। উপন্যাসটা আমি লিখলে এই কবিতাটা অবশ্যই লেখার সাথে দিয়ে দিতাম।

কবিতা - স্বার্থের প্রয়োজনে (মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ)
স্বার্থের প্রয়োজনে-
সাদা হয় কালো, কালো হয় সাদা।
প্রয়োজন ফুরালে রংধনুর সাত রংও
মাঝে মাঝে ফ্যাকাসে মনে হয়।
যে ভালোবাসা শুধুই অন্যায় আবদার করে যায়,
টিকে থাকে সেটা শুধুই সুতার আগায়।
ফুঁ দিলেই উড়ে যায় যদি আবেগ,
সেটা অস্তিত্ব আসলে কোন কালেই ছিল না!

স্বার্থের প্রয়োজনে ভাঙ্গি আমরা অনায়েসে আড়ি,
স্বার্থ ফুরালেই স্বপ্নের ডানায় সুদূরে দেই পাড়ি।


আফজাল আহমেদ-মছিদা বেগমের এই যৌথ সংসারে আছে রাফি-মুনিয়া-জাফরের সম্পর্ক, সুমি-দিপুর সম্পর্ক, আশফাক-আফসানার সম্পর্ক, মুকিত-নাদিয়া-সফিকের সম্পর্ক। বাকি আরো কিছু অনুজ্জ্বল সর্ম্পক মূল কাহিনীর আশেপাশেই ঘুরাঘুরি করেছে।

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনিয়া আসলে একজন স্বার্থপর লোভী মহিলা যে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য নিজের স্বামীকে দূরে সরিয়ে দিয়ে প্রভাবশালী রফিক সাহেবের কাছে ধর্ণা দেয়, দীর্ঘদিন ধরে রফিক সাহেবকে শারীরিকভাবে সন্তুষ্ট করলেও একসময় বিরক্ত হয়ে নিজের প্রায় অর্ধেক বয়সের একটা ছেলে রাফি যে কিনা নিজের মেয়ের বান্ধবীর বড় ভাই, তার সাথে অবৈধ সর্ম্পক গড়ে তোলে নিজের স্বামী জাফর’কে দিনের পর দিন ঠকিয়ে। পুরো লেখার মধ্যেই মুনিয়ার একের পর এক এইসব অবৈধ রগরগে সর্ম্পকের সপক্ষে বিভিন্ন সাফাই দেখতে পাওয়া যায়। খামখেয়ালি বা বাউন্ডুলে রাফিকে আসলে মুনিয়া নিজের সুবিধামতন ব্যবহার করেছে, অসম একটা শারীরিক সর্ম্পকের সমীকরণে আটকে তাকে আটকে রেখেছে। আর তাই রাফির কাছে মুনিয়া এক নারীদেহ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। নিজের স্বার্থের জন্য একসময় মুনিয়া রফিক সাহেব’কে রাতের অন্ধকারে মেরে ফেলে। এই দৃশ্য দেখার কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে অল্পবয়স্ক রাফি। শেষ পর্যন্ত রাফি খুনের দায় নিজের মাথায় নিয়ে ফাঁসির আসামী হয়।

চরিত্র চিত্রায়নঃ

এই উপন্যাস কিছুটা ধীর গতির পাঠকদের জন্য যারা সংবেদনশীল এবং লাইন বাই লাইন মনোযোগ দিয়ে পড়ে যায় তাদের জন্য। সময় স্বল্পতা নিয়ে বা তাড়াহুড়া করে পড়লে এই উপন্যাসের আসল স্বাদ যে কেউ মিস করবে নিশ্চিত। আমার পুরো বই শেষ করতে প্রায় বারদিনের মতো সময় লেগেছে।

অনেকগুলি চরিত্র নিয়ে উপন্যাসটা ঘুরপাক খেয়েছে। মূল চরিত্র মুনিয়ার সংসার জীবন, পরকীয়া জীবনের নোংরামীর সাথে আশেপাশের সবার জীবনের টুকরো টুকরো খণ্ডচিত্র লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।

মানবীয় অনুভূতির ব্যাপারগুলি বোঝাতে যেয়ে অনেক কিছু অসাধারণভাবে লিখছেন যা সাধারণ পাঠকদের জন্য কিছুটা বিরক্তকর হয়ে উঠতে পারে। বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই দীর্ঘময়তার জন্য লেখা স্কেপ করে পড়েছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। কিন্তু এই লেখাগুলিই মনোযোগ দিয়ে পড়লে যেকোন পাঠকের হৃদয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়বে।

অল্পবয়সী চরিত্র হিসেবে ঋদ্ধিকে দুর্দান্ত ভাবে উনি ফুটিয়ে তুলেছেন। বাহাবা দিচ্ছি উনাকে এই চরিত্রের জন্য।

মানব চরিত্র নিয়ে কাজ করতে যেয়ে বেশিরভাগ সময় চরিত্রগুলির অন্ধকার দিকগুলিই তুলে আনা হয়েছে। দিপু আর সুমির পরিণতিটাও খুব ভয়াবহভাবে দাগ কেটে যায় মনে। তবে দুর্বল চরিত্র শফিক’কে হুট করেই এতটাই শক্তিশালী বানিয়ে নাদিয়ার জীবনের ভয়ংকর কালো অধ্যায়ের পর নিয়ে আসাটা আমার কাছে দৃষ্টি কটূ লেগেছে।

নাদিয়া নাবিলা মা হাফসা’কে অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার অধিকারী দেখানো হয়েছে যে অগ্রীম অনেককিছুই টের পেয়ে যায়, যেটা কিছুটা অস্বাভাবিক লেগেছে। অসুস্থ হয়ে বাসায় বিছানায় দিনের পর দিন কেউ শুয়ে থাকলেই অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায় না। নাদিয়ার বাবাকেও দুর্বল চরিত্র বানাতে যেয়ে খুব বেশি দুর্বল বানিয়ে দেয়া হয়েছে। আশফাক সাহেব নিজের এত বড় একটা মেয়েকে নিজের কাছে এনে হুট করে নাদিয়ার একদম অপরিচিত একজনের কাছে রেখে চলে যাবে ব্যাপারটা লেখাকে কিছুটা হাল্কা করে ফেলেছে।

মছিদা বেগম এবং আফজাল সাহবের চরিত্র চিত্রায়ন সুন্দর লেগেছে। তবে মুকিতের নাদিয়ার জন্য ঢলাঢলি অতিরিক্ত লেগেছে। মেয়ে দেখতে এসে এতবেশি প্রেমে পড়ে যাওয়া আবার গভীর প্রেম থেকে নাদিয়ার বিপদে পালিয়ে যাওয়া পাঠকের ভালো নাও লাগতে পারে।

সুমি এবং তার বাবা আজিজ মাস্টার এর চিত্রায়ন বেশ ভালো লেগেছে।

তবে মুকিতের সাথে জাহানারা শেষের দিকে তর্কাতর্কি এবং মুকিতের মুখে থুথু দেয়াটা কিছুটা অস্বাভাবিক।

এই উপন্যাসের প্রথম থেকে ৩৩০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত যেই লয়ে এবং গতিতে লেখা হয়েছে, তারপর থেকে কেন যেন খুব তাড়াহুড়া করা হয়েছে। সমীকরণ মেলানোর জন্যই, না পৃষ্ঠার সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য সেটা লেখকই বলতে পারবেন। তবে শেষ দিকের এত তাড়াহুড়া লেখাটাকে কিছুটা হালকা করে দিয়েছে। বিশেষ করে যেই মুনিয়া’কে লেখক এত আর্দশবাদী নারী হিসেবে দেখিয়ে এসেছে, হুট করে তার চারিত্রিক নোংরামীগুলি নিয়ে এসে কাহিনী মিলিয়ে দেয়া কেমন যেন লাগে। একজন স্বার্থপর নারী যে নিজের প্রয়োজনে স্বামীকে ঠকিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে দেহ বিলি করে বেড়ায় তাকে প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই আর্দশবাদী নারী হিসেবে দেখানো আমার কাছে মোটেও পছন্দ হয় নি। পাশার দান পালটে যেতে পারে, তাই বলে পুরোপুরি উলটে যেতে পারে না।

কবিতার ব্যবহারঃ

অল্প কিছু অসাধারণ কবিতা উনি ব্যবহার করেছেন এই লেখায় যেটা আমাকে খুবই আকর্ষন করেছে। বিশেষ করে এই কবিতাটাঃ
“আমি একদিন নিখোঁজ হবো, উধাও হবো রাত প্রহরে,
সড়কবাতির আবছা আলোয়, খুঁজবে না কেউ এই শহরে।
ভাববে না কেউ, কাঁপবে না কেউ, কাঁদবে না কেউ একলা একা,
এই শহরের দেয়ালগুলোয়, প্রেমহীনতার গল্প লেখা।”

উপন্যাসের শুরুতেই আলাদা করে লেখা কবিতাটাও ভালো লেগেছে।

সমস্যা এবং যা যা ভালো লাগেনিঃ
লেখার সময় উনি একজন খুব পরিচিত একজন লেখক, হুমায়ুন আহমদের লেখার স্ট্যাইল ফলো করেছেন। চরিত্র চিত্রায়নের বেলাও একই কান্ড ঘটেছে। রাফি ‘হিমু’র চরিত্রের সাথে এবং নাদিয়া ‘মাতাল হাওয়া’র নাদিয়ার সাথে এতই মিল, এমন কী পরিণতির দিক থেকে দুটি চরিত্রের ভীষন মিল যা রীতিমত চোখে পড়ার মতো। বেশ খারাপ লেগেছে এই বিষয়। উনার মতো একজন নামকরা মৌলিক লেখকের কাছ এটা অবশ্যই আশা করা যায় না।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এই উপন্যাসের মা মুনিয়া মেয়ে ঋদ্ধির একজন ছেলেকে কাছে পাওয়া নিয়ে মা–মেয়ের টানাপোড়েন দেখা যায় সেটাও হুবুহু সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ‘কাছের মানুষ’ উপন্যাসের কেন যেন মিলে যায়।

আগ্রহী পাঠকদের হুমায়ুন আহমদের ‘মাতাল হাওয়া’ এবং সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ‘কাছের মানুষ’ পড়ার আমন্ত্রণ রেখে গেলাম। দুইটা বইয়ের কাহিনী একটা বইতে এনে মিলিয়ে দেয়ার এই তেলেশমাতি কাণ্ড কিভাবে ঘটলো বুঝলাম না।

কবিতার ব্যাপারেও নাকি উনি আগের বই ‘নির্বাসন’ এ ব্যবহার করা কবিতা এখানেও আবার চালিয়ে দিয়েছে। অনেকটাই এক টিকিটে দুইটা মুভি দেখানোর মতো। যদিও লেখার ভিতরে কবিতাগুলি পড়তে আমার ভালোই লেগেছে। অবশ্য আমি ‘অর্ধবৃত্ত’ পড়ালেও ‘নির্বাসন’ পড়িনি।

উনার কবিতা লেখার হাতও তো ভালো। নতুন বইয়ের জন্য কী নতুন কবিতা লিখে দেয়া যেত না?

পরিশেষঃ
একটা উপন্যাস’কে তুলনামূলকভাবে রেটিং জন্য নিন্মোক্ত পদ্ধতি আমি ব্যবহার করি-
* থীম / প্লট - ১
* কথোপকথন - ১
* চরিত্র বিন্যাস - ১
* ট্যুইষ্ট / পাঠকের আকর্ষন – ১
* লেখার মুন্সিয়ানা – ১

আমার দৃষ্টিতে এই বইয়ের জন্য মার্কিং হবেঃ
* থীম / প্লট - ০.৭৫
* কথোপকথন - ১
* চরিত্র বিন্যাস - ১
* ট্যুইষ্ট / পাঠকের আকর্ষন – ০.৫০
* লেখার মুন্সিয়ানা – ১
[* অন্য লেখার সাথে মিল থাকার জন্য এবং কিছু জায়গা অযথাই টেনে বড় করার জন্য]

এটাই আমার পড়া সাদাত হোসাইনের লেখা প্রথম উপন্যাস। বেশ ধৈর্য্য ধরে পড়লেও পড়তে খুব একটা খারাপ লাগেনি।

যেকোন ধীর স্থির পাঠকের এই বই পড়তে ভালই লাগবে।
তবে পৃষ্ঠা সংখ্যা আরো কমিয়ে আনা যেত ইচ্ছে করলেই এবং তাতে বইয়ের দামও কমে যেত।


উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগার সাহাদাত উদরাজী ভাইকে। সাদাত হোসাইনের উপর উনার একটা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতেই এই বইটা যোগাড় করে পড়া এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখা হয়েছে।

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুন ২০২০

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। বইটি পড়তে হবে।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় রাজীব ভাই।
বইটা পড়তে পারেন। মজাই পাবেন।

২| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে বাবা এত বেশ প্রফেশনাল কাটাছেড়া !
ভালো হয়েছে ; ব্লগে/ ফেসবুকে কিছু লেখা পড়েছি সা'দাত এর এখন ও কোন বই পড়া হয়ে উঠে নি।

শুভ কামনা।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
উনার লেখা নিয়ে সাহাদাত ভাইয়ের পোস্টে বেশ কিছু কথা এসেছে। তার প্রেক্ষিতেই এটা লেখা হয়েছে।
আমি সব সময় ফেয়ার থাকি লেখার ব্যাপারে। বইটা ভালো তবে মিলের ব্যাপারটা কেমন যেন লেগেছে আমার কাছে।
শুভ কামনা রইলো।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর রিভিউ
তোমার লেখা কবিতাও ভালো লেগেছে

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
আমার কবিতাটা ব্লগে আগেই প্রকাশিত কবিতা। ইচ্ছে করলে পুরো কবিতা পড়ে আসতে পারেন এখানে থেকে-
কবিতাঃ স্বার্থের প্রয়োজনে....

৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



একটি ব্যতিক্রমী বুক রিভিউ। কোন লেখক যখন অন্য লেখকের বই পড়ে রিভিউ করেন তখন এসব রিভিউ খুব মনযোগ দিয়ে পড়ি। সাদাত হোসেনের উপন্যাস পড়ে ভালো লাগার উপাদান যেমন পেয়েছি মন্দ লাগার উপাদানও তাতে ছিল। উপন্যাসের পৃষ্ঠা বাড়াতে গিয়ে উনি অনেক চরিত্রকে সামনে নিয়ে আসেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতো এতো চরিত্রের স্বার্থক পরিসমাপ্তি ঘটাতে হিমশিম খান। পরিণতিতে উপন্যাসের প্লট দূর্বল হয়। উনার ৫০০ পৃষ্ঠার একটি বইয়ে কমপক্ষে ২০০ পৃষ্ঠা পাঠকদের জোর করে পড়তে বাধ্য করেন। এতে একটা সময় পাঠক মনযোগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, কেউ কেউ উপন্যাসটি শেষ না করেই রেখে দেন। এছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠিত লেখকদের আইডিয়া, প্লট এবং টুইস্ট কপি করার প্রবণতা উনার মৌলিক সত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

গতবইমেলায় উনাকে জিগ্যেস করেছিলাম, "আপনার বিরুদ্ধে পাঠকমহলে একটি অভিযোগ আছে, আপনি উপন্যাসের প্লট সমৃদ্ধ না করে অযথা পৃষ্ঠা সংখা বাড়িয়ে যান। এতে পাঠকের মনযোগ নষ্ট হয়। কখনো কখনো আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।"

জবাবে তিনি জানান, "আমার বড় উপন্যাসগুলো এতো এতো কপি বিক্রি হয়, পাঠক লাইন ধরে কিনে আর আপনি বলছেন আমার লেখার প্লট সমৃদ্ধ নয়! তাহলে এতো হাজার কপি বই মানুষ কেন কিনে!" উনার এই বাণিজ্যিক উত্তর শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম। আসলে পাঠকের পকেট কাটাই আসল; প্লট, পৃষ্ঠা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। পাবলিক গিলছে এটাই সব।

ভালো থাকুন, জুনাইদ ভাই।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফিরে এলাম প্রিয় ভাই।
উনার লেখা আমি এই প্রথম পড়লাম। কিছু জিনিস পড়ার সময় চোখে আটকে যায়। বিশেষ করে হিমুর মতো একজন চরিত্র বানানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা।
এত বেশি চরিত্র নিয়ে উনি শুরু করেছিলেন দেখেই আমার আগ্রহ বেশি ছিল। কারণ একজন লেখক হিসেবে আমি জানি এই প্রতিটা চরিত্র উনাকে আবার ক্লোজ করতে হবে। কিভাবে এতগুলি করেন সেটা দেখার জন্যই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি।
জোড়াতালি দেয়ার যথেষ্ঠ প্রমাণ আছে। সুমি চরিত্র নিয়ে উনি কমপক্ষে ৩০ বা ৪০ পৃষ্ঠা লিখেছেন। কোথাও এই মেয়ের শ্বাস কষ্টের কথা আছে মনে হয়নি।।অথচ হুট করে একটা জায়গায় এই মেয়েকে শ্বাস কষ্ট দেখিয়ে মেরে ফেললেন। বাংলা সিনেমা স্ট্যাইলও বলতে পারেন।
অযথা মুনিরাকে নিয়ে ফাও প্যাচাল পেরে পেরে লেখার সাইজ বড় থেকে বড় করেছেন।

মাক্সিমাম এই বই ৭ ফর্মাতেই শেষ হয়। এখন বুঝুন তাহলে!
ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়া ভাল হয়েছে।

প্রথমেই যেহেতু বলেছেন এটা ধীরগতির তাই বুঝতে পারছি পাঠককে ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে পুরোটা। প্রতিক্রিয়ায় ভাল লাগায় মন্দ লাগা উঠে এসেছে।

আধুনিক যুগে বিশ্ব সাহিত্যে গল্প উপন্যাসের ধরন অনেক পাল্টেছে। আগের লেখকেরা গল্প এমনভাবে লেখতে দেখা যেত প্রথম ৪০/৪৫ পৃষ্ঠা লাগত শুধু কোন একটি সমস্যা দানা বাধতে, পাঠককে এতগুলো পৃষ্ঠা পড়তে হত পুরো গল্পে ডুবে যাবার জন্য। আমাদের দেশের লেখকেরা এখনো সেই ছকেই উপন্যাস লেখতে অভ্যস্ত। বিশ্ব সাহিত্য এখন অন্যদিকে, কোন বিদেশী লেখক, বিশেষ করে নতুন লেখক একটা উপন্যাস লিখে প্রকাশনীতে জমা দিলে, প্রকাশনী প্রথম ৫০০ শত ওয়ার্ড বা ১/২ পৃষ্ঠা পড়ে, এর মাঝে যদি ভাল লাগে তাহলে বাকিটা পড়বে নয়ত লেখককে জানিয়ে দিবে লেখা প্রকাশিত হবে না। তারমানে লেখককে প্রথম ১/২ পৃষ্ঠার মধ্যে গল্পে একটি শক্ত হুক তৈরি করতে হয় নয়ত সেটা অপ্রকাশিতই থেকে যায়।

মন্তব্যটা কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক, যেহেতু বললেন ধীর গতির তাই বুঝলাম না উপন্যাসে ডুবে যেতে ঠিক কতটুকু পড়তে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগ, পাঠকের চিন্তা চেতনা এবং রুচি-বোধ দেশ ভেদে কম পরিবর্তন হয়।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: দুর্দান্ত একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রথমেই।
একজন লেখক কিভাবে প্লট দাড়া করাবেন সেটা তার স্বাধীনতা। তবে অযথা টেনে টেনে পৃষ্ঠা বাড়ানো প্রবনতা একজন লেখক হিসেবে আমার কাছে পাঠকের সাথে প্রতারণার সামিল মনে হয়।

ধীর গতির মানে বুঝিয়েছি ৭ বা ৮ ফর্মার একটা লেখাকে যদি কেউ ২৪ ফর্মায় নিয়ে যায় তাহলে পড়তে যে অতিরিক্ত সময় লাগবে সেটা বুঝিয়েছি। ইচ্ছে করলে স্কেপিং করে পড়তে পারবেন অনেক জায়গাতেই।

আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম।

৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২১

ইসিয়াক বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ।
ভালো লাগলো।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: কাছের মানুষ এবং মাতাল হাওয়া পড়েছি।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: নাদিয়া চরিত্র নিয়ে কী মিল খুজে পেয়েছেন?
মা মেয়ের মধ্যে এক ছেলে নিয়ে টানাটানির মিল খুজে পেয়েছেন?
ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: এখন বই পড়ার সময় খুব কম হয়। তার উপরে হুমায়ুন আহমেদ আমাদের সত্তায় এমনভাবে মিশে গেছেন যে কোনোকিছু পড়তে গেলেই হুমায়ুন এসে একটা স্ট্যার্ন্ডার্ড দাড়া করিয়ে দেন। তখন পড়তে সমস্যা হয়।

এই ভদ্রলোককে আমি জেনেছি গেল বছরে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে একটা নবীন লেখক পুরস্কার দেয়ার পর। একটা বই পড়েছিও। আপনার মত আমারও মনে হয়েছে যে ধীরগতির পাঠকদের জন্যই। যদিও এদিকে ওদিকে আলোচনা শুনি যে সাদাত হোসাইনের লেখায় হুমায়ুন আহমেদকে অনুকরণের চেষ্টা আছে, আমার ওই লেখায় তা মনে হয়নি।

তবে অনুকরণের চেষ্টা তো খারাপ না। প্রতিভা থাকলে এক সময় অনুকরণকে ছাড়িয়ে যাবেন নিশ্চয়।

লেখায় প্লাস।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য।
আমিও অনুকরনের বিষয়ে একমত। তবে আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি একজন ভালো লেখক হতে গেলে নিজের একটা স্ট্যাইল ডেভলপ করে নেয়া উচিত, অনুকরন না করে। জোর করে অনুকরণ করলে সেটা চোখে লাগে। সব কবিই যে হিমুর মতো চলাফেরা করে না সেটা একে বুঝাবে কে?
এখানে প্রায় জোর করেই রাফিকে বোহেমিয়ান বানানো হয়েছে।

হুমায়ুন আহমেদের বেশিরভাগ বই সবাই পড়েছে।
কেউ যত ছলচাতুরী করুক কপি করলে সেটা ধরা পরবেই।
এই লেখকের আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ যেটা লেগেছে সেটা হলো অযথাই পৃষ্ঠা বাড়ানো।
এই বই অর্ধেকের চেয়েও কম পেজে লেখা হয়ে যেত। ব্লগে এরচেয়ে অনেক বড় প্লটের গল্প দুই বা তিন পর্বেই শেষ করে দেয়া হয়।

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই।

৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

রাকু হাসান বলেছেন:


আপনার রিভিউ যে ভালো হবে সেটা আগে থেকেই জানতাম । মনে হচ্ছে না আরও রিভিউ পড়েছি কিনা । কেননা ভালো পাঠক মাত্রই ভালো রিভিউ লিখতে জানে ,অধিকাংশ জনের কাছে এটা নিশ্চয় মিথ্যা হবে না । আপনাকে একজন ভালো পাঠক হিসাবে দেখি। সাদাত হোসেনের বইগুলোর দাম অনেক হয়। উদয়মান লেখক । আমি বইটি পড়ি নি । তবে আপনি যেভাবে চরিত্রের চরিত্রায়ন বর্ণনা করলেন তা পড়ে ,মনে হচ্ছে আমার জন্য দারুণ হবে । েএমন বই পড়তে পছন্দ করি । কাহিনীর গভীরে গিয়ে স্বাদ নেওয়াটা খুব ভালো লাগে। আর হ্যাঁ উপন্যাসটির টিপক টি খুব পছন্দ হল। সুযোগ পেলে পড়ে ফেলবো আশা করছি।
অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য।

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: রাকু ভাই,
কেমন আছেন? নিশ্চয় ভালো!
এটা রিভিউ নয়। ইচ্ছে করেই আমি পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছি।
লেখার ব্যাপারে আমি সবসময় সততা মেনে চলি। একজন উদিয়মান লেখক কিংবা প্রতিষ্ঠিত লেখক সবই সমান যখন লিখতে বসি।

সাহাদাত ভাইয়ের ব্লগে একটা পোস্ট পড়ার পর এই লেখকের বইয়ের প্রতি আমার আগ্রহ হয়।
অর্ধবৃত্ত অনেক বড় সাইজের বই কিন্তু সেই অনুপাতে ঘটনা খুব কম। সামান্য একটা খুনের ঘটনা উনি পরকিয়া, প্রেম ভালোবাসা, সাংসারিক জীবনের প্যাচঘোচ জোর করে ঢুকিয়ে বড় করেছেন। কিছু কিছু জায়গায় অযথাই চরিত্রগুলিকে টেনে বড় করেছেন। সেই অর্থে এটাকে পরকিয়া নির্ভর কাহিনীও বলা যাবে না। শেষ দিকে চরম জোড়াতালি দিয়ে সবকিছু মেলানো ব্যর্থ চেষ্টা পাওয়া যায়।

ইচ্ছে করলে বইটা পড়তে পারেন তবে এতটা ধৈর্য্য থাকবে কিনা শেষ পর্যন্ত যাবার সেটাই প্রশ্ন!
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই।

১০| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়েছি অর্ধবৃত্ত ।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমি কী ভুল লিখেছি কিছু?

১১| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বই পড়লে আপৈ বুঝতে পারেন? আপনি যদি বুঝতে পারেন, সেটাই খুশীর কথা।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি যদি নাই বুঝি, তাহলে এই ৪০০ পৃষ্ঠার এই বিশাল বই পড়ে এত বড় পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখলাম কিভাবে?
আমার এই লেখাটা আগে ভালো করে পড়ে দেখুন!

১২| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
আপনার দেওয়া বইয়ের রিভিউ পড়ে অনেক কিছু
শিখতে ও বুঝতে পারলাম । রিভিউ ভাল হয়েছে।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
আমি কিছুটা বিস্তারিতভাবেই লিখেছি যেন বই নিয়ে সবার সব প্রশ্নের উত্তর একজায়গায় পেয়ে যায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

অফ টপিকঃ এ এস পি শুভ পুলিশের তদন্ত নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পরেছে। আর আমাকেও ব্যতিব্যস্ত করে ফেলেছে সেইগুলি লেখার জন্য। আমি বেচে থাকলে পরের বার পড়তে পারবেন।
শুভ কামনা রইলো।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার একটা বই পড়াটাই অনেক বড় ব্যাপার। আপনি পড়ার পর আবার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিভিউ দিয়েছেন, এটা লেখকের জন্য অনেক বড় পাওয়া।

আপনার রিভিউ ভালো হয়েছে, কিন্তু কাহিনী যা বুঝলাম তা আমার কাছে আগ্রহ উদ্দীপক মনে হয় নি... এই বই পড়ার ধৈর্য আমার হবে না। তবে পরিশ্রম করে এ রিভিউ লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু এই দুঃসময়ে কেমন আছেন আপনি? যেখানেই থাকবেন আল্লাহ যেন আপনাকে ভালো সুস্থ এবং নিরাপদে রাখে।

আমি পুরো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পড়েছি। কিছু জায়গা বার বার পড়েছি। অপ্রয়োজনীয় জায়গাগুলি মার্ক করেছি। ভুলগুলি মার্ক করেই এটা লিখতে বলেছি। আধা খেচরা কাজ আমি করি না। লেখালিখির ব্যাপারে আমি শতভাগ সততা মেনে চলি।
আমি আপনার রূচি নিয়ে যতদূর জানি তাতে এই বই আপনার ধৈর্য্যহারা হবে ১৫০ পৃষ্ঠার পরেই। তাছাড়া মা মেয়ের কাহিনী আসলেও বাদ দিয়ে দেয়ার সম্ভবনা আছে।
আস্তে আস্তে পরিচিত অনেকের বই নিতেই এই ধরণের প্রতিক্রিয়া লিখবো।
ধন্যবাদ সব সময় আমার পাশে থাকার জন্য।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

ওমেরা বলেছেন: আপনার রিভিও পড়ে বই সম্পর্কে অনেকটাই ধারনা পেলাম ।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন , সাহাদাত উদরাজী আপ সাদাত হোসাইন কি একজন?

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: না ওমেরা আপু।
সাহাদাত উদরাজী আমাদের সামুর একজন ব্লগার।
সাদাত হোসাইন একজন লেখক।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: বিশাল ক্যানভাসে লেখা মনে হচ্ছে। এত এত চরিত্র। চরিত্রের ঘনঘটায় ঘটমট লেগে যায় নি তো। প্রথম আলোতে মনে হয় সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম উনার। বেশ লিখছেন মনে হয়।

আপনি রিভিউ ভালো করেছেন। রেটিং এর ক্ষেত্রে ৫ পয়েন্ট বিবেচনায় নিতে পারতেন।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আমি ফেয়ার থেকেছি লেখার সময়।
উনার লেখার মুন্সিয়ানা আছে অবশ্যই। কিছু কিছু জায়গা পড়ার সময় আমি মুগ্ধ হয়েছি মানবীয় আবেগের বহিঃপ্রকাশের স্ট্যাইল দেখে। এইজন্যই এটাতে ফুল মার্ক্স দিয়েছি।
২টা মিল যদি অনিচ্ছাকৃতও হয়ে থাকে, তারপরও অযথাই বড় করেছেন টেনেটেনে।
বইটা পেলে পড়বেন। নিজেই তখন বুঝবেন।
শুভ কামনা রইলো।

১৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা! আমি সাহাদাত উদরাজী এবং সাদাত হসাইন এক ব্যক্তি না, এটা ক্লিয়ার করে দিয়েন। বিশেষ করে কমেন্টে দেখলাম অনেক ভুল বুঝছেন! আমি মুলত উনাকে নিয়ে ভাল কিছু লেখি নাই, মন্দই লিখেছিলাম, কারন আমার কাছে তার লেখা ভাল লাগে নাই এবং তার কর্মকান্ড নিয়েই আমার লেখা ছিল। লিঙ্ক দিচ্ছি!

যাই হোক, বেশী বলবো না, আপনি আপনার লেখায় দুটো বইয়ের কথা বলেছেন, একটা লেখক হুমায়ুন আহমেদ এবং অন্যটা লেখিকা সুচিত্রার। এবং আপনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি এই বই দুটোর গল্প মিলিয়ে একটা করেছেন। তা হলে কি দাড়ালো? এই সব কিন্তু আমাদের মিলন সাহেব বহু আগেই করে এখন তিনি রিক্তশিক্ত হয়ে গেছেন!

আপনার লেখা পড়ে ধন্যবাদ দিলাম, কারন এখন বই পাঠক তেমন আর পাওয়া যায় না! আপনি একজন ভাল পাঠক।

লিঙ্কে ক্লিক করে আমি কি লিখেছিলাম তা পড়া যেতে পারে, এটা আমার অভিমত!

সাদাত হোসাইনঃ একজন অপারগ লেখক
https://www.somewhereinblog.net/blog/udraji/30296340

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: সাহাদাত ভাই,
ওমেরা আপুকে প্রতি মন্তব্যে ইতিমধ্যেই ক্লীয়ার করে দিয়েছি।
আপনার সেই পোস্ট আমি পড়েছি এবং মন্তব্যে বলে এসেছিলাম যে একটা লেখা পড়েই
এর সর্ম্পকে লিখবো, না জেনে আন্দাজে নয়।
উনি আমার কাছে কিছুটা অসৎ লেখক মনে হয়েছে। শুধু শুধু প্রকাশক এবং নিজের পকেট ভারী করার জন্য বইটা অযথাই টেনেটেনে বড় করেছেন। ফর্মা বাড়িয়েছেন। প্লট কপির ব্যাপার আমি এখন নিশ্চিত নই। হতেও পারে!
আপ্নার জন্যই এই লেখা। আপ্নি পড়েছেন। ব্যাস আমি খুশি হয়েছি। কষ্ট সার্থক হয়েছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

১৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫২

মোহাম্মদ রিদওয়ান আল হাসান বলেছেন: আপনার রিভিউটি খুব ভালো লাগল।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১০

নীল আকাশ বলেছেন: রিদওয়ান ভাই,
আমার ব্লগ বাড়িতে আপ্নাকে সুস্বাগতম রইলো।
সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ রাত্রী।

১৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩

মা.হাসান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, অনেক দিন পর মনে হয়। আমি তো এই মাসের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে ০১ জুলাই পোস্ট দিতাম- নীল আকাশ ভাই জেনারেল কেন, কত্তিপক্ষ জবাব চাই (মডুর জবাবদিহিতা চাওয়ার পোস্ট এখন খুব হিট খাচ্ছে)।

কবিদের জন্য ৪০০ পৃষ্ঠার বই পড়া বেশ কষ্টকর (মেঘনাদ বধ ওনারা কি করে পড়েছেন/পড়বেন তা নিয়ে আমার কৌতুহল আছে)।
যা হোক সাদাত সাহেব একের ভিতর দুই মেরে দিয়েছেন, যারা কবিতা ভালোবাসেন তারাও গদ্য টুকু বাদ দিয়ে পড়তে পারবেন।

আমাদের দেশে বইয়ের ব্যবসা সিজনাল। ফেব্রুয়ারি ছাড়া বিক্রি তেমন একটা ভালো হয় না। লেখ-প্রকাশক সবারই একটা তাড়া থাকে ঐ সময়কে ঘিরে। লেখালিখি একটা অধ্যাবসায়ের কাজ। কেউ যদি ডেডলাইন মেনে লেখা শেষ করতে চায় তবে তার ছাপ লেখায় পড়বে। লেখক কি আকৃতি কমাতে না কি ডেডলাইন মেলাতে তাড়াহুড়া করেছেন, নাকি এটাই তার স্টাইল, এটা উনিই ভালো বলতে পারবেন।

আপনার রিভিউ অনুসারে প্লটে আমি বিশেষ একটা নতুনত্ব পেলাম না। তবে বইটি পড়ার বিষয়ে আমার অনাগ্রহের কারণ অন্য, সে কারণটা আপনাকে ব্যাখ্যা না করলেও নিশ্চয়ই আপনি বুঝে গেছেন।

একটি অনেস্ট রিভিউ লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় হাসান ভাই,
সম্ভবত আপনার পোস্টের ভয়েই ব্লগ থেকে আমার খোজ খবর নেয়া হয়!
আমি হারিয়ে যাই নি। মাথার মধ্যে একটা সদ্য কুবুদ্ধি ঢুকেছে। শুভ'কে নিয়ে আরেকটা বড় প্লট মাথায় ঢুকে গেছে। অনেকটাই গোয়েন্দা কাহিনীর মতো। ৭৫ ভাগ শেষ করে ফেলেছি।
আপনার আগ্রহ থাকলে অগ্রীম পড়ার সুযোগ পাবেন।

এই বই পড়েছি শুধুই এই লেখকের লেখা নিয়ে জানার জন্য। আমাদের কপাল অনেক ভাল যে শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদও এর মতো এত বানিজ্যিক ছিলেন না। হলে আর উনার বই কিনে আর পড়ার লাগতো না। যেহেতু ফর্মা নিয়ে আপনি খুব ভালোই জানেন, আমার ধারণা এটা ধারাবাহিক লেখা হিসেবে এই ব্লগে দিলে যে কেউ সর্বোচ্চ ৭ বা ৮ ফর্মা পোস্ট দিত। এর বেশি না।
এখন বুঝুন তাহলে।

ফিনিসে জোড়াতালির সিরিয়াল লেগে গেছে। যেখানে যেভাবে পেরেছে মিলিয়ে দিয়েছে।
এই বই পড়ার মতো রূচি আপনার হবে না সেটা আমি আগে থেকেই জানি।

কিছুটা অনিয়মিত থাকবো লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

২০| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার রিভিউ ।

অনেক ভবিষ্যৎবাণী গাণিতিক বিশ্লেষণে করা যায়। যেমন বাণিজ্য মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে সংসদ অধিবেশনে যুগ দিয়েছেন মানে উপস্থিত সবার আক্রান্ত হবার ব্যাপক সম্ভাবনা । আবার অনেকে টিট ফর ট্যাট ফর্মৗলায় ভবিষ্যৎবাণী করতে পারেন। যাইহোক এ ভবিষ্যৎ বাণী ও অনেক সময় পাঠককে আটকে রাখে গল্প পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনুমান ও বাস্তবতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে লেগে যায়। তবে গল্পে নতুনত্ব নেই রিভিউতে আছে ।

আপনার পোস্ট ভাল লেগেছে ।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি চেষ্টা করেছি পুরো বই ব্লগে সবার সামেন তুলে ধরার জন্য। যেহেতু সবাই এই বই পড়বে না । তাই কিছুটা বিস্তারিত ভাবেই সব কিছু লিখছি। একজন সচেতন পাঠক হিসেবে আমার যা যা মনে হয়েছে সবই লেখায় তুলে ধরেছি।
পড়ার জন্য এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাদাত হোসানের গল্প এখনো পড়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামীতে ইচ্ছা ছিল ওনার গল্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার তার আগেই আপনি রিভিউ এর মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমার কাছে গল্পকারের চেয়ে রিভিউ বেশি ভালো লেগেছে। অবশ্য গল্পের বিষয়,প্লট নির্বাচনের মতো বিষয়গুলো তুলনা করে। পরকীয়া বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত শব্দ। রিভিউতে পরিষ্কার উনি যেভাবে লিখেছেন তাতে আলাদা করে কোনো চমক দেখলাম না। গতানুগতিক ধারার পরকীয়া বলেই মনে হল। তৃতীয় ব্যক্তি মানে এখানে হিংসা থাকবে। সম্পর্কের টানাপোড়েন কখনো কাছে আবার বিপদে একেঅপরের থেকে দূরেও চলে যেতে পারে। গল্পে সেটাই হয়েছে দেখলাম।

পাশাপাশি একাধিক চরিত্রের অবতারণা রিভিউ অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। তবে রিভিউ পড়ে একটা বিষয় আমার বুঝতে অসুবিধা হয়েছে-

শুরুতে উল্লেখ করেছেন রাফি-মুনিয়া- জাফরের সম্পর্ক। কিন্তু মুনিয়ার কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই আপনি প্রভাবশালী রফিক সাহেবের কথা টানলেন। ক্যারিয়ারের জন্য মুনিয়া যার কাছে কিনা ধর্না দিতেন। স্বামীকে দূরে রেখে নিজের শরীর দিয়ে তাকে খুশি করতেন। পরে বিরক্ত হয়ে মেয়ের বান্ধবীর বড় ভাই‌ রাফির সঙ্গে সম্পর্ক করেন। পরে একরাতে সেই রাফির সামনেই রফিক সাহেবকে খুন করেন। হতচকিত রাফি পরে এই হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে ফাঁসি মেনে নিতে বাধ্য হয়। বুঝাই যাচ্ছে সম্পর্কটা এক্কেবারে গিট্টু পাকিয়ে গেছে।
তবুও আমার দৃষ্টিতে মুনিয়া বিবি একই সঙ্গে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে বরং শুরুতে রফিক-রাফি- মুনিয়া- জাফর বললে পাঠকের বুঝতে আর সুবিধা হত।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রিভিউ উপহার দেওয়ার জন্য।

শুভকামনা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।


২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: দুর্দান্ত মন্তব্যের জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা। খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছেন আমার লেখা। ধন্যবাদ।
আমিও ঠিক এইভাবেই বইটা পড়েছে। আদ্যপান্ত।

রফিক-রাফি- মুনিয়া- জাফর এই কম্পেক্স নিয়ে আসলে লেখকই ঝামেলা পাকিয়েছেন। উনি শুরুতে মুনিয়া আসমানে তুলে ফেলেছিলেন ভালো চরিত্র দেখাতে যেয়ে। রাফির সাথে পরকিয়া চলছে সেটা বুঝতেই অর্ধেক বই শেষ করেছেন।
আবার রফিক সাহেবের সাথে অবৈধ সর্ম্পক আছে সেটা বলেছেন একদম শেষে যেয়ে মুনিয়াকে আসমান থেকে মাটিয়ে নামিয়ে দিয়ে। তখন হুট করে মুনিয়া নিকৃষ্ট চরিত্র, চাকুরির জন্য, হেড মাস্টার হবার জন্য শরীর দিয়ে বেড়িয়েছেন।
মূল চরিত্র নিয়ে এইরকম উলটা পালটা করেছেন দেখেই এই সমস্যা হয়েছে।
জটিল কাহিনী বানাতে যেয়ে নিজেই প্যাচে পড়ে গেছেন। ভালভাবে আর বের হতে পারেন নি।
আশা করি এখন বুঝতে পেরেছেন।
প্রিয় ভাইয়ের জন্য শুভ কামনা রইলো।

২২| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



রিভিউ বেশ হয়েছে। তার কোনো বই পড়া হয়নি। আপনার ধৈর্য্য, মেধা এবং মননশীলতার পরিচয় রয়েছে। +

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২০

নীল আকাশ বলেছেন: নকিব ভাই,
এই বই আপ্নার না পড়াই ভালো। বিকৃত রূচির মানুষদের নিয়েই এই গল্পের পটভূমি।
জী, বেশ সময় এবং ধৈর্য্য নিয়েই এটা লিখেছি আমি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

শোভন শামস বলেছেন: চমৎকার রিভিউ।
ভালো লাগলো।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম রইলো আপনার জন্য।

২৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: মা.হাসান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, অনেক দিন পর মনে হয়। আমি তো এই মাসের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে ০১ জুলাই পোস্ট দিতাম- নীল আকাশ ভাই জেনারেল কেন, কত্তিপক্ষ জবাব চাই (মডুর জবাবদিহিতা চাওয়ার পোস্ট এখন খুব হিট খাচ্ছে)।

হাহাপগে!

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাইরে,
তবুও তো সুপ্রিয় হাসান ভাই আমাকে মনে রেখেছে। এটাই বা কম কিসের?
কয়জনের ভাগ্যে প্রিয়জনের এত ভালোবাসা থাকে বলুন?
ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: উনি আমার কাছে কিছুটা অসৎ লেখক মনে হয়েছে। শুধু শুধু প্রকাশক এবং নিজের পকেট ভারী করার জন্য বইটা অযথাই টেনেটেনে বড় করেছেন। ফর্মা বাড়িয়েছেন। - আপনার এই কথা বলার পরে আসলে আর কিছু বলার থাকে না! উনার পরিনতি অনেকটা মিলন সাহেবের মত হবে বলে আমি মনে করি। আমি আমার পোষ্টে ক্লিয়ার করেছি! তবে বয়সে এখনো তরুণ, যদি স্বভাব পালটে ফেলতে পারেন তবে, ফিরে আসতে পারেন, যা খুব কঠিন কাজ!

যাক, আমাদের অপেক্ষার পালা!

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত। এই স্বভাব যদি উনি না পাল্টান তাহলে পাঠকদের বুঝতে বেশি দিন সময় লাগবে না।
একবার সবাই ধরে ফেললেই রেপুটেশন শেষ হয়ে যাবে। তবে আমি আশা করছি উনি পরের বার থেকে পাঠকদের কথা চিন্তা করেই লিখবেন।
ফিরে আসার জন্য আবারও ধন্যবাদ।

২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: অর্ধবৃত্ত পড়া হয়নি। উনার একটা উপন্যাস পড়েছি- ছদ্মবেশ। ভালো লেগেছিল, পড়তে পারেন।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: এর লেখার হাত খারাপ না তবে সন্দেহ আছে চৌর্য্যবৃত্তির।
এই বইতে কেন যেন মনে হয়েছে দুইনাম্বারি করেছে। কয়েকটা বইয়ের কাহিনি জোড়াতালি দিয়ে মিলিয়ে দিয়েছে।
বই টেনে বড় করেছে এটা ধ্রুব সত্য।
দেখি পেলে আরেকটা পড়ে দেখবো।
কেমন আছেন আপনি? দিনকাল কেমন কাটছে?

২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: ভালো আছি, তবে নানাবিধ ঝামেলায় আছি।
সুস্থ থাকুন।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আল হামদুল্লিল্লাহ।

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই লেখকের আরোও কোন একটা বই পড়ে দেখতে পারেন, যে কোন একটা। আশা করি আপনার মতামত পাল্টাবে না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক আছে। আগে যোগাড় করে নেই।
ধন্যবাদ।

২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার দেওয়া বইয়ের রিভিউ পড়ে অনেক কিছু
শিখতে ও বুঝতে পারলাম । রিভিউ ভাল হয়েছে।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুধু আমার জন্য এত কষ্ট করে এখানে এসেছেন।
আমাকে এটা লেখার জন্য রিকোয়েস্ট করা হয়েছিল।
আমি তাই ভালোভাবে পড়েই লিখেছি।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: আমি খুব কমই সাদাত হোসেনের লিখা পড়েছি। কারন উনি যখন লাইম লাইটে আসা শুরু করেছেন তখন আমি নির্বাসিত....। বাংলা বই হাতে পাওয়া চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো।

আপনার রিভিউ পড়ে আগ্রহী হলাম বইটি পড়তে। দেখি অনলাইনে পাই কিনা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: এই বইটা পড়ার প্রশ্নই উঠে না। ‌ উনি সুচিত্রা ও হুমায়ূন আহমেদের বই কপি পেস্ট করে এই বইটা লিখে ফেলেছেন। ‌ আমি বলব পুরোপুরি চুরিবিদ্যা অনুসরণ করে লেখা এই বই। আমি এত বড় নির্লজ্জ লেখক বাংলা সাহিত্যে খুব কমই দেখেছি।
ভুলেও এই বই কিনে টাকা নষ্ট করবেন না। এর নামে প্রতিটা বইতে চুরি করার মারাত্মক অভিযোগ আছে।
লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫৭

সোহানী বলেছেন: হায় হায় কি বলেন!! আমিতো ভেবেছি হুমায়ুন আহমেদের পর সাদাত হোসেনকে পেলাম। তার এতো এতো নাম ভক্ত দেখে আমিতো তাই ভাবছি!!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: যা দেখেছেন ও শুনেছেন সবই হচ্ছে পেইড মার্কেটিং। কেউ এর বিরুদ্ধে কিছু বললেই এরা দল বেঁধে ঝাপিয়ে পড়ে। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে আমার এই পোস্ট ডিনাই করেছে পোস্ট করতে। আমার মতো আরও অনেকেরই এই দশ হয়েছে। কয়েকদিন আগে আমেরিক্যান এক লেখকের বই অনুবাদ করে নিজের নামে ঝাপিয়ে দিয়েছে। বিদেশে হলে নির্ঘাত জেলে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.