নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
দেশের সমাজ ব্যবস্থা এবং মানুষের মন-মানসিকতা এখন ধীরে ধীরে অতলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। কোন কাজটা গ্রহণযোগ্য আর কোনটা বর্জনীয় সেটা বেশিরভাগ মানুষই ভালোমতো জানেও না। কিছু দূর্নীতিগ্রস্থ মানুষ এবং রাষ্ট্রীয় অশুভ পৃষ্ঠপোষকতায় মানুষের স্বাভাবিক মূল্যবোধও অতি দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতেই দেখা যাচ্ছে কাণ্ডজ্ঞানহীন, মাত্রাজ্ঞানহীন কাজের বাহুল্যতা। ওয়াসার পানির লাইন ঠিক করার জন্য গর্ত খুড়া শুরু করলেও সেখানে ভীড় জমে যায় দেখার জন্য। কারো বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে এখন আগুন লাগলে পানি এনে দেয়ার লোক খুঁজে না পাওয়া গেলেও, আগুনের লেলিহান শিখার ছবি কিংবা ভিডিও করার লোকজনের কোনই অভাব হয় না। প্রকাশ্যে মানুষ খুন কিংবা আঘাত করার দৃশ্য দেখে এখন সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে মজা নেয় এবং ছবি/ভিডিও করে কিন্তু কেউ যেয়ে ধরেও না।
এই দেশে, বিশেষ করে সোসাল মিডিয়াতে, সবাই এখানে একদিনই আলোচিত কিংবা বিখ্যাত হয়ে যেতে চায়। এই আলোচিত হবার পদ্ধতি ভালো না খারাপ সেটা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। ফেসবুকে এবং ইউটিউবে গতকাল’কে এসে আজকেই সবাই সুপার-হিরো বনে যেতে চায়। এদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, এইদেশে সবাই সুপার-হিরো, সুপার-হিরোইন এবং মাস্টারশেফের স্পেশালিস্ট শেফ। আর যেভাবে একশ টাকার জিনিস সাতশ টাকায় বিক্রির নামে গলা ফাটিয়ে ফেলে তাতে খোদ ফিলিপ কটলার’ও লজ্জায় মুখ লুকাতেন।
কিছুদিন পরে পরেই আমাদের দেশের সোসাল মিডিয়াগুলিতে একটা করে “বাইন মাছ” ফাল দিয়ে উঠে। উঠে, না উঠানো হয়, এটা নিয়ে বিতর্কে যাবো না। কারণ দুই পক্ষের পাল্লাই যথেষ্ট ভারী। “রেশমা” কিংবা “মাছ বেডা” সোজা আকাশ থেকে এই দেশের মাটিতে নেমে আসে নি। ফাল দেয়ার সাথে সাথেই এই উজবুক জাতী দিন-দুনিয়া সবকিছু ভুলে যেয়ে এই নব্য “বাইন মাছ” নিয়ে প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পরে।
সারাবিশ্বে করোনা’কালীন এই চরম দুঃসময়েও মাত্র কিছুদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় “সবুজ রঙের পোশাক পরা এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী, সবাই নিজ মোটরবাইকে, মাঝখানে সোনালী রঙের পোশাকে একটি মোটরবাইকে কনে সেজে থাকা মেয়ে’কে” হুলস্থূল ভিডিও’তে ছয়লাব। এই মেয়ের কর্মকান্ড এবং হাবভাব দেখে মনে হলো “বেগম রোকেয়া” টাইপের কিছু মনে করছে নিজেকে এবং সারা বাংলাদেশের সমস্ত নারী জাতীর মুক্তির অগ্রদূত হয়ে তার আবির্ভাব! এবং যেন এর আগে এই দেশের আর কোন মেয়েই বাইক চালায় নি! অথচ দেশে “কেয়ার” সহ বেশ কয়েকটা এনজিও’র মেয়েরা চাকুরী কারণে বহু আগে থেকে এইদেশে বাইক চালাচ্ছে (এমন কি এখন ট্রেনও চালাচ্ছে এখন মেয়েরা) এবং আমরা তা বহুদিন ধরেই দেখে আসছি। অথচ এই কাণ্ডের পর দেশে বেশ কিছুদিন ইউটিউব, ফেসবুক ভরপুর হয়ে গেল এই উদ্ভট আচরণ নিয়ে। এই মেয়ে’কে নিতান্তই একজন বেকুব এবং ছিঁচড়ে জোকার ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি!
কেন?
তিনকন্যা খ্যাত চিত্রনায়িকা’ত্রয় সুচন্দা, চম্পা ও ববিতার ভাতিজী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্রী ফারহানা নিজের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে নিয়ে মোটরবাইকে গোটা যশোর শহর চক্কর দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। এইধরণের কর্মকান্ড আমাদের দেশে স্বাভাবিক নয়। সুতরাং ইচ্ছেকৃতভাবেই এই কাজ করা হয়েছে এটা নিশ্চিত! সোসাল মিডিয়ার লাইম লাইটে আসার জন্যই এইকাজ যে করা হয়েছে সেটা আড়াইদিনের দুধের বাচ্চাও বুঝবে।
কে এই ফারহানা?
একটা ছেলেবাচ্চার মা, তিন বছর আগে যার বিয়ে হয়েছে, তার হুট করে এতদিন পরে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নামে নায়িকার মতো সাঁজুগুজু করে, চোখে সানগ্লাস পরে, কমপক্ষে বিশ বা তিরিশ জন একইভাবে সেঁজেগুজে দল বেঁধে যেভাবে সাড়ি করে মোটরবাইক চালাচ্ছিলো তা নাটক সিনেমার অভিনয়ের সাথেই মানায়, বাস্তবে কখনই মানানসই না। প্রি-প্ল্যান্ড একটা ঘটনা। উপরে বর্নিত নায়িকা’ত্রয়ের সারাজীবন বাংলা সিনেমার সাথে জড়িত থেকে শেষজীবনে হজ্ব করে হিজাব পড়ার দৃশ্য যেই কারণে ভাইরাল হয়েছে, এই মেয়েও ঠিক একইভাবে জোকারের মতো উদ্ভটভাবে কাজ করে সারাদেশের মানুষকে দিনের পর দিন হাসিয়েছে।
অথচ নিজে কি দাবী করেছে দেখুন?
“আমি ইচ্ছেপূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু হইচই-আনন্দ করেছি। আমি কি বলেছি আমাকে ভাইরাল কর?”
“আমি ঢাকাতে থাকি, অহরহ ছেলেরা হলুদে বাইক নিয়ে এন্ট্রি দিচ্ছে ও মেয়েরা নেচে। আমি মেয়ে হয়ে বাইক চালাতে পারি। তাই ভাবলাম বাইক চালিয়েই এন্ট্রি দেই।”
“গায়ে হলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠান স্মৃতি করে রাখতেই পেশাদার ক্যামেরাম্যান দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। বিয়ের পরে সেই ছবি ও ভিডিও বন্ধু-বান্ধবরা ফেসবুকে পোস্ট করে। এরপর থেকেই তা ভাইরাল হয়ে যায়”।
-সারাদেশে প্রতিদিন কতগুলি বিয়ে কিংবা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয় তার হিসাব জানেন কি
আপনি?
-তাদের বিয়ের সব ভিডিও কি দেখেন আপনি?
-এটা সম্ভবও না।
-তাহলে এই মেয়ের গায়ে হলুদের এই ভিডিও ভাইরাল হলো কিভাবে?
এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার সহ এক ইউটিউবার ফারহানার এই বাইক শো-ডাউন নিয়ে ভিডিও বানিয়ে রিলিজ দিয়েছে। এই ভিডিও যেভাবে ইচ্ছেকৃতভাবে বানানো এবং রিলিজ দেয়া হয়েছে তাতে কোন সন্দেহই নেই যে সোশাল মিডিয়াতে লাইম লাইটে আসার জন্য এই কাজ করানো হয়েছে। এই মেয়ে জোকার কয়েকদিন পরেই হয়তো বাংলা সিনেমায় নেমে পরবে। আগে থেকেই সোসাল মিডিয়ার ফোকাস নিজের দিকে নিয়ে রাখলো। “ফারহানা এখন নায়িকা” শিরোনামে কিছুদিন পরে কোন নিউজ বের হলেও এই মেয়ে’কে চিনতে কারো ভুল হবে না।
ফারহানা অফরোড পারফোর্মেন্স যা করেছে কিংবা যেভাবে ভাইরাল করার চেষ্টা করেছে সেটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, মাথাব্যাথাও নেই। এভাবে লাইম লাইটে আসার জন্য সারাবিশ্বেই মেয়েরা এরচেয়ে অনেক বেশি আজেবাজে নোংরা কাজ করে বেড়ায়। এই মেয়ে তো অন্তত অর্ধউলঙ্গ কাপড় পরে বা শারীরিক সর্ম্পকের নিজের নোংরা ভিডিও রিলিজ দিয়ে লাইম লাইটে আসতে চায়নি, একতলা যথেচ্ছা ভাড়া দিয়ে দুইতলায় দুইটা ঢাউস ফ্ল্যাট বাড়িও বানায় নি, একাধিক বয়ফ্রেন্ড’কে গায়ের উপরের কাপড় খুলে শুধু অর্ন্তবাস পরা ছবি তুলে সেটা পাঠিয়ে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে, পরে এসে মিডিয়াতে কান্নাকাটিও করে নি। দেশে এত এত ভয়ানক সব সমস্যা নিয়েই আলোচনা হয় না, তাহলে এই মেয়েকে নিয়ে এত হইচই কেন করা হলো?
কারণ-
এই দেশের মানুষ বড় আজিব কিসিমের দুই’পা ওয়ালা প্রাণী! কোনটা গ্রহণযোগ্য আর কোনটা বর্জনীয় সেটা না বুঝেই ছাগলের পাঁচনাম্বার বাচ্চার মতো হুদাই লাফালাফি করে। ফারহানার সমালোচনা করতে হলে বাইক চালানোর সময়ে,
-মাথায় হেলমেট কেন নেই?
-মুখে কেন মাস্ক নেই?
-সারা শহরে এভাবে ট্রাফিক আইন/ করোনাকালীন মাস্ক পরার আইন ভঙ্গ করে ঘুরে বেড়ালেও আইন শৃংখলা বাহিনী কেন নাক ডেকে ঘুমিয়েছিল?
*এইধরণের প্রশ্নগুলি আসা খুব স্বাভাবিক।
কিন্তু কয়জন‘কে এইগুলি নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখেছেন?
অথচ এইধরণের যৌক্তিক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশ্নগুলি বাদ দিয়ে মেয়েকে জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ, মেয়ের বাবা মা’কে গালিগালাজ, তার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তার বাবা মায়ের আর্থিক উপার্জনের পন্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দেয়ার জন্যে মুখরোচক শিরোনামও দেয়া হয়েছে, ফারহানা সোজা জাহান্নামে যাবে, বেলেল্লাপণা করছে, সমাজকে ধ্বংস করছে, বিয়ের মতো 'পবিত্র' একটা কাজকে অপমান করছে, অন্যান্য মেয়েদের উস্কে দিচ্ছেন অসামাজিকতার পথে হাঁটার জন্য ইত্যাদি কোন কথাই বাদ দেয়া হয়নি।
-এখন দেশে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান কি করা হয় না?
-গায়ে হলুদে হিন্দি গানের সঙ্গে রাতভর নাচানাচি কি করা হয় না?
-ভারতীয় চ্যানেলের অনুসরণে বিয়ের অনুষ্ঠানে কোন কাজই বাকি রাখা হয়?
-বিয়ের আগে জামাই বৌ শত শত আত্মীয়দের সামনে নির্লজ্জ বেহায়াদের মতো হাত ধরে, কোমর ধরে নাচানাচি করে, ভিডিও করে, ফটো সেশন করে তখন সমালোচনাগুলি হয় না কেন?
তখন ধর্মীয় মূল্যবোধ কোথায় লুকায়? খাটের নীচে নাকি জঙ্গলে?
এই জাতী যে কত পিকুলিয়ার সেটা আহমদ ছফা অনেক আগেই বলে গেছেন, “এরা লাইফস্টাইল চায় ইউরোপ-আমেরিকার মতো, দুর্নীতি-চুরি-ধান্ধাবাজী করতে চায় বাংলাদেশের মতো, আর নারীদের বেঁধে রাখতে চায় সৌদি আরবের মতো করে।”
সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে মিডিয়া, এমনকি হুজুর টাইপের কেউই বাদ থাকেনি মন্তব্য করতে।
আরেকজনের বিবাহিত স্ত্রীর দিকে দ্বিতীয়বার তাকানোই তো হারাম, অথচ এরা দিব্যি নিজেরাই ফারহানা অনেকরকমের ছবি নিজের পোস্ট দিয়ে জাতীকে ইচ্ছেমতো ধর্মীয় জ্ঞান দিচ্ছে!
-কি বিচিত্র সেলুকাস এইদেশে?
-মরার আগে এইদেশে আর কত কি যে দেখে যেতে হবে?
মোটরসাইকেলে চড়ে গায়ে হলুদের দিন ফটোসেশন করার কারণে যদি ফারহানা জাহান্নামে যায় তাহলে এদের সমস্যা কি? মনে হচ্ছে ফারহানা জাহান্নামে যেয়ে এদের সিট আগেই দখল করে বসবে দেখে মহা চিন্তায় পরে গেছে এরা। ধর্মের নাম নিয়ে যারা ফারহানার সমালোচনা করছে তারা কি ভালোমতো এই মেয়ের পোশাক দেখেছে। এই মেয়ে তো শালীন পোষাক পরেছে এবং তাতে বিন্দুমাত্রও অশ্লীলতার ছাপ ছিল না কোথাও। তবুও শুধু শুধু এরা এই ঘটনা’কে 'নষ্টামি' বা 'কেয়ামতের আলামত' টাইপের টাইটেল দিয়ে অতিরঞ্জিত করে কেন ধর্ম উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে? এদের মন্তব্যগুলি পড়লে মনে হয় এক ফারহানা কারণেই সমাজ-রাষ্ট্র-ধর্ম সব উচ্ছন্নে চলে গিয়েছে!
ইসলাম ধর্ম কি এতই সস্তা? এক মেয়ের কারণে পুরো ইসলাম ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে?
এত বড় বড় ধর্মীয় আলোড়ন তোলা বক্তব্য যে দিচ্ছেন; ইসলামে তো ঘুষ খাওয়া, সুদ খাওয়া, ধর্ষন করা, মদ খাওয়া, চুরি করা, বেপর্দা ঘুরে বেরানো সবই নিষিদ্ধ, সেইগুলি সব মানেন?
নিজে ঘুষ খেয়ে ডিজে পার্টি ভাড়া করে সারারাত হিন্দি গানের সাথে নেচে গেয়ে মেয়ে বিয়ে দেবেন তখন কোন সমস্যা নেই, কিন্তু একমেয়ে মোটর বাইকে ঘুরে বেড়ালে গায়ে ধর্মীয় আগুন ধরে যায়!
ভন্ডামি আর কাকে বলে? এই জাতী আপদমস্তক ভণ্ড। করোনার কারণে যেখানে সারা পৃথিবীর মানুষ আরো মানবিক হচ্ছে, সেখানে এই দেশে হরদম দেখা যাচ্ছে অমানবিক আচরণের ছড়াছড়ি। ছেলেমেয়েরা মাকে জঙ্গলে যেয়ে ফেলে আসছে, বৌ অসুস্থ জামাই রেখে পালাচ্ছে, প্রবাসী লোকজনে বৌদের নিয়মিত ফাঁস হওয়া পরকিয়া কাহিনীর হিস্ট্রি দিতে গেলে তো মহাভারতও অনেক ছোট মনে হবে।
এই দেশের মানুষের কমন সেন্সের বরাবরই অভাব ছিল, এখন সেটার আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
মানুষজনের কমনসেন্সের লেভেল কত নীচু পর্যায়ে নেমে গেছে সেটা নিয়ে গবেষণা করার দরকার নেই। শুধু করোনার এই ভয়াবহতার সময়ে “আইইডিসিআর” এর হটলাইনে আসা ফোনগুলোর বিবরণ শুনলেই যে কোন সুস্থ মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত “আইইডিসিআর” এর হটলাইনে কল এসেছে দশ লাখের বেশি। তার ভিতরে প্রায় দুই লাখ ফোনকলের সঙ্গে করোনার কোন আদৌ সম্পর্ক নেই। তাহলে এই ফোনগুলো কারা করেছে? কেন করেছে? কি বলা হয়েছে সেই ফোনে?
আইইডিসিআর এর হটলাইনের ফোন রিসিভ করেন, এমন একজন চিকিৎসকই ফেসবুকে লিখেছেন- ‘‘IEDCR এর হটলাইনে কাজ করার পর একটা উপলব্ধি হয়েছে যে, এই দেশের বহু মানুষের আসলে কোন কাজই নাই, এবং তাদের গায়ে তেল অনেক বেশি। নইলে মেয়েকণ্ঠ শুনলেই "আপনি বিয়ে করসেন?" "আপনার বয়স কত", "আমি লাগাইতে চাই", "যৌবন ফিরে পাব কিভাবে", "দুলাভাই কি করে", "এই ফোন দিসি এম্নেই, আপনার সাথে কথা বলার জন্য", "আমাকে ফোন ব্যাক করেন, আপনার সাথে কথা বলতে চাই" ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারগুলা ঘটতো না৷ সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি, সৌদি আরব থেকে একটা গ্রুপ লিটারেলি ১০ বারের উপর ফোন দিয়ে নানাভাবে বিরক্ত করেছে। সমাজসেবা কঠিন জানতাম, তবে এতটা বেহায়াপনা দেখার লাগবে জানতাম না সত্যি।’’
এই দেশে একসময় বাংলা সাহিত্য ভীষণ সমৃদ্ধ ছিল। মানুষ বই লিখতো, বই পড়তো, রসবোধও ছিল প্রশংসা করার মতো।
কিন্তু এখন সবকিছু তলানিতে নেমে অসভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এরা হচ্ছে লম্পটের জাত। দশলাখ ফোন কলের মধ্যে যখন এরকম অবান্তর কথাবার্তা বলার জন্যেই দুইলাখ কল আসে, সেটাকে তুচ্ছ সংখ্যা ভেবে উড়িয়ে দেয়ার কোনই অবকাশ নেই। এই দেশের প্রতিটা জায়গায় লাখ লাখ পার্ভার্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, সুযোগ পেলেই তারা নিজেদের কদাকার চেহারাটা দেখিয়ে দেয়।
ফারহানা’কে নিয়ে নোংরা আলোচনা করা এবং বিকৃত মন্তব্য করা মানুষগুলি এইসব পার্ভার্টদেরই নামান্তর মাত্র!
নষ্ট-পঁচা-গলা সমাজ ব্যবস্থার এইসব পার্ভার্ট’রা সোশাল মিডিয়াতে কোনভাবে একটা “বাইন মাছ” লাফ দেয়ার ঘটনা পেলেই নির্লজ্জ আস্ফালনের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেয় আসলেই কতটা অধঃপতনে নেমে গেছি আমরা!
লেখার সূত্রঃ “ব্লগার করুণাধারা” ও “ব্লগার সোহানাজোহা” এর কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এটা লেখা হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকাশিত সংবাদ পত্রপত্রিকা/সোসাল মিডিয়া থেকে।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর ২০২০
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: দারুন বলেছেন।
আমার কথা হচ্ছে সবকিছুর মধ্যে ধর্ম কে কেন টেনে নিয়ে আসবে? ধর্ম কি এতই সস্তা?
কেউ কিছু করলেই বলা শুরু হয়, ধর্ম গেল, জাত গেল, সমাজ গেল!
নিজেরা কি করে বেড়াচ্ছে সেটা হিসাব কি করে এরা? নিজেরদের অপকর্মের কোন শেষ নেই আরেকজনের ভুল ধরতে যায়!
সবজায়গায় এখন পঁচন ধরেছে। যার ফলাফল এইসব নোংরামী আর ইতরামী।
ভালো থাকুন ভাই, শুভ কামনা রইলো।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১
নতুন বলেছেন:
জ্ঞানী হীন একটা প্রযন্মের কাছে প্রযুক্তি পৌছে গেছে। তাই এরা এই সব তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে সময় কাটায়।
যাদের খেয়ে দেয়ে কাজ আছে তারা এটাতে সময় নস্ট করেনা।
আর সোসাল মিডিয়ার টাকা আয় বাড়ে এমন কিছু চলতে থাকলে, তাই তাদেরও ইন্ধোন থাকে এমন জিনিস ভাইরাল করার পেছনে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ছবি এদের জন্য উপযুক্ত হয়েছে।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশের কিছু লোক মনে করে দেশটা তাদের তাই যা মন চায় তাই করছে। সমাজ পচনের একটু নমুনা লেখাটা । আসুন সচেতন হই ঘুরে দাঁড়াই সুন্দর সমাজ বাসযোগ্য আবাস করি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভালো বলেছেন।
আসলে দেশের মানুষজন সোসাল মিডিয়াতে কিভাবে লিখতে হয় সেটাই জানে না।
আপাদমস্তক উজবুক কিছু মানুষ ফেসবুকের ইজ্জত নষ্ট করে দিয়েছে।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজে তামশা করার ও তামশা দেখার লোকের অভাব নাই। আপনি ভালো বলেছেন -
"কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ এবং রাষ্ট্রীয় অশুভ পৃষ্ঠপোষকতায় মানুষের স্বাভাবিক মূল্যবোধও অতি দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে দেখা যাচ্ছে কাণ্ডজ্ঞানহীন, মাত্রাজ্ঞানহীন, কাজের বাহুল্যতা। ওয়াসার পানির লাইন ঠিক করার জন্য গর্ত খোঁড়া শুরু করলেও সেখানে ভীর জমে যায় দেখার জন্য। "।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: মানুষের রূচি এত নীচে নেমে গেছে যে কোন আরেকজনের ব্যক্তিগত বিষয় সেটাও এখন কেউ বুঝে না।
দূর্নীতি অস্থি রক্ত মজ্জায় ঢুকে গেছে।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
জিকরুল বারী তমাল বলেছেন: কিছু উজবুক কিভাবে রাতারাতি সেলেব্রিটি হয়ে যায় তা দেখেই দেশের মানুষের রুচি-পছন্দ অনুমান করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলে বুঝা যায় ইডিয়টের সংখ্যা কম না। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত।
আপনার লেখা ভালো লাগলো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলে বুঝা যায় ইডিয়টের সংখ্যা কম না। একদম ঠিক কথা বলেছেন।
দুঃখের বিষয়ট হলো এইসব ইডিউটের সংখ্যা খুব দ্রুতই বেড়ে যাচ্ছে।
দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে কোন লাভ নেই। দেশ ইতিমধ্যেই তলানীতে চলে গেছে।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: কর্মমুখীন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যাবস্থা থাকলে এত ঝামেলা হত না । অর্থনীতিতে উচ্চ শিখরে থাকা রাষ্ট্র গুলোতে এসব ঝামেলা নেই কেন ? আমাদের বাঙ্গাল আমেরিকাতেও নিত্যদিন কামলা না দিলে রুটি জোটে না । দেশে অনলাইনের টাকা ভরে দেওয়া হয় হা হা রিঅ্যাক্ট আর বাজে কমেন্ট করতে । লিভিং হার্ড হলে এরাও চুপ মেরে কাজে যাবে । ২০২১ বদলে যাওয়ার সময় । এত তেল শরীরে থাকবে না । এত জোশ ফিকে হয়ে যাবে । করোনা হাতিয়ে নেবে সব ----- সব ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
নীল আকাশ বলেছেন: দুর্দান্ত বলেছেন।
আসল সমস্যা হচ্ছে এই দেশে কাজ করে বাবারা আর ফামিলির বাকিরা বসে বসে খায়। একজনের উপর পাচজন চলে। শিক্ষাব্যবস্থার সেশন জটিলতার কারণ ছাত্র ছাত্রীরা সময় মতো পাশ করে বের হয়ে চাকুরীতে ঢুকতে পারে না।
ঘুষের লোভনীয় দৌরাত্মে ছেলেমেয়েরা সরকারী চাকুরী ছাড়া আর কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না।
এইসব কিছুর জন্য একমাত্র দায়ী হলো সরকার। রাষ্ট্রীয় অশুভ পৃষ্ঠপোষকতা একেই বলে। ইচ্ছে করেই কোমড় ভেঙ্গে রাখছে যেন মাথা তুলে কেউ দাড়াতে না পারে। দাড়ালেই আবরার মতো অবস্থা হবে।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: ফেসবুক বা সোশাল মিডিয়া বাংলাদেশের জন্য না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
এরা কোনভাবেই ফেসবুক ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। সোসাল মিডিয়া কি জিনিস শতকরা ৯৫% মানুষই জানে না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষের হাতে কাজ নেই ।
সময় কাটে না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই সময় কাটানোর অনেক উপায় আছে
ধর্ম নিয়ে আন্দাজে নোংরা আর বাজে মন্তব্য কেন বলবে?
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: নষ্ট সমাজ। নষ্ট মানুষ। তাহলে প্রতিকার কি? আসল সমস্যাটা কোথায়?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আসল সমস্যাটা হচ্ছে মানসিকতায়, রূচিতে।
শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করলেও এইদেশের মানুষের শিক্ষাতেও কোন লাভ হচ্ছে না।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: ফেসবুকে এবং ইউটিউবে গতকাল’কে এসে আজকেই সবাই সুপার-হিরো বনে যেতে চায়। এদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, এইদেশে সবাই সুপার-হিরো, সুপার-হিরোইন এবং মাস্টারশেফের স্পেশালিস্ট শেফ। আর যেভাবে একশ টাকার জিনিস সাতশ টাকায় বিক্রির নামে গলা ফাটিয়ে ফেলে তাতে খোদ ফিলিপ কটলার’ও লজ্জায় মুখ লুকাতেন।
দারুন বলেছেন। ফুতপাত থেকে কিনে এনে বাসায় বানানো বলে বিক্রি করে অনলাইনে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: এরা হচ্ছে পুরোপুরি লম্পট ধান্দাবাজ এবং আপাদস্তক ধান্দাবাজ লোকজন। ব্যবসার নামে নিরহ লোকজন'কে অবিরত ঠকায় এরা।
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে ব্লগ ছাড়া অন্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কয়েক বছরের জন্য ব্লক করা প্রয়োজন। হাস্যকর শোনালেও প্রয়োজন ন্যাশনাল আইডি ব্যবহার করে আইডি নিয়ন্ত্রন করা। নইলে যে ঘূন পোকা ধরেছে, সেটা কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রজন্মকে খেয়ে ফেলবে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, একদম আমার মনের কথা বলেছেন।
এই মুহূর্তে দেশে আইন করে ফেসবুক এবং ইউটিউব অন্ততঃ পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
কেউ এটা ব্যবহার করতে পারবে না।
আমার বেশ কিছু রিলেটিভ দেশের বাইরে থাকে। এদের অনেকেরই ফেসবুকে একাউন্টই নেই। এরা কি বেঁচে নেই? এদের মধ্যে একজন'কে তো বাংলাদেশের সরকার বক্তিতা দেবার জন্য দাওয়াত করে দেশে নিয়ে আসে।
ইংল্যান্ডের নামকার একজন সার্জন উনি। উনার পরিবারের কেউ ফেসবুকে ব্যবহার করে না।
আগামী প্রজন্মগুলিকে ঘূন পোকার হাতে থেকে, সমাজকে অধঃপতনের হাত থেকে বাচানোর জন্য, এখনই সোসাল মিডিয়ার উপর কাড়াকাড়ি শর্ত আরোপ করা দরকার।
চরম বিরক্ত এবং ত্যক্ত হয়ে এইলেখা লিখেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমরা মানুষ হবো কবে
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: সুস্থ স্বাভাবিক জ্ঞানবোধ যত দিন মানুষের আসবে না, তত দিন এইদেশের লোকজন মানুষ হবে না।
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: এ দেশে বেকার ছেলেমেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক সংখ্যক ছেলেমেয়ে ক্রিয়েটিভ কাজে যুক্ত আছে। তারপরেও একটা বিরাট অংশের হাতে আসলে প্রচুর ফাও সময়। এর সাথে যুক্ত আছে আমাদের নৈতিকতাজ্ঞানের অভাব। বলিউড, হলিউডের কালচারকে অন্ধ অনুকরণের চেষ্টা। বাঙ্গালি হিসেবে আমরা নিজেরাও কম ক্রিয়েটিভ না। সম্পূর্ণ বিনা কারণে একজনকে কিভাবে বিরক্ত করা যায়, ক্ষতি করা যায় তার অনেক উপায় আমরা জানি। সরকার বাধ্যতামূলকভাবে একটা বয়সের ছেলেমেয়েদের যদি বিভিন্ন কাজে যুক্ত করতে পারতো তাহলে ভালো হতো। সরকারি সমাজকল্যাণমূলক কাজগুলোতে কিংবা অফিসে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট, সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেমেয়েরা ইন্টার্ন হিসেবে কয়েক বছর কাজ করবে যার যার একাডেমিক পড়াশোনা অনুযায়ী৷অল্প বেতন দিলেও চলবে। অন্তত পক্ষে যদি এরকম ব্যবস্থা করা যেত, এইচ এস সি পাশের পর সব ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলকভাবে মিলিটারিতে সার্ভিস দিতে হবে দুই অথবা তিনবছর। সেখানে কোন না কোন ইমার্জেন্সি কাজ শিখবে যার যার মেধা ও শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী। সাথে ডিসিপ্লিন। তাহলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এত ভীড় থাকতো না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বাইন মাছ তো এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েই। আর বয়স্ক বাইন মাছ যারা আছেন। তারা ইতোমধ্যে টার্মিনাল পর্যায়ে চলে গেছেন। তাদের আর ভালো করার সুযোগ দেখি না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনার সাথে দ্বিমত করার কোন কারণ নেই। খুব ভালো কছু সাজেশন দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
আসল সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়। সর্ষের মধ্যেই যখন ভুত থাকে তখন সেই সর্ষে দিয়ে ভুত তাড়াবেন কিভাবে?
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এই দুরাবস্থার জন্য একমাত্র সরকার দায়ী। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কে ১০০% দলীয়করণ করে ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ, ভিসি নিয়োগ, হল দখল, মেয়েদের যৌন নির্যাতন ইত্যাদি কোন কাজ সরকার আর তার ছাত্র সংঘটন বাদ রেখেছে বলুন?
এইসবের প্রতিবাদ করবেন, সরকার চেঞ্জ করতে চাইবেন? সেই উপায়ও নেই।
মিডিয়ার এবং জনগনের কন্ঠরোধ করে দেয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করবেন তো বুয়েট ছাত্র আবরারের মতো অবস্থা হবে।
এইসব পার্ভাটরা অধিকাংশই তরুণ,শিক্ষিত এবং বর্তমনা সরকারের বদন্যতায় প্রশ্ন ফাঁস পাশ জেনারেশন।
ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেক আগে থেকেই দেশ থেকে উঠে গেছে। বাকি ছিল মানবিক মূল্যবোধ। এখন মনে হচ্ছে এটাও নাই হয়ে গেছে।
আপনি দেশ নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখতে চাইতে পারেন। তবে আমি অনেক আগেই সেটা করা ছেড়ে দিয়েছি।
শুভ কামনা রইলো।
১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে বিশাল অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত, রাজনৈতিক, সামজিক সমস্যা আছে; যার ফলে, জাতি পেছনে পড়ে গেছে, নিজে পদ্মাসেতু গড়তে পারছে না, মেট্রোরল বানাতে পারছে না: চীন, ভারতীয়রা দেশ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে, কোটী নতুন গ্রেজুয়েট বেকার, দেশের মানুষকে আরবদের ও মালয়দের কাজ করতে হচ্ছে সস্তায়।
আপনি আসল সমস্যা বুঝেন না, ছোটখাট লিলিপুটিয়ান ব্যাপার নিয়ে চীৎকার দিচ্ছেন; আপনার ও আপনার মতো লোকদর ভাবনাচিন্তাই জাতির জন্য ভয়ংকর সমস্যা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: ফার্মের মুরগীর মগজে যে এইসব বিষয় ঢুকবে না তাতে অবাক হবার কোনই কারণ নেই।
পোস্ট না পরে আন্দাজে কাউকাউ করা কারো কারো অনেক পুরাতন অভ্যাস।
১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
মহাজ্ঞানীর আবির্ভাব ঘটেছে তাহলে এতক্ষনে! লিলিপুটিয়ানরা সব সরে যাও!!!!!!!!!!!!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১১ নং কমেন্ট এ সহমত।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: ভাইরে,
এই চীজ মহাজ্ঞানী নয়, আদতে মহামূর্খ। নিজের জ্ঞানের স্বল্পতা ঢাকার জন্য সব জায়গায় উলটাপালটা মন্তব্য করে বেড়ায়।
একে পাত্তা দেয়ার কোন কারণ নেই।
লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭
আমি সাজিদ বলেছেন: শাহ আজিজ সাহেব, কা_ভা ভাই, কল্পদ্রুম ভাইয়ের সমাধান সমাধানের বিষয়টা পছন্দ হয়েছে৷
১) কর্মমুখী শিক্ষা৷
২) সরকারী প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েশনের এক পর্যায়ে ইন্টার্ন করার ব্যবস্থা করা।
৩) হয় মিলিটারি ট্রেনিং অথবা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স বাধ্যতামূলক করা।
৪) ২০ বছরের আগে ফেসবুক নয়। ইউটিউব নয়। এন আই ডি ছাড়া ইন্টারনেট নয়। ( এইটা উভয় করাত হিসেবে ব্যবহার হবে এই রাজত্বে)
৫) শিক্ষামূলক কনটেন্টগুলো যেমন খান একাডেমী বা ভিডিও টিউটেরিয়ালগুলো স্কুলে স্কুলে কম্পিউটারে, ডিভিডিতে সহজলভ্য করা। তাহলে অনেকের স্মার্টফোন কেনার অজুহাতটা কমিয়ে দিবে।
আরও আলোচনা হোক।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফেরার জন্য লজ্জিত। খুব ব্যস্ত ছিলাম এই কয়দিন।
আপনার সৃজনশীল মন্তব্য এবং সাজেশনগুলি খুব সুন্দর হয়েছে।
দেশে এত উচ্চ শিক্ষিত বেকারের কোন প্রয়োজন নেই।
কর্মমুখী শিক্ষার হার অনেক বাড়িয়ে দিতে হবে। গ্রাজুয়েশন এর হার সংকুচিত করে আনতে হবে।
২০ বছরের আগে ফেসবুক নয়। ইউটিউব নয়। এন আই ডি ছাড়া ইন্টারনেট নয়। পারফেক্ট বলেছেন। শতভাগ একমত আপনার সাথে। আসলে এখন ফেসবুকের নামে যা হচ্ছে তাতে দেশে অন্ততঃ ৫ বছরের জন্যসব ধরণের সোসাল মিডিয়া বন্ধ রাখা দরকার।
তবে দুঃখের বিষয় হলো সরকার এই ভাল ভাল চিন্তাগুলিতে ভুলেও মাথা ঘামাবে না।
এরা আছে লুটপাট আর দূর্নীতিতে। দেশ রসাতলে যাক কিন্তু নিজের পকেট ভরলেই হলো!
১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
আমি সাজিদ বলেছেন: চাঁদগাজীর কমেন্টে একটা অংশ সত্য। নিচের বাজে কথাটা বাদ দিয়ে প্রথম অংশটা নিয়ে যদি বলি - আমরা ধারের টাকায় নিজের ঘর বাড়ি সাজাচ্ছি, যা হচ্ছে তা মোটেও উন্নয়ন নয়। জেলায় জেলায় ইচ্ছে মতো ইউনিভার্সিটি বানানো মানেই উন্নয়ন নয়। প্রচুর গ্রাজুয়েট বেকার। অনেকে গ্রাজুয়েশনের পর দুই আড়াই বছর নষ্ট করে শুধু চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই। পোশাক শিল্প ও দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় ফুর্তি করা বেহায়াদের কাজ। আগে একজন বিশ্ববেহায়া ছিল দেশে, সে আমল দেখিনি। এখন একপাল বিশ্ববেহায়া হাসে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: ১। ইউনিভার্সিটি বানানো এখন বিরাট ব্যবসা।
২। ধারের টাকায় নিজের ঘর বাড়ি সাজাচ্ছি, বিদেশে পাঠাচ্ছি। ভবিষ্যতের আখের গুছাচ্ছি।
৩। একপাল বিশ্ববেহায়ার সংখ্যা এখন লিনিয়ার নয় প্রগ্রেসিভ হারে বাড়ছে, চেতনার পোষাক গায়ে দিয়ে।
১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশকে নিজেদের বাজার বানায়েছে; তারা প্ল্যান করে মানুষকে শিক্ষা থেকে দুরে রাখছে, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির "ফি" এত বেশী করেছে যে, দেশের প্রেসিডেন্টও সেই ফি যোগাড় করতে চুরি করতে বাধ্য হবে।
আপনি, আপনার মতো লোকেরা মাদ্রাসার সাপোর্টার, আপনারা বিনা-পেশার জংগী ও আধা-জংগী পেশার লোক সৃষ্টি করে দেশে তালেবানদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের মডেলে নেয়ার জন্য কাজ করছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সমস্যা হচ্ছে মানসিক।
তবে দীর্ঘদিন চিকিতসা না করানোর কারণে এটা এখন ক্রনিক হয়ে গেছে।
মনে হচ্ছে না আর কখনও এটা ভালো হবার কোন চান্স আছে।
১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ও আপনার মতো লোকেরা নিজেরা পড়েন ইন্জিনিয়ারিং, ডাক্তারী; আর গরীবের ছেলেদের জন্য আপনারা হাট হাজারী মাদ্রাসা সাপোর্ট করেন; আপনারা তালেবান বুদ্ধিজীবি।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: নির্বোধরা সারাক্ষণ উলটা পালটা বলে বেড়ায় কেন জানেন?
কারণ তারা বুঝেই না কি বিষয়ে তারা কথা বলেছে!
বুঝলে তারা নির্বোধ হতো না।
২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
আমি সাজিদ বলেছেন: মুরব্বী আমার দলে আসুন, আমি ফ্রি এডুকেশন দিবো। সবচেয়ে বেশী বরাদ্দ থাকবে শিক্ষা খাতে। সরকারী চাকরিজীবিদের বেতন থাকবে সাধারন চাকরিজীবি মানুষের মতো। নতুন নতুন বিষয় সৃষ্টি করে কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার আমি করছি। আমার দলের আমেরিকা শাখার উপদেষ্টা হতে ইচ্ছুক থাকলে মেনশন দিয়ে জানান। @চাঁদগাজী সাহেব।
২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
@আমি সাজিদ
আপনি বলেছেন, "মুরব্বী আমার দলে আসুন, আমি ফ্রি এডুকেশন দিবো। সবচেয়ে বেশী বরাদ্দ থাকবে শিক্ষা খাতে। "
-আপনার দলে আছি; আপনার দল আছে কিনা?
২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
আমি সাজিদ বলেছেন: পরিকল্পনায় আছে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: সুস্থ আছেন ভাল আছেন। মানসিকভাবে অসুস্থদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
এতদিন ধরে ব্লগে আছেন, লোক পেলেন না আর?
২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭
আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন: বর্তমান সমাজের নষ্ট ছবি তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।
দেশের সমাজ ব্যবস্থার যা অবস্থা তাতে যত লুকাছাপা করেই ছবি তুলি না কেন, নোংরা আর নষ্টই আসবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় পুরো দেশ বোধহয় পারভার্ট দিয়ে ভরে গেছে, মহিলাদের নিয়ে ভাবাই এদের একমাত্র কাজ; মহিলারা কিভাবে চলল, কী পোশাক পরল, কী বলল এসব নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করে, সেই মহিলার বয়স ৫ (সাকিবের মেয়ে) বা ৫৫ যাই হোক না কেন। কিছুদিন আগে দেখি এক উচ্চপদস্থ বয়স্ক মহিলার শাড়ির সংখ্যা গণনা করছে পাবলিক! তারপর হোল কেন সাজগোজ করে মটরসাইকেল চালাবে তাই নিয়ে। এরপর এল কেন বোরকা পড়ে মহিলা খেলবে সেই আলোচনা...
এই আলোচকদের নিয়ে একটা সার্ভে করা দরকার, এদের বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কী! আমার ধারণা এদের অধিকাংশই তরুণ,অশিক্ষিত, বা প্রশ্ন ফাঁস পাশ শিক্ষিত। এরা ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না, পারে কেবল মহিলাদের দোষ ধরতে। দেশের তরুণ প্রজন্মের যদি এমন অধঃপতন হয়, তাহলে দেশে উন্নয়নের আশা করি কী করে!!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
সোহানাজোহার পোস্টে আপনার মন্তব্যের প্রক্ষিতেই এটা লেখা হয়েছে।
সাকিবের মেয়ে কে পাটক্ষেত নিয়ে নোংরা কমেন্টগুলি এসেছে সেটা দেখলেই বুঝা যায় কতটা নোংরা এইদেশে মানুষ।
এইসব লোকজন সবকয়টা সেক্সচুয়ালী পার্ভাট পারসন।
অবাক ব্যাপার হচ্ছে এরা সবাই কিন্তু শিক্ষিত। অশিক্ষিত লোকজন এই মন্তব্য করে না।
এরা অধিকাংশই তরুণ,শিক্ষিত এবং বর্তমনা সরকারের বদন্যতায় প্রশ্ন ফাঁস পাশ জেনারেশন।
ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেক আগে থেকেই দেশ থেকে উঠে গেছে। বাকি ছিল মানবিক মূল্যবোধ। এখন মনে হচ্ছে এটাও নাই হয়ে গেছে।
আপনি দেশ নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখতে চাইতে পারেন। তবে আমি অনেক আগেই সেটা করা ছেড়ে দিয়েছি।
শুভ কামনা রইলো।
২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদল অশিক্ষিতের হাতে প্রযুক্তি বড্ড অসহায় আজ! এই যে ভাইরাল আর সেলিব্রেটি এক প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, এদের সাজসজ্জা র বাহার থাকলে খুব সহজেই এদের মনের জীর্ণ শীর্ণ তা চোখে লাগে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
এরা মোটেও অশিক্ষিত নয়। শিক্ষার এদের কোন অভাবে নেই। যেই ধরণের মন্তব্য বা লেখা এরা পোস্ট করে তাতে এদের অল্প শিক্ষিতও মনে হয় না।
এরা আসলে পার্ভাট। সোসাল মিডিয়াতে নোংরা কথাবার্তা লিখে মজা পায়। সবার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চায়।
১১ নাম্বার মন্তব্য এবং প্রতি-মন্তব্য যা বলা হয়েছে সেটাই এখন একমাত্র দরকার।
শুভ কামনা দরকার।
২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: সামাজিক মাধ্যম মানুষকে অসামাজিক করে তুলছে দিনকে দিন। গোটা দুনিয়াতেই ফেইক জিনিস নিয়ে ছড়াছড়ি, মাতামাতি এখন বেশিই ঘটছে। উন্নত বিশ্বও বাদ নেই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: এর মূল কারণ হচ্ছে ভন্ডামী এবং নোংরামী।
বেশিরভাগ মানুষের সোসাল মিডিয়ার চরিত্র এবং আসল চরিত্র বিপরীত।
অনেকেই আবার মেয়েদের নিক নেম নিয়ে নোংরামী করে বেরায়।
২৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবুজ রঙের পোশাক পরা দলবল নিয়ে মোটরবাইকে ভুয়া ৩ বছর বিবাহিতা হয়ে কনে সেজে থাকা মেয়েটির 'ভিডিও তামাসা' - তৈরি করা প্রি-প্ল্যান্ড একটা ঘটনা। কিছু গাধা নারীবাদি সমর্থকদের লাফানোর জন্য তৈরি করা,
পক্ষে বিপক্ষে হাজারে হাজারে লাখে লাখে, খুচরা মোবাইল ডাটা কিনতে খরচ গেলে যাক, তবুও লাফাতে হবে।
মাঝখানে চক্রটির ইউ টিউব হিট হাদিয়া হাসিল হলো।
সম্প্রতি বোর্খা পরিহিতা মা ছেলেকে দিয়ে ক্রিকেট বল দিয়ে অভিনয় করিয়ে এমন ভাব যে এই ঘটনার আগে কোন মা বাচ্চাকে স্কুলে বা খেলার মাঠে নিয়ে কোন বল ছুড়ে দেয় নি। মানে ইতিহাসে এই প্রথম একজন মা ক্রিকেট খেলছে।
মা ছেলের ভালবাসা এটাই প্রথম। আফগান বোর্খা পরিহিতা "এই মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা" এধরনের কমেন্টে ফেবু-ব্লগ সয়লাব হয়েছিল ৪-৫ দিন।
এটি তৈরি করেছিল মেয়েটির মত সাধারন এমেচার কেউ না, একটি বড় মিডিয়া হাউস। কর্পোরেট বেনিয়াদের তৈরি নারীকে বস্তা বন্দি প্রমট করার ফরমায়েসি বিজ্ঞাপন ছিল সেটা।
নির্বাচনের পরদিন একটি টিকটক ভিডিও "খুশির ঠ্যালায় .. ঘোরতে .." সেটাও বানোয়াট ছিল, ৩ বছর আগে তৈরি করা।
চালাকরা তৈরি করে সময় মত ছাড়ে, আর সাধারন মানুষ সবকিছু রিয়েল মনে করে লাফায়।
বর্তমানে পৃথিবীর সব চেয়ে অথর্ব, ভুতুরে নেশাগ্রস্ত 'সময়' বিরাজ করছে বাংলাদেশে।
শিক্ষিত বুঝদার মানুষরাও নিজেদের মগজ হারিয়ে ফেলছে। মানবতাকে অন্ধকারে নেয়ার প্রতিযোগিতা চলছে।
বুদ্ধি বিবেক সব হারিয়ে চতুর অসুভ চক্রের অধীনে সবাই অন্ধ পুতুলের মত নেচে চলেছে। নেচেই চলেছে ...
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল ভাই,
বর্তমানে পৃথিবীর সব চেয়ে অথর্ব, ভুতুরে নেশাগ্রস্ত 'সময়' বিরাজ করছে বাংলাদেশে।
এর চেয়ে দারুন কথা আর হতে পারে না। আমার একদম মনের কথাই বলে দিয়েছেন আপনি। আমার পুরো লেখার শান-ই-নযুল এটাই!!! অভিনন্দন আপনাকে।
আমি তো লিখেই দিয়েছি মোটর বাইক চালানো মেয়েটার ঘটনা পুরোপুরি সাজানো। ছাগল জাতি এর হাস্যকর কাহিনী দেখার জন্য গিগাবাইট ডাটা খরচ করেছে।
"বোর্খা পরিহিতা মা ছেলেকে দিয়ে ক্রিকেট বল দিয়ে অভিনয়" এটা নিয়েও লিখব এই কার্টুন জাতির কান্ড কারখানা নিয়ে। অপেক্ষা করুন।
ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেক আগে থেকেই দেশ থেকে উঠে গেছে। বাকি ছিল নূন্যতম মানবিক মূল্যবোধ। এখন মনে হচ্ছে এটাও নাই হয়ে গেছে। এরা এখন শুধুই জোকারদের মতো!
শুভ কামনা রইলো।
২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: চুরি-দুর্নীতির সাথে সাথে পরচর্চা-পরনিন্দা ছাড়া বাংলাদেশের লোকের কোন কাজ নাই।
তাই কোনো উন্নয়নও নাই দিন দিন সবদিকে অধ:পতনে যাওয়া ছাড়া।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভালো বলেছেন। আহমেদ ছফা তো এটাই বলে গিয়েছেন।
শুধু নিজের উন্নয়ন ছাড়া আর কেউ কিছু বুঝে না।
২৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: ফেবুতে পার্ভাট পুরুষদের পরিমান দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এদের নিয়ে বেশ ভালো লিখেছেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
আসলেও ফেবুতে পার্ভাট পুরুষদের পরিমান দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, আশংকাজনক হারে।
৩০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টগুলো মোল্লাদের মতো, ঘুরেফিরে মেয়েদের টেনে আনেন, ইহা আপনার বেলায় কাজ করছে; ব্লগের মোল্লারা উৎসাহিত
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ধারণা ছিল এইসব পার্ভাটরা এই দেশেই বাস করে।
কিন্তু কিছু মন্তব্য পড়ার পর মনে হচ্ছে কিছু পার্ভাট বিদেশেও এক্সপোর্ট হয়েছে।
৩১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে সুস্থ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকা যাবে না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২
নীল আকাশ বলেছেন: এইসব পার্ভাটদের মাঝে সুস্থ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকবেন কিভাবে?
৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
লেখাটি সমাজের কুৎসিত মনমানসিকতাকেই তুলে ধরেছে।
এই অশিক্ষিতদের দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যে অস্বাভাবিক ভাবে অসামাজিকতা ছড়াচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
জ্ঞানী হীন ও বুদ্ধি-বিবেচনা প্রতিবন্দী একটা প্রজন্মের কাছে যখন সস্তায় প্রযুক্তি পৌছে যায় তখন সমাজ ও মানুষের চিত্রটা এমনই হওয়ার কথা , হয়েছেও।
৬ নম্বর প্রতিমন্তব্যে সত্যিকারের ছবিই তুলে ধরেছেন।
সেজন্যেই ওয়াসার পানির লাইন ঠিক করার জন্য গর্ত খোঁড়া শুরু করলেও সেখানে ভীড় জমে যায় দেখার জন্য। কাজ না থাকলে যা হয়, আর কি । সেজন্যে কল্পদ্রুম এর মন্তব্যের কথাগুলো বিবেচনার দাবী রাখে।
আর সবচেয়ে আসল কাজের কাজটি হবে কাল্পনিক_ভালোবাসার এই সুপারিশটি - বাংলাদেশ থেকে ব্লগ ছাড়া অন্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কয়েক বছরের জন্য ব্লক করা ।
কথায় আছে "অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা"। আমাদের মস্তিষ্ক শুধু অলসই নয় সেখানে গোবরেও ভরা। এই গোবরে কিছু জন্মানোর কথা নয়। সুতরাং যাদের (রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ) এই সব নিয়ে ভাবার কথা , তাদের মাথা থেকেও নতুন কিছু বেরুনোর কথা নয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
আমি আসলে খুব হতাশ। মানুষজন যে অশিক্ষিত ব্যাপারটা তা নয়। শিক্ষা সবার ভিতরের আলো জ্বালার কথা থাকলেও কেন যেন এদের কোন পরিবর্তন আনতে পারে নি।
সোসাল মিডিয়া কি জিনিস শতকরা ৯৫% মানুষই জানে না। এরা বুঝেই না সোসাল মিডিয়া আসলে কি? যে যত নোংরা কথা, অসভ্য আচরণ করতে পারে সেটাকেই বাহাদুরি মনে করে। এদের ভয়ে মেয়েরা নিজের ছবি দিতেও দ্বিধা করে।
বাংলাদেশ থেকে ব্লগ ছাড়া অন্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অন্ততঃ পাঁচ বছরের জন্য ব্লক করা এখনই দরকার।
কথায় আছে "অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা"। আমাদের মস্তিষ্ক শুধু অলসই নয় সেখানে গোবরেও ভরা। এই গোবরে কিছু জন্মানোর কথা নয়। সুতরাং যাদের (রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ) এই সব নিয়ে ভাবার কথা , তাদের মাথা থেকেও নতুন কিছু বেরুনোর কথা নয়। আমার ধারণা এরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা দেখেও এড়িয়ে যায়। মানুষ এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সরকারের কাজের সমালোচনা নিয়ে আলাপ করবে কম।
শুভ কামনা রইলো।
৩৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৪
আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন: একক ব্যক্তি যেমন সমাজ নষ্ট করতে পারেন না তেমনি একক ব্যক্তি বা ব্যক্তি উদ্যেগ সমাজ পরিবর্তনও করতে পারেন না। সমাজ নষ্ট বা ভালো করার জন্য একটি বৃহত্তর জনগোষ্টি প্রয়োজন। বর্তমান বাংলাদেশে বৃহত্তর জনগোষ্টিকে পরিবর্তন করা অসম্ভব বিষয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: চমতকার মন্তব্য।
এই কারণেই দরকার জনসচেতনতা। এছাড়া কোনভাবেই বাংলাদেশে বৃহত্তর জনগোষ্টিকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
অল্প দুইজন চিৎকার চেচামিচি করে কোন লাভ হবে না।
ধন্যবাদ।
৩৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫০
রামিসা রোজা বলেছেন:
মননশীল ও গঠনশীল লেখা ।
আমি চাই আমাকে নিয়ে লোকে মাতামাতি করে হাসাহাসি
করুক সেখানে লোকের কি দোষ ? তদ্রূপ ধরুন ,
আমাদের সমাজের একশ্রেণীর লোক-ই আছে যারা
সমালোচনা প্রিয় । আর ধর্ম কোন সস্তা বিষয় নয়,
চাইলে মনগড়া হাদিস বা নিয়ে যা তা বলে ফেললাম।
তবে এটা ঠিক মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে ধর্ম ও বিবেককে
মনে ধারণ করতো তাহলে আজ সমাজ এই অবস্থায় পরিণত
হতো না ।
ভালো একটি বিষয় নিয়ে চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন,
ধন্যবাদ ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে প্রথমেই সুস্বাগতম।
দুইটা বিষয় তুলেছেন আপনি।
১) কেউ যদি জোকার হয় এবং নিজেকে জোকারের মতো উপস্থাপন করে তাহলে বুঝতে হবে এর পিছনে তার কোন দূরভিসন্ধি আছে। সুনির্দিষ্ট কার্যকারণ ছাড়া কেউই কিছু করে না। একমাত্র পাগল ছাড়া।
বাইকার ফারহানা যা যা করেছে এবং যারা তাকে প্রোমট করেছে তাদের একটা প্ল্যান ছিল এবং সেভাবেই সেটা এক্সিকিউট করেছে।
২) ধর্মীয় বিষয়গুলি নিয়ে আমাদের দেশে ভণ্ডামী দিন দিন অনেক বেশি হারে বেড়ে যাচ্ছে। নিজেরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে, নোংরামী করবে, ঘূষ খাবে, সেটাতে সমস্যা নেই, জিজ্ঞেস করলে অনেক ছুতা দেখাবে।
কিন্তু আরেকজনকে উপদেশ দেবার সময় এরা সবাই ফতোয়াবাজ হয়ে যায়।
গোড়ায় গলদ থাকেলে যা হয় আর কি?
মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে ধর্ম ও বিবেককে মনে ধারণ করতো তাহলে আজ সমাজ এই অবস্থায় পরিণত হতো না।
আদতে এরা ধর্ম নিয়ে কোন পড়াশুনা করে না এবং ঠিক মতো জানেও না। চিল কান টেনে নিয়ে গেছে আর সবাই সেটার পিছনে দৌড়াচ্ছে, এটাই এখন প্রচলিত।
দেশের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে আমার ব্লগে আরো বেশ কিছু লেখা আছে। পড়ার আমন্ত্রণ দিলাম আপনাকে।
বিশেষ করে এটা "ডাঃ সাবরিনা শারমিন হোসাইনঃ একটা নষ্ট পঁচা ঘূঁণে ধরা সমাজ ব্যবস্থার বাস্তব নির্লজ্জ আস্ফালন" ।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২১
সোহানী বলেছেন: চমৎকার লাগলো আপনার বিশ্লেষন।
আসলে কি জানেন, আমাদের অগাধ সময় হাতে। বাবার হোটেল খাই আর ফেইসবুক করে বেড়াই। চিন্তা ভাবনা নাই, কাজ নাই তাই এ ছাড়া আর কি করবে!!! এতো দিনে বিদেশের মাটিতে থেকেও দেখি নাই এ ধরনের কিছু ভাইরাল হতে। হাঁ ভাইরাল হয় তবে ফালতু কোন বিষয় না।
জুকারবার্গ, একটা কাজের কাজ করেছে বাঙ্গালীরে সময় কাটানোর খেলনা তুলে দিয়েছে
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: ব্যস্ততার জন্য দেরি করে ফিরলাম।
আমাদের হাতে নয় কিছু মূর্খ এবং নির্বোঢের হাতে অঢেল সময়। এরা সোসাল মিডিয়া কি জিনিস জানেও না বুঝেও না।
পরিবারের একজন রোজগার করে আর বাকিরা বসে বসে খায়।
দেশে ভাইরাল করা এবং ভাইরাল বানানো এখন প্ল্যান্ড করে হয়। এ্যাডের মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করে। নির্বোধ লোকজন সেটা না বুঝে শেয়ার, লাইক, কমেন্ট করে কিছু কিছু সুযোগ সন্ধানীদের পকেট ভারী করে।
এই মুহূর্তে দেশে আইন করে ফেসবুক এবং ইউটিউব অন্ততঃ পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
কেউ যেন এটা ব্যবহার করতে না পারে।
আগামী প্রজন্মগুলিকে ঘূঁণেপোকার হাতে থেকে, সমাজকে অধঃপতনের হাত থেকে বাচানোর জন্য, এখনই সোসাল মিডিয়ার উপর কাড়াকাড়ি শর্ত আরোপ করা দরকার।
চরম বিরক্ত এবং ত্যক্ত হয়ে এটা লিখেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
৩৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই,
মানুষের মনুষ্যত্ববোধ , জ্ঞান , বিবেক ও শিক্ষার মর্ম
নিজেরাই যদি হারিয়ে ফেলেনএকজন শিক্ষিত ব্যক্তি নিজেই সেখানে আর বলার কিছুই থাকেনা।আর যার কোন ধরনের
কোন শিক্ষাই সেখানে আপনি তাকে কী বলবেন সে যত
অপকর্ম করুক না কেন ?
কেউ বুঝে করে আর কেউ না বুঝে করে আসলে কিন্তু
তা না এসব মানুষ ইচ্ছে করে করছে যেমন : ফারহানা।
বাংলাদেশ আর যেকোন আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা
বা সমালোচনা একটু হবেই ।তাই বলে সব কিছুতেই ধর্মকে
নিয়ে বাড়াবাড়ি বা টানাটানি করাটা যারা ধর্ম সম্পর্কে কম
জানে তারাই করে।
চমৎকার করে বিশ্লেষণসহ প্রতিটি বিষয়ে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন।
অসুস্থ ছিলাম তাই মন্তব্য করতে একটু দেরি হয়ে গেলো।
ভাল থাকুন ভাই, ধন্যবাদ ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২
নীল আকাশ বলেছেন: কেমন আছেন এখন?
আমাদের দেশে এখন সোসাল মিডিয়াতে কোন কিছু ভাইরাল করা এবং ভাইরাল বানানো এখন প্ল্যান্ড করে করা হয়। এ্যাডের মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করে এইকাজ করা হয়। নির্বোধ লোকজন সেটা না বুঝে শেয়ার, লাইক, কমেন্ট করে কিছু কিছু সুযোগ সন্ধানীদের পকেট ভারী করে।
ফারাহানার কেস ঠিক তাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে বেকুব লোকজন সেটা না বুঝেই হাম্বা হাম্বা করছে কেন? কিছু হলেই এর মধ্যে ধর্মকে টেনে আনে কেন? অশিক্ষিত হলেও বুঝতাম, এর অশিক্ষিত নয়। এরা নির্বোধ এবং বেকুব। এবং মন মানসিকতা প্রচন্ড রকমের নোংরা। এদের মন্তব্য পড়লেই বুঝা যায় কতটা বিকৃত এদের রূচি।
দেশে এখন সোসাল মিডিয়া বন্ধ না করলে এইসব নোংরা কাজ দিন দিন বেড়েই যাবে। সরকার এবং জনগন সবাইকেই এই ব্যাপারে এখন সচেতন হতে হবে।
ধন্যবাদ।
৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৪
নাসরিন ইসলাম বলেছেন: সত্যি কী ভালো লিখলেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্যের অনেক অনেক ধন্যবাদ। নিয়মিত আমার ব্লগ বাড়ীতে পড়ার আমন্ত্রণ দিচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
নতুন বলেছেন: জ্ঞানী হীন একটা প্রযন্মের কাছে প্রযুক্তি পৌছে গেছে। তাই এরা এই সব তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে সময় কাটায়।
যাদের খেয়ে দেয়ে কাজ আছে তারা এটাতে সময় নস্ট করেনা।
আর সোসাল মিডিয়ার টাকা আয় বাড়ে এমন কিছু চলতে থাকলে, তাই তাদেরও ইন্ধোন থাকে এমন জিনিস ভাইরাল করার পেছনে।