নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী আর কত দিন করে যাবেন?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪


*** নাস্তিক এবং অমুসলিমদের এই পোস্ট এড়িয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ***


আপনি কী নিজেকে মুসলিম মনে করেন?
আপনার ধর্ম কি ইসলাম?


আপনি কি জানেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাত্র কিছুদিন আগে, চলতি মাসের প্রারম্ভেই সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নূন্যতম শিষ্টাচার না মেনে এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম এবং প্রধান ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছু চরমতম ঘৃণাবাক্য উচ্চারণ করেছেন। তিনি ‘ইসলাম’কে সমগ্র পৃথিবী’র জন্য ‘সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কেউ যদি মনে করেন এটা হুট করে হয়েছে, সেটা ভুল ধারণা। ফ্রান্সের ইসলাম বিরোধী এইসব আচরণ নতুন কিছু নয়, সেই ক্রুসেডের সময় থেকেই এরা ইসলামের নামে প্রোপাগান্ডা এবং ধংসাত্মক আচরণ করে যাচ্ছে। আরো কয়েকবছর আগে ২০১৫ সালের দিকে এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে পরিমার্জনের আলাপ তুলে ‘মৌলবাদী ইসলাম’ নাম দিয়ে মূলত মূলধারার ইসলামের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্য ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র কথা বলেছিল। সুতরাং এখন প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোন যা বলেছেন সেটা ধারাবাহিক ঘোষণা। প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোন সারা ফ্রান্স জুড়ে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কিছু ব্যঙ্গচিত্র প্রর্দশনের রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা করেছেন। বাক স্বাধীনতার অর্থ এটা নয় যে, সেটা অন্য মানুষজনের একান্ত পবিত্র ধর্ম বিশ্বাস’কে আঘাত করবে। ভব্যতা এবং বাক স্বাধীনতার নামে এই পাশ্চাত্য দেশগুলি যে শুধুই ফাঁকা বুলি আওড়ায় সেটা এবার প্রকাশ্যভাবেই প্রমাণিত হলো।

কিন্তু এইবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট যা করেছে সেটা আগের সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোন সরাসরিভাবে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে আক্রমন করেছে। মুসলিম হিসেবে সারা বিশ্বের প্রায় সব জায়গা থেকেই এই সুতীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদ উঠবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিটা মুসলিমের জন্য এই প্রতিবাদ করা অত্যাবশ্যকীয়। যদি তার মধ্যে বিন্দুমাত্রও ইসলামের কিছু অবশিষ্ট থাকে!

কিছু কিছু মুসলিম নামধারী কপট মুনাফিকদের ঠিক এই সময়ে আসল মুখোশধারী চেহারা এবার প্রকাশ পেয়েছে। এই জঘন্য নিন্দনীয় আচরণের প্রতিবাদ তো এরাই করছেই না বরং উল্টো মানুষজন’কে বুঝানো চেষ্টা করছে প্রতিবাদ না করার। এরা মুনাফিক। পবিত্র কুরআন শরীফে এবং সহী হাদিস গ্রন্থগুলিতে এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকদের ব্যাপারেই আমাদের সদা সর্তক থাকার জন্য বার বার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইসব মুনাফিকরা মহানবীর আমল থেকেই ছিল এবং কিয়ামতের আগ পর্যন্ত থাকবে। এদের পূর্ব পুরুষরাই সাহাবীদের বিভ্রান্ত করেছে, তাবঈ, তাবঈ-তাবেঈন বিভ্রান্ত করেছে এবং এরা এখনও তাই করছে। এটাই এদের স্বভাব।
ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী করা এদের রক্ত অস্থিমজ্জার সাথে মিশে আছে।
এরাই মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ ইবন উবাইয়ের বংশধারা………………………

এই লেখাটা পড়ার সময় অনেকেই হয়তো বলে উঠবেন, আমরা তো মুনাফিক না।
কেন আমাদের মুনাফিক বলছেন?

উত্তর খুব সোজা, কারণ নামে মুসলমান কিন্তু হৃদয়ে ঈমান নেই। আপনার পরিচয় কি তাহলে?

যেই হৃদয়ে রাসূলে করীম সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের জন্য ভক্তি আসে না, তার অপমানে কান্না আসে না, ঘৃণা জাগ্রত হয় না, তাতে প্রকৃতপক্ষে ঈমান থাকার প্রশ্নই উঠে না। মূমীনের জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহব্বতের গুরুত্ব অপরিসীম। মহব্বতে রাসূল তো ঈমানের রূহ, মূমীনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁর জন্য ঈশক এবং মোহব্বত ছাড়া না ঈমানের পূর্ণতা আসবে না, ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভূত হবে না।

শুধু তাঁকে ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, বরং পার্থিব জীবনের সমস্ত কিছুর উপর এই ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং তাঁর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে সেই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে হবে। ঈমানের স্বাদ সেই পাবে, যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসা সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে থাকে।

হযরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে। ১) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার নিকট অন্য সবকিছুর চাইতেও অধিকতর প্রিয় হওয়া…………..” (সুত্রঃ সহী বুখারী শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৬/১ম খন্ড, ২১, ৬০৪১, ৬৯৪১, সহী মুসলিম শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৫/১ম খন্ড, আহমদ ইবন হাম্বাল ১২০০২)


হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “সেই আল্লাহর শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের মধ্যে সে প্রকৃত মূমীন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা এবং সন্তানাদির চেয়েও অধিক ভালোবাসার পাত্র হই”। (সুত্রঃ সহী বুখারী শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৪/১ম খন্ড)


এটা শুধু নীতিবাক্যই নয়। সকলের উপর, সবকিছুর উপর প্রাধান্য দিতে হবে আল্লাহ’কে, আল্লাহর রাসূলকে, এমনকি নিজের প্রাণের উপরও। শুনুন হযরত উমর ইবন খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহুর ঘটনা। আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্নিতঃ
“একদিন আমরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। নবীজী উমর রাদিআল্লাহু আনহুর হাত ধরা ছিলেন। উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জান ছাড়া আপনি আমার কাছে সবকিছু থেকে প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, যার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম! তোমার কাছে আমি যেন তোমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় হই। তখন উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ আল্লাহর কসম, এখন থেকে আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ উমর! এখন তুমি সত্যিকারের ঈমানদার হলে। (সূত্রঃ সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড হাদীস ৬৬৩২)


যেখানে প্রত্যেক মুসলিমের নিজের জানের চেয়েও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি প্রিয় হবার কথা, সেখানে এই মুনাফিকরা নবীজী অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নিষেধ করে।
এই নোংরা কটুক্তি এবং ব্যঙ্গচিত্রগুলির কথা শুনে আমাদের হৃদয় যেখানে ভেঙ্গেচূড়ে চুরমার হয়ে যায়, সেখানে এইসব ভণ্ড মুনাফিকরা চুপ করে থেকে আত্মতৃপ্তি পায়।

এই পৃথিবীর বুকে পদচারণ করে যাওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কাফিররা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও কটুক্তি করেছে। কাফিরদের পক্ষ থেকে এরূপ ভয়াবহ অপরাধ এটাই প্রথম নয়, বরং এটা তাদের পূর্বতন বয়ে আসা স্বভাব, ইসলামের সূচনা লগ্ন থেকেই চলে আসা একটি নোংরা সংক্রামিত রোগ।

কিন্তু এই রোগ কি ইসলামের লেবাসধারী এই ভণ্ডদের মাঝে আসবে?
উত্তর হলোঃ আসবে, কারণ এইসব লেবাসধারীরা আদতে মুনাফিক এবং মুনাফিকদের চরিত্র সবসময়, যুগ যুগ ধরেই একই রকম।

এইসব মুনাফিকরা সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন লেখাতে এই ঘটনাগুলি এড়িয়ে যেতে বলে, ধৈর্য্য ধারণের কথা বলে, মাফ করে দিতে বলে, যার প্রতিটাই ইসলামের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। কারণ, রাসূলে করীম সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের প্রতি কোন অবমাননার ক্ষেত্রে দু’ধরনের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়ঃ
১) আল্লাহর অধিকারঃ আল্লাহর অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সুস্পষ্ট; কারণ এক্ষেত্রে তাঁর আয়াত, তাঁর কিতাব এবং তাঁর নাযিলকৃত ধর্মের উপর নিন্দা আরোপ করা হচ্ছে।
২) বান্দার অধিকারঃ বান্দার অধিকারের বিষয়টিও সুস্পষ্ট; কারণ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে অপমান করা, তাঁর উপর মিথ্যা আরোপ করার শামিল। এক্ষেত্রে আল্লাহর হক্ব এবং বান্দার হক্ব উভয়ই জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে অপরাধী ব্যক্তি তওবা করলেই বান্দার হক্ব লঙ্ঘনের শাস্তি মাফ হয়ে যায় না।

এদের অনেকেই আবার বলে বেড়াচ্ছেন, “আমরা কি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি না? কারণ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় তো অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন”।
এই কথার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট জবাব হলোঃ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর উদ্দেশ্যে কটূক্তিকারীদের কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আবার করেননি। কিন্তু এখন তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর ক্ষমা করার বিষয়টি আর তার কাছ থেকে জেনে নেয়া সম্ভব নয়। [সূত্রঃ আল-সারিম আল-মাসলুল, ২/৪৩৮]

সেখানেই এই পিপীলিকার চেয়ে নগন্য মুনাফিকরা কিভাবে নতুন ফতোয়া আবিষ্কার করে? এইসব মুনাফিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম সর্ম্পকে না জেনে, আন্দাজে জ্ঞান বিতরণ করে বেড়াচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য একটাই, যুগ যুগ ধরে এদের পূর্ব পুরুষরা করে আসছে, ইসলামে ভিতর সন্দেহ সৃষ্টি করা, অনর্থক ঝামেলা লাগানো।

সাম্প্রতিক সময়ে কফির, মুনাফিক আর নাস্তিকের দল রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। কারণ তারা দেখতে পাচ্ছে, মুসলিমরা আজ ভাবলেশহীন এবং নিজেদের ধর্ম আর রাসূলের প্রতি যে মহব্বত থাকার কথা তা তারা হারিয়ে ফেলেছে। আজকে যদি মুসলিমরা এই জঘন্য পাপের জন্য শার’ঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতো, তাহলে কেউ আর সারা পৃথিবীতে এইরকম দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টাও করতো না।
[শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ এই বিষয়ে অত্যন্ত মূল্যবান একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘আল-সারিম আল-মাসলুল ‘আলা শাতিম আর-রাসূল’, যাদের আর বেশি জানার ইচ্ছে তারা এই বইটা পড়তে পারেন]

যদি একজন মুসলিম কোন কাফিরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে ব্যঙ্গ করতে শোনে এবং চুপ থাকে এই ভয়ে যে ঐ লোক হয়তো আরও বেশি করে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করবে; তবে তার এই চিন্তাভাবনা ভুল। তাদের কথায় মোটেই পাত্তা দেয়া যাবে না, যারা বলে যে তাদেরকে অপমান করলে এবং তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তাদের একগুয়েমী আড় বাড়বে, এটাও ভুল। একজন মুসলিমের অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ঈর্ষাবোধ থাকতে হবে এবং আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য এ বিষয়ে তাকে উত্তেজিত হতে হবে। যে কেউ রাসুলের সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে অপমানিত হতে দেখবে এবং কোন ধরনের ক্রোধ বা হিংসা অনুভব করবে না, সে মুমিন হতে পারে না। আমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে অপমান, কুফর ও শয়তানের হাত থেকে সুরক্ষা চাই। [সূত্রঃ শেইখ আবদ আর-রহমান আল-বাররাক, মাজাল্লাত আদ-দাওয়াহ, মহররম, ইস্যু নং ১৯৩৩]

রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রূপ করার মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর কোন মুসলিমের নিশ্চুপ থাকার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে একজন ঈমানদার বান্দা হিসেবে প্রত্যেকেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে হবে। একজন মুসলিম কখনো এমন হতে পারে না যে, মহানবীর অবমাননা হওয়ার কথা জানার পরও নিশ্চুপ বসে থাকবে, কেননা এটা একটি মহা অন্যায় কাজ। আর ঈমানের লক্ষণ হলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। মহান আল্লাহ আল কুরআনে ইরশাদ করছেনঃ “আর মূমীন পুরুষ ও মূমীনা নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভালো কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে।’ (সূত্রঃ সুরা আত-তাওবাহ, আয়াত : ৭১)

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিতঃ “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হয় যে, তারা যা বলে, তা করে না এবং তারা তা করে, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হয় না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন। আর এর পর সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই”। (সূত্রঃ হাদিস নাম্বার ১৫৯১, Click This Link)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান”। (সূত্রঃ আহমাদ ১১০৭৪, মুসলিম ১৮৬, মুসলিম ১৮৮, আসহাবে সুনান, হাদিস নাম্বার ১৫৯০, Click This Link)

একশ্রেণীর মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা বলে বেড়াচ্ছে এই বিচার আল্লাহ করবেন, অতএব আমাদের কিছুই করার দরকার নেই। একজন মুসলিম হিসেবে এই ধরণের কথা বলার কোন সুযোগই নেই, প্রতিবাদ করতেই হবে। এরা যে মুনাফিক এবং এরা যে এই ধরণের আল্লাহর এবং রাসূলের বিরুদ্ধে আচরণ করবে সেটা পবিত্র কুরআন শরীফেই স্পষ্টভাবে দেয়া আছেঃ
“তুমি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায় পাবে না যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদের ভালবাসে। হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জ্ঞাতি-গোত্র।’ (সূত্রঃ সুরা আল-মুজাদালাহ, আয়াতঃ ২২)


এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকরা কোনভাবেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে কিছু বলে না, ইনিয়ে বিনিয়ে বহু কথা বলে বেড়াবে কিন্তু স্পষ্টভাবে কিছুই স্বীকার করবে না। পবিত্র কুরআন মাজীদে এদের সর্ম্পকে বলা আছেঃ “তারা এর মধ্যে দোদুল্যমান, না এদের দিকে আর না ওদের দিকে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার জন্য কোনো পথ পাবে না।’ (সূত্রঃ সুরা আন-নিসা, আয়াতঃ ১৪৩)
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তা’আলা নির্ধারণ করেছেন। ইচ্ছা করে কেউ তার মর্যাদা কেউ বাড়াতে বা কমাতে পারবে না। তারা উনা’কে নিয়ে যতই কটূক্তি এবং অবমাননা করুক আল্লাহ ততই তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন। আল্লাহ্ বলেন, “আর আমি আপনার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।” (সূত্রঃ সুরা আল-ইনশিরাহ, আয়াতঃ ৪)

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে তার সুপবিত্র নাম উচ্চারিত হচ্ছে। প্রত্যেক মুয়াজ্জিন সুউচ্চ কন্ঠে ঘোষণা দিচ্ছেনঃ
“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্” অর্থাৎ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল”। যারা মহানবী সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কটু কথা বলে বেড়ায় তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা আল-কুর'আনে উল্লেখ করেছেনঃ
১) "বিদ্রুপকারীদের জন্যে আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।" [সূত্রঃ সুরা আল হিজর, আয়াতঃ ৯৫]
২) “নিশ্চয় যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ্ তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখিরাতে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।” [সূত্রঃ সূরা আল-আহযাব, আয়াতঃ ৫৭]
৩) “অতএব যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে।” [সূত্রঃ সূরা আন-নূর, আয়াতঃ ৬৩]
৪) “আর তোমার পূর্বেও অনেক রাসুলকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল, পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা করত তাই বিদ্রূপকারীদেরকে ঘিরে ফেলেছিল” (সূত্রঃ সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ৪১)
৫) “বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি, ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য”। (সূত্রঃ সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১৮)


আপনি কি জানেন?
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জগতের সকলের প্রতি আল্লাহ পাকের খাস রহমত। মূমীন, কাফির নির্বিশেষে সকল মাখলুকই কিয়ামত পর্যন্ত এই মহান রহমতের মাধ্যমে উপকৃত হতে থাকবে। মূমীনদের’কে তো আল্লাহ তাআলা তাঁর মাধ্যমে হিদায়াত দান করেছেন। তাঁর উপর ঈমান আনা এবং তিনি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যে পয়গাম নিয়ে এসেছেন সে অনুযায়ী আমল করার কারণে তাকে জান্নাত দেবেন। আর এই উম্মতের অবিশ্বাসীকে শুধু তাঁর কারণেই পূর্ববর্তী উম্মতের অবিশ্বাসীর মতো নগদ/তৎক্ষনাত শাস্তি দেবেন না। (সূত্রঃ তাফসীরে ত্ববারী ১৮/৫৫২)

এইসব মুনাফিকরা জানেও না কত বড় জঘন্য শাস্তির কাজ তারা করে বেড়াচ্ছে। পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া আছেঃ “হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।’ [সূত্রঃ সুরা হুজুরাত, আয়াতঃ ২ নং]
অথচ এই মুনাফিকরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে নিষেধ করছে!

আজ যারা নিজের সামর্থ্য, অর্থ, ক্ষমতার প্রভাবে নবী প্রেমের বিরুদ্ধাচারণ করেছে, তারা কত দিন বেঁচে থাকবে? জীবনের তো অর্ধেকের চেয়ে বেশি উজানকাল পার করে এসেছে।
বাকি আছে আর কতদিন? দশ বছর? বিশ বছর? পঞ্চাশ বছর? ধরলাম একশ বছর? তারপর? মরতে কিন্তু তো হবেই!
হযরত আদম আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটা মানুষের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে। কেউ পার পায়নি। না নমরুদ, না ফিরাঊন, না হিটলার!
"প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ বদলা দেওয়া হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।" (সূত্রঃ সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

এরা জানে এদের মৃত্যুর সময় কী ঘটবে?
মালাকুল মউত আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে এমন কদাকার বেশে ঐ বান্দার নিকট আগমন করে যে,
কেউ কোনো দিন এমন আকৃতি দেখেনি। তার কাছে এমন একটি লৌহ শলাকা থাকে যা শাখা ও কাঁটা বিশিষ্ট। মালাকুল মউতের সাথে আরো পাঁচশত ফিরিশতা থাকে। এদের প্রত্যেকের সাথেই থাকে জাহান্নাম থেকে নিয়ে আসা আগুনের চাবুক। মালাকুল মউত অবাধ্য বান্দাকে চাবুক দিয়ে এমনভাবে আঘাত করে যে, প্রতিটি কাঁটা তার সারাদেহে তন্ত্রের মূলে বিদ্ধ হয়ে যায়। অতঃপর সেটি পাকিয়ে টেনে বের করে এবং তার পায়ের নখের তলদেশ থেকে পর্যন্ত আত্মাকে বের করে নিয়ে আসে। এরপর সেই লৌহ শলাকাটি তার উভয় পায়ের গোড়ালিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তখন আল্লাহর এই দুশমনের এতই কষ্ট হয় যে, বেদনায় সে কাতরাতে থাকে। এমন সময় বাকি ফিরিশতারা তাদের হাতের চাবুক দিয়ে তার মুখমন্ডল এবং পশ্চাৎদেশে অনবরত প্রহার করতে থাকে। এই সময় তার আত্মাকে টেনে সারা দেহ থেকে গোড়ালিতে নিয়ে আসা হয়। শাস্তির এই পর্যায়ে শলাকাটি তার হাঁটুতে ফোটানো হয়। তখন বেদনায় সে ছটফট করতে থাকে। এমন সময় ফিরিশতারা আবার আগুনের চাবুক দিয়ে তার মুখ ও নিতম্বে মারতে শুরু করে। হাঁটু থেকে শলাকাটি বের করে ঢুকানো হয় তার নিতম্ব দেশে। অতঃপর বুকে এবং সব শেষে কন্ঠনালীতে, তারপর পূর্বের মতই সেটিকে টেনে বের করা হয়। এরপর ফিরিশতারা জাহান্নাম থেকে সংগ্রহ করা অঙ্গার তার থুতনীর নিচে বিছিয়ে দিয়ে বলে, “হে অপবিত্র আত্মা! তুমি বেরিয়ে আস। তুমি থাকবে প্রখর বাষ্পে, উত্তপ্ত পানিতে, এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়”। [সূত্রঃ সূরা ওয়াকেয়া ৪২-৪৪]
তার কবরে জাহান্নামের উত্তাপ ও লু হাওয়া আসতে থাকে। তার কবর এতটা সংকীর্ণ করে দেওয়া হয় যে তার এক পাঁজরের হাড়গুলো অন্য পাঁজরে ঢুকে যায়। তার কাছে একজন কুৎসিত চেহারা, দূষিত পোশাক ও দুর্গন্ধযুক্ত এক লোক এসে বলে, “দুঃসংবাদ গ্রহণ করো। তোমাকে এই দিনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল”। সে বলবে, “তুমি কে? কেন অকল্যাণ নিয়ে এসেছ”? লোকটি বলবে, “আমি তোমার বদ আমল”। তারপর ভীত হয়ে পাপী ব্যক্তি বলবে, “হে আমার রব! কিয়ামত যেন সংঘটিত না হয়”। [সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নাম্বারঃ ১৮৫৫৭]

এরপর কিয়ামত পর্যন্ত কবরে তার নিরন্তর ভয়ংকরতম শাস্তি চলতেই থাকবে। একে বাঁচাতে শুধু একজনই দোয়া করতে পারবেন। তিনি হলেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কিন্তু রোজ হাশরের ময়দানে তিনি যখন জিজ্ঞেস করবেনঃ
“হে আমার উম্মত! যেদিন আমাকে তোমার সামনে অপমানজনক কথা বলা হয়েছিল, ব্যঙ্গক্তি করা হইয়েছিল, কটুক্তি করা হয়েছিল তখন তুমি কী বলেছ? কি করেছে আমার জন্য?”

তখন এইসব মুনাফিকরা হ্যাডম থাকলে যেন আল্লাহর সামনে, সকল ফেরেস্তাদের সামনে, হাশরের ময়দানে, সাক্ষাত জাহান্নামের সামনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নের জবাব দেয়!

সেদিন এইসব কাফির ইমানুয়েল মাক্রোন’দের দালালী করার শাস্তি কী সেটা এরা হাড়ে হাড়েই টের পাবে!
কিন্তু হায় সেদিন এরা পাশে আর কাউকেই পাবে না!

প্রিয় রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন
রোজ হাশরের দিন কী হাতে নিয়ে দাড়াবি তুই!
তুই তো মুসলিম নয়, মুনাফিক তুই, ভন্ড কপট
বাহ্যিক অবয়বের আড়ালে অন্তঃসাড় শূন্য ভাড়!
আল্লাহ, রাসূল, ফেরেশতা কেউ চিনবে না তোকে
রাসূল মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তুই ইসলামের দুশমন!


এই পার্থিব দুনিয়াবী জীবনে আর কতটুকু মুনাফিকী করে বেড়াবে এরা?

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, অক্টোবর ২০২০

মন্তব্য ১১৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফ্রান্স সঠিক করেছে, সেটা একটা ইউরোপীয় দেশ, যারা আফ্রিকা ও এশিয়ার লাখ লাখ মানুষকে ইমিগ্রেন্ট করেছে; উহা আফগানিস্তান নয় যে, চেসনিয়ার মুসলমান ফরাসী নাগরিককে হত্যা করবে!

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: মুনাফিকরা তাদের আসল চেহারা দেখাবেই! এইজন্যই তারা মুনাফিক!

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষকে মুনাফিক ডাকবেন না, বাংলাদেশ এখনো আফগানিস্তান হয়নি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

নীল আকাশ বলেছেন: যারা মুনাফিক তাদের বৈশিষ্ট্য সবাই জানে। আলাদা করে বলে দেয়ার দরকার নেই!

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফ্রান্সে ৫০ হাজারের বেশী গরীব বাংগালী ইমিগ্রেশন পেয়েছে, বাংলাদেশে মৌলবাদীরা ফ্রান্স-বিরোধী কিছু করলে, বাকী বাংগালীদের দায়িত্ব হবে, নিজ দেশের ইমিগ্রেন্টদের পক্ষে থাকা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: বাংগালী আবার কি? এই দেশের মানুষ বাংলাদেশী। বাংগালি বলতে ভারতের বাংলাভাষীদেরও বুঝায়।
সঠিক শব্দ ব্যবহার করতে শিখুন।
আমি বলেছি একজন মুসলিম হিসেবে মহানবীর অপমানের মৌখিক প্রতিবাদ করা উচিত।
আমার পোস্টে আমি কি লিখেছি দেখেছেন? পোস্ট কি পড়েছেন ভালো ভাবে?
নির্বোধের মতো পোস্টের লেখা না পড়ে হাউকাউ করছেন কেন?

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



একজন ব্লগারকে কিভাবে আপনি মুনাফিক ডাকেন? আপনার কি ব্লগে থাকা উচিত?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি এত বাইন মাছের মতো ফাল দিয়ে উঠছেন কেন এত ব্লগার থাকতে? সত্য কথা শুনতে কটু লাগছে? গাত্রদাহ হচ্ছে?

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নিজেকে শ্রেষ্ট বললেই যদি শ্রেষ্ট হয়ে যেত তবে প্রত্যেকেই শ্রেষ্ট।৪২০০ ধর্ম আছে প্রত্যেকেই নিজের ধর্ম এবং তাদের পথ প্রদর্শককে শ্রেষ্ট বলে।আমরা আমাদের নবীকে শ্রেষ্ট বলি,তাই বলেতো পৃথীবির শ্রেষ্ট হয়ে যায় না।যুক্তি দিয়ে কথা বলুন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি যুক্তি দিয়ে কথা বলুন। আমি আমার নবীকে শ্রেষ্ঠ বলবো না তো কে বলবে? অন্য ধর্মের লোকজন? যেখানে স্বয়ং আল্লাহ তাকে এই সম্মান দিয়েছেন সেখানে না বুঝে মন্তব্য করছেন কেন? আল্লাহর চেয়ে বেশি বুঝেন আপনি? কুরআন শরীফের লাইন ঠিক করতে চাচ্ছেন?

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ব্লগারকে "মুনাফিক" ডাকেন; আবার, আল্লাহ ও রাসুলের হয়ে কথা বলেন, আপনার কথা কোন ব্লগার শুনবেন?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: কি মনে হয় আপনার?
আমার প্রায় সব পোস্ট নির্বাচিত পোস্ট হয়, সর্বোচ্চ পঠিত, সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত এবং সর্বোচ্চ লাইকড পোস্ট হয়।
ভারসাম্যহীন কথা বলার অভ্যাস আপনার কোনদিনও কমলো না।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কিছু কিছু মুসলিম নামধারী কপট মুনাফিকদের ঠিক এই সময়ে আসল মুখোশধারী চেহারা এবার প্রকাশ পেয়েছে। এই জঘন্য নিন্দনীয় আচরণের প্রতিবাদ তো এরাই করছেই না বরং উল্টো মানুষজন’কে বুঝানো চেষ্টা করছে প্রতিবাদ না করার। এরা মুনাফিক। পবিত্র কুরআন শরীফে এবং সহী হাদিস গ্রন্থগুলিতে এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকদের ব্যাপারেই আমাদের সদা সর্তক থাকার জন্য বার বার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইসব মুনাফিকরা মহানবীর আমল থেকেই ছিল এবং কিয়ামতের আগ পর্যন্ত থাকবে। এদের পূর্ব পুরুষরাই সাহাবীদের বিভ্রান্ত করেছে, তাবঈ, তাবঈ-তাবেঈন বিভ্রান্ত করেছে এবং এরা এখনও তাই করছে। এটাই এদের স্বভাব।
ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী করা এদের রক্ত অস্থিমজ্জার সাথে মিশে আছে।[/sb

---আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমীন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখার মূল অর্থ বুঝার জন্য।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কিছু কিছু মুসলিম নামধারী কপট মুনাফিকদের ঠিক এই সময়ে আসল মুখোশধারী চেহারা এবার প্রকাশ পেয়েছে। এই জঘন্য নিন্দনীয় আচরণের প্রতিবাদ তো এরাই করছেই না বরং উল্টো মানুষজন’কে বুঝানো চেষ্টা করছে প্রতিবাদ না করার। এরা মুনাফিক। পবিত্র কুরআন শরীফে এবং সহী হাদিস গ্রন্থগুলিতে এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকদের ব্যাপারেই আমাদের সদা সর্তক থাকার জন্য বার বার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইসব মুনাফিকরা মহানবীর আমল থেকেই ছিল এবং কিয়ামতের আগ পর্যন্ত থাকবে। এদের পূর্ব পুরুষরাই সাহাবীদের বিভ্রান্ত করেছে, তাবঈ, তাবঈ-তাবেঈন বিভ্রান্ত করেছে এবং এরা এখনও তাই করছে। এটাই এদের স্বভাব।
ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী করা এদের রক্ত অস্থিমজ্জার সাথে মিশে আছে।
-সহমত পোষন করছি।

---আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমীন।

(দয়া করে আগের মন্তব্যটি মুছে দিন)

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: রিফাত ভাই,
আগের মন্তব্য থাকুক। আমি কারো মন্তব্য ডিলিট করি না। কোন অসুবিধা নেই। আমার ব্লগ বাড়ীতেই তো থাকবে। কষ্ট করে আবার মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আমার সাথে একমত হবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত),
আপনি বলেছেন, "পবিত্র কুরআন শরীফে এবং সহী হাদিস গ্রন্থগুলিতে এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকদের ব্যাপারেই আমাদের সদা সর্তক থাকার জন্য বার বার নির্দেশ দেয়া হয়েছে"

-আমি বাংলাদেশের নাগরিক, দেশের শাসনতন্ত্র মেনে চলি; কোরানে যা বলা হয়েছে, সেটা শাসনতন্ত্রের অংশ নয়।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

একাল-সেকাল বলেছেন:
ফ্রান্স অপেক্ষাকৃত নিচু মানের কাজের জন্য তাদেরকে ইউরো দেয়। এরা না থাকলে ওই সব কাজ নিজেদের করতে হত।
মানহানি আইন বিশ্বে এখন চালু আছে,ম্যাক্রো হয়ত ভুলে বসেছেন। অন্যকে অসম্মান করা যদি সভ্যতা হয়, তাহলে অসভ্যতার সংজ্ঞা নিয়ে ভাবতে হবে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: মাক্রোন অসভ্যতার সব সীমা এখন অতিক্রম করেছে। সে তার পাপের উপযুক্ত শাস্তি পাবেই পাবে।

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক আমাকে বলেছেন, "লেখক বলেছেন: আপনি এত বাইন মাছের মতো ফাল দিয়ে উঠছেন কেন এত ব্লগার থাকতে? সত্য কথা শুনতে কটু লাগছে? গাত্রদাহ হচ্ছে? "

-আমি বাইন মাছেরমতো লাফাচ্ছি না, আমি ব্লগারের মতো লাফাচ্ছি; আপনি ১ জন ব্লগারকে "মুনাফিক" ডেকেছেন; আপনার কি ব্লগে থাকা উচিত?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ব্লগার? তাই নাকি? প্রতি মাসে কয়বার ব্যান খান? মডু আপনাকে এই পর্যন্ত কয়বার জেনারেল বানিয়েছে? কমেন্ট ব্লক করে রেখেছে?
একজন ব্লগার হবার জন্য লাগে সহনশীলতার গুণ। ব্লগার হবার বিন্দুমাত্র যোগ্যতাও আপনার নেই! নিজকে ব্লগার ডেকে বাকিদের লজ্জায় ফেলবেন না।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

একাল-সেকাল বলেছেন:
লেখকের জ্ঞাতার্থে বলছি, মুনাফিকের সংজ্ঞা/ ব্যাখ্যা টা স্পষ্ট করুন, যদি কারো আচরন সংজ্ঞার সাথে মিলে যায় তাহলে করোনার রোগীকে কোভিড প জে টি ভ বলতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: যারা নামে মাত্র মুসলিম, কিন্তু ঈমান নেই, আল্লাহ রাসূলের প্রতি বিশ্বাস নেই, মহব্বত নেই এরাই মুনাফিক! এরা ইসলামের শত্রুদের সাথে তাল মিলিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আচরণ করে।

১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: ফ্রান্স যা করেছে আমাদের জন্য খারাপ করেছে৷ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলুক। আমি শুধু এই ঘটনাতেই ফোকাস করলাম, অতীতে ফ্রান্সের নানা অত্যাচার বাদ দিলাম। প্রতিবাদের ভাষা উগ্রতা না হোক। আমরা মুসলমানরা আমাদের সহনশীলতার জন্যই সকল ধর্মের সেরা।

আমি সামু ব্লগে আপনার আজীবন ব্যান চাই। আপনি সহ ব্লগারকে মুনাফিক বলতে পারেন না। আপনি মুনাফিক।
আরও কয়েকজন ব্লগার যারা বিভিন্ন ভাবে ধর্মকে খোঁচা দিয়ে এই বিষয়টি উসকে দিতে চাচ্ছেন তাদের ব্যানও চাই।

আজ এই পোস্টের শিরোনাম চরম অভদ্রতার ইতিহাস হয়ে থাকবে ব্লগে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ইসলাম সর্ম্পকে জ্ঞান ধুলাবালির চেয়ে নগন্য। এত ক্ষুদ্র ইসলামের জ্ঞান নিয়ে আমার পোস্টে মন্তব্য আসবেন না।
আপনার মতো বহু লোকজন আগেও এসেছে, আন্দাজে কথা বলেছে, এরপর এরা হারিয়ে গেছে।
উপরের হাদিসগুলি পড়েছেন? নাকি না পড়েই আরেক নির্বোধের মতো মন্তব্য করেছেন?
আমি সুত্র উল্লেখ করে লিখেছি। পারলে সেইগুলির বিরুদ্ধে যুক্তি নিয়ে লিখুন যদি হ্যাডম থাকে!

১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ চাঁদগাজী,,,,...আমি ব্লগারের অংশ বিশেষ কোট করেছি মাত্র,- এটা আমার লেখা না; আর কোরান হাদিস মানা না মানার সাথে কোন দেশের শাসনতন্ত্রের কোন প্রয়োগ নেই;

---যে মুসলিম সে কোরান হাদিস জানবে ও সাধ্যমতো মানার চেষ্ঠা করবে;

--যে অমুসলিম সে তার মতো করে তার ধর্মের বিষয়গুলো পরিপালন করবে - এটাই স্বাভাবিক।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য।

১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


@কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত),
আপনি বলেছেন, "---যে মুসলিম সে কোরান হাদিস জানবে ও সাধ্যমতো মানার চেষ্ঠা করবে; "

-আমি মুসলিম, বাংলাদেশের নাগরিক; আমি দেশের শাসনতন্ত্রের বাহিরে অন্য কিছু মানি না।

১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: যখন মুসলিমরা স্বশস্ত্র প্রতিবাদ করে, সেটা নিয়ে অনেকে কথা বলে, ভালো কথা, উগ্রতা বা মিলিট্যান্সি পরিহারযোগ্য। কিন্ত এখন যখন পণ্য বর্জনের মত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হচ্ছে মুসলিম বিশ্বব্যাপী, সেটা নিয়ে সমস্যা কি? কোনো প্রতিবাদই কি করা যাবে না?

আর ফ্রান্সের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমানা ফারুক ওয়াসিফের এই লেখায় দেখতে পারেন। লেখায় প্লাস।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২০

নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নি যা যা বলেছেন সেটাই এই লেখার বিষয় বস্তু। একজন মুসলিম হিসেবে প্রতিবাদ কেন করার যাবে না? এটা তো ঈমানের দাবী। প্রতিবাদ আপনাকে করতেই হবে। না হলে এর জন্য আপনি দায়ী হয়ে থাকবেন।

ফারুক ওয়াসিফের লেখার লিংক ঠিক মতো মনে হয় দেয়া হয়নি। পেজ বা লেখা ওপেন হয় না।
শুভ কামনা রইলো।

১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৪

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। লেখার সাথে আমি একমত।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।

১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথম আলোতে ফারুক ওয়াসিফের লেখা ফরাসি প্রতিবিপ্লব ও মাখোঁর ‘মুসলিম’ সমস্যা

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: এই লেখাগুলি মন হচ্ছে প্রথম আলো তার সাইট থেকে সরিয়ে ফেলেছে কোন একটা কারণে। দুইটা লেখার কোনটাই আর এখন দেখাচ্ছে না।

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: লিংকটা কেনো কাজ করছে না বুঝতে পারছি না, আপনি দেখেন তো দিতে পারেন কিনা। আজকের প্রথম আলো অনলাইনে আছে। আর প্লিজ এই দুটো মন্তব্য মুছে দিবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: লেখাগুলি আমি পাই নি। পেলে দিয়ে দিতাম। প্রথম আলোর সাইটে দেখাচ্ছে না।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @শ্রদ্বেয় চাঁদগাজী- আপনার সাথে আমি কোন তর্কে জড়াইতে চাই না ; এটা আমার কাম্যও না;

ধর্মমানা আর শাসনতন্ত্র এক জিনিস না !

----- বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রের অধীনেই সকল ধর্মের সহঅবস্থান রয়েছে। যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: উনি আবার শ্রদ্ধেয় হলেন কবে থেকে? পোস্ট না পড়ে যে মন্তব্য করে বেড়ায় তাকে শ্রদ্ধা করার কি আছে? এতো ব্লগার হবারই উপযুক্ত নয়।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ,

আমার জানামতে উনি সম্ভবত সবচেয়ে বয়স্ক ব্লগার; উনি দূরদেশে গিয়ে নিজেকে পঅত্যাধুনিক মনে করে (উনার মেধা ও মননে) -যা হয়তো উনি শিকড়ে খুঁজে পান নি।

আর আমার মতে বয়োবৃদ্ধদের সম্মান দেখালে বা করলে আমার কোন কমতি হবে না;


--ভালো থাকুন, লিখতে থাকুন- ধৈর্য্যের সাথে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক উপদেশের জন্য।

২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এসব মাখোঁরা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

পৃথিবীর িইতিহাসে যারাই নবী (সা:) নিয়ে বিদ্রুত, তাসাশা করেছে তাদের ভয়াবহ পরিনতী হয়েছে। সেটা দেখে শিক্ষা নেয় বলে নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: এই মাক্রোনেরও হবে। এই পৃথিবীর মানুষই দেখবে। অপেক্ষা করুন। এর শাস্তি আল্লাহ রাব্ববুল আলামীন নিজেই দেবেন।

২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বয়স বিবেচনায় কারও কারও কথায় মন খারাপ না করাই উচিত। মুসলিমদের প্রতি ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক অন্যায় আচরণে কাউকে খুশি হতে দেখলেও আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ভাই এদের এইসব আচরণে মোটেও খুশি হতে পারিনি। এই জঘন্য আচরণের পর এরা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেয় কিভাবে? ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে কারা জানেন? এইসব মুনাফিকরা! এইজন্যই বলে ঘরের শত্রু বিভীষন!

২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: আমাদের হুজুররা যখন হিন্দু ধর্মের দেবদেবি গালাগালি করে বা পুজার মু্র্তি ভাংগে তখন হিন্দুরা কি করে ?

---- তারা মনে মনে অসন্তষ্ঠ হলে ও কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলে না । বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ মহাজিট খুব প্রভাবশালী , তারা যদি চায় ঐ সমস্ত হুজুদের জেলের ভাত খাওয়ায় দিতে পারে কিন্তু তারা কিছুই বলে না

এবার খৃষ্ঠান বা বৌদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে কোন বিদ্রপ বা কটুক্তি করলে তারা কি প্রকাশ্য কোন প্রতিক্রীয়া দেখায় ?
-- কোন প্রতিক্রীয়া দেখায় না ।

যার ফলশ্রুতিতে তাদেরকে ব্যপক ভাবে কেউ নাড়ে না এবং খালি একটা অংশ ২৪ ঘন্টা তাদেরকে গালাগালি করে , তারা হোল আমাদের ওয়াজের হুজুররা । এত কিছুর পরে ও তারা চুপ । বিদ্রপকারীরা জানে গালি দিলে এরা রাগে না , তাই এদের গালি দিয়ে কি লাভ , আমার বরং মুসলমানদের গালি দি কারন এনারা খুব রেগে যায় এবং আমরা খুব আনন্দিত হই ।

কি বুঝলেন ? কিছু বুঝলেন ?

জী পবিত্র কোরানে ঠিক এই ভাবে বিদ্রুপকারীকে ইগনোর করতে বলেছে , যেটা হিন্দু, খৃষ্ঠান, বৌদ্ধরা করে কিন্তু মুসলমানরা এই ব্যপারে কোরানের নির্দেশের ধারে কাছে যায় না বরং অনুসরন করে কিছু হাদিসকে ।

মনে রাখবেন যত প্রতিক্রীয়া প্রকাশ্য দেখাবেন গালাগালি তত বাড়বে । বিদ্রুপকারীরা যখন দেখবে বিদ্রুপ করলে মুসলমানরা মাতে না , তখন তারা চুপ হয়ে যাবে । এই পন্থা অবলম্বন করার জন্য আল্লাহ তালা পবিত্র কোরানে বেশ কয়েকটা আয়াত নাজিল করেছেন ।
এবার আমরা একটু আলোচনা কোরবো বিদ্রুপকারীকে হত্যা করা , প্রতিবাদ করা এবং প্রকাশ্যে জেহাদ করার পক্ষে কিছু হাদিস বনাম হিন্দু খৃষ্ঠানরা যে ভাবে এগনোর করে ঠিক সেই ভাবে ইগনোর করার পক্ষে কিছু কোরানের আয়াত ।
মনে রাখবেন আপনি যদি কোরান না মানেন তাহোলে নিজেকে আর মুসলমান দাবি করতে পারবেন না ।
নীচের লিংকে ক্লিক করুন , ধন্যবাদ
বিদ্রুপকারীদের হত্যার পক্ষে ও বিপক্ষে !!!!

গতকালকে আমার পোষ্ট করা লিংকটা ও আবার দিলাম
Please Click here to open

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার লেখার মূল থীম ধরতে পারেন নি। শাস্তি দেয়ার মালিক আল্লাহ। উনার ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছুই বান্দার করা সম্ভব না।
কিন্তু আমার নবীর অপমান হবে, তাকে নোংরা ভাষায় যা ইচ্ছে তাই বলা হবে আর আপনি বলছেন চুপ করে থাকতে?
হযরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে। ১) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার নিকট অন্য সবকিছুর চাইতেও অধিকতর প্রিয় হওয়া…………..” (সুত্রঃ সহী বুখারী শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৬/১ম খন্ড, ২১, ৬০৪১, ৬৯৪১, সহী মুসলিম শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৫/১ম খন্ড, আহমদ ইবন হাম্বাল ১২০০২)
এই হাদিস আপনি জানেন না? এরপর কিভাবে একজন মুসলিম প্রতিবাদ না করা থাকতে পারে। প্রতিবাদ করা মানেই বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া নয়। মৌখিক প্রতিবাদও ঈমানের অংশ।
পবিত্র কুরআনে আয়াতগুলি কোন সুনির্দিষ্ট অংশের বা ঘটনার জন্য নাজিল করা হয়েছে। হুট করে একজায়গার জিনিস আরেক জায়গায় দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে না।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান”। (সূত্রঃ আহমাদ ১১০৭৪, মুসলিম ১৮৬, মুসলিম ১৮৮, আসহাবে সুনান, হাদিস নাম্বার ১৫৯০)
এই সহী হাদিস থাকার পরেও আপনি কিভাবে প্রতিবাদ করা অস্বীকার করেন?
আমি যে কোন ধর্মের বিরুধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা গালি গালাজ করা অছন্দ করি না। আমার নবী এই ব্যাপারে নিষেধ করে গেছেন।
ধন্যবাদ

২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। আমার জায়গা থেকে যতটুকু পারি প্রতিবাদ করবো। আমার নবী (সাঃ) কে যারা অপমান করেছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা শাস্তি দেবেন। আর বয়কট নিয়ে যারা বলে এসব করে কী হবে। হবে নিশ্চয়ই অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব পড়বে এবং ওরা ভুল স্বীকার করে মাথা নত করবে ইনশাআল্লাহ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। প্রতিবাদ আমাদের করতেই হবে। এটা আমদের ঈমানের অংশ। যাদের মাঝে প্রকৃত ঈমান নেই তারাই নবীর অপমানের জন্য কষ্ট পায় না। এরা ইসলামের লেবাসধারী হলেও এরাই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে।
পড়ার এবং খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আর বয়কট নিয়ে যারা বলে এসব করে কী হবে। হবে নিশ্চয়ই অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব পড়বে এবং ওরা ভুল স্বীকার করে মাথা নত করবে ইনশাআল্লাহ।

কিছু হয় বলেই তো এর বিপক্ষে কথা হচ্ছে।
একবার প্রথম আলো ডাক্তারদের নিয়ে একটা নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর মহামহিম ডাক্তার সমাজ সিদ্ধান্ত দেয় যে কেউ আর এসকেয়েফ এর ওষুধ প্রেসক্রাইব করবে না....... পরের ঘটনা ইতিহাস! প্রথমআলোর মত হ্যাডমঅলা পত্রিকাও আর কোনোদিন ডাক্তারদের/বেসরকারি হাসপাতালদের অপকর্ম তুলে ধরার সাহস করেনি...

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

নীল আকাশ বলেছেন: এটাই হচ্ছে মূল কারণ। মুনাফিকরা এই ভয়টাই পাচ্ছে। যদি ফ্রান্স সারা বিশ্বের মুসলিমদের চাপ পড়ে হার স্বীকার করে নেয়, মাপ চায় তাহলে তো মুসলিমদেরই জয় হবে আল্লাহর ইচ্ছা। ঠিক সে জন্যই এরা মৌখিক প্রতিবাদ এবং বয়কট করার বিরুদ্ধে কাজ করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে এদের কুটবুদ্ধি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইসলাম ধর্মের পতাকার তলে থেকে মুসলিম নামধারী লোকই ইসলামের ক্ষতি বেশী করছে

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন। এইসব লোকজন আগেও ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে।
এদের চিনিয়ে দেয়ার জন্যই এই পোস্ট।

২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৬

রাােসল বলেছেন: I want to include with you, they are commission agent. This type of people are exist always from the beginning.

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: Right you are! These people exists from the begining of ISLAM.
These people are the real descendants of Abdullah ibn Ubai!

২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপানর পোষ্টে মন্তব্য করতে ভয় লাগে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: যুক্তি ছাড়া আন্দাজে কথা বললে আমি কাউকেই ছাড়ি না।

৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই আপনি কি হাদিসকে ভ্যারিফিকেশন কি ভাবে করা হয়েছে , সেটা কি জানেন ?
সনদ মতন রাবি ইত্যাদি লাইনে থাকলে সেটা বিভিন্ন রকমের হাদিস হিসাবে মুল্যায়িত করা হয়েছে ২৫০ বৎসর পরে । কোরানের আয়াতকে কোন হাদিসবিদ সত্য মিথ্যা নিরুপণের মাপকাঠি হিসাবে বিচার করেনি , যার জন্য পরে দেখা গেছে বহু হাদিস কোরানের আয়াতে সাথে বৈপরিত্য করে । বিদ্রুপকারীকে হত্যা বা প্রতিবাদ সংক্রান্ত যত হাদিস আছে , সেগুলো কোরানের আয়াতের সাথে মিলে না । দু:খের সাথে বোলতে হচ্ছে মুসলমানরা কোরান যে ভাবে বিদ্রুপকে উপেক্ষা করতে বলেছে , তার ধারে কাছে বেশির ভাগ মুসলমানরা যায় না ।
বিদ্রুপকারীরা দেখে গালাগালি করলে হিন্দু , খৃস্ঠান , বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের মানুষ ক্ষেপে না কোন প্রতিক্রীয়া দেখায় না , তাই তাদের পিছে তারা খুব কম লাগে কারন যেহেতু তারা চেতে না ,তাই তারা মজা বা আনন্দ পায় না ।
আপনি নিশ্চয়ই দেখছেন আমাদের হুজুরা ২৪ ঘন্টা অমুসলিমদের যে ভাবে গালাগালি করে , তারা কোন টু শব্দ করে না । ইচ্ছা করলে আইণী ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ১২টা বাজাতে পারে কিন্তু তারা সেটা করে না ।
বিদ্রুপকারীরা খুব মজা পায় যখন দেখে মুসলমানরা খুব ক্ষেপে যায় , তাই বার বার ক্ষেপাতে চায় এবং এর ভিতরে তারা আনন্দ পায় ।
অমুসলিমরা যে ভাবে বিদ্রুপকে পাত্তা দেয় না , ঠিক সেই ভাবে কোরানে উপদেশ দেওয়া আছে ।

মনে করুন আপনাকে বল্টু বোললে আপনি খুব ক্ষেপে যান , মারতে তেড়ে যান , মারামারি শুরু করেন , তখন দেখবেন আপনার আসে পাশের মানুষ সুযোগ পেলে আপনাকে বল্টু বলে রাগাবার চেষ্ঠা করবে এবং এটাই তাদের আনন্দ , আপনি যত ক্ষেপবেন তাদের তত আনন্দ ।
এবার মনে করেন আপনি বল্টু বলাকে আর পাত্তা দিচ্ছেন না , রেগে যাচ্ছেন না , হেসে এড়িয়ে যাচ্ছেন অথবা বোলছেন আমি বল্টু হোলে তুই হলি টল্টু হেল্টু , তখন দেখবেন আপনাকে আর বল্টু বলে কেউ ক্ষেপাচ্ছেনা ।
কারন আপনার আসে পাশের মানুষ যখন দেখবেন আপনি ক্ষেপছেন না , তখন তারা বল্টু বলা বন্ধ করে দিবে ।

জী ঠিক এই ভাবে বিদ্রুপকে পাত্তা না দিয়ে মোকাবেলা করার উপদেশ কোরানে দেওয়া হয়েছে ।
মনে রাখবেন যত ক্ষেপবেন তত বিদ্রুপ বেড়ে যাবে , কারন বিদ্রপকারীরা রেগে গেলেই আনন্দ পায় ।ধন্যবাদ

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: সহী হাদিস নিয়ে তেনা পেচানো আপনার অনেক পুরাতন স্বভাব।
আমি এখানে সিহা সিত্তা ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থের হাদিস দেই নি। সবগুলি হাদিস সহী বুখারী শরীফ এবং সহী মুসলিম শরীফ থেকে নিজে পৃষ্ঠা বের করে দেখে তারপর লিখেছি।
আপনি স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলুন?
সহী বুখারী এবং সহী মুসলিমের হাদিসের সনদ এবং মতন নিয়ে কি আপনার মনে কোন সন্দেহ আছে?
হ্যা বা না বলবেন। পেচাবেন না।
তারপর আমি অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
অন্য ধর্মের বিষয়ে আমার এবং ইসলামের অবস্থান আমি আগের মন্তব্যেই যা বলার বলেছি "আমি যে কোন ধর্মের বিরুধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা, গালি গালাজ করা পছন্দ করি না। আমার নবী এই ব্যাপারে নিষেধ করে গেছেন"।

ধন্যবাদ।

৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরান হাদিসে নবীর ছবি আঁকা নিষেধ সে রকম আলাদা ভাবে কিছু বলা হয় নি।
ইসলামে যে কোন মানুষ বা মানুষাকৃতির, মুর্তি তৈরি ও ছবি, আঁকা ছবি নিষেধ। এমনকি কোন প্রানীর ছবিও নিষেধ।
সেই আদেশের অংশ হিসেবে নবীর ছবি আঁকা বা দেখানো নিষেধ।

জেহাদি চেতনা মাথাচাড়া দেয়ার আগে নিজেদের পাসপোর্টের ছবি, সব আইডি কার্ডের ছবি ব্লেড দিয়ে কেটে পুড়িয়ে ফেলুন, ফেবুর প্রফাইল পিক সহ সব সব ছবি ডিলিট করে ফেলুন। ছবির ভান্ডার মোবাইলটা আছাড় মেরে গুড়ো গুড়ো করে ফেলুন।
ইসলামী আইন সম্পুর্ন মেনে তার পর অনান্য ছবির প্রতিবাদ করুন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
পোস্টের সাবজেক্ট বর্হিভূত বিষয় নিয়ে কেন মন্তব্য করেছেন?
আমি ছবি তোলা নিয়ে নিয়ে কি কিছু বলেছি? জিহাদী চেতনা নিয়ে আপনার এত ভয় কেন?
আমি ব্যক্তিগত জীবনে কত টুকু ইসলামী আইন কানুন মেনে চলি সেটা তো আপনাত জানার কথা না?
শুনুন, আমি ভন্ডামী করিনা। আমি যা যা লিখি সেটা আমি নিজেই বিশ্বাস করি দেখেই লিখি। ঠিক এই জন্য সব বিষয় নিয়ে আমাকে লিখতেও দেখবেন না।
ইসলামে মহানবীর অপমানের প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে। সেটার সপক্ষে আমি সহী হাদিস পেশ করেছি। আমার কাজ হলো ইসলামের নিয়মকানুনের কথা আপনার কাছে পৌছে দেয়া, সেটা আমি দিয়েছি। এখন আপনি সেটা করবেন কি, করবেন না সেটা আপনার ব্যাপার। এর ফয়সালা আপনাকেই আল্লাহর সাথে করতে হবে। জবাবদিহীও আপনাকে করতে হবে।
ধন্যবাদ।

৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে এর জন্য উত্তম পুরষ্কার দান করবেন। আমীন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সব ওয়াজ আর কত করবেন ?

এবার ক্ষান্ত দেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ক্ষান্ত দেবো না। কারণ ক্ষান্ত দেয়ার অধিকার ইসলাম আমাকে দেয় নি।
ইসলামে জ্ঞান গোপন করার ব্যাপারে নিষেধ করা আছে। আমি ইসলাম নিয়ে যা জানি তা যদি আমি প্রকাশ না করি তাহলে এইজন্য আমি দায়ী থাকব।
আমাকে ক্ষান্ত দিতে না বলে যারা আমার নবীকে অপমান করে ব্যঙ্গ করে কথা বলেছে তাদের কি ক্ষান্ত দিতে বলেছেন? নাকি সেই বিষয়ে চুপ করে আছেন?

৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কলেমা তাইয়্যেবা এর বাংলা হলো, আল্লাহ্ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নাই, মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁহার প্রেরিত রসূল।। যারা এ'টুকু মানবে, তাদের এটাও মানতে হবে, আল্লাহ'র রসূল এর মর্যাদা ক্ষুন্নকারীদের ইসলামে কোন জায়গা নাই। আর এই মর্যাদাহানি যদি কোন অমুসলিম বা নাস্তিকের দ্বারা হয়, তাহলে তার প্রতিবাদ করা প্রকৃত মুসলমানদের অবশ্য কর্তব্য।

এখন যাদের (মুসলমান নামধারী) হৃদয়ে সীলমোহর মারা আছে, তাদের আপনি এতো লম্বা চওড়া পোষ্ট দিয়ে কিছুই বোঝাতে পারবেন না। বাংলায় একটা কথা আছে, যার হয় না ন'য়ে, তার হয় না নব্বুইতে। রাসূল (সাঃ) এর মর্যাদা ক্ষুন্নের প্রতিবাদ করাই ভালো, এনাদেরকে না বুঝিয়ে।

@হাসান কালবৈশাখীঃ আপনি ভাই একটা জিনিস। মন্তব্যগুলো কি বিশ্বাস থেকে করেন, নাকি বিনোদন দেয়ার জন্য করেন? কিছুদিন আগে জানলাম, আপনি মুসলমান। আগে জানতাম, আপনি নাস্তিক। আপনার প্রতিটা শব্দের ব্যাখ্যা ইসলামে আছে। আমি দিতে গেলে বিশাল মন্তব্য হবে। আপনি বরং একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের এই ধর্ম নিয়ে আরো পড়ালেখা করেন, গুগল করলেই সব পাবেন......এমন কঠিন কিছু না। মুসলমান হিসাবে এটা আপনার কর্তব্য। তারপরেও সত্যি সত্যিই যদি কোনটা না পান, জানায়েন।
বাই দ্য ওয়ে, মোবাইল কি গুড়া গুড়াই করতে হবে? টুকরা টুকরা করলে চলবে না? =p~

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আমি সবসময় বলে এসেছি ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস। নামে মুসলিম বলে আসলে কিছু নেই। বিশ্বাস না থাকলে নাম কেন কোন কিছুতেই কিছু যায় আসে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি এত থাকতে কেন এই বিষয়ে পোস্ট দিলাম?
ইচ্ছেকৃতভাবে মহানবীর নামে যথেচ্ছা নোংরা ছবি এঁকে সেটা ফ্রান্সের সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে টানিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেটা রাখছে। সবকিছুর উপরে যে স্বাভাবিক ভদ্রতা এবং ভব্যতা সেটাও মাক্রোন মানে নি। একজন মুসলিম হিসেবে এটা স্বাভাবিক প্রতিবাদ করবে কারণ ইসলাম এটার নূন্যতন মৌখিক প্রতিবাদের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সমস্যা হচ্ছে এই সামান্য প্রতিবাদও আমাদের এই অল্প কিছু লোকজন করতে দিতে চায় না। কেন চায় না আর এদের এজেন্ডা কি সেটা সব মুসলিমদের খুব ভালো ভাবেই জানা উচিত।
চমতকার এবং দুর্দান্ত একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভ কামনা রইলো।

৩৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

একাল-সেকাল বলেছেন:
পোস্ট টাইটেল সময়োপযোগী হয়েছে, যদিও অনেকে কোভিড পজেটিভ কে করোনা রোগী বলতে নারাজ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। আমি টার্গেটের অডিয়েন্স'কে নিয়েই লিখেছে। তাই লেখার শিরোনাম এইধরণের দিতে হয়েছে।
তবে এদের চিহ্নিতকরণ খুব জরুরী। ঘরের শত্রুদের আগে চেনা দরকার।

৩৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



***** ফ্রান্সে আরো ৩ জনকে হত্যা করেছে ১ জন মুসলিম জংগী; ফ্রান্স থেকে আরব, চেসেন, পাকিস্তানী ও আফ্রিকান ইমিগ্রেন্টদের টাকা পয়সা দিয়ে স্বস্ব দেশে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া উচিত। ******

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: ইরাক সিরিয়া প্যালেস্টাইনে কত শত নিরহ মুসলিমকে মেরে ফেলা হয়েছে। এখনও হচ্ছে?
তখন আপনার এই মানবতাবাদ কোথায় ছিল? চৌকির তলায়? না কমোডে?

৩৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

রামিসা রোজা বলেছেন:

আলহামদুলিল্লাহ ,খুব ভালোলাগলো আপনার এই লেখায়।
আমাদের প্রিয় নবীর অপমান কোনভাবেই মানা যায় না ।
যেকোন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িটা মানুষের একটি রোগে পরিণত
হয়ে গিয়েছে । কেন সবকিছুকে ব্যঙ্গ করে সহিংসতায় নিতেই
হবে ।কারোর কোন অধিকার নেই এই বাড়াবাড়ির ।পছন্দ না
হলে এভোয়েড করার অপশন আছে,নিজেরটা নিজে পালন
করো । কারণ কবরে কেউ কারো জবাব আমরা দিতে যাবোনা,নিজেরটা নিজের দিতে হবে তাহলে যার যারটা
তাকে তাকে করতে দিন । তার হিসেব সে দিবে।

ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
যদিও মুসলিম হিসেবে সালাম দেয়া উচিত। তবে সালাম দিলে আপনাকে আবার ফিরে এসে সালামের প্রতি উত্তর দিয়ে যেতে হবে দেখে দিলাম না।
আমার এই পোস্টে নিয়ে এত হাউকাউ করার এর কোন দরকার ছিল না। আমি শুধু বলতে চেয়েছি একজন মুসলিম হিসেবে আমি কেন আমার নবীকে অপমান করলে এর মৌখিক প্রতিবাদ করতে পারবো না। এটা তো আমার ঈমানের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে এইসব মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা বাধা দিচ্ছে? নিশ্চয় এদের কোন এজেন্ডা আছে। আমি সেই এজান্ডা নিয়েই সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৩৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: এদের অনেকেই আবার বলে বেড়াচ্ছেন, “আমরা কি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি না? কারণ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় তো অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন”।
এই কথার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট জবাব হলোঃ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর উদ্দেশ্যে কটূক্তিকারীদের কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আবার করেননি। কিন্তু এখন তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর ক্ষমা করার বিষয়টি আর তার কাছ থেকে জেনে নেয়া সম্ভব নয়। [সূত্রঃ আল-সারিম আল-মাসলুল, ২/৪৩৮]

ইবনে খাতাল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি কটূক্তি করেছিল। এই বিষয়ে সহী হাদীসে এসেছে, হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, “রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন মক্কায় প্রবেশ করে মাত্র মাথায় যে হেলমেট পরা ছিল তা খুললেন, এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বললো, ইবনে খাতাল (বাঁচার জন্য) কা’বার গিলাফ ধরে ঝুলে আছে। রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঐ অবস্থায়ই) তাকে হত্যা করো।” (সূত্রঃ সহী বুখারী শরীফ, ২য় খন্ড হাদিস নাম্বার ১৮৪৬, ৩০৪৪, ৩২৮৬, ৫৮০৮, সহী মুসলিম শরীফ ১৫/৮৪, হাদিস নাম্বার ১৩৫৭)

গ্রেট জব ম্যান! আপনারাই পারবেন ইসলাম ধর্মকে জঙ্গিবাদ বানিয়ে ফেলতে। আপনারাই পারবেন আমাদের রাসুল এর আদর্শকে কুলসিত করতে। আপনাদের কল্যানে আমাদের রাসুলের কর্মকান্ড হয়ে যাবে নির্দয়, নির্মম। যদিও আমাদের রাসুল সঃ ছিলেন আপানাদের উপস্থাপন থেকে সম্পুর্ন ভিন্ন!

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ উক্ত হাদিসটি ছিল Penalty of Hunting while on Pilgrimage এর গুরুত্ব বুঝানোর জন্য। আর আপনি উপস্থাপন করছেন ইবনে খাতাল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি কটূক্তি করেছিল তাই তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাদের মহানবী!

উক্ত হাদিসটির ব্যাখ্যা : ইবনে খাতালকে যে কারণে হত্যা করা হয় :

জাহেলী যুগে তার নাম ছিল আবদুল উজ্জা। সে মদিনায় এসে ইসলাম কবুল করলে তার নাম রাখা হয় আবদুল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে এক এলাকায় যাকাত আদায় করার জন্য নিযুক্ত করেন। তার সহযোগী একজন মুসলিম গোলাম ছিল। খাবার তৈরি করতে একটু দেরী হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে গোলামটিকে মেরে ফেলে এবং পালিয়ে মক্কায় গিয়ে ধর্মত্যাগী বা মুরতাদ হয়ে যায়। তাই মক্কা বিজয়ের দিন এ পাপিষ্ঠের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কোন অপরাধী কাবা ঘরের চাদর ধরে থাকলে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হতো। নিয়মানুযায়ী নিরাপত্তার আশায় ইবনে খাতাল ঐ সময় কাবার গিলাফ ধরে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে হত্যার আদেশ দিলে সাহাবীগণ তাকে যমযম কূপ ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে এনে হত্যা করেন।

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া নবীজিকে আপনি এবং এবং আপনাদের মত মুর্খরা কি খুনি বানিয়ে দিচ্ছেন না? আপনার কমেন্ট বক্সেও আরো কতজন ধর্মিয় মুর্খের সহমত ভাই দেখলাম। আপনারা মিথ্যার দোকান দিয়ে কি চান? ইসলাম শান্তির বার্তা দেয়, ইসলাম ক্ষমা শিখায় - যা আমাদের নবী আমাদের শিখিয়েছেন। আপনাদের মত জঙ্গি ইসলামের অংশ হতে পারে না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম। ধন্যবাদ এত দীর্ঘ একটা যুক্তি নির্ভর মন্তব্য দেয়ার জন্য। উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য দুঃখিত।
ইবন খাতাল এর অংশ যেটা আমি লিখেছি সেটা যেখানে পেয়েছিলাম সেখানে অন্যভাবে দেয়া হয়েছিল। আপনি যেহেতু অরিজিনাল লেখাটা পড়েছেন আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি যা লিখেছেন সেটার সূত্র এখানে উল্লেখ করতে। আমি সেটা পড়বো। এবং গ্রহ্ণযোগ্য মনে হলে ইবন খাতাল নিয়ে লেখা অংশ কেটে অবশ্যই বাদ দিয়ে দেবো। কোন অসুবিধা নেই।

আনাস ইবন মালিক রাদিআল্লাহু আনহুর বাকি হাদিস লেখার বিষয়বস্তুর সাথে রিলেটেড। সুতরাং এইগুলি থাকবে।

আমি লেখায় কোথ্যও প্রতিবাদের ভাষার উগ্রতার কথা কি উল্লেখ করেছি? ইসলাম অবশ্যই শান্তির ধর্ম কিন্তু তার মানে এটা নয় যে কেউ আমার নবীকে অপমান করবে আর আমি চুপ করে বসে থাকবো। ইসলামে মৌখিক প্রতিবাদ করার নির্দেশ দেয়া আছে।

ধন্যবাদ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখার সূত্র আমি খুজে পেয়েছি। নীচে লিংক দিলাম।
http://ihadis.com/books/shamayele-tirmidi/chapter/16
হাদিস নাম্বার ৮৪
অপ্রয়োজনীয় অংশ লেখা থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@প্রবাসী পাঠক, আপনি বলেছেন, "এদের অনেকেই আবার বলে বেড়াচ্ছেন, “আমরা কি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি না? কারণ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় তো অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন”। "

-রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম ফ্রান্স চালাচ্ছেন না, বাংলাদেশও চালাচ্ছেন না; উনার কথায়, উনায় আইনে আমরা চলছি না, আমরা চলছি আমাদের শাসনতন্ত্র অনুসরণ করে।

৪০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @চাঁদগাজী, প্রথম কোট করা দুই প্যারা লেখকের পোস্ট থেকে কোট করা হয়েছে। বোল্ড করে দিয়েছিলাম সম্ভবত ট্যাকনিক্যাল কোন কারণে বোল্ড হয় নি। এবার আপনার কথায় আসি -

ধর্মিয় অনুশাসন আর রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অনুশাসন দুইটা ভিন্ন বিষয়! আপনি যখন দুইটাকে এক করে ফেলতে যাবেন তখনই বিপত্তি হয়। এবং অধিকাংশ সময় আপনাদের মত কেউ কেউ এই দুইটা বিষয় এক করে একদম জগা খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেন। এজ এ মুসলিম আমার কিছু ব্যাসিক নিয়ম কানুন আছে যা আমি মুসলিম হিসাবে পালন করি সেখানে আমার রাষ্ট্র এর আইন মুখ্য নয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মদ্যপান। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মদ্যপান প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য লিগ্যাল। কিন্তু আমার ধর্মিয় অনুশাসন মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছে। এখন আমি ধর্মিয় অনুশাসন মেনে মদ্যপান না করলে আপনি আমাকে রস্ট্রিয় আইন দেখিয়ে মদ্যপান না করা নিয়ে কিছু বলার অধিকার রাখেন না।

প্রতিটি নাগরিক যেমন রাষ্ট্রীয় আইনের দ্বারা পরিচালিত ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত মোরাল দিয়েও পরিচালিত। ব্যক্তিগত ম্যারাল যদি ধর্মের বেসিসে হয় তাতে মনে হয় অন্য কারো সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার থাকে না। তাই ফ্রান্স বাংলাদেশ যেখানেই থাকুক না কেন রাষ্ট্রীয় আইনের সাথে ধর্মিয় শাসনতন্ত্রের অধিনেও মানুষ থাকে। এই সহজ বিষয়টা যখন বুঝতে পারবেন তখন আর এই জল ঘোলা করার কমেন্ট করবেন না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এত কষ্ট করে আরেকজন ব্লগারকে ধর্মীয় অনুশাসন কি সেটা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।
কিন্তু ভাই, কোন লাভ নেই। ইসলাম উনার চুলকানীর বিষয়। যে কোন ধর্মীয় পোস্ট দেখলেই উনি সেখানে
যেয়ে অপ্রয়োজনীয় অবাস্তব মন্তব্য করে।
এখনকার যুগে যে কেউ ধর্ম না মানতেই পারে।
কিন্তু নিজেকে মুসলিম দাবী করে ক্রমাগত ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ যেটা উনি
নিয়মিতই করেন।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

৪১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি হলে সারা মুসলিম জাহানের মাঝে শ্রেষ্ঠ ও জ্ঞানী মুসলিম। আপনার কথায় ভুল থাকতে পারেনা। বেশিরভাগ ব্লগার মুনাফিক, এখন মুনাফিকের সাথে আপনি থাকবেন নাকি তাদের চলে যেতে বলবেন?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার দ্বিমূখী নীতির কারণ কি বলবেন?
আরেকজনের পোস্টে যেয়ে ঘটা করে বলে এসেছেন আমার পোস্ট এড়িয়ে যেতে।
আবার আমার পোস্টে এসে পড়েছেন এবং
মন্তব্যও করে গেছেন। আপনারা পারেনও বটে?
কত রকমের খেলা যে দেখাবেন আপনারা!
আমার কথায় ভুল আছে কিনা সেটা যুক্তি দিয়ে বলুন! কোথায় আমি ভুল লিখেছি দেখান, যদি পারেন!
এইসব বায়বীয় ডায়ালগ দিয়ে কোন লাভ নেই!

৪২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@প্রবাসী পাঠক,
আপনি বলেছেন, "ধর্মিয় অনুশাসন আর রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অনুশাসন দুইটা ভিন্ন বিষয়! আপনি যখন দুইটাকে এক করে ফেলতে যাবেন তখনই বিপত্তি হয়। এবং অধিকাংশ সময় আপনাদের মত কেউ কেউ এই দুইটা বিষয় এক করে একদম জগা খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেন। "

-আপনি যা বলছেন, এটা শিক্ষিত মানুষের রাষ্টভাবনা নয়।

৪৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @চাঁদগাজী,

সরি আপনাকে আশাহত করার জন্য! আমি আপনার মত উন্নত প্রজাতির শিক্ষিত হতে না পারা মে বি আমার জন্য আশির্বাদ।

৪৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুনাফিক চেনার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। মুসলমানদের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে নেমেছে যে প্রতিবাদ করা ঠিক হবে কি না এটা নিয়ে তারা দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ঠিক এটাই বুঝতে চেয়েছি এই পোস্ট।
আমার নবীকে অপমান করবে আর আমি কিছুই বলতে পারবো না এটা আবার কোন ধরনের নিয়ম?
যে কোন ধরণের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে।

৪৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@সাড়ে চুয়াত্তর,
আপনি বলেছেন, " মুনাফিক চেনার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। "

-আপনাদের মতো লোকজন ব্লগে এসব ভয়ংকর শব্দ ব্যবহার করে, কি করে এখনো ব্লগে টিকে আছেন, সেটাই চিন্তার বিষয়।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি একবারে চলে যাবার পর ব্লগে আরো ভালো থাকবে। ব্লগের একমাত্র আপদ হচ্ছে আপনি!

৪৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

এম ডি মুসা বলেছেন: খুব ভালো বলছেন

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

৪৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

মরুর ধুলি বলেছেন: আমাদের দেশের শাসনতন্ত্রের কোথাও কি বলা আছে ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ (স) নিয়ে কটূক্তি করা যাবে। ব্লগার চাঁদগাজীকে দেখছি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটা বাক্যই বলে যাচ্ছেন, “ আমাদের শাসনতন্ত্র মেনে চলছি।” তো চলুন না, আপনাকে কে মানা করেছে। আপনি দেশের শাসনতন্ত্র মানেন আর অন্যরা মানেন না- সেটা বুঝাতে চাইছেন নাকি? আপনার বাপ সন্ত্রাসী, আপনি মানসিকতায় সন্ত্রাস লালনে করেন- কি ক্ষেপেছেন তো? তাহলে আমরা যারা রাসুল (স) কে নবী হিসাবে মানি, তাকে ভালবাসাই ইমানের পূর্ব শর্ত হিসাবে বিশ্বাস করি, সেই নবীর অবমাননায় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করবো না?
ি
আপনি আপনার ধর্ম বিশ্বাস ক্লিয়ার করুন। আমি জানতে চাই আপনার ধর্ম কি? তারপর আপনার সাথে অন্য কথা হবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম।
আপনি যেটা বলেছেন সেটা উনি খুব ভালো করেই জানে। কিন্তু উনার স্বভাব হচ্ছে পেচানো। ইচ্ছেকৃতভাবে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি নিয়ে পেচানো। নিজের ধর্ম বলবে ইসলাম, কিন্তু এর আচার আচরণে ইসলামে কোন কিছু খুজে পাবেন না।
আমার নবীকে কেউ অপমান করবে কিন্তু আমি এর প্রতিবাদও করতে পারবো না এটা কোথায় লেখা আছে বলুন?
অথচ প্রতিটা মুসলিমের এই নায্য অধিকার নিয়েই এদের এত হাউকাউ।
এরা ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে ইসলাম 'কে নিয়মিত কলুষিত করছে।
ইসলাম যদি আল্লাহর রাসুল এর ধর্ম হয় আর এই ব্যক্তিদের ধর্ম যদি শুধু মানব ধর্ম হয়, তাহলে এরা ধর্মের জায়গায় কেন ইসলাম লিখে? সেখানে মানবতা ধর্ম লিখলেই তো হয়।
তখন মরার পর যেন এদের লাশের জানাজাও দিতে হবে না, দাফনও দিতে হবে না। পুড়িয়ে দিলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

৪৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@মরুর ধুলি,
আপনি আমার উদ্ধে বলেছেন, "আমি জানতে চাই আপনার ধর্ম কি? তারপর আপনার সাথে অন্য কথা হবে। "

-আমার ধর্ম মানবতা; কথা হবে?

৪৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৮

মরুর ধুলি বলেছেন: অন্যের ধর্মের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা ও তাতে সায় দেয়া বুঝি “ মানবতা” নামক ধর্মের ইবাদাত?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: অন্য কোন ধর্ম না শুধু ইসলামের বিরুদ্ধেই এদের খুজে পাবেন।
এদের সব কর্মকান্ড হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে। সাধে আমি এদের এই নামে ডেকেছি!

৫০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মরুর ধুলি বলেছেন, " অন্যের ধর্মের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা ও তাতে সায় দেয়া বুঝি “ মানবতা” নামক ধর্মের ইবাদাত? "

-ফ্রান্সে যা ঘটছে, সেটা টেরোরিষ্ট আক্রমণ, সেটার বিপক্ষে ফ্রান্সকে সাপোর্ট করা দরকার; ফ্রান্স আমাদের পক্ষে, ফিলিস্তিনের পক্ষে, ফ্রান্সে ৫০ হাজার বাংগালী ইমিগ্রেন্ট আছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: ফ্রান্স তো আপনার মতো মুসলিম নামধারী ভণ্ডদের পক্ষে থাকবেই!
মাক্রো যে এখন মিডিয়াতে এসে কান্না কাটি শুরু করেছে সেটা জানেন? এত সমর্থন দিয়েও তো কিছু করতে পারলেন না?
আহা! নির্ভেজাল দালালীপণা একদম বৃথা গেল আপনাদের!

৫১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৪

শাহাদাত* বলেছেন: "আমি টার্গেটের অডিয়েন্স'কে নিয়েই লিখেছে। তাই লেখার শিরোনাম এইধরণের দিতে হয়েছে। তবে এদের চিহ্নিতকরণ খুব জরুরী। ঘরের শত্রুদের আগে চেনা দরকার।

চিহ্নিত করলে কোপাইতে সুবিধা।

মুসলিমরা ফ্রান্সকে বয়কট করছে তারা নবীর ছবি প্রকাশ প্রসঙ্গে আগের অবস্থানে আছে বলে। কিন্তু এই যে মুসলিমরা স্যামুয়েলকে হত্যা করেছে এবং হত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে শার্লি হেবদোকে যে এখন উস্কানি দিয়েছে আমার প্রিয় নবী(সা)র সেইসব নোংরা কার্টুন জনসম্মুখে সরকারি অফিসের সামনে টাঙাতে-কোটি কোটি মানুষকে আবারো নতুন করে দেখিয়েছে সেসব, তাহলে কী মুসলমান হয়েও আমার উপর মুসলমানদের বয়কট করা ফরজ?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সমস্যা হচ্ছে দোষ খোঁজার জন্য লোক খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ইসলাম, মুসলিম এইসব শব্দ নিয়ে সম্ভবত আপনার এলার্জী আছে। ব্লগে আপনার মতো আরো এই মেন্টাল কোয়ালিটির লোক আছে, কখনই লোনলী ফিল করবেন না।

প্যারিসে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এক ফরাসি স্কুলশিক্ষক এবং এক চেচেন পরিচয়ধারী যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। ফরাসি পুলিশ বলছে, স্কুলশিক্ষক'কে গলা কেটে হত্যা করেছে ওই চেচেন যুবক। চেচেন যুবককে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গুলি করে হত্যা করায় তার ভাষ্য আর পাওয়ার উপায় নেই। স্যামুয়েল'কে কে হত্যা করেছে কিংবা আদৌ কোন মুসলিম হত্যা করেছি নাকি সেটা জানার কোন উপায় নেই। কারণ একজন মুসলিম'কে গুলি করে হত্যা করেছে ফ্রেঞ্চ পুলিশ কিন্তু সেটা না করে তাকে বিচার আওতায় আনলে আসল সত্য জানা যেত।

আগে ইতিহাস জানুক। লেখাপড়া করুন। সত্য জানুন। ফরাসি সেক্যুলারিজম যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হতো, তাহলে সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজির পুত্রের সঙ্গে ধনী ইহুদি–কন্যার বিয়ে নিয়ে ওই শার্লি এবদো পত্রিকায় রম্য রচনা লেখার দায়ে চাকরি চলে যেত না একজন লেখকের। ফ্রান্সে ধর্ম ও রাষ্ট্রের দূরত্ব কঠোরভাবে মান্য করা হয়। অথচ ২০১৩ সালে টাউন হলের মতো পাবলিক জায়গায় যিশুখ্রিষ্টের জন্মদৃশ্যের মঞ্চায়ন ঘটিয়েও আইনের বাইরে থেকে যান মার্সেই শহরের মেয়র।

শার্লি হেবদো কি আজকেই প্রথম এই নোংরা কাজ করেছে? অনেকদিন ধরেই করছে। কিন্তু কেন সেটা ফ্রেঞ্চ সরকার এটা করতে দিচ্ছে? কারণ ইসলাম বিদ্বেষ। সবকিছুর মূলে হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষ।
ফ্রেঞ্চ সরকার যদি শার্লি হেবদো'কে প্রথমেই কন্ট্রোল করতো তাহলে আজকের এত কিছুর কিছুই হতো না।

কিন্তু আপনি সবকিছু বাদ দিয়ে মুসলিমদের দোষ দিচ্ছেন। দিন বেশি করে দিন।
এইসব মুসলিম নামধারী ভণ্ডদের আসলেই চিনে রাখা দরকার। এরাই ইসলামের আসল শত্রু।

৫২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১০

জিকোব্লগ বলেছেন:



নীল আকাশ জামায়াত -শিবিরের লোক।
ব্লগারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার জন্য
নীল আকাশকে সুলাইমানি ব্যান করা হোক !!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: ৯ ঘন্টা ২৭ মিনিট ব্লগে এসে আরেকজনের ব্যান চাইছেন? ব্লগ বানানও মনে হয় এখনও শেখেন নি?
আপনার মতো আবাল পোলাপাইন এখন ব্লগে আসছে দেখেই আজকে ব্লগের এই অবস্থা!
এই ব্লগে ৮ বছর ব্লগীং করে তারপর আমার ব্লগে এসে মন্তব্য করবেন।

৫৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: একজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: এর আগে আস্ত গাড়িতে আগুন লাগিয়ে সম্ভবত ১১জন নিরহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল এখন রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে! বিশ্বজিত নামের এক নাপিত কে প্রকাশ্য কয়জন কুপিয়ে ছিল ভুলে গেছেন?

৫৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

শাহাদাত* বলেছেন: "ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লালমনিরহাটে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, মৃতদেহে আগুন।" বিবিসি

আপনি কী নিজেকে মুসলিম মনে করেন?
আপনার ধর্ম কি ইসলাম?


তাহলে একটা মানসিক ভারসাম্য হীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা, তার পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা আপনার দায়িত্ব।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: মানসিক অসুস্থ মানুষের মতো কথা বলছেন কেন?
ইসলামের কোথায় কোন জায়গায় বিনা বিচারে মানুষকে পিটিয়ে মারার কথা অনুমোদন কর হয়েছে?
ইসলাম নিয়ে পড়া শুনা করুন। মুসলিম নাম থাকলেই আল্লাহর কাছে পার পাবেন না।
এইসব সুগভীর ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বহু আগে থেকেই চলছে এই দেশে।

৫৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় এই পোষ্ট দেখলে বুঝি নবীজিও ভিমড়ি খেতেন!

আরে ভাই এত সহজ সরলীকরণ করে ট্যাগিংবাজি দিয়ে কি সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেই নবীর শান- যিনি পথে কাটা ময়লা না দেখে বুড়ির বাড়ী নিজে হেটে গেছিলেন কি হয়েছে দেখতে?
সেই নবীর শান- যিনি রক্তাক্ত হয়েও অভিশাপ দেননি তায়েফবাসীকে! যেখানে ফেরেশতা শুধু হুকুমের অপেক্ষায় ছিলেন না বরং আদেশ চাইছিলেন! কিন্তু তিনি ক্ষমায় আর প্রেমে তাদের জন্য হেদায়েতের দোয়া করেছিলেন।

আমি নিজেই সত্যি বলতে পোস্টে ঢুকতেই চাইনি! ট্যাগিং এর ভয়ে।
কারণ এত সরল সমীকরণ নিয়েছেন পক্ষে থাকলে মুসলিম বিপক্ষে মত গেলেই মুনাফিক! উরে বাপ্রে! এত বড় অপবাদ!

আচ্ছা ভাই - সউদি আরবের অবস্থা কি বলেন তো? তারা কি রাষ্ট্রীয় ভাবে বিবৃতি দিয়েছে?
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক কোন ব্যবস্থা নিয়েছে?
যদি না নিয়ে থাকে- তবে তো গোড়াতেই গলদ!
কি বললেন তারা গোমরাহ!? তবেতো ফ্রান্সের আগে মুসলমানদের প্রথম কর্তব্য মক্কা মুক্ত করা, মদীনা মুক্ত করা নয়কি?

নবীর শানে যার না কাঁদে মন
নয় সে মুমিন! নয় মুসলমান!

এখন এই কান্নার প্রকাশ কি সব একই রকম হবে?
কেউ নিরবে কাঁদবে, কেউ কবিতা লিখবে? কেউ প্রবন্ধ লিখবে? কেউ রাজপথে নামবে?
কেউ বিবৃতি দেবে, কেউ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাবে! কেউ কেবলই প্রার্থনা করবে!

এখন আপনার অতিসরল ফর্মূলায়তো অনেকেই মুনাফিক হয়ে গেছে, বা যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়।
আবেগের চেয়ে প্রজ্ঞা বেশী প্রয়োজন।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। আপনার প্রতিটা কথার উত্তর আমি নীচে দিচ্ছি।
আমি এই পোস্ট দিতে চাইনি। কিন্তু কিছু কিছু ব্লগারদের ফ্রান্সের পক্ষ নিয়ে যেভাবে লেখা পোস্ট করা হচ্ছে সেটা আশংকা জনক। সবাই ধর্মভীরু হবে না। সবার নবী প্রেম এক সমান হবে না। এটা আমি মানি। কেউ যদি মনে করে নবীর অপমান হচ্ছে হোক আমার কি? চুপ থাকবো। এটা তার ব্যাপার। এর জবাব তাকেই দিতে হবে। এটা নিয়ে আমার কোন ম্যাথাব্যাথা নেই। সমস্যা হচ্ছে যখন এইসব লোকজন নবীর অপমান এর প্রতিবাদ তো করছেই না উলটো যারা করছে তাদের ধর্মান্ধ মৌলবাদী জামাত শিবির ইত্যাদি ট্যাগিং করে ব্যাঙ্গ করছে। এটা কি ঠিক? তুমি ধর্ম মানবে না তাই বলে বলে কি বাকিরাও মানবে না? বলুন?

মুনাফিক এর অর্থ হচ্ছে যে নিজেক মুসলিম পরিচয় দেয় কিন্তু অন্তরে ইসলাম বিদ্বেষী। এখন আপনি বলুন কোন মুসলিম নামধারী যদি নবীকে ব্যাঙ্গ করে কিছু লেখে, অন্য কেউ লিখলে তাকে ননস্টপ সমর্থন করে সে কি আসলে? নিশ্চয় তার মাঝে ঈমানের বিন্দুমাত্রও অবশিষ্ট নেই। যার মাঝে ইসলামের কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই অথচ ইসলামের নাম নিয়ে ক্রমাগত ইসলামের নামে বিষেদাগার করে বেড়ায় তাকে আপনি কি বলবেন?
আব্দুল্লাহ ইবন উবাই কি করতো? কেন তাকে নবী এবং আল্লাহ মুনাফিক বলে ঘোষনা দিয়েছেন?
যারা মুসলিম নাম নিয়ে ইসলামের ক্ষতি করে বেড়ায় তারা অবশ্যই মুনাফিক।

সৌদি বা মিডলইস্ট এর কোন ব্যক্তির কোন কাজের জন্য আমি বা আপনি রোজ হাশরের ময়দানে জবাব দিবেন না। তার জবাব তাকেই দিতে হবে। প্রত্যেক মুসলিমকে তার কাজের জন্য বিচার করা হবে। সহী হাদিসে আছেঃ
হযরত ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিতঃ “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হয় যে, তারা যা বলে, তা করে না এবং তারা তা করে, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হয় না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন। আর এর পর সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই”। (সূত্রঃ হাদিস নাম্বার ১৫৯১, Click This Link)

আমার সার্মথ্য যতটুকু আমি তাই করবো। কারণ আল্লাহ দেখছেন তিনি ভালো জানবেন।
এখন আমাকে আমার ঈমানের জন্য প্রতিবাদ করতে দেয়া না হলে কিংবা প্রতিবাদ করতে বাধা দেয়া হলে কিংবা প্রতিবাদ করলে ব্যঙ্গ করলে আমি তাকে মারধোর করবো? না তাকে চিহ্নিত করে বাকি মুসলিমদের তাকে নিয়ে সর্তক থাকতে বলবো।
আমি এই পোস্টে শুধুই এইসব ভণ্ড নাফরমান মুসলিমদের চিহ্নিত করে বাকিদের তাদের'কে চিনে রাখার জন্য বলেছি। এদের বিচার আমি না আল্লাহ করবেন, নিশ্চয় করবেন। কারণ তিনি সেটা পবিত্র কুরআনেই ঘোষনা দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সবাইকেই এদের কাছ থেকে সর্তক থাকতে হবে।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা আপনার জন্য।



৫৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

আমি সাজিদ বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, কোন কারনে কি আপনার মানসিক স্থিরতা কমে গেছে? আমি অনুরোধ করবো কয়েকদিন ব্লগিংং করবেন না দয়া করে। আমি প্র‍্যাকটিসিং মুসলমান, কিন্তু হাদীস নিয়ে হয়তোবা পড়াশুনা কম তাই আপনার শুভংকরের ফাঁকি ও হাদীসকে নিজের মতো করে মিথ্যা ব্যাখা দিয়ে মানুষকে উসকে দেওয়ার বিষয়টা ধরতে পারলাম না। কিন্তু উপরে প্রবাসী পাঠক ভাই ঠিকই আপনাকে ধরে ফেলেছেন।
আমার মনে হয়, আপনি ভুল স্ট্যাটেজি নিয়ে পড়াশুনা করেন, নাহয় এতো ভুলভাল কিভাবে বলেন?
এরপর আপনি অন্য ব্লগারদের নানা লেখায় গিয়ে তাদের উসকে দিচ্ছেন। লালমনিরহাটের ঘটনাকেও এখানে দেখা যাচ্ছে আপনি জাস্টিফাই করতে চাচ্ছেন। কেন ভাই? কেউ আপনার দ্বিমত করলেই তার জ্ঞান ধুলো সমান আর সে জানান্নামে যাবে এসব ফতোয়া দিচ্ছেন কেন? সে হিসেবে তারা যদি জাহান্নামী হয়, ইনশাআল্লাহ এদের দলে আপনিও থাকবেন। আমিও থাকবো। তারা তখন আল্লাহর কাছে অনুরোধ করবে, আগুনের ভাগ যেন আপনার জন্য কোনভাবেই কম না হয়। তাই ভাই, সেদিনের জন্য অপেক্ষা করুন। মন নরম করুন। সবাইকে মুনাফিক বলা বন্ধ করে দিন। নিজের মুসলমান ভাইদের সাথে, আমাদের সাথে মিলে মিশে থাকুন। হাদীসের অপব্যাখ্যা দিয়েও নজরুলের কবিতার উগ্রবাদী লাইন নিয়ে শোরগোল করা বাদ দিন। কোরান মানুন। নিজের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদী কবিতা নয়। একই বিষয়ে নতুন নকিব ভাইও লিখেছেন। কিভাবে নরম করে কঠিন কথা মানুষকে বলতে হয় তা নতুন নকিব ভাই থেকে দয়া করে শিখে নিন। আপনি অবশ্যই একজন চমৎকার মেধাবী মানুষ। চমৎকার ব্লগার। শুধু সাময়িক অহংকার ও উগ্রতা ভর করেছে, এটাই।

এই কমেন্টটি করবো কি করবো না ভাবতেই আমার দুইদিন লেগেছে। ভালো থাকুন। ফি আমানিল্লাহ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: সিরিয়ালের লাইন ব্রেক করে আপনার মন্তব্য নিয়ে বসলাম।
এটা ব্লগ। এখানে যে কোন লেখা নিয়ে যুক্তি নির্ভর আলোচনা হবে। যেটা বেশি যৌক্তিক সেটা গ্রহনযোগ্য হবে, তাইনা?
এটাই তো হওয়া উচিত! এখন আসুন আপনার মন্তব্য এর পয়েন্ট বাই পয়েন্ট নিয়ে কথা বলি।
আমি লেখা লিখি খুব ধীর স্থিরে করি। আমি মানসিক ভাবে অস্থির খুব কমই হই। নাহলে এত বছরে আমার দশগুন পোস্ট হওয়া উচিত ছিল।
প্রবাসী ভাইয়ের প্রথম মন্তব্য একটা অংশ নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলেছেন। আমার কাছে যেই লেখাটা ছিল সেখানে এই হাদিসটার ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা ছিল। আমি হাদিস বিশারদ নই। একজন মুহাদ্দিস যদি ভুল করেন সেটা আমারও খুব সহজে ধরতে পারার কথা না। প্রবাসী ভাই যখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমি সেই হাদিস নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেছি। সনদ ও মতন নিয়ে চেক করতে যেয়ে দেখি এটার ঘটনা অন্য। আমি সাথে সাথেই লেখা থেকে ঐ অংশ কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছি। চোরের মতো না, প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়েই ডিলিট করেছি। আমি যুক্তি মেনে চলি, আবেগ দিয়ে নয়, লেখাতেও একই সূত্র।

এরপর আপনি অন্য ব্লগারদের নানা লেখায় গিয়ে তাদের উসকে দিচ্ছেন। লালমনিরহাটের ঘটনাকেও এখানে দেখা যাচ্ছে আপনি জাস্টিফাই করতে চাচ্ছেন।
এটা আপনি একদম না জেনে বললেন। লালমনিরহাটের ঘটনা আমি জানতাম না। আমি পোস্ট দিয়েছি আগেই। এই নিউজ আসার আগেই। আমার পোস্টের বক্তব্যের কোথায় সহিংস কিছু করার শব্দও নেই। পোস্ট আবার ভালো করে পড়ে দেখুন।
সবাই পোস্ট অল্প পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পোস্টে মূল বক্তব্য ধরতে পারেন নি। কিভাবে প্রতিবাদ করতে হবে আমি সেটা কোথাও বলিনি। আমি শুধু প্রশ্ন তুলেছি কেন একজন মুসলিম হিসেবে আমি প্রতিবাদ করতে পারবো না? আপনার কি মনে হয় এটা আমার অধিকার না? নীচের লিংক দেয়া হাদিস আবারও পড়ে আসুন। আমি কোথায় ভুল বলেছি বলুন! আমি ব্লগে ইসলাম ধর্মের উপর লিখি কারণ আমি এটা নিয়ে নিয়মিত পড়াশুনা করি।
https://www.hadithbd.com/hadith/detail/?book=27&section=690

যেকোন গঠন মূলক যুক্তি নির্ভর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য। সারাদিন আলোচনা করতেও আমি রাজি। কিন্তু আমার লেখা নিয়ে আন্দাজে কোন মন্তব্য করবেন না। আমি সনদ এবং সহী সূত্র ছাড়া খুব কম লেখাই লিখি। আন্দাজে আমি কোন কিছু লিখি না।

হাদিসের কোন অপব্যাখ্যা আমি দিয়েছি সেটা উল্লেখ করুন। আমি তো কোন ব্যাখ্যাই দেই নি। অপব্যাখ্যা তো পরের কথা!
নজরুলের কবিতা নয় এটি। এটা আমার লেখা লেখা। একলাইন মিললেই নজরুলের কবিতা হয়ে যায় না। কার কবিতা কোনটা সেটা আগে শিখুন।
মুনাফেকদের ইসলামে কিভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেটা পড়ে আসুন। কোথায় আমি ভুল বলেছি সেটা বলুন এসে!
শুভ কামনা রইলো।

৫৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

রাশিয়া বলেছেন: ব্লগে মুনাফিক আছে কি নেই, সেই বিতর্কে যাবনা, কাউকে মুনাফিক বলা ব্লগীয় নীতিমালার অধীনে শাস্তিযোগ্য কিনা - সেটাও গবেষণার বিষয়। কিন্তু ব্লগে একজন ভন্ড আছে, যে দাবী করে সে মুসলিম, সেই দাবীর অধিকারেই সে আবার ইসলামের সংস্কার চায়।

আরেকজন আছে নবিজীর প্রতি ভালোবাসা নিয়া পোস্টায়, কিন্তু বিশ্বের সব ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ধর্মকে দায়ী করে।

একজন আছে, হাদীস কোরানের ফাকাফুকা খুঁজে বের করে আর সুযোগ খোঁজে কখন এরকম দুই একটা অপ্রাসঙ্গিক হাদীস বলে ধর্মনিষ্ঠ ব্লগারদের অস্বস্তিতে ফেলা যায়। উদাহরণঃ কাফেরদের যেখানে পাও হত্যা কর। মুমিন্দের সব দোষ গোপন কর (বিশেষ করে মাদ্রাসায় ছোট ছোট ছেলেদেরকে বলৎকার করলে)। এতিম মেয়েদের মধ্যে থেকে বিয়ে করে নাও ২, ৩ বা ৪ জনকে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আরেকজন আছে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা(!) বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা কিভাবে আধুনিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে, এদের কিভাবে সভ্য বানানো যায় - এই বিষয়ক জ্ঞান দান করে। এই করতে গিয়ে মাঝে মাঝে সীমা অতিক্রম করে ফেলে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় আর মডারেটরদের বিশেষ ফেভারে থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না।

ঝড়ু মণ্ডল নামে একজন আছে মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট বা কার্টুনিস্টরা যে কোন অন্যায় করেনি - সেটা ইনিয়ে বিনিয়ে বুঝানোর চেষ্টায়। তার মতে, নবিজী নিজের কার্টুন আঁকতে নিষেধ করেনি, তাই কার্টুন আঁকা জায়েজ আছে।

পরিশেষে আপনাকেও একটু বলি, আপনার পোস্টে কি যেন থাকে, এখানে এলে ব্লগাররা কাঁদা ছুড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়ে যায়। ব্যপারটা কি একটু ভেবে দেখবেন?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। এখন থেকে চেষ্টা করবো। তবে এই পোস্ট আমি লিখেছি ক্রুদ্ধ হয়ে।
আমার রাসূলকে নোংরা ভাষায় অপমান করবে কিন্তু আমি তার কোন প্রতিবাদ করতে পারবো না?
কেন?
রাসূলকে ভালোবাসা কি অপরাধ? তাকে নিজের জীঈবনের চেয়েও ভালোবাসার জন্য তোমাদের সরাসরি নির্দেশ দেয়া আছে!
ধন্যবাদ।

৫৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪

নতুন বলেছেন: আমেরিকাতে আমিশ বলে একটা সম্প্রদায় থাকে। বর্তমান বিশ্বে নতুন আমিশ হতে যাচ্ছে আপনার ধমান্ধ,কট্টরপন্হিরা।

আমাদের দেশের সম্ভবত ৯৫% মুসলমানেরা ভন্ড।

ব্যাংকে সুদ খেয়ে, ঘুষ খেয়ে, ব্যবসাতে ভ্যাজাল দিয়ে, #বয়কট ফ্রান্স করছে। পিটিয়ে মানুষ মেরে আগুন দিচ্ছে। এটা হাস্যকর।

ইসলাম বর্তমানে খুবই একটা সংকটময় অবস্থা দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ নামে মুসলমান কিন্তু কাজে ৫% মানুষ মুসলমান আছে কিনা সন্দেহ।

আমার পরিচিত দুইজন, ভাল মানুষ কিন্তু কয়েকদিন আগে একজন স্ত্রীকে লাথি মেরেছে। আমি প্রতিবাদ করাতে আমাকে বললো আপনি তাহলে ইসলাম সম্পকে কিছুই জানেন না। তার দুই দিন পরে জানালো সে ২০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করতে যাচ্ছে।

আরেকজন দুবাইতে ফেক লুই ভিতোন , গুচি আরমানি ব্যাগ বিক্রি করে কিন্তু ফেসবুকে # বয়কট ফ্রান্স প্রচার চালাচ্ছে....

ইসলাম বর্তমানে খুবই একটা সংকটময় অবস্থা দিয়ে যাচ্ছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রম একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। তাঁর রাষ্ট্রের দর্শন ধর্ম নিরপেক্ষতা। তিনি যে দর্শন গ্রহণ করেছেন তাতে বাঁধ সাধবার কারো অভিলাষ নেই। ধর্মে নিরপেক্ষ থাকতে তিনি পছন্দ করতেই পারেন। কিন্তু ধর্মে নিরপেক্ষ থাকার অর্থ তো এটা হতে পারে না কোনো ধর্মের রীতিনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরোধিতা করা। কোনো ধর্মের নেতাকে অপমান করা, ব্যঙ্গ করা, তাঁর অবয়ব বিকৃত করা এবং তাঁর মহান শিক্ষাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার নাম কী ধর্ম নিরপেক্ষতা?

বিশেষভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে, যারা নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী তারা কোনো জানি মুসলমান এবং তাদের ধর্ম ইসলামকে অহেতুক কটাক্ষ, আক্রমণ, ব্যঙ্গ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং হীনজ্ঞান করতে বদ্ধপরিকর। কোমরে গামছা বেঁধে তারা যেনো ধনুকভাঙ্গা পণ করে বসেছে, মরন পর্যন্ত অবান্তর, অহেতুক ও অগ্রহণযোগ্য নিন্দাসূচক মন্তব্য করতে থাকবে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার শেষ নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর প্রবর্তিত মানবতার মুক্তির ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে।

এটা তো কিছুতেই ধর্ম নিরপেক্ষতা নয়। এটা তো জাজ্বল্যমান বিশেষ এবং সুনির্দিষ্ট শুধুমাত্র একটি ধর্মের চরম বিরোধিতা। এমন স্ববিরোধী আচরণ সভ্যতার দাবিদার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কিভাবে অবলীলায় করে যাচ্ছেন?

ধর্মে নিরপেক্ষ থাকার ভান করে কেউ যদি বিশেষ কোনো ধর্মের নেতাকে অপমান করে এবং তাঁর অনুসারীদের হৃদয় বিদীর্ণ করে ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে কেউ যদি মনে করে ঐ বিশেষ ধর্মের লোকেরা এমনিতেই তাকে ছেড়ে দেবে তাহলে বুঝতে হবে সেই লোক নির্বোধ, অপদার্থ ও একেবারে বোকার স্বর্গে বাস করছে। এসব ধর্ম নিরপেক্ষবাদীদের ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের সমালোচনা, নিন্দা ও ব্যঙ্গবিদ্রুপ করতে দেখা যায় না। এতেই প্রতীয়মান হচ্ছে, ডালমে কুচ কালা হ্যায়। শুধু মাত্র ইসলামের প্রতি তাদের চরম এলার্জি দেখে ধারণা করা যেতেই পারে, তারা প্রকৃতপক্ষে ধর্ম নিরপেক্ষ নয়। ধর্ম নিরপেক্ষতা তাদের মুখোশ। এর আড়ালে ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা করাটাই তাদের মূল ধর্ম।

কিন্তু মুসলমানরা তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতার মেকি ও ভুয়া মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে।
তারা নিজেদেরকে যতোই ধর্ম নিরপেক্ষ বলে জাহির করুক এখন আর কেউ সেটা বিশ্বাস করবেনা
এরা ভন্ড এবং মুসলিম নামধারী কপট প্রতারক। এরা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
ইসলাম বর্তমানে খুবই একটা সংকটময় অবস্থার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। এদের দেখলেই মুসলিমদের নিয়ে ভিন্ন কোন চিন্তা আসতে বাধ্য।

আরেকটা কথা, কেউ ভাই শতভাগ পারফেক্ট না। মানুষের কিছু ভুল ত্রুটি হতেই পারে নফসের ধোকায় পরে। এই যে কিছু মানুষের কথা বললেন যারা স্ত্রীকে লাথি মেরেছে, ব্যাংকের সুদ খায়, বিদেশী জিনিস বিক্রি করে এরা সবাই নফসের ধোকায় পরেছে। কিন্তু এদের মাঝে সামান্য হলেও নূন্যতম ধর্মের ভীতি আছে দেখেই নবীর অপমান সহ্য করতে পারে নি। প্রতিবাদ করেছে। করাটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু যারা করছে না তারা কি? তারা হচ্ছে প্রতারক, শতভাগ ভন্ড এবং ঈমানহীণ মুসলিম। এবং এই হচ্ছে আজকের সময়ে ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা ভাই।

৫৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

নতুন বলেছেন: কিন্তু এদের মাঝে সামান্য হলেও নূন্যতম ধর্মের ভীতি আছে দেখেই নবীর অপমান সহ্য করতে পারে নি। প্রতিবাদ করেছে। করাটাই স্বাভাবিক।

মুসলমানের এখন ধর্মের বর্নিত সাস্তির ভয় নাই। তাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানস্তানের মতন মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশ দূনিতিতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে।

মুখে ধর্মের কথা বলা সহজ। কিন্তু বাস্তবে কাজে লাগানোতেই প্রমান হয় আপনি কতটুকু বিশ্বাসী। ভন্ডদের ধর্ম নামে মাত্র।

ফেসবুকে যারা # বয়কট ফ্রান্স দিয়ে প্রচার চালাইতেছে তারা লাইনে দাড়াবে যদি আপনি বলেন ফ্রান্সেরের নাগরিগক্ত দেবেন আপনি।

সুদ খেয়ে যারা আই লাভ মুহাম্মাদ # দেয় তাদের আমি ভন্ড বলি। এদের ভেতরে ইমান থাকতে পারেনা।

০১ লা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফেরার জন্য দুঃখিত।
মন্তব্যে যা যা বলেছেন সেটা অনেকাংশেই সঠিক।
আজকাল মানুষ ধর্ম থেকে এতটা দূরে সরে গেছে দেখেই ভন্ডামী এত বেড়ে গেছে।
ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস। কেউ যদি সেটা জোর করে দেখান চেষ্টা করে সেটা হবে হাস্যকর।
মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা।

৬০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

নতুন বলেছেন: কিন্তু এদের মাঝে সামান্য হলেও নূন্যতম ধর্মের ভীতি আছে দেখেই নবীর অপমান সহ্য করতে পারে নি। প্রতিবাদ করেছে। করাটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু যারা করছে না তারা কি? তারা হচ্ছে প্রতারক, শতভাগ ভন্ড এবং ঈমানহীণ মুসলিম। এবং এই হচ্ছে আজকের সময়ে ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু।


ফ্রেন্স পন্য বয়টক করলে দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেই সব পন্য দেশে আছে সেটা দেশী ব্যবসায়ীদের পুজি, সেটা না বিক্রি করতে না পারলে অনেকেই পথে বসবে।

বয়কট তখনই হবে যখন নতুন করে আমদানী বন্ধ হবে। সেটা বোঝার মতন ঘিলু অবশ্যই মোল্যাদের নাই। সরকার যদি পলিসি করে যে আমদানী বন্ধ তখন সেটা সম্ভব।

ফ্রান্সে কতটাকার রপ্তানী করা হয় আর কতটাকার আমদানী করি আমরা??? বাস্তবতা মাথায় রেখে পাগলামী সমর্থন না করাকে আপনি ভন্ড মুনাফিক বলছেন?

আপনি নিজে কি ১০০% ইসলামী নিয়ম কানুন মেনে চলেন? যদি করেন তো খুবই ভালো। আর যদি না করেন তবে অন্যকে মুনাফিক বলার অধিকার আছে কি?

০১ লা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: বেশ কিছু ভালো প্রশ্ন করেছেন। এক এক উত্তর দিচ্ছি।
১) নবীর প্রতি ভালোবাসা কোন কিছুর বিনিময়ে চুপ থাকা ঈমানের পরিপন্থি কাজ। যারা করছে সেটা জবাব রোজ হাশরের দিন দেবে
২) ফ্রান্স থেকে আমদানী রফতানি বন্ধ করা আমাদের মতো ছোট দেশের সম্ভবও নাও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে আপনি প্রতিবাদ কোনভাবেই বন্ধ করতে পারবেন না, সেটা অনুমতি দেয়া হয়নি ইসলামে।
৩) আমি নিজে মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছে। আর নিজে ভালোভাবে মানি দেখেই এতটা আঘাত পেয়েছি এই ঘটনায়।
৪) আমি কাউকে মুনাফিক বলিনি। এরা নিজেরাই এদের আচরন দিয়ে নিজেকে মুনাফিক প্রমাণ করে যাচ্ছে। ইসলামে মুনাফিক হবার জন্য শর্ত পোস্টের লেখায় দেয়া আছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৬১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:



নতুনের কমেন্টের পূর্ণ সমর্থন করছি ।
ম্যাক্সিমাম মানুষই হুজুগে মাতাল । সবাই করছে আমাকেও করতে হবে এরকম মনোভাবাপন্ন । কিন্তু তাদের কয়জন রিয়েল বিলিভার আর কতখানিইবা রিলিজন মেইনটেইন করছে । তাই যদি করতো আমাদের দেশের চেহারা পালটে যেতো ।

আমিতো সেই লেভেলের না যে রেফারেন্স দিয়ে কথা বলতে পারবো কিন্তু আমি এটা জানি যে কোরানে উল্লেখ আছে নন-বিলিভার যখন উপহাস করে তখন বিলিভারদের পালটাপালটি করতে বারণ করা হয়েছে এই বলে যে, তাহলে তারা আরও বেশী উপহাস করবে প্রফেটকে নিয়ে, আর তারজন্য একাউন্টেবল হবে সেই ব্যক্তি যিনি তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছেন ধর্মকে ডিসরেস্পেক্ট করার ।

এখন কি হচ্ছে চারদিকে ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড? ঠিক এটাইতো হচ্ছে । জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কারো কাছ থেকেই হত্যাযজ্ঞ কাম্য না । দ্বিমত পোষণ করা , প্রতিবাদ করা আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এক না ।


০১ লা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নার মন্তব্য পড়লাম। সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে আপনি যা মনে হয়েছে তাই লিখেছেন। বিলিভার বা নন বিলিভার বিষয়টা একমাত্র নিজের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। এবং সেটা তার আচরণে প্রকাশ পায়।
ধরুন আপনি নিজেকে মুসলিম দাবী করছেন, অফিশিয়াল কাগজপত্র সহ সব জায়গায় নিজের পরিচয় দিচ্ছেন মুসলিম হিসেবে অথচ, সুযোগ পেলেই ইসলামের নামে জঘন্য মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন, সত্য গোপণ করে ইচ্ছে করেই মিথ্যাচার করছেন, ইসলাম নিয়ে নোংরা বাজে মন্তব্য যারা করে তাদের প্রকাশ্য সমর্থন করে সবার বাহাবা নিচ্ছেন। নিজেকে আধুনিক প্রমান করার নামে কুরআন হাদীস সংশোধন করার দাবী তুলছেন, মুসলিমদের নিয়ে তাদের বিশ্বাস নিয়ে কটুক্তি করছেন ।
এখন বলুন তো এদের কী নামে ডাকা যায় ইসলামিক পরিভাষায়?
মুনাফিকূন শব্দ পবিত্র কুরআন শরীফে আছে, একবার না বহুবার। আল্লাহই এদের মুনাফিক ঘোষনা দিয়েছেন। সেই সদূর নবীর সময় থেকে এদের অস্তিত্ব, কিয়ামত পর্যন্ত এরা থাকবে।
ধন্যবাদ।

৬২| ০১ লা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

পাঁচ-মিশালি বলেছেন:
হাদিসের আলোকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ধর্ম অবমাননার শাস্তি

(১) আবু রাফে নামের এক ইহুদিকে রাসুল (সা.) এ জন্যই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে রাসুল (সা.)-এর বিরুদ্ধে সব সময় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করত। আল্লামা ইবনে কাছির (রহ.) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে ইমাম বোখারি (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন- রাসুল (সা.) আবু রাফেকে হত্যা করার জন্য বেশ কজন আনসারি সাহাবিকে নির্বাচিত করলেন এবং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আতিককে তাঁদের দলপতি নিয়োগ করলেন। আবু রাফে রাসুল (সা.)-কে কষ্ট দিত এবং এ কাজে অন্যদের সাহায্য করত।

(২) হজরত ইকরামা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আলী (রা.)-এর খিদমতে কয়েকজন জিনদিককে (ধর্মদ্রোহী) উপস্থিত করা হলে তিনি তাদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ খবর হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, আমি হলে তাদের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতাম না। রাসুল (সা.)-এর নিষেধ থাকার কারণে। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না। তবে অবশ্যই আমি তাদের হত্যা করতাম। কারণ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি স্বীয় ধর্ম ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা করো। (বোখারি, জামউল ফাওয়ায়েদ ১/৪৮৪)

জিনদিক ওই সব মোনাফেককে বলা হয়, যারা রাসুল (সা.)-এর জামানার পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত ওপরে ওপরে নিজেকে মুসলমান প্রকাশ করবে; কিন্তু তার অন্তরে থাকবে না ইমানের লেশমাত্র।

(৩) যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করবে তোমরা তাকে হত্যা করো। (কানজুল উম্মাল-১/২৩)

(৪) মুজাহিদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত ওমর (রা.)-এর দরবারে এমন এক ব্যক্তিকে আনা হলো, যে রাসুল (সা.)-কে গালি দিয়েছে। হজরত ওমর (রা.) তাকে হত্যা করেন। অতঃপর বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা বা কোনো নবীকে গালি দেবে তোমরা তাকে হত্যা করো। (আসসারিমুল মাসলুল-৪/৪১৯)

(৫) আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব ওই ব্যক্তি, যে ইমান আনার পর কুফরি করে। (কানজুল উম্মাল-১/২৩)

(৬) ওই জাতির ওপর আল্লাহর গজব অবতীর্ণ হোক, যারা রাসুল (সা.)-এর চেহারা মোবারককে আহত করে। (কানজুল উম্মাল ৫/২৬২)

নবী (সা.) ও ধর্ম অবমাননাকারীর শাস্তির ব্যাপারে ফকিহগণের মতামত

নবী করিম (সা.)-এর অবমাননাকারীর শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড। এ ব্যাপারে উম্মতের ইজমা (ঐকমত্য) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

খুলাসাতুল ফতাওয়া গ্রন্থে আল্লামা তাহের বোখারি (রহ.) লিখেন, মুহিত নামক কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে গালি দেয় বা নবী করিম (সা.)-এর ধর্মীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বা তাঁর ব্যক্তিত্ব নিয়ে সমালোচনা করে, তাঁর কোনো বৈশিষ্ট্য নিয়ে দোষত্রুটি চর্চা করে, সে ব্যক্তি নবীর উম্মত হোক বা অন্য কোনো নবীর উম্মত, মুসলিম রাষ্ট্রে আশ্রিত কাফের হোক বা শত্রু কাফের, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ, গালি, অবমাননাকর মন্তব্য, বক্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছায়, বুঝে-শুনে হোক বা অসাবধানতাবশত- সর্বাবস্থায় সে চিরস্থায়ী কাফির বলে সাব্যস্ত হবে। তার এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য বলে ধার্য হবে- এপার-ওপার উভয় আদালতে।

০২ রা মে, ২০২১ রাত ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এত সুন্দর ডকুমেন্টেড একটা মন্তব্য দেয়ার জন্য। এটা আমার অনেক কাজে লাগবে।
সত্য কথা কী জানেন?
এই দেশে ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে এইসব তথাকথিত মুসলিমরা।
এরাই মুনাফিক সেজে ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে বেড়ায়।
এইসব মুনাফিকরা সুযোগ পেলে কুরআন মানে কিন্তু হাদিস মানে না। আবার সুযোগ কুরআনের পরিবর্তন চায়।
এইসব মুনাফিকদের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সাবধান থাকা উচিত।
শুভ রাত্রী এবং শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.