নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ১১ঃ আর কত অধঃতন হলে আমাদের বোধদয় হবে?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯



১২ শতাব্দীর ক্রুসেড বিজয়ী সুলতান আবু-নাসির সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে আইয়ুব (মুসলিমদের কাছে তিনি সালাউদ্দিন আইয়ুবী এবং পশ্চিমা-বিশ্বে সালাদিন নামেই পরিচিত) বলে গিয়েছিলেন, “যদি তুমি যুদ্ধ ছাড়া কোন জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চাও, তবে ঐ জাতির পরবর্তি প্রজন্মের মাঝে মাঝে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ছড়িয়ে দাও”। আজ এত বছর পর ঠিকই তার কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমানিত হচ্ছে। আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থা এবং ঘটমান বাস্তবতা দেখলেই বুঝা কতটা দ্রুতই এর অধঃপতন হচ্ছে। চেনাজানা একটা সুন্দর সমাজব্যবস্থা শুধুই নিজের ভুলের জন্য এখন চরমতম ধংশের দ্বারসীমায় পৌছে যাচ্ছে।
.
ভেবেছিলাম এই নোংরা বিষয়টা লিখবো না। কিন্তু দৈনিক পত্রিকা এবং সোশাল মিডিয়াতে এইবিষয় নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি করছে, কাঁদা ছুড়াছুড়ি করছে যে, শেষ পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে লিখতেই হলো।
(কিছু অযাযিত শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার করার হয়েছে নির্মম বাস্তবতা বুঝানোর জন্য, সেইজন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)
.
ঘটনাঃ বিগত ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা শহরের কলাবাগানে এক মর্মান্তিক মৃত্যু সংঘটিত হয়। ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন নামের ১৭ বছরের একটি মেয়ে যৌনতা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। অভিযুক্ত ১৯ বছর বয়সী “এ” লেভেলের ছাত্র ফারদিন ইফতেখার দিহান। সবধরণের মিডিয়াতেই এসেছে প্রেমিকের বাসায় গিয়ে বিকৃত দৈহিক সম্পর্কের শিকার হয়ে আনুশকা মৃত্যুবরণ করেছে।
.
দিহান এবং আনুশকার মাঝে বিদ্যমান সর্ম্পক নিয়ে পুলিশ যা বলেছেঃ
প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের সঙ্গে ফারদিন ইফতেখার দিহানের দুইমাস আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা গেছে তাদের আরও দুইমাস আগে থেকে সম্পর্ক ছিল। তবে এইবিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান।
.
এই ঘটনার সাথে সর্ম্পকিত চিকিৎসকরা যা বলেছেনঃ
রাজধানীর কলাবাগানে নিহত শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের (১৭) শরীরে বিকৃত যৌনাচারের আলামত মিলেছে। বড় আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের রেক্টামে পুশ করানোর ফলে তার যৌনাঙ্গ ও রেক্টাম ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং সে মারা যায় বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনুশকার ময়নাতদন্ত হয়। সেখানকার ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্বাভাবিক পেনিস দ্বারা রেক্টাম ও যৌনাঙ্গ ব্যবহার করলে এতটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে ‘কোন ফরেন বডি সাইজ’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে।
.
তিনি আরও বলেন, আমি আমার পোস্টমর্টেম জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেনিস (পুরুষাঙ্গ) দ্বারা এই ইনজুরি মোটেও সম্ভব না। ওটা পেনিসের বাইরে অন্য কিছু ছিল। যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ভুক্তভোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা এই চিকিৎসকের। তিনি বলেন, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে ‘হাইপো ভোলেমিক’ শকে মারা গেছে। মানুষের মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। এ কারণে হৃদযন্ত্র শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, মানুষ মারা যেতে পারে।
.
বিকৃত যৌনাচারের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যোনিপথ ও পায়ুপথ দুই রাস্তা থেকেই আমরা রক্তক্ষরণের আলামত পেয়েছি। আমরা জোর জবরদস্তির কোনো আলামত পাইনি। তবে যোনিপথ ও পায়ুপথে কিছু ইনজুরি আমরা পেয়েছি। মূলত সেই ইনজুরিগুলোর জন্যই সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু বডির অন্য কোথাও জোরাজুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’
.
ইতোমধ্যেই মেডিকেল ফরেনসিক টিম ময়নাতদন্তের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ করে যাচ্ছে সিআইডিসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এরইমধ্য থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রত্যক্ষ আলামত ও চিহ্নের ভিত্তিতে ধারণা করছে যে দেশীয় আকৃতির পুরুষাঙ্গ নয়, বরং ফরেন বা বিদেশি বড় পুরুষাঙ্গ আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের রেক্টামে পুশ করানো হয়েছে। যে কারণে যৌনাঙ্গ ও রেক্টাম ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
.
মিডিয়া ক্যামোফ্লেজ এবং সো-কল্ড মিডিয়া গরমকারীরা এখন কোথায়?
প্রশ্ন হচ্ছে দেশের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীবাদীরা এবং সোশাল মিডিয়া কিংবা টিভি চ্যানেলের টকশো গরম করে রাখা সেসব পেইড বুদ্ধিজীবিরা এখন কোথায়? মাদ্রাসা কিংবা হুজুরদের সামান্য একটু খুঁত পেলেই যারা দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে সারাদেশ গরম করে ফেলে, এত বড় নোংরা একটা ঘটনা ঘটার পরও এইসব ধান্দাবাজ জনগোষ্ঠী সমাজের এই নোংরা কলুসিত দিক নিয়ে কেন কোন উচ্চবাচ্য করছে না? এরা মাদ্রাসায় কোন বলৎকারের ঘটনা ঘটলে এরা সেই ঘটনাকে পুঁজি করে মাদ্রাসা থেকে শুরু করে পুরো দেশ থেকে ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দেয়ার জন্য হইচই শুরু করে দেয়। অথচ এখন এইসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী ঘাপটি মেরে বসে আছে। অন্যসময় হলে এতক্ষণে কাপড় চোপড় খুলে সারা দেশ মাতিয়ে বেড়াত। এই বুদ্ধিজীবী শ্রেনীরাই বিভিন্ন সময় দাবি-দাওয়া তুলেছে ছেলেমেয়ে ম্যাচিউরড হওয়ার পরেই তাদেরকে ধর্ম শিক্ষা দিতে হবে, আগে দেয়ার কোন দরকার নেই। এদের কথা মতো আনুশকা এবং দিহানের ধর্মশিক্ষার বয়স হয় নাই, কিন্তু যৌনশিক্ষার জন্য ঠিকই বয়স হয়েছে। অথচ ধর্মীয় মৌলিক শিক্ষা অপ্রাপ্ত বয়সেই দিতে হয়, যেন সেটা তার অভ্যাসে পরিনত হয়। আজ যদি এই ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হতো তাহলে এটা সুনিশ্চিত এই ঘটনা ঘটার কোন সুযোগই হতো না। কিন্তু দেশের মিডিয়া, পেইড এইসব বুদ্ধিজীবি এবং নারীবাদীরা কোনদিনও এটা স্বীকার করবে না। এবং তাই এরা এখন মুখে মস্তবড় একটা কুলপ এটেছে!
.
সর্ম্পূণ ঘটনা পড়ার পর যা বুঝা গেলঃ
এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে বয়ফ্রেন্ড দিহান ফাঁকা বাসা দেখে ডেকেছে এবং আনুশকা সর্ম্পূণ স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়েছে। এই মেয়েকে কেউ জোর করে তার বাসা থেকে কিংবা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়নি। এই আসল সত্য সবাইকেই বুঝতে হবে, অবিবাহিতা একটা মেয়ে অন্যকোন ছেলের ফাঁকা বাসায় যেতে পারে না, সে বয়ফ্রেন্ড হোক বা যেই হোক। এখন পর্যন্ত মেয়ের দেহে চেতনানাশকের প্রমাণ কিংবা ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই মেয়ের সাথে ঐ ছেলের প্রেমের হোক বা যেকোন একটা সম্পর্ক ছিল। বাসায় ছেলের পরিবারের থাকবে না তখন তারা যৌনতায় অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে সম্ভবত প্ল্যান করে, কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। অর্থাৎ রক্তপাত হওয়ায় মেয়ের মৃত্যু হয়।
.
অথচ তার যদি রক্তক্ষরণ না হতো কিংবা মৃত্যু না হতো, তবে বিষয়টি কেউ কি কিছুই জানতো? মেয়ে আর ছেলে বাসায় কিছুদিন রেস্ট নিয়ে হয়তো সুযোগ খুঁজতো কবে আবার ফাঁকা একটা বাসা পাওয়া যাবে!
.
এইসব সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক স্খলনের কারণেই দিন দিন দেশে মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরস্পর সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে সুতরাং এটিকে ধর্ষণ বলা যাবে কি না তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ধর্ষন হয়েছে কি, হয়নি সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অথচ আসল প্রশ্ন হচ্ছে এই মেয়ে কোন যুক্তিতে সেখানে গিয়েছে! নিজের মাকে যেভাবে মিথ্য কথা বলে গিয়েছে তাতে সন্দেহ হয় সে আগেও এইধরণের কান্ড ঘটিয়েছে। এভাবে একটা অল্পবয়স্ক মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা ধর্মীয় দিক থেকে, সামাজিকবোধের জায়গা থেকে, মানবিকতা থেকে, নৈতিকতার জায়গা থেকে কিংবা মানুষ হিসেবে সম্মান করা থেকে, কোনদিক থেকেই এটা গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। প্রতিটা আশরাফুল মখলুকাতের জীবনই মূল্যবান। এত নির্মমভাবে সেটা হারিয়ে যেতে দেয়া ঠিক নয়।
.
আনুশকা’কে যাদের উপযুক্ত দেখভাল করার কথা ছিল, সেই পরিবার নিজেদের চরম ব্যর্থতার দায় মেয়ের প্রেমিকের উপর চাপাচ্ছে। এরা ভুলে গেছে জন্ম দিলেই মা বাবা হওয়া যায় না। ছেলেমেয়ে কে, কখন, কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, কী করছে তা অভিভাবকদেরকেই দেখতে হবে। অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত না করলে এই ধরণের ঘটনা খুব কি অসম্ভব কিছু? দুর্ঘটনা তো আর বলে কয়ে আসে না, তাই এখন হা-হুতাস এবং একে অন্যকে দোষারোপ করে কী লাভ? আজকাল অনেক অভিভাবকরাই মেয়ের কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক করে ফেললে খুশিই হয়, অনেক মেয়ের অভিভাবককে ছেলে ধরতে সাহায্য সহযোগিতাও করতে দেখা যায়। বড়লোক ছেলে হলে আর পায় কে, এক ঢিলে দুইপাখি মারা!
.
দুর্ঘটনাবশতঃ একজন আনুশকার আজ মৃত্যু হয়েছে। অথচ প্রতিদিন হাজার হাজার আনুশকা অবৈধ যৌনাচার, ব্যাভিচারে লিপ্ত হচ্ছে স্বেচ্ছায় এদেশেই। ছেলেমেয়েদের অবাধে মেলামেশার সুযোগ কারা আজ তৈরি করে দিচ্ছে? বাবা মা শখ করে দামি দামি মোবাইল ফোনসেট কিনে দেয় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের হাতে। অথচ এইসব মোবাইল সেটই আজকের এই সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য অনেকাংশেই দায়ী। সোশাল মিডিয়ার অংশগ্রহণের নামে চলে নোংরামী এবং অসভ্যতা।
.
দিহানেই এই নোংরা ঘটনা কি এটাই প্রথম?
দিহানের বাবা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার। তিন সন্তানের মধ্যে দিহান সবার ছোট। পরিবারের অতিরঞ্জিত আদুরে ছিলো দিহান। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুঁদ হয়ে থাকতো মাদকে। মদ ও নারীর নেশা ছিল প্রবল। একাধিক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল তার। প্রায়ই ছুটে যেতো ঢাকার অদূরে কোথাও। সঙ্গী থাকতো বান্ধবী। টয়োটা এক্সিও গাড়িটি নিজেই চালাতো। প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করতো। মা-বাবার শাসন-বারণে তোয়াক্কা ছিল না মোটেও। যখন যা চাইতো তাই পেতো। অর্থ ও বিত্তের জোরেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে তানভীর ইফতেফার দিহান (১৮)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিহানের বাবা আব্দুর রউফ ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করার সুবাদে বিপুল অর্থের মালিক হন। দিহানের ঘনিষ্ঠরা জানান, অল্প বয়সেই বেপরয়ো জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে যায় দিহান। আনুশকা নুর ছাড়াও পরিচয় ছিল ইংলিশ মিডিয়ামে অধ্যয়ণরত আরো অনেকের সঙ্গে। এরমধ্যে তার একজন কিশোরী বান্ধবী রয়েছে বলে জানা গেছে। ওই মেয়েটির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ধানমণ্ডির বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা গেছে তাকে। সূত্র মতে, পুলিশের কাছে দিহান স্বীকার করেছে একাধিক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল তার। একেক সময় একেক জনকে নিয়ে সময় কাটাতো। বান্ধবীরা তার প্রতি বেশ সন্তুষ্ট থাকতো, কারণে অকারণে বান্ধবীদের দামি দামি গিফট দিতো দিহান। ঘটনার কিছুদিন আগেও এক বান্ধবীর বার্থ ডে পার্টির আয়োজন করেছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফারদিনের বড় ভাই সুপ্ত সরকারের বিরুদ্ধেও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছিল সুপ্ত’র বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপস করেছেন সুপ্ত’র বাবা এমন অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে সুপ্ত’র স্ত্রী রুনা খানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সুপ্ত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নিহত রুনার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিলেন। তখন আসামিদের শাস্তির দাবিতে মরদেহ নিয়ে রাজশাহী শহরে মিছিল হয়েছিল।
(সূত্রঃ https://mzamin.com/article.php?mzamin=258143)
.
ব্লগের সম্মানিত পাঠদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম, দিহান মেয়েটার সাথে যে আচরণ করেছে তার অভ্যাস কি একদিনে গড়ে উঠেছে? এর জন্য কি শুধু দিহানই দায়ী? কিংবা এই যে আনুশকা বাবা মায়ের কাছে মিথ্যা কথা বলার সাহস পাচ্ছে, আনুশকার বাবা মা কি মেয়ের খোঁজখবর নিতো ঠিক মতো?
আজ আনুশকা এবং দিহানের এই জঘন্য পরিনতির জন্য আসলে কে দায়ী?
.
দোষ আসলে কার?
এবার দুটি পরিবারের যদি বক্তব্য দেখেন। আনুশকার মা বলেছে আমার মেয়ে গ্রুপ স্টাডি করতে গিয়েছে অথবা নোট কালেকশন করতে গিয়েছে। কার কাছে, কেন, কার সাথে, কোথায় সম্ভবত মেয়েকে তিনি জিজ্ঞাসাও করেন নাই। এখন মিডিয়ায় এসে নাকি-কান্না কাঁদছেন। আর দিহানের মা আরো চমৎকার বক্তব্য দিয়েছে। তার ছেলে একটু একান্তে সময় কাটাতে চেয়েছিল। পত্রিকার তথ্যমতে দিহান মাঝে মাঝেই এ রকম একান্তে সময় কাটাত। তার মায়ের আদরমাখা কন্ঠ শুনে মনে হচ্ছে তিনিও তার সন্তানের একান্ত সময় কাটানোর বিষয় জানতেন।
.
প্রকৃত পক্ষে এই ঘটনা সমাজের চরমতম অবক্ষয়ের জ্বলন্ত উদাহরণ, তারুণ্যের অধঃপতন, সন্তানের নৈতিক শিক্ষার অভাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাভকদের দায়বদ্ধতাসহ অনেকগুলো বিষয়কে একসাথে সামনে তুলে ধরেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা প্রকৃত দোষী সাব্যস্ত করবো আসলে কাকে? আমরা কী এইসব নোংরা ঘটনার বিশ্লেষণ করে দেখেছি? প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণগুলি ভেবে দেখেছি?
.
(১) দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ডিজিটাল হচ্ছে এবং এর সাথে সাথেই অপসংস্কৃতি আমাদের নতুন প্রজন্ম’কে গ্রাস করছে।
আজকাল কিশোর-কিশোরী বা তরুণ তরুণীরা পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণে, অবাধ মেলামেশার বা তারুণ্যের উদ্দিপনার নামে এইসব সম্পর্কের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য চর্চাকে অভিভাবকদের মৌন সম্মতি নিয়ে ডাল-ভাত করে ফেলেছে। অভিভাবকদের কথা, আমরা কালচার্ড হচ্ছি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি।
এইসব ছেলেমেয়েদের আচার আচরণ দেখলে মনে হয়, ইংলিশ মিডিয়ামের পড়ছি তাই ব্রিটিশ কালচার রপ্ত করছি, এইসব অবাধ যৌনাচার কোন ব্যাপারই! থার্টি ফার্স্ট ডিসেম্বরে ঢাকার হোটেলগুলিতে কিসব হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখুন। পুলিশ কর্মকর্তার সন্তান ঐশীর ঘটনা মনে হয় ইতিমধ্যেই ভুলে গেছে সবাই। এই ধরণের গর্হিত দুর্ঘটনার প্রথম দায় অবশ্যই অভিভাবকদের উপরই যায়।
.
(২) বেশিরভাগ ঘটনাই দেখা যায় বাবা মায়ের বৈধ আয়ের উৎস নেই। পাপের পথে উপার্জিত টাকার মাসুল এরা এভাবে দিয়ে যাচ্ছে, কারণ পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তরুন প্রজন্মের বিরাট একটা অংশ মানুষের পরিবর্তে অসভ্য জানোয়ারের মতো বেড়ে উঠছে। টাকার প্রতি বিকারগ্রস্হ বাবা মায়ের অবৈধ টাকায় যেন কুলাঙ্গার হয়ে উঠছে। আর এদের সার্টিফাই করার জন্য রয়েছে সমাজের কিছু দুনম্বর লোক এবং অবৈধ টাকার পাহারাদার রাজনীতিবিদরা। এইসব পাপচার কাজ বন্ধ করার আগে দেশে অবৈধ পথে টাকা উপার্জন বন্ধ করতে হবে।
.
(৩) শুধু সন্তান জন্ম দিয়ে ভরনপোষণ করলেই বাবা মা হওয়া যায় না। তাকে সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করার দায়িত্বও পিতা মাতার উপর বর্তায়। ছেলেমেয়েরা কোথায় যায়, কি করে বেড়ায়, সেই খোঁজখবর যদি রাখতে না পারেন, তাহলে তাদের জন্ম দিয়েছেন কেন? এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাটি আজ প্রচার হয়েছে দেখা সবাই জানছে, অথচ অগোচরে, লোক চক্ষুর আড়ালে নির্জন বাসা-বাড়ীতে এভাবে কত ঘটনাই ঘটে চলছে। এইসব সন্তানদের ভালোমতো খোঁজখবর না নেয়ার জন্য এদের বাবা-মাদেরকেও শাস্তির আওতায় নতুন আইন বানিয়ে নিয়ে আসা দরকার।
.
(৪) ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করা প্রতিটা শিশুদের বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষাই পারে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঠিক পথে চলতে ও বিকৃত যৌন আচরনের এই বিপদগামী কালচার থেকে দূরে রাখতে। নৈতিক অবক্ষয় আর চরিত্রহীন নিন্দনীয় কাজগুলির মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজটি হচ্ছে ব্যভিচার। শুধু ইসলাম নয়, কোনো ধর্মেই ব্যভিচারের শিক্ষা দেয় না। ইসলামে ব্যভিচারকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ এবং হারাম আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই এটা প্রকাশ্য অশ্লীলতা এবং অত্যন্ত মন্দ পথ’ (সুরা বনী ইসরাইল, আয়াতঃ ৩২)। আর বাইবেলে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ব্যভিচার করবে না।’ দেশের সব স্কুল-কলেজগুলিতে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আরো বেশি বেশি ধর্মীয় এবং নৈতিকতা পড়াতে বাধ্য-বাধকতা থাকা উচিৎ। আজ সেটার অনুপস্থিতির জন্য পুরোপুরি রাষ্ট্র এবং সরকার দায়ী।
.
(৫) কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা প্রচুর অনুকরণ ও অনুসরণ প্রিয় হয়ে থাকে। বর্তমানে দেশের সাহিত্য, মিডিয়া এবং চ্যানেলগুলিতে গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমার নামে যা যা দেখায় সেইগুলিও অল্পবয়স্কদের এই নোংরা পথে যাবার জন্য উৎসাহ দেয়। বিএফ বা জিএফ না থাকলে, এদের নিয়ে ফুর্তি করে না বেড়ালে জীবনটাই বৃথা - এইসব মেসেজ ছেলেমেয়েরা কোথা থেকে পায় ভেবে দেখুন? তথাকথিত অনেক লেখক/লেখিকাবৃন্দ যারা দেশে নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে দাবী করে, এরাও ছেলেয়েদেরকে বিকৃত যৌনতা ও অবাধ মেলামেশায় যাবার জন্য উস্কে দিচ্ছে। অনেকক্ষেত্রেই এই কিশোর-কিশোরীরা সেই কাহিনীগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এদের থামানোর দায় দায়িত্ব কার? রাষ্ট্র এবং সরকার কেন এইসব অসামাজিক জিনিস প্রচার করতে বাঁধা দিচ্ছে না?
.
(৬) যৌন স্বেচ্ছাচারিতার অধিকার মানেই নারীবাদ না। নারীবাদ হলো পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে চলা। পুরুষ এবং নারীর সম-অধিকারের ধারণা থেকে নারীবাদ এর উৎপত্তি। নারীবাদ নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে কিন্তু নারী স্বাধীনতার নামে উশৃংখলতাকে বুঝায় না। দেশের নারীবাদী নামের যেসব কুলাঙ্গাররা নারীদের স্বাধীনতার নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে বেড়ায়, এরাও এসব যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের উৎসাহদাতা। "লেজ কাটা শিয়াল সারাজীবন চেষ্টা করে বাদবাকি শিয়ালদের লম্বালেজ কেটে দেয়ার জন্য"। এরাই নারীদের স্বাধীনতার নামে তাকে অবাধে উশৃংখলতার সুযোগ করে দিয়ে ধর্ষিতা বানায় কিংবা বহুভোগ্যা পতিতা বানায়। এইসব বহুভোগ্যা পতিতাদের শেষমেষ আত্মহত্যার খবর প্রতিনিয়তই পত্রিকাগুলিতে ছাপা হয়। এইসব লোকজনদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করার সময় চলে এসেছে।
.
(৭) দেশে এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে। বিত্তবান বা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে বিভিন্ন তালবাহনা। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বিচারব্যবস্থা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেও সর্বশেষে বিচারের নামে কালক্ষেপণের প্রহসন। আইন শৃংখলা বাহিনীর টাকা পয়সা নিয়ে তেলেশমাতি কান্ড ঘটানো অনেক নজীর আছে। এই অপতৎপরতাগুলিও আগে বন্ধ করতে হবে।
.
(৮) ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার করণে বিকৃত যৌনাচারে আকৃষ্ট হয়ে এক বিপদসংকুল পথে হাঁটছে তরুণ প্রজন্ম। সুখের এক ভয়ঙ্কর অসুখে আক্রান্ত আজ তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিকৃত যৌনচারের আকৃষ্ট হচ্ছে পর্ণগ্রাফি থেকে। স্বাভাবিক যৌন উপভোগ থেকে মানুষ যখন হারিয়ে যায়, তখনই বিক্রিত যৌন উপভোগে উপনীত হয়। বিকৃত যৌনাচারের বিভিন্ন ‘ফরেন বডি’ সহ নানা উপাদানে সয়লাব দেশের বাজার। সোশাল মিডিয়া খুললেই এইসব বেচা বিক্রি হিড়িক দেখা যায়। একটি কল করেই যেকেউ অনলাইনে বিভিন্ন নামি-বেনামি প্রতিষ্ঠান থেকে ঘরে বসেই মারাত্মক ক্ষতিকর এসব পণ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছেন। এসব পণ্যের ভেতর রয়েছে যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রা ট্যাবলেটও। এই ট্যাবলেট কিনতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র বাধ্যতামূলক হলেও অনলাইনে অর্ডার দিয়ে কিনতে পারা যায়। পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার অভিজাত শ্রেণির অনেকেই যৌন খেলনা ও যৌন উদ্দীপক বড়ি ক্রয় করেন। আনুশকার মৃত্যুর ঘটনাতেও এসব পণ্য ব্যবহারের আলামত পাওয়া গেছে। মাদকের ভয়াল ছোবলের মতোই বিকৃত যৌনরুচির এসব উপাদান বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ। অথচ এইসব নিয়ন্ত্রণ যাদের করার কথা তারা যেন নাকে তেল দিয়ে মোষের মতো করে ঘুমাচ্ছেন।
.
পরিশেষঃ
দেশের এইসব অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে একটা কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই।
পত্রিকাগুলিতে ধর্ষক না খুঁজে আগে নিজের বাসায় খুঁজুন, মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতক তৈরির কারখানা তো এইসব বাসায়। পরিবারের ভেতরই এদের সযত্নে লালন পালন করা হয়। অপকর্ম করার পর এদের জন্য সাফাইও গাওয়া হয়, টাকা পয়সা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করার চেষ্টাও করা হয়।
.

আমরা যখন ছোট থেকে বড় হয়েছি তখন আমাদের পারিপাশ্বিক সমাজব্যবস্থা কতই না সুন্দর এবং নির্মল ছিল! ছোট ছোট শিশুরা মসজিদে/স্কুলে/বাসায় হুজুরদের কাছে/শিক্ষকদের কাছে/অভিভাবকদের কাছে ধর্মীয় মূল্যবোধ, আদব-কায়দার, আচার আচরণ, ভদ্রতার শিক্ষা, সচেতনতা এবং জীবনের মূল্যবোধ শিখেই বড় হতো। আর এখন শিশুরা তো এইসব শিক্ষা পাওয়া তো দূরের কথা, দায়িত্বহীন অভিভাবকরা খোজখবরও নেয় না। ধর্মীয় শিক্ষা তো উঠিয়েই দেয়া হয়েছে আধুনিকতার নামে। শিক্ষক সমাজ আজ শিশু গড়ার কারিগরের পরিবর্তে ব্যবসায়ী সমাজে পরিনত হয়েছে।
.
টাকাপয়সার মাত্রাতিরিক্ত লোভে পরে সন্তান লালনপালনের চেয়ে ঘরের বাইরে থাকাটাই অভিভাবকদের মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। বাচ্চাদের সুস্থ বিনোদনের অভাব, বাবা-মায়ের অতিরিক্ত ব্যস্ততা, সন্তানদের সময় না দেয়া/উদাসীনতা খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
বেশ কিছুদিন আগে দেশের মানুষের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছিলাম নষ্ট সমাজ ব্যবস্থাঃ নৈতিকতার অবক্ষয় এবং কারণ অনুসন্ধান এবং দেশের আগামী প্রজন্মদের নিয়ে আগেও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম নষ্ট সমাজ ব্যবস্থাঃ পোটেনশিয়াল রেপিস্টে সারা দেশ ভরে গেছে এখন!
তাই এখন এই পোস্ট লিখতে বসে খুব একটা অবাক হইনি। সর্বত্রই আজ অনৈতিকতার ছড়াছড়ি, মানবিক মূল্যবোধের নিদারূণ অবনতি। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠছে মানবীয় বৈশিষ্ট্যহীন আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, অসহিষ্ণু, নৈতিকতা বিরোধী এক একটা যন্ত্রমানব হিসেবে। দুঃখজনক হলেও সমাজে এখন মানুষের চাইতে অমানুষের সংখ্যাই বেশি!
.
দেশের আলোচিত খবরে এখন ঐশীরা আসে, পাপিয়া আসে, সাবরিনা এসেছে, আনুশকারা আসে। এভাবে এটা চক্রাকারে চলতে থাকবে যতদিন পর্যন্ত সমাজটা পুরোপুরি নষ্ট না হয়ে যাবে। সবাই নাকে তেল দিয়ে সেইদিনের জন্য অপেক্ষা করছে। এইসব ঘটনার প্রেক্ষাপট উদঘাটন না করে দিনে পর দিন সারাদেশে মানুষ এইসব ঘটনা দেখে মনে মনে সুখ পাচ্ছে। যারা এইসব ফ্রী-কালচার সার্পোট করেন তারা হচ্ছে পার্ভার্ট, সেক্স মানিয়্যাক। এদের জন্যই দেশে এখন ছোট ছোট মেয়েরাও ধর্ষিত হয়, আরো হবে, দিনের পর দিন ধরে হবে।
কারণ আনুশকা এবং দিহান আর কিছুই না, একটা নষ্ট পঁচা গলা সমাজ ব্যবস্থার বাস্তব নির্লজ্জ আস্ফালন।
.
কবি ফররুখ আহমেদ বলেছিলেন, “রাত পোহাবার কত দেরী, পাঞ্জেরী?”
কবি বেঁচে থাকলে এখন বলতাম, “রাত আর পোহাবে না পাঞ্জেরী, যদি আমরা নিজেরাই না জাগি!”
এই দেশে কোনদিনও হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো কেউ আসবে না, যতদিন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ভালো না হচ্ছি।

.
জনস্বার্থে প্রচারিত। লেখার সূত্রঃ বিভিন্ন প্রকাশিত সংবাদ এবং পত্রপত্রিকা
.
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২১

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমাজ সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। পরে সময় করে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা আছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।
"নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা" সিরিজ আমি বেশি কিছুদিন ধরেই লিখছি। এর আগের পর্বগুলি পড়ার আমন্ত্রণ রেখে গেলাম।
শুভ কামনা।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ইতিহাস বিখ্যাত সালাদিন আমার একজন প্রিয় চরিত্র। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি নারীবাদীদের দ্বারা পরিবার সমাজ দেশ আরোও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একটি বিষয় এখানে উল্লেখ না করে পারছি না, এ সকল অধঃপতনের প্রতিযোগিতার জন্য মূল দায়ী প্রতিটি সন্তানের মাতাপিতা। এখন পর্যন্ত যতো মেয়েকে নায়িকা নর্তকী মডেল হতে দেখেছি তাদের মূল উদ্যোক্তা ছিলো তাদের নিজ নিজ মা। - বিশ্বাস হয়?

ব্লগে একটি প্রশ্ন রেখে যেতে চাই নারী স্বাধীনতা কি তসলিমা নাসরিনকে অনুসরণ করা? নারী স্বাধীনতা কি দিনরাত পর পুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা? নারী স্বাধীনতা কি গ্রুপ স্টাডির নামে দরজা বন্ধ রুমে একাকী সময়?

আনুশকা হত্যায় আনুশকা ও দিহান নামক লম্পটের মাতাপিতা দায়ী। - এখানে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।


১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
সালাহদিন ইতিহাসের পাতায় খুব বিখ্যাত একজন বীর যোদ্ধা। ক্রুসেডের সময় উনার অবদান এবং সাহস নিয়ে অনেক বীরগাঁথা আছে। উনার অনেকগুলি বিখ্যাত লাইন আছে। আমি এখানে একটা ইউজ করেছি।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি নারীবাদীরা দেশ, জাতী, সমাজ এবং পুরো রাষ্টের পক্ষে ক্ষতিকর।
আজকাল কিছু কিছু মায়ের দের আচরন জঘন্য রকম ভাবে খারাপ। বেশিরভাগ মেয়েরাই নষ্ট হবার সুযোগ পায় মায়ের প্রশয়ে।

ব্লগে একটি প্রশ্ন রেখে যেতে চাই নারী স্বাধীনতা কি তসলিমা নাসরিনকে অনুসরণ করা?
নারী স্বাধীনতা কি দিনরাত পর পুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা?
নারী স্বাধীনতা কি গ্রুপ স্টাডির নামে দরজা বন্ধ রুমে একাকী সময়?

এই প্রশ্নগুলি শুধু আপনার না আমারও। আমিও জানতে চাই।

আমি আনুশকার মা বাবা এবং দিহানের মা বাবার উপযুক্ত শাস্তি চাই।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৯

মাহিরাহি বলেছেন: পোষ্ট পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২২

নীল আকাশ বলেছেন: স হ ম ত। লেখার সময় এইসব নোংরামী দেখে আমারও মন প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতেই হবে! সেজন্যই লিখেছি।
"নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা" সিরিজে এই ধরণের আরো লেখা আছে, পড়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: স্বাধিনতা শব্দের অর্থ আমাদের জানায় ভুল আছে। এটা দুই পক্ষের জন্যই। যারা বিশ্বাসী নন তাদের ও যেমন ভুল আছে যারা বিশ্বাসী তাদের ও ভুল আছে।

যৌন স্বাধীনতা মানে বহুগামিতা নয়, যৌন স্বাধীনতা হল মানুষের মৌলিক অধিকার যা একজন ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত যৌন অভিরুচি প্রকাশ করে। এটি মানবিক আত্ন মর্যাদা ও যৌন ইচ্ছায় যৌন সঙ্গীদ্বয়ের মাঝে সমতা প্রকাশ করে। যৌন স্বাধীনতার মূল চেতনা হচ্ছে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক যৌন চাহিদা চরিতার্থ না করা।”

এর পরেও তার মানে এই নয় সম্মতি পেলাম তো তার সাথে পশুর মতো আচরণ করলাম।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।
"যৌন স্বাধীনতা মানে বহুগামিতা নয়, যৌন স্বাধীনতা হল মানুষের মৌলিক অধিকার যা একজন ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত যৌন অভিরুচি প্রকাশ করে। এটি মানবিক আত্ন মর্যাদা ও যৌন ইচ্ছায় যৌন সঙ্গীদ্বয়ের মাঝে সমতা প্রকাশ করে। যৌন স্বাধীনতার মূল চেতনা হচ্ছে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক যৌন চাহিদা চরিতার্থ না করা।” স হ ম ত।
কিন্তু দেশের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি নারীবাদী এই শব্দের বিকৃত অর্থ বের করে যথেচ্ছা যৌনাচার করাটাকেই যৌন স্বাধীনতা বলে বিশ্বাস করে এবং সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করে বেড়ায়।
ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: এখানে পড়ার আগে শবনম গ্রুপে পড়ে আসলাম। একদম ঠিক লিখেছেন।
এইসব বাবা মার জন্যই দিহান বা আনুশকাদের সৃষ্টি হয়। এদের আগে ভালোমতো বিচার করা উচিত।
প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। লেখা ভালো লেগেছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আবার পড়ার জন্য।
আপনার সাথে আমিও আনুশকার মা বাবা এবং দিহানের মা বাবার উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এরা মা বাবা নামের কলংক।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

রামিসা রোজা বলেছেন:

আমাদের সময়ের মা-বাবারা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এতো
আধুনিক ছিলেন না কিন্তু কোথায় যাচ্ছি কার সাথে বন্ধুত্ব
হোক না ছেলে বা মেয়ে সব রকমের খেয়াল রাখতেন ।
অযথা বাইরে ঘোরাফেরা না করা , পারিবারিক শিক্ষা
ও ধর্মীয় অনুশাসন এসব মনেহয় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ লেখায় অনেক দিকে তুলে ধরেছেন আসলে এ
লজ্জা আমাদের সবার ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১১

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আজকালকার বাবা মা'র সন্তান জন্ম দিয়েই খালাশ। সন্তান কোথায় কি করে বেড়ায় তার কোন হদিশ এদের কাছে পাবেন না। পারিবারিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসন করতে এদের লজ্জা লাগে। এরা দিন দিন আধুনিকতার নামে যা যা করে বেড়াচ্ছে সেটা এক কথায় নোংরামী ছাড়া আর কিছু না।
বাবা মা হবার বিন্দুমাত্র যোগ্যতাও এদের নেই।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নীতি, আদর্শ ও ধর্মকর্ম নিয়ে বললে মানুষ আপনাকে বোকা বলবে। বলবে আপনি সেকালের, আপনি ধর্মান্ধ । একজন মা তার মেয়েকে বিয়ের আগে শাররীক সম্পর্ক করতে বলেছে সেই আধুনিক । হায়রে কপাল

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব পাপের ভাগীদার বাবা মায়ের জন্য তো ছেলেমেয়েরা নষ্ট হবার সুযোগ পাচ্ছে। ঘর থেকে আজেবাজে পোষাক পরে বের হচ্ছে সেটাও দেখে না দেখার ভান করে থাকে। আমি তো এদের কাছে খারাপ মানুষ হবোই। সত্যকথা, হক কথা, নীতি, আদর্শ ও ধর্মকর্ম এইসব শুনলে এখন মানুষের গাত্রদাহ শুরু হয়।
একজন মায়ের বক্তব্য ইচ্ছে করেই তুলে দিয়েছি। দেখুন এদের মেয়েরা নষ্ট হবেনা তো কার হবে?
শুভ কামনা আপ্নার জন্য। ভালো থাকুন সব সময়।
ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইতিপূর্বে যদিও লেখাটা পড়েছি। সময় নিয়ে আবার আসছি...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। অপেক্ষায় রইলাম।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: কলাবাগানের ঘটনা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। এই রকম ঘটনা আমি সহ্য করতে পারি না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: অসভ্য পশুর চেয়ে অধ্ম একটা ঘটনা। প্রথমবার পড়ার পর আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



হাজার বছর আগে, কোন ইবনে, কোন আবনে কি বলেছে, সেটা নিয়ে পড়ে আছেন? আজকের সমস্যার সমাধানের জন্য আজকের সমাজকে বুঝতে হবে; আপনার ভাবনাগুলো পুরানো ও অকেজো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমি এতটুকুও অবাক হয়নি। আপনার মতো স্বল্পবুদ্ধির লোকজন দেশে আছে দেখেই এখন আমাদের দেশে আধুনিকতার নামে এইসব ভয়ংকর কান্ড ঘটছে।

আজকের সমাজ বলতে আপনি কি বুঝেন? পাশ্চাত্য দেশগুলিতে অবাধ যৌনতার ছড়াছড়ি খুব মজা লাগে দেখতে তাইনা?
বেজন্মা সন্তান জন্ম দেয়ার পর বৃদ্ধাশ্রমে শেষ বয়সে কাটানো খুব দারুন লাগে তাইনা?
মেয়েদের আধুনিকতার নামে কাপড় খোলা যদি আধুনিকতা হয় তাহলে সেই আধুনিকতার মুখে আমি থু থু দেই।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



তলোয়ার হাতে ঘোড়ায় চড়ে বেদুইন হতে ইচ্ছে করে আপনার?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মতো যেখানে সেখানে মূত্রত্যাগের অভ্যাস আমার নেই। এটা সিভিক সেন্স।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টিনএজদের জন্য স্কুলগুলিতে কার্যকরী যৌনশিক্ষার উপর বিশেষ জোর দেয়া উচিত। কারণ আমরা না চাইলেও বিভিন্ন কারণে এই বয়সের ছেলে মেয়েরা সাময়িকভাবে কক্ষচ্যুত হতে পারে। দোষ ছেলে বা মেয়ে যারই হক, প্রকৃত যৌন শিক্ষা থাকলে এই মেয়েটাকে হয়তো বাঁচানো যেত। এছাড়া যৌনতা সংক্রান্ত ধর্মীয় অনুশাসন পরিবারে ও স্কুলে আরও গুরুত্ব দিয়ে শেখানো উচিত। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা যেন শিল্প, সাহিত্য, খেলাধুলা এগুলির পর্যাপ্ত সুযোগ পায় সেই ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে পাঠাগারের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এখন একজন কিশোর/ কিশোরী বা তরুণ/ তরুণী অবসর সময় কাটায় মুলত অনলাইনে। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তরুণ প্রজন্ম সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে তারা যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা, বিপদ তৈরি করছে। অবৈধ পথে অর্থ উপার্জনকারী পরিবারে এই ধরণের সমস্যা বেশী হচ্ছে। কারণ দেখা যাচ্ছে পরিবারের অভিভাবকরাই নিজেরাই ঠিক নাই। ফলে এদের সন্তান বখে যাওয়ার শম্ভবনা অন্যদের চেয়ে বেশী। ভালো পারিবারিক আবহ যে বাড়িতে আছে ঐ বাড়ির ছেলেমেয়েরা সাধারণত বিপথে যায় না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আমার লেখার শানে নযুল খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ। লেখার সাথে আমি শতভাগ হ ম ত।
তবে এর সাথে ছেলেমেয়ের অভিভাবকদেরও সচেতনতা খুব জরুরী। জন্ম দিয়ে খালাশ এই তরীকা বাদ দিয়ে উচিৎ।
আবার ফিরে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা রইলো।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আর যুদ্ধ নয়,মুসলমানদের সেই অবস্থাও নেই।এখন শান্তির কথা বলাই ভাল।তাতে করে অনন্তত বেঁচে বর্তে থাকতে পারবে,নয়তো নিশ্চিহ্ন হবার সম্ভাবনা আছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভুল কনসেপ্ট নিয়েই সারা জীবন কাটিয়ে দিলেন। শান্তির কথা ইসলাম সারাজীবনই বলে এসেছে।
কারণ ইসলাম মানেই শান্তির ধর্ম। ইসলামের নামে কেউ ভুল পথে গেলে সেটা তার পথভ্রষ্টতা। ইসলামের দোষ নেই তাতে।
আর ইসলাম এবং মুসলিমরা আল্লাহর রহমতে কিয়ামতের আগে অল্প কিছুদিন আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই টিকে থাকবে।
তবে ইসলামের বিরোধিতাকারীরা কালের অতলেই হারিয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টের সাথে চরমভাবে দ্বিমত প্রকাশ করছি। এই ধরনের লেখা সমাজে পুরুষদের আরো বেশি করে ক্রিমিনাল হতে উৎসাহিত করে। পরিনত বয়সের নারী পুরুষের নৈতিক পদস্খলনের ঘটনা এটা নয়। আনুশকার বয়স আঠারোর নীচে কিন্ত দিহানের বয়স আঠারোর উপড়ে। একজন নাবালিকাকে ফাদে ফেলে বা প্রলুদ্ধ করে অন্য আরো চারজন ছেলেসহ ফাকা বাসায় নিয়ে যাওয়া ভয়ঙ্কর , নিশৃংষ এক অপরাধ। উন্নত দেশ হলে দিহানসহ বাকী চারজনের কঠোর শাস্তি হত। আর দেশটা বাংলাদেশ বলে দিহানের সঙ্গী্রা ছাড়া পায় আর একজন নাবালিকার চরিত্র হননের চেষ্টা হয় ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনি মনে হয় আসল কাহিনী শুনেন নি। মেয়ে আনুশকা সকালবেলা ছেলের মোবাইলে ফোন পেয়ে মাকে মিথ্যা কথা বলে ছেলের সাথেই দিহানের বাসায় চলে গিয়েছে। কি করেছে আল্লাহই জানে। এরপর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে দিহান প্রথমে একটা ছেলেকে ফোন দিয়ে ডাকে। সেই ছেলে আরো দুইজনকে ডাকে। সব সহ তিনজন অতিরিক্ত ছেলে আসে। প্রথমদিকে নিউজগুলিতে কোথায় গ্যাংরেপের কথা আসে নি। প্লট অন্যদিকে সরানোর জন্য মেয়ের বাসা থেকে নতুন নতুন কাহিনী বানানো হচ্ছে। মেয়ের মাকে দিহান ফোন দেয়ার একঘন্টা পরেও মা ফোন রিসিভ করেনি। বাবা তো ফোনই ধরেনি। এখন এরা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আজগুবি সব কাহিনী বানাচ্ছে। মেয়ের মা পলিটিক্সের সাথে জড়িত। মেয়ের সাথে ছেলের কল রেকর্ডস, সোশাল মিডিয়া যোগাযোগের রেকর্ডস সব পুলিশের কাছে আছে। মেয়ের দেহের উপরিভাগে কোন নির্যাতনের চিহ্নই নেই। ফরেনসিক রিপোর্ট দেখুন। দিহান যৌন নির্যাতন করেছে ঠিক আছে তবে এই মেয়ে নিজেই সেখানে গিয়েছিল। অযথা বাকি তিন ছেলের নামে অভিযোগ করবেন না।
ধন্যবাদ।

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:




লেখক বলেছেন, "আজকের সমাজ বলতে আপনি কি বুঝেন? পাশ্চাত্য দেশগুলিতে অবাধ যৌনতার ছড়াছড়ি খুব মজা লাগে দেখতে তাইনা? "

-পাশ্চাত্যে কি ঘটছে, সেসব তথ্য বুঝার মতো ইংরেজী আপনি জানেন না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি যেখানে পড়াশুনা করেছি সেখানে ঝাড়ুদার হবার যোগ্যতাও আপ্নার নেই। আমার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কোন জ্ঞান নিয়ে?

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৪

জুন বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্টে ভালো লাগা রইলো নীল আকাশ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আমি সামাজিক সচেতনতা বিষয় নিয়ে লিখার চেষ্টা করে যাই।
শুভ কামনা।

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আধুনিকতা-১
গতবছর কলকাতার একটি নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম উর্ত্তীন্ন একটা ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে অস্বাভাবিক মৃত্যু পর আনন্দবাজার লিখেছিল,ছেলেটি মাত্রাতিরিক্ত লিকুইড কনজিউম করেছিল। চমৎকার কথা। মৃত্যুর পরের দিন মায়ের বয়ানে, বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের আড্ডা মারতে পঁচিশ হাজার টাকা নেয়।মাও ছেলের আবদার রক্ষা করতেই‌ সামান্য কটা টাকা দিয়েছিল। আচ্ছা ভাবুন দেখি, আমাদের কতজনের পরিবার সন্তানের ফুর্তি করতে ২৫ হাজার টাকা দিতে পারে।
শহরের অভিজাত এলাকায় অভিজাত পরিবার হওয়ায় আনন্দবাজারের মতো পত্রিকার কি সুন্দর শালীন ভাষা, লিকুইড কনজিউম।অথচ অন্য যে কোন ক্ষেত্র হলে মদ খেয়ে বেঘোরে মৃত্যু বা এই জাতীয় কিছু হেড লাইন হত।

আধুনিকতা-২
কলকাতার যাদবপুরে অষ্টাদশী তরুণ এইডসে আক্রান্ত।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এলাকা; অভিজাত পরিবার।নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পরিবার পুত্রের এমন খবরে হতবাক। গোপনে পুলিশ লাগালো উৎস সন্ধান করতে। পেয়ে গেল সহজেই। যাদবপুর রেল স্টেশনের এক বস্তিবাসী তরুণী।যে ইতিমধ্যে মারন রোগের শিকার। নিয়মিত ঔষধ সেবন করে। পুলিশ মেয়েটিকে নিজের রোগ জেনেও ছেলেটার এতবড় সর্বনাশ কি করে করলো,প্রশ্ন করলে,
- বাহারে! এদের মতোই তো কেউ আমাকে ভোগ করে সর্বনাশ করে গেছে। এখন আমার কাছে যারা আসবে সবাইকে আমি বাঁধিয়ে দেব।
পুলিশের পরের প্রশ্ন ছিল,
-তুই এ পর্যন্ত কতজনকে বাধিয়েছিস?
- আমি অন্য কারও সঙ্গে শুতাম না।
-কেন?
- ওরা আমাকে অনেক টাকা দিয়ে অন্য খরিদ্দার ধরতে নিষেধ করেছিল।
- ওরা কতজন তোর কাছে আসতো?
- ওরা ছয়বন্ধু ছিল। তবে সবাই একদিনে আসতো না।

বড়লোকের সন্তানরা একটু বেশি আধুনিক। বেশি সভ্য কিনা।

আপনার বর্ণিত ঘটনা বা আমার উল্লেখিত ঘটনাগুলো এখনও সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। কিম্বা নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা একটু কম আধুনিক এটাই এখনও রক্ষে....


ভালো থাকুন সবসময়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য পড়ার পর আমি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি উত্তর দেবার।
আসলে দুইটা ঘটনার মাঝে অতি সূক্ষ্ম ভাবে একটা মিল আছে। সেই মিল হচ্ছে এরা সবাই ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্র।
এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীরা আসলে একটা কালচারাল শকের মাঝে বড় হয়। না হয় পদ্মা, না হয় গঙ্গা, না হয় মিসিসিপি। এরা দোআঁশলা হয়ে বড় হয় কিন্তু প্রবলভাবে চেষ্টা করে ব্রিটিশদের কালচার মেনে চলতে।

বড়লোকের সন্তানরা একটু বেশি আধুনিক না। এদের বাবা মা এদের মাত্রাতিরিক্ত টাকা দিয়ে এদের মাথা নষ্ট করে দেয়। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা পয়সা পেলে আর কি করবে বলুন? সবকিছুই তো বাবা মা কিনে দেয়। প্রয়োজন না থাকলে তখন শুরু হয় ফ্যান্টাসী, এক্সপেরিমেন্ট।

পত্রিকাগুলি এবং মিডিয়া হচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবার অন্যতম কারণ। রগরগে সব ছবি ছাপাবে নায়িকা কিংবা মডেলদের। আর বাকি সব সাধারণ মেয়েদের হুমকি মুখে ফেলে দেবে।

সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা পয়সা থগাকে না বলেই নষ্ট হবার সুযোগ কম।
ঠিক এইজন্য আল্লাহ মিতব্যয়ীদের পছন্দ করেন। অর্থই অনর্থের মূল কারণ।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলাম এতোটাই শান্তির ধর্ম যে দলত্যাগ করলে বা বিধর্মীদের যেখানে পাও হত্যা করো।
৪:৮৯, ৯:৫

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: গতবছর ইসলামকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো (UNESCO)। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনেস্কো। এর আগে ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বের সবগুলো ধর্ম নিয়ে গবেষণা চালায়।

ওই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম কোনটি তা খতিয়ে বের করা। এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশনের তুলনামূলক গবেষণা বিভাগের প্রধান রবার্ট ম্যাকগি বলেন, ছয় মাসব্যাপী গভীর গবেষণা ও বিশ্লেষণের পর আমরা এই উপসংহারে উপনীত হয়েছি যে, ইসলামই বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। [সূত্র: আলোকিত বাংলাদেশ: ২৫ মার্চ, ২০১৯]

সব নবী-রাসূলের সমাপ্তিকারী শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শান্তি ও সালামের পতাকাবাহী। তাঁর আদর্শ ও সুন্নত ছিল, তিনি নিজের সালাত শেষ করামাত্র তাঁর উম্মতকে মনে করিয়ে দিতেন, শান্তি আল্লাহর নিয়ামত এবং সেটি প্রত্যাশা ও প্রদান করা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। এজন্য তিনি সালাম ফিরিয়ে বলতেন : ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম। অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী।’ [মুসলিম ১/২১৮, আবু দাউদ ১/২২১, তিরমিযী ১/৬৬]

১৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২

সোহানী বলেছেন: আকাশ ভাই, পোস্টের বিষয় বা তার বিশ্লেষন এর সাথে সহমত হলে বেশ কিছু পয়েন্টে দ্বিমত আছে। কারন কিছু পয়েন্টে নারীদের দিকেই বেশী আঙ্গুল তুলেছেন। যা বলবো দেশ কাল প্রাত্র সব পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের বর্হিপ্রকাশ। এটি একা আপনার মত নয়, বড় একটি অংশেরই মত।

আমি অন্ধ নারীবাদী নই যা আপনি উপরে উল্লেখ করেছেন। আমি খুব সাধারন একজন মানুষ যে যেকোন কিছু মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখে।

তারপরও বলবো, এরকম লিখা দরকার। কারন সমাজ এখন শুধু নারীই নই সবার জন্যই পচেঁ গলে যাচ্ছে। এ পচঁন ঠেকাতে হবে আগে তারপর অন্য কিছু।

অনেক ভালো থাকুন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপু, শুভ সকাল।
"কিছু পয়েন্টে নারীদের দিকেই বেশী আঙ্গুল তুলেছেন।" না আপু, ভালো করে আবার পড়ে দেখুন। আমি আমার লেখায় শুধু ছেলে বা শুধু মেয়ে কাউকেই একতড়ফা দোষারোপ করিনি। আমি প্রশ্ন তুলেছি আমাদের সমাজের বিদ্যমান সমস্যাগুলি নিয়ে। কিভাবে এবং কেন এই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার কারণ বের করতে। আমার দেয়া ৮টা পয়েন্টের মাঝে আমি এইসব নিয়েই আলোচনা করেছি। আনুশকা কেন মায়ের কাছে মিথ্যা কথা বলেছে কিংবা দিহান কেন এত সাহস পেলো এইসব।

বিশ্বাস করুন, সময় হয়েছে ইংরেজি, বাংলা সব মাধ্যমে পড়া প্রতিটি সন্তান, প্রতিটি শিক্ষার্থীর পিতা-মাতাকে সচেতন হবার। এটিকে ওয়েকআপ কল হিসেবে নিন। কী করা উচিত, কী উচিত না সন্তানদের বুঝিয়ে বলুন। সীমারেখা টেনে দিন। জোর জবরদস্তি করে নয়, বুঝিয়ে। গ্রুপস্টাডির নামে কী হচ্ছে? কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে? বন্ধু বা সহপাঠী কারা, দয়া করে খোঁজ নিন। আর নিজেরাও একটু স্মার্ট ফোন, গেজেট ব্যবহার ইত্যাদি শিখুন। তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন কী হচ্ছে না হচ্ছে। আমার কিছু হয়নি বলে চুপ করে থাকবেন না। নীরব সান্তনা খুঁজবেন না। চুপ করে থাকলে, চোখ কান খোলা না রাখলে, আপনাদেরও একদিন এমন করেই কাঁদতে হতে পারে।

ছেলেমেয়ের অপ্রয়োজনে মাত্রাতিরিক্ত টাকা পয়সা দিয়ে নষ্ট করবেন যেটা দিহানের বেলায় ঘটছে। ছেলেমেয়েদের সত্যকথা বলা শিখান, ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখান।
ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের এই নষ্ট সমাজ কি কখনও ঠিক হবে? সম্ভবনা আছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: হবে, তবে আমাদের সবার আন্তরিকভাবে সেটা ভালোর দিকে নিয়ে যাবার জন্য চেষ্টা করতে হবে। একক কোন প্রচেষ্টায় কিছু করা সম্ভব না।
ধন্যবাদ।

২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়ামের পড়া ছেলেমেয়েরা ব্রিটিশ কালচারে রপ্ত করছে, তাই এইসব অবাধ যৌনাচার কোন ব্যাপারই না[/sbশুধূ ইংরেজী না, বাংলা মাধ্যমে পড়ারা এই অপকর্ম আরো বেশী করে।
গ্রাম-শহর সব জায়গাতেই ১৮ উর্দ্ধ বয়সী প্রায় সব ছেলে-মেয়ে এই কর্ম করে।
বিশ্বদ্যিালয়ে তো যায়ই এসব অসভ্যতা করতে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি নিজের চোখে যা যা দেখেছি তাই লিখেছি। ইংলিশ মিডিয়ামের পড়া ছেলেমেয়ে আমি খুব কাছ থেকে নষ্ট দেখেছি। এদের নষ্ট হবার সংখ্যা বেশি। তবুও বলবো এখন সময় হয়েছে ইংরেজি, বাংলা সব মাধ্যমে পড়া প্রতিটি সন্তান, প্রতিটি শিক্ষার্থীর পিতা-মাতাকে সচেতন হবার। এটিকে ওয়েকআপ কল হিসেবে নিন। কী করা উচিত, কী উচিত না সন্তানদের বুঝিয়ে বলুন। সীমারেখা টেনে দিন। ছেলেমেয়ের অপ্রয়োজনে মাত্রাতিরিক্ত টাকা পয়সা দিয়ে নষ্ট করবেন যেটা দিহানের বেলায় ঘটছে। ছেলেমেয়েদের সত্যকথা বলা শিখান, ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখান।
বিশ্বদ্যিালয়ে যাবে শিক্ষার জন্য, অসভ্যতা শেখার জন্য নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি ঢাবিয়ানের সাথে একমত, দিহান যেটা করেছে এটা ক্রাইম, সে আনুস্কাকে প্রলোভীত করেছে, ১৮ বছরের এক ছেলের সম্পত্তির হিসেব শুনে আমি তো অবাক, তার ঢাকায় নিজেস্ব ফ্ল্যাট আছে, নিজের গাড়ি আছে। একজন মানুষ যখন কোন ভাবে প্রলোভন দ্বারা আসক্ত হন তখন তার হিতাহিত জ্ঞ্যান থাকে না, এখানে যৌন সম্মতি ছিলো কি ছিলো না এটা মূক্ষ্য না, মুল ব্যাপারটা হোল দিহান আনুস্কাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে উদ্দেশ্য ছিলো যৌন সম্পর্ক স্থাপন। তার পুরনো রেকর্ড তাই বলে। প্রেমের সম্পর্কে ভালবাসা থাকে মমত্ববোধ থাকে পশুত্ব থাকে না। আর একটা বিষয় পর্ন একদম বন্ধ করা উচিত, বিকৃতি মানুষিকতা ওখান থাকেই আসে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ জানে না ওখানে যা দেখানো হয় তার অধিকাংশই অভিনয় ও ফেইক।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি উনার সাথে দ্বিমত করিনি। দিহানের বাবা অবৈধ পথে বিপুল টাকা অর্জন করেছে এবং ছেলেকে যা ইচ্ছে খরচ করতে দিত। এভাবেই দিহান নষ্ট হয়েছে। দিহানের বাবা সম্পত্তির কথা পুরোটা লিখি নি আমি, লিংক দিয়েছি পড়ে আসুন। ছেলে এম নিতেই নষ্ট হয়নি? পর্ণগ্রাফী দেশের অনেক যৌন নির্যাতনের মূল কারণ। আমি এটাও লেখায় উল্লেখ করেছি। এটা অবশ্যই যেকোনভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে।
আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

২৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আর একটা কথা, বর্তমান প্রিন্ট মিডিয়া ও টেলি মিডিয়া এদের রিপোর্ট শতভাগ বিশ্বাস করা যায় না এরা সংবাদকে মুখরোচক বানাতে গিয়ে জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০১

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে এই নিউজের প্রথম দিকে সত্যগুলি উঠে এসেছে। ফরেন্সিক রিপোর্টের সাথে মিলে গেছে।
এখন মেয়ের বাবা মা মিথ্যা কথা বলে মিডিয়াতে এসে কান্না কাটি করছে।
নিউজগুলি ক্রস করলেই বুঝবেন।

২৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সালাউদ্দীন আইয়ুবীর কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে। সেযুগেও বিধর্মীরা অশ্লীলতা ঢুকিয়ে মুসলিম যুবক ও সৈন্যদের চরিত্র হনন করে অকেজো করে দিত। আজও তাই হচ্ছে- ধর্ষণ হলে কি হলনা সেটা বড় কথা নয়, সম্মতিতে দুজন বেগানা নারী পুরুষ যৌন কার্য করলে যে গুনাহ ও ইসলাম বিরোধী কাজ সেটা মাথায় নিচ্ছেনা দেখেই সমাজের আজ এই অধঃপতন।

+++++++

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক পয়েন্ট নিয়ে কথা বলছেন। আমি লেখায় সেটা নিয়েই প্রথম প্রশ্ন তুলেছি। এই মেয়ে কেন যাবে দিহানের কাছে, তাও আবার খালি বাসায় জেনেশুনে। এই মেয়ের মৃত্যুর জন্য মেয়ে নিজেও অনেকাংশে দায়ী।
দেশে এখন আকাম কুকাম করার জন্য ধর্ম থেকে দূরে থাকার ধুয়ে তুলছে এইসব নিলর্জ বেহায়ারা।
শুভ কামনা।

২৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

করুণাধারা বলেছেন: অনেক তথ্যের সমাবেশে খুব পরিশ্রমী পোস্ট দিয়েছেন। তবে ফেসবুকের লেখা আর বইয়ের লেখার যে ছবি দিয়েছেন সেটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম... কোন মা বা শিক্ষা দাতা এমন ভাবলে সমাজের অধোগতি থামানোর কোন উপায় থাকে না। আসলে মনে হয় যে ধ্বংসের দিকে পুরো জাতি ধাবিত হচ্ছে তা ঠেকাবার কোন উপায় নেই। যে সমাজ থেকে সব নৈতিকতা উঠে যায় সেখানে আর কী হবে? বাড়িতে বাচ্চারা দেখছে বাবা-মায়ের অনৈতিকতা, শিক্ষকেরা নিয়োগ পান রাজনৈতিক বিবেচনায়, তরুণদের সামনে কোন আশা নেই, এই অবস্থায় স্খলন হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আপনার পোস্ট আমাদের হয়ত সচেতন করছে, কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী হতে পারছিনা। তবে আপনার মতো করে চেষ্টা করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।

পরিশ্রমী পোস্টে প্লাস।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১১

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফেরার জন্য দুঃখিত।
তবে ফেসবুকের লেখা আর বইয়ের লেখার যে ছবি দিয়েছেন সেটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম... কোন মা বা শিক্ষা দাতা এমন ভাবলে সমাজের অধোগতি থামানোর কোন উপায় থাকে না। আমি মাত্র একটা দিয়েছি তাও আবার শালীনতা মেনে। কিছু আছে ব্লগে দেয়ার উপযুক্ত না। আজকেই আমাকে একজন উচ্চ পদস্থ লোকজনের ওয়াইফ সোওপিংয়ের কাহিনী বলছিল। কি চলছে সেটা বললে হার্ট এট্যাক হবার সম্ভাবনা হতেও পারে।

আপনি যা যা বলেছেন সবই হচ্ছে কজ-এফেক্ট এর এফেক্ট। ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের সমাজ ব্যবস্থা এখন নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের পাঠ্যপুস্তকে আরো ভয়ংকর সব কিছু শেখানো হচ্ছে। থিওরী শেখাবেন কিন্তু এরা প্রাকটিক্যাল করতে চাইবে না এটা ভাবলেন কিভাবে?

সমাজ আমি বা আপনি চাইলে পরিবর্তন হবে না। সবাইকেই চাইতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপামর জনতা কি চায়?
আমার সন্দেহ আছে। বেহায়াপণা এবং নির্লজ্জতা ছড়িয়ে পরেছে সারা দেশেই।
জানিনা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি আমরা?
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

২৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়ামের পড়া ছেলেমেয়েরা ব্রিটিশ কালচারে রপ্ত করছে, তাই এইসব অবাধ যৌনাচার কোন ব্যাপারই না। আপনার সব কথা মানছি, এটা মানতে পারলাম না। আপনিও শেষ পর্যন্ত জেনারালাইজড কথা বলে ফেললেন....শকিং!!! ইংলিশ মিডিয়ামে কিন্তু আমিও পড়েছি। আর বৃটেনে যেহেতু থাকি, এটা যে বৃটিশ কালচার না, সেটাও আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি। যেটা অন্যায়, সেটা সব খানেই অন্যায়। কোন কালচারই অন্যায়কে সাপোর্ট করে না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০২

নীল আকাশ বলেছেন: আমি প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি এত ভালোভাবে লেখাটা পড়ার জন্য। নির্দিষ্ট এই লাইনে আমি যা লিখতে চেয়েছিলাম ঠিক সেইভাবে প্রকাশ পায় নি। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনি এত মনোযোগী পাঠক দেখেই আমি এত পছন্দ করি। লাইন এডিট করে ঠিক করে দিয়েছি।

সত্যকথা বলতে কি, এইসব ছেলেমেয়েদের আচার আচরণ আমি নিজের চোখেই অনেকবার দেখেছি। অল্প কয়েকদিন আগেই বৌ বাচ্চা সহ রিলেটিভদের নিয়ে বাইরে খেতে গিয়েছি। সামনের টেবিলে দুইটা ইংলিশ মিডিয়ামের মেয়ে তাদের বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বসেছিল। যে পোষাক পড়েছিল এবং যা যা নোংরামী করছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করা মতো না। আমরা ওয়েটার ডেকে কমপ্লেইন করার পর দূরের টেবিলে যেয়ে বসলো। এরা আবার মাতৃভাষা বাংলা কথা বলে না।

আপ্নার মন্তব্যের শেষ লাইনগুলির সাথেও আমি একমত। অবৈধ পথে উপার্জনের ফলাফাল এইগুলি। সরকার দেখেও দেখে না।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

২৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই বিষয়ে সমসাময়িক পোস্টগুলো ও মন্তব্যগুলোতে ভিকটিম তরুণ তরুণীদের দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু এই সকল বিশ্লেষণে একটি কারণ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত - তা হচ্ছে তরুণ বা কিশোরকিশোরীদের দূরদর্শিতা, চিন্তাচেতনার পরিপক্কতার অভাব ও ফলশ্রুতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলভ্রান্তি। যৌবন ও তারুণ্যে মানুষ অনেক ভুল পথে চালিত হয় এবং প্রচুর ভুলভ্রান্তি করে থাকে যা স্বাভাবিক। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে, অনেক পাপাচারে লিপ্ত হয়। অনেকে চরম মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব যদি তার পাশে থাকে এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করে তবে সে এই বিভ্রান্তির বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

কিন্তু বর্তমানে পরিবার, স্বজন ও বন্ধুত্বের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করছে মানুষের অতি মাত্রায় 'ম্যাটেরিয়ালিস্টিক' হয়ে যাওয়া এবং লোভ-লালসার বৃদ্ধি পাওয়া। গোটা সমাজই দুর্নীতি সহ নানান নৈতিক স্খলনের তলানিতে পৌঁছেছে, অথচ আমার সবাই এই পরিবর্তনকে খুব স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিচ্ছি - আবার সেই আমরাই এতে বসবাস করে আশা করছি সমাজ একদম পুতপবিত্র ও অপরাধহীন হয়ে যাবে !

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। যা বলেছেন সেটার সাথে আমি একমত। তবে সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য, দূরদর্শিতা, চিন্তাচেতনার পরিপক্কতার জন্য অভিভাবকদের দায়িত্ব অনেক। কোনভাবেই এটা এরা অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, টাকাপয়সার মাত্রাতিরিক্ত লোভে পরে সন্তান লালনপালনের চেয়ে ঘরের বাইরে থাকাটাই অভিভাবকদের মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। বাচ্চাদের সুস্থ বিনোদনের অভাব, বাবা-মায়ের অতিরিক্ত ব্যস্ততা, সন্তানদের সময় না দেয়া/উদাসীনতা খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বাস্তবতার নিরিখে লেখা সময় উপযোগী একটি পোস্ট। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালের কথা, টাঙ্গাইলে কিছু ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশুর সাথে আলো করেছিলাম (যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে, উচ্চ/মধ্যম/নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশু)। বেশির ভাগ শিশু বিশেষত ছেলে শিশু বাবা-মায়ের উদাসীনতার কারণেই বখে গিয়েছিল। অনেক মেয়ে শিশু জানিয়েছিল যে তারা স্কুলের শিক্ষক/প্রতিবেশি/ আত্মীয় দ্বারা সেক্সুয়ালি নির্যাতিত হচ্ছে কিন্তু বা্বা-মায়ের নিকট বললে তারা বিশ্বাস করে না। আবার যদিও বিশ্বাস করে তার উপর আমাদেরকে দায়ী করে।--একজন মেয়ে শিশু দীর্ঘদিন ট্রমার ভিতর ছিল এইসব কারণে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের শিশুরা আরো এক ধাপ এগিয়ে আছে-- বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা বলে যে পরিবারের অভিভাবকে ভূমিকা অনেক বেশি--তারপর অন্যান্য দায়িত্ববাহক যেমন আত্মীয়, শিক্ষক/শিক্ষিকা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্ববাহক একজন শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে-- শিশুদের মুঠোফোনের অবাধ ব্যবহার, বন্ধুদের সাথে সময়ে অসময়ে অবাধ আড্ডা, চাইতেই প্রয়োজনের অধিক টাকা দেয়া, বন্ধুসুলভ ব্যবহার না করাসহ ইত্যাদি কারণে শিশুরা বখে যাচ্ছে--যা খুবই দুঃখজনক --------অনেক যত্ম নিয়ে পোস্টটি লিখেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফেরার জন্য দুঃখিত।
কিছু জিনিস সবাইকে বুঝতে হবে। একই শিক্ষা ব্যবস্থা বা সমাজিক কালচার সব দেশে প্রযোজ্য নয়। আমাদের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা অন্যদেশে ভালো নাও হতে পারে। পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থা নামে যে জগাখিচুরী আমাদের দেশে ঢুকানোর চেষ্টা করছে সেটার ফলাফল মোটেও ভালো কিছু বয়ে আনবে না। কিছু তো শুরু হয়েই গেছে। যেমন আজকের এই ঘটনা।

আপনি ভালো করে খেয়াল করুন। দেশে যতসব মেয়েদের নিয়ে অত্যাচারের কাহিনী হচ্ছে সেটা শুরু হয়েছে কিন্তু দেশে ইন্টারনেট এবং ডিশ আসার পর থেকে। মানুষ এইসব আধুনিকতা থেকে ভালোর পরিবর্তে খারাপটাই বেশি গ্রহণ করেছে।

দেশে বিচারহীনতার জন্য অপকর্ম, পাপাচার, অবৈধ ইনকাম অনেকগুন বেড়ে গেছে। মানুষ পার্থিব জগতের মোহে পরে ধর্ম থেকে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা ধর্মীয় যেইসব নৈতিকতা শিখে বড় হয়েছি, এখনকার ছেলেমেয়েরা তার কিছুই শিখে না কিংবা জানে না।

সন্তানদের নষ্ট হবার জন্য, বিশেষ করে মেয়েদের বখে যাবার জন্য আমার মতে মায়েরা ৯৫% দায়ী। সন্তানরা কে কোথায় যাচ্ছে কি করছে এখনকার বাবা মা'রা বলতেও পারে না। আনুশকার ঘটনার জন্য আমি সরাসরি বাবামাকে দায়ী করবো। কারণ আমি নিশ্চিত এই মেয়ে আরো অনেকবার এইকাজ করেছে।

আপনাকে আমি এই লেখাটা পড়ার আমন্ত্রণ দিচ্ছেঃ নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ৭ঃ পঁচা ঘূঁণে ধরা সমাজে ডাঃ সাবরিনা শারমিন হোসাইনের বাস্তব নির্লজ্জ আস্ফালন

আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম এবং আপনার জন্য শুভ কামনা রেখে গেলাম।
ধন্যবাদ।

২৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০০

সুমিত১২৩ বলেছেন: 18 বছরের কম বয়সে সেক্স বন্ধ করার জন্য দরকার যৌনশিক্ষা। ধর্মীয় শিক্ষা নয়। পশ্চিমা বিশ্বে সালাদিন নামে পরিচিত লোকটা যা বলেছে তা সম্পূর্ণ ভুল। তার কথা যদি সত্য হত তবে আমেরিকা কবে ধ্বংস হয়ে যেত ! ইউরোপ আমেরিকায় 18 বছরের কম বয়সে সেক্স হওয়াটা কমন ব্যাপার। কই ? ওখানে তো কোন রক্তক্ষরণে মারা যায় না। কারণ, সেখানে স্কুলে সঠিক যৌনশিক্ষা দেয়া হয়। যদি এই ছেলে মেয়ে দুটাকে তাদের বাবা মা বাল্যবিবাহ দিয়ে দিত। আর বিয়ের পর যদি এই ঘটনা ঘটত, তখন কিন্তু এটাকে অশ্লীলতা বা বেহায়াপনা মনে হত না। এগুলো স্রেফ মনের ব্যাপার। বিবাহ বহির্ভূত যৌনসম্পর্ক অশ্লীলতা নয়। ইসলাম আপনাকে দিয়ে এরকম চিন্তা করা্চ্ছে। ধর্ম যখন মানুষের বিবেক বিচারবোধকে নিয়ন্ত্রন করে, মানুষ সেটা টের পায় না।
আপনার মত কিছু পাবলিক আছে যারা চান্স পেলেই হল। দেশে কোন অন্যায়, দুর্নীতি বা নেগেটিভ কিছু ঘটলেই সেটাকে ইস্যু করে ধর্মের ( specially ইসলামের ) প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে ছাড়বে। যোদ্ধাদের ( খুনীদের ) যারা বড় মনে করে, আদর্শ মনে করে তাদের মাথা দিয়ে সুস্থ চিন্তা বের হওয়া সম্ভব না।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: কারো লেখা না ভালোমতো না পড়েই আন্দাজে মন্তব্য করবেন না। নতুন এসেছেন, একজন ভালো পাঠক হবার চেষ্টা করুন আগে। শুরুতেই নির্বোধের মতো মন্তব্য করে হাস্যকর কিছুতে পরিনত হবেন না।

নিজের ব্লগ প্রোফাইলে লিখে এসেছেন "আমি একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ" ।
কিন্তু এসেই ১২ ঘন্টা ১৫ মিনিট এর মাথায় ইসলামের পিছনে লেগে গেছেন।
এইসব ভন্ডামী ছাড়ুন। বিগত ৮ বছর ধরে এইরকম কত দেখলাম এলো আর গেলো।


আমি এইসব ঘটনার মোট ৮টা কারণ লিখেছি। আর আপনি সেখানে মাত্র একটা পড়েই অজ্ঞ লোকের মতো মন্তব্য করে বসলেন।

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এটা মাল্টি নিক। আপনার সমস্ত কর্মকান্ড আমি এখন থেকে পর্যবেক্ষণে রাখবো।

৩০| ০২ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

সুমিত১২৩ বলেছেন: ইসলামে পিছনে কই লাগলাম ? যেই ইস্যুতে ধর্ম একেবারেই আসে না, সেই ইস্যুতে আপনি কেন ধর্ম টেনে আনবেন ? এটা তো অপরাধ। আপনি অপরাধ করলে সেটা আপনাকে জানাব না ? আপনারা আফসোস করেন যে, নাস্তিক ও সেকুলাররা অন্য ধর্ম ছেড়ে শুধু ইসলামের পিছনে কেন লাগে ? আপনাাদের মত লোকদের জন্যই ইসলামের পিছনে লাগে। কারণ, ইসলাম সবকিছুতে নিজের প্রভাব খাটাতে চায়। কি সংবিধান আর কি গণতন্ত্র সবকিছুকে ইসলাম দিয়ে কেন judge করতে হবে ? ইসলামকে বরং অন্য কিছু দিয়ে judge করুন
আপনার কাছে ভাল পাঠকের সংজ্ঞা যদি হয় ধর্মের পিছনে না লাগা, তাহলে দুঃখিত আমি সেটা মানতে পারছি না।
আপনি আপনাকে কি পর্যবেক্ষণ করবেন ? পর্যবেক্ষণ তো আমি আপনাকে করছি। সামুতে যতগুলো উগ্র ইসলামপন্থী আছে, তাদের মধ্যে আপনি এক নম্বরে ? সেটা কি জানেন ?

০৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫০

নীল আকাশ বলেছেন:
আপনি একজন মিথ্যুক এবং ধাপ্পাবাজ লোক। ব্লগে কী উদ্দেশ্য একাউন্ট খুলেছেন সেটা এই ছবি দেখলেই বুঝা যায়!
তিনটা মন্তব্য যার প্রতিটাই ইসলামের বিরুদ্ধে লেখা। আপনার ব্লগে সব কাজ আমি পর্যবেক্ষণ করছি। এর আগেরটাকে ধরেছিলাম, সারাজীবনের জন্য ব্যান খেয়েছে ব্লগে।
সুমিত১২৩ যেও মাল্টি নিক সেটা নির্বোধ লোকজনও বুঝবে। এইসব মাল্টিনিকের খেলা ব্লগে অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমার ব্লগ বাড়িতে ছাগলের মতো ব্যবা ব্যা করে কোন লাভ নেই।
সামুতে যতগুলো উগ্র ইসলামপন্থী আছে, তাদের মধ্যে আপনি এক নম্বরে ? সেটা কি জানেন ? শুধু এই লাইনের জন্যই ব্লগে ব্যান খাবেন আপনি। প্রমাণ বোল্ড করে রাখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.