নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ প্রতিক্রিয়া ২ - শায়মা হক এর “বসন্তদিন (বরুণা ও প্রতিফলন)”

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৮


বইয়ের নামঃ বসন্তদিন
লেখার ধরণঃ কথোপকথন স্ট্যাইলে পত্রালাপ।
লেখকঃ বরুণা এবং প্রতিফলন
প্রকাশনীঃ এক্সেপশন পাবলিকেশন
প্রচ্ছদঃ শায়মা হক
প্রকাশঃ একুশে বইমেলা, ফেব্রুয়ারী ২০১৭
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১২
মলাট মূল্যঃ ১৭৫/=

.
সচরাচর যাদের উপন্যাস, গল্প কিংবা কবিতার বই পড়ার অভ্যাস তাদের জন্য একেবারেই ভিন্নস্বাদের, ভিন্নধাঁচের, গতানুগতিকতার বাইরে অন্যরকম একটা বই হচ্ছে বসন্তদিন। অনেকটাই চিঠিপত্রের আদলে লেখা। পড়ার সময় অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করবে। বসন্তদিন আমি পড়া শুরু করেছিলাম অনেকদিন আগে, ২০১৯ সালে। শেষ করেছিও অনেকবার। তবুও মাঝে মাঝে অকারণেই বইটা খুলে পড়তে বসে যাই। ভালোলাগার লাইনগুলি আণ্ডার লাইন করে বই পড়ার অভ্যাস আমার বহুদিনের। বসন্তদিনের পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে বসে দেখি প্রায় অনেকগুলি পৃষ্ঠায় লেখা আণ্ডার লাইন করা। যারা কিছুটা স্লো বা ধীর স্থির টাইপের পাঠক, বই ধরে শেষ করার চাইতে বইয়ের প্রতিটা পৃষ্ঠাই মনোযোগ দিয়ে পড়তে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটা চমৎকার একটা বই হতে পারে। তবে যারা ধর তক্তা মার পেরেক টাইপের পাঠক, তাদের কিছুটা বোরিং লাগবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলে দেয়া যায়।
এর আগে এই লেখিকার কংকাবতী নামের আরেকটা বই পড়েছিলাম, তবে প্রকাশের দিক থেকে সম্ভবত এটাই প্রথম।
.
কাহিনীঃ
বসন্তদিন মূলত একটা মানবীয় সম্পর্কের গভীরতা, সংকট ও সমীকরণ মিলিয়ে নেবার আপ্রাণ চেষ্টার একটা সরব উপাখ্যান। পুরোটা জুড়েই আছে সর্ম্পকের টানাপোড়েন নিয়ে ঝড় ঝঞ্ছা এবং বিচ্ছেদ বিভেদ আর হাহাকারের বিভিন্ন রঙয়ের আস্তরন। লেখক লেখিকা দুইজনই আদ্যোপান্ত চেষ্টা করে গেছেন ঘটে যাওয়া সেই সময়ের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়গুলি পাঠকের কাছে ফুটিয়ে তুলতে। ব্লগের অনেক পাঠকের কাছেই সম্ভবত এই বইটার নাম একেবারেই অজানা। বসন্তদিন বইটা নিয়ে আগে কিছু ধারণা দেয়া যাক। এটা সামু ব্লগে প্রকাশিত ধারাবাহিক কিছু পোস্ট এবং প্রতি-পোস্টের একত্রে সংকোলন করা একটা তুলকালাম ঘটনা। বইয়ের শুরুটাই হয়েছে ঠিক এভাবেঃ
'আচ্ছা, কোনটা ভালো? স্বপ্ন দেখতে না পারার যন্ত্রণা নাকি স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণা?
কেউ বেছে নেয় স্বপ্ন না দেখাটাকে; কেউ বেছে নেয় স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্টটাকে!
কেউ স্বপ্ন দেখে কষ্ট পেয়ে আর স্বপ্ন দেখতে চায় না।

.
লেখিকা নিজেই এই কাহিনী সর্ম্পকে কিছুটা ধারণা দিয়েছেন এভাবেইঃ
বরুণা ও প্রতিফলনের একটি না গল্প, না উপন্যাস বাট পত্রালাপীয় স্টাইলে লিখিত কিছু অতি বাস্তব সামাজিক চিত্রের ছত্রাবলী যা আমি লাভস্টোরীই বলবো....
আমি বরুণা। প্রতিফলনের সাথে যৌথ প্রয়াসে লিখেছিলাম বসন্তদিন নামে খেলাছলে খুব গভীর কোনো ব্যর্থ বা অব্যর্থ এক প্রেমের কাহিনী। যে কাহিনীটার শুরু কোথায় ছিলো জানা থাকলেও শেষ কোথায় জানা ছিলো না। এমনকি আজও জানিনা। আমরা লিখেছিলাম শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কারণে অকালে ঝরে যাওয়া আবেগ অনুভুতি ও ভালোবাসাময় দুটি হৃদয়ের কথা। ………সকল কিছু উপেক্ষা করে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম জাত, পাত, ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে দুটি নদীর মোহনায় মিলে যাওয়া কিছু অব্যক্ত হৃদয় কথন।
২০১৭ এর বইমেলার ঠিক আগে আগে প্রতিফলন আর আমি দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবছরেই সেই ইচ্ছেটা পূরণের। এই লেখার পিছে পুরোটাই আসলে বাস্তব কোনো ঘটনার ছায়া। এই এতগুলো বছরে হারিয়েছিও হয়তো তার অনেকখানি আবেগও তবুও ভালোবাসা এমনই এক অপার্থীব মোহমায়া যার রেশ আসলে কখনও ফুরিয়ে যায় না। থেকেই যায় এই পৃথিবীর ইথারে ইথারে, গলি ঘুচীর বাতাসে। কোনা ঘুপচীতে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকে....... সে যাইহোক......

.
যারা ব্লগে অনেকদিন ধরে আছেন তারা দুইটা ব্লগ নিক বরুণা এবং প্রতিফলনের সাথে আগে থেকেই পরিচিত। এই দুইটা ব্লগ নিকে বেশ কিছু লেখা পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল একটা আংশিক একটা ঘটনার, যার শুরুটা হয়েছিল ২১ ডিসেম্বর ২০০৮ সালের রাত ১২-৪৩ টার সময়ে। বইয়ের শুরুতেই পাঠকদের একটানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুদূর অতীতেঃ
প্রতিফলন, তোমার কি মনে পড়ে আমাদের প্রথম দেখা হওয়া মুহুর্তটির কথা? নিশুথী রাত ছিলো তখন। চারিদিক শুনশান নীরবতা। পৃথিবীর একপ্রান্তে জেগে আমি কম্পিউটারের সামনে। আর তুমি অপর প্রান্তে, ভীনদেশে। কি দুষ্টামী না করতাম আমি সেসব দিনে।
.
বইয়ের বিভিন্ন ঘটনার সত্যতার বিচারে আমি যাবো না, প্রশ্নই উঠে না। কারণ প্রথম পৃষ্ঠাতেই লেখিকা নির্দ্বিধায় বলে দিয়েছেনঃ
স্বভাবগতভাবেই মিথ্যে করে বললাম নিজের সব কিছুই। মিথ্যে নাম, মিথ্যে পরিচয় সে আমি অবলীলায় বলতাম। কাউকেই বিশ্বাস করতে নেই অনলাইনের, এমনটা আমার অনলাইনের চ্যাট শিক্ষার গুরু আমার কাজিনের উপদেশ। কাজেই মিথ্যে বলতে বাঁধেনি একটুও। নিদ্বির্ধায় অবলিলাক্রমে উল্টা পাল্টা একগাদা সত্যি মিথ্যে বানিয়ে বলে টলে তোমাকে ডিলিট করে দিয়ে ঘুমাতে গেলাম।
.

লেখাটা কোন পর্যায়ের সেটার ধারণা দেয়ার জন্য লেখিকার বয়ানে কিছু অংশ পড়ে আসা যাকঃ
আমি খুব ছোট থেকে প্রতিযোগীতামূলক মনোভাবের মানুষ। আমার ধারণা সূর্য্যপুত্রও তাই ছিলো। ওহ আমরা তো আবার একই রাশি। সে সিংহ, আমি সিংহী।
গল্পটা কোনো মিথ্যে কাহিনী হতে পারে। আমিও কোনো লেখার পিছনের ইতিহাস আসলে এক্সপ্লেইন করার পক্ষপাতি নই এবং সেই গল্প সত্য কি মিথ্যা সেটাও আমি কখনই বলবো না। তবুও অনেকেই বলেছিলো এই বসন্তদিনের এই সত্যিকারের মত করে লেখা মিথ্যে ভালোবাসার গল্পটার জন্য লেখিকার শুধুই ঘৃণাই প্রাপ্য। তবে গল্পটা বা ভালোবাসাটা কি সত্যিই ছিলো নাকি মিথ্যা তা হয়ত একমাত্র সূর্য্যপুত্রই ভালো বলতে পারবে। হা হা হা.... যাইহোক ....এই লেখা যে যাই ভাবুক, এটা একটা ডকুমেন্ট আমার আর সূর্য্যপুত্রের প্রপার্টি।

.
ঘটনা শুরু হয়েছিল অন্তর্জালে দুইজন একদম অপরিচিত নর এবং নারীর চ্যাট গ্রুপে পরিচয়ের মাধ্যমে। হুট করে পরিচয়, একে অপর’কে ভালোলাগা। হরেক রকমের আবোল তাবোল গল্পগুলি জমে উঠে কিবোর্ডের ক্রমাগত আঙ্গুলের খোঁচায়। কথা, পাল্টাপাল্টি কথা, তর্ক-যুদ্ধ-শান্তি কিংবা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে এগিয়ে চলে সেই অব্যক্ত কথামালা। পরিনত বয়সের দুইটা হৃদয়ের যত ইচ্ছে আশা আকাঙ্খার, চাওয়া পাওয়া, আনন্দ বেদনা, পাওয়া না পাওয়ার হাহাকারের গভীর অনুভূতির নিবিঢ় বহিপ্রকাশ ঘটেছে ৫১টা পত্রালাপে। পত্রালাপের মাঝেই জমে উঠতো একে অপরের সাথে সুতীব্র প্রতিযোগীতা। কেউ যেন অপর’কে কোনভাবেই ছাড় দিতে চাইতো না। প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত সেই ক্রমাগত প্রতিযোগীতায় উঠে আসতো সম-সাময়িক বিভিন্ন ঘটনা এবং জীবনের অল্পস্বল্প কাহিনী। দুইজনের চিন্তাভাবনায় একান্ত অমিল থাকলেও কী যেন এক চুম্বকের মতো টান দুইজনকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল অচেনা অজানা এক রাজ্যে!
আমি শুরু করলে-তুমি শেষ করছিলে; তুমি অর্ধেকটা বলার আগে, আমি বাকিটা বলে শেষ করছিলাম। ঠিক যেন আমার মতো কেউ একজন!! মনে আছে? তুমি বলেছিলে- "তুমি যেন আমার ঠিক একটা 'পুরুষ' সংস্করণ।" রাশিতে মিল দেখেই কি এটা হলো?
.
বরুণা ও প্রতিফলন নামের এই দুজন ব্লগার ছিলেন এই সামু ব্লগের অন্যতম আলোচিত চরিত্র। একগাদা চিঠিপত্রের মাঝেই ভেসে উঠেছে অতীতে পিছু ফেলে আসা সেইসব টুকরো টুকরো স্মৃতি, কিছু অমোচনীয় ঘটনা। ট্রেন্ডসে প্রথম গিফট দেয়া নেয়ার ঘটনা, ৯৯৯টা ফোনকল দিয়ে বরুণার নাম্বার খুঁজে বের করা, প্রথম দেখা হবার দৃশ্য, আড়ং দেখা হওয়া, এসএমএস নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত, থানায় ফোন দেয়া কিংবা বইমেলায় গেটে দেখা হবার ঘটনাগুলি খুব সুন্দরভাব ফুটে উঠেছে।
.
জীবনের বড্ড অমিলের গল্পটা শুরুই হয়েছিলে ঠিক এভাবেঃ “আজকের এই প্রথম দিনটিই শেষ দিন। আর কখনো কথা হবে না আমাদের।” উপেক্ষা ভয়াবহতা সেটা টেনে নিয়ে গিয়েছিন এক বসন্ত থেকে আরেক বসন্তে। মাঝখানেই পুরো সময়টা জুড়েই আবেগের সেইসব চিঠিগুলি লেখা হয়েছিলঃ
একটা বসন্তে যে সম্পর্কের শুরু হয়েছিল আরেকটা বসন্তেই যে সেটা শেষ হতে হবে; এমন কোন প্রয়োজন হয়তো ছিল না। কিন্তু আমাদের যে আরো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।
আরো কিছু জীবন, আরো কিছু স্বপ্ন, হয়তো আরো কিছু স্পর্শের বাইরের হাতছানি। কে বলতে পারে?

.
তারপর শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল?
সেটার জানার জন্যই পাঠক‘কে পড়তে হবে বসন্তদিনের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত!
.
চরিত্র চিত্রায়নঃ
পুরো বইটা শুধু মাত্র দুইটা চরিত্র ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। তবে লেখার একদম শেষ দিকে ব্লগার তাজিন নামে একটা বাস্তব চরিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
.
কবিতা এবং আবেগের ব্যবহারঃ

অনেক কিছুর মিশেলে লেখা এই বইটাতে পাঠকরা পাবেন অনবদ্য কিছু কবিতা যার কয়েকটা মাত্রাতিরিক্ত রকমের আকর্ষনীয়। কবিতা সিলেকশন করতে যেয়ে মহা সমস্যায় পরে গিয়েছিলাম। এত এত কবিতার মাঝে কোনটা রেখে কোনটা দেবো? তবুও বেছে বেছে আমার পছন্দের কয়েকটা তুলে দিলাম পাঠকদের জন্য।
(১)
অপেক্ষারই প্রহর কাটে-
তাকিয়ে থাকা নীল জানালায়-
আসে যদি তোরই চিঠি
লেখা কথার পংক্তি মালায়।
প্রভাত আলোয় চমকে উঠি.......
মিছেই আশায় এ বুক বাঁধি
আসবে আবার আরেকটি রাত -
ভুল করে তুই ফিরিস যদি.....। (পৃষ্ঠা # ২৫)


(২)
ঝিঁঝিঁপোকার ঝিল্লীরবে-
স্মৃতিগুলো পাখনা মেলে,
শ্রবনলোকে তন্দ্রাগীতি-
যেদিনগুলো গেছিস ফেলে?
অপেক্ষা তোর শেষ হবেনা
প্রতীক্ষারও প্রহর যাবে,
আসবেনা তোর নীল সে চিঠি
নীল মনিহার হয়েই রবে!! (পৃষ্ঠা # ২৭)


(৩)
শেষ সীমানায় দুহাত বাড়াই - বুকে উছল ঢেউ
মন জানে তুই আছিস কোথায়, দৃষ্টিতে নেই কেউ। (পৃষ্ঠা # ৯৬)


(৪)
যখন আমায় নাইবা পাবি,
খুলে দুয়ার মনের,
দৃষ্টি ছূঁয়ে কেবল আঁধার,
প্রতীক্ষা নেই ক্ষণের।
তখন কি তুই স্মৃতির আগল,
খুলবি গোপন মায়ায়?
সংগোপনে জড়িয়ে বুকে,
গন্ধি কোমল ছায়ায়। (পৃষ্ঠা # ১০২)

.
পুরো বইটা বিভিন্ন পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চুম্বকের মতো দুর্দান্ত কিছু লাইন। আমার খুব পছন্দের অনবদ্য কিছু লাইন পাঠকদের জন্য তুলে দিলামঃ
১। হয়তো 'ভালবাসার সম্পর্ক' ব্যাপারটা, সবার কাছেই তার স্পর্শের গন্ডির বাইরেই থেকে যায়। কারণ স্পর্শের বাইরে থাকে বলেই আমরা তাকে বারবার ছুঁতে যাই। বার বার ফিরে যেতে চাই সেই অনুভুতির ভেতরে।
২। ভালোবাসা জিনিষটা এমন; নিজেকে খালি প্রকাশ করতে চায়, ঘোষিত হতে চায় পৃথিবীর কাছে। কিন্তু, আমরা দুজন; কখনই এই মাটির পৃথিবীতে সেটা পারবো না। তাই ভাবলাম, এখানেই না হয় আসি; থাকি না হয় একটা সময় কাছাকাছি, এক সাথে।
৩। আচ্ছা ভালোবাসাও কি বর্ণিল নয়? কখনো লাজরাঙা গোলাপী, কখনো বেদনার নীল, কখনো উদ্যমতার লাল, কখনো বাসনার কমলা, কিংবা হতাশার ধূসর? তাই আমরাও হয়তো তার সাথে সাথে একটু হলেও বদলে যাই; কিংবা ভালোবাসাই আমাদেরকে বদলে দেয়।
৪। 'সময়' এর কোন সংজ্ঞা দেয়া খুব মুশকিল। অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত আসলে ধারাবাহিক কোন পর্যায় নয়। তুমি যদি আমার বর্তমানে থাকো, তাহলে তুমি অতীতেও ছিলে, ভাবিষ্যতেও থাকবো। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো বা চোখের আড়ালে। 'শক্তি ও বস্তুবাদ'- একবার কোন অস্তিত্য সৃষ্টি হলে তার কোন ধ্বংস নেই। খালি অবস্থানের পরিবর্তন হয়। মাত্রা বদলে যায়। বরুণা, যতবার এই শব্দটা উচ্চারণ করি; বুকের ভেতরের চাপা অভিমানটা কেঁপে উঠে। সারাজীবন ধরে চেষ্টা করে গেছি এই অভিমানটাকে সরিয়ে দিতে।
কিন্তু, সে বোধকরি আমাকে আর ছাড়লো না!
৫। কিছু কিছু অপূর্ণতা ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেয়। ভালোবাসার অনুভব কখনো দৃশ্যমান হয়না। তবুও ভালোবাসার মানুষটির চোখে চোখ রেখে, মানুষ কি যেন খুঁজে বেড়ায়। অনন্তকাল নিস্পলক তাকিয়ে থেকেও, তার খোঁজ আর পাওয়া যায়না। তোমার সে চোখে কখনো চোখ ফেলা হয়নি আমার।
৬। কাউকে কাউকে বাইরে থেকে খুব নির্লিপ্ত মনে হয়। সব ধরণের দুশ্চিন্তা, হতাশা বা দুঃখবোধের একেবারেই উর্ধ্বে যেন তার বসবাস। কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায়; এরা অনেক বেশী অভিমানী, অনেক বেশী অন্তর্মূখী, অনেক বেশী একাকী। এদের অনুভুতির বহির্প্রকাশ, খুব কাছের লোকেরাও অনেক সময় ধরতে পারেনা। কেউ কেউ থাকে, যাদের কে ভালোবাসা টানে; কিন্তু বেঁধে রাখতে পারেনা।
৭. ভালোবাসার অনুভবটা কি বৃত্তের মতো? একটি কেন্দ্রকে ঘিরে যতই ঘুরপাক খাক না কেন; কখনো অতিক্রম করতে পারেনা তার ব্যাসার্ধকে! সেই গন্ডির কাঠামোতেই আটকে থাকে।
কিংবা ভালোবাসাটা হয়তো ঢেউয়ের মতো। কখনো শিখরচূড়ায়, কখনো বা অতল খাদের নীচে। ছোট ছোট পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাতে মেলাতে অতিক্রম করে ফেলে অনেকটা পথ। যেটাই হোক না কেন। ভালোবাসা স্থির নয়। কিংবা স্থিরতায় ভালবাসার বিনাশ ঘটে।
৮। ভালোবাসারা মরে যায় না; হারিয়ে থাকে অনুভুতির শবদেহ হয়ে। কখনো; অশ্রুবারিজল সেই ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে তুলে। ভালবাসা হলো ফিনিক্স পাখি। পুড়ে ছাই না হলে আবার জন্ম নিতে পারেনা। নিঃশেষে হারানোর ভেতর দিয়ে অনেক পাওয়ার স্বপ্নরা আবার বেঁচে উঠে। বসন্তদিন নাহয় আসুক। পুড়ে ছাই হওয়াটাই যে ফিনিক্স পাখীর জন্য অনিবার্য। সেই ছাই থেকে নাহয় জন্ম নিক চির বসন্তকাল।
৯। সব প্রশ্নের, সব কেন'র উত্তর মনে হয় জানতে হয় না। মানুষের মনের ভেতর কিছু প্রশ্ন, কিছু জিজ্ঞাসা সবসময় থাকা উচিত।
১০. উপেক্ষা জিনিসটা এত ভয়াবহ যে খুব বেশি নৈব্যাক্তিক না হলে মানুষ মেনে নিতে পারে না।
১১। এক ঈশ্বর সৃষ্টি করলেন আমাদের; দেখাও করিয়ে দিলেন। কিন্তু কেন যে তিনি, তার সাথে কিছু জটিলতা যোগ করে দিলেন? যেটাকে নিয়তি বলি। আমরা হয়তো তার খেলারই পুতুল।

.
যা যা ভালো নাও লাগতে পারেঃ
-খুব অল্প কিছু চরিত্র নিয়ে লেখার কারনে এটা অনেকের কাছেই বোরিং লাগতে পারে।
-টানা ৫১টা চিঠি পড়ে যেতে অনেকের কাছে একঘেঁয়ামীও লাগতে পারে।
-এ ছাড়াও কবিতা বিদ্বেষী কিছু ভয়ংকর পাঠক থাকে যারা শুধুই কবিতা থেকে দূরে থাকা জন্যই উপন্যাস বা গল্প পড়ে থাকেন।
এদের ভয়ে গল্পকার বা উপন্যাসিকরাও লেখার মাঝে কবিতা দেয়ার ব্যাপারে প্রচুর দ্বিধা সংকোচে থাকেন।
তাদের জন্য এই বসন্তদিন হচ্ছে দশ নাম্বারী মহাবিপদ সংকেত!
.
পরিশেষঃ
একটা প্রকাশিত বই’কে তুলনামূলকভাবে রেটিং জন্য নিন্মোক্ত পদ্ধতি আমি সবক্ষেত্রে ব্যবহার করি-
* থীম / প্লট - ১
* কথোপকথন - ১
* চরিত্র বিন্যাস - ১
* ট্যুইষ্ট / পাঠকের আকর্ষন – ১
* লেখার মুন্সিয়ানা – ১

আমার দৃষ্টিতে'বসন্তদিন' এর জন্য মার্কিং হবেঃ
* থীম / প্লট – ০.৫০
* কথোপকথন - ১
* চরিত্র বিন্যাস - ০.৫০
* ট্যুইষ্ট / পাঠকের আকর্ষন – ১
* লেখার মুন্সিয়ানা – ১
[*প্লট এবং চরিত্র বিন্যাসে কম দেয়ার কারণঃ মাত্র দুইজন’কে ঘিরে পুরো লেখার আবর্তন]
.
কিছু লেখা একবার পড়লে মন ভরে না। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। পুরো বই শেষ করার কিছুদিন পরে আবার পড়তে ইচ্ছে করে। বসন্তদিন হচ্ছে ঠিক এইরকম একটা বই। আমার কাছে অনেকেই প্রেমের গল্প বা উপন্যাস লেখার ব্যাপারে সাহায্য চায়। আমি নির্দ্বিধায় তাদের এই বইটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে বলে দেই। বহুমাত্রিক বই লেখার ব্যাপারে যাদের আগ্রহ আছে তারাও এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন।
.
এই বইটার পাঠক’কে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার আকর্ষনটা আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। এক বসন্তে শুরু হয়ে অসমাপ্ত থাকার আশংকা নিয়ে যে আচমকা গল্পটা শুরু হয়েছিল ধীরে ধীরে সেটা এগিয়ে যায় নিজস্ব গতিধারায়। পড়তে শুরু করলেও পাঠকের মনে বার বার প্রশ্ন উঠে আদতে কি তাদের কখনই দেখা হয়েছিল? হলেই বা শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিল?
.
জীবনের গল্পগুলি এগিয়ে যায় তার নিজের পথ ধরে। সেই পথে অনেক কিছুই ঘটে, আবার অনেক কিছুই অস্পষ্ট থেকে যায়। হুট করে মনে হয় গল্পের বুঝি এখানেই পরিসমাপ্তি ঘটলো। সেখান থেকেই হয়তো নতুন কোন গল্পের সূচনা হবে। এভাবেই গল্প'রা শেষ হয় কিন্তু তার রেশ রয়ে যায় মনে।
.

.
.
কত বসন্তই এসেছে, আবার চলে গেছে। এরপর নতুন কোন বসন্ত নিয়ে এসেছে নতুন কোন জুটির জন্য ভালোবাসার প্রহর।
.
তবুও চেনাজানা এই পৃথিবীতে যতদিন বসন্ত আসবে/যাবে, বসন্তদিনের ভালোবাসার দুর্বার এই কাহিনী পাঠকদের বুকে আলোড়ন তুলেই যাবে...............
.

[এই সর্ম্পূণ পাঠ প্রতিক্রিয়াটা আমি এর আগে একবার লিখেছিলাম। লেখা শেষে ব্লগার শায়মা হক'কে নক করেছিলাম তার মতামতের জন্য। উনি রিপ্লাই দিলেন দুই বা তিনদিন পরে। এর মধ্যেই আমার বাসার কম্পিউটারে বড় ধরণের একটা ঝামেলার কারণে কিছু ফাইল আমার অজান্তেই গায়েব হয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন পরের যখন লেখা ব্লগে প্রকাশ করার জন্য এটা খুঁজলাম তখন দেখি আর নেই। তন্নতন্ন করে সব জায়গায় খুঁজেছি কিন্তু লেখাটা আর পেলাম না। বাধ্য হয়েই পুরো লেখাটা আবার নতুন করে লিখতে হলো।]

উৎসর্গঃ ব্লগার শায়মা হক। বহুমুখী প্রতিভার এই ব্লগারের আরেকটা বই পড়ার অধীর অপেক্ষায়…….

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২১

.

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: চমৎকার পাঠ প্রতিক্রিয়া। ব্লগের সেই দিনগুলিতে যদি ফিরে যেতে পারতাম!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং সুন্দর একটা বক্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা এবং আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বইটা আমিও পড়েছি। আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া চমৎকার হয়েছে।
একটি সুলিখিত বই এর জন্য লেখককে এবং সুবিবেচিত 'পাঠ প্রতিক্রিয়া'র জন্য আপনাকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: জী আমি জানি। আপনার রিভিউও আমি পড়েছিলাম।
বসন্তদিন খুব দারুন একট বই। এইধরণের লেখা খুব কম পাওয়া যায়। বাড়তি পাওনা হিসেবে লেখিকার অটোগ্রাফ পেয়েছিলাম।
আমার খুব পছন্দের বই এটা। সময় নিয়ে পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছেন । লেখিকার জন্য শুভ কামনা ,আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।
পোষ্ট টি পড়ে আরাম পেলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বসন্তদিন আমার খুব প্রিয় একটা বই। এই পর্যন্ত কতবার পড়েছি নিজেও বলতে পারবো না।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়ায় মুগ্ধ হলাম! আমিও চিলেকোঠার প্রেম লিখলে অটোগ্রাফসহ পাঠাবো। আমার বইটা নিয়েও এমন একটা মুগ্ধপাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে হবে কিন্তু। :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: শায়মা আপুর সাথে আমার সর্ম্পক অনেকদিনের। আর এই বসন্তদিনই খুব দারুন একটা বই।
ইনশা আল্লাহ চিলেকোঠার প্রেম বের করলে আমি হাতে পেলে অবশ্যই সুন্দর করে একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখে দেবো।
আমার ব্লগে সুস্বাগতম এবং সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
বইয়ের পাঠ-প্রতিক্রিয়া পড়ে খুব ভালো লাগলো ।
কিছু অনবদ্য লাইন এবং কবিতা খুবই ভালো লেগেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: শায়মা আপু ব্লগের অন্যতম সেরা লেখিকা। বসন্তদিন না পেলেও উনার কংকাবতী পড়ে দেখুন। মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
এই বইয়ের কবিতাগুলি অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শায়মা বলেছেন: সেই কবেকার কথা!

একযুগেরও বেশি সময় পরে সেই লেখার পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়ে মনে পড়ে গেলো কত স্মৃতি কত গান! ২০০৮ এ লেখা হয়েছিলো এই ব্লগে তারপর অনেকদিন পরে এর প্রকাশ। তারও বেশ কিছুদিন পরে এই লেখার এমন মুগ্ধ পাঠক!!! :) এই লেখা দেখছি যুগান্তকারী করে দিলে ভাইয়ু!!! হা হা


:P

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
লেখা বেশ আগের হলেও ছাপা হয়েছে তো ২০১৭ সালে। আমি বই পেয়েছি ২০১৯ এর বইমেলার পর।
ধরতে গেলে আমি বেশ স্লো পাঠক। আমি প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই এই বইটা আমাকে দেয়ার জন্য।
আপনি না দিলে হয়তো এই বইটা আমার পড়াও হতো না।
আমার কাছে বইটা সত্যই খুব ভাল লেগেছে।
কংকাবতীর পর আর কিছু তো লিখেন নি। নতুন আরেকটা শুরু করে দিন।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনিও একটা পাঠক! আপনি বইয়ের উপর মতামত দিলে, উহা সঠিক হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আর আপনিও নিজেকে ব্লগার বলে দাবী করে বাকি সব ব্লগাদের মান সম্মান ইজ্জত নষ্ট করে দিচ্ছেন!

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বসন্তকাল আসলে বইটা পড়তে হবে। লেখিকার 'শীতের দিন' নামে কোন লেখা থাকলে এখন পড়তে পারতাম।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: বসন্তদিন সব সময়ের জন্যই পড়া যায়। এটা একটা প্রেমের উপাখ্যান।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৪

শায়মা বলেছেন: ৯. ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭০

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনিও একটা পাঠক! আপনি বইয়ের উপর মতামত দিলে, উহা সঠিক হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।


হা হা চাঁদগাজী ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!! :P দাঁড়াও তোমাকেই পড়াতে হবে......



১০. ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বসন্তকাল আসলে বইটা পড়তে হবে। লেখিকার 'শীতের দিন' নামে কোন লেখা থাকলে এখন পড়তে পারতাম।

বসন্ত আসতে আর মাত্র কটা দিন মাত্র!!!

ভাইয়া আমার শীত গ্রীস্ম সকল সময়ই বসন্ত বুঝলে .......

তবে হ্যাঁ নেক্সট শীতে এখন শীতকাল লিখিবোক ..... তখন তুমি উহার পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখিবেক......

যাইহোক-


১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



@শায়মা,

আপনি কি বইয়ের জন্য মিলাদ পড়াচ্ছেন নাকি?

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৫

শায়মা বলেছেন: ১২. ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@শায়মা,

আপনি কি বইয়ের জন্য মিলাদ পড়াচ্ছেন নাকি?

হা হা ভাইয়া ....... ইহা তো পুরান বই....... পুরান বই তাও আবার অনলি ফর গিফ্ট। মিলাদ পড়ে কি বা হবে!!!

নো লাভ !! :(

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: উনার মন্তব্যের এত সুন্দর করে প্রতি মন্তব্য করে কোন লাভ নেই।
উনি পোস্ট না পরেই বেশিরভাগ সময়ে মন্তব্য করেন।

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে। এবং আপনাকে ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: ফিরে আসার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১০

প্রতিফলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!
আমার মনে হয়- আমি যদি নিজে কখনো এই বই এর সমালোচনা লিখতাম- এর এক দশমাং আকর্ষনীয় করেও লিখতে পারতাম না! বইটা বের হবার পর একবারও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া হয়নি; ভয়েই পড়িনি। মনে হয়েছে যদি ভালো না লাগে?!
কিন্তু মাঝে মাঝে যখন কখনো উলটে পালটে দুই একটা লাইন পড়েছি- সেই লেখার ভেতরের অনুভুতিটা ছুঁয়ে গেছে। হয়তো এইজন্যেই আর কখনো পড়া হবে না লেখাটুকু।
সেখানে ফিরে যাওয়া হয়না; যায় না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল।
এটা আমার সৌভাগ্য। আপনাদের দুইজনকেই এই পোস্টে পেয়েছি। প্রথমবার দেখার পর আমি বিশ্বাস করতে পারি নি।
শায়মা আপু বলেছিলেন আপনাকে জানাবেন। কিন্তু এখানে এসে যে হাজির হবেন সেটা কল্পনাও করি নি।
শায়মা আপুর সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত। উনি আমার উপন্যাসের নায়িকার ছবি একে দিয়েছিলেন।
তখন বলেছিলেন যে এটা নিয়ে দুইটা হলো প্রকাশিত বইয়ের ছবি।

বসন্তদিন একটা গভীর আবেগের উপাখ্যান। কেন যেন একটানা পড়তে ইচ্ছে করে না।
কিছুক্ষণ পড়ার পর মন অন্যরকম হয়ে উঠে। ভিতরের কিছু লাইন এবং কবিতাগুলি অসাধারণ লেগেছে।
কতটুকু ভাল লেগেছে চিন্তা করুন, এই পাঠ প্রতিক্রিয়া আমি দুইবার লিখেছি।

আসলে ইচ্ছে থাকলেও সব সময় স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া যায় না।
আমার ব্লগ বাড়িতে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন সব সময়, শুভ কামনা নিরন্তর।

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর পাঠ প্রতিক্রিয়া।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১১

তারেক ফাহিম বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়ায় মুগ্ধ হলাম।

অনেকটা গুছিয়ে পাঠ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরছেন।

লেখক পাঠক উভয়ের জন্য শুভকামনা।


০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। বসন্তদিন আসলেও খুব দারুন একটা বই। হাতে পেলে পড়ে ফেলবেন।

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

মিরোরডডল বলেছেন:



শায়মাপুর এই লেখা পড়িনি, আপুর একটা সিরিজ শেষ করেছি ।
আরেকটা পড়ছি, এখনও শেষ হয়নি ।
খুব সহজ ভাষায় সাবলীল লেখা, তাই পড়তে ভালো লাগে ।
আপুটা অনেক গুনের । সবচেয়ে বড় গুনটা কি বলবো ?
শী ডাজন্ট হ্যাভ এনি প্রাইড । দেট’স অল আই লাভ আবাউট হার ।
থ্যাংকস নীল ।



০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ দিচ্ছি।
শায়মা আপুর লেখার স্ট্যাইল অন্যরকম। পড়তে শুরু করলে উঠে আসা যায় না।
উনার কংকাবতী সিরিজটা পড়ে দেখতে পারেন। এটাও দুর্দান্ত লিখেছেন।
এন্ড থ্যাংক্স টু ইউ অলসো।

১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বইটা আমার শেল্ফেও শোভাবর্ধন করছে। অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় রোমান্টিক বই......আমার মাথার উপর দিয়ে যাওয়ার মতো!!! :-B

কিছুটা পড়েছি। এখন সাহস সন্চয় করছি বহুদিন ধরে। দেখি, কবে নাগাদ শেষ করতে পারি!! =p~

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: হা হা হা।
উচ্চমার্গীয় রোমান্টিক বই হজম না হলে আবার সমস্যা। বদহজম হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কোন দিকে যায় বুঝা মুসকিল!
তবে বইটা শেষ করা উচিত আপনার। তারপর একটা নিজের মতো করে রিভিউ দেবেন ব্লগে।
শুভ কামনা।

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখছেন নাকি, একটা ছবি দিলাম, সেইটাও উল্টায়ে গেল! এর থেকেই বুঝতে পারেন, বইটা পড়ে আমার কি অবস্থা!!!! :P

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তো কিছুটা হয়েছে বুঝাই যাচ্ছে!
ধন্যবাদ আবার ফিরে আসার জন্য।

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

করুণাধারা বলেছেন: এত চমৎকার রিভিউ পড়ার সমস্যা হচ্ছে, এরপর অন্য রিভিউ পড়তে গেলে ইচ্ছা না থাকলেও এটার সাথে তুলনা করতে শুরু করব। :( শুরুতেই বইয়ের পুরো পরিচিত দিয়েছেন, তারপর কাহিনী, তারপর কাহিনী থেকে কিছু উদ্ধৃতি, তারপর... খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।

এই রিভিউ অনেককেই বইটি পড়তে আগ্রহী করে তুলবে। সেক্ষেত্রে আগ্রহী পাঠক বইটি কোথায় পাবেন, অথবা পাবেন না সেটা বলা থাকলে ভালো হতো। যেমন ইদানিং কালে প্রকাশিত অনেক বই রকমারিতে পাওয়া যায়, এটা কোথায় পাওয়া যাবে।

হারিয়ে যাওয়া ব্লগার প্রতিফলনকে এই পোস্টের টানে উপস্থিত করেছেন, এটা বিশাল প্রাপ্তি!!

ইতিমধ্যে কবিতা পড়ার প্রহর তার অপ্রকাশিত বইয়ের রিভিউ লেখার জন্য আপনাকে বলে ফেলেছেন... এরপর তো মনে হয় অনুরোধের আসর বসবে!!

শুভকামনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ধীরে সুস্থে একটা পোস্ট দেই। লেখার মাঝে তাড়াহুড়া আমি কোনদিনও করি না। দশটা পোস্টের চেয়ে একটা গুছিয়ে ভালো পোস্টে দেয়াও উত্তম। কোন বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার একটা কাঠামো আমি আগে দাঁড় করিয়েছি। এই পর্যন্ত দুইটা লিখেছি। আরেকটাও লিখেছি। কয়েকদিন পরেই দেবো। সবগুলি একই স্ট্যান্ডার্ড হবে।

সম্ভবত এই বই রকমারি বা অন্যকোথাও পাওয়া যাবে কিনা আমি জানি না। আমি এটা উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম। আপনি যদি কোথাও না পেয়ে থাকেন এবং পড়তে ইচ্ছে করে, তাহলে আমাকে জানাবেন। আমারটা আপনাকে পাঠিয়ে দেবো। পড়ার পর ফিরত দিয়ে দেবেন।

ব্লগার কবিতা পড়ার প্রহর এর অনুরোধ আমি গ্রহণ করেছি। অবশ্যই আমি উনাকে লিখে দেবো। একই প্রকৃয়ায় এবং স্ট্যার্ন্ডাডে। এভাবে অনুরোধের আসর বসলে তো আমি খুশি। অনেকগুলি বই পাবো এবং পড়ার সুযোগও পেয়ে যাবো।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৪

এম ডি মুসা বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার জন্যও শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রেখে গেলাম।
আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।

২৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: মাই গুডনেস! এই জিনিস আপনি দুইবার লিখেছেন? রবার্ট ব্রুস নির্ঘাৎ প্রণাম করবে আপনাকে...

০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: এই রিভিউ লেখা আমার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বরুপ।
শায়মা আপু হুট করেই এই বইটা আমার জন্য গিফট পাঠিয়ে দেয়। বইটা নিয়ে আমার কোন ধারনাই ছিল না। পড়ে মারাত্মক মুগ্ধ হয়েছে। মাথার ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। তবে ড্রাফটকিছু লেখা ছিল দেখেই বেঁচেছি।
প্রথমবারের লেখার চাইতে দ্বিতীয়বারের লেখা বেশি আকর্ষনীয় হয়েছে।
আপ্নাকেও এটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: ভাইজান, আপনার কাছ থিকা শিখতাছি কেমুনে রিভিউ লিখতে হয়।............. আল্লাহ আমারে রক্ষা করুক।

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: একদম সময় পাচ্ছি না রমজানের জন্য। এর মাঝে নিজের উপন্যাসের ড্রাফট দেখতে হচ্ছে।
আপনার বইটা মাঝে মাঝে হাতে নিয়ে উলটে পালটে দেখি। চারটা গল্প পড়াও হয়ে গেছে।
ঈদের পর এবারে সব বইগুলির পড়া শেষে পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখে বসবো।
তবে ইনশা আল্লাহ আপনারটা প্রথম হবে।

২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার। তাহলে বরুনারা প্রতিফলকে পড়ে প্রতিসরিত হয়ে অন্য কোথা আলোকচ্ছটা ছড়াচ্ছে মনে হচ্ছে....বেশ বেশ। :((

এতেও তো রহস্যের গিট্টুটাই শুধু বাড়ল মনে কচ্চে। X(

ভুয়ারাও দেখি দ্স্তখত সহ গিফট টিফট পেয়ে একাকার অবস্থা। আমার ঠিকানাটাও মেইল করে দিমু নে........দেখি.....দস্তখত যোগার করা যায় কিনা। গুণী মানুষের বইয়ের সান্নিধ্যে থাকাটাও বিরাট ব্যাপার। :D

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: হা হা ভাল জিনিস বের করেছেন। তবে প্রতিফলকে এখন আর আপাতত আলো পড়া বন্ধ আছে। কংকাবতী লাস্ট।
আপনি এটা এখনও পড়েননি দেখে বেশ অবাক হলাম?
হুম দস্তখত সহ লেখিকাকে মেইল মারেন। বইটা আসলেই জোস হয়েছে। পড়লেই বুঝবেন।
শুভ কামনা এবং মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.