নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
২০১৬ সালে জানুয়ারী মাসে ইতালী ভ্রমণের এক দারুন সুযোগ এলো। অবশ্যই এটা ব্যক্তিগত না। এক সপ্তাহের চেয়েও বেশি সময়ের এই ভ্রমণে আমি প্রায় ইতালীর বড় বড় সব শহরে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়িয়েছি। ইতালীতে প্রবেশ করেছিলাম মিলানো এয়ারপোর্ট দিয়ে আর বের হয়ে এসেছি রোমা এয়ারপোর্ট দিয়ে। মিলান থেকে আশেপাশের শহরগুলি ঘুরে দেখেছিলাম গাড়িতে করে, যার মাঝে আছে ভেনিসের দুর্দান্ত এক ভ্রমণ (এটা নিয়েও ভবিষ্যতে একটা পোস্ট হতে পারে)।
মিলান থেকে রোমায় গিয়েছিলাম ইউরো ট্রেনে। পয়তাল্লিশ ইউরো দিয়ে টিকিট কেটে সন্ধ্যার পর উঠে বসলাম ইউরো ট্রেনে। সময় লাগবে শুনেছিলাম প্রায় চার ঘন্টা। ট্রেন ছেড়ে দেবার অল্প কিছুক্ষণ পরেই ফুল স্পীডে চলতে শুরু করলো, এভারেজ স্পীড ছিল প্রায় তিনশ কিলোমিটার পার ঘণ্টা। তিন ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পরে আমাকে নামিয়ে দিলো রোমা টারমিনি রেল স্টেশনে।
ছবি ১ - রোমা রেল স্টেশনের ভিতরে। প্রায় মধ্যরাত। স্টেশন ফাঁকাই ছিল। এটা থেকে ইউরোপের যেকোন শহরে যাওয়া যায়। শুধু ইউরোপীয়ান পাসপোর্ট থাকলেই হবে। অথবা সেঞ্জেন ভিসা।
মিলানে খাওয়া দাওয়ার যে ভয়াবহ সমস্যা ছিল রোমাতে এসেই কেটে গেল। স্টেশনের খুব কাছেই দেশি ভাইদের অনেকগুলি হোটেল পেলাম। রাতে কাচ্চি বিরিয়ানী দিয়ে জম্পেস এক খাওয়া দাওয়া হলো। এই কয়দিন পাউরুটি খেতে খেতে লাইফ প্রায় শেষের দিকে চলে যাচ্ছিল!
খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই হোটেলে নাস্তা সেরে সারা দিনের প্ল্যান নিয়ে বসলাম। রাতে একটা সিটি প্ল্যানের ম্যাপ নিয়ে এসেছিলাম। সকালবেলা রোমার কিছু জায়গা ঘুরে ঠিক করলাম দুপুরে লাঞ্চ শেষ করেই ভাটিক্যান দেখতে যাবো। রোমে আসবো আর ভ্যাটিকান সিটিতে যাবো না সেটা তো হতেই পারে না। প্রচণ্ড উত্তেজনায় তখন থেকেই মনের ভিতরে ভার্চুয়াল কাঁপাকাঁপি লেগে গেলো। আমার কপাল খুব ভালো সেইদিন ছিল শনিবার আর শনিবারে নাকি দুপুরের পর ভ্যাটিক্যান ভ্রমণে কোন টিকিট কাটতে লাগে না।
রোমা শহরের মাঝে দিয়ে বয়ে যাওয়া টিবের নদীর খুব কাছেই ভ্যাটিকান সিটির অবস্থান। দুপুরের পর টিবের পার হয়ে চলে আসলাম ভ্যাটিকান সিটির সীমানা প্রাচীরের সামনে। (আমার সাথে আরো তিনজন সাথী ছিল এবং সঙ্গত কারণে এদের পরিচয় উহ্য রাখা হলো। বেশিরভাগ ছবি আমার মোবাইলে তোলা, কিছু ছবি বাকিদের মোবাইলে তুলেছিলাম)
ছবি ২ - রোমের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া এবং ভ্যাটিক্যানে পাশ দিয়ে বইয়ে যাওয়া একটা ছোট নদী। আমাদের দেশের খুব ছোট নদীগুলির তুলনায়ও এটা বাচ্চা নদী।
পথে হেঁটে যেতে যেতেই চোখে পড়লো স্থাপত্য শিল্পের দারুন দারুন সব নমুনা। ইউরোপীয়ান কাউন্সেলের আদালত বিল্ডিং। সামনাসামনি দেখতে এতই দারুন যে ছবি না তুলে পারলাম না।
ছবি ৩ - বিশাল আকার এবং স্থাপত্যের কারুকাজ দুর্দান্ত। যে কেউ দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যাবে। যথারীতি সামনে ইতালীয়ান এবং ইউরোপীয়ান কাউন্সেলের পতাকা ঝুলছে।[/sb
হেঁটে হেঁটে আরো কিছুটা অগ্রসর হলাম। রাস্তা বিশাল বড়। সেই তুলনায় লোকজনের চলাচল কম। প্রচুর ত্যুরিস্ট এখানে সেকাহ্নে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। চারপাশের পরিবেশ এক কথায় দুর্দান্ত। কোনটা রেখে কোনটা দেখি? রাস্তার পাশে ছোট ছোট অনেকগুলি প্রাচীন বিল্ডিং। কয়েকটার ভিতরে ঢুকে ঘুরে আসলাম। ছাদের উপর যুদ্ধের জন্য প্রাচীন অস্ত্র রাখা।
ছবি ৪ - বিল্ডিংগুলির ছাদে প্রাচীনকালের বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র রাখা। বিভিন্ন রকমের, সাইজের। কিছু জায়গায় হাত দিয়ে ধরে দেকাহ যায় আবার কিছু জায়গায় দূর থেকে দেখতে হয়।
কিছুদূর এগুতেই দেখতে পেলাম “ক্যাসেল সেইন্ট এঞ্জেলো”, এটা মিস করার প্রশ্নই উঠে না। সব জায়গায় ইচ্ছেমতো গাদা গাদা ছবি তুলেছি। এই পোস্ট দেবার সময়ে ইচ্ছে করেই খুব কমন ছবিগুলি বাদ দিয়ে দিয়েছি। এমন সব এক্সক্লুসিভ ছবি দেয়ার চেষ্টা করেছি যা সহজলভ্য না। এগোতে এগোতে দেখা পেলাম হাজার হাজার দর্শনার্থীর। সমৃদ্ধশালী ও বৃহত্তম জাদুঘরসম এই জায়গাটা দেখার রোমাঞ্চ সবার চেহারায় ফুটে উঠেছে। যারা যারা এখানে ভিজিট করতে চান, পারলে একটা গাইড ভাড়া করে নেবেন। কারণ ভ্যাটিকানের সবকিছুর সাথেই অনবদ্য ইতিহাস ওতোপ্রতোভাবে জড়িত, কিন্তু ইতালীয়ান ভাষা না জানার জন্য অনেককিছু বুঝতে পারবেন না এবং জানতেও পারবেন না। কেউ বলে বা দেখিয়ে না দিলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য মিস হয়ে যেতে পারে। আমরা ভিতরে ঢুকে যখন এটা বুঝতে পেরেছি কিন্তু তখন আর কোন উপায় ছিল না। সব জায়গা লাতিন এবং ইতালীয়ান ভাষায় লেখা। ইংরেজি প্রায় চোখেই পড়েনি।
কিছুক্ষণ পরেই সেইন্ট পিটার্স স্কয়ার, সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার পাশ দিয়ে ঢুকে পড়লাম ভ্যাটিক্যান মিউজিয়ামে। চত্ত্বরের শুরুতেই এক চিলতে সবুজ এলাকা, এরপর দুর্দান্ত এক মর্মর প্রাসাদের সমাহার। অসম্ভব সুন্দর সব চিত্রকর্ম আর সুনিপুণ হাতের সূক্ষ্ম কারুকাজ, হাজার হাজার অবিশ্বাস্য রকমের যেন জীবন্ত ভাস্কর্যগুলো ভিতরের পথের দুইপাশেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেঝেগুলোও দেখার মত, আকর্ষণীয় সব নকশা, বিভিন্ন ধাঁচের মোজাইক কেটে কেটে বানানো হয়েছে।
ছবি ৫ - আবক্ষ মুর্তিটা কাছ থেকে খুব আকর্ষনীয় লাগছিল, এটা এ্যাঞ্জেল গ্যাব্রেয়েলের ছবি। কে বানিয়েছে নীচে ইতালীয়ান ভাষায় লেখা ছিল। দূঃখিত আমি ইতালীয়ান ভাষা জানি না।
আমরা বাকি সবার সাথে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছি। কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছি কিছুই জানি না। ভ্যাটিকান সিটির এই জায়গাগুলি এতই বিশাল এবং সংগ্রহশালা এতরকম জিনিসে পরিপূর্ণ যে সমস্ত সংগ্রহ দেখা তো অসম্ভব, এমন কী অতি বিখ্যাত নিদর্শনগুলোও একদিনে দেখা সম্ভব নয়! শুধু মুগ্ধ হয়ে যেদিকে যাচ্ছি যতটা পারি কাছাকাছি যেয়ে ছবি তুলে রাখা চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যেই আমরা ঠিক করে নিয়েছি, আমরা হেঁটে যাবো একদিক ধরে, পথের মাঝে যা যা পাবো সেটাই ভালো করে দেখে নেবো।
হাঁটার সময়ে আরেক ঝামেলা। কোন দিকে তাকাবো? পাশে, উপরে না নীচে? কিছুক্ষণ দেখার পর উপলব্ধি করলাম মেঝের চাইতে লক্ষগুণ সুন্দর উপরের ছাদগুলো, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলে যাওয়া ছাদের এক ইঞ্চি জায়গাও বাদ রাখেনি এর চিত্রশিল্পীরা। এঁকে গেছেন একের পর এক অত্যাশ্চর্য চোখ ধাঁধানো পেইন্টিং। ছাদের দিকে না তাঁকালে মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর অনিন্দ্য সুন্দর কীর্তি আর কোনদিন হয়তো দেখতেই পেতাম না। হাঁটার সময়ে যেই সিরিয়ালে দেখতে পেয়েছি সেভাবেই ছবি দিয়ে গেলাম। কোনটা কিসের জিজ্ঞেস করবেন না, আমিও নিজেও ভালোমতো জানিনা। সেখানে কাউকে জিজ্ঞেস করার মতো পরিস্হিতিও ছিল না। প্রচন্ড ভীড়। এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়ানোও যায় না।
ছবি ৬ - মিউজিয়ামের ছাদে হাতে আঁকা ছবি। কাছ থেকে এত সুন্দর লাগে যে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। কতটা ধৈর্য্য থাকলে এভাবে ছাদে ছবি আঁকা যায় ভেবে দেখুন? আজো ছবিগুলি আগের মতোই আছে।
.
ছবি ৭ - হাতে আঁকা ছবির কারুকাজ। দেখলেই অবাক হতে হয়! কী যে সুন্দর লাগছিল!
যারা ভ্যাটিকান সিটি সম্পর্কে খুব বেশী জানেন না তাদের জন্যে বলে রাখি, ভ্যাটিকান সিটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পৃথিবীর খুব ছোটো একটা স্বাধীন রাষ্ট্র এবং সম্ভবত একমাত্র দেশ যেটা অন্য একটি দেশের মধ্যখানে অবস্থিত। এই কারণে রোমকে অনেকেই একসঙ্গে দুটি দেশের রাজধানী বলে থাকেন। ভ্যাটিকান শাসন করে থাকেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ। ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম পুণ্যভূমিও এই ভ্যাটিকান। মূলত খ্রিস্টান ধর্মের উত্থানের সঙ্গে রোম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভ্যাটিকান সিটি। ইতালিয়ানরা বলেন সিটা ডেল ভ্যাটিকানো। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এই দেশ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিশেষ করে রোমান ক্যাথলিকদের কাছে পবিত্র তীর্থভূমি। ইতালির রোম শহরের মধ্যে টিবের নদীর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত অতিক্ষুদ্র এই দেশটার আয়তন মাত্র ১১০ একর। আর জনসংখ্যা মাত্র ১০০০ জন। এই ভ্যাটিকান সিটিকে দেশ না বলে বরং একটা শহর বললে বোধহয় ভালো হয়। রোমে টিবের নদীর ওপর পাথর কুঁদে অলংকৃত সেতু পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে দুর্গপ্রাচীরে ঘেরা ছোট্ট এই সার্বভৌম দেশের এলাকাতে। অতীতে ইতালি সহ ইউরোপের অনেকাংশ এলাকাই ছিল খ্রিষ্টান ধর্মযাজক পোপের শাসনাধীন। ১৮ শতকে ইতালিতে পোপের শাষনকাল শেষ হলে ১৯২৯ সালে ইতালির রাজার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী মুসোলিনি ও ভ্যাটিকান সিটির পোপের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন এক সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে ভ্যাটিক্যান সিটি। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রেনেসাঁ যুগের কালজয়ী সব স্থাপত্য। চারপাশে চোখে পড়বে অপরূপ দুর্দান্ত সব ভাস্কর্য।
ভ্যাটিকানের এই মিউজিয়াম ১৬ শতকে পোপ দ্বিতীয় জুলিয়াস নির্মাণ করেন। ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় সাজানো আছে চিত্রকলা, ভাস্কর্য, পোপদের ব্যক্তিগত দুর্মুল্য এবং অসাধারণ সব সামগ্রী। সিস্টিন চ্যাপেলের প্রার্থনা কক্ষে পোপের অভিষেক হয়। ১৪৮৩ সালে তৈরি এই স্থাপত্যের সিলিং অলংকৃত করেছিলেন বিশ্ববরেণ্য চিত্রকর মাইকেল অ্যাঞ্জেলো। ১৫০৮ থেকে ১৫১২ সাল ধরে এর সিলিংয়ে তিনি এঁকেছিলেন ৯টি প্যানেল পেইন্টিং সেগুলি আজও অমর হয়ে রয়েছে। পোপের আগের ব্যবহৃত ঘর এবং তালিকা দেখে আসলাম।
ছবি ৮ - প্রধান যাজকের শয়ন কক্ষ, সম্ভবত আগে ব্যবহৃত হতো। অতীতের স্মৃতি হিসেবে সযত্নে রেখে দিয়েছে
.
ছবি ৯ - প্রধান যাজকদের নামের তালিকা। অনেক লম্বা তালিকা। ইতালীয়ান ভাষায় নাম এবং নামের পাশেই ক্রম দেয়া। এই নামগুলি সম্ভবত পোপ হবার পর নেয়া হয়েছে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত আপডেট করা আছে।
সেদিন খুব ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেইন্ট পিটার্স ব্যাসেলিকায় যেতে পারলাম না। আসলে একদিন মিউজিয়াম এবং এই ব্যাসেলিকা দেখে আসা প্রায় অসম্ভব। ভিতরে ঢুকার পর জিজ্ঞেস করে জানতে পেয়েছিলাম যে সেখানে যেতে হলে আবার বের হয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঢুকতে হবে। আমরা তখন মিউজিয়ামের প্রায় মাঝখানে। সাথে সাথেই সেই চিন্তা বাদ দিয়ে দেই।
ভিতরের বেশ কিছু ছবি কিছুটা অন্ধকার আসার কারণ ফটোগ্রাফীর সমস্যা না, আলোর স্বল্পতা। তাছাড়া প্রায় সব জায়গায় দর্শনার্থীদের কাছে থেকে দেয়াল দূরে রাখার জন্য বেশ কিছুটা সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া ছিল। যেই কারণে ছবি কিছুটা জুম করে তুলতে হয়েছে।
এছাড়াও আরেকটা সমস্যা আছে, ভয়াবহ। কিছু জায়গায়, দেখা মাত্রই যেতে ইচ্ছে করে এইরকম, সামনে সিক্যুরিটি গার্ড বসানো। সামনে এগুতে গেলেই জিজ্ঞেস করে, “ক্রিষ্টিয়ান?” মিথ্যা কথা এমনিতেই বলি না, তার উপর এই ধর্মীয় জায়গায় বলার প্রশ্নই উঠে না। সিক্যুরিটি গার্ডরা হাত দিয়ে পাশে সরিয়ে দেয় পরেরজন এগিয়ে আসার জন্য। আমি সরে যাবার আগেই কোনরকমে কিছু ছবি তুলে নিয়েছি।
ছবি ৯ - এইসব জায়গা রেস্ট্রিকটেড করা খ্রীষ্টান নয় তাদের জন্য। সামনে সুইস গার্ড এবং ফাদার'রা পাহারা দেয়। ঢুকার আগে জিজ্ঞেস করে নেয় রিলিজিয়নের ব্যাপারে। কনফার্ম হলেই আরো ভিতরে ঢুকতে দেয়। আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি প্রাউডলি বলেছি "আই এ্যাম মুসলিম" ফলাফল মূল লাইন থেকে সরিয়ে দেয়া
পুরো এলাকা এত বড় যে কোন দিক দিয়ে সময় কেটে গেছে আমরা টেরই পেলাম না। ছাদ কতটা উঁচূতে বুঝানোর জন্য মিউজিয়ামের প্রায় মাঝখানে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তুলেছিলাম। তখন বুঝেছিলাম ছাদ কতটা উঁচুতে।
আমার ছবিগুলিতে ক্যামেরার টাইম ঠিক নেই। এটা বাংলাদেশের টাইমও না। সম্ভবত কাতারের হোটেলে একবার এডযাস্ট করেছিলাম। সুতরাং টাইম দেখে গিট্টূ লাগার কোন কারণ নেই। তাছাড়া ইতালীতে তখন প্রায় রাত আট’টার দিকে সন্ধ্যে হয়। আমাদের হোটেল ছিল অনেক দূরে। সুতীব্র অনিচ্ছা সত্ত্বেও একবার পুরো ঘুরে আসার পর মিউজিয়াম থেকে বের হয়ে আসতে হলো। মিউজিয়াম বন্ধ করে দেয়ার সময় প্রায় ঘনিয়ে এসেছিল। সিড়ি দিয়ে নামার সময় চোখে পড়লো সেই বিখ্যাত সুইস গার্ডদের। ভ্যাটিকান সিটির অফিশিয়াল নিরাপত্তারক্ষীর নাম ‘পটেনশিয়াল সুইস আর্মি’। সদস্য সংখ্যা মাত্র ১৩৫। পোশাকটা যথেষ্ট ভুতুড়ে হলেও এই বাহিনীতে যোগ দিতে যথেষ্ট নিয়মকানুন মানতে হয়। বয়সসীমা ১৯ থেকে ৩০। প্রত্যেকের উচ্চতা হতে হয় কমপক্ষে পাঁচ ফিট সাড়ে আট ইঞ্চি। ক্যাথলিক হতে হয়, এর চেয়েও বড় ব্যাপার এদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ। অনেক বছর ধরে এই বাহিনী পোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে।
ছবি ১০ - ব্যাসিলিকার ভিতরের সুইস গার্ডরা পাহারা দিচ্ছে। ইচ্ছে ছিল এদের কাছে যেয়ে এবং পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবো। সিড়ি দিয়ে নামার সময় দেখলাম একদম রোবটের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কেন যেন কোন রোবটের সাথে ছবি তুলতে ইচ্ছে করলো না।
সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ঠিক সামনে অশ্বক্ষুরাকৃতির পাথর বাঁধানো প্রশান্ত চত্বর। এটাই সেন্ট পিটার্স স্কোয়্যার। দু’পাশে অর্ধবৃত্তাকারে রয়েছে ২৮৪টি স্তম্ভ যার মাথায় দাঁড়িয়ে আছে ১৪০ জন ধর্মযাজকের মূর্তি। চত্বরের মাঝে রয়েছে দুটি ফোয়ারা আর মিশর থেকে আনা সুউচ্চ ওবেলিক্স পাথর খণ্ড। এই চত্বরটিকে বার্নিনি শিল্পমণ্ডিত করে তুলেছিলেন। এই চত্বরে প্রতি বুধবার সকালে ও বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে পোপ দর্শনার্থীদের সামনে এসে উপস্থিত হয়ে প্রার্থনা করেন।
এখানে একসাথে ষাট হাজার লোক অবস্থান করতে পারে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মানুষ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খ্রিষ্টান স্থাপত্য এবং ক্যাথলিকদের কাছে অতি পবিত্র তীর্থস্থান। পৃথিবীর অন্যতম নয়নাভিরাম এই চত্বরটির কাজ শুরু হয় ১৬৫৬ সালে, ভ্যাটিকানের বরপুত্র, রেনেসাঁ আমলের অন্যতম প্রতিভা বার্নিনির তত্ত্বাবধানে।
ছবি ১১ - এটাই সেই সেইন্ট পিটার্স ব্যাসেলিকার সামনে প্রার্থনা করার বিখ্যাত জায়গা
প্রায় একযুগ পরে শেষ হয় ভ্যাটিক্যানের নির্মাণ কাজ, এই সুবিশাল চত্বরের ঠিক কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে দ্য উইটনেস নামের ৮৪ ফুট উচ্চতার এক ওবেলিস্ক স্তম্ভ। বিশ্বের ২য় উচ্চতম এই ওবেলিস্কটির উচ্চতা ভিত্তি থেকে ১৩০ ফিট! মিশর থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে আনা এই স্তম্ভটির সাথে জড়িয়ে আছে ক্যালিগুলাসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক সব চরিত্র। এর চত্বরে আরো স্থান পেয়েছে বার্নিনির নির্মিত এক বিশালাকার অনিন্দ্যসুন্দর ঝরনা যার নকশা তৈরি হয় ১৬১৩ সালে, এই স্ফটিক স্বচ্ছ জলধারা আজো পূর্ণ বেগে বহমান। চত্বরের অন্য পাশেই ভ্যাটিকানের সীমানা শেষ, শুরু রোম তথা ইতালি!
ছবি ১২ - এটাই সেই বিখ্যাত ওবেলিস্ক - দ্য উইটনেস
*** এই লেখার জন্য প্রায় ৫০টা ছবি সিলেক্ট করেছিলাম, কিন্তু দেখি প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুসারে মাত্র ১২টার বেশি ছবি দেয়া যাবে না। নিতান্ত বাধ্য হয়েই বাকি ছবিগুলি পোস্ট থেকে সরিয়ে দিলাম। বেশিরভাগ ছবি তোলা হয়েছি শাওমী রেডমাই নোট টু মোবাইল দিয়ে। এর ক্যামেরা খুব ভালো। অত্যন্ত দূঃখের বিষয় হচ্ছে আমার খুব প্রিয় এই মোবাইলটা চুরি হয়ে যায় দেশে ফেরার কিছুদিন পরেই। ভাগ্যিস সব ছবি আমি আগেই নামিয়ে রেখেছিলাম!
*** এই পোস্ট লিখবো লিখবো করেও কেন যেন এতটা বছর লেখা হয়নি। ভ্রমণ কাহিনী আগে লিখিনি দেখে কিছুটা সংকোচও কাজ করছিল। এবার ব্লগে ছবির প্রতিযোগীতার আয়োজনে দেখে মনে হলো এটাই উপযুক্ত সময় এই পোস্ট লেখার।
এই পোস্ট উৎসর্গ করা হলো ব্লগে আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ’কে যিনি মাত্র কয়েকদিন আগেই আমাকে আবারো কৃতজ্ঞতার আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলেছেন।
.
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ প্রতিটা ছবি আমার তোলা। সবগুলি ছবি কপিরাইট আইনের অধীনে আমার নিজস্ব সম্পত্তি।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুন ২০২১
২| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
ইসিয়াক বলেছেন: ছবি ও বিস্তারিত লেখা । সব মিলিয়ে অনন্য উপস্থাপন।
নয়নাভিরাম।
শুভ কামনা রইলো।
২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টের প্রশংসার জন্য আবারো কৃতজ্ঞতা।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছবিগুলি সুন্দর হয়েছে। তবে পথের ছবি দিলেও কোন ঘাটের ছবি দেন নাই।
২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: ঘাটের ছবি দিয়েছি টিবের নদীর পাড়। হা হা হা।
পোস্ট কেমনে লেগেছে?
৪| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: বাহ সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন !!!!
২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর ভ্রমণ ও ছবি ব্লগ।
২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ কামনা আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৬| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: সিস্টিন চ্যাপেলের যেখানে মাইকেল এঞ্জেলোর আকা ছবি আছে সেখানে ছবি তুললেন কি করে নীল আকাশ! " আমরাতো ঢোকার মুখেই শুনলাম নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে সেখান থেকে বের হয়ে একটা গ্লোব আছে যে সেটার পাশে ছবি তুলেছি। আমরা ইতালির এত শহরে এত মিউজিয়াম দেখেছি কিন্ত কোনটার ভেতরেই ছবি তুলতে পারি নি নিষেধ থাকার জন্য
ভালো লাগলো আপনার ভ্যাটিকান ভ্রমণ।
+
২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: হা হা হা। এটা নীল আকাশের স্পেশাল ট্রিক্স।
সেদিন প্রচুর ভীড় ছিল। অনেক মানুষ। মিউজিয়ামের ভিতরে ঠেলাঠেলি অবস্থা। দল বেধে মানুষ একটা থেকে আরেকটায় যাচ্ছে। আমি বেছে বেছে সুন্দর জায়গাগুলি যেয়ে দেখার পর ছবি তুলে এনেছি। আমাদের কেউ বাঁধা দেয়নি । শুধু কিছু জায়গায় জিজ্ঞেস করেছিল খ্রীষ্টান নাকি? না বলার পর দূর থেকে দেখতে বা ছবি তুলতে দিয়েছে।
দারুন মজা করেছি সেখানে। এর পরেরবার সুযোগ পেলে সেইন্ট পিটার্স ব্যাসেলিকায় যাবো আন্ডার গ্রাউন্ড কবরস্থান দেখার জন্য।
ড্যান ব্রাঊনের বইতে পড়েছি দারুন নাকি জায়গাটা।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
৭| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১ নম্বর মন্তব্যের ঘরের ৩ নাম্বার ছবিটা পরিচিত মনে হচ্ছে। এটা কি রোমের কলোজিয়াম থিয়েটারের ছবি?
চমৎকার বর্ণনা। ছবিগুলোও দারুণ।
জীবনে ঘোরাঘুরি খুব কম যে করেছি তাও না, পিসি বোঝাই হলো শুধু ছবি আর ছবি। কিন্তু ব্লগে ছবি পোস্ট/ ভ্রমণ পোস্ট দিতে একেবারেই আমার আগ্রহ হয় না- কারণ, আমি মূলত গল্প-কবিতা নিয়াই বেশি ব্যতিব্যস্ত
শুভেচ্ছা নিয়েন যুনাইদ ভাই।
২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই,
আমি আবার চেক করে দেখলাম। নাহ এটা কলোসিয়াম না। কলোসিয়াম রোমার ভিতরের দিকে। আমি সকালবেলা ওখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। টিবের নদীর উপর ব্রীজ পার হয়ে আমরা হাটছিলাম। ক্যাসেল সেইন্ট এঞ্জেলো দেখার পর আরো এগুতেই উপরের দিকে তাকাতে এটা চোখে পড়ে।
আমারো আপনার মতো অবস্থা। ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বসলে অনেক কিছু মনে করতে হয়। অনেক সময় লাগে। আমি খ্যুব ব্যস্ত থাকি। লেখা হয় না। পারলে ভেনিসের উপর একটা লিখবো।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০১
নীল আকাশ বলেছেন: এটা হচ্ছে কলোসিয়ামঃ
৮| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেখলাম। সবগুলোই সুন্দর।
শুভ কামনা।
২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার জন্যও শুভ কামনা ভাই। সুযোগ পেলে কোন দিন দেখে আসবেন। খুব সুন্দর জায়গা।
৯| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩১
নতুন বলেছেন: ভালো হইছে। + গ্রীস, ইটালীতে যাইতে হবে অনেক কিছু দেখার আছে।
২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক বলছেন ভাই। ইতালীর পরতে পরতে সৌন্দর্য্য। যেখানেই যাই দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। মানুষের টাকা পয়সা থাকলেই হয় না রূচিও লাগে। এদের সেটা ছিল।
১০| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৪
নিয়াজ সুমন বলেছেন: ওয়াও!!
আপনার সাথে সাথে আমাদেরও ফ্রিতে ভ্যটিকেন ভ্রমণ হয়ে গেলো..
ছবি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে।
আর রোবট গুলো বিয়ে না করার কারণ খোঁজে পেলাম। যন্ত্রমানব কে কোন মেয়ে বিয়ে করবে
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমি আসলে এভাবে চিন্তা করেই লিখেছি যেন পড়ার পর কিছুটা হলেও সবাই ধারনা পায়।
আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম।
ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
১১| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বর্ণনা ভালো লেগেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ইটালিক না লিখে ইংরেজিতে লেখা উচিত।
মক্কায় যেমন একটা অংশে নন- মুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ ভ্যাটিকানেও এই ধরনের নিয়ম আছে দেখা যাচ্ছে।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১২
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমার লেখার ঢং এই রকমই।
আমি ইতলীর বেশিরভাগ জায়গায় ইতালীয়ান ভাষায় লেখা দেখেছি। ইংরেজি খুব কম। তবে ইতালীয়ান ভাষা ইংরেজী লেটারে লেখা থাকে দেখে পড়লে কিছুটা হলেও বুঝা যায়।
নিষেধাজ্ঞা থাকতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। আমি কিছু মনে করেনি। কোন ধর্মীয় জায়গায় যেতে হলে পবিত্র থাকতে হয়। খ্রীষ্ট্রীয় ধর্মমতে আমি তখন হয়তো পবিত্র ছিলাম না।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
১২| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে ভাল একটা ভ্রমন পোষ্ট পড়লাম।ছবি গুলোও চমৎকার।+++
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১২
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা।
১৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৭
শায়মা বলেছেন: বাব্বাহ!
ইতালী তো দেখছি পুরাই নিজেই এক শিল্পকর্ম!
চারিদিকে শিল্পের ছোঁয়া!!!
২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: কী বলবো আপনাকে?
যা দেখি সেটাই ভালো লাগে। যেখানে যাই সেখানেই বসে থাকতে ইচ্ছে করে।
কী যে সুন্দর করে সব কিছু বানিয়েছে পুরো শহর।
আপনার জন্য একটা স্পেশাল ছবি দিচ্ছিঃ -
১৪| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ছবির সঙ্গে ঘটনার বর্ননা দেওয়ায়।++
শুভেচ্ছা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
১৫| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: চমৎকার হয়েছে ছবি ব্লগ এবং ভ্রমন গল্প।
ছবি যেহেতু বাছাই করাই আছে, আরো ২টা পোস্ট দিয়ে দিন।
শুভকামনা রইল প্রতিযোগিতায়।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে সময় ছিল না। ইচ্ছেও ছিল না।
একটা দিয়েছি এটাই যথেষ্ঠ। ইদানিং খুব ব্যস্ত থাকতে হয়।
শুভ কামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৬| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৩
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
কিন্তু বড় ভাই ছবি প্রতিযোগিতায় তো ভ্রমণ ব্লগ চলবে না!!! ভ্রমনের সময় তোলা বিশেষ ছবি দেওয়া যাবে!!
আবারো কি একটু পড়ে দেখবেন নিয়মাবলী?
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: রুলস আমি পড়েছি। জাজ শায়মা আপা এই বিষয় ক্লীয়ার করে একটা মন্তব্য দিয়েছেন।
আমি এটা কোথাও ভ্রমণ ব্লগ পোস্ট হিসেবেও বলিনি।
দেখা যাক!
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমি তো সেটাই করেছি। ছবি সাথে লেখা ফ্রী। এক টিকিটে দুইটা জিনিস।
যদিও ছবিই মূখ্য।
১৮| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুব তারাহুরার মধ্যে রোম দর্শন হয়েছে আপনার বুঝলাম ।সিস্টাইন চ্যাপেলের ডেভিডের মূর্তির ফটো কই? বা রোমান হলিডের সেই ট্যুরিস্ট স্পটগুলো ? কলোসিয়াম ? আর দুই নং ফটোর টাইবার নদীর বর্ণনায়তো আপনি মহান জুলিয়াস সিজারের মানহানি করে ফেলেছেন ! এটাইতো সেই প্রমত্তা টাইবার নদী ! ট্রয় যুদ্ধের বীর ট্রোজান সেনাপতি ঈনিয়াসের উত্তর পুরুষ রোমুস আর রোমুলাসের টাইবার নদী ! যার তীরেই এই দুজন পত্তন করেছিলেন রোম নগরীর আর রোমান সাম্রাজ্যের ভিত্তি ! ব্লগ সুন্দর হয়েছে ।
২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমি বলে নেই আমি ইতালীয়ান ভাষা জানি না। আশে পাশের মানুষের মুখের বাচন ভঙ্গী শুনে যতটা পারি আন্দাজ করে নিয়েছিলাম। আমি এক এক করে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি-
১) এটা শুধু মাত্র ভ্যাটিক্যানে প্রবেশ এবং ভ্যাটিক্যান মিউজিয়ামের ভিতরের ছবি। সেইন্টা পিটারস ব্যাসেলিকার ভিতরের আমি যেতে পারিনি। মিউজিয়াম এবং ব্যাসেলিকা একদিনে ভ্রমণ খুব কঠিন কাজ, আমার মতে উচিত না। কোনটাই ভালোমতো দেখা যাবে না।
২) রোমা শহরে আমি অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। তবে এই পোস্ট লেখার জন্য আমি একেবার সুনির্দিষ্ট ভ্যাটিক্যান নিয়ে লিখেছি। অন্য কোন জায়গার কিছুই লিখিনি।
৩) আমার কাছে এখানে টাইবার বা টিবের নদী শান্ত মনে হয়েছে। কর্নফুলি নদীর পাশে থাকি আমি। টিবের'কে আমার কাছে খালের চেয়ে ছোট মনে হয়েছে। চাক্তাই খালের মতো।
১৯| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভ্যাটিকেনের চমৎকার দুর্লভ সব ছবি।
ভ্যাটিকেনের অনেক অজানা বিষয় জানা হলো। শুভ কামনা রইলো।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
রেগুলেশনের কারণে ১২টার বেশি ছবি দিতে পারিনি। আরো অনেক ছবি ছিল।
২০| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: ছবির সাথে সাথে ছবির গল্প গুলো বেশি পছন্দ হল ।
পোস্টে প্লাস দিয়ে গেলাম !
২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ইচ্ছে করেই সুন্দরভাবে লিখেছি যেন যারা যারা যেতে পারবেন না, পড়ে অন্ততঃ জানতে পারবেন।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২১| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১:১৭
শায়মা বলেছেন: বাপরে!
তুমি দেখছি আমার পছন্দ ভালোই বুঝো!!!!!!!
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: হা হা হা।
আন্দাজে মেরেছি লেগে গেছে।
ঝড়ে বগিলা মরে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে!
২২| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
হাবিব বলেছেন: দারুণ সব ছবি ও বর্ণনা। ভ্রমনের ছাব ব্লগ ভালো লেগেছে।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: রেগুলেশনের কারণে ১২টার বেশি ছবি দিতে পারিনি। আরো অনেক ছবি ছিল।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
২৩| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
সোহানী বলেছেন: ছবি সাথে ভ্রমণ বর্ননা... চমৎকার হয়েছে। ছবির সাথে ইতালি ভ্রমণ করে এলাম।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। ইতালীর অনেক জায়গায় ঘুরেছি। তবে এটা শুধুই ভ্যাটিক্যানের দিয়েছি।
সময় পেলে আরো একটা পোস্ট দেবার ইচ্ছে আছে।
২৪| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভ্রমণ ব্লগ ভালো লাগলো ।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২৫| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
জুন বলেছেন: @মলাসইলমুনা ডেভিডের মুর্তি কিন্ত ফ্লোরেন্সের বিখ্যাত উফিজি মিউজিয়ামের একাডেমিয়া গ্যালারীতে
ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেল তাঁর জগৎ বিখ্যাত ফ্রেস্কোর জন্য । আমার কাছে ভালোলেগেছিল ক্রিয়েশন অফ এডাম ছবিটি ।
নীল আকাশ আপনি মনে হয় আমার এখানে মন্তব্য করা পছন্দ করেন নি তাই হয়তো আমার মন্তব্য স্কিপ করে গেছেন । যাই হোক আবারও আসলাম । আশাকরি কিছু মনে করবেন না আর প্রয়োজনে মুছে দিতে পারেন দুটোই
২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: কই? আমি তো কিছুক্ষণ আগেই প্রতিমন্তব্য করে আসলাম!
আপনার মন্তব্য পড়ার পর কিছু জিনিস ক্রশ চেক করতে গিয়েছিলাম দেখে দেরি হয়েছে।
আচ্ছা আপনারা কোনদিন গিয়েছিলেন? কেন এমন করেছে আপনাদের সাথে? আমি তো গিয়েছিলাম শনিবার। ঐরকম তো কিছু মনে হয়নি। আপনাদের আটকালো কেন?
আমার যতটুকু মনে পড়ে বড় বড় লাইন ধরে সবাই এগিয়ে যাচ্ছিল, কিছু কিছু জায়গার সামনে প্রিস্টরা দাড়িয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে। প্রচুর মানুষ ভিতরে ঢুকে প্রার্থণা করেছিল দেখেছিলাম। আমি প্রায় সবকিছু খুব কাছ থেকে যেয়ে দেখেছি। আপনার জন্য আরো এক্সক্লুসিভ একটা ছবি দেই। হাত দিয়ে এটা ধরে দেখেছি। পোপের বসার টুলঃ
অফ টপিকঃ "নীল আকাশ আপনি মনে হয় আমার এখানে মন্তব্য করা পছন্দ করেন নি তাই হয়তো আমার মন্তব্য স্কিপ করে গেছেন" < এটা আপনি কীভবে চিন্তা করলেন? এটা কী আদতে সম্ভব? আমি এই ব্লগে কয়জন'কে উতসর্গ করে লেখা দিয়েছি বলুন? আমার অন্যতম সেরা একটা পছন্দের লেখা আপনার নামে দিয়েছি, আপনি ভৌতিক গল্প পছন্দ করেন দেখে সেটাই লিখেছিলাম। এইসব উদ্ভট চিন্তা আর কখনো করবেন না।
শুভ কামনা নিরন্তর আপু।
২৬| ২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২০
জুন বলেছেন: যাক শুনে মনের ভারটা নেমে গেল নীল আকাশ । আমি ব্লগে কারো সাথে মনোমালিন্য হোক এটা চাই না । আপনিও নিশ্চয় তা ধরতে পেরেছেন এত দিনে ।। অন্যকে আঘাত দিতে আমার কষ্ট হয় ।
যাই হোক এট ভুলে যান । ভুতের গল্পটি আমাকে উৎসর্গ করেছিলেন আমার মনে আছে তাঁর জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাই ।
আমরা ভ্যাটিক্যানে গিয়েছিলাম অফিস ডেতে যার জন্য পুরো ফাকা আমরা দুজন আর একজন ইউরোপীয় ছিল।
তবে এর আগে আমার হাজবেন্ড (তাদের অফিস বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচীর হেড কোয়ার্টার রোমে) যখন গিয়েছিল রবিবারে সেদিন পোপকেও দেখেছিল সামনাসামনি আর অনেক মানুষ ছিল, কেউ প্রার্থনা করতে বা কেউ তাদের মত ট্যুরিষ্ট। তখনো ছবি তোলা নিষেধ ছিল ক্যামেরার ফ্লাশে ছবির রঙ নষ্ট হয়ে যাবার আশংকায়।
ভালো থাকুন আর ইতালী ভ্রমন নিয়ে বিস্তারিত লিখুন। আমার ভেনিসের উপর ৩ পর্ব আর নেপলসের ভিসুভিয়াসের উপর লেখাও কিন্ত ব্লগে আছে ।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: উলটা পালটা কিছু মনে করবেন আর!
আপনার ভেনিসের উপর ৩ পর্ব আর নেপলসের ভিসুভিয়াসের উপর লেখা পড়বো, শিঘ্রই।
২৭| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
নীলের পোস্ট আমাকে মনে করিয়ে দিলো ভ্যাটিকান সিটি আর রোমের অনেক স্মৃতি ।
আমি ওখানে গিয়েছিলাম ২০১৪, সাত বছর আগের কথা ।
পুরো রোমটাই আসলে দর্শনীয় জায়গা ।
যা দেখেছি সবই মনোমুগ্ধকর ।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
২৮| ২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সবগুলি ছবিই সুন্দর হয়েছে ।
প্রতিযোগীতায় সাফল্য কামনা করি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমি আসলে প্রতিযোগীতায় জিতবো এটা চিনতা করে পোস্ট দেই না। এটা একটা এক্সপেরিমেন্ট ছিল। আমি এর আগে কখনই কোন ভ্রমণ পোস্ট লিখি নাই। এবার ট্রাই করলাম এই সুযোগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্ট পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।
শুভ কামনা নিরন্তর।
২৯| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১:৫২
জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর উপস্থাপনা ও তথ্যচিত্র অসাধারণ
উৎর্গকৃত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য। আমি ইচ্ছে করেই এভাবেই লিখেছি। প্রথম ভ্রমণ পোস্ট তো, ভালোভাবে লিখতে চেয়েছি।
উৎর্গকৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এখন বলা যাবে না, চাকুরি থাকিবে না তবে আপনি নিজেই জানবেন। কিছুদিন পরেই। আমাকে আর জিজ্ঞেসও করতে হবে না।
ধন্যবাদ
৩০| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাঝে অনিয়মিত থাকায় এত সুন্দর ছবি ব্লগটা প্রায় মিস হয়ে যাচ্ছিলো। বেশ অনেক কিছু দেখা হলো আপনার কল্যানে। তিন নাম্বার ছবিটা এত সুন্দর ভাবে উঠিয়েছেন!! পুরুটা এক ফ্রেমে আনতে মুন্সিয়ানা লাগে।
অনেক ভালোলাগা ++
১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফেরার জন্য দূঃখিত। ইদানিং খুব ব্যস্ত থাকি।
আমি এর আগে কখনই কোন ভ্রমণ পোস্ট লিখি নাই। এবার ট্রাই করলাম এই সুযোগে। তিন নাম্বার ছবিটার আরো অনেকগুলি কাছাকাছি কপি ছিল। এটাই বেস্ট। মোবাইলে তোলা। অত কিছু চিন্তা করা তুলিনি। সময় কম ছিল।
৩১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+
১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
৩২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: দারুন পোস্ট। খুব ভালো লাগলো।
১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: শুদ্ধ বানান 'প্রতিযোগিতা' বলে জানি। আমার জানা যদি ভুল না হয়ে থাকে, তবে শিরোনামের ভুল বানানটি সম্পাদনা করে নেবেন, আশা করি।
মধ্যরাত বলেই হয়তো রোমা রেলস্টেশনের প্লাটফর্মটাকে এতটা ফাঁকা দেখাচ্ছে। অবশ্য আমাদের দেশে মধ্যরাত হলেও সেটা জনমানুষে গমগম করতো। ওদের দেশের 'ছোট নদী'টাকে আমাদের দেশের একটা খালের মতই দেখাচ্ছে। আদালত ভবনের ছবিগুলো খুব সুন্দর। সেগুলোর ছাদের উপরে (রুফটপে) প্রাচীনকালের যুদ্ধাস্ত্র রাখার ভাবনাটাকে অভিনব বলে মনে হলো। ছাদে (সীলিং এ) হাতে আঁকা ছবির ভাবনাটাও।
খুব ছোট্ট করে হলেও, ভ্যাটিকান সিটি'র কিছুটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। প্রধান যাজকের শয়নকক্ষের ছবিটা দেখে ভালো লাগলো, নানান ভাবনা মনে এলো। প্রধান যাজকদের নামীয় তালিকাটাও মনে বেশ কৌতুহল জাগালো। বিদ্যুৎ চলে যাবার শঙ্কা হচ্ছে। তাই আপাততঃ এটুকুই পোস্ট করে গেলাম, যেন এতক্ষণের শ্রমটুকু বৃথা না যায়। অনেক ধন্যবাদ।
২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: অবশ্যই শুদ্ধ বানান প্রতিযোগিতা। আমি সব সময় শুদ্ধ বানান নিয়ে লিখি। এর মাঝে কীভাবে এতবড় ভুল হলো আমি নিজেও বুঝলাম না। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আমিও ইচ্ছে করেই প্রতিটা ছবির পিছনের কাহিনী বলে গেছি যেন কেউ অল্প হলেও জানতে পারে। কিছু কাহিনী বেশ চমকপ্রদ।
আমার কপাল খুব ভালো ছিল দেখেই একবারে অনেক কিছু দেখতে পেয়েছি। সম্ভবত শনিবার দেখেই এর এত ছাড় দিয়েছে। তবে সেইন্ট পিতার্স ব্যাসিলিকা না দেখতে পারার দুলঃখ আমি ভুলবো না। বিশেষ করে পোপদের কবরস্থান জায়গা যেতা মাটির নীচে আছে।
আমি জানি না ওরা কেন এত ছোট একটা নদী নিয়ে লাফালাফি করে। আমার কাছে আসলেই বেশ পিচ্চি মনে হয়েছে।
প্রধান যাজকদের নামীয় তালিকাটা রেয়ার। তাই আমি এটার ছবি তুলে এনেছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত মনোযোগ দিয়ে পোস্ট, ছবি এবং মন্তব্যগুলি পড়ার জন্য।
শুভ কামনা এবং ঈদ মোবারক।
৩৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'পটেনশিয়াল সুইস আর্মি' এর দু'জন সদস্যের ছবি এবং সে সম্পর্কিত তথ্যাদি- দুটোই কৌ্তুহলোদ্দীপক। পোস্টটি যাকে উৎসর্গ করা হয়েছে, আপনার সেই 'প্রিয়' মানুষটির নামোল্লেখ করলে ভালো হতো বলে মনে হয়।
ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। পোস্টেরগুলোও, আর প্রতিমন্তব্যের ঘরে দেয়াগুলোও।
পোস্ট ভালো লেগেছে। পোস্টে ২৪তম ভালো লাগা রেখে গেলাম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার জানার জন্য পটেনশিয়াল সুইস আর্মি নিয়ে আমি লিখবো। আমাকে কিছুটা সময় দিন। কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিও। এই পোস্ট জাদিদ ভাইকে উৎসর্গ করা হইয়েছে কিন্তু প্রতিযোগিতায় উনি বিচারক থাকার কারনে নাম উল্লেখ করা হয়নি। উনি আমার দুইটা উপন্যাসের প্রচ্ছদ বানিয়ে দিয়েছেন। এটা তার জন্য সামান্য উপহার আমার পক্ষ থেকে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: আরো কিছু ছবি আমার প্রিয় পাঠক পাঠিকাদের এর জন্য নীচে দিয়ে গেলাম। পোস্ট পড়ার সময় এইগুলি লাগবে দেখার জন্য।
.
.
.
.
.
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ প্রতিটা ছবি আমার তোলা। সবগুলি ছবি কপিরাইট আইনের অধীনে আমার নিজস্ব সম্পত্তি।