নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্লজ্জ বেহায়াপণা ছেড়ে সভ্য ব্লগার হবার চেষ্টা করুন আগে...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫০



কিছুদিন পর পরই এক ব্লগারকে দেখা যায় একে ওকে নাম উল্লেখ করে আজেবাজে পোস্ট দেয় ব্লগে।

যেমন ফালতু তার পোস্ট, তারচেয়ে ফালতু হচ্ছে তার বক্তব্য। পঁচা গোবরে দূর্গন্ধ ছাড়া আর কী বা থাকতে পারে?

ব্লগের রুলস ভঙ্গকারী ব্যক্তি-আক্রমণ করে পোস্ট ব্লগে সে কীভাবে দেয় সেটাও একটা বিশাল প্রশ্ন?

কিছুক্ষণ পর যখন সেই ব্লগাররা তার পোস্ট দেখতে যায়, উত্তর দেবার ভয়ে তার আগেই চোরের মতো সেইসব পোস্ট সরিয়ে ফেলে।

এই ব্লগারের চৌর্যবৃত্তিক স্বভাব আজন্ম এবং সম্ভবত আর ঠিক হবার কোন সম্ভবনাও নেই।

পাতকূয়োর মধ্যে যেই ব্যাঙ জন্মগ্রহণ করে, বড় হয় এবং জীবনের বাকি সময় কাটিয়ে দেয়; তার কাছে মনে হয় সারা দুনিয়া যেন এই পাতকূয়োর সমান।

পাতকূয়োর এই বেকুব ব্যাঙ জানে না যে বাইরের পৃথিবী আসলে অনেক, অনেক বড়।

তার মতো পাতকূয়োর ব্যাঙ ফ্যাঙ'কে বাইরের দুনিয়ার মানুষরা ফুটো পয়সাও দাম দেয় না।

এর কাণ্ড জ্ঞান ফেরানোর জন্য নীচে এটা দিয়ে গেলাম, যদিও জানি কোন লাভই হবে না!!!

হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা,
কেরোসিন শিখা বলে, ‘এস মোর দাদা।’


এইসব কেরোসিনের শিখা'কে সময় দেবার মতো টাইম নাই এখন আমার!!!

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর ২০২১

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২১

বিষন্ন পথিক বলেছেন: পড়ে যতদুর বুঝেছিলাম, আপনার দীর্ঘ কমেন্টের জন্য আপনাকে স্বরন করেছিলেন

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: উদ্দেশ্য ছিল অসৎ। কাউকে নাম উল্লেখ করে কার অনুমতি ছাড়া ব্লগে পোষ্ট দেয়া অনুচিত।
খেয়াল করুন এই পোস্টয়ে আমি একবারের জন্য কারও নাম উল্লেখ করিনি।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৫

নজসু বলেছেন:




নিরব কমেন্ট পাঠক হয়ে বসে রইলাম। :-B

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: কি খবর আপনার? কেমন আছেন?

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গতকাল ঐ পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে আপনাকে ভিন্নভাবে স্মরণ করছেন উনি আপনাকে ব্লগে কম দেখা যায় বলে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: কাউকে স্মরণ করা বিভিন্ন পদ্ধতি থাকতে পারে। কিন্তু কার মন্তব্য এবং নাম ব্যবহার করে সরাসরি তুমি কাকে ভোট দেয়া অন্যায়। 27 নম্বর মন্তব্যটা দেখে আসুন, উনি আমার এই মন্তব্যটা নিয়ে এই বাজে পোস্টটা দিয়েছিল।
ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দীর্ঘ মন্তব্যের ব্যাপারে কোন বিধি নিষেধ সম্ভবত নাই। তারপরও ওনার সমস্যা হয়। উনি নাম উল্লেখ করে পোস্ট দেন যা দৃষ্টিকটু।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু কিছু ব্লগারের আক্কেল জ্ঞান যথেষ্ট পরিমাণে কম থাকে। কী আর করার!

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উনি আপনাকে স্মরণ করেছেন, পোস্ট দেন না কেনো হুহ :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: এই যে দিলাম।
একটা উপন্যাস লিখা নিয়ে খুব ব্যস্ত।
আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মাঝেই ফ্রী হয়ে যাবো।
শুভ কামনা।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

জুন বলেছেন: গতকাল পোস্ট দেখে ভেবেছি অনেকেই তো বড় মন্তব্য করে ব্লগে, যাদের জ্ঞ্যানের অভাব তারা অল্প কথায় বুঝিয়ে বলতে পারে না, তাদের ভাব সম্প্রসারণ করতে হয় যা আমিও করি। আমার কাকুর এটা পছন্দ না হলে সে বলতেই পারে,কিন্তু এখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে বলার কি হলো?
ঝগড়াঝাটি মনমালিন্য ভালো লাগেনা তাই আর কাল কিছু বলি নি। কিন্ত এমন পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করা কোনভাবেই উচিত নয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমি কিছুদিন ধরে ব্লগেই নেই। আমার অনুপস্থিতিতে আমার নাম উল্লেখ করে এভাবে কেউ পোস্ট দিতে পারে বলুন?
তাও আবার কোন মন্তব্য নিয়ে জানেন?
করুণাধারা আপুর মায়ের মৃত্য নিয়ে পোস্টে।
নিচে ২৭ নাম্বার মন্তব্য প্লীজ দেখে আসুন।
ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

সোনালি কাবিন বলেছেন: ব্লগটা যদি উক্ত লোকটির বাবার একার হত, তাহলে নাহয় নিজে মাতবরি ফলিয়ে ব্লগ রুলস সেট করতে পারতেন - এটা করা যাবে, সেটা করা যাবে না । তা নাহলে বাপু এত দিগদারি কেন ?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: এর বাপের ব্লগ হলে মাত্র দুইজন সেখানে থাকতো। এই বকবক ব্লগার আর এর উপযুক্ত সাগরেদ।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

শায়মা বলেছেন: রাগ করো কেনো ভাইয়া? :(

কারো নাম নিয়ে আবোল তাবোল বলা এটা যে খুবই বোকামী বা মূর্খামী তা কেউ আগে বোঝে কেউ পরে। যেমন ছোট বাবুরা কত কিছু বলে ফেলে তুই একটা এই তুই একটা সেই তুই এট্টা গলু তুই এট্টা ছাগল। তখন আমরা বলি ছি ছি এসব বলতে হয় না কিন্তু তারা সে সব শুনে এবং বুঝে এবং নিজেকে সংশোধনও করে।

কিন্তু এখন সেই ছোট্ট বাবুটাই যদি বলে দাদু তুমি নিজেকে ঠিক করো সংশোধন হও কাউকে নাম ধরে এসব বলা যায় না পাবলিক প্লেসে। অবশ্য তোমার বাড়িতে বসে একা একা হাত পা ছুড়ে লম্ফ ঝম্ফ করতে পারো। তখন কি তা ঠিক হয়?মানে আমাদের সমাজে সেই দাদু কি সেটা মেনে নেয়? প্রেস্টিজ যায়না বুঝি? আর সমাজও সেই বোঝা ঘাড়ে চাপায় দেয়। ওকে দাদুকে কেউ এমন করে বলে?

সে যাইহোক দেখো যদি একজনও ব্লগকে নিয়ে ভাবে, ব্লগারদেরকে নিয়ে এতই ভাবে, ছোট মন্তব্য বড় মন্তব্য মানে যখন যে দিকে পানি পড়বে তার দিকে সেদিকেই ছাতা ছুড়ে মারবে এমন আর কি, তাতে এত রাগ করো কেনো বলোতো?

এই যে সেদিন আমি আমার এক প্রিয় ভাইয়ার একটা পোস্টে কমেন্ট দিলাম তাতে আমার একজন অতি অতি ডেসপারেট, ড্যাম কেয়ার আমাদের এই ব্লগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হাজার ঝড় ঝাপ্টা উৎপাটন উৎপীড়ন সহ্য করা সর্বংসহা ভাইয়া গিয়ে যে বলতে লাগলো এইটা উচিৎ না ঐটা উচিৎ না বড় বড় নিজস্ব মতামত ও বুলি তাতে কি আমি রাগ করলাম?

বরং আরও যখন কয়েকটা প্রশ্ন জানতে চাইলাম। তারপর পথ চেয়ে বসে বসে কানা হয়ে গেলাম তবুও পথিক আর ও পথ মাড়াইলেন না। :(

কি আর করা গান গাহিলাম- পথ পানে চেয়ে ওগো হলো নিশিভোর। এটা বসন্ত বাহার রাগ সঙ্গীৎ। মানে খুশি খুশি বসন্ত বাতাসে রাগ লইয়া গান গাওয়া। X((

এরপরও আবার তার সহ্য হলো না নানা রকম উস্কানীমূলক কমেন্ট ও পোস্ট দিয়াও যখন কোনো সাড়া পাইলো না মানে সাড়া পাইতো অবশ্যই যদি দুনিয়ার তাবৎ লোকজন তাহার মত নিস্কর্মা ও অকর্মার ঢেকী হইত। তাইলে অবশ্যই বসিয়া বসিয়া সাড়া দিয়া সারা পাড়া মাথায় করিত। যদিও মডুভাইয়া আসিয়া দুষ্টু বালক বালিকাদেরকে বকা দিয়া ঘরে পাঠাইয়া দিত হয়ত কারণ বড়দের সাথে কেউ বেয়াদপী করে?? আজও কিন্তু আমরা সভ্য দেশে বাস করিতে এটাই বুঝি। বড়রা যাহাই করিবে তাহাই সঠিক আর ছোটরা যাহাই করিবে চুপ থাকো!!!!!!!!

সে যুগ আর হইলো না বাসি। কবি নজরুলের যুগ আসিবেক কবে!!! :( :||

যাইহোক কদিন আগে মানে এই তো দুদিন হলো আমাকে যে এক বড়ভাইয়া উপদেশ দিয়া আসিলেন আমি আমার এক প্রিয় ভাইয়াকে ইহা কি রুপকথা লিখিলো আমার পছন্দ হইলোনা বলিয়াছি বলিয়া বলিলো আমি নাকি মান সন্মান ধরিয়া রাখিতে পারিতেছি না।


বু্দ্ধি দিন দিন হাঁটুতে নামিলেই একমাত্র মানুষও দিন দিন মানুষ থেকে ঐ রুপকথার গল্পের পঙ্খীরাজ ঘোড়ার বদলে ঐ রুপান্তরিত জিনিসই হয়ে যায়।


এই সব আধুনিক রুপকথাই এখন থেকে প্রিয় বানাইবোক! :)
আরে তো ঐ ভুলভাল রুপকথা ভালো লাগিলেই বুঝি তাহার ভালো লাগিতো!!!!!! :-/

এখন থেকে ১০ শব্দে কমেন্টো রচনা শেখো। ও এক প্রতিযোগীতার আসর বসাও।

এক শব্দেরও কমেন্টো শিক্ষা হইতে পারে। মানে এক শব্দেই উচিৎ জবাব। বলোতো কি? :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০১

নীল আকাশ বলেছেন: বাপরে! আমি ধপাস!
(এটা প্রতি মন্তব্য না)

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

নতুন বলেছেন: কেউ কারুর পেছনে না লাগলেই তো হয়। ছোট বড় কমেন্টে কিছুই যায় আসেনা। এটা নিয়ে ক্যাচালের দরকার নাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুধু শুধু একে ওকে খোচানো কী দরকার? বিরক্তকর বিষয়।
আমার ব্লগ নিক উল্লেখ করে নির্বোধটা পোস্ট দিয়েছিল।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কে সেই গুণীজন?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: গুণীজন না বলে আবালজন বলুন। অযথাই সবাইকে বিরক্ত করে বেড়ায়।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: শায়মা আপার মন্তব্য নিয়েও পোস্ট হতে পারে.... :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০২

নীল আকাশ বলেছেন: ১০০ এর ভিতরে ১০০ ভাগ খাটি ভেজাল মুক্ত মন্তব্য।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপু এতো বড় মন্তব্য কেন করলো! উনি কি কম কথায় ভাব প্রকাশ করতে পারে না নাকি! এই ধরণের বড় মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়! X(

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আমার পোস্টে সবার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ভালো কমেন্ট করেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: এই উপলব্ধি আরো আগে হলে ভালো হতো।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: যাক তবে সন্ধি হয়ে গেল। এবার একটা পার্টি হয়ে যাক ;)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: সবার সাথে পার্টি হয় না।

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭

শায়মা বলেছেন: পদ্মপুকুর ভাইয়া কাজ আজ একটু কম আছে। তোমার বাঘ মামা আর সিংহ মামার জয় গল্প কি ভুলে গেছো??? ভুলিলে আজ মনে করানো হইবেক!!!


সাড়ে ভাইয়া এই সব সাড়ে মাড়ে নিকও আমি অগ্রহনোগ্য ঘোষনা করিবোক।

অবশ্য অবশ্য নিকের মাথায় চন্দ্র সূর্য্য না লাগাইয়া কোনো নিকও গ্রহনযোগ্য হইবেক লাই। আর চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারকা ছাড়া সকল নিক গ্রহনযোগ্যতা হারাইবেক!

এক লাথিতে কারার ঐ লোহ কপাট ভাঙ্গিবেক আর তারপর বড় বড় রাস্তার ধারে বিন আছে না সেখানে গিয়া পড়িবেক।


শিঘ্রী চন্দ্রফোটা লাগাও। নমস্য পূজোনীয় হও। পদধুলি লও।

হাউ মাউ খাউ
পাগলের গন্ধ পাও ।

শুধু পাগল না বদ্ধ পাগল হও।

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

শায়মা বলেছেন:
ইসিয়াকভাইয়া সন্ধি এবং দূরাভিসন্ধির মাঝে পার্থক্য কি?
বড় জানতে ইচ্ছে করে।

ব্যাখ্যাসহ বর্ণনা করো প্লিজ!

কিন্তু আমি ভাবছি আমাদের ব্লগের রিয়েল রত্ন আমার কলিজা ভাইয়া ডঃ এম এ আলি ভাইয়া তো এই রুল হলে ব্লগ ছেড়ে পালাবে।
আহারে ভাইয়া উই অল লাভ ইউ। খবরদার যেন এইসব পোস্ট আর কমেন্টে এক চোখও দিও না।

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ১২/১৩ পৃষ্টার কমেন্টের কথা বলেছি উদাহরণ হিসেবে, এবং আপনাকে কেমন্টের রাজা হিসেবে পরিচয় করায়ে দিয়েছি; আপনার তো খুশী হওয়ার কথা!

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপু ছাড়া উপরের কারো গরুর রচনা হয় নাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি গরুর রচনা কী দেখতে চান?

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: বেত্রাঘাত করার সময় কেউ তাড়াহুড়া করবেন না , এতে বানাম বুল হতে পারে । সবাই সিরিয়ালে থাকি, একে অন্যকে সুযোগ দেই !

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

শায়মা বলেছেন: সাড়ে ভাইয়া গরুর রচনা এভাবেই লিখিতে হয় ভাইয়ু। তাও আবার গরু না গলু। তাই দেখে গলুলা ভাষা হারিয়ে শুধু একটাই জবাব দেবে হাম্বা হাম্বা বা মু মু ......

২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



@শায়মা,

আপনি "বিচারিক প্যানেলে" স্হান পাওয়া ব্লগার; ক্যাচাল দেখলে এভাবে ঝাপিয়ে পড়া কি ঠিক হবে?

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: যাক ব্লগ নাকি ঝিমিয়ে পরে ছিল। এক ধাক্কায় গরম করে দিলাম।
অফিসে আজকে কাজে বড় চাপ। বাসায় ফিরে সবার মন্তব্যের উত্তর আমি দেবো।

সবাইকে ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: বাপরে! আমি ধপাস!
(এটা প্রতি মন্তব্য না)

-শায়মার লম্বা মন্তব্য ( ৮ নং মনতব্য ) দেখে আপনি বলছেন, "আমি ধপাস"। আমি আপনার ১২/১৩ পৃষ্টার মন্তব্য যখন দেখেছি, আমার অবস্হা কি হয়েছিলো? অবশ্যই "বিশাল ধপাস"।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: যেটা আপনার জন্য না সেটা পড়ার কী দরকার। যাকে দিয়েছি তার কাজে লাগলেই হলো।

২৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ামনি চাঁদগাজীভাইয়া
এখন থেকে কিছু রুলস করে দাও-

১। ........ শব্দের কম পোস্ট চলিবেক না।
২। ........ শব্দের বেশি পোস্ট চলিবেক না।
৩।........ শব্দের কম কমেন্ট চলিবেক না।
৪। ........ শব্দের বেশি কমেন্ট চলিবেক না।
৫। ........ ইহা লিখিলে উহা চলিবেক না।
৬। উহা লিখিলে তাহা চলিবেক না।
৭। বিচার আচার প্যানেলের কর্নধার ইহাকে উহাকে করা চলিবেক।
৮। ক্যাচাল প্যানেলের কর্নধার তোমাকে ছাড়া আর কাঊকেই চলিবেক না। :)
৯। সেই কর্নধারগুলানও কি করিবেক না করিবেক সেসবেরও লিস্টি দাও।
১০। সবার আগে লিস্টি দাও কেমনে তুমি লাইন লাইটে ডিনামাইট ফুটাইয়া হইলেও থাকিবেক সেই তরিকা করিয়াছো। :) :)

অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি। আমার ভালোবাসায় ভাসিয়া ভাসিয়া আরও আরও তরিকা বাহির করো। আমি আছি তোমার সঙ্গে!

২৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১২

শায়মা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়া অবস্থা পরিদৃষ্টে আমার মনে হইতেছে কেউ তোমাকে বা তোমার কমেন্টের জবাব দিবেক লাই আমি ছাড়া।

তুমি নির্দ্বিধায় যাহা তাহা বলিয়া যাও। গার্বেজ, মার্বেজ আরও কি কি সব বলোনা আরও কিছু নিকৃষ্ট থাকিলেও বলিয়া ফেলাও।

কেহ কেনো যেন তোমার কোনো কমেন্টই দেখিতেছে না।

সবাই কানা হয়ে গেলো নাকি? আমি ছাড়! B:-)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপু
সবাই কানা হয়নি। মহাবিরক্ত হয়ে গেছে, এইসব ফালতু কাজকাম দেখতে দেখতে।
নিজের পোস্ট কেউ পড়ে না দেখে বিভিন্ন ব্লগারদের নাম নিয়ে ক্যাচাল লাগানোর পোস্ট দেয়, যদি কেউ দয়া করে পড়ে।
যতসব আজগুবী চিন্তাভাবনা X(( X(( X((

২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি জনৈক ব্লগারের পোস্ট দেখিনি। আপনি বিচক্ষণ মানুষ। তবুও সহব্লগার হিসেবে সবকিছুকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলবো। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাকে ব্লগে খুব মিস করি।আজ আপনার এই পোষ্টটি ওনার কারণেই হয়েছে বলতেই হবে। পজেটিভ ভাবে দেখলে এতে আপনি নিয়মিত হলে আমাদেরই লাভ। আর সেক্ষেত্রে একটা ধন্যবাদ অবশ্য একজনকে দিতেই হবে।হেহেহে

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: জনৈক ব্লগার আমার যেই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করে একটা আস্ত পোস্ট প্রসব করেছিলেন সেটা ছিল শ্রদ্ধেয়ার মায়ের মৃত্যু উপলক্ষে দেয়া। মুসলিম হিসেবে মৃত বাবা মায়ের জন্য দোয়া করার সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন আছে। অল্প কিছু আগেই আমার বাবা ইন্তিকাল করেছিলেন। সেইজন্য আমি জানতাম কী কী করতে হয়। একজন সহ-ব্লগারের সাহায্য লাগতে পারে দেখে আমি অনেক কষ্ট করে প্রয়োজনীয় সব তথ্য জোগাড় করে উনাকে দিয়েছিলাম যেন উনি উনার মরহুমা মায়ের জন্য ভালো কিছু কাজ করে যেতে পারেন। সারমেয়দের লেজ যেম ন কোনদিনও সোজা হয় না, ঠিক তেমনই কিছু কিছু মানুষ ভালো জিনিস সহ্য করতে পারে না। এদের রুচি এতটা বিকৃত যে মৃত মানুষ এদের মানসিক বিকৃত থেকে রক্ষা পায় না।

সবার দেকাহ জন্য আমি আবার সেই মন্তব্য আবার এখানেই দিয়ে দিচ্ছি। আপনার সবাই দেখুন, আমি কী লিখেছিলাম সেখানেঃ রোদ্দুরে পথ চলা

১৮. ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন। আল্লাহ আপনার মাকে বেহেস্তে যাবার তৌফিক দান করুন। আপনার কষ্ট আমি কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারছি। কিছুদিন পূর্বেই আমার আব্বা ইন্তিকাল করেছিলেন।

অনেক সন্তানই মনে করে পিতা মাতা মারা যাবার সাথে সাথে সব দায়িত্ব শেষ। এটা ঠিক না। নীচে সহী ইসলামিক পদ্ধতিতে বাবা মার জন্য মৃত্যুর পর কি কি করা যায় সেটা তুলে দিলাম। আমার কাছে কপি করা ছিল। সাইট কোনটা মনে নেই।
সমাজে প্রচলিত বিদআতগুলো পরিহার করে সহিহ সুন্নাহ সমর্থিত ও প্রমাণিত আমলগুলো করতে পারি। নিম্নে তা বিবৃত করা হল:

১. বেশী বেশী দু‘আ করাঃ
মা-বাবা দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর সন্তান মা-বাবার জন্য বেশী বেশী দু‘আ করবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দু‘আ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কী দু‘আ করবো তাও শিখিয়ে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে এসেছে- رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤
“হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন” (সূরা বানী ইসরাঈল- ২৪)
কুরআনে আরও এসেছে- رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١ “হে আমাদের রব, রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন।” (সুরা ইবরাহীম -৪১)
এছাড়া আল্লাহ তাআলা পিতা-মাতার জন্য দুআ করার বিশেষ নিয়ম শিক্ষা দিয়ে বলেন- رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا
“হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।” (সূরা নুহ: ২৮)

মা-বাবা এমন সন্তান রেখে যাবেন যারা তাদের জন্য দোয়া করবে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না-১. সদকায়ে জারিয়া ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে। (সহিহ মুসলিম: ৪৩১০)
মূলত: জানাযার নামায প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ স্বরূপ।

২. দান-ছাদকাহ করা, বিশেষ করে সদকায়ে জারিয়াহ প্রদান করাঃ
মা-বাবা বেচে থাকতে দান-সাদকাহ করে যেতে পারেন নি বা বেঁচে থাকলে আরো দান-সদকাহ করতেন, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে সন্তান দান-সদকাহ করতে পারে। হাদীসে এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّىَ افْتُلِتَتْ نَفْسَهَا وَلَمْ تُوصِ وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ أَفَلَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ « نَعَمْ »
অর্থ: আয়েশা রা. আনহা বলেনঃ “জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমার মা হঠাৎ মৃতু বরণ করেছেন। তাই কোনো অছিয়ত করতে পারেন নি। আমার ধারণা তিনি যদি কথা বলার সুযোগ পেতেন তাহলে দান-ছাদকা করতেন। আমি তাঁর পক্ষ থেকে ছাদকা করলে তিনি কি এর সাওয়াব পাবেন? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন হ্যাঁ, অবশ্যই পাবেন।” (সহীহ মুসলিম:২৩৭৩)
তবে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে সদকায়ে জারিয়াহ বা প্রবাহমান ও চলমান সদকা প্রদান করা। যেমন পানির কুপ খনন করা, (নলকুপ বসানো, দ্বীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও প্রতিষ্ঠান তৈরী করা, স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজ করা। ইত্যাদি।

৩. মা-বাবার পক্ষ থেকে সিয়াম পালনঃ
মা-বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় যদি তাদের কোনো মানতের সিয়াম কাযা থাকে, সন্তান তাদের পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করলে তাদের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আয়েশা রা. আনহা হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ অর্থ: “যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করল এমতাবস্থায় যে তার উপর রোযা ওয়াজিব ছিল। তবে তার পক্ষ থেকে তার ওয়ারিসগণ রোযা রাখবে।” (সহীহ বুখারী:১৯৫২) অধিকাংশ আলেমগণ এ হাদীসটি শুধুমাত্র ওয়াজিব রোযা বা মানতের রোযার বিধান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে নফল সিয়াম রাখার পক্ষে দলীল নাই।

৪. হজ্জ বা উমরাহ করাঃ
মা-বাবার পক্ষ থেকে হজ্জ বা উমরাহ করলে তা আদায় হবে এবং তারা উপকৃত হবে। ইবনে আববাস রা. মা হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে-
أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّ أُمِّي نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ فَلَمْ تَحُجَّ حَتَّى مَاتَتْ أَفَأَحُجُّ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ حُجِّي عَنْهَا أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّكِ دَيْنٌ أَكُنْتِ قَاضِيَةً اقْضُوا اللَّهَ فَاللَّهُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ
অর্থ: “জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে আগমণ করে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা হজ্জ করার মানত করেছিলেন কিন্তু তিনি হজ্জ সম্পাদন না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, “তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ কর। তোমার কি ধারণা যদি তোমার মার উপর ঋণ থাকতো তবে কি তুমি তা পরিশোধ করতে না ? সুতরাং আল্লাহর জন্য তা আদায় কর। কেননা আল্লাহর দাবী পরিশোধ করার অধিক উপযোগী” (সহীহ বুখারী: ১৮৫২) । তবে মা-বাবার পক্ষ থেকে যে লোক হজ্জ বা ওমরাহ করতে চায় তার জন্য শর্ত হলো সে আগে নিজের হজ্জ-ওমরাহ করতে হবে।

৫. মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করাঃ
মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করলে তার ছাওয়াব দ্বারা তারা উপকৃত হবে। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে- عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِكَبْشٍ أَقْرَنَ يَطَأُ فِى سَوَادٍ وَيَبْرُكُ فِى سَوَادٍ وَيَنْظُرُ فِى سَوَادٍ فَأُتِىَ بِهِ لِيُضَحِّىَ بِهِ فَقَالَ لَهَا « يَا عَائِشَةُ هَلُمِّى الْمُدْيَةَ » ثُمَّ قَالَ « اشْحَذِيهَا بِحَجَرٍ ». فَفَعَلَتْ ثُمَّ أَخَذَهَا وَأَخَذَ الْكَبْشَ فَأَضْجَعَهُ ثُمَّ ذَبَحَهُ ثُمَّ قَالَ « بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ». ثُمَّ ضَحَّى بِهِ
অর্থ: আয়েশা রা. আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এমন একটি শিংযুক্ত দুম্বা উপস্থিত করতে নির্দেশ দিলেন, যার পা কালো, চোখের চতুর্দিক কালো এবং পেট কালো। অতঃপর তা কুরবানীর জন্য আনা হলো। তখন রাসূলুল্লাহ সা. আয়েশা রা. আনহাকে বললেন, হে আয়েশা! ছুরি নিয়ে আস, তারপর বললেন, তুমি একটি পাথর নিয়ে তা দ্বারা এটাকে ধারালো কর। তিনি তাই করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সা. ছুরি হাতে নিয়ে দুম্বাটিকে শুইয়ে দিলেন। পশুটি যবেহ্ করার সময় বললেন, বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ তুমি এটি মুহাম্মাদ, তাঁর বংশধর এবং সকল উম্মাতে মুহাম্মাদীর পক্ষ থেকে কবুল কর”। এভাবে তিনি তা দ্বারা কুরবানী করলেন। (সহীহ মুসলিম: ৫২০৩)

৬. মা-বাবার ওসিয়ত পূর্ণ করাঃ
মা-বাবা শরীয়াহসম্মত কোন ওসিয়ত করে গেলে তা পূর্ণ করা সন্তানদের উপর দায়িত্ব। রাশীদ ইবনে সুয়াইদ আসসাকাফী রা. বলেন-
قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّ أُمِّي أَوْصَتْ أَنْ نُعْتِقُ عَنْهَا رَقَبَةً ، وَعِنْدِي جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ ، قَالَ : ادْعُ بِهَا ، فَجَاءَتْ ، فَقَالَ : مَنْ رَبُّكِ ؟ قَالَتِ : اللَّهُ ، قَالَ : مَنْ أَنَا ؟ قَالَتْ : رَسُولُ اللَّهِ ، قَالَ : أَعْتِقْهَا ، فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ
অর্থ: আমি রাসূলুল্লাহ সা. কে বললাম হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা একজন দাসমুক্ত করার জন্য ওসিয়ত করে গেছেন। আর আমার নিকট কালো একজন দাসী আছে। রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তাকে ডাকো, সে আসল, রাসূলুল্লাহ সা. তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার রব কে ? উত্তরে সে বলল, আমার রব আল্লাহ। আবার প্রশ্ন করলেন আমি কে? উত্তরে সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তাকে মুক্ত করে দাও; কেন না সে মু’মিনাহ। (সহীহ ইবনে হিববান :১৮৯)

৭. মা-বাবার বন্ধুদের সম্মান করাঃ
মা-বাবার বন্ধুদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, সম্মান করা, তাদেরকে দেখতে যাওয়া,তাদেরকে হাদিয়া দেয়া। এ বিষয়ে হাদীসে উল্লেখ আছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَعْرَابِ لَقِيَهُ بِطَرِيقِ مَكَّةَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ وَحَمَلَهُ عَلَى حِمَارٍ كَانَ يَرْكَبُهُ وَأَعْطَاهُ عِمَامَةً كَانَتْ عَلَى رَأْسِهِ فَقَالَ ابْنُ دِينَارٍ فَقُلْنَا لَهُ أَصْلَحَكَ اللَّهُ إِنَّهُمُ الأَعْرَابُ وَإِنَّهُمْ يَرْضَوْنَ بِالْيَسِيرِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ أَبَا هَذَا كَانَ وُدًّا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَإِنِّى سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ « إِنَّ أَبَرَّ الْبِرِّ صِلَةُ الْوَلَدِ أَهْلَ وُدِّ أَبِيهِ ».
অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার রা. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণনা করেন, একবার মক্কার পথে চলার সময় আব্দুল্লাহ রা. এর এক বেদুঈন এর সাথে দেখা হলে তিনি তাকে সালাম দিলেন এবং তাকে সে গাধায় চড়ালেন যে গাধায় আব্দুল্লাহ রা. উপবিষ্ট ছিলেন এবং তাঁর (আব্দুল্লাহ) মাথায় যে পাগড়িটি পরা ছিলো তা তাকে প্রদান করলেন। আব্দুল্লাহ ইবান দীনার রাহেমাহুল্লাহ বললেন, তখন আমরা আব্দুল্লাহকে বললাম: আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক! এরা গ্রাম্য মানুষ: সামান্য কিছু পেলেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যায়-(এতসব করার কি প্রয়োজন ছিলো?) উত্তরে আব্দুল্লাহ রা. বললেন, তার পিতা, (আমার পিতা) উমার ইবনে খাত্তাব রা. এর বন্ধু ছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি “পুত্রের জন্য পিতার বন্ধু-বান্ধবের সাথে ভাল ব্যবহার করা সবচেয়ে বড় সওয়াবের কাজ” (সহীহ মুসলিম:৬৬৭৭)।

মৃতদের বন্ধুদের সাথে রাসূলুল্লাহ সা. এর আমলও আমাদেরকে উৎসাহিত করে। আয়েশা রা. আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে- إِذَا ذَبَحَ الشَّاةَ فَيَقُولُ أَرْسِلُوا بِهَا إِلَى أَصْدِقَاءِ خَدِيجَةَ
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সা. যখনই কোন বকরী যবেহ করতেন, তখনই তিনি বলতেন, এর কিছু অংশ খাদীজার বান্ধবীদের নিকট পাঠিয়ে দাও (সহীহ মুসলিম: ৬৪৩১)

৮. মা-বাবার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখাঃ
সন্তান তার মা-বাবার আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصِلَ أَبَاهُ فِي قَبْرِهِ ، فَلْيَصِلْ إِخْوَانَ أَبِيهِ بَعْدَهُ ‘যে ব্যক্তি তার পিতার সাথে কবরে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ভালবাসে, সে যেন পিতার মৃত্যুর পর তার ভাইদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখে’ (সহীহ ইবনে হিববান:৪৩২)

৯. ঋণ পরিশোধ করাঃ
মা-বাবার কোন ঋণ থাকলে তা দ্রুত পরিশোধ করা সন্তানদের উপর বিশেষভাবে কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সা. ঋণের পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهً حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ “মুমিন ব্যক্তির আত্মা তার ঋণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে যায়; যতক্ষণ তা তা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়”। (সুনানে ইবনে মাজাহ:২৪১৩)
ঋণ পরিশোধ না করার কারণে জান্নাতে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়; এমনকি যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদও হয় । হাদীসে আরো এসেছে- «مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ» অর্থ: যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ঋণ পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (নাসায়ী ৭/৩১৪; তাবরানী ফিল কাবীর ১৯/২৪৮; মুস্তাদরাকে হাকিম ২/২৯)

১০. কাফফারা আদায় করাঃ
মা-বাবার কোন শপথের কাফফারা,ভুলকৃত হত্যাসহ কোন কাফফারা বাকী থাকলে সন্তান তা পূরণ করবে। আল-কুরআনে বলা হয়েছে- وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَ‍ٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ
অর্থ: যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে সেটা ভিন্ন কথা)। (সূরা আন-নিসা:৯২)

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন- مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِهَا وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِه অর্থ: “যে ব্যক্তি কসম খেয়ে শপথ করার পর তার থেকে উত্তম কিছু করলেও তার কাফফারা অদায় করবে।” (সহীহ মুসলিম: ৪৩৬০)

এ বিধান জীবিত ও মৃত সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। দুনিয়ার বুকে কেউ অন্যায় করলে তার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে কেউ অন্যায় করে মারা গেলে তার পরিবার-পরিজন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা প্রদান করবেন।

১১. ক্ষমা প্রার্থনা করাঃ
মা-বাবার জন্য আল্লাহর নিকট বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় আল্লাহ তা‘আলা তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। হাদীসে বলা হয়েছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : تُرْفَعُ لِلْمَيِّتِ بَعْدَ مَوْتِهِ دَرَجَتُهُ . فَيَقُولُ : أَيْ رَبِّ ، أَيُّ شَيْءٍ هَذِهِ ؟ فَيُقَالُ : وَلَدُكَ اسْتَغْفَرَ لَكَ
অর্থ: আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কোন বান্দাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তখন সে বলে হে আমার রব, আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল আসলো ? তখন বলা হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছো।” (আল-আদাবুল মুফরাদ:৩৬)

মা-বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে উসমান রা. বর্ণিত হাদীসে এসেছে- عَنْ عُثْمَانَ ، قَالَ : وَقَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَبْرِ رَجُلٍ وَهُوَ يُدْفَنُ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهُ قَالَ : اسْتَغْفِرُوا لأَخِيكُمْ وَسَلُوا اللَّهَ لَهُ بالثَّبَاتِ ؛ فَإِنَّهُ يُسْأَلُ الآنَ অর্থ: উসমান রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. কোন এক মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের পার্শ্বে দাঁড়ালেন এবং বললেন “তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তার জন্য ঈমানের উপর অবিচলতা ও দৃঢ়তা কামনা কর, কেননা এখনই তাকে প্রশ্ন করা হবে।” (মুসনাদুল বাজ্জার :৪৪৫)

তাই সুন্নাত হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে কবরে দেয়ার পর তার কবরের পার্শ্বে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার জন্য প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেয়া, প্রশ্নোত্তর দিতে সমর্থ হওয়ার জন্য দো‘আ করা।

১২. মান্নত পূরণ করাঃ
মা-বাবা কোন মান্নত করে গেলে সন্তান তার পক্ষ থেকে পূরণ করবে। ইবনে আববাস রা. মা থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে- أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَصُومَ شَهْرًا فَمَاتَتْ فَأَتَى أَخُوهَا النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ :« صُمْ عَنْهَا অর্থ: কোন মহিলা রোযা রাখার মান্নত করেছিল, কিন্তু সে তা পূরণ করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করল। এরপর তার ভাই এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট আসলে তিনি বলরেন, তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন কর। (সহীহ ইবনে হিববান:২৮০)

১৩. মা-বাবার ভাল কাজসমূহ জারী রাখাঃ
মা-বাবা যেসব ভাল কাজ অর্থাৎ মসজিদ তৈরী করা, মাদরাসা তৈরী করা, দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরীসহ যে কাজগুলো করে গিয়েছেন সন্তান হিসাবে তা যাতে অব্যাহত থাকে তার ব্যবস্থা করা। কেননা এসব ভাল কাজের সওয়াব তাদের আমলনামায় যুক্ত হতে থাকে। হাদীসে এসেছে- مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ “ভাল কাজের পথপ্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে”। (সুনান আততিরমীযি : ২৬৭০)

হাদিসে আরও এসেছে-مَنْ سَنَّ فِى الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَىْءٌ “যে ব্যক্তির ইসলামের ভাল কাজ শুরু করল, সে এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে। অথচ তাদেও সওয়াব থেকে কোন কমতি হবে না।” (সহীহ মুসলিম:২৩৯৮)

১৪. কবর যিয়ারত করাঃ
সন্তান তার মা-বাবার কবর যিয়ারত করবে। এর মাধ্যমে সন্তান এবং মা-বাবা উভয়ই উপকৃত হবে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَقَدْ أُذِنَ لِمُحَمَّدٍ فِى زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الآخِرَةَ অর্থ: আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, অত:পর মুহাম্মাদের মায়ের কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তোমরা কবর যিয়রাত কর, কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনান তিরমীযি :১০৫৪)
কবর যিয়ারত কোন দিনকে নির্দিষ্ট করে করা যাবে না। কবর যিযারত করার সময় বলবে-
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ ، نَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ অর্থ: কবরবাসী মুমিন-মুসলিম আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । নিশ্চয় আমরা আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের এবং আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (সুনান ইবনে মাজাহ :১৫৪৭)

১৫. ওয়াদা করে গেলে তা বাস্তবায়ন করাঃ
মা-বাবা কারো সাথে কোন ভাল কাজের ওয়াদা করে গেলে বা এমন ওয়াদা যা তারা বেচে থাকলে করে যেতেন, সন্তান যথাসম্ভব তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে- وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسۡ‍ُٔولٗا অর্থ: আর তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ( সূরা বনী ইসরাঈল:৩৪)

১৬. কোন গুনাহের কাজ করে গেলে তা বন্ধ করাঃ
মা-বাবা বেচে থাকতে কোন গুনাহের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা বন্ধ করবে বা শরীয়াহ সম্মতভাবে সংশোধন করে দিবে। কেননা আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا “এবং যে মানুষকে গুনাহের দিকে আহবান করবে, এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ গুনাহ তার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের গুনাহ থেকে কোন কমতি হবে না।” (সহীহ মুসলিম:৬৯৮০)

১৭. মা-বাবার পক্ষ থেকে মাফ চাওয়াঃ
মা-বাবা বেচে থাকতে কারো সাথে খারাপ আচরণ করে থাকলে বা কারো উপর যুলুম করে থাকলে বা কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মা-বাবার পক্ষ থেকে তার কাছ থেকে মাফ মাফ চেয়ে নিবে অথবা ক্ষতি পূরণ দিয়ে দিবে। কেননা হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : أَتَدْرُونَ مَنِ الْمُفْلِسُ ؟ قَالُوا : الْمُفْلِسُ فِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ ، وَلاَ مَتَاعَ لَهُ ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الْمُفْلِسُ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَتِهِ وَصِيَامِهِ وَزَكَاتِهِ ، فَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا ، وَأَكَلَ مَالَ هَذَا ، وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا ، فَيَقْعُدُ ، فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ ، وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ ، فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُعْطِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ ، فَطُرِحَ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ

“আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান নিঃস্ব ব্যক্তি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নাই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল আত্মসাৎ করেছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (সুনানে তিরমিযি :২৪২৮)

সুতরাং এ ধরনের নিঃস্ব ব্যক্তিকে মুক্ত করার জন্য তার হকদারদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া সন্তানের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমাদের পিতা-মাতার জন্য আমলগুলো করার তাওফীক দিন। আমীন

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
লেখক বলেছেন: মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমাদের পিতা-মাতার জন্য আমলগুলো করার তাওফীক দিন। আমীন

আমীন।
নীল আকাশ, আপনি অনেক পড়াশোনা করেন সেটা বুঝতে পারি, কিন্তু আপনার এই মন্তব্য পেয়ে বুঝতে পারছি যতটা পড়াশোনা করেন বলে ধারণা করেছিলাম আপনি তার চাইতে অনেক বেশিই পড়াশোনা করেন!!! আমার জানা দরকার ছিল যে জিনিসগুলো, আপনি ঠিক সেগুলোই জানিয়েছেন এই বিশাল মন্তব্যে। চেষ্টা করব এটা প্রিন্ট করিয়ে রাখতে, যেন অন‍্যদের দেয়া যায়। ইচ্ছে করলে এটা নিয়ে আপনি একটা পুরো পোস্ট দিতে পারতেন!!

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার এই কাজের উত্তম প্রতিদান দেন। আপনার বাবার জন্য দোয়া করি।

২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১০০ এর ভিতরে ১০০ ভাগ খাটি ভেজাল মুক্ত মন্তব্য।

কি করবো, পক্ষ-বিপক্ষের ধকল নেয়ার মত মানসিক সক্ষমতা এখন হারিয়ে ফেলেছি মনে হয়। তবে আরেকটা বিষয়: ব্লগের অনলাইনে আছেন প্যানেলটা যদি খেয়াল করেন, দেখবেন ঘুরে ফিরে ৩০ জন। এখন এই ৩০ জনের মধ্যে মেরুকরণ করে বিশেষ কোনো ফায়দা নেই, সে কথাটাই কেউ কেউ বুঝতে চাইছে না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

নীল আকাশ বলেছেন: নিজেদের মধ্যে কাইজ্জা কইরা কোন লাভ নাই এটা এই নির্বোধ বান্দারে কে বুঝাবে?

২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: শায়মা বলেছেন: পদ্মপুকুর ভাইয়া কাজ আজ একটু কম আছে। তোমার বাঘ মামা আর সিংহ মামার জয় গল্প কি ভুলে গেছো??? ভুলিলে আজ মনে করানো হইবেক!!!

পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়....

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: "বাঘ মামা আর সিংহ মামার জয় গল্প" - এর কাহিনী কী? গোপন কিছু নাকি?

৩০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: আমি গল্প পড়তে এলাম।

কমেন্টস পড়ে হাসলাম।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: মাইরের উপর কোন ঔষুধ নাই।

৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭

হাবিব বলেছেন: বাপরে বাপ! কমেন্টসের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: দেখি যায় নাকি?

৩২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: উপরের দিকে থুথু ছিটালে————।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: এতটুকু জ্ঞান থাকলে এইসব বালছাল পোস্ট দিতো না নির্বোধটা।

৩৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সূর্যের চেয়ে বালি গরম।
আরে মিয়াহ শান্ত হোণ। এমন আহামরি কিছু হয়নি। নিজে ভালো তো জগত ভালো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমি শান্ত আছি। তবে চৌর্য প্রবৃত্তির ব্লগারকে অযথা খোচাখুচি করতে মানা করবেন।

৩৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: কে বড় মন্তব্য করিল কে ছোট মন্তব্য করিল এই নিয়া এত ক্যাচাল প্যাচালের কি আছে?
আসলে ব্লগের মাঠ গরম করার এইটাও একটা উত্তম উপায় বটে। অনেকদিন হল ব্লগ ঝিমিয়ে গেছে- আপনি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলে জমত ভাল :-B

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: যা ইচ্ছে পোস্ট দিক কিন্তু কারো নাম উল্লেখ করে তার অনুমতি ব্যাতিত দেয়াটা শোভনীয় না।
খুব ব্যস্ত থাকি আজকাল। ব্লগে আসার সময় পাইনা।

৩৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: আবার কি হইলো!!! ক'দিন ঢুকি নাই ব্লগে এরই মাঝে আবার কোন প্যাচাল!!!!!!!!!!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: কেউ কেউ ক্যাচাল পাকিয়ে মজা নেয়। বেহুদা মানুষকে ডিসর্টাব করে।

৩৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোহানী - কিছুই হয় নাই, শায়মা আপু গরুর রচনা লেখার চেষ্টা করতেসে, কিন্তু পারতেসে না। গরুর রচনা তো দুই লাইনেই লেখা যায়। না পারলে আমার সাহায্য নিলেই তো পারে। অনেকটা এই ধরণের কথাই চাঁদগাজী বলেছে আরেকটা পোস্টে। সেইটা নিয়াই ঘটনা। আমি সংক্ষেপে বললাম। আমি আবার বড় মন্তব্য পছন্দ করি না। :)

৩৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

শায়মা বলেছেন: চুয়াত্তরভাইয়া

ঠিক ঠিক ঠিক ইহা গরুর রচনাই।

মানে গরুকে নিয়া যাহা লেখা হয় সেটাই গরুর রচনা।

এইখানে গরুটা কে???
মানে এইকালে গলুটা কে ? তাহা কি বলিতে পালো?


প্লিজ এই গলু কে এই উত্তর দিয়া আমাকে সাহায্য করো। :) :) :)


তবে সাবধান মাঝে মাঝে আমরা এমন সব গলু নিয়ে সময় নষ্ট করিয়া নিজেরাই গলু হয়ে যাই। :(

এই জন্যই বলা হয় অকাজে সময় নত্ত কলিতে নাই।

লেট দ্যা ডগ বার্ক। বার্কিং ছাড়া আর কি করতে পারে? এই খানে ডগ কিন্তু প্রবাদ বাক্য হিসাবে আসিলো। তুমি আবার শয়তানী করে গলুকে ডগ বানায় দিওনা।

তওবা তওবা আমি কিন্তু ভালো। মানে ভালোর ভালো আর ...... X((



৩৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিজ পোষ্টে এমন বড় মন্তব্য আমার বেশ ভাল লাগত।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমিও পছন্দ করি। এটা ব্লগ। যে যার মতো মত প্রকাশ করবে। আরেকজনের অসুবিধা হবে কেন?

৩৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শায়মা আপু- ব্লগে গরুটা কোন ব্যক্তি সেটা বললে আমার বিরুদ্ধে ব্লগ কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তাই আমি বলার সাহস পাচ্ছি না। তবে গরুটা মনে হয় বাংলাদেশে থাকে না। :) গরুটার আবার ম্যাড কাউ রোগ আছে। কাজেই সাবধান। আরও কিছু তথ্য দিলে অবশ্য আপনার গরুর রচনা লিখতে সুবিধা হত। কিন্তু আমি অপারগতা প্রকাশ করছি, সঙ্গত কারণে। :)

৪০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৩

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: এই ব্লগারের আবার লজ্জা শরম আছে নাকি? দুইদিন পরে আবার এই কাজ করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.