নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ডার্লিং

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯



- স্যরি, আপনাকে ডিস্টার্ব করলাম। আপনার কাছে একটা মেসেজ ভুলে চলে গেছে। প্লীজ এখনই ডিলিট করে দিন।
- আচ্ছা দেবো।
- না, এখনই দিন। খবরদার স্ক্রীনশট রাখবেন না। ডিলিট করেছেন কিনা দেখেই আবার ফোন দিচ্ছি।
এখন প্রায় মধ্যরাত। ঘুম চোখে স্ক্রীণ শট নিয়েই জসিম মেসেজ ডিলিট করে দিলো। ডিলিট করা দেখে একটা লাভ চিহ্ন পাঠিয়ে দিয়েছে মেয়েটা। একটু পরেই আবার ফোন এলোঃ
- ভাইয়া আপনি না সো কিউট! অনেক লক্ষী। আমার কথা শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সবাই যদি আপনার মতো এতো কিউট হতো?
- না, না, কী যে বলেন? এটা কোন ব্যাপার হলো?
অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসা উচ্ছ্বল হাসির শব্দ যেন জসিমের কানে জলতরঙ্গের মতো শোনালো। সেদিন একটু আধটু কথা বলার পর হুট করেই মা আসছে বলে লাইন কেটে দিলো মেয়েটা।

সেই থেকে শুরু…
ফেসবুক সুন্দরী এই কোকিলাকন্ঠী মেয়ের সাথে একদিন পরে আবার কথা হলো জসিমের। তারপর মোবাইল নম্বর আদান প্রদান। ক্রমাগত ম্যাসেঞ্জারে টেক্সটিং। নিজেকে অবিবাহিত ছেলে দাবী করলো জসিম। মেয়েটা ওর নাম রেখেছে ‘কিউটি কিউটি বয়’ আর জসিম রেখেছে ‘সুন্দরী’। মধ্যরাতে কথা বলার প্রস্তাব জসিমই দিলো মেয়েটাকে। কী মনে করে যেন মেয়েটা রাজি হয়ে গেল। টানা প্রতিরাতে কথা বলতে বলতে কখন যে সামাজিক বন্ধুত্ব কয়েকদিনের মধ্যেই প্রেমের সর্ম্পকে মোড় নিয়েছে জসিম টেরই পেলো না। আলাপ আলোচনা দ্রুতই বেশ অন্তরঙ্গ হতে লাগলো, সর্ম্পক গভীর থেকে গভীরতর হতে লাগলো।

বেশ কয়েকবার চাইবার পর মেয়েটা তিনটা ছবি দিয়েছে। প্রোফাইলের ছবিটার মতোই এই ছবিগুলিও মারাত্মক সুন্দর। দেখলেই জসিমের মাথা নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম হয়।

মেয়ের নাম ‘মায়া’। নামটাই কেমন যেন মায়া মায়া। সামনা সামনি এই মেয়েকে দেখার জন্য জসিম মনে মনে খুব অস্থির হয়ে উঠে। মায়া কিছুতেই রাজি হয় না। বাইরে ডেটিং করার কয়েকবার প্রস্তাব দিয়েছিল জসিম। মেয়ে’কে নাকি ওর মা একা বাসা থেকে বের হতেই দেয় না। মা সাথে নিয়ে বের হলেও বোরকা আর হিজাব পরে মুখ চোখ ঢেকে বের হতে হবে। শুনেই জসিমের মাথা ঘুরে গেছে। ধ্যাত! যেই অবস্থা, দেখেও তো চেনা যাবে না।

পরিচয় হবার প্রায় পঁচিশদিন পরে হুট করে মেয়ে রাজি হলো জসিমের সাথে দেখা করার।
- বাসার সামনে এসে দাঁড়াবে। আমি লুকিয়ে বারান্দায় চলে আসবো। আমাকে কিছুক্ষণ দেখেই চলে যাবে। ঠিক আছে? ভুলেও ফোন দেবে না।

জসিমের এখন বুকের ভিতর আবেগের ছলাৎছলাৎ অবস্থা। মায়াকে দেখার জন্য জসিমকে যদি হিমালয় থেকেও লাফ দিতে বলে, তাতেও ও রাজি। ভর দুপুরবেলা সেজেগুজে ফিটফাট হয়ে মায়ার বাসার সামনে এসে হাজির হয়ে মেসেজ পাঠালো জসিমঃ
- সুন্দরী তুমি কোথায়?’
রিপ্লাই এলো অল্প কিছুক্ষণ পরেইঃ
- বাসায় আছি। একটু অপেক্ষা করো। আম্মু এখনই বাইরে যাচ্ছেন।

বেশ কিছুক্ষণ পরে আবার মেসেজ এলোঃ
- কিউটি বাবু, আধাঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পুরষ্কার দেবো তোমাকে। দরজা আমি খুলেই রাখবো। চুপ করে বাসার ভিতরে ঢুকে পরবে। আমার সাজুগুজু এখনো শেষ হয়নি, মহাব্যস্ত আমি, রাখি।

জসিমের হৃদপিন্ড ধরাম ধরাম করে বাড়ি খেতে শুরু করলো, শরীরে এ্যন্ড্রোনিল হরমোন দ্রুতই বেড়ে যাওয়া শুরু করলো। মায়াকে নিভৃতে দেখার পর একলা বাসায় ও কী নিজেকে সামলাতে পারবে? গভীর চিন্তায় পরে গেলো জসিম।

প্রায় একদৌড়েই পাঁচতলায় উঠে আসলো জসিম। খোলা দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকেই তাড়াতাড়ি লাগিয়ে দিলো। স্নায়বিক উত্তেজনায় বলে উঠলোঃ
- মায়া, ডার্লিং, তুমি কোথায়?
- ওমা, তুমি চলে এসেছো? পাশের রুমেই সাঁজছি, এখানেই চলে আসো।
জসিম দ্রুতই পাশের রুমে চলে গেলো। সেখানে একটা মেয়ে আছে ঠিকই কিন্তু….

আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে বিকাশে নগদ চার লাখ এবং বাসায় ফিরে আরো দুই লাখ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবশেষে ছাড়া পেলো জসিম। বাকী টাকা জসিমেকে দিতেই হবে। কোনভাবেই মাফ পাবে না ও।

জসিমের ‘মায়া’ ডার্লিংয়ের সাথেই পুরো নগ্ন অবস্থায় দশমিনিটের একটা ‘মায়া মায়া’ ভিডিও বানিয়ে রেখে দেয়া হয়েছে বাকি টাকার জন্য, সাথে জসিমের ফেসবুক একাউন্টের পাসওর্য়াড এবং মোবাইল।



বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই গল্পটা আমি ফেসবুকে একটা সাহিত্য গ্রুপে প্রতিযোগিতার জন্য দিয়েছিলাম। ৩০ দিনের প্রতিযোগিতার ২৮ দিন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ লাইকড এবং কমেন্টেড গল্প ছিল। ২৯ দিনের মাথায় হূট করে প্রথমদিকে পোস্ট করা অপরিচিত দুইটা গল্প ভৌতিকভাবে আমার ডাবলের চেয়েও বেশি লাইক পেয়ে নির্বাচিত হয়। শুনেছি গ্রুপের মডারেশন টিমের পক্ষ থেকে এটা করা হয়েছে কারণ আমি সেখানকার নিয়মিত সদস্য না। আমি সেই গ্রুপ ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছি। গুষ্ঠী মারি এই সাহিত্য গ্রুপের। ফেসবুকের বেশিরভাগ সাহিত্য গ্রুপেরই এই একই অবস্থা।

ছবির সূত্রঃ অন্তর্জাল


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর ২০২১


মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে।
বর্তমান সময়ে অনলাইনের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকায় ভাল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
এখন লোভী পুরুষরা এভাবেই ধরা খাচ্ছে।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই , গল্প সেই রকম হইছে ।তারজন্য +++।

আমাদের সমাজের বর্তমানের ডিজুস জেনারেশনের প্রেম-ভালবাসা ও এর পরিণতি (জিং জিং খেলার জন্য - এ এক বিখ্যাত উক্তি ব্লগে ) ফুটিয়ে তুলেছেন অল্প কথায় চমতকার ভাবে।

এভাবে যে খালি ছেলেরা ই ধরা খায় তা নয় তবে মেয়েরাই ফেসে যায় বেশীরভাগ জায়গায়। তবে এখানে মেয়ে (মায়া ডার্লিং) প্রফেশনাল খিলারী এটা বুঝা গেছে।আর তাইতো আমাদের জসিম (আনাড়ি তবে লোভী ) ভাই ফাস গিয়া মাইনকা চিপায়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: দুর্দান্ত একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপ্নাকে।
বর্তমানে আমাদের সমাজের একটা ভয়ংকর দিক এখানে তুলে ধরেছি। অপজিটও হয়। ভাবছি সেটা নিয়েও লিখবো।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো

ফেসবুকের প্রতিযোগিতা গুষ্টি কিলাই আমিও, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার শর্ত দেখলেই উষ্টা দেই।, শর্ত- বিশজন বন্ধুকে ইনভাইট করতে হবে, স্ক্রীণ শট এখানে পোস্ট করতে হবে। বিশজন বন্ধুকে মেনশন করতে হবে। ছবিটি আপনার ওয়ালে শেয়ার করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। হইলো কিছু এসব

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব গ্রুপ আসলে প্রতিযোগিতা আড়ালে নিজেরদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ধান্দায় থাকে।
নিজেদের পছন্দের লোকজন ছাড়া পুরষ্কার বাইরে যেতেও দেয়া না।
আমিও এখন এইসব গ্রুপকে উষ্ঠা দেয়া শুরু করেছি।
ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: খুব ভাল করেছেন ওইসব ফেসবুকীয় গৃহপালিত সাহিত্য গোষ্ঠী থেকে চিরমুক্তি নিয়ে এসে :)

যদিও আমি বুঝেছিলাম এমনটাই হবার কথা
তবে লেখার ধরনটা ভাল লেগেছে। মায়াদের মায়া মায়া কথায় আমন মায়ার জালে আটকে মায়াবী বাঁশ খেতে হয়

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ফাউল সব গ্রুপ। এরা নাকি আবার সাহিত্য গ্রুপ। নিজেরা সাহিত্যের স'ও বুঝে না। গল্পকারদের লেখার মূল্যায়ন করতে যায়!!!!
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,




আকাশ সংস্কৃতিতে এমনটাই হওয়ার কথা! অবারিত আকাশে হিসেব না করে উড়ে বেড়ালে এভাবেই "ভো-কাট্টা" হতে হয়।
সুন্দর হয়েছে লেখা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী আপনাকে অনেক মিস করেছি এই কয়দিন। আপনার সার্টিফিকেট পেয়েছি, আর লাগে নাকি আমার কিছু ?
আমি এই ঘটনা নিউজ পেপারের একটা নুইজ থেকে লিখেছি। বাস্তব ঘটনা।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১০

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: জসিমের মতো বেহায়াদের এই রকম শাস্তি হওয়া দরকার। সুন্দর লেখা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। এদের আসলেও উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটি পড়লাম। জানিয়ে গেলাম।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: জী ধন্যবাদ। আপনার প্রো পিক চেঞ্জ করবেন। অনেক পুরাতন হয়ে গেছে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়া গল্প। তবুও পড়লাম। ভালো লাগলো। বড় একটা কমেন্ট ওখানে করেছিলাম।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: জী আমার মনে আছে। ভাবছি এখন থেকে আবার আমার পুরাতন জায়গায় ফিরে আসবো। একটা উপন্যাস লেখা নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। লেখা শেষ এবং আমি ফ্রী।
ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী খুব ভালো একটা স্টোরি হয়েছে এবং পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২১

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব গ্রুপের এডমিন বা মডুদের যোগ্যতা নেই একটা কিছু নিজে লেখার।
কিন্তু প্রতিযোগিতা আয়োজন করে লেখক, গল্পকার পোস্ট মার্কিং করে।
সব স্টুপিডের দল।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেসবুকে মোট কতটা সাহিত্য গ্রুপ আছে বলা মুশকিল ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: বঙ্গোপসাগরের যত পানি আছে, ফেসবুকে কলিকাতা+বাংলাদেশি সাহিত্য গ্রুপের সংখ্যা তারচেয়েও বেশি হবে।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৫১

হাবিব বলেছেন: গল্পের পটভূমি ভালো লেগেছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব ভাই। আগে মাঝে মাঝে গল্প লিখতেন । বন্ধ করে দিয়েছেন নাকি?
অনেক দিন হলো আপনার গল্প পড়ি না!!!

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম অনলাইন প্রেমে কত মানুষ যে ধোকা খেয়েছে তার কোন ঠিক নেই । কেউ বা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কেউ বা মানসিক । অর্থের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু মানসিক ক্ষতি কি শুকোয় কখনও?


গ্রুপে লাইক কমেন্টের বিচারে বিজয়ী ঘোষণা একটা বাজে ব্যাপারে । যাদের ফ্রেন্ড লিস্ট বড় তারা ইনবক্সে গিয়ে গিয়ে লাইক কমেন্ট করতে বলে । তখন লেখা যেমনই হোক সেটা জয়ী হয়ে যায় । অন্য দিকে ভাল লেখার হেরে যায় !

অফঃ ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে ফেসবুক থেকে অনেক কয়দিন দুরে রয়েছি । এই জন্য গ্রুপের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারছি না । আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আমি ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে বড় মন্তব্য করবো দেখে পরে ফিরে আসলাম।
লাইক বা কমেন্টে কোন প্রতিযোগিতার ফলাফল হতে পারে না।
যারা বিচারক থাকবেন তাদের নূন্যতম যোগ্যতাও থাকবে হবে লেখা পড়ে মূল্যায়ন করার জন্য।
আমাদের গ্রুপে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ এবং লাইক বা কমেন্টে কোন প্রতিযোগিতার ফলাফল দেয়া হবে না জানানোর পর বেশিরভাগ সদস্য অংশগ্রহণ করেনি। কারন তারা জানে নিরপেক্ষ বিচার করা হবে গূণী লেখকদের দ্বারা।

আমি ব্লগে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চাচ্ছি। আশা করছি আপনাকে পাশে পাবো।

এই গল্পে বর্তমানে আমাদের সমাজের একটা ভয়ংকর দিক এখানে তুলে ধরেছি। প্রতিনিয়ত লোভী পুরুষ এবং মহিলার এইসব ধোকায় পরে সর্বশান্ত হচ্ছে। তাও কারো শিক্ষা হয় না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

সাদীদ তনয় বলেছেন: এই রকম জসীমের সংখ্যা আমাদের চারপাশে অসীম। চক্ষু লজ্জার ভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় না তারা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগ বাড়িতে সুস্বাগতম।
মানুষ ইতিহাস বা চারপাশ থেকে কিংবা পত্র পত্রিকা পড়ে শিক্ষা নেয় না । এর ফলে জসীমের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এভাবেই মায়াদের মায়াজালে জসিমেরা আটকে যায়। জাল ছিড়ে আর বের হতে পারে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। জাল ছিড়ে আর বের হতে পারে না কারন লোভ।
বেশিরভাগই এইভাবে ধরা খায় অতিরিক্ত লোভের জন্য।
নিয়মিত এইসব নিউজ পড়ার পরেও এদের টনক নড়ে না।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

মরুর পথে বলেছেন: আমি না ভাবছিলাম সাংঘাতিক একটা প্রেমের গল্প তারপর না কি থেকে কি হয়ে গেলো, যাই হোক পড়ে আনন্দ পেলাম।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: হা হা হা, নিরাশ করার জন্য দূঃখিত। কিন্তু কিছু করার নেই। বাস্তব ঘটনার কাছকাছি নিয়ে যাবার জন্য আমার এই চেষ্টা।
প্রেমের গল্প পড়তে চাইলে এটা পড়ে আসুনঃ
গল্প - নাবিলা কাহিনী - পরিণয়!
শুভ কামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.