নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
রাত সাড়ে আট'টা বাজে। সাজিদ হাত ভালো করে ধুয়ে এসে খেতে বসলো। আজ রিতুর আকদের অনুষ্ঠান। বিরাট বেতনে চাকুরি করা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছেলে পেয়ে তাড়াহুড়া করে বাসায় আকদের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। রিতুর বাবার অর্থনৈতিক অবস্থাও যথেষ্ট ভালো। বিশাল ছয়তলা বিল্ডিং এর সামনে অনেক খোলামেলা জায়গা রেখে উনি বাড়ি বানিয়েছেন। এখানেই সামিয়ানা টানিয়ে নামকরা একজন বাবুর্চি দিয়ে বিশাল খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। সাজিদের খিদে লেগেছিল মারাত্মক। টেবিলে খাওয়া দেয়া শুরু করতেই সাজিদ গোগ্রাসে খাওয়া শুরু করলো। দুপুরের পর থেকে ওর আর কোন কিছুই খাওয়া হয়নি। অফিসের পর আবার তিনটা টিউশনি শেষ করে এসেছে ও। শহরের মানুষজন আজকাল অনেক চামার হয়ে গেছে। কোন টিউশনিতেই ওকে নাস্তা দেওয়া হয় না। শুরুতেই ওকে বলে দেওয়া হয়েছিল বাসা থেকে কোন নাস্তা দিতে পারবে না। বরং টিউশনির টাকা কিছুটা বাড়িয়ে দেয়া হবে। অনন্যোপায় সাজিদ তাতেই রাজি হয়ে গিয়েছিল। ক্যাশ টাকা হাতে পেলে এটা বরং ওর বেশি কাজে লাগবে।
পেট ভরে খাওয়া শেষে সাজিদ আয়েশ করে ফিরনি খাচ্ছিল, হঠাৎ পাশে দেখলো রিতুর ছোটবোন নিতু চোখে স্পষ্ট হতভম্ব ভাব পাশে দাঁড়িয়ে আছে। নিতু অবাক হয়ে সাজিদের এভাবে পেটপুরে খাওয়া দেখছিল কিছুক্ষণ ধরে। অভুক্ত মানুষের খাওয়ার সময় বিরক্ত করতে হয় না দেখে ভদ্রোচিতভাবে অপেক্ষা করছিল নিতু। খাওয়া শেষ হতেই হাত দিয়ে একটু দূরের একটা জায়গা দেখিয়ে বললোঃ
- ভাইয়া, চলে যাবার আগে আমার সাথে ঐখানে একটু দেখা করবেন।
সাজিদ নিতুকে দেখে অবাক হলো না। নির্বিকার ভঙ্গিতে বাটি থেকে ফিরনি চেটেপুটে শেষ করে ধীরেসুস্থে উঠে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুলো। তারপর শান্তভঙ্গিতে হেঁটে নিতুর সামনে দাঁড়ালো।
- নিতু, কেমন আছো? নিশ্চয়ই খুব মজা করছো আজকে, তাই না?
- আপনি কেমন আছেন?
- আমিও মানুষ, তেলাপোকাও পাখি! আমার আবার ভালো-মন্দ থাকা, বাদ দাও এসব। তোমার বোন কেমন আছে? কী করছে এখন?
- কোন মানুষের পক্ষেই আপনার মতো এত বড় পিচাশ হওয়া সম্ভব না। আপনার এভাবে খাওয়া দেখে আমার রীতিমতো বমি পাচ্ছিল।
- নিতু তুমি কখনো দুইদিন টানা না খেয়েছিলে?
- বাসায় খাবারের অভাব আছে নাকি যে না খেয়ে থাকবো?
- সেটাই। কিন্তু আমাকে প্রায়ই না খেয়ে থাকতে হয়। খিদে কী জিনিস তার মর্ম আমি বুঝি। যখন কোথাও খাওয়া পাই, সেটা পেট ভরে খেয়ে নেই। মানুষ তো জানে না এরপর তার খাবার রিজিক কোথায় হবে?
নিতু কখনো মুখ খারাপ করে না। তবুও নিতুর ইচ্ছে করলো সবার সামনেই সাজিদ ভাইকে আজকে অশ্রাব্য ভাষায় কিছু গালি দিতে। সাজিদ ভাইয়ের সাথে বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না, এত ধৈর্য ওর নেই। বড় বোনের বিয়েতে সীনক্রিয়েট করার কোন মানে হয় না। বাবা ঠিকই বলেছেন, এরকম ফকিন্নি টাইপের ছেলের সাথে আসলেই ওদের পরিবারের কোন মেয়েকে মানায় না।
- নিতু, কেন এখানে ডেকেছো আমাকে?
- আপু আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছে।
- রিতুর সাথে দেখা করতে পারা তো আমার চরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু আজকে ওর সাথে দেখা না করলে মনে হয় ভালো হবে। এখন ওর সামনে যাওয়াটা খুব রিস্কি হয়ে যাবে।
- আপনি কি আমার সাথে এখন যাবেন? না আপনাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবো?
- কীভাবে ধরে নিয়ে যাবে? কোলে করে?
- আপনার মত মানুষকে কোলে করে নিয়ে যাওয়া উচিত না। হাত-পা বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। যার যা প্রাপ্য। আমি যদি ছেলে হতাম নির্ঘাত আপনাকে ধরে এখন ইচ্ছামতো পিটাতাম। আপনার ভাগ্য ভালো। নাহলে আপনাকে এখান থেকে হাসপাতালে যেতে হতো।
- বোঝা যাচ্ছে তোমার বোনের সাথে তুমিও খুব আপসেট। অবশ্য এখন যা ঘটছে তাতে আপসেট হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আল্লাহ যা করেন সেটা ভালোর জন্যই করেন।
গত দুইদিন ধরে বড় বোন রিতুকে সান্তনা দিতে দিতে নিতুর নাভিশ্বাস অবস্থা। গতকালকে থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়া পর্যন্ত মোট চারবার রিতু অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। ভাগ্য ভালো যে নিতু আগেই দেখে ফেলেছিল, না হলে ওর বড় বোন আলমিরার ভিতরে গোপনে লুকিয়ে রাখা এক বোতল বিষ খেয়ে গতকাল রাতে সত্যিই আত্মহত্যা করতো। সামনে দাঁড়ানো ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার ফর্সা সুদর্শন এই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে নিতুর খুব ইচ্ছে করলো দুই হাতে শক্ত করে এর গলাটা টিপে ধরতে।
- সাজিদ ভাই মাকাল ফল কাকে বলে জানেন?
- হ্যাঁ জানি, আমি একটা মাকাল ফল। তোমার যদি আমাকে কোন গালিটালি দিতে ইচ্ছা করে, তাহলে মনের খায়েশ পূরণ করে ফেলতে পারো। তোমার সাথে আমার আবার দেখা সম্ভাবনা খুব কম।
- আপনি যদি শুধু আমার বড় বোনের প্রেমিক না হতেন তাহলে আমি থাপড়িয়ে আপনার সবগুলো দাঁত একবারে ফেলে দিতাম। আপনার মত বেহায়া ছেলে আমি এই জীবনে আর একটা দেখিনি। আপুর জন্য আপনার একটু কষ্টও হচ্ছে না? কেমন মানুষ আপনি?
- আজকে এখানে আসার সময় কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল। তবে ভয় লাগছিল বেশি। রিতুর বিয়ে হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পরবো আমি। আপদে বিপদে টাকাপয়সা সব ধার করি তোমার বোনের কাছ থেকেই। বিয়ের পর নিশ্চিত আর আমাকে দেবে না। তবে বিয়ের খাওয়াটা জোস ছিল। পেটটা ভরে খাওয়ার পর আর এতটা কষ্ট লাগছে না। আমার মন ভালো থাকে কখন জানো? যখন আমার পেট ভরা থাকে। এখন আমার মনটা খুবই ভালো। এই যে, তুমি আমার চেয়ে বয়সে এত ছোট হওয়া সত্বেও থাপড়াতে চাচ্ছো তাও তোমাকে কিছু বললাম না। কারন আমার মনটা অনেক ভালো।
নিতু মুখ খারাপ করে কিছু গালি দেবার আগেই আগে মোবাইলে পরিচিত একটা রিংটোন বেজে উঠলে বললোঃ
- আমার সাথে আসুন। আপু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপুর হাতে বেশি সময় নেই।
বাসার ছাদে দামী স্বর্ণের গহনায় মোড়ানো, আভিজাত্যময় গোলাপী লেহেঙ্গাতে অপূর্ব সাজে সজ্জিত রিতুকে দেখে সাজিদের বুকের গভীর থেকে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এলো। রিতুর খুব শখ ছিল বিয়ের দিন দামী একটা গোলাপী লেহেঙ্গা পড়বে। এই জিনিস রিতুকে কিনে দেবার সামর্থ্য নিন্মবিত্ত কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সাজিদের কোনকালেই হতো না। এতবড় একটা আফসোস নিয়েই রিতুকে সারাজীবন কাটাতে হতো। রিতুর এই শখ অন্ততঃ সাজিদ পূরণ করতে পেরেছে।
রিতুর চোখে উদভ্রান্তের দৃষ্টি। সহসাই শান্ত দিঘীর জলে ঢিল ছুড়লে যেমন ঢেউ জাগে তেমনই করে ব্যঙ্গবিদ্রুপের হাসির একটা ঢেউ ছুঁয়ে গেলো রিতুর ঠোঁট ।
- এইবার নিশ্চয় খুব খুশি হয়েছো? এটাই তো চেয়েছিলে? কাপুরুষ কোথাকার।
সাজিদের মনে হলো কেউ যেন ওর হৃৎপিন্ডটা চাকু দিয়ে কুচিকুচি করে কাটছে। তবুও মুখে হাসি নিয়ে বললোঃ
- তোমাকে আজকে অপ্সরাদের মতো লাগছে।
- আজ রাতে তোমার প্রেমিকা নিয়ে আমার জামাই কত আনন্দ করবে ভালো করে দেখে নাও।
রিতুর কণ্ঠস্বরে কিছু একটা ছিল, খুব গাঢ় এক কম্পন। সে কম্পন সাজিদকে স্পর্শ করলেও সাজিদ সামলিয়ে নিলোঃ
- রিতু তোমাকে কাছে পাবার, ভালোবাসার জন্য আমি যোগ্য নই। কাউকে ভালোবাসলে তাকে কাছে রাখার যোগ্যতা লাগে। আমার সেটা নেই। কষ্ট পেও না। আমার মতো একজন অক্ষম প্রেমিককে এখন থেকেই ঘৃণা করতে শুরু করো।
প্রতিটা শব্দ যেন অব্যক্ত গুঞ্জন হয়ে সুইঁ ফোটানোর মতো রিতুর স্নায়ুতন্ত্রকে সুতীক্ষ্মভাবে আঘাত করলো। কথাগুলি শুনে রিতু স্তব্ধ হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পরে সম্বিত ফিরে পেতেই এগিয়ে এসে প্রচণ্ড জোরে সাজিদের বামগালে কষে একটা থাপ্পড় দিলো। রাগে এখন রিতুর শরীর কাঁপছেঃ
- তুই যে অক্ষম প্রেমিক সেটা প্রেম করার সময় খেয়াল ছিল না? তখন প্রেমের গদগদ ডায়ালগ দিতি কেন? হারামজাদা, বেঈমান, নিমকহারাম। তোর জন্য আমি কী না করেছি!
আশ্চর্যজনক হলেও সাজিদের গালে কোন ব্যথা লাগলো না। হৃদয় পোড়ার আগুনের ব্যথার কাছে এটা কোন ব্যথাই না। রিতু ননস্টপ সাজিদকে গালি দিয়েই যাচ্ছে। মাথা নীচু করে সাজিদ সেখান থেকে চলে আসলো।
প্রায় মধ্যরাত-
চারতলা বিল্ডিংয়ের ছাদের ছোট একটা চিলেকোঠার ঘরের মেঝেতে সাজিদ চুপ করে বসে আছে। বিগত আড়াই বছর ধরে বুকটা উজাড় করে যাকে ও ভালোবেসেছিল, সে আজ রাতে আরেকজনের শয্যাসঙ্গিনী হবে। মহানগরীর বুকে বিচরণকারী অগুনতি ব্যর্থ প্রেমিকের মতো সাজিদেরও বিশুদ্ধ স্বপ্নগুলি আজ হাহাকারে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন সবাই দেখতে পারলেও সবার স্বপ্ন কখনো সত্য হয়ে জীবনে ফিরে আসে না। রিতু এই জীবনে ওকে কখনোই ক্ষমা করবে না। রিতুর লেখা শেষ চিঠিটাও ঘরের মেঝেতে জ্বলা আগুনে ফেলে দিলো সাজিদ। যে চলে যায় তাকে বাঁধতে চাইতে হয় না। রিতুর দেয়া সবকিছু আজ আগুনে পূড়িয়ে ফেলছে সাজিদ। বুকের ভিতরের জ্বলা অর্ন্তদহনে অব্যক্ত ভালবাসা আগেই পূড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
মোবাইলের সহসাই রিংটোন বেজে উঠলে সাজিদ দেখলো ওর ছোটবোন শান্তা ফোন করেছে। কল রিসিভ করতেই আনন্দে আত্মহারা বোনের কন্ঠস্বর শুনলো সাজিদঃ
- ভাইয়া, তোমার ঋণ আমরা কোনদিনও শোধ করতে পারবো না। রাহাতকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে কিছুক্ষণ আগে। ওকে সাথে নিয়েই বাসায় ফিরছি এখন।
বেশ বড় করে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেললো সাজিদ। ওর ছোটবোনের জামাইকে মিথ্যা মার্ডার কেসে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছিল। কালকেই চার্জশীট দেবার কথা। থানা থেকে আট লাখ টাকা চেয়েছিল রাহাতের নাম কেটে বাদ দিয়ে দেয়ার জন্য। ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করার কারনে রাহাত ও শান্তার সাথে দুই পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই। এই বিয়েকে কেউ মেনে নেয়নি। খুব ছোটবেলায় বাবা মারা যাবার পর সাজিদই শান্তাকে পেলেপুষে বড় করেছে। নিজের চরম এই বিপদে ভাইয়ের কাছে হাত পাততে এতটুকুও দ্বিধা করেনি শান্তা।
ফোন কেটে দিয়ে ছাদের খোলা হাওয়ায় যেয়ে দাঁড়ালো সাজিদ। দুইদিন আগে রিতুর বাবার সাথে ও দেখা করেছিল বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। দূর দূর করে সাজিদকে উনি যখন তাড়িয়ে দিচ্ছিল, ঠিক তখনই শান্তা ফোন করে সেই টাকাটা চায়। মাসের মাঝখানে হুট করে এত টাকা সাজিদ কোথায় পাবে? হতবিহবল সাজিদকে স্থানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রিতুর বাবা সবকিছু শুনে আরেকবার বকা দিলেন। যে মাত্র আট লাখ টাকা যোগাড় করতে পারে না, সে কোন সাহসে রিতুকে বিয়ে করতে চায়? রিতুর আইফোন মোবাইলের দামই তো একলাখ টাকা। এই বিয়ে উনি কিছুতেই দিবেন না। শান্তা আবার ফোন করে হাউমাউ কান্নাকাটি করছে। সাজিদ খুব ভালো করেই জানে, ও না চাইলে রিতুর বাবা কোনদিনও রিতুকে অন্যকারো কাছে বিয়ে দিতে পারবে না। খুব ছোটবেলায় শান্তা ঘুম পেলেই ওর বুকের উপর এসে উপুড় হয়ে ঘুমাতো, সেই দৃশ্য মনে পড়ে যেতেই বাকরুদ্ধ সাজিদ টাকার জন্য নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিলো। রিতুর বাবার নির্দেশেই আজকে সাজিদ বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল।
আজ একজনের ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পাবার রাত। আজ আরেকজনের ভালোবাসার স্বপ্নগুলির মৃত্যু হবার রাত।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ডিসেম্বর ২০২১
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: করোনকালীন সময়ে এই ধরনের প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। মানুষের জীবনে কত অসহায় অবস্থায় এসেছে আমি নিজের চোখেই দেখেছি। সাথে বিশেষ বাহিনীর দৌরাত্ম। চাহিদা মোতাবেক না দিয়ে কৈ যাবেন? এটা পেপারে এসেছিল। আমি গল্প আকারে লিখেছি।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কত কিছুই বদলে দিয়েছে করোনা। +++
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: কিছু মানুষের জীবন তছনছ হয়ে গেছে এই সময়ে।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
ইসিয়াক বলেছেন: বনভোজনে ব্যস্ত আছি। সময় নিয়ে পরে পড়ে মন্তব্য করবো।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: টাকার কাছে পরাজিত ভালোবাসা । বারবার এমনই হয় ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: জীবন কারো কারো জন্য বড়ই নির্মম।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
নগরবালক বলেছেন: তিনটা টিউশনি প্লাস চাকরী করার পরেও কেউ যদি দুইদিন না খেয়ে থাকে তাহলে ব্যাপারটা হাস্যকর। আর এই ধরনের আকামা ছেলেকে বিয়ে না করাই ভাল। বিয়ের পরে প্রচুর ঝামেলা হয়। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। সব কিছু বাস্তবতার নিরিখে বিচার করতে হবে।
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন। এক নিঃশাসে পড়া যায়।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। কিন্তু শেষটা করুণ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: শেষটাই আসল। বাস্তবতা সামনে এসে দাড়ালে ভালোবাসা পালিয়ে যায় নির্মমতার কাছে হেরে যেয়ে।
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব জীবন বড় কঠিন।
বাস্তব গল্প।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: জীবন আসলেই অনেক কঠিন। বিশেষ করে যারা অর্থনৈতিক কষ্টে থাকে তাদের জন্য।
শুভ কামনা রাজীব ভাই।
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০১
ইসিয়াক বলেছেন: মানুষের জীবন কখনও কখনও কঠিন সমীকরণে এসে দাড়ায়। জীবনের জটিল হিসাব নিকাশে স্বপ্ন সাধ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সেই সব অতৃপ্ত সাধ স্বপ্ন বুকের গভীরে চাপা দিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে ঠিকই কিন্তু দহন জ্বালায় জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হয় প্রতি মুহূর্তে ।
আর দারিদ্রতা সে তো আসলেই একটা অভিশাপ।
গল্প ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনার লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। বাস্তবতা বেশ ভালোই বুঝেছি। গল্পটা অসাধারণ। নিমেষেই পড়ে ফেলেছি কিন্তু ভাবলাম অনেকক্ষন ধরে।
১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইটাই জীবনের গল্প । সুন্দর লিখেছেন
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২৯
kalyl বলেছেন: https://mapsdrivingdirections.io - While driving is the primary mode of navigation, Mapquest Directions also offers walking, biking, and public transportation routes, making it a versatile tool for all types of travel. Whether you’re on foot or using a bike to get around, Mapquest Directions ensures you have the best possible route.
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: গল্প পড়ে ভালো লাগলো। তবে আমার ধারনা- এই ধরনের গল্প দুই যুগ আগের প্রেক্ষাপটে যথাযথ ছিলো।