নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা লেখা, কবি হওয়া ও নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫০



কবিতা লেখা একটা গুণ। একটা বিশেষ গুণ। ইচ্ছে করলেই সবাই কবিতা লিখতে পারে না। কবিতা লেখার জন্য বুকের ভিতরে ‘কবি কবি’ একটা মন থাকতে হয়। বাংলা সাহিত্যে বহু বছর ধরে কবিতা লেখার যে পদ্ধতি প্রচলিত ছিল ইদানিং আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেই কবিতা লেখার পদ্ধতি এখন অনেকটাই বদলে গেছে।
.
ছন্দ মিলিয়ে লেখা কিংবা নির্দিষ্ট মাত্রায় লেখার নিয়ম এখন বেশিরভাগ কবি’রাই ব্যবহার করেন না। ছন্দ কিংবা অছন্দে, মাত্রা কিংবা মাত্রাহীন, যেটাই হোক না কেন, আমার কাছে মনে হয় একটা কবিতা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন পাঠক সেই কবিতাটা পড়ার সময় কিংবা আবৃত্তি করার সময় কবিতার মাঝে অজান্তেই হারিয়ে যায়। যে কবিতা পড়ে একজন পাঠক তার অর্থ বুঝতে পারে না কিংবা সেই কবিতার সাথে নিজেকে একাত্মতা ঘোষণা করতে পারে না, সেই কবিতাটা আসলে পাঠকের হৃদয় কতটুকু গভীরে স্পর্শ করেছে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। এখানেই নতুন কবি, পুরাতন কবি এবং প্রকৃত কবির মধ্যে পার্থক্যটা সুস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠে। বহু বছর ধরে কবিতা লিখলেই কিংবা শত শত কবিতা লিখলে যে একজন প্রকৃত কবি হয়ে উঠবে, ব্যাপারটা সেটা নয় এটা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক দানকৃত একটা বিষয়। সবার মাঝে এই গুণটা থাকার কথা না, থাকেও না। অথচ এটাই সবাই বুঝতে চায় না।
.
আজকাল হাটে মাঠে ঘাটে প্রচুর কবিতা দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো পড়ার সময় অযাচিতভাবে উদ্ভট কিংবা কঠিন শব্দ ব্যবহার করা হয় পাঠকদের বিভ্রান্ত করার জন্য এবং নিজেকে উঁচু পর্যায়ের বাংলা সাহিত্যবিদ প্রমাণ করার জন্য। সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে এইসব কবিরা নিজেরাই বিভ্রান্ত থাকেন, নতুন করে এরা পাঠকদের কী বিভ্রান্ত করবেন? যারা সহজ-সরল শব্দেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না, এরা এইসব কঠিন কঠিন শব্দে এই কাজ কিভাবে করবেন আর পাঠকরাই বা কিভাবে বুঝবে এই প্রশ্নটা রয়ে যায় এসব কবিতা পড়ার সময়।
.
আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কবিতা আবৃত্তি করা। প্রতিটা কবির কবিতা সুন্দর করে আবৃত্তি কিভাবে করতে হয় জানা উচিত, অবশ্যই জানা উচিত। ছাইপাশ একটা লিখে, লাইনের কোন ঠিক ঠিকানা ছাড়া, কিছু একটা লিখে দিলেন যেটা আবৃত্তি করা সম্ভব না। সেটা আর যাই হোক না কেন, কিছুতেই কোন কবিতা হতে পারে না। কবিতা কোন গল্প না বা কোন প্রবন্ধ না যে গড়গড় করে পড়ে গেলেই হবে। এভাবে পড়লে শুধু পড়াই হবে কিন্তু কবিতার মূল থিম কখনো অনুভূত হবে না। ছন্দ কিংবা মাত্রা আপনি যদিও না মানেন কিন্তু আপনার লেখা কবিতা নামক জিনিসটা অন্ততপক্ষে আবৃত্তি করার উপযুক্ত হতে হবে। উল্টাপাল্টা লাইন সম্পৃক্ত করে যারা কবিতা লেখেন, আমার জন্য ধারণা তারা আবৃত্তির “অ আ” পর্যন্ত জানেন না।
.
কবিতা লেখার জন্য অদৃশ্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক হচ্ছে বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ব্যবহার। কোথায় দাড়ি, কমা, সেমিকোলন বা হাইফেন ব্যবহার করতে হবে, সেটা লেখার থিম এর উপরে এবং শব্দচয়নের উপর পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করে। আন্দাজে প্রতিটা লাইনের শেষে কমা কিংবা দাড়ি দিয়ে গেলেই হবে না। এই ধরণের হাস্যকর বিরাম চিহ্নের ব্যবহারে আসলে শুধুভাবে লেখার কোনকিছু প্রকাশ পায় না, শুধু প্রকাশ পায় কবির বিরাম চিহ্ন সম্বন্ধে নূন্যতম কতটুকু জ্ঞান সেটাই। খুব দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল এই সমস্যাটাই বেশিরভাগ কবিতার মধ্যে পাওয়া যায়। কবিতা লেখার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যাকরণ আছে, নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতি আছে, মনের ভিতর আবেগ গদগদ হয়ে উঠলেই কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়লে, কিংবা ক্রমাগত মোবাইলে কীবোর্ডের বাটনগুলি টিপলে কবিতা প্রসব হবে না। এইজন্যই ব্যঙ্গ করে বলা হয় দেশে কাকের চেয়েও কবির সংখ্যা বেশি!
.
প্রতিটা কবিতা একটা সুনির্দিষ্ট থিমের উপর লিখতে হয়। কবিতার সামনে আগানোর সাথে সাথে সেই থিম এর উপরে কবির অনুভূতিগুলো লাইনের ধাপে ধাপে প্রকাশ পেতে থাকবে। কোন কবিতার মাঝখানে যেয়ে হুট করে যদি আপনি থিম পাল্টান, তাহলে সেটা তো বিপদজনক। এর অর্থ হচ্ছে পাঠকরা কবিতা পড়তে যেয়ে বিভ্রান্ত হবে, কারণ কবি নিজেই বিভ্রান্তকর অবস্থার মধ্যে এই কবিতাটা লিখেছে। থিম একটা টপিকের উপর হতে হবে, কবিতার থিম নিয়ে কবিতার মাঠের মধ্যে ফুটবল খেলার কোন দরকার। ফুটবলে যেমন কিক দিতে পারলেই যে কেউ খেলোয়ার হয় না, ঠিক তেমনি উল্টাপাল্টা শব্দ, উল্টাপাল্টা লাইন, উল্টাপাল্টা থিম নিয়ে যা ইচ্ছা তাই একটা লেখা দিলেও সেটা কবিতা হয়ে উঠে না এবং সে নিজেও কবি হবে না। এই জ্ঞান যতদিন না আসবে শুদ্ধভাবে কবিতা লেখাও শিখবেন না আপনি।
.
সচরাচর আরেকটা সমস্যা দেখা যায়। প্রতিটা কবির একটা নিজস্ব ঢং থাকে, স্টাইল থাকে। বাকিজীবন সেই স্টাইলেই তাকে লিখে যেতে হয় একের পর এক। অথচ অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু অতি উৎসাহী কবিরা নিজের নিজস্ব স্টাইল বাদ দিয়ে আরেকজনের স্টাইলে লেখা শুরু করেন, অন্যের তৈরি করা ঢঙে লেখার চেষ্টা করে। ময়ূরের পালক যেমন কাকের যায় শোভা পায় না, অন্য কারো লেখার ঢং তেমনি নিজের লেখায় ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না। এই জগাখিচুড়ির শেষ পরিণতি হচ্ছে কবিরা শেষ পর্যন্ত কবিতা লেখার একান্ত নিজস্ব ঢং'টাই হারিয়ে ফেলেন।‌ কবিতা লেখার সময় কখনো অন্য কাউকে অনুকরণ করে, অনুসরণ করে, কিংবা তার ঢঙে লিখতে যাওয়া উচিত না। এটা ভুল মারাত্মক ভুল। এর ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে থাকে।
.
কারো যদি কবিতা লেখার ইচ্ছে হয়, তার সর্বপ্রথম যেটা চেষ্টা করা উচিত সেটা হচ্ছে, সাহিত্যের ভালো ভালো কবিদের প্রচুর কবিতা পড়া। প্রচুর কবিতা পড়তে পড়তে একসময় সেইসব লেখার স্টাইলগুলো, অবিরত যে ভুলগুলো কবিরা এড়িয়ে চলেন সেগুলো এবং কিভাবে মনের ভাব সুস্পষ্টভাবে শব্দচয়নের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায় শিখতে পারবেন। এটা অত্যন্ত জরুরী শিখতে পারা।
.
মনের ভাব কোন একটা টপিকের উপরে দশ লাইনেও লেখা যায় আবার সেটা এরচেয়ে অনেক সুন্দর করে এক লাইনেও পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করা যায়। সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যাপক মনের ভাব প্রকাশ করাই হচ্ছে কবিতা মূল উদ্দেশ্য। যতদিন পর্যন্ত কবিরা এই গুন'টা অর্জন করতে না পারবে, ততদিন তাদের কবিতা পড়তে থাকলে পাঠকদের মনে হবে অহেতুক টানাহেঁচড়া করে ইলাস্টিকের মতন এইসব কবিতাগুলি বড় করা হয়েছে। পাঠকদের বিরক্ত সৃষ্টি করে কোন কবি জনপ্রিয় হতে পারেনি এবং সেই কবিতা পাঠকের হৃদয় কখনো স্থান দখল করতে পারবে না।
.
যে কোন একটা কাজের সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। গ্রামার থাকে। সুষ্ঠুভাবে কোন কাজ করতে হলে এইসব নিয়ম জেনে নেয়াও নিজের দায়িত্বের মাঝে পরে। আমি শুধু এটাই সবাইকে অনুরোধ করেছি।
.
সুন্দর গঠনমূলক, ব্যাকরণগত এবং শুদ্ধ বানানে সাহিত্যচর্চায় কবিতা হয়ে উঠুক ভাব প্রকাশের অনন্য মাধ্যম। ‌
.
কবিরা স্বল্প ভাষায় ব্যাপক অর্থ প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে গভীর একটা স্থান দখল করে নিক এই কামনাই রইলো সকল কবিদের প্রতি।

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২২





মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতা সম্পর্কে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। কবিতা কঠিন ভাষায় হওয়া জরুরী না। বরং বোধগম্য হওয়া উচিত। কবিতার নির্দিষ্ট ফোকাস থাকা উচিত। যতিচিহ্ন এবং শব্দের প্রয়োগ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

কবিতা লেখা আসলে সবার জন্য না। হুমায়ূন আহমেদ নিজেই স্বীকার করেছেন যে কবিতা তার জন্য না এবং এক পর্যায়ে কবিতা ত্যাগ করে গদ্যের দিকে গিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতাকে ফুলের সুঘ্রাণের সাথে তুলনা করেছেন। ফুলের সুঘ্রাণের ক্ষেত্রে বোঝার চেয়ে উপভোগ করার বিষয়টাই মুখ্য। কে যেন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে কবিতা বুঝতে পারছি না। তিনি বলেছিলেন যে এটা তো ফুলের সুঘ্রাণের মত উপভোগ করতে হবে। সঠিক উদ্ধৃতিটি মনে করতে পারছি না এখন। তবে সারাংশ এই রকমই ছিল।

কবিতার প্রত্যেকটি কথা পাঠক না বুঝলেও নিজের মত উপভোগ করতে পারে যদি সে ভালো পাঠক হয়। একজন কবির পূর্ণ মনের ভাব পাঠক নাও জানতে পারে। তারপরও কবিতাটা উপভোগ্য হয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। কবিতা লেখা হলো এমন শব্দচয়নে যেটা পাঠক বুঝতে পারে না। এমন কবিতা লেখা কি দরকার?
পাঠকের জন্যই লিখালিখি হবে। না হলে কে পড়বে?
লেখকের ভার্চুয়াল মৃত্যু হয় পাঠকের অভাবে।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,




কবিতা সম্পর্কে আপনার নিজের ভাবনাগুলো ভালো লাগলো। ++++++
হয়তো ব্লগে প্রকাশিত বেশীরভাগ কবিতাগুলো দেখে আপনার এমন ভাবনাদের উদয় ঘটেছে! ঠিকই বলেছেন , কবিতা লেখার ছন্দ, মাত্রা বজায় রেখে অনেক লিখিয়েরাই কবিতা লেখেন না। ক্ষতি নেই । আমিও মনে করি, কবিতায় কবিতা লেখার গ্রামার থাকতেই হবে এমন কোনও কথা নেই।
আমি নিজেও মাঝে মাঝে কবিতা লেখার চেষ্টা করি, প্রকাশও করি বটে কিন্তু নিজেই দ্বিধা থাকি পাঠকের কাছে তা "কবিতা" হয়ে উঠবে কিনা এটা ভেবে।
আপনার ভাবনার মতো আমারও মনে হয়, ব্যাখ্যাতীত এক সন্ধ্যেয় অব্যক্ত কথাগুলোর শ্রুতিময় রূপই হলো কবিতা।
কবিতায় কঠিন কিম্বা সহজ শব্দ ব্যবহার বড় কথা নয় , কবিতাকে অর্থবহ হয়ে মনকে ছুঁয়ে যেতে পারাটাই বড় । শব্দগত অর্থের চেয়েও দূরাগত অর্থ ধরা দিয়ে যেতে হবে কবিতায় । শব্দগুলো হবে মুখোশ , লেখার ষ্টাইলটা হবে মুখশ্রী ।
শব্দ-রূপের ভেতর দিয়েই শব্দাতীতের স্বাদ পেতে হবে । ব্যঞ্জনা থাকতে হবে শব্দের । এই রকম শব্দগুলি যখন পাশাপাশি বসবে আর দুলিয়ে দিয়ে যাবে মনখানাকে , তখন তা কবিতা হয়ে উঠবে । তাই ভাষার সাথে সাথে ভাবনাও থাকতে হবে ।

অন্যদিকে আধুনিক কবিতার অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ করার কিছু নেই । আধুনিক কবিতা নিত্যই ভাঙছে আবার গড়ছেও । সেটা তেমন হাতে পড়লে তবেই !

কঠিন, অপরিচিত শব্দ দিয়ে অন্ত্যমিল রেখে বাক্য সাজালেই কবিতা হবেনা। বাক্য যখন কাব্য বলে গন্য হতে চা‌ইবে , তখন তার মধ্যে নিতান্ত শব্দার্থের অতিরিক্ত কোনও অর্থের বা তাৎপর্যের আভাস থাকতে হব, আপনি যেমনটা বলেছেন এই লেখায়।এই যে তাৎক্ষনিক অর্থের অতিরিক্ত কোনও অর্থ, এটাই ব্যঞ্জনার কথা টেনে নিয়ে আসবে। সুরকে ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে গেলে যেমন সেতারের তারগুলোকে টানটান করে বেঁধে নিতে হয় তেমনি কথাকেও যদি টানটান করে না বাঁধি তবে কবিতার অন্তরের সুর খোলতাই হয় না । বিনা চুলে যেমন বেনী হয়না তেমনি কাব্যগুন না হলে কবিতা হয়না ।
অর্থাৎ কবিতা হবে স্প্রীংয়ের খাটের মতো , বসলেই দোলা দিয়ে যাবে ।

আপনার ভাবনার কথাতেই বলতে হয় - সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল গুরুজী,
শুধু ব্লগ না, সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হয়েছি ফেসবুকীয় সাহিত্য চর্চায়। আমি নিশ্চিত ফেসবুক এই দেশের সাহিত্যের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ফেসবুকের সাহিত্য গ্রুপগুলি হচ্ছে আরো বড় কার্টুন। এদের বিচারকরাই নিজেরা কবিতা সঠিকভাবে লিখতে পারে না, অথচ প্রতিদিন বিভিন্নজনকে শ্রেষ্ঠ কবির পুরষ্কার দিচ্ছে। আপনাকে যদি এদের কিছু কবিতা দেখাতে পারতাম!
ব্লগে এইসব অখাদ্য কুখাদ্য পোস্ট করলে এর সারাজীবনের শিক্ষা হয়ে যেত। এরা আবার নিজের নামের আগে কবি লাগায়। প্রতি বছর নিজের টাকায় কবিতার বই বের বাংলা সাহিত্যের চব্বিশটা বাজিয়ে দিচ্ছে।

আমার নিজের কাছে এদের যা যা ভালো লাগেনি আমি সবগুলি পয়েন্ট এখানে তুলে দিয়েছি।
একটা কবিতা দুই লাইন পড়ার পর যদি বাকিটা পড়তেই ইচ্ছে না করে তাহলে সেটা লিখে কী লাভ?

অবশ্যই এরা কবি না, প্রশ্নই উঠে না।

শুভ কামনা নিরন্তর।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৮

হাবিব বলেছেন: অনেকদিন কবিতা লিখি না। আপনার লেখাটি পড়ে আবার কবিতা লিখতে মন চাচ্ছে

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমারও একই অবস্থা। আমি নিজেও কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছি। উপন্যাস লেখা নিয়ে ব্যস্ত। এই বইমেলায় সম্ভবত দুইটা উপন্যাস আসছে। একটা প্রকাশ পেয়েছে নমানুষ। আরেকটা ভৌতিক উপন্যাস 'কলুষ' আসছে কুহক প্রকাশনী থেকে।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
শব্দের খেলা হচ্ছে কবিতা। কবিতায় শব্দের প্রকৃত অর্থ থেকে ভিন্ন হলে কবিতার আরও মান বাড়ে। পাঠক যদি পড়ে বিভিন্ন রকম উদ্দেশ্য ভাবে, সেখানেই কবিতার শ্রেষ্ঠত্ব। ভিন্ন ভিন্ন পাঠক কবিতার অর্থ যত ভিন্ন খুঁজবে; ততই ভালো হবে। কবিতার এ রহস্য কবিতাকে সার্থক করে তুলবে। শব্দের প্রয়োগেই কবিতার সার্থকতা নিহীত। জুতসই শব্দ নির্বাচন, উপমা ও অলংকার নির্মাণ, রূপতত্ত্ব, রসাস্বাদন, ছন্দ প্রভৃতি কবিতার পার্থক্য তৈরি করে। এগুলোর প্রয়োগে যতটা মুন্সিয়ানা দেখানো যাবে, কবিতা ততটাই ভালো ও সার্থক হবে। বাক্যের স্বাভাবিক পরম্পরা এড়িয়ে শব্দ ও ধারণার ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। কবিরা শুধু কল্পনাকেই প্রকাশ করতে পারেন না, তারা ‘সিভিল সোসাইটি’কেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। সত্য ও মিথ্যার মধ্যে দাঁড়িয়ে যান কবি। এ গুণই অন্যসব পেশা-শ্রেণি থেকে মহিমান্বিত করে।

প্রাচীনযুগে কবিতার প্রচলন ছিল। চর্যাপদ কবিতা। বাংলা গদ্যের প্রচলন আধুনিক যুগে। আগের যুগে কবিকুলের স্থান ছিল রাজসভা। রচনা করতেন মহাকাব্য, পুঁথি, মর্সিয়া। এসব গীত হতো জনতার মাঝখানে, মুখে মুখে। কিন্তু বেশিরভাগ সামন্তীয় শাসকই ছিলেন দখলদার, দস্যু, অত্যাচারী প্রকৃতির। ইতিহাসের কুখ্যাত শাসক চেঙ্গিস খান। অমরত্ব পাওয়ার আশায় পাশবিক এ শাসক শেষ জীবনে পাগল হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি চৈনিক ঋষি, মহাস্থবির কবি চাং চুংকে তার দরবারে এনে অনেক লোভ দেখিয়ে জানতে চান অমরত্ব পাওয়ার উপায়। আগের দিনের রাজা-বাদশাগণ অসহায়ত্বের সময় শেষপর্যন্ত কবির কাছেই ফিরে যেতেন। কঠিন পরিস্থিতিতে এখনও তাই। প্রচার ও খ্যাতি লাভের আশায় কবিতা লেখা যায় না। এরূপ হলে তিনি টিকে থাকতে পারেন না! কবিতা লেখার কাজ নয়। কবিতা অবলীলায় হয়ে ওঠে। এরপর কষ্টিপাথরে মেপে শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ করেন পাঠকসমাজ। প্রকৃত কবি ইতিহাসে স্থান চান না, তিনি ইতিহাস তৈরি করেন। সাহিত্যের সব শাখার মধ্যে কবিতা সর্বাপেক্ষা পরিশীলিত। সৎ কবি কখনোই অতিকথনে বিশ্বাসী নন।

ফিট ফর দ্য ফিটেস্ট- ডারউইনের এ তত্ত্ব হচ্ছে টিকে থাকার যোগ্যতা। সব ধরনের প্রাণির জন্যই পৃথিবী প্রতিকূল। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে হলে যোগ্যতররা টিকে থাকবে। যোগ্যতমের জয় হবে। কবিদের ক্ষেত্রেও তাই। প্রতিকূলতাকে সরাসরি অথবা কৌশলে পরিহার করে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারাকে যোগ্যতা বলে। কবিতার ভাষা ও স্বর যত শক্তিশালী হবে; কবিতা ততই শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী হবে। চয়ন, ব্যবহার, অলংকার প্রয়োগে কবি কবিতায় উৎকর্ষতা আনয়ন করেন। সব অমানবিক অত্যাচার ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কবিতাই একমাত্র সোচ্চার--সেটি কবির মুখে, সংগ্রামীর মুখে বা পাঠকের মুখেই হোক না কেন! কবিতাকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন; তারা আজ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। কবিতা আজও বেঁচে আছে; বেঁচে থাকবে অনাদিকাল। যেভাবে অনেকের কবিতা এখনও বেঁচে আছে নির্বিঘ্নে। +

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: অনবদ্য একটা লেখা। আমি অনেকবার এসে পড়েছি। কিন্তু এর প্রতি উত্তর কী দেবো ভেবে পাইনি।
আজকাল কবি হওয়া খুব সহজ হয়ে গেছে। দুইলাইন আবোলতাবোল লিখে একেকজন কবি হয়ে আমাদের মতো পাঠকদের কবিতা পড়ার অভ্যাসের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন।
একটা কবিতা মূল উদ্দেশ্য কী এবং এর সারর্মম কী হতে পারে সেটাই আজকের কবিরা বুঝে না। কবিতা লেখার নিয়ম কানুন মানেই না। যা ইচ্ছে তাই লিখে কবিতা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
আমি এদের ভুলগুলি ধরিয়ে দেয়ার একটা প্রয়াস নিলাম। কেউ যদি এর থেকে শিখে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারে তাহ্লেই এই লেখা সার্থক হবে।
শুভ কামনা নিরন্তর, ভালো থাকুন সব সময়।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

শায়মা বলেছেন: কবিতা অকবিতা গবিতা কোনটা কি পাঠক যখন পড়ে তখন মনে হয় মনের মাঝে পাঠকের কবিতার নাম একেকজনের একেক নামই ভেসে ওঠে।

যাইহোক - ছন্দ মাত্রার কবিতাগুলিই আমরা ছোটবেলায় বেশি পড়েছি এবং অর্থসহ মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সেই ছন্দের অপূর্ব মিল দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। তখন ভাবতাম কি করে কবি মিলায় এমন ছন্দ?

পরে নিজেই অং এর সাথে বং আর বং এর সাথে সং মিলিয়ে দেখেছি এটা তেমন কোনো ব্যপার না। একটু চর্চা করলেই অটো এসে যায়। তাই বলে কি আর সেসব রবিঠাকুর নজরুলের কাব্য হয়। না তা হয় না বটে তাহলে কবিয়াল বা কবি গানের আসরে যেসব কবিরা ইনস্ট্যান্ট কবিতা বানায় তারাও কি কম! না তারাও তো কম না!

এসব ভাবতে ভাবতে সকল ছন্দ মিলানো কবিরাই আমার কাছে পৃথিবীর আশ্চর্য্য মানুষ হয়ে যায়।

এরপর ছন্দ না মিলানো কবিতা। এই কবিতা যখন পড়তে শুরু করলাম তখন মনে হলো যাক বাবা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আর অর্থ মনের ভাবের সাথে সঠিক ছন্দ খোঁজার দরকার নেই। একেক লাইন লিখে এন্টার চেপে দিলেই তো হয়। আর হ্যাঁ এই কবিতা পড়তেও মানে আবৃতিতেও বেশ ভাবের আবেগ হয়। :P
কবিকে কোথাও মনের ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে কষ্ট করে ছন্দ খুঁজেও আনতে হয় না। কবিরও শান্তি পাঠকেরও।
কাজেই কবিতা ভালোই মনের শান্তি আনে তা সব কবিতা ভালো লাগুক আর নাই না লাগুক।

কিন্তু মুক্ত গদ্য!!!


ও মাই গড!! এইটা কিন্তু মানে ইদানিংকালের কবিদের মুক্তগদ্য পন্ডিৎ কবি কালীদাসও বুঝবেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। কোনো কোনো মুক্তগদ্য পড়ে আমার মনে হয়েছে কঠিন সব শব্দ নিয়ে এসে পাঠকের চোখে মুখে নাকে হাতে পায়ে ধান্ধা লাগাবার জন্যই এসব সৃষ্টি হয়। :(

ভুই পাই। :((

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

হাবিব বলেছেন: আপনার বইয়ের সংবাদ জেনে খুশী হলাম। সময় পেলে অটোগ্রাফ/ফটোগ্রাফসহ সংগ্রহ করবো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: বইমেলা হলে আমি আসবো সেখানে এবং আপ্নাকে জানিয়ে আসবো।
অনেকদিন হলো আপনার সাথে দেখা সাক্ষাত হয় না।
ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন অনেক ভাল থাকবেনে

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার একটা কবিতার লাইন ছিল এমন :
'শুধু দাঁড়ি কমা সেমিকোলনের মানে জানা হয়ে ওঠেনি এখনো!'

কবিতার বিষয়টাই খুব জটিল। পাঠকের কাছে এবং লিখিয়ের কাছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: কবিতার বিষয়টাই খুব জটিল। পাঠকের কাছে এবং লিখিয়ের কাছে।
এই সহজ বিষয়টা এইসব কবিরা বুঝলে এত সব সমস্যা হতো না।
এরা মনে করে যা ইচ্ছে তাই লিখে দিলেই কবিতা হয়ে যায়।
এই ধারনা ভুল, মারাত্মক ভুল।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: চারিদিকে এত এত কবিতা। তাই মনে করা যেতে পারে কবিতা লেখা সহজ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা সহজ তবে সেটা আদতে কবিতা হয় নাকি সেটাই বিশাল প্রশ্ন?

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কবিদের মঙ্গল হোক!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রকৃত কবিদের মঙ্গল হোক। অ-কবিরা দূর হোক সাহিত্য চর্চা থেকে।

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় ভালোলাগা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখা পড়ার জন্য।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক কথায় বলা যায়, চমৎকার লিখেছেন! যেমন সুন্দর করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন, তেমনি সঠিকভাবেই কবিদের ও কবিতার কিছু সমস্যাও সনাক্ত করেছেন। বিশেষ করে বিরাম চিহ্নের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন দেখে প্রীত হ'লাম, কেননা আজকাল কবিগণ এ বিষয়টা নিদারুন উপেক্ষা করে চলেছেন। আর কবিতা যেন সহজেই আবৃত্তিযোগ্য হয়, সেটার উপর খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বলে ভালো লাগলো।

বেশ কয়েকটি চমৎকার মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য এসেছে। সেগুলোও ভালো লাগল।

পোস্টে প্লাস। + +

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফিরে আসার জন্য দূঃখিত। জরুরী একটা বিষয়ে ব্লগে পোস্ট দিতে হয়েছিল।
নিজে টুকাটাক কবিতা লেখা কারণে এবং কয়েকজনের কবিতা নিয়ে কাজ করার কারনে কবিতা উপর হালকা ধারনা আগে থেকেই ছিল। ইদানিং বেশ কিছু কবিতা পড়ার পর মনে হলো এই বিষয়ে আসলে লেখা দরকার। এরা কবিতার নামে যা চালিয়ে দিচ্ছে সেটা আর যাই হোক কবিতা হতে পারে না। ব্যাকরণগত ভুলগুলি সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগে। এদের বেশিরভাগই বিরামচিহ্নের আসল ব্যবহার জানে না। কবিতা সহজেই আবৃত্তিযোগ্য হতে হবে। এটা বেসিক জিনিস। এটা ভুলে গেলে আসলে কবিতা লেখার কোন কারন থাকতে পারে না। কবি হওয়া এত সহজ না এর জন্য দরকার অধ্যাবসায় এবং উপযুক্ত জ্ঞান।
খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা নিরন্তর।

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখা সহজ তবে সেটা আদতে কবিতা হয় নাকি সেটাই বিশাল প্রশ্ন?

ভালো কথা বলেছেন।
এই যখন অবস্থা, তখন এরকম কবিদের অনেকেই কবি বলে ডাকেন। তাদের সাথে ছবি তোলেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১

নীল আকাশ বলেছেন: এরা নিজেদের কবি ভাবলেও এরা আদতে কবি না।
ধন্যবাদ আবার ফিরে আসার জন্য।

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি লিখেছেন “কবিতা লেখার জন্য অদৃশ্য গুরূত্বপূর্ণ টপিক হচ্ছে বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ব্যবহার ”। শতভাভ সত্য, আমি একমত। আমার এক ফেসবুক বন্ধু গত কয়েক মাস ধরে কবিতা লিখে ফেসবুকে। উনার বিরাম চিহ্নের ব্যবহার দেখলে হাসি পায় আমার, কিন্তু উনার কবিতা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে প্রতিযোগিতায় ফাস্ট কিংবা সেকেন্ড হয়।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: অবিশ্বাস্য সত্য হলেও ফেসবুক এসেই দেশের সাহিত্যের বারোটা বাজিয়েছে। ফেসবুকের সাহিত্য গ্রুপগুলি হচ্ছে আরো বড় চীজ। নিজেরাই কবিতা সঠিকভাবে লিখতে পারে না অথচ প্রতিদিন বিভিন্নজনকে শ্রেষ্ঠ কবির পুরষ্কার দিচ্ছে। সার্কাসের জোকার চেনেন? এরা হচ্ছে এটাই। একলাইন কবিতা শুদ্ধ বানানে লিখতে পারে না। বিরাম চিহ্নের ব্যবহার দেখলে ক্লাস ওয়ানে নিয়ে ভর্তি করে দিতে ইচ্ছে করে।
শুভ কামনা।

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশে কবি বেশি, সংখ্যায়।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: সেটাই হচ্ছে আসল সমস্যা। সংখ্যা বেশি তবে সেটা গূণে নয় পরিমানে।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেউ কেউ কবি।

জোড় করে বা ইচ্ছে করে কবিতা লিখা যায় না।

অনেকে কবিতার নামে যা লিখেন তা কেবল সমালোচনার আগুন উসকে দেয়।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১

নীল আকাশ বলেছেন: অনেকে কবিতার নামে যা লিখেন তা কেবল সমালোচনার আগুন উসকে দেয়। সেটাই তো স্বাভাবিক।
কবিতার নামে এরা যা পাবলিককে গিলাতে চায় সেইসব কুখাদ্য দেখেল সমালোচনা আসার কথাই।
জোর করে যেমন কবিতা লেখা যায় না, কবিও হওয়া যায় না।
শুভ কামনা নিরন্তর।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

যবড়জং বলেছেন: কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছি সেই কবে !!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব কবিদের পাল্লায় পরলে ছেড়ে দেয়াই উত্তম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.